নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরাফাত রহমান এর বাংলা ব্লগ

মোঃ আরাফাত রহমান

বই পড়া ও লেখালেখি ছোট থেকেই অনেক পছন্দ তাই লেখালেখি করি...

মোঃ আরাফাত রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপন সৌরভে নিজের সংসার মাতিয়ে তুলুন

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:০১

সকলেই কেমন আছেন ? আশা করি মহান আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে সবাই ভাল আছেন ! আমিও মহান আল্লাহ্‌ তায়ালার অশেষ রহমতে ভাল আছি ।

আজ আমি আমার সংগ্রহ করা একটি লেখা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। এটি লিখেছেনঃ উম্মে হানি, লেখাটি নর্থ আমেরিকা থেকে প্রকাশিত উম্মাহ ম্যাগাজিন ও বাংলাদেশের মাসিক রহমত থেকে নেয়া ।

স্বামী-স্ত্রী হল পোশাক স্বরূপ, আর স্ত্রী হল স্বামীর সংসারের প্রাণ । একজন মহিলা নিজেই নিজের জন্য ভাল স্বামী পছন্দের অধিকার রাখেন । তাছাড়া তার মা-বাবা এবং আত্মীয়স্বজনও এ ব্যাপারে প্রাণপন চেষ্টা করেন ।

যাহোক বিয়ের মাধ্যমে আপনি যখন একজনের স্ত্রী হলেন । যিনি আপনাকে বিবাহ করেছে সে হল আপনার স্বামী । স্বামীর কাছে একজন স্ত্রীর গুণবতী হওয়া বাঞ্চনীয় । আপনাকে তা হতে হবে স্বামীর মনের মতো ।
কিন্তু কীভাবে হবেন সে রকম ? হ্যাঁ, সবদিক দিয়ে সুন্দর হওয়ার উপায় আছে । আর সে গুলো হলঃ

০১ । মহান আল্লাহ্‌ তায়ালা আপনাকে একজন স্বামী দান করেছেন, সে জন্য আল্লাহ্‌র শোকর আদায় করুন ।

০২ । স্বামীকে বুঝুন । স্বামীর মন, মানসিকতা, স্বভাব-প্রকৃতি, যোগ্যতা, গুণাবলী, সামাজিক মর্যাদা উপলব্ধি করুন । স্বামীকে শ্রদ্ধা করুন ।

০৩ । স্বামীকে হৃদয়ের গভীরে, অন্তরের অতলে স্থান দিন । তাকে প্রাণ খুলে হৃদয় উজাড় করে ভালবাসুন ।

০৪ । স্বামীর সাথে হাসিমুখে কথা বলুন, খুশি মনে কথা বলুন ।

০৫ । স্বামীর কাছে মনের কথা খুলে বলুন । সুখ-দুঃখ, আনন্দ, সমস্যা, সংকট সবই স্বামীকে জানান ।

০৬ । বিশ্বস্ত হোন ও বিশ্বস্ত থাকুন ।

০৭ । স্বামীর সব ধরনের গোপন বিষয় গোপন রাখুন ।

০৮ । স্বামীর সব আমানত রক্ষা করুন ।

০৯ । স্বামীর গুণের প্রশংসা করুন ।

১০ । কখনো কারো কাছে স্বামীর বদনাম করবেন না ।

১১ । স্বামীর সাথে বেড়াতে যান ।

১২ । স্বামী যেভাবে চান সে ভাবে নিজেকে সাজান ।

১৩ । স্বামীর সুখে সুখী হোন আর স্বামীর দুঃখে দুঃখী হোন ।

১৪ । সুযোগ ও সামর্থ্য মতো স্বামীর সেবা করুন ।

১৫ । স্বামীর সমস্যা, সংকটে তাকে সাহায্য করুন, সান্ত্বনা দিন, প্রবোধ দিন । প্রয়োজন মতো সঙ্গ দিন ।

১৬ । স্বামীর প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করুন ।

১৭ । স্বামীর আদেশ পালন করুন । কিছুতেই স্বামীর অবাধ্য হবেন না । স্বামী যদি আল্লাহ্‌র ইচ্ছা ও সন্তুষ্টির বিপরীত কোন আদেশ করে, তবে কেবল সে ব্যপারেই নিজের অক্ষমতা প্রকাশ করুন ।

১৮ । স্বামীর কোন বদঅভ্যাস থাকলে ভালবাসা দিয়ে বিজ্ঞ চিকিৎসকের মতো তা দূর করার চেষ্টা করুন ।

