নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

১০১ টা বানান ভুল । তবুও লিখব......

আরিফুল হক৩৫

আরিফুল হক৩৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ম ব্যবসা

২২ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:১০

সারাবিশ্বের মধ্যে চট্টগ্রামেই সবচেয়ে বেশী মাজার রয়েছে।হু হু করে মাজারের সংখ্যা বেড়ে চলেছে নিত্যদিন।আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন এ মাজারের সংখ্যা বাড়ার কারণ কি? একাগ্রচিত্তে ভেবে দেখলেই উত্তর পাওয়া যায়।
“খাজা তোমার দরবারেতে,
কেউ ফিরেনা খালি হাতে!!(নাউজুবিল্লাহ)

কিছু মানুষ আছে যারা জীবনে কোনোদিন নামাজ পড়ে না, রোজা রাখেনা, কোনো সমস্যায় পড়লেই খাজা বাবা, নেংটা বাবা, কেল্লা বাবা, ডেগচি বাবা, গাঁজা বাবা সহ নানান ভন্ড বাবাদের দরবারে দৌড় দেয়।
এরা মনে করে সমাধান সব গাঁজা বাবাদের কাছেই!
কোটি টাকার মালিক অথচ যাকাত দেয় না। গরীবদের সাহায্য করে না। রাষ্ট্রকে ইনকাম টেক্স দেয় না। কিন্তু সব টাকা বাবার দরবারে দিয়ে আসে। ভন্ড বাবারাই কোটিপতি হয়।

চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে এসব ভন্ড পীরদের আস্তানা অত্যধিক বেশি। একই উপজেলায় কয়েকটা থেকে কয়েকশত মাজার আছে।
এই ভন্ডরা তাদের বাবাদের কবরগুলোকে ‘কবর’ বলে না; বলে কিনা ‘মাজার’।
ধর্ম ব্যবসা বন্ধ করতে ইসলামের মৌলিক জ্ঞান জনসাধারণের নিকট পৌঁছানো প্রয়োজন। প্রথমত মানুষের আকিদাহ পরিবর্তন করা গেলে এই ভন্ড বাবাদের ধর্ম ব্যবসায় এমনিতেই লালবাত্তি জ্বলবে।


চাঁদপুরের মতলবের বদুরপুরে প্রতি বছর প্রায় লাখো মানুষের সমাগম হয় ।কথিত আছে, প্রায় দেড়শ বছর আগে সোলায়মান নামে এক আল্লাহর অলি ছিলো, আধ্যাত্মিক ওই অলি কোন কাপড় পড়তেন না বলেই তাকে সবাই ল্যাংটা বলে ডাকতো।
আমি এইটুকু বুঝিনা , যে কাপড় পড়েনা সে কী করে আল্লাহ্‌র অলি হয়? যেখানে ইসলাম বলে -সতর ঢাকা ফরজ।


চাঁদপুর মতলবের ল্যাংটার মাজারের কিছু তথ্য দেখে নিন
মাজার পূজা



আমাদের দেশে মহিলাদের দেখা যায় মহিলারা এই বাবা সেই বাবাদের কাছে যায়, তাবিজ আনে, তেল পড়া, কাঠি-লাঠি পড়া, পাথর পড়া ইত্যাদি আনছে। বাচ্চা কাচ্চা না হলেতো কথাই নেই বাবার দরবার আর নিজের ঘর একই হয়ে যায়। কিন্তু সন্তান দানের মালিক একমাত্র আল্লাহ্‌।
মহান রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন-
“আপনি বলুনঃ আমার নামায, আমার কুরবানীএবং আমার জীবন ও আমার মরণ বিশ্ব প্রতিপালক আল্লাহর জন্যই। তাঁর কোন অংশিদার নেই। আমি তা-ই করতে আদিষ্ট হয়েছি এবং আমিই প্রথম আনুগত্যশীল।
(সূরা আনআম-১৬২-১৬৩)
"আর তার (মুশরেকরা) আল্লাহ ভিন্ন এমন কতিপয়ের ইবাদত করে, যারা তাদের কোন অপকারও করতে পারেনা এবং তাদের কোন উপকারও করতে পারেনা, ও তারা বলে-এরা হল আল্লাহ তায়ালার কাছে আমাদের সুপারিশকারী। (হে রাসূল!) আপনি বলে দিন, তোমরা কি আল্লাহ তায়ালাকে এমন বিষয়ের সংবাদ দিচ্ছ যা আছে বলে তিনি (নিজেও) জানেন না, না আসমানে না জমিনে!তিনি তাদের শিরকী কার্যকলাপ হতে পবিত্র ও অনেক ঊর্দ্ধে "
(সূরা ইউনুস-১৮)


