নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যেসব ঘটনা মনে দাগকাটে টুকে রাখি। জানি, বেশীর ভাগ লেখাই অখাদ্য হয়; তারপরও লিখি, ভালোলাগে। তবে ইদানিং একটু সংকোচে থাকি, মনে হয়; কখন কি বলি, আর কার কোন অনুভূতিতে গিয়ে আঘাত লাগে!

অনুভব সাহা

যদি দেশের ভালো চান, ভেদাভেদ ভুলে যান। মনটা করি পবিত্র, গড়তে মোদের চরিত্র। চাঁদাবাজী, সন্ত্রাস করে দেশের সর্বনাশ। ক্যাডার চাইনা মানুষ গড়ো, দলের চেয়ে দেশ বড়। সবার জন্য অধিকার, শিক্ষা স্বাস্থ্য সুবিচার। দূষণমুক্ত পরিবেশ, সুস্থ মানুষ সবুজ দেশ।

অনুভব সাহা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা কি দিন দিন অসহিষ্ণু জাতীতে পরিণত হচ্ছি?

২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৭

৩১.০৫.১৯; টিকিট কেটে বাসে উঠলাম। প্রচন্ড গরমের সাথে ধুলোর দৌরাত্ব বাদ দিলে সব কিছু ঠিকঠাকই ছিল। বসে থাকতে থাকতে ঝিমুনি আসছিল। হঠ্যাৎ বিকট এক শব্দে বাস থেমে গেল। বাসে তো তুমুল হৈ চৈ। এক ট্রলি বাসের পেছনে ধাক্কা দিয়েছে, বাস থামলেও ট্রলি পালিয়েছে। এখন সবাই মিলে ট্রলি চালকের গুষ্ঠি উদ্ধার করছে। চার লেনের রাস্তায়(নির্মাণকাজ এখনো শেষ হয় নি) ধাক্কাধাক্কির ব্যাপার কেন ঘটলো? ভেবে পেলাম না। যা হোক, বড় কোন অঘটন না হওয়ায় একটু পরে বাস আবার চলতে শুরু করলো।

এর মধ্যে বাসের কন্ডাক্টর টিকিট চেক করলো। একদম পেছনের সিটে ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হচ্ছে। সবাই ভাড়া দিলেও এক লোক দিচ্ছে না, তার কথা শেষ স্টপেজে গিয়ে টাকা দিবে, এখন দিবে না। এদিকে কন্ডাক্টর নাছোড়বান্দা, সে এখনই টাকা নিবে। তর্কের এক পর্যায়ে কন্ডাক্টর ওই লোকটার গায়ে হাত তুললো। যাত্রীদের অনেকে এখন লোকটার প্রতি সমব্যথী। একজন বললো, "ভাড়া না পেলে বাস থেকে নামিয়ে দিবে, গায়ে হাত তোলা কেন!" এদিকে লোকটা ফোন করে ওদের লোকজনকে মোড়ে আসতে বললো, হেল্পার-ড্রাইভারকে ওরা দেখে নেবে। আমার স্টপেজ আগে থাকায় নেমে গেলাম। শেষে কি হয়েছিল জানা হয় নি। তবে এটা বুঝেছি, কিছু লোক আছে এরা হেনতেন ছুতোয় গায়ে পড়ে ঝগড়া করে/জল ঘোলা করে খেতে পছন্দ করে।


চিন্তার বিষয় হল, আমরা ছোটখাট ব্যাপারে দলগত অপরাধের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছি।
¢¢ লাখাইয়ে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিহত ১, আহত অর্ধশত
¢¢ মিঠামইনে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিহত ১
¢¢ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গরুর ঘাস খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বৃদ্ধ নিহত
¢¢ গরুর মাংসে হাড় বেশি দেওয়ায় সংঘর্ষ, আহত ২০
কিংবা চোর/ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে মারা। আরও একটি ভয়ের ব্যাপার হল সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ম অবমাননার অযুহাত তুলে সহিংস কর্মকান্ড। রামু, নাসিরনগর বা ভোলার ঘটনাগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় কতটা অসহিষ্ণু আমরা!


।। ‘আসুন জানালা মেরামত করি’
।। মোঃ আব্দুর রাজ্জাকভাঙ্গা জানালা তত্ত্বে সমাজের ছোট-বড় অপরাধ
।। শান্তি সূচকে অবনতি বাংলাদেশের

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: এটা তো প্রতিদিনকার চিত্র।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৬

অনুভব সাহা বলেছেন: যেকোন সমাজের ছোট্ট অব্যবস্থা ও অভদ্রতা ক্রমে বিশাল অপরাধের জন্ম দেয়। সমস্যাটা এখানেই

২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কিছু লোক আছে সব সময় ত্যাড়ামি করে। আরে বাসের কন্ডাক্টর এর শিক্ষা এক লেভেলের, আর যাত্রীর শিক্ষা আরেক লেভেলের। সে টাকা চাইলে দিয়ে দিলেই তো হয়। না, তেনারা বার বারই বলবেন, পরে দিব, পরে দিব। কিছু শিক্ষার্থী(মনের দিক দিয়ে অশিক্ষিত) ৫/১০ টাকার হাফ ভাড়া নিয়ে কন্ডাক্টরের সাথে ঝগড়া করে। এই জাতি আসলেই অসহিষ্ণু...

২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৪

অনুভব সাহা বলেছেন: সেটা ঠিক। কিছু লোক আসলেই বদ।

৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৪২

মোঃ ফখরুল ইসলাম ফখরুল বলেছেন: অসহিষ্ণু জাতী B-))

৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩১

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: বাসে প্রতিদিন এমন ঘটনা ঘটেই।কন্ট্রাক্টারের / হেল্পারের আচরণ খুবই খারাপ আর কিছু যাত্রী আছে আসলেই ত্যাড়া।
আগে যখন ভি আই পি তে যাতায়াত করতাম তখন খুব আরামে ছিলাম। ভাড়া নিয়ে ক্যাচাল চুল না। এমন দিন গেছে ১০ জন যাত্রী নিয়ে উত্তরা থেকে নিউমার্কেট এসেছি কোনো ক্যাচাল ছিল না। এখন সব বাসে একই সমস্যা। কি যাত্রী আর কি হেলপার। ক্যাচাল হবেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.