নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

((((এক দিন আমি চলে গেলে- ছেড়ে এ গ্রহ,যদি আর কোন দিন কোন খানে নাহয় জনম, কেমনে ভাবিব আমি এইখানে শতেক বছর, একশত কোটিবার নিয়েছিনু দম!! ছিলো ঝিনুকের মত গোল নদীটার তিরে মোর ঘর।)))) **ধর্ম বিশ্বাস মানুষকে সুখ দেয়, কারণ ধর্ম মানুষকে আশাবাদী করে, মানুষ বুঝতে পারে

প্রথম বাংলা

দুপেয়ের পরিচয়ে এসেছি মাটির ধামে, মানুষের রূপ পেতে হৃদয়ে কামনা করি রোজ। পরিচয় নেই কিছু আর, এর ভালো যদি খুজে পাই! এই আশাটাই মন সম্বোঝ।

প্রথম বাংলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

যদি কারো নজরে পরে

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:০৯

ফেন্চুগঞ্জ সার কারখানার বর্জ্যে দুষিত হয়ে কয়েশ মাইল নদীর মছ মারা গেল আজ। কুশিয়ারায় মাছ মরেযাওয়া নতুন নয়, আজ থেকে ৮ বছর আগে ২০১০ সালে প্রথম আলোতে একটি রিপোর্ট হয়, যেখানে দেখানো হয় কী ভয়াবহ ক্ষতি হচ্ছে দেশের মৎস্য সম্পদের আর জন স্বাস্থ্যের।
কিন্তু কোন লাভ হয়নি। কারণ সরকারের এদিকে কোন খেয়াল নেই। খেয়াল হলো কিভাবে বিরোধী দল শায়েস্তা করা যায়। সব সরকারেই। রিপোর্টের আগে নিয়মিত ধিরে ধিরে মিশতো আর রিপোর্টের পর এখন জমিয়ে রাখা হয় এবং তা ফি বছরে একবার ছারা হয় সুরমায়।

যে সকল উপাদান সারকারখানার বর্জে্র সাথে থাকে তা হলো পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড, অ্যাসিটিক এসিড, অ্যামোনিয়া, সালফিউরিক এসিড, কার্বন ডাই-অক্সাইড, সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড, কপার কমপ্লেক্স ইত্যাদি। এসব যখন নদীর পানিতে ছারা হয় তখন পানির অক্সিজেন এবং পিএইচ মাত্রা প্রায় শুন্যের কোটায় নেমে আসে। বড় মাছগুলো আথ মরা হয়ে ভেসে উঠে পানির উপরের স্থরে আর ছোটগুলো মরে মিশে যায় মাটির সাথে। যে মাছ গুলো জীবীত থাকে তাদের প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।

একটা সরকারী সার কারখানায় যদি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকে, যদি কয়েকশ কিলোমিটার নদীল মাছ এভাবে নষ্ট করে দেয়া হয় তাহলে আর আমাদের ৪১ সাল ৪১ সাল করে কী লাভ। তখনতো দেখবো দেশে কোন মাছ নেই মাছে ছবি টানানো। খেতে কোন ধান নেই খালি পোষ্টারে আছে। এভাবে ভবিষ্যতের অন্ন সংস্থান নষ্ট করে খালি ছুয়াছে রুগের বিরুদ্ধে আইন করলে আর ২৫ গ্রাম মাদক বহনকারীরে মৃত্যু দন্ড দিলে কোন কাজ হবেনা। দেশ হয়তো থাকবে, মানুষও থাকবে, তবে ধুকে ধুকে বেচে থাকবে। এমনিতি নাকি বাংলাদেশের মানুষের স্টেমিনা সবচাইতে কম।

এসব নীতি যদি বদলানো না হয় যদি সব কিছুতে সঠিক ব্যবস্থাপনা করা না হয় তাহলে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম আরও দূর্বল এবং পুষ্টিহীন হয়ে যাবে।

সরকার যদি ছুঁয়াছে রোগের বিরোধ্যে কঠোর আইন করতে পারে, ২৫ গ্রাম মাদক বহকারীর সাজা মৃত্যূদন্ড দিতে পারে তাহলে এইযে দেশের কয়েকটা সারকারখানার বর্জ্য নিরব ঘাতক হিসাবে দেশের অর্থনীতির এতবড় খতি করছে আর জাতীয় জনস্বাস্থ্যের ব্যপক অবনতী ঘটাচ্ছে এর বিরোধ্যে কী ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ?।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:১৩

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আপনার বাড়ি ফেঞ্চুগঞ্জ?

আসলেই এটা চরম দুঃখের খবর!

২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষজনের আরও সতর্ক হওয়া উচিত।
আইন মেনে চলার মানসিকতা আমাদের দেশের মানুষদের একেবারেই নেই।

৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:২৩

পল্লব কুমার বলেছেন: একটা একটা করে সব নদী শেষ হয়ে যাইতেছে। এসব দেখার কেউ নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.