নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

((((এক দিন আমি চলে গেলে- ছেড়ে এ গ্রহ,যদি আর কোন দিন কোন খানে নাহয় জনম, কেমনে ভাবিব আমি এইখানে শতেক বছর, একশত কোটিবার নিয়েছিনু দম!! ছিলো ঝিনুকের মত গোল নদীটার তিরে মোর ঘর।)))) **ধর্ম বিশ্বাস মানুষকে সুখ দেয়, কারণ ধর্ম মানুষকে আশাবাদী করে, মানুষ বুঝতে পারে

প্রথম বাংলা

দুপেয়ের পরিচয়ে এসেছি মাটির ধামে, মানুষের রূপ পেতে হৃদয়ে কামনা করি রোজ। পরিচয় নেই কিছু আর, এর ভালো যদি খুজে পাই! এই আশাটাই মন সম্বোঝ।

প্রথম বাংলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বর্গ-পথিক

২৭ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮

আজব সৃষ্টিজগতে সবচাইতে আজব হলো মানুষ। সেটা সৃষ্টির অনন্যতার দিক থেকে যতটা তার চাইতে সভাবে অনেকখানি বেশি।
এক সময় এ পৃথিবী সবারই ছিলো গাছ প্রাণী জীব ইত্যাদি সবার। এর মাঝে আগমন হলো আদম-হাওয়ার। যার ছানাপুনা আজ পৃথিবীর আপদ। (ডোন্ট মাইন্ড)।
এই আদমের সন্তনেরা, মানে আমরা যখনি বুঝতে পাড়লাম পৃথিবীতে আমাদের চাইতে আর কোন বুদ্ধিমান প্রাণি নাই তখনি একদিন ঘোষণা করলাম যে আমরাই পৃথিবীর শেরা। আমরা পৃথিবীর অধিকর্তা। যদিও আমরা মানুষরাই পৃথিবীর বেশি ক্ষতি করে চলেছি।
একজন মানুষ হিসাবে আমিও একটু স্বার্থপর হয়ে ঘোষণা করলাম যে আমিও এই মানবশেরা মতবাদের পক্ষে। যেহেতু বুদ্ধিতে আমরা শেরা তাই আমাদের কেউ আটকাতে পারবেনা।
কিন্তু বিপত্তি দেখা দিলো এর পরে। যখন এই বড়ত্বের লড়াই চলে আসলো এক সময় এই আদমেরই সন্তানদের মাঝে তখন। বিভিন্ন ভাগে আদমের সন্তানেরা ভাগ হতে লাগলো আর নিজেরা নিজেদের সবার শেরা ঘোষণা করতে লাগলো। এক সময় হাজার হাজার ধর্মে বর্ণে গোত্রে ভাগ হেয় গেলো আদমের সন্তানেরা। কেউ আরম্ব কলো বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির উপাসনা কেউ আরম্ব করলো নিরাকার সৃষ্টিকর্তা, মানে আল্লাহর, অবশ্য যার যার নিজ নিজ ভাষায় যে নাম আসে। যারা প্রকৃতির বিভিন্ন শক্তির উপাসনা করতে আরম্ব করলো তাদের দাবি এই শক্তি সৃষ্টি কর্তার বিভিন্ন রূপ। তারা বিভিন্ন রূপের বিভিন্ন প্রতিমা তৈরি করতে আরম্ব করলো। আর নিজেদের মতবাদকে ঘোষণা করলো সব চেয়ে সঠিক। আর যারা একিঈশ্বরবাদী, বিমূর্ত সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী তারা ঘোষণা করলো এটি শিরিক এটি করা যাবেনা। কারণ সৃষ্টিকর্তার সমান কিছুই নয় আমরা কোন কিছুকে তার সমান করে ভাববোনা। এটি ক্ষমার অযোগ্য। কথা ১০০ ভাগ সঠিক, পৃথিবীতেই দেখা যায় পোস্টারে বড় নেতার নামের সাথে কাওকে শরিক করা যায়ন। এটি নেত্রিত্বের প্রটোকল পরিপন্তি, তাহলে সৃষ্টিকর্তা কিভাবে তার সমকক্ষ মেনে নেবেন?।

এখন সারা দুনিয়ার মানুষ আমরা বিতর্কে নিমজ্জিত। সবারই দাবি আমাদের ধর্ম ই ১০০ ভাগ সঠিক। আমরা বিধাতার পক্ষের লোক আমরাই স্বর্গের দাবিদার আর সবাই নরকে যাবে। যেমনটা আমিও ভাবি। আবার প্রত্যেকটা ধর্মের মাঝেও দেখা দিয়েছে গোত্র সমস্যা। আজ আমরা সবাই বিভিন্ন দল এরং গোত্রে বিভাজিত। প্রতিটা দল বা গোত্রই মনে করছে সেই এক মাত্র সঠিক পথে আছে আর সবাই বিপথে। আবার প্রতিটা গোত্রের মাঝেও আছে ব্যক্তিগত দন্দ। কে সব চাইতে ভালো ব্যখ্যাকারি, কে সব চইতে ধার্মিক, কে সবচাইতে সঠিক পথে আছে তা নি আছে ব্যক্তিগত অহংকারের দন্দ।
সবাই নিজেকে এভাবে ভাবে-- মহাকাশে আমরা মানুষরাই শেরা, মানুষের মাঝে আমার ধর্মের মানুষই শেরা, আমার ধর্মের মাঝে আমার বর্ণের মানুষ শেরা, আমার বর্ণের মাঝে আমার গোত্র শেরা, এর মাঝে শেরা হলাম আমি। মানে শ্রেষ্ঠত্বের গ্রেভিটি স্ট্রাক্চার।
কিন্তু আমরা কেহই ভাবিনা ধর্ম মানে জীবন বিধান। সব ধর্মগুরুরা যে জিনিসটা ব্যখ্যা করে গেছেন তা হলো কিভাবে সর্বোত্তম ভাবে মানব জাতি পৃথিবীতে টিকে থাকতে পারে । এর মাঝে নিজেদের জন্য ক্ষতিকর এবং বিবেধের বিধানগোলো যোগ করেছি আমরা আমাদের ঐ শ্রেষ্ঠত্বের গ্রেভিটি স্ট্রাকচার দিয়ে।
আমরা মানুষরা যতটানা ভালো কাজ করি তার চাইতে বেশি সৃষ্টিকর্তার তোষামুদি করি। অথচ আমরা এই জিনিষটািই জানিনা, স্রষ্টা তোষামুদিতে নয় ভালো কাজে খুশি হন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৬

কাইকর বলেছেন: ভাল লিখেছেন

২| ২৮ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবীর কেউই ধর্ম নিয়ে জন্ম নেয় না; এটা পৌতৃক সম্পত্তির মত একটা বিষয় মাত্র ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.