নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একা একা থাকতেই ভালবাসি- "ভালবাসি" কথাটা হয়ত ঠিক না... একা থাকতে থাকতে এমন হয়ে গ্যাছে। আমি সহজে কারো সাথে মিশতে পারি না। একবার মিশলে তাকে সহজে ছাড়তে পারি না। হয় বরাবর কথা বলি... নয়তো একেবারেই বলি না। আমার একটা কথাও যদি ভাল লাগে আপনার... এতেই নিজেকে ধন্

আনজির

আমি একা একা থাকতেই ভালবাসি- "ভালবাসি" কথাটা হয়ত ঠিক না... একা থাকতে থাকতে এমন হয়ে গ্যাছে। আমি সহজে কারো সাথে মিশতে পারি না। একবার মিশলে তাকে সহজে ছাড়তে পারি না। হয় বরাবর কথা বলি... নয়তো একেবারেই বলি না। আমার একটা কথাও যদি ভাল লাগে আপনার... এতেই নিজেকে ধন্য মনে করবো!! .....রুদ্ধ নয় মুক্ত থাকব.....

আনজির › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিড়াল

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮

(১)

ঘুমালেই বিড়ালটা ডেকে উঠে। একদিনও ঠিকমতো ঘুমাতে পারি না। লাল লাল চোখ নিয়েই অফিস করতে হয়। বস্ তো আজ জিজ্ঞেস করেই ফেল্লেন: কী অবস্থা তানিম? কোনো সমস্যা? ইদানিং তোমারে কেমন অস্থির অস্থির লাগছে!

না কিছু না..তো.. একটা শুকনা হাসি দিয়ে এড়িয়ে গিয়েছিলাম প্রশ্নগুলো। বিড়ালটা আবার ডেকে উঠেছে.... বিড়াল রুমে না বাহিরে ডাকে বুঝতে পারছি না। মাথার মধ্যিখানে ডাকটা শুনতে পাই।

শালার বিড়াল! আজ দেখতে হবে কোথা থেকে ডাকটা আসে। লাইট জ্বালিয়ে সারা রুম খুঁজলাম; ব্যালকনিতে যেয়ে পাশের ছাদ দেখলাম- বিড়ালের কোনো অস্তিত্ব পেলাম না। শুধু একটা কুনোব্যাঙ খাটের নীচে গলা ফুলিয়ে বসে আছে। বড্ড পানির তেষ্টা পাচ্ছে। একগ্লাস পানি পান করে লাইট অফ করে শুয়ে পড়ি আমি। আমার কি মানসিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে? বুঝতে পারছি না। অহনা-রে কল দিতে মন চাচ্ছে। অহনা- আমার ব্যাচমেট। কেমিস্ট্রিতে থিসিস করছে। ওরে বলেছিলাম বিড়ালের ডাকের কথা। ও হেসেই উড়িয়ে দিয়েছে। না এত রাতে কল দেওয়া যাবে না। কিছুতেই ঘুম আসছে না। রাস্তাতে রিক্সার বেলের শব্দ শুনা যাচ্ছে। এত রাত্রে আবার কে আসলো রিক্সায়! ঘুমালেই কেনো বিড়াল ডাকবে! কী যেনো নড়ে উঠলো মেঝেতে। এটা আবার কোন জ্বালা! লাইট জ্বালালাম আবার। কুনোব্যাঙটা একটা পোকা খেয়ে খাটের নীচে ঢুকে যাচ্ছে। বুয়াকে কাল কুনোব্রাঙটা ফেলে দেওয়ার কথা বলতে হবে। একটা সিগরেটে আগুন ধরিয়ে মেঝেতে বসে আছি। মাঝে মাঝে জিহ্বা বের করছে কুনোব্যাঙ। কুনোব্যাঙতো খুব বিশ্রী; কিন্তু এটাকে এত সুন্দর লাগতেছে কেনো? মায়াও লাগতেছে... না ব্যাঙটা রুমেই থাক। বালিশ টেনে এনে মেঝেতেই শুয়ে পড়ি। কোন সময় ঘুমিয়েছি মনে নেই। মোবাইলের রিংটোনের শব্দে ঘুম ভাঙলো। অহনা কল দিছে...

