নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অভিজ্ঞতা কম, এই ধরনের নিউজ যে এতো কার্যকরী তা টিটু এতোক্ষণে বুঝতে পারলো। চাকরিটা এখনো পার্মানেন্ট হয় নি তিন মাস সময় দিয়েছে এর মধ্য নিজেকে যোগ্য রিপোর্টার হিসাবে প্রমান না করতে পারলে চাকরি থাকবে না।
পরদিন খুব ভোরে উঠলো টিটু, রামিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজে যেতে হবে তাকে। প্রত্যেকটা ছোট বড় নিউজ সংগ্রহ করতে হবে। টিটু ওখানে পৌছানোর অাগেই অান্দলন শুরু হয়ে গেছে, সবাই ছাত্র। দুর থেকে দেখে মনে হয় ক্ষেপে অাছে সবাই তাই ভিড়ের ভিতর যেতে সাহস পেলনা সে। দুরে দাড়িয়ে থাকা একদল অসহায় পুলিশ! এক পা দু পা করে তাদের কাছে গেল টিটু, মোটা করে লোকটার ঘাড়ে দুইটা স্টার পুলিশের দারোগা তাকে বেশ চিন্তিত মনে হচ্ছে।
ওয়াকিটকিতে কি যেন বিড়বিড় করছে অার মাঝে মাঝে জ্বী স্যার জ্বী স্যার বলছে, তার জ্বী স্যার বলার সাথে পেটের ভুড়িটাও কেঁপে উঠছে। হাবভাব দেখে মনে হয় প্রস্তুত হয়ে এসেছে, নেহাত ছাত্ররা অান্দলন করছে তাই ঘাপটি মেরে অাছে সাধারণ পাবলিক হলে এতোক্ষণ ধুয়ে মুছে সাব করে দিত।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে অান্দলনও বড় হচ্ছে।
এখনই গাড়ি ভাংচুর হবে, এটা এদেশের প্রথা নয়তো অান্দলন জমে না।
টিটু ক্যামেরা হতে রেডি সুযোগ বুঝে বুঝে ফটো তুলতে হবে। এর মধ্যে কয়েকটি ফটো তুলেছে সে।
ছোট ছেলে মেয়েদের এতো বড় অান্দলন এটা নিয়ে দেশে হৈ চৈ পড়ে গেছে। ইতমধ্যে টিটুর মোবাইলে ফোন এসেছে, মোটা একটা কন্ঠস্বর অল্প সময়ের মধ্যে কিছু কথা বলে ফোনটা কেটে দিল টিটুও সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে প্রস্থান করলো।
ধানমন্ডি যেতে হবে তাকে গাড়িও চলছে না, ছাত্রদের ভয়ে বাস মালিকরা রিক্স নিচ্ছে না কিন্তু টিটুকে যে যেতেই হবে এই রিপোর্ট টা জমা দিতে না পারলে অফিসে গালমন্দ শুনতে হবে।
ওখানে নাকি প্রচুর মারধোর হচ্ছে।
প্রায় দু ঘন্টা পর টিটু সেখানে পৌছাল। হটাৎ মনে পড়লো তার ছোট বোন এখানকার একটা স্কুলে পড়ে, সেও হয়তো এসেছে।
তাড়াতাড়ি বাসায় ফোন দিল টিটু, বাসায় নেই নিশ্চয় এসেছে!
কোথায় খুজবে কি করবে কিছুই মাথায় অাসছে না। পরিস্থিতিও ভাল না যে কোন সময়ে অঘটন ঘটতে পারে।
এখন রাত দশ টা শহর নীরব, যে যার মত বাসায় ফিরেছে কিছু গাড়িও চলছে। টিটু ছোটাছুটি করছে শহর জুড়ে। কয়েকটি হাসপাতালও খোজ নিয়েছে কোথাও রীনাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। নিজের ছোট বোন নিখোজ সহ দেশের পরিস্থিতির একটা রিপোর্ট অফিসে জমা দিয়েছে।
পরদিন সকালে এমন কোনন নিউজ পত্রিকায় ছাপা হয়নি। টিটু চাকরি ছেড়ে দিয়েছে, পাগলের মত খুজে চলেছে রীনাকে।
হয়তো পাবে এই অাশায়।
.......(ছোটগল্প)......
২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: কিছু বুঝলাম না।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১০
হাবিবুর অন্তনীল বলেছেন: অাপনার জন্য সমবেদনা জানাই
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:২৪
ইব্রাহীম আই কে বলেছেন: যেই ছবিটা দিয়েছেন এমন একটা গুহায় পরে গেলেতো কখনো খুঁজে পাবেনা, খুঁজে না পাওয়াটাই তখন স্বাভাবিক!