নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একা একা থাকতেই ভালবাসি- "ভালবাসি" কথাটা হয়ত ঠিক না... একা থাকতে থাকতে এমন হয়ে গ্যাছে। আমি সহজে কারো সাথে মিশতে পারি না। একবার মিশলে তাকে সহজে ছাড়তে পারি না। হয় বরাবর কথা বলি... নয়তো একেবারেই বলি না। আমার একটা কথাও যদি ভাল লাগে আপনার... এতেই নিজেকে ধন্

আনজির

আমি একা একা থাকতেই ভালবাসি- "ভালবাসি" কথাটা হয়ত ঠিক না... একা থাকতে থাকতে এমন হয়ে গ্যাছে। আমি সহজে কারো সাথে মিশতে পারি না। একবার মিশলে তাকে সহজে ছাড়তে পারি না। হয় বরাবর কথা বলি... নয়তো একেবারেই বলি না। আমার একটা কথাও যদি ভাল লাগে আপনার... এতেই নিজেকে ধন্য মনে করবো!! .....রুদ্ধ নয় মুক্ত থাকব.....

আনজির › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও বাংলাদেশ

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩০

আমরা অনেক দিন আগে থেকেই জানি, মুহম্মদ জাফর ইকবাল জঙ্গী অর্থাৎ ইসলামী চরমপন্থীদের হিট লিস্টের প্রথম সারিতে। তাঁর নিরাপত্তার জন্য প্রশাসন সার্বক্ষণিক পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু যে কয়জন পুলিশের সদস্য নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত ছিল- তারা কি আদৌ জাফর ইকবালের মতো একজন ব্যক্তির নিরাপত্তা দেওয়ার মতো চৌকস ছিল? তারা কি আসলেই তাদের ডিউটি নিয়ে সজাগ ছিল? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আমরা জানি। আর সেটা হলো ‘না’। বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত ছবি দেখলেই বুঝতে পারবেন।






যে কুলাঙ্গার হামলা করেছে সে জাফর ইকবালের পেছনেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে ছিল অনেক্ষণ এবং সেখান থেকেই হামলা চালিয়েছে।তো প্রশ্ন হলো ভার্সিটির একটি অনুষ্ঠানে বাহিরের কোন লোক মঞ্চে উঠে কিভাবে? আয়োজকরা কী সারের নিরাপত্তার বিষয়টা ভুলে গিয়েছিলেন! না- এখানেও ঘাঁপলা আছে?



আসলে আজকের বাংলাদেশে আমরা নৈতিকতা বর্জিত মানুষ। আমরা দায়সারা। হোক কর্তা ব্যক্তি আর হোক সাধারণ জনগন। আমরা গা বাঁচিয়ে চলি। আমরা শুধু নিজের নাম জপছি। আমরা ভুলে যাই আমাদের দায়িত্ব। ঘুষ, দূর্নীতি আর উগ্রতা আমাদের মনে আসন পেতে আছে। আমরা অল্পতেই কাত্ হয়ে যাই মানে ভুলে যাই মানুষ হিসেবে আমাদের কর্তব্য।

মুহম্মদ জাফর ইকবাল একটি নাম- একজন মানুষ: যে এই পঁচা সময়েও মানুষকে জাগাতে কলম ধরেন- কথা বলেন। অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন। সবচেয়ে বড় কথা তিনি এখনও এই বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখান। তিনি দেশদ্রোহী রাজাকারদের বিরুদ্ধে কথা বলেন। এটাই তাঁর অপরাধ। আর কিছু না। জাফর ইকবাল তো কোনদিন ইসলাম কেন- কোন ধর্মকেই আক্রমণ করেননি! তবু্ও তিনি ”শত্রু”! জাফর ইকবাল কাদের শত্রু আমরা জানি। তিনি অন্যায়কারীর শত্রু। তিনি রাজাকার ও তাদের পতাকাবাহী চরমপন্থীদের শত্রু।



জাফর ইকবাল স্যার হলেন স্বপ্নদ্রষ্টা। তিনি হলেন এই ঘুণেধরা সমাজে চন্দন কাঠের মতো। তিনি মঙ্গলের সুবাস ছড়ান। তাঁকে কীটতুল্য মানুষের ভাল লাগবে কেন!