-হ্যালো...

-কী খবর তানিম... অনেক বার রিং দিলাম... কল ধরলি না ক্যান?

- নারে.. গত রাত ঘুমাইছি অনেক লেইটে।

-ক্যান... কী হইছিল? বিড়ালটা ডাকছিল নাকি!

- হ্যাঁ, গতরাতেও ডাক শুনতে পাইছি। তোরে কল দিতে চাইছিলাম; কিন্তু দেইনি।

- এখন বিছানা ছেড়ে ওঠ। বুঝছি তোরে ডাক্তার দেখাতে হবে। ফ্রেশ হয়ে নাস্তা সেরে অফিসে যা। তিনটার দিকে ক্যাম্পাসে আসিস। ডাক্তারের কাছে যাবো।

- ডাক্তার আবার ক্যান?

- কোনো কথা বলবি না। যা বলছি তা করিস... আমি এখন রাখলাম। বাই...

-ওকে.. বাই।

অহনার কথা আমি অমান্য করতে পারি না। অহনারে আমি ভালবাসি। এই কথাটা অনেক বার ওকে বলেছি। বলেছি ওরে বিয়ে করতে চাই। ও গম্ভীর হয়ে বলেছে: নারে তানিম এটা সম্ভব না। সে নাকি কোনো ব্যাচমেটকে বিয়ে করবে না। আর থিসিস শেষে বিদেশ চলে যাবে এমফিল করতে। কতো করে বল্লাম... আয় না আমরা এক সাথে থাকি। দরকার নেই এসব থিসিস মিসিসের- শুধু তুই আর আমি! সে শুনে না। উল্ঠো রাগ করে। বলে দিয়েছে এসব কথা আর যেনো কোনোদিন না বলি।

খুব রাগ উঠতাছে এখন।

যদি একসাথে নাই থাকিস.. আমারে ক্যান ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবি!

দরকার নেই মায়া বাড়ানোর।



(২)

অফিসে কাজ করছি- হঠাৎ বিড়ালটা ডেকে উঠলো। এত স্পষ্ট যে.. মনে হল কানের কাছেই ডেকেছে। রুমে তাকিয়ে দেখলাম-কোনো বিড়াল নেই। উঠে বারান্দায় গেলাম- সেখানেও নেই!

- সজল সাহেব এখন কোনো বিড়ালের ডাক শুনতে পাইছেন?

- নাহ্ .. আমিতো কোনোকিছুর ডাক শুনতে পাই নাই। কেন ভাই ? কী হয়েছে?

- না কিছু না... ওকে কাজ করেন।

আমি চেয়ারে এসে বসলাম। বুঝতেছি সজল অবাক চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।

আড়াইটার দিকে অহনার কল... ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য বলছে। বস কে বলে চলে আসলাম ক্যাম্পাসে। তারপর রিক্সা নিয়ে ডাক্তারের চেম্বার। অহনা আগেই ঠিক করে রেখেছিল। আমরা ডাক্তারের সামনে চেয়ারে বসলাম। ডাক্তারের চেহারা অনেক ফর্সা। বয়স চল্লিশ- বিয়াল্লিশের মতো হবে। উনি চশমার মধ্যদিয়েই তাকান। মনে হয় এখনো চশমার উপর দিয়ে তাকানো শিখেন নি!

-কেমন আছেন তানিম সাহেব? অহনা আপনার কথা বলেছে।

-ভালো

আমি ছোট করে উত্তর দিলাম। বুঝতে পারলাম ডাক্তার অহনার পরিচিত।

- তো.. বলেন আমি আপনার জন্য কী করতে পারি।

আমি আমার সমস্যার কথা সব খুলে বল্লাম।

-কতদিন হলো চাকরি করেন? বাবা মায়ের সাথে থাকেন?

