নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ইংরেজি সাহিত্যের একজন ছাত্র। আমি শিখতে ভালবাসি।

কৃষ্ণ কমল দাস

ছাত্র,ইংরেজি বিভাগ

কৃষ্ণ কমল দাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

শীতবস্ত্র বিতরন ও তার ফলাফল

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৬

আমি যদি প্রশ্ন করি বাংলাদেশে সামাজিক সংগঠন বা সমাজ সেবা মূলক সংগঠন মোট কতটি আছে ? উত্তর দেওয়া একটু কঠিন হবে। কারন আমাদের দেশে সমাজ সেবামূলক সংগঠন গুলো বেশির ভাগ মৌসুমি। তারা যখন দরকার তখন শুধু প্রস্তুতি নেয়। একটু পরিষ্কার করে বলি।
শীতকালে, মানে যখন প্রচন্ড শীত পরে তখন তারা শীতবস্ত্র বিতরনের কথা চিন্তা করে। তারপর কয়েক দফা মিটিং হয় তাতে কয়েক দিন সময় নষ্ট হয়। তারপর আরও কয়েক দিন ধরে চলে অর্থ উত্তোলন। অর্থ উত্তোলনের পর তা কিভাবে কাজে লাগানো যাবে তা নিয়ে আবার কয়েক দফা মিটিং হয়। এতে আরও সময় নষ্ট হয়। জানেন সব চেয়ে মজার ব্যাপার কি? মজার ব্যাপার হলো কম্বল কেনা মানে শীতবস্ত্র কেনা। উদ্যেগতারা সবচেয়ে কম দামে শীত বস্ত্র কিনে কারন তাতে অল্প টাকায় অনেক শীতবস্ত্র কেনা যায়। যার বেশিরভাগই মান হীন। তারপর আসে বিতরনের পালা। বিতরন হলো আরেক সিনেমা। মানে সিনেমার সুটিংয়ের মত ক্যামেরা নেয়া হয় অনেক গুলো যা দিয়ে বিভিন্ন ভঙ্গিতে ছবি তুলে তা ব্যাপক ভাবে প্রচার করা হয়।
আমি যে এত সময় একটা শীতবস্ত্র বিতরনের বর্ননা দিলাম তা কেন দিলাম তা বলতেছি। সাধারনত শীতবস্ত্র বিতরন করা হয় দেশে উত্তর অঞ্চলে। যেখানে সারা দেশের তুলনায় অনেক আগে শীতের প্রকোপ দেখা দেয়। কিন্তু হতাশার হলো সত্য যে আমাদের তথা কিথিত সেবা মূলক সংঘ গুলো যতদিনে মনে করে যে শীতবস্ত্র বিতরন করা দরকার তত দিনে ঐ সব এলাকার লোক শীতে কাবু হয়ে যায়। এবং ধারদেনা করে হলেও শীত বস্ত্র কেনে। তারপর অসুন নিন্মমানের শীত বস্ত্র প্রসঙ্গে, যখন সেই নিন্মমানের শীতবস্ত্র বিতরন করা তখন এর বেশির ভাগই মানুষ ব্যবহার করে না। মানুষ শীতবস্ত্র নেয় তারপর তা অন্য কারো কাছে বিক্রী করে দেয়। আমি এমনও দেখেছি দানের কম্বল দিয়ে মানুষ বর্ষা কালে পা মোছার কাজ চালায়।

এমন অবস্থায় কি করা যায় তা নিয়ে আমি একটা ধারনা তৈরি করেছি তা নিচে দেওয়া হলোঃ

১। সবার আগে জাতীয় ভাবে একটা কেন্দ্রীয় শীতবস্ত্র বিতরন কমিটি তৈরি করা বিশেষ দরকার । এতে সকল সেবা সংঘের কাজের মধ্যে একটা সমন্বয় তৈরি হবে।

২। শীতবস্ত্র সেই কমিটির মাধ্যমে শীত শুরু কমপক্ষে ১৫ দিন আগে বিতরনের ব্যবস্থা করা ।
৩। শীতবস্ত্র যেন মানসম্মত হয় সেই দিকে অব্যশই নজর দিতে হবে । কারন সমাজের কোন উন্নয়ন যদি টেকসই করা যায় তবে সমাজ অনেক এগিয়ে যায় । তাই মানসম্মত শীতবস্ত্র দিলে তা মানুষ একটানা অনেক বছর ব্যবহার করতে পারবে এবং মানুষ তা ব্যবহার করবে , বিক্রী করার চিন্তা করবে না।
৪। বিতরন ব্যয় যতটা সম্ভব কমানো ।
৫। যে এলাকায় বিতরন করা হবে সেই এলাকা সম্পর্কে পূর্ন্ ধারনা নেওয়া । এতে প্রকৃত দুস্থ মানুষ রা শীতবস্ত্র পাবে।
৬। যতটা সম্ভব বিতরন ব্যপারটা রাজনীতি মুক্ত করা।
৭। ছবি তুলে নিজের ঢোল না পেটালে ভালো হয় , কারন সাহায্য করে তা সবাই কে বলে বেড়ালে তাতে সাহায্য গ্রহনকারীকে সমাজের চোখে ছোট করা হয়।

আমার এই লেখার উদ্দেশ্য একটাই্ শীতবস্ত্র বিতরনের মত একটা মহৎ কাজ যেন মানুষের উপকারে আসে । আশা করি আমার লেখার উদ্দেশ্য পাঠক বুঝতে পারবেন।
সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা ।
ধন্যবাদ

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০২

বিজন রয় বলেছেন: বিদায় ২০১৭, স্বাগতম ২০১৮,......... নতুনের শুভেচ্ছা রইল।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৩

কৃষ্ণ কমল দাস বলেছেন: Thanks.....

২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৮

মাইনুল ইসলাম আলিফ বলেছেন: ঠিক। মহৎ কাজটা যেন শুধু নামকাওয়াস্তে না হয়।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা আর কৃতজ্ঞতা রইল।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:১৯

কৃষ্ণ কমল দাস বলেছেন: Thanks

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.