নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আন্‌ওয়ার এম হুসাইন। বাংলাদেশী লেখক। দৈনিক আমাদের সময়, দৈনিক বাংলা ও কিশোর বাংলায় গল্প লিখি।

আনু মোল্লাহ

আন্‌ওয়ার এম হুসাইন এর ব্লগ

আনু মোল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নির্বাচনে জেতার সহজ উপায়

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:১২

অনেকেই মনে করে থাকেন টাকা থাকলেই নির্বাচনে জেতা যায়। আসলে তা কিন্তু নয়। শুধুমাত্র টাকা দিয়ে কখনো নির্বাচনে জেতা যায় না। টাকা দিয়ে নির্বাচনে জেতা অনেক পুরনো ধ্যান-ধারনা। আর আজকালকার জামানায় যারা নির্বাচন করেন তাঁদের সকলেরই বিশদ পরিমানে টাকা পয়সা থাকে। টাকা পয়সা উনাদের হাতের ময়লা না শুধু, তাঁরা হাত ঝাড়া দিলে পুরো এভারেস্ট দাঁড়িয়ে যায়। টাকার খেলায় যদি সবাই সেয়ানে সেয়ানে হয় তাহলে তো আপনাকে অন্য পথে যেতেই হবে। যদি লক্ষ্য থাকে অটুট তবে আপনি জিতবেনই। সেক্ষেত্র আপনাকে টাকা পয়সার পুরনো ধ্যান ধারনা ছেড়ে আধুনিক হতে হবে। সব থেকে ভাল হয় যদি আধুনিক ও আবহমান এই দুইয়ের এক অপূর্ব সমন্বয় ঘটানো যায়।

ভোটারদের সালাম কালাম, পায়ে ধরা, বাড়ি বাড়ি যাওয়া, নানান কিসিমের প্রতিশ্রুতি দেয়া সবই ঠিক আছে। কিন্তু আরো কিছু চাই। নতুন কিছু। আপনার বিশ্বস্ত কর্মী বাহিনী চাই। যারা শুধু ভোট চাইবে না ভোট আদায় করে নেবে। আজকালকার মানুষের কোন বিশ্বাস নাই। মুখে এক মনে এক। রিস্ক নেয়া ঠিক হবে না। তাদের সরাসরি বলে দিন কষ্ট করে ভোট কেন্দ্রে আসার দরকার নাই। আপনারা যেহেতু আমারেই ভোট দিবেন আমার সুক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মী বাহিনী আছে তারা আপনার হয়ে ভোট নিয়ে নেবে।

এর মাঝেও যারা একটু ত্যাঁড়ামি করবে। ভোট দিতে চাইবে তারা যাতে কোন ভাবেই ভোট কেন্দ্রে যেতে না পারে পাড়ায় পাড়ায়, গলিতে গলিতে পাহারা বসিয়ে দিন। কেউ ভোট কেন্দ্রের দিকে যেতে না পারে সে ব্যাবস্থা নিন।

এসব তো ভোটের দিন কিন্তু প্রস্তুতি থাকা চাই আরো আগে থেকে। বিরুদ্ধ পক্ষের কারা কারা এজেন্ট হতে চায় তাদের লিস্ট নিয়ে নিন। এবার তাদের বাসায় বাসায় গিয়ে বলে আসুন ভোট কেন্দ্রে যাওয়া কেন নিরাপদ নয়। জনস্বার্থে জনসেবক হিসেবে আপনাকে এসব করতেই হবে। যাদের জন্য নির্বাচন করছেন সেই সব নাগরিকে নিরাপত্তা দেখা আপনার দায়িত্ব। তারপরও যদি কেউ এজেন্ট হতে চায় তবে ভোট কেন্দ্রে যেসমস্ত বিপদ হতে পারে দুএকজনকে তার একটা নমুনা দেখানো দরকার।

যারা প্রতিপক্ষের নেতা কর্মী আছে তাদের একটা লিস্ট থানায় পাঠিয়ে দেয়া যেতে পারে। সময় ও সুযোগ মত তাদেরকে বিভিন্ন মামলায় যেন তাদেরকে নিয়ে হাজতে জেলে পোরা যায়। ভোটের মত একটি পবিত্র ও মহৎ কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে তাদের হাজত বাসের দরকার আছে। ভোটার ফোন নাম্বার যোগাড় করে কর্মী উদ্যমী শ্রেনীর যারা আছে তাদের দু একজন কে ফোনে বলুন ভোটকেন্দ্রে কেন তাঁর জন্য নিরাপদ নয়।

