নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাকে বুঝতে চেষ্টা করিও না, এটা তোমার সামর্থ্যের বাইরে। তুমি হয়তো চেনো আমি কে, কিন্তু তুমি কখনোই বুঝতে পারবেনা কি।
ঘরটা অন্ধকার। আমি
ঘুমাচ্ছিলাম। ফ্যান টা ঘুড়ছে
মাথার উপর। সেহরি খেয়ে
ঘুমাইছি। সকাল ১০ টায় এলার্ম
দিয়ে রাখছিলাম।
এলার্ম বাজলো না, কিন্তু
একি? আমার চোখে মুখে
পানির ফোটা আসলো
কোত্থেকে? চোখে মুখে পানি
পরায় ঘুম ভেঙ্গে গেছে।
চোখ দুটো আলতো করে
খুলতেছি আর ভাবতেছি এসব।
চোখ খুলে দেখি ঈশিতা আমার
সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
ওর চোখ গুলো রাগে জ্বল জ্বল
করছে। দেখে ভয়ই লাগা উচিত
কিন্তু আমি মনে মনে
হাসতেছিলাম।
ও রাগলে আরও বেশি সুন্দর
লাগে। চেহারায় একটা রক্তিম
আভা চলে আসে। ঠোঁট দুটো
গাঢ় হয়ে আসে।
আমি অবলা ছেলের মতো
জিজ্ঞেস করলাম, কি হয়েছে??
ও হাতে থাকা পানি ভর্তি
গ্লাস টা আমার দিকে ছুড়ে
দিয়ে হন হন করে বাইরে যেতে
লাগলো।
আমি তৎক্ষণাৎ বললাম, কিছু
বলবা না তো জাগাইলা কেন?
এটা শুনে সে আবার ফিরে এসে
আমার হাতে থাকা গ্লাস টা
নিয়ে চলে গেল।
আমি একটু পর ফ্রেস হয়ে বাইরে
গিয়ে দেখি আম্মা কি যেন
করতেছে বসে বসে। আর ও গাল
ফুলিয়ে বসে বসে তা দেখছে।
আম্মা ওকে কি বলতেছে তা
আমি শুনতে পাচ্ছিলাম না।
আমার দিকে চোখ পরাতেই সে
ঘুরে বসলো।
আমি গিয়ে আম্মার পাশে
বসলাম।
_কি হয়েছে আম্মা? সকাল
বেলা পানি ছোড়া ছুড়ি হচ্ছে
কেনো?
=তোর ই তো দোষ। তুই ওকে
রাগাইস কেন?
_আমি আবার কি করলাম?
এতক্ষণে ঈশিতা পাশে থেকে
বলে উঠলো। "উনি ভালো
মানুষ। কিছুই করেন না।"
_দেখছো আম্মা? ঈশিতাও বলল
আমি কিছু করিনা।
এটা শুনে ঈশিতা জোরে গলায়
বলল "আম্মা।"
আম্মায় আমার কাধে আসতে
মেরে বলল, তুই ভালো হবিনা?
তারপর ঈশিতা কে ঘরের ভেতর
নিয়ে গিয়ে আম্মা কি যেন
ফিস ফিস করে বলল।
আমি বারান্দাতেই বসে আছি।
কিছুক্ষণ পর আম্মা বের হয়ে
এসে বলল কি হয়েছে রে?
আমি বললাম, তেমন কিছুনা।
কালকে রাতে ওকে একটা
টেডিবিয়ার কিনে দিতে
চাইছিলাম। কিন্তু মনে ছিলো
না। সেহরি খাওয়ার সময় বলছি
সকাল ৯ তার মধ্যে পাবা।
এদিকে আমিতো ১০ টায় এলার্ম
দিয়ে ঘুমাইছি।
তাই আগ্নেয়গিরিতে একটু
অগ্নুৎপাত ঘটেছে।
সব শুনে আম্মা আবার ঘরে
গেলো। জানিনা কি বুঝাইলো
ওকে।
বেরিয়ে এসে আমায় বলল যা ওর
কাছে।
আমি ঘরে ঢুকতেই ও আমাকে
বলল, "সরি, বাবু।" আমার ভুল
হয়ে গেছে।
কিছুই বুঝলাম না। আম্মা কি
যাদু করলো।
ও বিছানার এক কোনে বসে দুই
হাতে শাড়ির আঁচল
ঘোরাচ্ছিলো।
আমি পাশে গিয়ে বসলাম।
ওর হাত দুটো আমার হাতে
নিয়ে ওর চোখে চোখ রাখলাম।
অনেক ভালোবাসা লুকিয়ে
থাকে ঐ চোখ দুটাতে।
কি একটা চাওয়া কাজ করে সব
সময়। মনের ভিতরে আকুতি
জন্মে কখন কষ্ট দেব না ঐ মনে।
সারাজীবন সুখে রাখবো যেমন
এখনো আম্মা আমাদের আগলে
রেখেছে।
ওর চোখ গুলো টল টল করছে।
বুঝতেছি কেঁদে ফেলবে।
তার আগেই তাকে কাতুকুতু
দিয়ে বিছানায় গড়াগড়ি
খাওয়াতে লাগলাম।
#aoladhossainjoy
©somewhere in net ltd.