- প্রায় দেড় বছর। মা গত হয়েছেন বছর দুয়েক আগে। বাবা গ্রামে থাকেন। আমি একাই থাকি।

- শুধু ঘুমালেই বিড়ালের ডাক শুনতে পান?

- এতদিন তো ঘুমালেই শুনতাম। আজ অফিসেও মনে হল বিড়ালের ডাক শুনেছি।

- কতদিন থেকে এমন হচ্ছে?

- এই একমাস যাবৎ।

- আচ্ছা.. আপনি বিড়াল পছন্দ করেন?

- আগে করতাম। ছোট থাকতে। আমার একটা বিড়াল ছিল। এখন করি না।

- কেন? এখন পছন্দ করেন না কেন?

- নাহ্..

- বলেন। সব বলেন- আমাকে জানতে হবে তো। বিড়াল নিয়ে কোনো স্মৃতি আছে?

আমি অহনার দিকে তাকালাম। অহনা ও আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমার কেমন জানি লাগছে। অহনা হয়তো আমার অস্বস্তি বুঝতে পারছে। সে উঠে যেতে চাইলো। আমি বসালাম।

- বলেন.. ডাক্তার আবার তাগাদা দিলেন।

- নাহ.. হ্যাঁ.. ছোট থাকতে- মানে আমি যখন ক্লাস সেভেনে পড়ি, আমার একটা বিড়াল ছিল। সাদা বিড়াল। খুব আদর করতাম। সাথে নিয়ে ঘুমাতাম। আমি যখন স্কুলে যেতাম- আমার পিছে পিছে চলে আসতো। আমি সবসময় বিড়ালকে লুকিয়ে স্কুলে যেতাম। একদিন.. সম্ভবত ১৯৯৬ সালের মাঝামাঝি, আমাদের পাশের উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন। আমরা বন্ধুরা মিলে প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে গিয়েছিলাম। বাড়িতে আসতে আসতে রাত হয়ে গিয়েছিল। বলে যাইনি। তো বাড়িতে আসার পর; বাবা আমাকে জিজ্ঞেস করলেন কোথায় গিয়েছিলাম। আমি ভয়ে কিছু বলিনি। বাবাকে খুব ভয় পেতাম। বাবা আমাকে মারার জন্য ধরলেন। তথন মা ছুটে আসলেন আমাকে বাঁচাতে। বাবার হাত থেকে আমাকে ছাড়িয়ে নিয়ে গেলেন। আমি রুমে এসে দরজা বন্ধ করে দিলাম। মা ডাকলেন রাতের খাবার জন্য। আমি দরজা খুলিনি। ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। কোনো এক সময় মায়ের কান্না শুনতে পেলাম। বের হয়ে দেখি- বাবা মাকে মারছেন। আমি দৌড়ে যাই মাকে বাঁচানোর জন্য। বাবা আমাকে চড় দিয়ে দূরে ঠেলে দিলেন। আমাকেও মারতে আসলেন। বাবা মাঝেমধ্যে মাকে মারতেন। কিন্তু ঐ দিন মনে হয়েছিল; বাবা আমার কারণেই মাকে মেরেছেন। আমি রুমে এসে খুব কাঁদলাম। একসময় রাগ উঠে গেলো। আমি আমার বিড়ালটাকে কোলে নিয়ে বাহিরে গেলাম। ছাগল বাঁধার দড়ি ছিল বাহিরে। আমি পেয়ারা গাছের ডালের উপর দিয়ে দড়িটা এনে একপ্রান্তে ফাঁস বানিয়ে বিড়ালের মাথায় ঢুকিয়ে দিয়ে মাটিতে ছেড়ে দিলাম। বিড়ালটা আমার পা ঘেষে হাটতে লাগলো। তাবপর দড়ির অন্য প্রান্ত ধরে একটানে বিড়ালটাকে ঝুলিয়ে দিলাম। সারারাত দড়ি ধরে বসেছিলাম। এরপর থেক বিড়াল আমি পছন্দ করি না।

-ও.. আই সি... আচ্ছা, বিড়ালকে ফাঁসি দিতে আপনার কষ্ট লাগেনি?

