নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আনোয়ার ভাইয়ের কথার কথা

আনোয়ার ভাই

কিছু একটা করি

আনোয়ার ভাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

শামীম ওসমানকে আটক করা উচিত

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪





নারায়ণগঞ্জের নেতা হলেও সারাদেশবাসী এক নামে চেনে শামীম ওসমান কে। ছাত্রলীগ দিয়ে শুরু করে সরকারি তোলারাম কলেজের ভিপি থেকে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পর্যন্ত হয়েছেন তিনি। এ দলের টিকেটে জাতীয় সংসদ সদস্য হয়েছেন একবার। অনলবর্ষী বক্তা হিসেবেও সুনাম রয়েছে তার।

রাজনীতির দিক দিয়ে পারিবারিক ঐতিহ্যের অধীকারী তিনি। দাদা ও বাবা প্রাদেশিক পরিষদ ও জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। তারা দুইজনেই আওয়ামীলীগের রাজনীতির প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে জড়িত। বড় ভাই সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা।

১৯৯৬ সালে এমপি হওয়ার পর সারা দেশে আলোচনায় আসেন শামীম ওসমান। সে সময়ে অভিযোগ উঠে, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের এলাকা ছাড়া করার। তার আস্কারায় অগা, বরিশাইল্লা, টাওয়ার, ক্যাঙ্গারুসহ নানা নামের নানা রঙের তারকা সন্ত্রাসীরা এক এক এলাকা হীরক রাজার মতো শাসন করে মানুষকে অতিষ্ট করে তুলে। হাট, ঘাট, টেন্ডার,জুট, চোরাই তেল, পরিবহন সেক্টর, ভূমি দস্যুতা সব তাদের হুকুমে চলে। ওই সময়ে এই তারকা সন্ত্রাসীসহ কিছু চামচ শ্রেনীর নেতা শামীম ওসমানকে ‘ সিংহ পুরুষ’ উপাধি দেয়। সে সময়ে সুশীল সমাজ তার ললাটে এঁটে দেয় ‘গড ফাদার’ উপাধি। এমপি থাকাকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চট্রগ্রাম মূখী লংমার্চ আটকে দিয়ে তিনি সারা দেশে নিজের ভিলেন রুপ প্রকাশ করেন।

২০০০ সালের ১৬ জুন কিছুটা সহানুভুতির আলোচনায় আসেন শামীম ওসমান। সেদিন চাষাঢ়া তার গোত্রদের দলীয় কার্যালয়ে (শহরের ২ নং গেইটে দলের আরো একটি কার্যালয় ছিল, এখনো আছে ) ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরনে প্রান হারান ২০ জন। এতে তিনি সহ আহত হন অনেকে। চিরতরে পঙ্গু হয় তার কাছের দুইজন।

২০০১ এর নির্বাচনে হেরে পালিয়ে যাওয়ায় সিংহ পুরুষ থেকে কাপুরুষে পরিচিতি পান তিনি। পরে বিদেশে বেশ কিছু দিন থাকার পর জেলার রাজনীতিতে আবারো হিরো বনেন । প্রবাস থেকেই দলীয় রাজনীতির শক্ত অবস্থান তৈরী করেন, হন কিছুটা জনপ্রিয়। তত্তবধায়ক সরকার গঠিত হলে তিনি দেশে ফিরে অজ¯্র মানুষের কাছে সংবর্ধিত হন। তবে ওয়ান ইলেভেনের সময় আবারো দেশ ছাড়েন ।

মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এলে দেশে এসে কিছু দিন চুপচাপ থাকলেও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের বাস ভাড়া নিয়ে ফের আলোচিত হন শামীম ওসমান। এ সময় সাধারন যাত্রীদের পক্ষে না গিয়ে বাস মালিকদের পক্ষে কথা বলতে দেখা যায় এই জননেতা ! কে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে বাস মালিকদের হয়ে তার চাচী সারাহ বেগম কবরী এমপির উপর চড়াও হন প্রায় ৬ ফুট লম্বা এই রাজনীতিক। টেলিভিশনের পর্দায় এ দৃর্শ্য দেখে তাকে নিয়ে সারা দেশে আরেকবার আলোচনার ঝড় বয়ে যায়। অবশ্য ওই দিন কবরীও কম যাননি।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা হলে আবারো শামীম ওসমান দেশবাসীর আলোচনার খোরাক হয়ে উঠেন। গায়ে নানা অপবাদ লেপ্টে থাকলেও অদৃর্শ্য শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দলীয় সমর্থন আদায় করেন তিনি। তার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বি সেলিনা হায়াৎ আইভী টিভি টক শো’সহ জনসভাগুলোতে শামীম ওসমানের পুরনো সব গন্ধ উসকে দিয়ে জনতার সহানুভুতি আদায় করেন। নির্বাচনের মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে ( মধ্য রাতে ) এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেয় তার দল। ফলাফলে বিপুল ভোটে পরাজয় হয় শামীম ওসমানের।

