নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিবিসির " ইন্ডিয়া অ্যারেস্টস হান্ড্রেড অভার বিহার স্কুল চিটিং'' শিরোনামটি দেখে অবাক হয়ে পড়া শুরু করলাম। প্রতিবেদনটা পড়ে বিস্মিত হলাম।
এর সারমর্ম হল: বিহারে স্কুলের পরীক্ষায় নকল করার দায়ে ৩০০ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের অনেকেই অভিভাবক। দেশের স্কুল সমাপনী পরীক্ষায় প্রচুর শিক্ষাথী নকল করে থাকে। তারা পরীক্ষা হলে অনেকটা বুক ফুলিয়ে নকল করেন। হল কেন্দ্রের বাইরে যে পুলিশ প্রহরায় থাকে তাদের ঘুষ দিয়ে অন্যত্র পাঠানো হযে থাকে।
স্কুলের দেয়াল বেয়ে শিক্ষাথীদের অভিভাবক এবং বন্ধুদের নকল সরবরাহের ছবি বিবিসি প্রকাশ করে।
বাংলাদেশের অতীত চিত্রটা মনে পড়ে গেল। একসময় আমাদের দেশে নকলের মহোৎসব দেখা দিত। তবে সরকারগুলাে এ ব্যাপারে জিরাে টলারেন্স নীতি গ্রহণ করায় নকলের হার একেবারেই কমে গেছে।নেই বললেই চলে।
আমার তো মনে হয় আমাদের দেশের ছাত্রচাত্রীরা পরীক্ষার হলে নকল করাকে ঘুণাই করনে। সারাদেশের সবখানে এই মেসেজটা পেৌছে গেছে যে নকল একটি গর্হিত কাজ, এটি অন্যায়।
পাবলিক পরীক্ষায় নকল না করলে কি হবে, অনেককে দেখি ব্যক্তি জীবনে নকল করেন। বিশেষ করে যারা লেখালেখি করেন। প্রায়ই দেখি অনেক লেখক অন্যের লেখা পুরোপুরি কপি করে নিজের নামেই চালিয়ে দেন।
এটা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় সংবাদপত্রে। একই রিপোর্ট হুবুহু ছাপতে দেখা যায় বিভিন্ন পত্রিকায়।
আমার মনে হয় অন্যের সম্পদ চুরি করা যেমন অন্যায়, তেমনি অন্যের লেখা চুরি করাটা আরো বেশি অন্যায়...
©somewhere in net ltd.