নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমৃদ্ধ আগামীর প্রত্যেয়

আনিসুর রহমান এরশাদ

আমি আমার দেশকে অত্যন্ত ভালবাসি ।

আনিসুর রহমান এরশাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রুগ্ন শিল্পগুলোকেও বাঁচাতে হবে

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬

পুঁজি সংকটের কারণে একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অনেক শিল্প কারখানা। এতে এসব শিল্প কারখানার সঙ্গে জড়িতদের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে। এমতাবস্থায় রুগ্ন বা নিষ্ক্রিয় শিল্প কারখানাগুলোর প্রাণ রক্ষায় পুঁজির যোগান দিতে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

চট্টগ্রামে ছোট-বড় ৯শ গার্মেন্ট থাকলেও বর্তমানে পুরোদমে উৎপাদনে রয়েছে মাত্র ৬৩০টি গার্মেন্টস কারখানা। এই তথ্য জানিয়েছে খোদ বিজিএমইএ। নানাবিধ সমস্যার কারণে অনেক শিল্প কারখানা বর্তমানে রুগ্ন হয়ে পড়েছে। অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ে গঠিত রুগ্ন শিল্প সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কতৃক শিল্প উদ্যোক্তাদের আবেদনের ভিত্তিতে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মোট ৩৬১টি রুগ্ন শিল্প চিহ্নিত করা হয়েছে।

দু:খজনক হলেও সত্য, বাংলাদেশে পর্যটন এখনো একটি রুগ্ন শিল্প। কেননা এদেশে পর্যটন নির্ভর অবকাঠামো উন্নয়ন করা হয়নি। উপযুক্ত নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়নি। বিভিন্ন মেয়াদী সময়োপযুগী পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি। সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) হিসেবে, এ বছরের শুরুতে রাজনৈতিক অস্থীতিশীলতায় পর্যটন খাতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৬শ কোটি টাকা। এ শিল্প সহায়ক অবকাঠামো নির্মাণের জন্য জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি না করলে এ শিল্পের সংকট কাটবে না।

এছাড়া গ্যাস সংকটের কারণে পোশাক কারখানাগুলো বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। অ্যালায়েন্স ও অ্যাকর্ড’র আপত্তির কারণে স্থানান্তরিত পোশাক কারখানাগুলো গ্যাস পাচ্ছে না। রুগ্ন গার্মেন্টস্ কারখানাগুলো সময়মতো গ্যাস বিল পরিশোধে অক্ষম হয়ে পরছে। অনেক কারখানায় চাহিদানুযায়ী গ্যাস সরবরাহ না হওয়ায় উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। চট্টগ্রামে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৪৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন হয়। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট।

আমরা জানি, সারা দেশে স্থানীয় পর্যায়ে গড়ে তোলা ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের শিল্প কারখানা রয়েছে ৪০ হাজারেরও বেশি। দেশের ৯৬ শতাংশ শিল্পই ক্ষুদ্র ও মাঝারি। জিডিপির শতকরা ১২ ভাগ আসে এই শিল্প থেকে। কৃষি খাতের বাইরের প্রায় ৮০ শতাংশ কর্মসংস্থানই হয় এই শিল্পে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশে সরকারি সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয় নিয়মিত। কিন্তু আশ্বাস পূরণ না হওয়ায় উদ্যোক্তারা অনেকে পুঁজি সংকটে কারখানা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হন। প্রযুক্তি সংযোজন প্রতিযোগিতায় উদ্যোক্তারা ছিটকে পড়েন। ডিপ্লোমা শিক্ষা গবেষণা কাউন্সিল গবেষণায় দেখতে পায়, আধুনিক প্রযুক্তির অভাবে ৮৬ হাজার ৪১২টি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের মধ্যে ৭২ হাজার ৩০০টি রুগ্ন হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে, বাকি চার হাজার ১১২টি ধুঁকে ধুঁকে বন্ধ হওয়ার মুখ।

আরেকটি ব্যাপার লক্ষ্যণীয়, দক্ষিণাঞ্চলে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে চরম দুর্দিন চলছে। এ অঞ্চলে প্রায় ১৫ হাজার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হালকা প্রকৌশল, সমিল, বেকারি, কাঠজাত, ইট, বাঁশ-বেত ও মৃৎ শিল্প। এই শিল্পগুলোর ৯০ শতাংশই রুগ্ন বা নিষ্ক্রিয় অবস্থায় কোনো রকমে টিকে আছে। কিন্তু বিসিক নানা সীমাবদ্ধতার কারণে কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। এ ছাড়া ব্যাংক ও বিসিকের মধ্যে সমন্বয় না থাকায় ব্যাংক বিনিয়োগেও উৎসাহী নয়।

এমতাবস্থায় যত দ্রুত রুগ্ন কিংবা বন্ধ শিল্প কারখানাসমূহ পুনরায় সচল করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ততই দেশ ও জাতির মঙ্গল। এক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় ও অধিদপ্তর সমূহের সময়োপযুগী নির্দেশনা দরকার। বিশেষ করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি খাতের সাথে সংশ্লিষ্টদের সমন্বিত পদক্ষেপে রুগ্ন শিল্পগুলোকে বাঁচাতে পুঁজির যোগান দেয়া হবে এটাই প্রত্যাশা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


শিল্প রুগ্ন মানে, সরকারও রুগ্ন

২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৩৩

সেয়ানা বলেছেন: ব্যাংক ও বিসিকের মধ্যে সমন্বয় না থাকায় ব্যাংক বিনিয়োগেও উৎসাহী নয়

আপনার এই মতের সাথে একমত হতে পারছি না বলে দুঃখিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.