ভোটাভুটির কয়েক দিন আগে জঙ্গী হামলার আশংকা করে সারা দেশে হৈ চৈ ফেলে দেন শামীম ওসমান। মিডিয়ায় তার এই খবরকে গুরুত্বসহকারে প্রচার হলে প্রশাসন থেকে বলা হয় এমন সংবাদ তাদের কাছে নেই। অবশ্য মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নানা আশংকার কথা বলে আসছেন আইনের ছাত্র শামীম ওসমান। তাকে প্রায়ই বলতে শোনা যেত ‘ আগামী ৩ মাস বা ৬ মাস দেশের জন্য ভয়াবহ সময়’ ইত্যাদি।

মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যাকান্ডের পর শামীম ওসমান আবারো রাজনীতির মন্দ চরিত্রে আলোচিত হন। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় ইতিমধ্যে তার ভাতিঝা আজমেরী ওসমানের দুই সহচর গ্রেপ্তার হয়েছে।

সম্প্রতি সেই আলোচিত সমালোচিত শামীম ওসমান নতুন করে এক আশংকার কথা বলেছেন। শহরের কিল্লারপুলস্থ বিবি মরিয়ম স্কুলে এক আলোচনায় তিনি বলেছেন ‘ আগামী ৩ মাসের মধ্যে তাকে (শামীম ওসমানকে ) হত্যার চেষ্টা করা হতে পারে। কে বা কারা এই চেষ্টা করবে তাও তিনি জানেন বলে দাবি করেছেন।’

তার এই আশংকাকে অন্যরা কিভাবে নিচ্ছেন জানি না। তবে আমি একজন ক্ষুদে মিডিয়াকর্মী হিসেবে শামীম ওসমানের মতো একজন আপাদমস্তক রাজনীতিকের আশংকা উড়িয়ে দিতে পারি না। তাই প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি অবিলম্বে শামীম ওসমানকে আটক করে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়ার। সেই সাথে কে বা কারা তাকে হত্যা করতে পারে সেই তথ্য নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ারও প্রয়োজন।

ব্যক্তিগতভাবে আমি শামীম ওসমান কেন কারো অস্বাভাবিক মৃত্যু চাই না। আর শামীম ওসমানের মতো একজন রাজনীতিকেরতো নয়ই। কেননা আমি বিশ্বাস করি সদিচ্ছা থাকলে একজন রাজনীতিক দেশ ও জনগনকে অনেক দিতে পারে। তা ছাড়া জানা মতে শামীম ওসমানের মা এখনো বেঁচে আছেন। মা-বাবার চোখের সামনে সন্তানের মৃত্যু খুব বেদনাদায়ক। যে বেদনায় নীলাভ হয়ে আছে ত্বকীর পরিবার।

নিজে একজন বাবা হিসেবে এইটুকু অন্তত আঁচ করতে পারি রফিউর রাব্বী ও বেগম রাব্বী কি যন্ত্রনা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। উপরে বিশাল আকাশ নীচে শক্ত মাটি, চারপাশে সবুজ গাছ গাছালি থাকলেও তাদের কাছে সবই ফাঁকা লাগে। যদিও শামীম ওসমান প্রশ্ন তুলেছিলেন, সন্তান হারানোর পর রাব্বী ক্লিন সেভ করে কি করে। একজন পাঁকা রাজনীতিকের এমন কাঁচা প্রশ্ন শুনে আমি থ’ বনেছিলাম।



মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০৩

ইমতিয়াজ ইমন বলেছেন: শামীম ওসমানদের যতদিন না পর্যন্ত নির্মূল করা যাবে, ততোদিন পর্যন্ত অসংখ্য ত্বকীর বাবা মা কে এ রকম কষ্ট পেতে হবে।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:০০

আনোয়ার ভাই বলেছেন: শামীম ওসমানদের ...

২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০৮

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ক্ষেমতার নায়ক

৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: ইমতিয়াজ ইমন বলেছেন: শামীম ওসমানদের যতদিন না পর্যন্ত নির্মূল করা যাবে, ততোদিন পর্যন্ত অসংখ্য ত্বকীর বাবা মা কে এ রকম কষ্ট পেতে হবে।

৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০১

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
শুধু শামীম ওসমানকে? B:-)

৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪১

আমি মাসুদ বলেছেন: চেহারা দেখে বুঝা যায় শালা ১ টা মাল

৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮

মদন বলেছেন: হাসিনার সাহস নিরীহ ড. ইউনুস আর সাধারন জনগনের উপর। শামীম ওসমান, জয়নাল হাজারীকে কিছু বলা তো দূরের কথা এদের দিকে চোখ তুলে তাকানোর সাহস পর্যন্ত নাই। আর দরবেশ বাবার কথা তো বলাই যাবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.