নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আনোয়ার ভাইয়ের কথার কথা

আনোয়ার ভাই

কিছু একটা করি

আনোয়ার ভাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিশুটিকে দুপুরের খাবার না দিয়ে উল্টো মারধর করল

১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৮





( যে ব্যক্তি শিশুটিকে দুপুরের খাবার না দিয়ে মারধর করল সে কি তার নিজ সন্তানদের কথা ভাবল না। এই ছোট শিশুটির মত আমাদেরও সন্তান আছে। কচি ওই মুখ দেখলে কি মায়া না লাগে। ওর এই কচি গায়ে হাত তোলে কোন পাষাণ। সমাজে এমন অনেক ঘটনা ঘটে। সামান্য কারনে আমরা না বুঝে মারধর করে বাহাদুরি ফলাই। অথচ কত কোটি কোটি টাকা লোপাট হচ্ছে তার খবর কে রাখে ।
আমার বদ্ধমূল ধারনা ওই শিশুটি টাকা চুরি করেনি। কেননা যে হাত পাততে লজ্জা পায় সে চুরি করতে লজ্জাই পাবে। এ ছাড়া যদি সে চুরি করত তবে দুপুরে কর্মস্থল থেকে ভাত খেতে বাড়ি যেত না। তাই যে ব্যক্তি ওই শিশুটিকে নির্যাতন করেছে তার শাস্তি পাওয়া উচিত। সেই সাথে শিশুটির নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে ভাবতে হবে রাষ্ট্রকে। ব্লগার ভাইরা আসুন ওই শিশুটি নিয়ে ভাবি )



বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টায় কমলাপুর রেলস্টেশনে রিফাতকে দেখে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট সেরাজুল ইসলাম সিরাজ। সেই সময়ে শিশুটির গায়ে ছিল স্কুল ড্রেসের সাদা শার্ট, খয়েরি রঙের ফুল প্যান্ট, পায়ে দামি কেডস। সম্মানিত ওই সাংবাদিক রিপোর্টে লিখেছেন-----------------
কাছে গিয়ে দু একটি প্রশ্ন করতেই চোখের জল আটকাতে পারলন না। ঝর ঝর করে চোখের জল ছেড়ে দিল। কিন্তু সে কান্নায় কোনো শব্দ নেই, নি:শব্দ কান্না। নাম তার রিফাত। বাবা-মায়ের মৃত্যূর পর ফুপু খাদিজা বেগমের বাড়িতে ঠাঁই হয় তার (শ্রীপুরে)। সেখানে মিজান মডেল একাডেমিতে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়তো। কিন্তু লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারছিলেন না তার ফুপু। তাই ২০ দিন আগে চাচাতো ভাই রাজুর (লেগুনার হেলপার) সঙ্গে ঢাকায় আসে রিফাত।
মালিবাগ রেলগেট এলাকায় বাবুল মিয়ার চায়ের দোকানে কাজ নিয়েছিল। দোকান মালিকের বাসায় খেতো আর রাতে দোকানেই থাকতো। বৃহস্পতিবার দুপুরে খাওয়ার জন্য বাসায় গেলে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে রিফাতকে। অপরাধ, মালিকের মেয়ে সীমার ১১০ টাকা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, রিফাত ওই টাকা চুরি করেছে। লাঠির আঘাতে বাম পায়ের হাঁটু ফুলে লাল হয়ে গেছে। হাত দিয়ে স্পর্শ করতেই ওমা করে কাকিয়ে ওঠে শিশুটি। টাকা নেই নাই, তবু ওরা আমাকে মেরেছে। দুপুরে খাবার না দিয়েই তাড়িয়ে দিয়েছে। বেতন দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু কোনো টাকা দেয় নি।
কাঁদতে কাঁদতে বলছিল অসহায় রিফাত। আর রাতে খাবে এমন টাকা তার কাছে নেই। শুক্রবার ভোর হলে কোনো হোটেল অথবা লেগুনায় কাজ নিতে চায় বলেও জানায় রিফাত। কারো কাছে টাকা চেয়ে কিছু কিনে খেতে পারতো ! এ কথায় মাথা নিচু করে থাকে, কোনোই জবাব দেয় না। মানুষের কাছে চাইতে তার সম্মানে বাঁধে, না-কি ভিক্ষা রপ্ত করতে পারেনি। না পায়ের ব্যথার কারণে হাঁটা-চলা করতে পারেনি। নানা চিন্তা মাথার মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকে।
কি করুণ নিয়তি শিশুটির। বাবা আঙ্গুর মিয়া মারা গেছেন ৫ বছর আগে। বাবার মৃত্যুর এক বছরের মাথায় মা ঝর্ণা আক্তার পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন। বাবার স্মৃতি খুব একটা বলতে পারে না। তবে জানায়, কাঁচা বাজারে (সবজি) ব্যবসা করতো। মায়ের কি হয়েছিলো জানতে চাইলে জবাব মেলে,হাসপাতালে লইছে ভালো। বাসায় আনছে মারা গেছে। হার্ট অ্যাটাক হইছিলো।
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার হালিমা গ্রামের বাসিন্দা। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে রিফাত দ্বিতীয়। বড় বোন সায়মা অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে। আর তার ছোট বোন ছোয়া গ্রামের একটি স্কুলে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছে এ বছর। স্কুল না চায়ের দোকানে কাজ ভালো লাগে এ প্রশ্নের জবাবে দেয়, স্কুল ভালো লাগে। কিন্তু ওগোর (দু বোনের) খরচেই তো পারে না। আমি খরচ পামু কই। পরনের শার্ট, প্যান্ট ও কেডস জোড়া তার স্কুল ড্রেসের। এগুলো তার ফুপু কিনে দিয়েছেন। এ ড্রেস পরেই ২০ দিন আগে ঢাকা এসেছে চাকরির সন্ধানে। কি নির্মম আমাদের সমাজ। মাত্র ১১০টি টাকা খোয়া গেছে। তারই কারণে একটি নির্দোষ শিশুকে নির্দয়ভাবে পেটানো। যিনি পেটালেন একবারও ভাবলেন না, টাকাটা অন্য কেউওতো নিয়ে থাকতে পারে। এমন সময় পেটালেন যখন অভুক্ত শিশুটি দুপুরে খাবার খাওয়ার জন্য গিয়েছিল সেখানে। খাবার না দিয়ে নির্দয়ভাবে পিটিয়ে নিজের প্রভুত্ব জাহির করলেন। এভাবে সমাজের অজান্তে অনেক ফুল মুকুলেই ঝরে যাচ্ছে। ক্ষোভে-দু:খে অনেকে অন্ধকার পথে পা বাড়াচ্ছে। অনেকে বিনা অপরাধে শাস্তি পেয়ে প্রতিশোধের নেশায় মত্ত হয়ে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। বড় বড় অনেক সন্ত্রাসীর জীবন ঘাটলে এমন চিত্রই পাওয়া যায়।




http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/330767.html

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৩

খালেদা আকতার বলেছেন: ছে েল িট এখন েকাথায় অা েছ? অা িম েছ েল িট েক িন েত চাই েল িক কর েত হ েব। দয়া ক ের জানা েবন?

mail:[email protected]

২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৭

আনোয়ার ভাই বলেছেন: আপনি বাংলা নিউজ ডট কম এ যোগাযোগ করুন

৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৯

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: খুব কষ্ট লাগে :(

৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:২৯

আনোয়ার ভাই বলেছেন: বুকের ভিতরটা মুচড়ে উঠে । চোখে আপনা আপনিই জল আসে। কত ধনী লোক, কত সমাজ সেবকে দেশ ভরা। তারা কি শোনে না এই সব ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.