নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমৃদ্ধ আগামীর প্রত্যেয়

আনিসুর রহমান এরশাদ

আমি আমার দেশকে অত্যন্ত ভালবাসি ।

আনিসুর রহমান এরশাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাকরি, বাস্তবতা ও সম্মানজনক জীবন

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১০

একজন ব্যক্তি কি ধরনের চাকরী করেন, কোন ধরনের প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তার ওপর নির্ভর করে সমাজে তার ভূমিকা কি হবে। সরকারি চাকরি আর বেসরকারি চাকরির মাঝে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য। আবার বেসরকারি চাকরির মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানায় কারা আছেন, সেটি ব্যক্তিমালিকাধীন নাকি যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান সেটাও বিবেচনায় আসে। মালিকানার ধরণই শুধু নয় সেটির সুনাম, ব্যবসার পরিধি কতটুকু তাও বিবেচনায় নেয়া হয়। চাকরী মানেই কিছু কর্মকান্ড নিয়মানুযায়ী করা এবং অর্থ বিনিময়ের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত হওয়া। ফলে কোন পদে, কোন বিভাগে কর্মরত কিংবা কত টাকা আয় করেন এগুলোও ব্যক্তির আত্মপরিচয়ে অপরিহায হয়ে উঠে। সরকারি চাকরিজীবীদের বৈধ আয়ের পরিমাণের ব্যাপারে ধারণা থাকায় যাপিত জীবনের সাথে মিলিয়ে সৎ নাকি দুর্নীতিবাজ তা বুঝে ফেললেও বেসরকারি চাকরিজীবীদের ব্যাপারে অস্পষ্টতা থাকে। টাকা ছাড়া সুসামাজিক মানুষ হওয়া যায় না। কারণ অক্ষমতা সংকীর্ণতা বলে বিবেচিত হয় কিংবা দুর্বলতা ব্যক্তির ভুমিকাকে গৌণ করে দেয়।

আসলে চাকরি মানে "কিছু কাজ যা করতে হবে", বাধ্যবাধকতা থাকে। চাকরিজীবী ব্যাক্তি আয় রোজগার ইচ্ছেস্বাধীন মতো করতে পারে না। যেহেতু চাকরি মানে একজন ব্যাক্তি অন্য কারোর কর্মচারী হয়ে কাজ করে তার কাছ থেকে বেতন পায়। ফলে চাকরিরত প্রতিষ্ঠানটির বিস্তৃতি- প্রভাব ও অবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট চাকরিজীবীদের মান ইজ্জতও মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। চাকরি নির্ভর জীবিকার চাইতে উদ্যোগ নির্ভর জীবিকা অধিক সম্মানের। যে চাকরি করে আর যে চাকরি দেয় দুজন কখনোই সমান নয়। যে যাই বলুক ছাত্রজীবনে ভাল মেধা ও রেজাল্টের গুরুত্ব থাকলেও কর্মজীবনে যেয়ে আয়রোজগারের পরিমাণটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দেখা দেয়। ভাল ছাত্র হলেই ভাল পাত্র হওয়া যায় না। আমি সৌভাগ্য কিংবা দূর্ভাগ্যক্রমে এক পরিচিত সাংবাদিক ভাইয়ের বিয়ের জন্যে ঘটকালি করতে যেয়ে মেয়ে পক্ষের অভিভাবকদের এই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলাম যে-পেশায় সাংবাদিক বুঝলাম কিন্তু আর কি করেন? ফলে সব পরিচয় সব জায়গায় একই রকম গ্রহণীয় হয় না।

আরেকটি ব্যাপার চাকরি খন্ডকালীন নাকি পূর্ণকালীন ? খন্ডকালীন চাকরি প্রথাটি ইউরোপ, আমেরিকায় প্রচলিত হলেও এশিয়ায় তেমন একটা প্রচলিত নয়। বাংলাদেশে যেখানে পূর্ণকালীন চাকরি জোটাতে ডজন ডজন জুতা ক্ষয় করতে হয় সেখানে আবার খন্ডকালীন চাকরী! অবশ্য এখন যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে তৈরি হচ্ছে চাকরির নতুন নতুন ক্ষেত্র। যাদের আন্তরিকতা, নিষ্ঠা আছে, তারাই উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি খন্ডকালীন চাকরির মধ্য দিয়ে নিজেকে এগিয়ে নিচ্ছে।

