নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.facebook.com/aoladhossainjoy

আওলাদ হোসেন জয়

আমাকে বুঝতে চেষ্টা করিও না, এটা তোমার সামর্থ্যের বাইরে। তুমি হয়তো চেনো আমি কে, কিন্তু তুমি কখনোই বুঝতে পারবেনা কি।

আওলাদ হোসেন জয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন বেকারের প্রশ্ন!

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯


প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ‘অটোম্যান সাম্রাজ্য’ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের কাছে পরাজিত হলে আরব অধ্যুষিত ফিলিস্তিন ব্রিটিশ প্রশাসনের আওতায় চলে আসে। এ সময় (অর্থাৎ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ নাগাদ ও তার পরবর্তী সময়) পূর্ব ইউরোপসহ বলতে গেলে পুরো ইউরোপ জুড়েই বিভিন্ন স্থানে বংশানুক্রমে ইহুদি অভিবাসীদের বসবাস ছিল, যারা রাজনৈতিক, সামাজিক, আর্থিক সব দিক দিয়েই বেশি সুযোগ সুবিধা ভোগ করতো। এতে করে কোনো কোনো দেশ সংখ্যাগুরু খ্রিস্টানদের মাঝে অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং সেসব দেশের ক্ষমতাসীন শাসকদের কারও কারও পক্ষে দেশের অর্থনীতি ও রাজনীতিতে ইহুদিদের ভূমিকা নিয়ন্ত্রণ বা সীমিত করা ক্রমে কঠিন হয়ে পড়ে। একদিকে অর্থনৈতিকভাবে তুলনামূলক পশ্চাদপদ কিংবা সুবিধাবঞ্চিত সংখ্যাগুরু দেশবাসীর ক্ষোভ এবং অন্যদিকে অর্থনৈতিক সুবিধাভোগী সংখ্যালঘুদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক শক্তি ও প্রভাব প্রতিপত্তি-ইহুদিদের নিয়ে দেশে দেশে সৃষ্ট রাজনীতির এই টানাপোড়ন ইউরোপে তৎকালীন সময়ে ‘দ্য জুয়িশ কোয়েশ্চিন’ (ইহুদি প্রশ্ন) নামে বহুল পরিচিত। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের তথাকথিত ইহুদি প্রশ্নের সমাধানকল্পে ব্রিটিশ সরকার স্বদেশের ইহুদিদের সাথে সমঝোতায় আসে এবং ১৯১৭ সালে 'বেলাফোর ডিক্লারেশন’ (বেলাফোর ঘোষণা) নামে ইতিহাসখ্যাত এক চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। যে চুক্তি অনুসারে আরব অধ্যুষিত তৎকালীন ফিলিস্তিনে ইহুদিদের স্থানীয়ভাবে বসবাসের জন্য সুনির্দিষ্ট একটা ভূমি (রাষ্ট্র নয় অবশ্য) প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। তখন ফিলিস্তিনে বসবাসকারী ইহুদিদের আনুমানিক সংখ্যা দাঁড়ায় মোট জনসংখ্যার মাত্র ১১ শতাংশ।
পরবর্তী বছরগুলোতে ব্রিটিশ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে ইহুদিদের অনেকে ফিলিস্তিনে মাইগ্রেট করতে শুরু করে এবং ১৯৩০-১৯৩১ সাল নাগাদ ফিলিস্তিনে ইহুদি জনসংখ্যা বেড়ে প্রায় ১৭ শতাংশে গিয়ে দাঁড়ায় ।
এদিকে জার্মানীতে নাৎসি শাসক এসে ইহুদি নিধন কার্যক্রম শুরু করে দেয়। ইহুদি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জার্মানদের এই কুখ্যাত পরিকল্পনা ইতিহাসে ‘দ্য ফাইনাল সল্যুশন’ (চূড়ান্ত সমাধান) নামে পরিচিত। নিরাপত্তাহীনতার কারণে ও প্রাণভয়ে প্রচুর ইহুদি সে সময় জার্মান থেকে পালিয়ে ফিলিস্তিনে এসে আশ্রয় নিলে ফিলিস্তিনে ইহুদি অধিবাসীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়।
