নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আনোয়ার ভাইয়ের কথার কথা

আনোয়ার ভাই

কিছু একটা করি

আনোয়ার ভাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঋণের জন্য মেয়ের স্কুলে গিয়ে কথা শোনায়, ঘর ভেঙ্গে নিল আশা এনজিও

০৩ রা মে, ২০১৫ সকাল ১১:১৫




গরীবের দু:খ লাগবে জন্ম এনজিও'র। তবে বাস্তবে তারা গরীবের জন্য কতটুকু কাজ করছে তা নিয়ে প্রশ্ন বহুকাল ধরে। এমন অনেক এনজিও আছে যারা শুধু ঋণ বিতরণ অর্থাৎ সুদের ব্যবসা নিয়েই ব্যস্ত। এদের মধ্যে আশা অন্যতম। বৃহৎ এ সুদের কারখানা সমাজে তেমন অবদান রাখে বলে শোনা যায় না। তবে ঋণ আদায়ে এরা পটু।

এবার শোনা গেল মাদারীপুরে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পারায় এক নারী দিনমজুরের বসতঘর বেচে দিয়েছে ক্ষুদ্র ঋণদাতা বেসরকারি সংস্থা আশা।

গত ২ ফেব্রুয়ারি আশার সমিতির হাট শাখা থেকে ১৫ হাজার টাকা ঋণ নেন কালকিনি উপজেলার এনায়েতনগর এলাকার কাচারিকান্দি গ্রামের আলী খার স্ত্রী নাছিমা বেগম । প্রথম চারটির পর আর কিস্তি দিতে না পারায় এনজিওর কর্মকর্তারা ওই পরিবারের ওপর নানাভাবে চাপপ্রয়োগ
করেন বলে অভিযোগ করেছেন তারা।

নাছিমার মেয়ে লিমা স্থানীয় এনায়েতনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। কিস্তির টাকা পেতে বিভিন্ন সময়ে এনজিওটির কর্মকর্তারা লিমার স্কুলে গিয়েও নানা মানহানিকর মন্তব্য করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

লিমা জানায় - মায়ের ঋণের কারণে এনজিওকর্মীরা কিস্তির টাকার জন্য বিভিন্ন সময়ে আমার স্কুলে গিয়ে অন্য ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্যে বসে সম্মানহানিকর কথা বলে। আর সন্ধ্যার পরে আমাদের ঘরে এসে বসে থাকে।

ঋণের পুরো ১৫ হাজার টাকায় বাড়ি বিক্রির কথা জানালেও এনজিওটি নাছিমার দেওয়া চারটি কিস্তির টাকা ফেরত দেয়নি বলে অভিযোগ করেন এই নারী।

এ ব্যাপারে আশার সমিতিরহাট শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুর রউফ বলেন, ঋণের কিস্তির টাকা শোধ করতে না পারায় ওই পরিবারটিই ঘর বিক্রি করেছে। আমরা শুধু ক্রেতা ঠিক করে দিয়েছি।

আশাসহ বিভিন্ন এনজিও সেবার চেয়ে ঋণ বা সুদের ব্যবসা করতেই বেশী পছন্দ করে। তারা একজন সদস্যকে ৫ থেকে ১০ বা ১৫ হাজার টাকা ঋণ দেয়। যা দিয়ে কোন ব্যবসা করা যায় না। বরং সেই ঋণ দিয়ে দেনা শোধ , মেয়ের বিয়ে, চিকিৎসা, ঘর নির্মাণ করে টাকা শেষ করে ফেলে। পরে ঋণ শোধ করতে গিয়ে সমস্যা হয়।

এনজিওগুলো সরকারি নিয়মনীতিও মানে না। নিয়ম হল ঋণ নেয়ার ২ সপ্তাহ পর কিস্তির টাকা শুরু হবে কিন্ত অনেক এনজিও ১ সপ্তাহ পর থেকেই তাদের টাকা আদায় করে। মাঠ পর্যায়ে কাজ করে অনেক এনজিও কর্মীর বিরুদ্ধে নানা রকম অভিযোগ শোনা যায়। টাকা আত্মসাত, রুক্ষ আচরণ, নারীঘটিত ঘটনা। এসব দেখভালর দায়িত্বে রয়েছে রেগুলেটরী কমিশন। তবে তারা কতটুকু দেখে শুনে রাখে সেই প্রশ্ন থেকেই যায়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮

শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেছেন: অন্যের টাকায় ভূরিভোজ, এটাই বাংলাদেশি এনজিওগুলোর কাজ।

২| ০৩ রা মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৪

আনোয়ার ভাই বলেছেন: হায় এনজিও

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.