নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আনোয়ার ভাইয়ের কথার কথা

আনোয়ার ভাই

কিছু একটা করি

আনোয়ার ভাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

কফি হাউজের আড্ডাটা সত্যিই নেই

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬





পুরো নাম প্রবোধ চন্দ্র দে উপমহাদেশের কোটি কোটি সঙ্গীতপ্রেমীদের মাঝে মান্না দে নামেই পরিচিত ছিলেন তিনি। তার ঝুলিতে আছে সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশী গান রেকর্ডের অভিজ্ঞতা। বৈচিত্রের বিচারে তাকে ভারত উপমহাদেশের সেরা সঙ্গীত শিল্পী বলে মনে করেন অনেক সঙ্গীত বোদ্ধারা। বাংলা, হিন্দি, মারাঠি, গুজরাটিসহ অনেক ভাষার গান গেয়েছেন ষাট বছর ধরে। এ অসামান্য অবদানের কথা স্বীকার করে ভারত সরকার ১৯৭১ সালে পদ্মশ্রী, ২০০৫ সালে পদ্মবিভূষণ এবং ২০০৯ সালে দাদাসাহেব ফালকে সম্মাননায় অভিষিক্ত করেন এই গুণী শিল্পীকে।



বাবা - পূর্ণ চন্দ্র এবং মা - মহামায়া দে’র কোল জুড়ে ১৯১৯ সালের ১ মে জন্মগ্রহণ করেন মান্না দে। বাবা-মায়ের সংস্পর্শ ছাড়াও, পিতৃসম্বন্ধীয় সর্বকনিষ্ঠ কাকা সঙ্গীতাচার্য (সঙ্গীতে বিশেষভাবে দক্ষ শিক্ষক) কে.সি. দে (পূর্ণনাম: কৃষ্ণ চন্দ্র দে) তাকে খুব বেশী অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করেছেন। দে তার শৈশব পাঠ গ্রহণ করেছেন ‘ইন্দু বাবুর পাঠশালা’ নামে একটি ছোট প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তারপর তিনি স্কটিশ গির্জা কলেজিয়েট স্কুল এবং স্কটিশ গির্জা কলেজে থেকে স্নাতক শিক্ষাগ্রহণ করেছিলেন। কলেজে অধ্যয়নকালীন তিনি তার সহপাঠীদেরকে গান শুনিয়ে আসর মাতিয়ে রাখতেন। তিনি তার কাকা ছাড়াও উস্তাদ দাবির খানের কাছ থেকে গানের শিক্ষা লাভ করেন।

ঐ সময়ে মান্না দে আন্তঃকলেজ গানের প্রতিযোগিতায় ধারাবাহিকভাবে তিন বছর তিনটি আলাদা শ্রেণীবিভাগে প্রথম হয়েছিলেন।



১৯৪২ সালে কৃষ্ণ চন্দ্র দে’র সাথে বোম্বে (বর্তমান মুম্বাই) দেখতে আসেন। সেখানে শুরুতে তিনি কৃষ্ণ চন্দ্র দে’র অধীনে সহকারী হিসেবে এবং তারপর শচীন দেব বর্মণ (এস.ডি. বর্মণ) এর অধীনে কাজ করেন। পরবর্তীতে তিনি অন্যান্য স্বনামধন্য গীতিকারের সান্নিধ্যে আসেন এবং তারপর স্বাধীনভাবে নিজেই কাজ করতে শুরু করেন। ঐ সময় তিনি বিভিন্ন হিন্দি চলচ্চিত্রের জন্য সঙ্গীত পরিচালনার পাশাপাশি উস্তাদ আমান আলি খান এবং উস্তাদ আব্দুল রহমান খানের কাছ থেকে হিন্দুস্তানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তামিল নেন





১৯৪৩ সালে তামান্না চলচ্চিত্রে গায়ক হিসেবে মান্না দে‘র অভিষেক ঘটে। ১৯৫০ সালে 'মশাল' শচীন দেব বর্মণের গীত রচনায় ‘ওপার গগন বিশাল’ নামে একক গান গেয়েছিলেন। এর গানের কথা লিখেছিলেন কবি প্রদীপ। মান্না দে ভীমসেন জোসি’র সাথে একটি জনপ্রিয় দ্বৈত গান ‘কেতকী গুলাব জুহি’ গান। এছাড়াও, তিনি কিশোর কুমারের সাথে আলাদা গোত্রের দ্বৈত গান হিসেবে ‘ইয়ে দোস্তী হাম নেহী তোরেঙ্গে (শোলে)’ এবং ‘এক চতুর নার (পদোসান)’ গান।

মান্না দে'র গাওয়া অসংখ্য গান এখনো মানুষের মুখে মুখে ফিরে। ‌' তীর ভাঙ্গা ঢেউ..' যদি কাগজে লিখ নাম..' আমি দূর হতে তোমাকে দেখেছি....' কিংবা সে আমার ছোট বোন, বড় আদরের ছোট বোন'..



আজ ২৪ অক্টোবর '২০১৩ বৃহস্পতিবার ভোরে বেঙ্গালোরের একটি হাসপাতালে মৃত্যুকে আলীঙ্গন করেন এই বিখ্যাত শিল্পী।



তিনিই এক সময় গেয়েছিলেন ' কফি হাউজের আড্ডাটা আজ আর নেই..। জনপ্রিয় এই গানের রেশ ধরেই এখন মনে হচ্ছে সত্যি সত্যিই কফি হাউজের আড্ডাটা আজ থেকে নেই.....

তবে মান্না দে না থাকলেও তার অসংখ্য গান রয়ে যাবে আজীবন।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮

বিধ্বস্ত বলাকা আমি বলেছেন: Coffee house ta asoley khali hoye gelo... :(

২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২

আনোয়ার ভাই বলেছেন: হুম

৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩১

বিধ্বস্ত বলাকা আমি বলেছেন: স্মৃতির আকাশে জ্বলজ্বল হয়ে থাকুক্‌ মান্না দে'র কালজয়ী সেই গানগুলো, আগের সেই কফি হাউসের আড্ডাতে, যেখানে বাগানে নতুন কলি ফুটেছে, কিন্তু আগের সেই মালী নেই, জানি আর আসবেনা.. আমাদের অন্তরে তবুও বাজবে সেই দিন গুলোর করুণ সুর... সৃষ্টিকর্তা যেন তাঁর সৃষ্টির প্রতি সদয় হোন, এই আশাই করি।

৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:১২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: তার কালজয়ী গানগুলোর মাঝে তিনি বেচে থাকবেন অনন্তকাল

৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২৯

আনোয়ার ভাই বলেছেন: বেচে থাকবেন অনন্তকাল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.