ইহুদি-মুসলিম জাতিগত গাঙ্গার ফল স্বরূপ ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর সাথে সশস্ত্র সংঘর্ষে লিপ্ত হয় ফিলিস্তিনি আরবরা যা ইতিহাসে ব্যর্থ ‘১৯৩৬-১৯৩৯ আরব বিদ্রোহ’ নামে পরিচিত। অবশ্য ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি আরবদের পরিকল্পিত বিদ্রোহ সফল না হলেও শেষ পর্যন্ত ‘হোয়াইট পেপার ১৯৩৯’ প্রণয়ন করে ব্রিটিশ সরকার ফিলিস্তিনে ইহুদিদের উপস্থিতি ও অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ করার প্রচেষ্টা করে। এরপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন হিটলারের নেতৃত্বে জার্মানিতে ইহুদিদেরকে নিশ্চিহ্ন করার ‘নাযি হলোকস্ট’ সংঘটিত হলে অসংখ্য ইহুদি পালিয়ে ফিলিস্তিনে এসে আশ্রয় নিলে বেআইনি ইহুদি অভিবাসীর সংখ্যা বহুগুণে বৃদ্ধি পায় যা উক্ত এলাকায় বসবাসকারী ইহুদি-মুসলিম সম্পর্কে চরম অবনতি ঘটায় এবং দুই জাতির ভেতর ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার জন্ম দেয়।
তখন নবগঠিত জাতিসংঘের হাতে ব্রিটিশ সরকার দায়িত্ব অর্পণ করে ফিলিস্তিনের ইহুদি-মুসলিম সমস্যার একটা শন্তিপূর্ণ সামাধান করে দেওয়ার জন্য। জাতিসংঘ ১১ সদস্যের একটা নিরপেক্ষ কমিটি গঠন করে এবং তাদের মাসাধিক কাল গবেষণালব্ধ পরামর্শ অনুযায়ী ১৯৪৭ সালে ইহুদি অধ্যুষিত ‘ইসরাইল’ ও মুসলিম অধ্যুষিত ‘ফিলিস্তিন’ নামের দুটো পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব করা হয়।
তখন থেকে এখন পর্যন্ত ইসরাইল এর উত্থান ও ফিলিস্তিনের বিনাসের গল্প কার না জানা???? অভিবাসী হয়ে আসা ইহুদিরা একটা ভূখণ্ডকে ভেঙ্গে নিজেদের করে গড়ে নিয়েছে।
এই ইতিহাস বলার কারন হলো এখন দেশের সব সাধারণ জনগণের জন্য জাতীয় হুমকি হলো রোহিঙ্গা সমস্যা। যেটার বর্ত্তমান অবস্থা সম্পর্কে সবাই অবিহিত। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কে প্রতিবেশী হিসেবে যথেষ্ট সাহায্য করেছে বাংলাদেশ যা নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। কিন্তু তাদের অভিবাসী হিসেবে নোয়াখালীর ভাসান চরে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত টা কি সেই 'বেলফোর ডিক্লারেশন' এর পরবর্তী ফলাফল কে মনে করিয়ে দেয় না????? হয়তো তাদের সাহায্য করার মতো তেমন কেউ নাই কিন্তু উস্কানি দেওয়ার মতো লোকের কি অভাব হবে?
তাদের এই পুনর্বাসন প্রকল্পে ব্যয় ধরা
হয়েছে ২ হাজার ৩১২ কোটি
টাকা। যার সম্পূর্ণটাই সরকারি তহবিল
থেকে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়।
আবার, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রাক্কলন অনুসারে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ১৬০২ মার্কিন ডলার। সেই হিসাবে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গার মাথাপিছু আয় হওয়ার কথা ১১২ কোটি ডলার বা ৮ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা। কিন্তু শরণার্থী রোহিঙ্গাদের আয়ের কোনো উৎস নেই। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ দেশের মানুষের মাথাপিছু ব্যয় প্রায় ৭০০ ডলার। কিন্তু রোহিঙ্গাদের ব্যয় থাকলেও বৈধপথে আয়ের কোনো উৎস নেই। সেই হিসাবে এই ৭ লাখ রোহিঙ্গার পেছনে সরকারের বছরে ব্যয় হবে প্রায় ৪৯ কোটি ডলার বা ৩ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা।

