নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমৃদ্ধ আগামীর প্রত্যেয়

আনিসুর রহমান এরশাদ

আমি আমার দেশকে অত্যন্ত ভালবাসি ।

আনিসুর রহমান এরশাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানব সৃষ্ট দুর্যোগ, নিজেই যখন নিজের বিরুদ্ধে

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫১

মানব সৃষ্ট দুর্যোগ কিছুতেই রোধ করা যাচ্ছে না। দেশও এখন মানব সৃষ্ট দুর্যোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবেশি দেশ ভারতেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের চেয়ে মানব-সৃষ্ট মৃত্যু ১৫ গুণ বেশি। উত্তোরণে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। পরবর্তী প্রজন্মকে গুনতে হবে মাশুল।

১. অপরিকল্পিত নগরায়ন: অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে তৈরি হচ্ছে বস্তি সমস্যা। জলাধারগুলো ভরাট হয়ে গেছে, খালগুলো অপদখল হয়ে গেছে। নেই সুস্থ স্বাভাবিকভাবে বাঁচার স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ। পরিকল্পিতভাবে নগর গড়ে ওঠলে যানজট, লোডশেডিং, জলাবদ্ধতার মতো সমস্যাগুলো তৈরি হতো না। গ্রাম পযায়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হলে মানুষ এভাবে শহরমুখী হতো না। নগরে এমন বদ্ধ রুমেও মানুষ থাকছে, যেখানে আলো বাতাস পৌঁছায় না। এমন বিল্ডিংও আছে, যেগুলো সাধারণ মাত্রার ভূমিকম্পনও সহ্য করতে পারবে না।

২. অপরিকল্পিত শিল্পায়ন: অপরিকল্পিত শিল্পায়নের ফলে বায়ু ও পানি দুষিত হয়েছে। শব্দ দূষণে তৈরি হয়েছে শিল্প কারখানার আশেপাশের মানুষের শারীরিক ও মানসিক নানা রোগ। বিষাক্ত ধোঁয়া ও শিল্প বর্জ্যের কারণে মাটি গুণাগুণ হারিয়েছে, জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়েছ।

৩. প্রকৃতির বিরুদ্ধে দাঁড়ানো: মানুষ তার প্রয়োজনে যে পরিমাণ বৃক্ষ কেটেছে, সেই পরিমাণ বৃক্ষ লাগায়নি। বন উজার করে প্রাকৃতিক বিপরর‌্যয় বাড়াতে সহায়তা করেছে। পাহাড় থেকে মাটি কেটেছে, নদী থেকে বালু উত্তোলন করেছে। এক শ্রেণীর পাহাড় ও বন খেকোর লোলুপ দৃষ্টিতে উজার হতে হতে অনেক বনই বিলুপ্তির পথে চলে গেছে। ফলে বাড়ছে পাহাড় ধ্বস, পাহাড়ের ঐতিহ্য হারানোর পাশাপাশি বিলুপ্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে, মরুকরণ ঘটেছে। আর এসবের কারণে বাড়ছে খরা, ঘটছে মরুকরণ, নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে কৃষিতে।

৪. যুদ্ধ ও অস্ত্র ব্যাবসা: উদ্বাস্তু সমস্যা তৈরি হয়েছে যুদ্ধের কারণে, স্বার্থ ও আধিপত্যের লড়াইয়ের ফলে। অস্ত্র ব্যবসায়ীরা লাভজনক এই ব্যবসাটিকে জমজমাটভাবে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে যুদ্ধ চায়, অশান্তি বাড়াতে ও সংঘর্ষ জিইয়ে রাখতে সহায়তা করে। কিছু ক্ষমতালোভি ও স্বার্থপর মানুষের খেয়াল খুশির খেসারত দিতে হচ্ছে লক্ষ কোটি সাধারণ মানুষকে।

৫. ক্ষতিকর তেজষ্ক্রিয়তা: হিরোশিমা, নাগাসাকি, ফুকোশিমা ও চেরোনবিলের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি বিশ্ববাসী দেখেছে। পারমাণবিক অস্ত্র ছাড়াও আরও অনেক আপদ তৈরি করেছে মানুষ। অনেক নতুন নতুন প্রযুক্তি মানুষের জীবন যাপনকে সহজ ও উপভোগ্য করছে। টিভি, মোবাইল ও কম্পিউটারের মত পণ্যের লাভজনক ব্যবসার ব্যাপকতা সর্বত্র। কিন্তু এগুলোর তেজষ্ক্রিয়তা বা ইলেক্ট্রিক বর্জ্যের মাধ্যমে যে অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে, তার ক্ষতিপূরণ নিয়ে কেউ ভাবছে না। নেই তেমন সচেতনতাও।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.