নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনিচ্ছুক নাম প্রকাশে

আমি অতি সাধারণ মানুষ। সাতে পাঁচে নাই...খাই দাই ঘুমাই। লিখতে চেষ্টা করি। লেখা আমাকে ধরা দেয় না

অনিচ্ছুক নাম প্রকাশে › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুপারি থেকে সাবধান

২২ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৩৩


তাইওয়ান সরকার একটি গাছ কেটে ফেলতে রীতিমত ভর্তুকি দিচ্ছে। গাছটি হল সুপারি গাছ। সুপারি গাছ কেটে ফেলার জন্য নাগরিকদের নানা ধরণের প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এর বদলে অন্য কিছু আবাদের জন্য সরকার জোর প্রচারণা চালাচ্ছে। তাহলে কি ইউক্যালিপটাস গাছের মত পরিবেশের জন্য হুমকির কারণ সুপারি গাছ?
আসলে বিষয়টা তা না। সুপারি যে মৃত্যুর আরেক নাম। প্রতিবছর মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে দেশটি সারাবিশ্বে প্রথম তিনটি দেশের মধ্যে থাকে। সে দেশের বেশির ভাগ নাগরিকই তা জানে না। এতে ভীষণ চিন্তিত সরকার। তাইওয়ানিজ চিয়ইংগাম নামে পরিচিত এই সুপারি উৎখাতকে তাই রীতিমত চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয়া হয়েছে।
যে সুপারি থেকে মুখে ক্যানসার হতে পারে সেই সুপারিতেই সারাবিশ্বের দশভাগের এক ভাগ মানুষ আসক্ত। ছয় কাপ কফি সেবনে যে আনন্দ সুপারি চিবিয়ে সমান আনন্দ পান ভোক্তা। অনেক জায়গায় একে ভালবাসা, বিবাহ, হজম ও পুরুষত্বহীনতার জন্য ভাল বলে মনে করা হয়। অথচ তারা জানেই না এই সুপারিই কিনা সারাবিশ্বের হাজার হাজার মানুষকে অতি দ্রুত কবরে শোয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।
মোটামুটি এশিয়াজুড়েই সুপারি গাছ দেখা যায়। নিজেকে উজ্জীবিত ও সতেজ রাখতে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের নারী- পুরুষরা সুপারি চিবান। যারা দীর্ঘক্ষণ কাজ করেন অর্থাৎ গাড়ি চালানো, মাছ ধরা ও নির্মাণ কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের ধারণা এটি চিবুলে বেশি পরিশ্রম করা যায়। নিকোটিন, অ্যালেকাহল ও ক্যাফেনইনের পাশাপাশি একে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় মনপরিবর্তনকারী উপাদান।
তাইওয়ানের মত থাইল্যান্ড এবং ভারত সরকার চেষ্টা করছে এ বিষয়ে জন সচেতনতা তৈরি করতে। কিন্তু দেশ দুটির নাগরকিদের মধ্যে এ নিয়ে তেমন ভাবান্তর দেখা যায় না।

আমাদের দেশের বিপুল পরিমাণ মানুষের মধ্যে সুপারি চিবুনের প্রবণতা দেখা যায়। রাস্তার মোড়ে মােড়ে বিক্রি করতে দেখা যায় বাহারি জর্দা মিশ্রিত পান। আট দশ রকমের জর্দা মিশিয়ে সিগারেটে সুখটান মারতে দেখা যায় অহরহ। অথচ তারা জানেই না কি ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে তাদের সামনে। দুই চার বছরে সুপারিরর প্রভাব্ না দেখা গেলে কি হবে দীর্ঘদিন সুপারি ব্যবহার ঠিকই ক্যান্সার ডেকে আনছে।
তামাকপাতা, জর্দা এবং ধূমপানের বিরুদ্ধে কমবেশি একটা জনসচেতনতা তৈরি হয়েছে। সময় এসেছে সুপারির বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির।

তথ্যসূত্র: বিবিসি এবং উইকিপিডিয়া

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

আওণ বলেছেন: আমাদের মুরুব্বিদের তো দেখি আজীবন এটা খাচ্ছেন।
জান দিবে তাও এটা তারা ছাড়বেন না।
১০০ গ্যারান্টেড।

২| ২২ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৪৯

অনিচ্ছুক নাম প্রকাশে বলেছেন: কি বলব ভাই, আমার আম্মাতো সারাদিনই খাচ্ছেন। বিষয়টি জানালে পান -সুপারি ছেড়ে দেবেন বল মনে হয় না।

৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:০৫

আবু জাকারিয়া বলেছেন: অবাক হয়ে গেলাম, সুপারিও তাহলে ক্ষতিকির!

২২ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫৩

অনিচ্ছুক নাম প্রকাশে বলেছেন: রিপোর্টটা বিবিসিতে পড়ে তাই বেশ অবাক হলাম

৪| ২২ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:১৪

মাটিরময়না বলেছেন: অনেক বাঙালি ভাত না খেয়ে কয়েক বেলা কাটিয়ে দিতে পারবে অনায়েসে কিন্তু পান সুপারি ছাড়া পারবে না। অথচ কী মারাত্মক ক্ষতিকর এই সুপারি।

২২ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫২

অনিচ্ছুক নাম প্রকাশে বলেছেন: তাইতো দেখছি...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.