২/৩দিন আগে এক আড্ডায় নতুন সরকারি চাকরি পেয়েছেন এমন একজনকে কয়েকজনের প্রশ্নে বেশ বিব্রতই দেখলাম। জিজ্ঞাসা ও কৌতুহল- দোস্ত কতো টাকা লেগেছে? চুপ করে থাকতে দেখে আরেকজন বলে উঠলো- আরে আজকালতো টাকার জোর কিংবা মামার জোর না থাকলে চাকরি নামের সোনার হরিণ জুটেনা। এটা সবাই জানে। সবার আগ্রহে সে বলেই ফেললো- আমার সাথে ৮লাখ/১০লাখ করেও দিছে, আমার এক পরিচিত…….থাকায় ৫ লাখেই হয়েছে। তারপরও সরকারি চাকরি অনেকেরই পছন্দ এর নিশ্চয়তার কারণে। একবার পেলে তা সহজে যায় না, চাকরি নিরাপদ। আর রাষ্ট্র যেহেতু ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকে ফলে সরকারি চাকরিজীবীরা অবস্থানভেদে ক্ষমতাবান হয়ে উঠে। অনেক সময় দুর্নীতির সাথে যুক্ত হয়ে পেনশনের আশায় শুধু বসে না থেকে উপরি অর্জনের মাধ্যমে অতিরিক্ত সঞ্চয়ের পথ ধরে।

বাস্তবতা হচ্ছে চাকরি যিনি করেন তার জন্মই যেন হয়েছে উর্ধ্বতনের হুকুম তামিল করার জন্য। অধস্তনদের হুকুম দেওয়ার ক্ষমতা উর্ধ্বতনদের। ফলে যে যতো নীচে থাকে তাকে তত বেশি হুকুম তামিল করতে হয়। অনেকক্ষেত্রেতো প্রত্যেক মানুষের থাকা মৌলিক সৃষ্টিশীলতা হারিয়েই যায়। অনেকে সোশ্যাল স্টাটাস বাড়াতে আয়রোজগারের সুযোগ সুবিধা গ্রামে বেশি থাকলেও শহরে বসবাস করেন কিংবা দেশে উপার্জনের সুব্যবস্থা থাকলেও বিদেশমুখী হন। সব সময় অর্থনৈতিক চাহিদাগত কারণ ছাড়াও সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নানান কারণ এখানে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। বিদেশে প্রবাসীরা চাকরি এবং প্রকৃত বাস্তবতার কথাও অনেক সময় সংকীর্ণতায় ভূগে অথবা আত্বীয় স্বজন বা বন্ধু বান্ধবদেরকে আশাবাদী রাখতে স্পষ্ট তুলে ধরেন না। রুঢ় বাস্তব হলো দেশ থেকে বড় ডিগ্রি এবং বড় কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে উন্নত অনেক দেশে যেয়ে দ্রুত প্রফেশনাল চাকরি পান না। আমেরিকা ও ইউরোপের অনেক দেশে এদেশের অনেক ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার , দেশের ভূত পূর্ব বড় সরকারী চাকরিজীবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক/শিক্ষিকা, বড় প্রতিষ্ঠানের ভূতপূর্ব কর্মকর্তা আছেন যারা খাবার হোটেলে বয় বেয়ারার, চায়ের দোকানে ক্যাশিয়ার, ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোরে বা ফ্যাক্টরীতে চাকরি করছেন। এদের কেউ কেউ এ কাজ করে বাড়ি গাড়ি করছেন এবং মানসিকভাবে ভালই আছেন। কিন্তু অনেকেই আছেন যারা এভাবে আছেন কিন্তু মন থেকে কখনোই এ জীবন মেনে নিতে পারেন না।

