নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আনোয়ার ভাইয়ের কথার কথা

আনোয়ার ভাই

কিছু একটা করি

আনোয়ার ভাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

নূর হোসেনের অপকর্মের জন্য সাংবাদিকরা দায়ী !

০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:১৮







আশির দশকে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের জন্য গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অনেক তাজা প্রাণ ঝড়ে। যাদের মধ্যে নূর হোসেন অন্যতম। বুকে পিঠে গণতন্ত্রের পক্ষে শ্লোগান লিখে খ্যাতি পেয়েছিল সে। সেই নূর হোসেনকে মানুষ এখনো শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।



অপরদিকে বহুল আলোচিত নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনার খলনায়ক নূর হোসেনের নাম শুনলে মানুষ ঘৃনা করে। একজন মানুষ কতটা অমানুষ হলে এমন জঘন্য কাজ করতে পারে। টাকা ও ক্ষমতার জন্য মনুষ্যত্বকে বলি দিতে পারে। নিজ সন্তানকে পিটিয়ে হত্যা করতে পারে। আবার নিজের অবস্থান ঠিক রাখার জন্য সেই সন্তানের কুলখানী ঝাকঝমক ভাবে করে। তার নাম নূর হোসেন।



সাত খুনের পর এ নাম এখন বাংলাদেশের মানুষের মুখে মুখে। মিডিয়ার বদৌলতে তার মুখও চেনা হয়ে গেছে এ দেশসহ পাশের ভারতে। নূর হোসেন কি করত তা সাত খুনের পরই প্রকাশ্যে আসে জোরালোভাবে। সে ওপেন ফেনসিডিল বিক্রি করতো। যাত্রা নৃত্যের নামে উলঙ্গ নাচের আসর চালাতো। পরিবহণ সেক্টরে চাঁদাবাজি করতো। কেউ কথা না শুনলে টর্চার সেলে নিয়ে নির্যাতন চালাতো। এগুলো তার নিত্যকর্ম ছিল। বেশ ক’ বছর ধরেই নূর হোসেন বাহিনী এসব অপকর্ম করে অঢেল টাকা কামাই করত।



এসব খবর সাত খুনের ঘটনার পরে মানুষ মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছে। প্রায় প্রতিদিনই তার কোন না কোন খবর আছেই। আর এসব খবর পড়ে কেউ কেউ প্রশ্ন করে আগে সাংবাদিকরা কি করত। সাত খুনের ঘটনার আগে কেন তারা এসব লেখেনি। এ প্রশ্ন আমার মাথায়ও আসে। ঠিকইতো, নূর হোসেনতো অনেক দিন ধরেই অপকর্ম করে চলছে। তবে আগে কেন এসব ঘটনার কথা সাংবাদিকরা লেখেনি।



এসবে উত্তরও মেলে অনেক সাংবাদিকের কাছে। শুনেছি, নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় পত্রিকাগুলোর প্রধান আয়ের উৎস ছিল নূর হোসেন। তার ফেনসিডিল ব্যবসা, চাঁদাবাজি, নগ্ন নৃত্য ঢেকে রাখতে নিয়মিত টাকা দিত সে। আর নগ্নভাবে টাকা খেয়ে তা বেমালুম চেপে যেত সাংবাদিক ও স্থানীয় সংবাদপত্র। খেয়াল করলে দেখবেন, নূর হোসেন ভারতে চলে যাবার পর স্থানীয় অনেকগুলে পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেছে।

এবার প্রশ্ন আসে, জাতীয় পত্রিকাগুলো কি করেছে ? এখানেও সেই একই অবস্থা। জাতীয় পত্রিকা ও টেলিভিশনের অনেক সাংবাদিকের সাথে নূর হোসেনের ভাব ছিল। কেউ নগদ নিত কেউ আবার নগদের সাথে গাড়িও নিত। কেউ কেউ নূর হোসেনের মজমায় গিয়ে দুই ঢোক গিলে আসত। প্রশ্নের তীর আমার দিকেও আসতে পারে। ইসলামিক টিভিতে কেন আমি নিউজ করি নাই। উত্তরটা দিচ্ছি- সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় ইসলামিক টিভির একজন প্রতিনিধি ছিল। ও এলাকায় আমি নিউজ কভার করতে যেতাম না।



এখন সব স্থানীয় পত্রিকায় নূর হোসেনের বিরুদ্ধে নিউজ ছাপা হয়। জাতীয় পত্রিকায়ও। যদি আগে এভাবে লেখা হত তবে সে এতটা বেপরোয়া হত না বলেই আমি মনে করি। তাই নূর হোসেনের গডফাদার বা এরশাদ শিকদার হওয়ার পেছনে সাংবাদিকদের ভূমিকা আছে এ কথা বললে ভুল হবে কি ?



তবে নূর হোসেনের সন্ত্রাসী জীবনের জন্য বিশেষভাবে দায়ী প্রশাসন। যদি তারা নূন্যতম ভূমিকা রাখত তবে এভাবে ওর উথ্থান ঘটত না।





মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.