- আমি তখন কিছুই বুঝতে পারি নাই। অনেক পরে খারাপ লেগেছে।

-এখন কি কোনো কারণে ঐ দিনের মতো রাগ উঠে।

- আমি মাথা নাড়লাম।

আমার বলতে ইচ্ছে করছে..উঠে.. এখন প্রায়দিনই উঠে। নিজের প্রতি রাগ উঠে। অহনার কথা ভাবলেই এখন নিজের প্রতি রাগ উঠে। জাস্ট অহনা সামনে আছে দেখে এ কথাগুলো বলি নাই।

অমি আড়চোখে অহনার দিকে তাকালাম- দেখি অহনা অবাক হয়ে আমার দিকে চেয়ে আছে।

- ও..কে.. আমি এই ওষুধগুলো লিখে দিচ্ছি। এগুলো নিয়মিত খাবেন। ঘুমের ওষুধ দিয়েছি- আশা করি ঘুম হবে। আর এক সপ্তাহ পর দেখা করতে আসবেন। ও... হ্যাঁ.. আপনি একজন রুমমেট খুঁজে নেন। এ অবস্থায় একা না থাকাই ভালো। সঙ্গী থাকলে ভাল হবে। ডোন্ট ওরি... ওষুধ গুলো খান।

আমরা ডাক্তারের চেম্বার থেকে বেরিয়ে আসলাম। আমি একটা কথাও বলছি না। অহনাই রিক্সা ডাকলো। রিক্সাতে উঠে অহনাই প্রথম কথা বল্লো।

- কী..রে এই কথাগুলো তো আগে আমাকে বলিস নি!

- এগুলো বলার মত কথা হলো! আর এগুলো তো আমার মনেই ছিল না এতদিন।

- দেখেশুনে একজন রুমমেট খুঁজে আন.. দেখলি না ডাক্তার কাকু একা থাকতে নিষেধ করেছেন।

- রুমমেট লাগবে না।

- একটু সিরিয়াস হ.. এটা আমার কথা না - ডাক্তারের কথা।

- রুমমেট কেনো খুঁজবো। তুই চলে আয়!

অহনা শুধু আমার দিকে তাকালো। তারপর কোনো কথা নেই। আমি নিরব- অহনাও।

- আচ্ছা .. তোর কি কোনো কারণে এখন রাগ উঠে? আমার উপর রাগ উঠে?

- না..না তোর প্রতি রাগবো কেনো! আমিতো বুঝি.. তুই তোর ক্যারিয়ার নিয়া চিন্তা করছিস। এ রকম তো সবাই করে। তুই আলাদা না। তোর প্রতি আমার কোনো রাগ নেই।

-হু...

অহনা ছোট্র করে শ্বাস নিলো। ক্যাম্পাসে চলে আসলাম। কিছু সময় বসে চা খেয়ে অহনা কে বিদায় জানিয়ে চলে আসলাম। " ওষুধ গুলো খাইছ্... আর আবার বিড়াল ডাকলে আমায় কল দিস।" রিক্সাতে ওঠার পর অহনা পিছন থেকে কথাগুলো বলেছে।



(৩)