১৯ । স্বামীর কল্যাণ ও উন্নতির জন্য আল্লাহ্‌র নিকট দোয়া করুন ।

২০ । স্বামীকে বন্ধু বানিয়ে নিন । স্বামীকে অভিভাবক মনে করুন ।

২১ । স্বামীর কাছে নিজেকে প্রকাশ করুন । স্বামীর কাছে কোন কিছু লুকিয়ে রাখবেন না ।

২২ । স্বামীর সাথে পরামর্শ করে কাজ করুন ।

২৩ । স্বামীর রুচিমত চলুন, কাজ করুন, রান্না করুন ।

২৪ । স্বামীর পিতা-মাতাকে নিজের পিতা-মাতার মত শ্রদ্ধা করুন । সম্মান করুন ও তাদের সেবা করুন ।

২৫ । স্বামীর কৃতিত্ব ও অবদানের জন্য গর্ববোধ করুন ।

২৬ । স্বামী বাইরে থেকে এলে হাসিমুখে অভ্যর্থনা জানান ।

২৭ । কোন ভুল বা অন্যায় করে ফেললে তা নিঃসংকোচে স্বীকার করুন এবং সে জন্য অনুতপ্ত হোন । প্রয়োজনে ক্ষমা চান ।

২৮ । স্বামীর আত্মীয়স্বজনকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করুন । সামর্থ্য অনুযায়ী মেহমানদারী করুন ।

২৯ । কারো সামনে স্বামীর দৃষ্টিকটু আচরণ করবেন না ।

৩০ । স্বামীর সামর্থ্যের অধিক টাকা-পয়সা, অলংকার, পোশাক-আশাক বা অন্যকিছু তার কাছে চাইবেন না ।

৩১ । সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সন্তান প্রতিপালনে যত্নবান হোন ।

৩২ । নিজের হাত খরচা থেকে মাঝে-মধ্যে স্বামীকে কিছু উপহার দিন ।

৩৩। বিপদে-আপদে স্বামীর পাশে থাকুন ।

৩৪ । স্বামীর অগোচরে তার অর্থসম্পদ কাউকে দেবেন না । তবে স্বামীর অনুমতি, অনুমোদন ও রেজামন্দিতে দান খয়রাত করুন ।

৩৫ । স্বামীর অনুমতি ছাড়া চাকরি নেবেন না ।

৩৬ । কখনো স্বামীকে ছোট ও অপমানিত করবেন না ।

৩৭ । রুচিশীলা ও রুচিবতি হোন ।

৩৮ । শারীরিক ও মানসিকভাবে পরিচ্ছন্ন থাকুন । ঘোরদোর পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন।

৩৯ । স্বামীর মেজাজের দিকে লক্ষ রেখে তার সাথে আচরণ করুন । অভিযোগ থাকলে সময় বুঝে করুন । অভিমান করলে এর ভেতর দিয়ে ভালবাসা প্রকাশ করুন।

৪০ । ভাল কাজ করা, ভাল পথে চলা, সুন্দর জীবনযাপন করা এবং আল্লাহ্‌র হুকম পালন করার ব্যপারে স্বামীকে উৎসাহ দিন, অনুপ্রানণত করুন ।

৪১ । নিজেকে উন্নত করুন । স্বামীর সাথে খাপ খাইয়ে চলুন ।

৪২ । স্বামীর চাকুরি, ব্যবসা, দায়িত্ব ও ব্যবস্তা সম্পর্কে খবর রাখুন । সামর্থ্য মতো স্বামীকে সাহায্য করুন ।

৪৩ । স্বামীর কাছে নিজেকে কল্যাণী, উপকারী ও অতুলনীয় করে তুলুন । একবার এক মহীয়সীকে জিজ্ঞেস করা হয়ে ছিল, তিনি কে, যার ভুল ধরলে বিতর্ক বাধে, বাঁকা হলে সোজা করতে ভেঙে যায়, ব্যবহার করতে হয় কাচের মত সতর্ক হাতে, রক্তের মতো যত্ন করে রাখতে হয় ?
মহীয়সী জবাব দিলেন, সে হলোঃ স্ত্রী । -আপনি কিন্তু সে রকম হবেন না । আপনার সংসারকে মাতিয়ে তুলুন আপন সৌরভে ।

-লেখাটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।


#ফেইসবুকে আমি

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:০৬

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনাদের মত মানসিকতার লোকজনের উচিত গুহাতে বসবাস করা

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২৫

মোঃ আরাফাত রহমান বলেছেন: কেন ভাই ইসলামিক জীবন ব্যাবস্থা কি আপনার পছন্দ হয় না ?

২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩৯

কলাবাগান১ বলেছেন: সব কিছুই স্বামী দেবতার মনরন্জনের জন্য (৪৩ স্টেপ) স্ত্রীর জন্য কি আপনার ইসলাম কি এক স্টেপ ও দেয় না। আমার ইসলাম সমান অধিকার দেয়।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৪২

মোঃ আরাফাত রহমান বলেছেন: ভালভাবে পড়ে বুঝতে চেষ্টা করুন - অল্প বিদ্যা ভয়ংকর...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.