নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইমন ঃ তাহলে কেন আমার একা বিচার হবে?
বিচারকঃ কারন মামলা শুধু আপনার নামে হয়েছে।
বাদী উকিলঃ মহামান্য আদালত , বিচার তো এখন শেষ পর্যায়ে, সমস্ত সাক্ষ্য প্রমান পেশ করা হয়েছে তাতে সম্পূর্ন রূপে প্রমান হয় শুটার ইমন দোষী।
ইমন ঃ উকিল সাহেব আমি জানি আমি দোষী এবং আমি তা স্বীকার করে নিয়েছি । আদালত আমাকে শাস্তি দিতেই পারে , কিন্তু আমাকে একা শাস্তি দিলে তা হবে বৃথা।
বিচারক ঃ আপনি কি বলতে চান , পরিষ্কার করে বলুন।
ইমন ঃ যদি আদালতের সময় থাকে তো ন্যায় বিচারের স্বর্থে আমি নিজের সর্ম্পকে কিছু বলতে চাই।
বিচারক ঃ বলুন আপনার যা বলার আছে । কারন আইন অনুসারে আপনি আদালতে নিজের বক্তব্য রাখতে পারেন কিন্তু তা অব্যশই এই কেস সংক্রান্ত হতে হবে।
ইমন ঃ আমি ঢাকা কলেজ থেকে দর্শন বিষয়ে অনার্স ২য় বর্ষ পর্যন্ত পড়া লেখা করি । তারপর টাকার অভাবে ১ বছর গ্যাপ দেই । এই ১ বছর রিকশা চালানো , ফুচকা বিক্রী , কাওরান বাজারে মাল নামানো সহ আরও অন্যান্য কাজ করি। যা উপার্জন করি তা দিয়ে খেয়ে না খেয়ে অনার্স পাশ করি । আমার মনে আছে শেষ পরিক্ষার আগে ২ বেলা আমি খেতে পাই নাই । পরিক্ষা দেওয়ার পর অজ্ঞান হয়ে যাই। জ্ঞান ফিরে দেখি আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে । মনে মনে খুশি হই যাক অন্তত খাবার টা তিন বেলা পাবো । রেজাল্ট হওয়া পর্যন্ত ঝালমুড়ি বিক্রী করি । রেজাল্ট পাওয়ার পর না খেয়েও অনেক চাকরির আবেদন করি । অনেক গুলাতে ভাইভা বোড থেকে বাদ দিয়া দেয় । কারন আমার জামা কাপড় নাকি ভাইভার উপযোগী ছিলো না । তখন নিজের মধ্যে একটা চিন্তা আসলো , আমার চেয়ে ভাইভা বোড আমার পোশাকের গুরুত্ব বেশি দিলো , তার মানে ভালো মানুষ না, ভালো পোশাক হলো ভালো চাকরি পাওয়ার পূর্ব শর্ত ।
তারপর এক রকমের হতাশ হয়ে ভাবতে লাগলাম সমস্যাটা কোথায় । আমি সমস্যা খুজে বের করি একটা ঘটনার মাধ্যমে , আমার জুনিয়র এক ছেলের সাথে একদিন তার বউসহ পার্কে দেখা , তখন আমি ঝাল মুড়ি বিক্রী করি। তার সাথে আলাপ করে জানতে পারলাম সে কোন একটা সরকারী চাকরি করে । আমি তখন তার কাছে জানতে চাইলাম কিভাবে আমিও একটা সরকারী চাকরী পেতে পারি? তার উত্তর টা খুব সহজ ছিলো প্রচুর টাকা বা কোন নেতার তদবির লাগবে। আমার কাছে টাকা ছিলো না তাই আমি নেতার তদবিরের চেষ্টা করলাম । কিন্তু আমি হতাশ হলাম।
জর্জ সাহেব একবার ভালো করে দেখুন সমাজ আমাকে শিক্ষা দিলো খুব পরিশ্রম করতে, আমি করেছি । তারপর সেই সমাজই আমাকে বুঝালো শুধু পরিশ্রম না চাই আরো কিছু আর তা হলো নেতার তদবির আর নেতার তদবিরের জন্য দরকার টাকা ।
তখন আমি সমাজ টা কে বদলে দেওয়ার চিন্তা করলাম । সিন্ধান্ত নিলাম কোন সরকার দলীয় নেতাকে খুন করবো। যাতে তার তদবির নিতে না হয় ।
জর্জ সাহেব আমার প্রথম খুনের পর আমার জীবনটাই বদলে গেলো । সমাজে এখন যারা খুব নামিদামি ব্যক্তি তার আমার খোজ কারা শুরু করলো । এরপর খুনের দায়ে আমার জেল হলো ।জেলে আসার পর আমি দেখলাম কয়েদি রা আমাকে ভয় করে সম্মান করে । সম্মান কি জিনিস আমি সেই দিন উপলব্ধি করলাম। ১ বছর জেলে রাজত্ব ছিলো আমার ,তারপর কোন এক আজব ইশারায় আমাকে জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলো । আমি জেল থেকে বের হওয়ার পর জানতাম যে আমার আর চাকরি হবে না । কারন আমি খুনের দায়ে জেল খেটেছি ।
(চলবে)
( কাল্পনিক)
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৬
কৃষ্ণ কমল দাস বলেছেন: ৩য় অংশ পড়লে বুঝতে পারবেন আশা করি । ধন্যবাদ
২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: আর একটু সহজ করে গুছিয়ে লিখুন। তাহলে বুঝতে বেগ পেতে হবে না।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২০
কৃষ্ণ কমল দাস বলেছেন: চেষ্টা থাকবে কথা দিলাম...
৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২১
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২১
শাহিন বিন রফিক বলেছেন: প্রথম অংশ বুঝলাম, শেষের অংশ মাথায় ঢুকল না।