নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আনোয়ার ভাইয়ের কথার কথা

আনোয়ার ভাই

কিছু একটা করি

আনোয়ার ভাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

দোস্ত তুমি একটা এরশাদ

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬





৬ ডিসেম্বর দুপুর বারটায় জরুরী কাজে শাহিন সারোয়ারকে সাথে নিয়ে চট্রগ্রামের উদ্দেশ্যে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে বাসে রওয়ানা দিয়ে পরের দিন সকাল ১০ টায় পৌছি। পুরো সপ্তাহ অবরোধ থাকায় শুক্রবার স্মরনকালের ভয়াবহ যানজট ছিল এ মহা সড়কে। দীর্ঘ বাস যাত্রায় ক্লান্ত- বিরক্ত যাত্রীদের নানা কথা শুনেছি। এর মধ্যে এক যুবকের একটি কথা শুনে প্রাণ খুলে হেসেছে অনেকেই। যুবকটি মোবাইলে তার বন্ধুর সাথে দীর্ঘ তর্কের পর শেষতক বলে ‘ দোস্ত তুমি একটা.....



১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌল্লার প্রধান সেনাপতি মীর জাফর আলী খাঁ চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলেন। ইংরেজদের পক্ষে তিনি ছিলেন নীরব পুতুল। তার এ ভূমিকার জন্যই প্রায় পৌণে ২ শ’ বছর বাংলা তথা এ উপমহাদেশের স্বাধীনতার সুর্য উদয় হয়নি। পলাশীর এ ঘটনার পর থেকেই এ উপমহাদেশে কেউ সন্তানের নাম মীর জাফর রাখে না। বরং কোন মানুষ যদি কারো সাথে বেঈমানী করে তাকে ‘মীর জাফর’ বলে গালি দেয়া হয়।



দ্বীতিয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানীর এডলফ হিটলার বিশ্ববাসীর কাছে একজন ভিলেন রুপে পরিচিত হন। আমাদের দেশে কেউ নিজ স্বার্থে অন্য কাউকে বেশী মাত্রায় ঘায়েল করলে তাকে বলা হয় ‘ লোকটা একটা হিটলার’।



১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমেরিকা ছিল পাকিস্তানের পক্ষে। ওই দেশের পররাস্ত্র মন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশের স্বাধীনতা রুখতে নানা অপতৎপরতা চালিয়ে ছিলেন বলে জনশ্র“তি রয়েছে। তিনি নিজ দেশের স্বার্থে বিভিন্ন দেশের পররাস্ত্র নীতিতে অনধিকার প্রবেশ করেছেন। কুটচালে তিনি সিদ্ধহস্ত ছিলেন বলে শোনা যায়। এ কারনে বাংলাদেশে কেউ বেশী রকম কুটচাল করলে তাকে বলা হয় ‘ লোকটা একটা কিসিঞ্জার।



মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানে ছিলেন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। পরে তিনি দেশে ফিরে এক পর্যায়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হন। বিচারপতি আব্দুস সাত্তার সরকারকে হটিয়ে প্রথমে সামারিক আইন পরে দল গঠন করে রাজনীতিক রুপে আবির্ভুত হন এরশাদ। দীর্ঘ নয় বছর ক্ষমতায় থাকার পর আসম রবের জাসদের মতো দুই একটি ছাড়া দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পতন হয় এই স্বৈরাচারের। এরপর দেশে চালু হয় সংসদীয় গণতন্ত্র প্রথা।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ একেক সময় একেক কথা বলে ইতিমধ্যে সারা দেশে আলোচিত হয়েছেন। বিশেষ করে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে তার নানা রুপ প্রকাশ পেয়েছে। যার কারনে অনেকের কাছে হাস্যকর পাত্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন সাবেক এই সেনা শাসক।

সেদিন বাসে ওই যুবকটি তার বন্ধুর সাথে মোবাইলে খুব রাগাম্বিত স্বরে কথা বলছিল। পরে তার সাথে কথা বলে জানতে পারি বন্ধুর সাথে পার্টনারে তার ব্যবসা। ব্যবসা নিয়ে নানা রকম ছল চাতুরি করেছে সে। এক এক সময় এক এক রকম কথা বলেছে। উদ্দেশ্য বন্ধুকে ঠকানো। তাই রাগের চোটে বন্ধুকে সে বলেছে, ‘দোস্ত তুমি একটা খাঁটি এরশাদ’।



বার বার অবস্থান পরিবর্তন ও রঙ বদলানোর ফলে এরশাদের নামটি ধীরে ধীরে মীর জাফর, হিটলার, কিসিঞ্জারের মতোই মানুষের মুখে মুখে থাকবে বলে ধারনা অনেকের। কারো কারো মতে, ভবিষ্যতে কেউ যখন বার বার অবস্থান ও কথা পরিবর্তন করবে তখন তাকে মানুষ বলবে, লোকটা একটা এরশাদ।





মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০২

বুড়িগঙ্গার পাড়ে বলেছেন: ha ha ha.....

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৭

আনোয়ার ভাই বলেছেন: ধন্যবাদ লেখা পড়ার জন্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.