একটা আশঙ্কাজনক অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ যার কোন ইতিবাচক দিক নেই বরং নেতিবাচক দিক দিয়ে ভরা। এমন একটা বিষয়ে সরকার কেন দেশের মানুষের উপর স্থায়ী চাপ সৃষ্টি করছে????
.
এখন হয়তো অনেকেই আমার মানবতা, মনুষ্যত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। তাদের কে জানিয়ে দিতে চাই যে, বিবিএসের হিসাবে বাংলাদেশে ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে অর্থনৈতিকভাবে কর্মক্ষম শ্রমশক্তি ৬ কোটি ৭ লাখ। এ শ্রমশক্তির মধ্যে ৫ কোটি ৮০ লাখ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত। বাকি ২৭ লাখ বেকার।(শিক্ষিত)
অবশ্য তাদের প্রতিবেদনেই বলা হয়েছে, পরিবারের মধ্যে কাজ করে কিন্তু কোনো মজুরি পান না এমন মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ১১ লাখ। এ ছাড়া আছে আরও ১ কোটি ৬ লাখ দিনমজুর, যাদের কাজের নিশ্চয়তা নেই। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার
(আইএলও) হিসাব অনুযায়ী এরাও
বেকার। এ হিসাবে বিবিএসের
তথ্য অনুযায়ী বেকারের সংখ্যা
দাঁড়াচ্ছে ২ কোটি ৪৪ লাখ।
রোহিঙ্গাদের ফ্রি খাদ্য দিবে নাকি কাজ?
কাজ দিবে? তাহলে এই এই বেকার দের কি হবে?
আমি Aolad Hossain Joy, বাংলাদেশের মতো একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নাগরিক হওয়া সত্ত্বে সকল দল, মত, ধর্ম এক পাশে রেখে নাগরিক অধিকার নিয়ে সরকারের কাছে জানতে চাই যে, প্রায় ৭ লক্ষ অভিবাসীর খাদ্য ও কর্ম আগে নিশ্চিত করা জরুরী নাকি ২৭ লক্ষ শিক্ষিত বেকার তথা ২ কোটি ৪৪ লক্ষ বেকারের কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা করা আগে জরুরী??
তাদের পুনর্বাসন এর ব্যবস্থা করে আমাদের উত্তরসূরিদের ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনীদের মতো করা বুদ্ধিমানের কাজ নাকি প্রায় ১০ লক্ষ গৃহহীনদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা উচিত????

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ একটা সমস্যার কথা সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন।
এখন তো বিদেশ থেকে সাহায্য আসাও বন্ধ হয়ে গেছে।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১২

আওলাদ হোসেন জয় বলেছেন: রাজীব নুর ভাই,
আপনি, আমি, আমরা সমস্যা হিসেবে নিচ্ছি। কিন্তু সরকার কেনো তা সেভাবে নিচ্ছে না???

২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯

প্রামানিক বলেছেন: চিন্তার বিষয়

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২০

আওলাদ হোসেন জয় বলেছেন: বিষয় টা তো চিন্তারই।
সাথে সমাধানের চিন্তা করাটাও আপনার আমার সবার উচিত।

৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: আওলাদ হোসেন জয় ,




গুরুত্বপূর্ণ একটা সমস্যার কথা সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন।
রাজীব নুর এর মতো আমিও বলি তা্-ই । আসলেই ভেবে দেখার মতো ।

বেলফোর চুক্তির মতোই বাংলাদেশ ও বার্মার চুক্তিটাও না হয়ে যায় । রোহিঙ্গাদের পূনর্বাসনের আগে সরকারের উচিৎ ছিলো দেশবাসীর ম্যান্ডেট নেয়া ।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২২

আওলাদ হোসেন জয় বলেছেন: আহমেদ জী এস ভাই,
সরলারের তো অনেক কিছুই উচিত।
কিন্তু শুধু অনুচিত কাজ গুলোই কেনো করতেছে সরকার!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.