বাসায় এসে দেখি বুয়া এমন খাবার রেঁধেছে- সব অখাদ্য! বুয়াকে চেন্জ করতে হবে। নীচ থেকে পরোটা নিয়ে এসে খেলাম। টিভিতে শ্রীলংকা - অস্ট্রেলিয়া ওয়ানডে ম্যাচ চলছে। ভাল লাগছে না। অহনা রে কল দিতে মন চাচ্ছে। নাহ... কল দিব না। অহনা এখন থিসিস নিয়ে ব্যস্ত। চ্যানেল পাল্টালাম। চ্যানেল ঘোরাতে ঘোরাতে দেখি "অ্যানিমাল প্লানেট" চ্যানেলে বনবিড়ালের জীবনচিত্র দেখাচ্ছে। একটা বনবিড়াল হাঁটছে.. আর ক্যামেরা বিড়ালের পিছে পিছে ঘুরছে। এক শেতাঙ্গ কিছু সময় পরপর দাঁতগুলো বের করে ধারাভাষ্য দিচ্ছে। এরা পারেও বটে! লাইট- টিভির সুইচ অফ করে শুয়ে পড়লাম। চোখে ঘুম নেমেছে.. এমন সময় মনে হলো বিড়াল ডাকছে। আগের চেয়ে তীক্ষ্ণ ডাক। মনে হচ্ছে খাটের নীচে যেনো ডাকছে। খাটের নীচে বিড়ালের হালকা নড়ার শব্দও শুনতে পেলাম। চুপি চুপি উঠে টর্চ হাতে নিয়ে মেঝেতে বসে টর্চলাইট জ্বালালাম। দেখি কুনোব্যাঙটা এখনও বসে আছে। ক্রুড়....ড়..ড় শব্দ করছে আর অবাক চোখে তাকিয়ে আছে বামদিকে। আমি লাইট বামে ঘুরালাম। দেখি একটা বিড়াল- সাদা বিড়াল; লেজ মেঝেতে ঠেকিয়ে ব্যাঙ এর দিকে তাকিয়ে আছে। আমি হেইত.. হেইত.. শব্দ করলাম। বিড়ালের গায়েই লাগে না। থাবা তুলছে... ব্যাঙটাকে কেমন অসহায় লাগছে। না ব্যাঙটাকে বাঁচাতে হবে। আমি দৌড়ে গিয়ে ঝাড়ু নিয়ে আসলাম। ঝাড়ু দিয়ে খোঁচা দিচ্ছি.. বিড়াল নড়ে না। থাবা উদ্ধত। আবার খোঁচা দিলাম। ও.মা এখন দুইটা বিড়াল। আমি যতই খোঁচাই.. বিড়াল বাড়তে থাকে। আমার চারপাশে বিড়াল। সাদা বিড়াল- সারারুম জুড়ে বিড়াল! আমার অহনার কথা মনে পড়ছে.. একটা কল! শুধু একটা কল দেব.। আমি বিড়ালের মধ্য দিয়ে পথ খুঁজতেছি। একটা সরালে অনেকটা আসে। আমি পারছি না। মোবাইলটা অনেক দূর লাগছে.... অনেক দূর... শুধু বিড়াল আর বিড়াল!



অনিরুদ্ধ আনজির

১০/০৯/২০১৩

সিলেট।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

মুজাহিদুর রহমান বলেছেন: অহনার কথা আমি অমান্য করতে পারি না। অহনারে আমি ভালবাসি। এই কথাটা অনেক বার ওকে বলেছি। বলেছি ওরে বিয়ে করতে চাই। ও গম্ভীর হয়ে বলেছে: নারে তানিম এটা সম্ভব না। সে নাকি কোনো ব্যাচমেটকে বিয়ে করবে না। আর থিসিস শেষে বিদেশ চলে যাবে এমফিল করতে। কতো করে বল্লাম... আয় না আমরা এক সাথে থাকি। দরকার নেই এসব থিসিস মিসিসের- শুধু তুই আর আমি! সে শুনে না। উল্ঠো রাগ করে। বলে দিয়েছে এসব কথা আর যেনো কোনোদিন না বলি।

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৯

মুজাহিদুর রহমান বলেছেন: same to me

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯

আনজির বলেছেন: ঘটনা গুলো... আসলে... একভাবেই ঘটে.... কিন্তু রং ভিন্ন। ভাল থাকুন সবসময়।

৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: সিম্পল প্লটের গতানুগতিক গল্প।

৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: সিম্পল প্লটের গতানুগতিক গল্প।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪০

আনজির বলেছেন: হাসান ভাই ... শুধু শরু করেছি.... দোয়া করবেন... আস্তে আস্তে ব্যতিক্রম কিছু করবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.