আল্লাহ তাআলা বলেছেন,
وَقَضَى رَبُّكَ أَلاَّ تَعْبُدُواْ إِلاَّ إِيَّاهُ
তোমার প্রভু চূড়ান্ত ফয়ছালা দিয়েছেন যে, তোমরা তাঁকে ব্যতীত অন্য কারো ইবাদত করবে না। [বনী ইসরাঈল ২৩]


আল্লাহ তাআলা বলেন,
أَمَّنْ يُّجِيْبُ الْمُضْطَرَّ إِذَا دَعَاهُ وَيَكْشِفُ السُّوْءَ وَيَجْعَلُكُمْ خُلَفَاءَ الْأَرْضِ أَإِلَهٌ مَّعَ اللهِ-
বল তো কে নিঃসহায়ের আহবানে সাড়া দেন যখন সে তাঁকে আহবান জানায় এবং দুঃখ-কষ্ট দূর করেন আর পৃথিবীতে তোমাদেরকে পূর্ববর্তীদের স্থলাভিষিক্ত করেন? আল্লাহর সঙ্গে কি অন্য কোন ইলাহ আছে? [নামল ৬২]

অনেকেই উঠতে, বসতে, বিপদাপদে পীর-মুরশিদ, অলি-আউলিয়া, নবী-রাসূল ইত্যাকার মহাজনদের নাম নেয়া অভ্যাসে পরিণত করে নিয়েছে। যখনই তারা কোন বিপদে বা সংকটে পড়ে তখনই বলে ইয়া মুহাম্মাদ, ইয়া আলী, ইয়া হুসাইন, ইয়া বাদাভী, ইয়া জীলানী, ইয়া শাযেলী, ইয়া রিফাঈ। কেউ যদি ডাকে আইদারুসকে তো অন্যজন ডাকে মা যায়নাবকে, আরেকজন ডাকে ইবনু উলওয়ানকে।

একদিন আমি আক লোকের সাথে কথা বলে শেষ করে বিদায় নিব , বললাম "ইনশা আল্লাহ কাল দেখা হবে"। উনার প্রতি উত্তর পেলাম "মামদু ভরসা"!(নাউজুবিল্লাহ)!!
এই নিইয়ে অনেক সময় কথা হলেও উনার উত্তর ছিল "আমারটা আমি বলব, আপনারটা আপনি"।
ভরসা একমাত্র আল্লাহ্‌কেই করতে হবে। কিন্তু আজ আমাদের অবস্থা কী তা আমাদের সবারই জানা।