ব্লগাররা না হয় কিছুই না। এদের কোপে কোপে মারা যায়। ব্লগার হত্যার কোন বিচার নাই এই বাংলাদেশে। এদের হত্যাকারীদের ধরা দরকার নাই! তারা দেশ ছেড়ে চলে যাক! দেশের কিছুই হবে না! কিন্তু জেনে রাখবেন এই জাফর ইকবালের মতো মানুষ না থাকলে দেশে একটা বিষাক্ত প্রজন্ম জন্ম নিবে। আর এ দেশকে বিষে বিষে নীল করবে।

স্যারের উপর হামলা কোন বিছিন্ন বা ব্যক্তি প্রচেষ্টায় হামলা নয়। এটা সুপরিকল্পিত এবং শক্ত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংঘটিত। এই নেটওয়ার্কের মূল উৎপাটন করা হোক। আমরা জানি সরকার- প্রশাসন এই ব্যপারে আন্তরিক থাকলে এই নেটওয়ার্ক ভাঙ্গা সম্ভব। দেশের ভবিষ্যৎ-এর কথা বিবেচনা করেই এই কাজটা করতে হবে।



আমরা মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপর হামলাকারীদের বিচার চাই।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:০৫

রাফা বলেছেন: কঠিন বিচার চাই।

২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৪০

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দরকার।

৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৫৫

জহির ডিজিপি বলেছেন: আসলেই শক্তনেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে এই হামলা হয়েছে

অপরাধীদের খোজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।।।

৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:২৪

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন:
কোনও একটা নেটওয়ার্ক অশুভ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এদের সনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন। নচেৎ আরও বড় সহিংসতার ঘটনা ঘটতে পারে।

৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৩১

আবু তালেব শেখ বলেছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তো বললেন নিরাপত্তার কোন ঘাটতি ছিলো না।
তাহলে এই ঘাতক স্টেজে স্হান পায় কি করে

৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮

শামছুল ইসলাম বলেছেন: সুষ্ঠু এবং কঠোর বিচার চাই ।

৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪

বারিধারা ২ বলেছেন: ‘ আর কতদিন এই ভাঙা রেকর্ড ? ‘ শিরোনামের ঐ লেখাটিতে তিনি এক জায়গায় লিখেছেন ,

“ এখানে একটা কৌতূহলের বিষয় বলা যায়। আমি জানতে পেরেছি বেশ কিছুদিন আগে একটা সরকারি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, যেখানে বিজি প্রেসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহায় সম্পত্তির খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছিল। বিজি প্রেস হচ্ছে সেই প্রেস যেখানে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ইত্যাদি গোপন কাগজপত্র ছাপানো হয়। এই প্রেসের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহায় সম্পত্তি বা ব্যাংক ব্যালেন্সের খোঁজখবর নেওয়ার উদ্দেশ্য খুবই সহজ, কেউ হঠাৎ করে তাড়াতাড়ি বড় লোক হয়ে যাচ্ছে কী-না, হঠাৎ করে কেউ আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যাচ্ছে কী-না সেটি খুঁজে বের করা। যদি এ রকম কিছু দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে ‘ডালমে কুছ কালা হায়।’তবে সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে এই অত্যন্ত সময়োপযোগী প্রয়োজনীয় তদন্তটি হঠাৎ করে ‘ওপরের’ আদেশে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কাজেই বিজি প্রেসের কোনও কর্মকর্তা-কর্মচারী অসৎ উপায়ে বড়লোক হতে শুরু করেছে কী-না সেটি জানার আর কোনও উপায় থাকল না। আমি যেটা জানতে পেরেছি তার মাঝে কতটুকু সত্যতা আছে জানা দরকার। কারণ এটি যদি সত্যি হয় তাহলে আমাদের ভয় পাওয়ার অনেক কারণ আছে। ‘ওপরের’ আদেশটি কত ওপর থেকে এসেছে আমি সেটাও জানতে খুবই আগ্রহী। “
বেশি আগ্রহ থাকা ভাল নয় - বিপদে পড়তে হয়।

৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮

আনজির বলেছেন: আপনি কোন উদ্দেশ্যে উনার লেখার কোটেশন দিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন জানি না।

উনার উপর আক্রমণের কারণ এই লেখা নয়- এটা হামলাকারীও বলেছে এবং বাংলাদেশের মানুষ জানে কারা জাফর ইকবালকে মারতে চায়।

ঘটনা অন্যখাতে প্রবাহিত করে অপরাধীচক্রকে আড়াল করা যাবে না

ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা না করাই ভালো।

৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: দানবের জন্য গুটি কয়েক কুলাঙ্গার বামাতির মায়াকান্না দেখে লজ্জা লাগে...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.