নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আনোয়ার ভাইয়ের কথার কথা

আনোয়ার ভাই

কিছু একটা করি

আনোয়ার ভাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

সারারাত মৃত মায়ের পাশেই ঘুমিয়েছিল রাকিব

০২ রা মে, ২০১৫ রাত ৮:১৮




রাত সাড়ে ১২ টায় ৭ বছরের রাকিবতে ঘর থেকে বের করে রেললাইনে বসিয়ে রাখে বাবা মানিক। একটু পর রাকিব দরজার ছিদ্র দিয়ে দেখে তার মা গার্মেন্টকর্মী জোসনা বেগমের গলায় ডিস লাইনের তার পেচিয়ে টান মারছে বাবা। এর ১০ / ১৫ মিনিট পর মানিক দরজা খুলে রাকিবকে দেখতে পায়। তাকে আবারো রেললাইনে রেখে সে চলে যায়। রাকিব কিছুক্ষন পর এসে ঘরে ঢুকে দেখে তার মা বিছানায় শোয়া। সে কিছু না বলে মায়ের পাশেই ঘুমিয়ে পড়ে। ভোর ৬ টায় সে মামার বাসায় গিয়ে জানায়, তার মাকে মারধর করে চলে গেছে বাবা। মামাসহ স্বজনরা এসে দেখে রাকিবের মা মৃত।

এ ঘটনা নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার চানমারী মাউড়াপট্রির বালুর মাঠ এলাকায় ঘটেছে। ২ মে শনিবার সকালে পুলিশ জোসনা বেগমের ( ২৬) লাশ উদ্ধার করেছে।

নিহতের ভাই দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ থানাধীন মাহাতাবপুরের ডা. আবুল হাসেমের ছেলে বর্তমানে চানমারী মাউরাপট্রির বাসিন্দা ফজল জানান, প্রায় ৮ বছর পূর্বে একই জেলার বীরগঞ্জের গইনপুরের আইয়ুব আলীর ছেলে মানিকের সাথে তার ছোট বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা গাজীপুরে থাকত। তার বোন গার্মেন্টে কাজ করত আর মানিক রিকসা চালাত। বিয়ের পর থেকেই নানাভাবে যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দিত মানিক। এরই মধ্যে বিভিন্ন সময়ে তাকে ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয়।

৪ মাস পূর্বে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার চানমারী মাউরাপট্রি বালুর মাঠ এলাকার রসুর টিনসেড বাড়ির পূর্ব পাশে একটি রুম ভাড়া নিয়ে ৭ বছরের ছেলেকে নিয়ে বাস করত তারা। জোসনা রহমান গার্মেন্টে চাকরী করত আর মানিক রিকসা চালাত। নুতন বাড়িতে আসার পর থেকে ব্যাটারি চালিত রিকসা কেনার জন্য ৫০ হাজার টাকা দাবি করে মানিক। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হত প্রায়ই। ১ মে রাত ১০ টার দিকে একই কারনে ঝগড়া বাঁধে। এর আড়াই ঘন্টা পর অর্থাৎ রাত সাড়ে ১২ টায় ওই দম্পতির ছেলে রাকিবের ঘুম ভেঙ্গে যায়। সে দেখে তার বাবা তার মা’ কে মারধর করছে। ঘুম ভাঙ্গায় ছেলেকে জোর করে ধরে নিয়ে রেললাইনে রেখে আসে মানিক। এর ৫ /৭ মিনিট পর রাকিব একা এসে দরজায় ফাঁকা দিয়ে তাকিয়ে দেখে তার মা’য়ের গলায় ডিসলাইনের তার দিয়ে পেচিয়ে টান মারছে বাবা।

এর ১০ / ১৫ মিনিট পর দরজা খুলে রাকিবকে পূণরায় রেললাইনে রেখে চলে যায় মানিক। পরে রাকিব ঘরে ফিরে তার মায়ের পাশে ঘুমিয়ে পড়ে। তখনো ৭ বছরের ছেলেটি ঘুর্নাক্ষরেও টের পায়নি মায়ের মুত্যুর বিষয়টি। সকাল ৬ টার দিকে রাকিব তার মামা ফজলকে গিয়ে জানায়, তার বাবা মাকে মারধর করে বাসায় ফেলে চলে গেছে। এ খবর পেয়ে মামা, খালাসহ স্বজনরা এসে জোসনার মৃতদেহ দেখতে পায়।


মাকে মারধর করে বাসায় ফেলে চলে গেছে। এ খবর পেয়ে মামা, খালাসহ স্বজনরা এসে জোসনার মৃতদেহ দেখতে পায়।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মে, ২০১৫ রাত ৮:৪১

প্রামানিক বলেছেন: করুণ কাহিনী। ধন্যবাদ

০৩ রা মে, ২০১৫ সকাল ১০:৫৩

আনোয়ার ভাই বলেছেন: ভাবলে খুব কষ্ট লাগে। অথচ দুইজনে কাজ করে বুদ্ধি করে টাকা জমালে ওই রিকসার টাকা জোগাড় করতে খুব বেশী দিন লাগার কথা নয়।

২| ০২ রা মে, ২০১৫ রাত ৯:৪৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: তারপর কি হল?

৩| ০৩ রা মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৫

আনোয়ার ভাই বলেছেন: এখনো খুনী স্বামী পলাতক ঢাকাবাসী

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.