কিছু কবরপূজারী আছে যারা কবরকে তাওয়াফ করে, কবরগাত্র চুম্বন করে, কবরে হাত বুলায়, লাল শালুতে মাথা ঠেকিয়ে পড়ে থাকে, কবরের মাটি তাদের গা-গতরে মাখে, কবরকে সিজদা করে, উহার সামনে মিনতিভরে দাঁড়ায়, নিজের উদ্দেশ্য ও অভাবের কথা তুলে ধরে। সুস্থতা কামনা করে, সন্তান চায় অথবা প্রয়োজনাদি পূরণ কামনা করে। অনেক সময় কবরে শায়িত ব্যক্তিকে ডেকে বলে, বাবা হুযূর, আমি আপনার হুযূরে অনেক দূর থেকে হাযির হয়েছি। কাজেই আপনি আমাকে নিরাশ করবেন না।
অথচ আল্লাহ বলেন,
وَمَنْ أَضَلُّ مِمَّنْ يَدْعُوْ مِنْ دُوْنِ اللهِ مَنْ لاَّ يَسْتَجِيْبُ لَهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَهُمْ عَنْ دُعَائِهِمْ غَافِلُوْنَ-
তাদের থেকে অধিকতর দিকভ্রান্ত আর কে আছে, যারা আল্লাহ ব্যতীত এমন সব উপাস্যকে ডাকে যারা ক্বিয়ামত পর্যন্তও তাদের ডাকে সাড়া দেবে না। অধিকন্তু তারা ওদের ডাকাডাকি সম্বন্ধে কোন খবর রাখে না। [আহক্বাফ ৫]
রাসূলুল্লাহ [সা.] বলেছেন,
مَنْ مَاتَ وَهُوَ يَدْعُو مِنْ دُونِ اللهِ نِدًّا دَخَلَ النَّارَ
যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত অন্যকে তার সমকক্ষ বা অংশীদার মনে করে তার নিকট দোআ প্রার্থনা করে, আর ঐ অবস্থায় মারা যায় সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। [বুখারী হা/৪৪৯৭।]

ইবাদত পাওয়ার একমাত্র উপযুক্ত সত্তা আল্লাহ তা‘আলাকে না মেনে তাঁর সাথে আরো কাউকে যোগ্য বলে মনে করা।
অথচ আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَلاَ تَجْعَلْ مَعَ اللهِ إِلَهًا آخَرَ فَتُلْقَى فِيْ جَهَنَّمَ مَلُوْمًا مَدْحُوْرًا ‘আল্লাহর সাথে অন্য কোন উপাস্য স্থির কর না। তাহ’লে নিন্দিত ও (আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে) বিতাড়িত অবস্থায় জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে’ (বানী ইসরাঈল ৩৯)।


মৃতব্যক্তির নিকট কিছু চাওয়া বা অনিষ্ট থেকে বাঁচার জন্য দো‘আ করা শিরকে আকবার তথা বড় শিরক। কোন মুমিন যদি এ কাজ করে তবে তার ঈমান বিনষ্ট হয়ে যাবে। কারণ ভাল-মন্দ দেওয়া, না দেওয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা। তিনি বলেন, قُلْ أَتَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللهِ مَا لاَ يَمْلِكُ لَكُمْ ضَرًّا وَلاَ نَفْعًا وَاللهُ هُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ ‘(হে নবী!) আপনি বলে দিন, তোমরা কি আল্লাহ ব্যতীত এমন বস্ত্তর ইবাদত কর, যে তোমাদের অপকার ও উপকার করার ক্ষমতা রাখে না। অথচ আল্লাহ সব শুনেন ও জানেন’ (মায়েদাহ ৭৬)। আল্লাহর নবী (ছাঃ) নিজেই নিজের উপকার-অপকার করতে পারতেন না বলে কুরআনে প্রমাণ মিলে। সেখানে অন্যদের মাধ্যমে কি করে উপকার আশা করা যায়? আল্লাহ তা‘আলা বলেন, قُلْ لاَ أَمْلِكُ لِنَفْسِيْ نَفْعًا وَلاَ ضَرًّا إِلاَّ مَا شَاءَ اللهُ ‘(হে নবী!) আপনি বলে দিন, আমি আমার নিজের কল্যাণ সাধনের এবং অকল্যাণ সাধনের মালিক নই কিন্তু আল্লাহ যা চান’ (আ‘রাফ ১৮৮)।

