নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আনোয়ার ভাইয়ের কথার কথা

আনোয়ার ভাই

কিছু একটা করি

আনোয়ার ভাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্রাম থাকলে শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়

০৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৪







সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার থানাধীন কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ভুক্ত করার পরিকল্পনার প্রতিবাদ করেছেন ওই পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যরা। তাদের এই প্রতিবাদ যথাযথ বলে মনে করছি আমি। ফতুল্লার অন্য ইউনিয়ন বাসিন্দাদেরও এমন প্রতিবাদ করা উচিত। কেননা প্রায়ই শুনতে পাই এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদসহ অন্য ইউনিয়নগুলোকে সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভ্ক্তু করার পরিকল্পনার কথা।





আমি পশ্চিম মাসদাইরের বাসিন্দা। ছোট বেলা দেখতাম আমার গ্রামের উপর দিয়ে চলে গেছে আঁকা বাকা মেঠো পথ। যে পথে সদ্য তোলা ধানের খড় শুকাতো কৃষক। টলটলে পানির পুকুর, খাল- বিলে ফুটে থাকত জাতীয় ফুল শাপলা। দূরন্ত কিশোরের দল ঘন্টার পর ঘন্টা গোসল করত সেই পানিতে। কেউ কেউ তুলতো শালুক আবার কেউ ঝিনুকে খুঁজত মুক্তা। বাদ যেত না কিশোরীরাও। গ্রামের পাশে কাইলানী বিলে বছরের একটা সময় সবুজ ফসল দোলা খেত হাওয়ায়। সেই বিলের অনেকটা জুড়ে এখন শিল্পনগরী বিসিক। যেখানে প্রতিদিন শত শত শ্রমিকের ঘাম ঝরে উৎপন্ন হয় রপ্তানীযোগ্য পোশাক। ফতুল্লার অন্যসব এলাকাতেও গার্মেন্ট ব্যবসাসহ শিল্পের প্রসার ঘটেছে অনেক আগে থেকেই। এরপরেও ইউনিয়নের অনেক এলাকাই এখন পর্যন্ত গ্রাম সৌন্দর্য ধরে রেখেছে। যা পরিবেশ ও পর্যটনের জন্য ভাল বলে মনে করি।



আমার মনে হয়, বিসিক ও অন্যান্য শিল্পের দিকেই নজর পড়েছে পৌরসভা থেকে উন্নীত হওয়া নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের। এখান থেকে শিল্পকর আদায়ের স্বপ্নে বিভোর তারা। তাই তারা অনেক দিন ধরেই চেষ্টা করছে ফতুল্লার ইউনিয়নগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করতে। তবে তা ঠিক হবে না বলে মনে করি।

কেন ঠিক হবে না এমন প্রশ্ন করলে আমি প্রথমেই বলব, পৌরসভা থেকে সবে মাত্র উন্নীত হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন। এখন পর্যন্ত এর নিজস্ব ভবন পর্যন্ত হয়নি, নিয়োগ দেয়া হয়নি পর্যাপ্ত লোকবল। তাই কদম রসূল ও সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভার উন্নয়ন কাজ করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ অবস্থায় নতুন করে অন্য ইউনিয়ন সংযুক্ত করা কতটা যৌক্তিক তা ভাবার আহ্বান রইল সংশ্লিষ্টদের প্রতি। সেই সাথে আরো একটি প্রশ্ন না করলেই নয়। ইউনিয়নগুলো অন্তর্ভুক্ত করার পেছনে কতটা আন্তরিক সিটি করপোরেশন। এ প্রশ্নে জড়ানো রয়েছে আমার মত লক্ষ ইউনিয়নবাসীর ক্ষোভ।



সিটি করপোশেনের রাস্তায় গেলেই ইউনিয়নের প্লেট সম্বলিত রিকশাগুলোকে আটক করা হয়। যদিও তাদের প্লেট সম্বলিত রিকশা ইউনিয়ন সড়কে চলে অবাধে। আবার কাশীপুর, বক্তাবলী থেকে যখন ভ্যান গাড়ি ভরে বিভিন্ন সবজি শহরের বাজারগুলোতে নেয়া হয় তখন কিন্ত তা আটক করা হয় না। গ্রামের এই সবজিই শহুরেদের ভোজনের প্রিয় তালিকায় থাকে তখন। একে দ্বৈত রুপ বললে কি ভুল হবে ? এ ক্ষেত্রে আরো একটি প্রশ্ন এসে যায়, এখন ইউনিয়নের রিকশা ঢুকতে দেয়া হয় না জ্যামের অজুহাতে। যদি ইউনিয়নগুলোকে সিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয় তখন ওই সব ইউনিয়নের রিকশা কি সমুদ্রে বিসর্জন করা হবে ?



এ থেকে অন্তত একটি জিনিস পরিস্কার হয় যে, আন্তরিকভাবে ফতুল্লার ইউনিয়নগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করতে চায় না নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন। শুধু মাত্র আয় বাড়ানোই তাদের ইচ্ছা। যে ইচ্ছার বলি হতে পারি না আমরা গ্রামের মানুষ। সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত হলে সাধারন মানুষ কিছুই পাবে না। অযথা বোঝা বোঝা ট্যাক্স দিতে হবে তাদের। ইউনিয়নে থাকলে অনেক কাজ খুব সহজেই করা যায়। সিটিতে গেলে তা সম্ভব হবে না। তাই সব কিছু বিবেচনা করে ফতুল্লার ইউনিয়নবাসীদের উচিত হবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্তির পরিকল্পনার প্রতিবাদ করার। এ জন্য প্রয়োজন ঐক্যের। যা করতে এগিয়ে আসতে হবে এনায়েতনগর ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যানসহ সব কটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সদস্য, সাংবাদিক, শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের মানুষকে।

আর সিটি করপোরেশনগুলোরও উচিত হবে না ইউনিয়নগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা। কেননা শহরের পাশে কিছুটা গ্রাম্য পরিবেশ থাকা উচিত পরিবেশের ভাল’র জন্য। এতে শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিই পাবে কমবে না কোন অংশে। তা ছাড়া শহরের পাশে গ্রাম থাকলে পর্যটনের জন্যও মঙ্গলজনক। এতে দেশের রাজস্ব আয় বাড়বে।









মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩০

ভ্রমন কারী বলেছেন: +++++++

০৯ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩২

আনোয়ার ভাই বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.