নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.facebook.com/aoladhossainjoy

আওলাদ হোসেন জয়

আমাকে বুঝতে চেষ্টা করিও না, এটা তোমার সামর্থ্যের বাইরে। তুমি হয়তো চেনো আমি কে, কিন্তু তুমি কখনোই বুঝতে পারবেনা কি।

আওলাদ হোসেন জয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

রক্তিম সূর্যাস্ত

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০৮

Aolad Hossain Joy feeling রক্তিম সূর্যালোক লেগেছে মনে, ভালোবাসার অনুভূতি ছেয়ে আছে প্রাণে...


ভার্সিটি তে প্রথম দিন।
কেউ জানা শোনা নেই।
একা একা প্রথম দিন ক্লাস আসছি।

ভার্সিটির গেট দিয়ে ঢুকে আশেপাশে দেখে দেখে হাটছি।

কিছু বুঝে উঠার আগেই একটা মেয়ে আমার মুখে এক কাপ পানি ছুড়ে মারলো।
চোখ খুলে দেখি মেয়ে টা আমার দিকে তাকিয়ে আছে।

খুব রাগ হচ্ছে আমার।

মেয়ে টা চোখ দিয়ে ইশারা করে কয়েকজন সিনিয়র স্টুডেন্টস কে দেখিয়ে দিলো।

পরক্ষণেই সব বুঝে গেলাম।

মেয়েটা চাপা গলায় সরি বলল।
আমিও " it's ok" বলে চলে গেলাম।

সেদিনের মতো মেস এ ফিরে এলাম।
রাতে খাওয়া শেষে বসে আছি হঠাৎ মেয়ে টার কথা মনে পড়লো।

পরের দিন আবার মেয়ে টাকে দেখেছি তবে দূরে থেকে।

ইদানিং ওকে প্রাই ফলো করি।

আজ সোমবার। ক্লাস এ যাওয়ার জন্য বাহির হইছি।
একটু লেট হয়ে গেছে।
রিক্সাও পাচ্ছি না।
একটু মানুষিক চাপ লাগছে।

একটা একটা করে রিক্সা গুলো আসছে আর চলে যাচ্ছে।

সেরকমই একটা রিক্সায় সেদিনের ঐ মেয়ে টা আসছিলো।
আমি তাকিয়ে ছিলাম। কিছু বলার কোন ইচ্ছা ছিলো না।

রিক্সা টা আমার সামনে এসে দাঁড়ালো।

(মেয়েটা মিষ্টি কন্ঠে বলল)
_রিক্সার জন্য অপেক্ষা করতেছেন?

>জি।

_কিছু মনে না করলে, আমার সাথে আসতে পারেন।

>আমি একটু অবাক হলাম। আবার দেরিও হয়ে যাচ্ছিলো। তাই ঘার নারিয়ে সায় দিলাম।

(এবার সে একটু সরে বসে আমায় যায়গা দিল।
আমি নম্রতার সাথে উঠে বসলাম। কিছু বলছিনা।)

আবার সে বলল,
_আমি ঈশাত। BBA 1st year.

>আমি জয়। department of mathematics. same year.

_ওহ্।

>হুম।

(এভাবে কথা বলতে বলতে ভার্সিটি পৌছে গেলাম।)
আমার কোন ফ্রেন্ড ছিলনা। আসতে আসতে ঈশিতার সাথে নিয়মিত কথা হতে থাকে, দেখা হতে থাকে।
ফেসবুক এ ফ্রেন্ড হই।
রাত জেগে chat করি।
অনেক ভালো বন্ধুত্ব হই।

শরতের এক শান্ত বিকেলে আমি ওকে ফোন করি।

_হ্যালো,

>হ্যা, কই তুমি?

_বাসায়।

>একটু দেখা করতে পারবে?

_কোন কাজ আছে।

>আছেতো। ভাবছি,
আজ তোমায় নিয়ে ছুটে চলা মেঘের ভেলায় ভাসবো।
নীল আকাশে তোমায় নিয়ে অজানা পথে হারাবো।
দিনের শেষে উরতে উরতে
আপন গৃহে ফিরবো।

_কি বেপার? ম্যাথ ছেড়ে সাহিত্যে মননিবেশ করলে নাকি?

>আমি অপেক্ষা করছি। তাড়াতাড়ি আসো।

_কোথায়?

>কোথায় আবার? প্রতিদিন যেখানে দেখা করি।

(আমি ওর জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
কিছুক্ষণ পর ও আসলো।)

_কি বেপার? এতো তাড়া করে ডাকছো যে? বিশেষ কোন কারন?

>হুম। খুব স্পেসিয়াল।

_তো কি, শুনি!

(দূরে কাঁশবনের দিকে ওকে তাকাতে বললাম।)
>ঐ দেখো। আজকের দিনের সূর্যাস্ত হচ্ছে।

_হ্যাঁ, তো?

>আর, তুমি আমার পাশে আছো।

_ তুমি এটা দেখানোর জন্য আমায় এখানে ডেকে আনলে?

>না, একটা কথা বলার জন্য।

_কি বললে বলো।

>আমার জীবন সূর্য অস্তমিত হওয়ার পুর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত এভাবেই আমার পাশে থাকবে?

(আমার চোখের দিকে তাকিয়ে ও কিছুক্ষণ নিশ্চুপ হয়ে থাকলো)

_তুমি কখনই সোজা কথা বলতে পারো না?

>অভ্যাস নাই। তুমি তো জানোই।

_এখন থেকে অভ্যাস করো।
তানাহলে ১০০ বার কান ধরে উঠা বসা করাবো।

>১০০ বার? অনেক কষ্ট পাবো।

_আচ্ছা করাবো না।

>তোমার হাত ধরি?

_কেনো?

>এমনিতেই?

_না, ধরবানা।

>ওহ, সরি। ঠিক আছে। ধরবোনা।

_পাগল! ধরো।
মেয়েদের হাত ধরার আগে জিজ্ঞেস করতে নেই।

.....আমি ঈশিতার হাত দুটো আমার হাতে নিলাম।
দুজনে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছি।
আর একটা সূর্যাস্ত হয়ে যাচ্ছে।
আর একটা দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে।

আজ দুটো জীবন ঘনিভূত হচ্ছে। দুটি মন, মনের মানুষ খুঁজে পেলো।
সূর্যের লাল আভা এখনো সন্ধা আকাশে ভাসছে।

ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া দুটি হৃদয়ে সেই লাল ছুয়ে দিচ্ছে প্রতিটি পরতে পরতে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.