বিপক্ষের প্রার্থী, নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই নির্বাচন কমিশন বরাবর অভিযোগ দাখিল করুন। নির্বাচন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ ভোটের তাগিদে তারা আপনাদের নিরাশ করবেন না। মনে রাখবেন প্রার্থীদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করাই নির্বাচন কমিশনের কাজ।

তবে ভোটের দিন সাবধান। ভোট কেন্দ্রে কোন বিশৃংখলা করা যাবে না। বিভিন্ন মিডিয়া, পর্যবেক্ষক তারা এই সব নিয়ে পরে ক্যাঁচাল করবে। আপনি হয়ত জানেন মিডিয়া, পর্যবেক্ষকরা আপনার অনুকূলেই আছে। জনগণও কিন্তু এই সব খবর রাখে। সুতরাং সাবধান।

টিভির টক শো আজকালকার অতি জনপ্রিয় বিষয়। এই সব টকশো মাতিয়ে রাখার জন্য বুদ্ধিজীবিদের ভাড়া করে রাখুন। আপনি হয়ত ভাবছেন বুদ্ধিজীবিদের কি আর টাকা দিয়ে কেনা যায়! বাংলাদেশে সবচেয়ে সস্তায় বিক্রয় হয় বুদ্ধিজীবিদের বিবেক। সাদাকে কালো আর কালোকে সাদা করার জন্য এই সব বুদ্ধিজীবিদের মত এত দক্ষ দ্বিতীয় কাউকে আপনি পাবেন। বিফলে মূল্য ফেরত। ফেসবুকেও আপনার জন্য একদল নিবেদিত তরুণ কর্মী সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকা চাই। আজকালতো চেতনার যুগ। চেতনা নির্ভর পোষাক আশাক পরুন। রাস্তায় ঝাড়ু দিন। সাইকেল টাইকেল চালান। বিজয়ের জন্য সবগুলো ফ্রন্টে আপনাকে কাজে হবে। আপনি যখন মসজিদে যাবেন আপনি হবেন মাওলানাদের সেরা, মাতালের আড্ডায় মাতাল শ্রেষ্ঠ, চোরদের নিশ্চয়তা দিন চুরি সহজ হবে; সন্ত্রাসী-টেন্ডারবাজদের হাতে রাখুন, তাদের নিশ্চয়তা দিন নির্বাচন পরবর্তীতে তারাই হবে নগরভবনের রাজা। দূর্নীতির বিরুদ্ধে অবশ্যই বিকট যুদ্ধ ঘোষণা করুণ। সাথে অবশ্যই সেরা দূর্নীতিবাজদের দুএকজনকে রাখতে ভুলবেন না। কারণ দূর্নীতিবাজরাই আপনাকে সাহায্য করতে পারবে কিভাবে দূর্নীতিমুক্ত নগর গঠন করতে হবে। বিষে বিষ ক্ষয়।

মানুষ সময় নষ্ট করে পয়সা খরচ করে ফুটবল খেলা দেখি, ক্রিকেট খেলা দেখে। এই সব খেলায় যে দল বা ক্লাব জিতুক তাতে জনগণের বিশেষ একটা লাভ ক্ষতি নাই। তবুও জনগণ খেলা দেখে, দলকে সাপোর্ট দেয়। নির্বাচনও তেমনি খেলা। যেই জিতুক তাতে জনগণের বিশেষ কোণ ক্ষতি বৃদ্ধি নাই। এই খেলাতে জিততে হলে প্রার্থীকে চতুর খেলোয়াড় হতে হবে। আম্পায়ার/রেফারিকে পাশে রাখতে হবে। রেফারির দয়া, আশীর্বাদ যদি আপনার অনুকূলে থাকে তবে আর কথাই নাই। বিপক্ষ দল হলুদ কার্ড, লাল কার্ডে জর্জরিত হয়ে আপার বিজয় কে ঠেকাবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তাইতো বলি--- এমন ভূমিধ্বস বিজয নইলে হয় কি করে? তাও খালী মাঠে!!

নিশ্চয়ই আপনার বুদ্ধি বাংলা এসাঞ্জ আগেই লিক করে দিয়েছিল -তাদের কাছে! ;)


++++++++++

২৮ শে মে, ২০১৫ সকাল ৯:৫৬

আনু মোল্লাহ বলেছেন: হতে পারে, কারন আমি তো আমার বুদ্ধি প্যাটেন্ট করি নাই :প

আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু স্যার :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.