নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কেবল পরীক্ষা আসলেই আমি যথার্থ দার্শনিক হয়ে যাই। সারা বছর ভাবি, ‘কেন পরীক্ষার আগের রাত ছাড়া পড়ালেখা হয় না?” আর পরীক্ষার আগের রাতে পড়ার সময় অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে ভাবি, ‘এক রাতে কি এত কিছু পড়া যায়?’’ প্রশ্নটি অবান্তর। একরাতে অনেক কিছু পড়া যায়, শেখা যায় না। তবে, অল্প হলেও শেখা যায় ভেবে যেই না পড়তে বসলাম অমনি প্রশ্ন জাগল, কাল পরীক্ষা হবে? -অবরোধ প্রত্যাহার হলে হবে। অবরোধ কি প্রত্যাহার হবে? - আর্থিক নিশ্চয়তা পেলে হবে। আর্থিক নিশ্চয়তা কি পাবে? -সরকার দিলে পাবে। সরকার কি দিতে পারবে? -জনগণকে ধোকা দিতে পারলে পারবে। জনগণকে কি ধোঁকা দেওয়া যাবে? -বোকা হলে দেওয়া যাবে। জনগণ কি বোকা? -....??? এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাবে না, আমিও তো জনগণ!
বাহ্, অনেক প্রশ্নের উত্তর তো জানি! তাহলে, পরীক্ষা কোন ব্যাপার না। খালি কাগজ নেব আর লিখব। কিন্তু কী লিখব? পরীক্ষার খাতা তো ফেইসবুক ওয়াল না! বড় চিন্তার বিষয়! এসব চিন্তা-ভাবনার ঝামেলায় পড়ালেখা করা যায়? তাছাড়া, শীতের রাতে বড়জোর লেপের নিচে ফেইসবুকিং করা যায়, পড়ালেখা করা যায় না।¬¬ পড়ালেখা করা গেলেও দেশের যা অবস্থা, পরীক্ষা দেওয়া যাবে না। কারণ, পরীক্ষার চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশী। শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরত্ব মাত্র ২২ কিলোমিটার হলেও পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় হরতাল সমর্থকদের পারফরমেন্সের কারণে যদি আমি আমার না থাকি?
©somewhere in net ltd.