পত্রিকায় দেখলাম- ভারতে উত্তরপ্রদেশে ৩৬৮টি পিওন পদের এক সরকারি চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ২৩ লাখ আবেদন জমা পড়েছে। আবেদনকারীদের মধ্যে ১৭ লাখ ৪৭ হাজার ৮২৪ পিইচডিধারীও রয়েছেন। সেখানকার সচিবালয়ের ওই চাকরিতে মাস্টার্স পাস আবেদনকারীর সংখ্যা ২০ হাজার। আর হাইস্কুল পর্যন্ত পড়েছেন, এমন চাকরি প্রত্যাশী রয়েছেন প্রায় ৫ লাখ। বেকারত্ব কোন জায়গায় পৌঁছেছে, উত্তরপ্রদেশের এই পরিসংখ্যানই তা বোঝানোর জন্য যথেষ্ট। বাংলাদেশে চাকরিটা কতো গুরুত্বপূর্ণ যে চাকরি চলে যাওয়ার ভয় দেখিয়ে প্রেম ভালবাসা সম্পর্ককেও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে ভাবা হচ্ছে। তাইতো অনুমতি ছাড়া বিদেশি নাগরিকদের বিয়ে করার ক্ষেত্রে সরকারি চাকরিজীবীদের নিষেধাজ্ঞা সম্বলিত বিল সংসদে উত্থাপিত হয়। ‘শাস্তি স্বরূপ’ চাকরি থেকে বরখাস্ত করার বিধানও থাকে। অর্থাৎ চাকরিটােই আগে, চাকরিটাই বড়; তারপর অন্যকিছু।

সময়ের পরিবর্তনের সাথে সোথে অনেক কিছুরই পরিবর্তন হচ্ছে। রোবট এবং এ্যালগরিদমগুলো বেশ কার্যক্ষম হয়ে উঠছে গাড়ি বানাতে, প্রবন্ধ লিখতে, ভাষা রুপান্তর করতে - সেই কাজগুলো করতে যা এক সময় করতে মানুষের দরকার পড়ত। আসলে নতুন প্রযুক্তি আসে, নতুন ধরনের কর্মক্ষেত্রও তৈরি হয়। ফলে মানুষ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে পারে, টিকে থাকতে পারে। চাকরি মানে শুধু বেঁচে থাকার উপায় নয়। আন্দোলনকারী শিক্ষকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আপনার সচিবের মর্যাদা চাইলে চাকরি ছেড়ে বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে সচিব হয়ে যান কিংবা পেটের ক্ষুধা মিটালাম, এখন কেউ প্রেস্টিজ নিয়ে টানাটানি শুরু করে দিয়েছেন কিংবা আমি লক্ষ্য করেছি, আমরা যতই দিই কিছু লোক যেন কিছুতেই খুশি হতে চায় না। তখন প্রশ্ন আসে আসলে চাকরির বহুবিধ প্রভাব, সম্মানজনক জীবন, আত্মমযাদা ও সামাজিক স্বীকৃতি নিয়ে।

পান থেকে চুন খসলেই কচুর পাতা থেকে পানি গড়িয়ে পড়ার মতো চাকরি চলে যায়। সামান্য শর্ত ভঙ্গ করার জন্য চাকরিচ্যুত করা হয়। চাকরিচ্যুতির ঘটনা অহরহ ঘটছে। তাইতো এমন অনেক চাকরিজীবী রয়েছে যারা নিজেদের পেশাগত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের চাইতে বসের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যে বেশি তৎপর থাকেন। সহজ কথায় বসের সন্তোষকেই পরম চাওয়া পাওয়া বলে ধরে নেন। বসের খুশির জন্যে মন খারাপ থাকলেও হাসেন, অপছন্দ হলেও খুব ভাল লেগেছে বলেন। স্বতন্ত্রতা, স্বকীয়তা ও ব্যক্তিসত্তা বিসর্জন দিয়ে মালিক বা উর্ধ্বতনের সবচেয়ে আস্থাভাজন- প্রিয়ভাজন-অনুগত হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন। বস খুশি না থাকলে, ভাল রিপোর্ট না দিলে প্রমোশন হয় না, বেতন বাড়ে না। এই জন্যেই চাকরিকে আধুনিক দাসত্ব বলা হয়েও থাকে।

