নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আনোয়ার

অনুফিল

অনুফিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

নববর্ষে আশার আলো

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৫

ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র দিয়ে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুখবর!

(স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের বিদ্যমান ভর্তি পরীক্ষার পরিবর্তে এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে ভর্তি করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গতকাল বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ নিদের্শনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠানো হয়েছে বলে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
ওই কর্মকর্তা জানান, মন্ত্রণালয় মনে করে, বর্তমান ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের যেমন অর্থের খরচ হয়, তেমনি নানা ধরনের হয়রানিও হয়। এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে এটি করা গেলে শিক্ষাবর্ষ (সেশন) দ্রুত শুরু করা সম্ভব হবে।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান,যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেদের আইনে চলে,তাই তাদের ওপর কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া যায় না। এজন্য তাদেরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সূত্র: Click This Link )

ইতোমধ্যে সফলভাবে শেষ হল প্রশ্ন ফাঁসের জাতীয় বছর ২০১৪। বছরজুড়ে পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রতিবেদন উপস্থাপন করতে গেলে বিশাল আমলনামা হয়ে দাঁড়াবে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী থেকে শুরু করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত স্নাতক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। এমনকি বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে এ সময়ের মধ্যে। শুধু পাবলিক পরীক্ষা আর ভর্তি পরীক্ষাই নয়, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নও ফাঁস হয়েছে। ফাঁস হওয়া এ সব প্রশ্ন ফেসবুকের বিভিন্ন আইডিতে পাওয়া যায়। গত বছরও প্রশ্ন ফাঁসের যেন মহোৎসব ঘটে ছিল দেশজুড়ে।

সরকারি নথিপত্র অনুযায়ী ১৯৭৯ সালে প্রথম এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়। সে সময় থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত গত ৩৫ বছরে সরকারি-বেসরকারি তথ্য অনুযায়ী অন্তত শতাধিক প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে।

২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ পর্যন্ত বিসিএসের সবক’টিতে (২৯তম থেকে ৩৪তম বিসিএস পর্যন্ত), গোয়েন্দা কর্মকর্তা, সমাজসেবা কর্মকর্তা, খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক নিয়োগ, অডিট, এনবিআর, সহকারী প্রাথমিক এটিইও, মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা, জেএসসি পরীক্ষা, এসএসসি, এইচএসসি, সোনালী, অগ্রণী, জনতা ও রূপালী ব্যাংক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাসহ অন্তত ৩০টির অধিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে।

শিক্ষাজীবনের প্রথম স্তর থেকে ক্যারিয়ার গঠন পর্যন্ত যাবতীয় পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হতে আমাদের আর চিন্তা কী? খালি পরীক্ষা দেব আর পাশ করব। সরকার বলবে, ‘বিগত সরকারের আমলে এদেশে শি্ক্ষার হার ছিল লজ্জাজনক, আমরা শিক্ষার মান বাড়িয়েছি -আমারাই শিক্ষার হার বাড়িয়েছি।’

অতএব, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ না পেলে যারা লেখা-পড়া ছাড়ার পরিকল্পনা করেছেন তারা এবার নিশ্চিন্তে থাকুন, সময়মত প্রশ্ন পেয়ে যাবেন। শিক্ষামন্ত্রী (নাহিদ) তো বলেই দিয়েছিলেন -ওটা (প্রশ্ন) ফাঁস নয়, সাজেশন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:০১

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: আহা! আসলেই সুখবর! ছেলেপেলে এখন নিশ্চিন্তে পড়ালেখা বাদ দিয়ে দুনিয়ার সব আকাম কুকামে মনোযোগ দিতে পারবে।

হ্যাপ্পি নিউ ইয়ার !:#P !:#P !:#P

২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৭

অনুফিল বলেছেন: সিদ্ধান্তটি স্থগিত করা হল

http://www.ittefaq.com.bd/national/2015/01/01/10600.html

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.