নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.facebook.com/aoladhossainjoy

আওলাদ হোসেন জয়

আমাকে বুঝতে চেষ্টা করিও না, এটা তোমার সামর্থ্যের বাইরে। তুমি হয়তো চেনো আমি কে, কিন্তু তুমি কখনোই বুঝতে পারবেনা কি।

আওলাদ হোসেন জয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপন দৃষ্টি

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৫

তড়িঘড়ি করে তৈরি হচ্ছে, আপন।
আর বার বার ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছে।

তৈরি হয়ে ঘরের দরজা লাগিয়ে বেরিয়ে পরলো সে।
বারান্দা পার না হতেই কি যেনো মনে পরলো তার। আবার ঘরে ফিরে এলো।

নীল ফ্রেমের চসমা টা চোখে দিলো।

বেরিয়ে একটা CNG ডেকে বলল স্কয়ার হসপিটাল যেতে।

আপন এর মন খুব একটা ভাল নেই। মনে হয় জীবনের অতি মূল্যবান কিছু একটা জিনিস সে হারাতে বসেছে।
পৃথিবীতে দুই ধরনের মানুষ আছে,
১. যারা ভালোবাসা পায়,
২. যারা ভালোবাসা পায় না।
আপন এর একটা তেও পরে না।
ভালোবাসা পেয়েও আজ সে হারাতে বসেছে। না পাওয়ার ক্রন্দন তাকে তিলে তিলে পুড়ে মারছে।

হসপিটাল এর ফোর্থ ফ্লোর এ উঠে আর যেন সে চলতে পারছে না।
পা দুটো আটকে আছে।
উত্তরের শেষ রুম টাতে দৃষ্টি আছে।

দৃষ্টি। নাম টা মনে হলেই যেন বুকের ভেতর একটা কষ্টের ঢেউ বয়ে যায় আপন এর।
রুমের দরজা হালকা করে খুলে আপন একটু উঁকি দিয়ে দেখলো কি করছে মেয়ে টা।

শান্ত রুম।
বেডে শুয়ে আছে দৃষ্টি।
মনে হচ্ছিলো ঘুমাচ্ছে।
কিন্তু আপন রুমে ঢোকার সাথে সাথে চোখ খুলে চেয়ে দেখলো সে।

_আপন!

কেমন আছো, দৃষ্টি?

_সেটা আর তোমার থেকে কে বেশি জানে বল?

(আপন দৃষ্টির পাশে গিয়ে বসে। দৃষ্টি একটু উচু হয়ে বসতে চেষ্টা করলো। আপন তাকে সাহায্য করলো)

এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে দুজন দুজনের দিকে।

_আমাকে একটু জানালার পাশে নিয়ে যাবে, আপন? কত দিন হল চোখ খুলে আকাশ দেখিনা।

(আপন দৃষ্টি কে হুইল চেয়ার এ বসিয়ে ভেলকনি তে নিয়ে গেলো)
(দৃষ্টি দু হাত মেলে দিয়ে একটু বড় নিঃশ্বাস নিলো)
আপন দৃষ্টির হাতে হাত রেখে হাটু গেরে বসে পরলো।

_আপন?

হুম,

_আমি যখন ঐ আকাশের তারা হব তখন কি সন্ধ্যা বেলা তুমি আমায় হাজার তারার ভীরে খুঁজে নেবে?

রাতের আকাশে যখন চাঁদও থাকবে তখনও আমি শুধু তোমাকেই কল্পনা করবো।

_তোমার মনে আছে আমি যেদিন প্রথম তোমায় দেখেছিলাম তুমি এলোমেলো চুলে একটা পাঞ্জাবি পরে আমাদের ক্যাম্পাস এর ঐ নীম গাছ টার নিচে দাঁড়িয়ে ছিলে।

হুম, আর তুমি একটা নীল রং এর ড্রেস পরে আমার সামন দিয়ে যাচ্ছিলে।

_তুমি অমন ছিলে কেনো? আগে আমাকে দেখে hi ও বলতে না।

ভয় পেতাম।

_বাহ, রে। আমাকে ভয় পাবে কেনো!

তুমি অনেক রাগি ছিলে, তাই। তোমার মনে আছে? যেদিন আমি তোমায় "ভালোবাসি" বলেছিলাম, তুমি ব্যাডমিন্টন এর racket নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলে। আমি তো ভাবছিলাম কে জানে তুমি আমায় মাইর ই দেও নাকি!

_হে হে (দৃষ্টি মৃদু হাসে)। আমিও তো তোমায় ভালোবাসি। তোমায় মারতে পারি বলো?

(এই হাসি ভরা মায়া মাখা মুখ খানি কিছুতেই চোখের আড়াল হতে দিতে চায় না আপন)

কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। প্রকৃতি তাদের আর এক সাথে থাকতে দিলো না।
দৃষ্টির ক্যান্সার হয়েছে। লাষ্ট স্টেজ।
কোন এক কাক ডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে আপন শুনবে, দৃষ্টি আর নেই।
তার দৃষ্টির অগোচর হারিয়ে গেছে সে। হাজারো তারার দেশে নিজেকে বিরাজমান করে রেখেছে আর মিটি মিটি হাসছে....

আপন দৃষ্টির মাথা টা নিজের কাধে নেয়। আর হাত বুলাতে থাকে তার কপালে।
দুজনে বসে থাকে পাশাপাশি।
আকাশের মেঘ গুলো উড়ে চলছে।
ঘড়ির কাঁটা ঘুড়ছে টিক টক, টিক টক.....

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: আর একটু গুছিয়ে লিখতে চেষ্টা করুন।

২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২৪

আওলাদ হোসেন জয় বলেছেন: উপদেশের জন্য ধন্যবাদ। আমি চেষ্টা করবো।

৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২৪

আওলাদ হোসেন জয় বলেছেন: উপদেশের জন্য ধন্যবাদ। আমি চেষ্টা করবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.