‘চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা, শুনছো...’ ফোনের এ-প্রান্তে বললে ওই প্রান্ত থেকে যত সহজে সাড়া পাওয়াটা নিশ্চিত হয়; চাকরিটা আমি ছেড়ে দিয়েছিবেলা, শুনছো...’ বললে ওই প্রান্ত থেকে সহজে সাড়া পাওয়াটা ততটাই অনিশ্চিত হয়। এখন নানা কারণে মানুষ যেমন চাকরি ছাড়ে তেমনি চাকরি ছেড়ে আরও ভালো কিছু করার উদাহরণও প্রচুর। কাজের জগতে এমন একটা ধারণা প্রচলিত যে, কর্মীরা আসলে প্রতিষ্ঠানকে ছেড়ে যান না, তারা তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ত্যাগ করতে চান। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি মাসে ২০ লাখেরও বেশি মানুষ স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দেন, চাকরিজীবীদের ৭৪ শতাংশই কাজ নিয়ে অসুখী। তন্মধ্যে ৩১ শতাংশ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে পছন্দ করেন না। ৩৫ শতাংশ মানুষ দায়ী করেছেন অফিসের ভেতরের রাজনীতিকে আর সবচেয়ে বেশি, অর্থাৎ ৪৩ শতাংশ বলেছেন স্বীকৃতির অভাবের কথা।

বাংলাদেশেও এ চিত্র ভিন্ন নয়। অনেক জুনিয়র পদে কর্মরতদের নিজেদের কাজ তো বটেই, ঊর্ধ্বতনদের কাজগুলোও করে দিতে হয়। আর তিনি আবার সেটা তার ঊর্ধ্বতনকে নিজের কৃতিত্ব হিসেবে চালিয়ে দেন। আসলে যে কেউ মনের মতো পরিবেশ, সুযোগ-সুবিধা পেলে একই প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ সময় কাজ করতে চান। চাকরি ছাড়ার পেছনে যথেষ্ট বেতন না পাওয়াটাও বড় কারণ হিসেবে দেখা যায়। আর সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে বলা যায়, ক্যারিয়ারে আর এগোনোর সুযোগ না থাকাটা। আজকাল চাকরি ছাড়ার কারণ হিসেবে এমন কিছু পরিস্থিতি রয়েছে যেমন-ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো নয়, কাজটা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং নয়, নতুন কিছু শেখার সুযোগ নেই, বেতন-ভাতা তুলনামূলক কম, কাজ আর ব্যক্তিগত জীবনের সমন্বয় নেই। মেয়েদের ক্ষেত্রে অফিসের সময়সূচিটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া মাতৃত্বকালীন সময়টাতে বা এর পরেও অনেকে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

নতুনেরা কিছু ভুল করেন চাকরি ছাড়ার আগে বা নতুন চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে। তারা এমন কিছু বিষয় বিবেচনা করেন না যেগুলো অবশ্যই বিবেচনা করা উচিৎ। প্রথমত, নতুন প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণের সুযোগ যথেষ্ট আছে কি না। কাজের দায়িত্ব বৃদ্ধি, উন্নতির সুযোগ আছে কি না। নতুন প্রতিষ্ঠানে যথেষ্ট সম্মান পাবেন কি না। সেখানে পরিবেশ নিজের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই হবে কি না। শুধু বেতন নয়, অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও দেখে নেওয়া উচিত। যেমন কোনো প্রতিষ্ঠানে বেতন বেশি দিলেও অবসর ভাতা, বিনোদন ভাতা এসব হয়তো খুব কম। যে প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছি তার সুনাম কেমন, ব্র্যান্ড হিসেবে সেটি যথেষ্ট শক্তিশালী কি না। আপনার যথেষ্ট মূল্যায়ন হবে কি না। অনেকেই এখন চাকরি ছেড়ে নিজেই উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করতে চান। তবে নিজের কিছু শুরু করার আগে শক্ত একটা পরিকল্পনা থাকা প্রয়োজন।
(চলবে)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৮

সান্তুইয়া বলেছেন: ভালো লেগেছে, আশা করবো ধারাবাহিকতা বজায় রেখে লিখে যাবেন।

২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৬

আলাপচারী বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.