নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাকে বুঝতে চেষ্টা করিও না, এটা তোমার সামর্থ্যের বাইরে। তুমি হয়তো চেনো আমি কে, কিন্তু তুমি কখনোই বুঝতে পারবেনা কি।
বর্ষাকাল।
বাস স্ট্যান্ডে দাঁডিয়ে আছে আবির।
বাস টা আসতে লেট করছে।
তাই সে এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখছে।
অনেক মানুষ।
কথার রাশিমালা ছুটছে।
বাচ্চার কান্নার আওয়াজ আসছে।
বৃষ্টির টুপটাপ শব্দ ভাসছে তার কানে।
এবার পিছনে মাথা ঘোরাতেই দেখলো একটা মেয়ে।
প্রথম দেখাতেই যেন তার নজর থমকে গেলো।
বৃষ্টির টুপটাপ শব্দ গানে পরিণত হলো।
হালকা হিমেল হাওয়া ভালোবাসার প্রতিধ্বনি মনে হলো।
মেয়ে টা স্টান্ডে এসে দাঁড়ালো।
আবির এখনও ওর দিকে তাকিয়ে আছে।
লম্বা সালোয়ারকামিজ আর ওর্না পরা মেয়ে টা।
হাতে একটা ক্লাসিক মডেলের ঘড়ি।
কানে হেডফোন।
চুল গুলো ছেড়ে দেওয়া।
সাথে একটা সাইড ব্যাগ।
আবির যেন কোন ভাবেই চোখ সরাতে পারছে না।
একটু পর বাস আসলো আর মেয়ে টা সেই বাস এ চলে গেলো।
আবির এখনও ওখানে দাঁড়িয়ে।
পরের দিন আবার আবির আসলো সেই স্টান্ডে বাট মেয়েটা আসলো না।
এভাবে কয়েক দিন যাওয়ার পর একদিন আবির ঐ মেয়ে টাকে একই যায়গায় আবার দেখলো।
এবার মেয়ে টা যে বাস এ উঠলো আবির ও সেটাতে উঠে।
পাশের সিটে গিয়ে বসলো।
(মেয়েটা নিজে নিজে কি যেন বলছে)
hi,
_জি? আমাকে বলছেন?
হ্যাঁ, আপনাকে। আপনি কি কিছু বলছেন?
_কথা গুলো বাতাসের মত ঠিক ধরা যায় না।
আমি আবির।
_আমি সারা।
(এভাবে হয় তাদের বন্ধুত্ব। শুরু হয় কথা বলা)
৩ মাস পর....
আজ সোমবার!
আবির পার্কে সারার জন্য ওয়েট করছে।
মেয়ে টা ৩:১৫ টায় আসতে চেয়েছে।
অথচো ৩:৫০ বেজে গেলো আসার নাম নাই।
হঠাৎ সারা কে দেখা গেলো আসতে। আবির উঠে দাঁড়ালো।
আবির সাদা শার্ট পরে হাতে একগুচ্ছ গোলাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
সারা কে আজ অনেক সুন্দর লাগছে।
নীল শাড়ি পরে এসেছে মেয়েটা।
কপালে ছোট্ট একটা টিপ।
চুল গুলো খোলা।
কেমন আছো?
_ভালো। তুমি?
ভালোই।
_সরি, একটু লেট হল।
ইটস ওকে। তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে।
_থাংক্স।
ওহ, ইটস ফর ইউ(আবির ফুলের গুচ্ছ গুলো সারার দিকে বারিয়ে দেয়)
_ওয়াও। অনেক সুন্দর। থাঙ্ক ইউ।
ওয়েলকাম।
(আভির অনেক নার্ভাস। মনের কথাটা খুলে বলতে পারছে না। সারা সবই বুঝেছে। বাট চুপ হয়ে আছে)
দুজনে বেঞ্চে বসে আছে।
একটা কথা বলতে চাই সারা, তোমাকে?
_কি কথা?
আমি যদি বলি যে "আমি তমাকে অনেক ভালোবাসি" তাহলে কি তুমি খুব রাগ করবে?
_বেশি দেরি করে বললে রাগ করতেও পারি।
(দুজনে চুপচাপ বসে আছে)
তোমার হাত দুটো ধরতে পারি?
_হাত ধরার আগে মেয়েদের জিজ্ঞেস করতে নেই।
(আবির সারার হাত দুটো ওর হাতে নেয়)
_হাত ধরেছো কখনো ছেড়ো না যেনো!
ছাড়ার জন্য ধরিনি তো।
দুজোনের চোখ দুজোনের চোখে।
ভালোবাসার চাদোর তাদের ঘিরে আছে।
প্রকৃতি টা স্তব্ধ।
দুটি মনের মিলনে সেটা আরও সজিব হয়ে উঠেছে।
দু একটা পাখির ডাক শোনা যাচ্ছে।
ওরা দুজোন পাশা পাশি বসেই আছে........
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩২
আওলাদ হোসেন জয় বলেছেন: হ্যা কলি আপু। হয়তো কোন আঁধারে ঢাকা ঝুম সন্ধ্যায় কাহিনী গুলো বিস্তৃত করলে করতেই পারি।
২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা, তাই না?
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৩
আওলাদ হোসেন জয় বলেছেন: রাজীব ভাই, সঠিক উত্তর দেবো না।
৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৩
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: তিন মাস যাতে এক যুগে গিয়ে দাড়ায়, সেই কামনাই করি । একটা সম্পর্কের টিকে থাকা অনেক বড় ব্যাপার । ভেঙে যাওয়া টা যেন খুব সহজ । গল্পের নায়ক নিশ্চয় সফল হবেন ।
একটা প্রশ্ন , গল্পের নায়করা কেন নীল রং টা পছন্দ করে ? এর বিশেষত্ব কি ।
গল্প ভালো লেগেছে । চালিয়ে যান ।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৭
আওলাদ হোসেন জয় বলেছেন: নীলের গভীরতা এক বাক্যে প্রকাশের নহে।
ধন্যবাদ নূর-ই-হাফসা। কেউ যখন বলে লেখা পড়ে ভালো লেগেছে তখন আম্র খুশি খুশি লাগে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৬
কামরুননাহার কলি বলেছেন: তার পরের কাহীনি গুলি লিখবেন না। জয় ভাইয়া।