মৃতব্যক্তির নিকট সাহায্য চাওয়া বা কাউকে বান্দা নেওয়াজ, গরীবে নেওয়াজ, গাওছুল আযম (সর্বোচ্চ সহযোগিতাকারী) মনে করাও বড় গুনাহের অন্তর্ভুক্ত, যা মানুষকে ইসলাম থেকে খারিজ করে দেয়। মহান আল্লাহ বলেন, إِنَّمَا تَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللهِ أَوْثَاناً وَتَخْلُقُوْنَ إِفْكاً إِنَّ الَّذِيْنَ تَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللهِ لاَ يَمْلِكُوْنَ لَكُمْ رِزْقاً فَابْتَغُوْا عِنْدَ اللهِ الرِّزْقَ وَاعْبُدُوْهُ وَاشْكُرُوْا لَهُ إِلَيْهِ تُرْجَعُوْنَ- ‘তোমরা তো আল্লাহর পরিবর্তে কেবল প্রতিমারই পূজা করছ এবং মিথ্যা উদ্ভাবন করছ। তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের ইবাদত করছ, তারা তোমাদের রিযিকের মালিক নয়। কাজেই আল্লাহর কাছে রিযিক তালাশ কর, তাঁর ইবাদত কর এবং তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। তাঁরই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে’ (আনকাবূত ১৭)। আল্লাহ পাক আরো বলেন, وَمَنْ أَضَلُّ مِمَّنْ يَدْعُوْ مِنْ دُوْنِ اللهِ مَنْ لاَّ يَسْتَجِيْبُ لَهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَهُمْ عَنْ دُعَائِهِمْ غَافِلُوْنَ- ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর পরিবর্তে এমন বস্ত্তর পূঁজা করে, যে ক্বিয়ামত পর্যন্তও তার ডাকে সাড়া দেবে না, তার চেয়ে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে? তারাতো তাদের পূঁজা সম্পর্কেও বেখবর’ (আহকাফ ৫)।
অনেকে কবরে মোমবাতি, তেল, আগরবাতি, টাকা-পয়সা, গরু-খাসি, মোরগ-মুরগী, কবুতর ইত্যাদি মানত করে। তারা মনে করে এর মাধ্যমে তাদের উদ্দেশ্য হাছিল হবে, রোগমুক্তি হবে, হারানো ব্যক্তিকে ফিরে পাবে, মালের নিরাপত্তা লাভ হবে, নিঃসন্তানের সন্তান হবে ইত্যাদি। এসবই শিরক-এর অন্তর্ভুক্ত। নবীগণ সবচেয়ে সম্মানী ও মর্যাদাপূর্ণ হওয়া সত্যেও তাঁদের কবর সমূহে কোন নযরানা, মানত দেওয়া হয় না। এ ধরনের মানত, নযরানা তারা কবরবাসীর সম্মান ও বরকতের জন্যই করে থাকে এবং তাদের ধারণা এর দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য হাছিল হবে। যেমন মক্কার মুশরিকদের ধারণা ছিল। তারা বলত, مَا نَعْبُدُهُمْ إِلَّا لِيُقَرِّبُونَا إِلَى اللهِ زُلْفَى ‘তারা আমাদেরকে আল্লাহর নৈকট্যে পৌঁছে দিবে বলেই আমরা তাদের ইবাদত করি’ (যুমার ৩)। এমনকি যেখানে আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে পূজা করা হ’ত সেখানেও আল্লাহর নামে মানত করা হারাম। বর্তমানে সেখানে পূজা চলুক বা না চলুক। ছাবিত বিন আয-যাহহাক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘এক ব্যক্তি রাসূলের যুগে ‘বুয়ানা’ নামক স্থানে একটি উট কুরবানী করার মানত করল। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘সে স্থানে এমন কোন মূর্তি ছিল কি, জাহেলী যুগে যার পূজা করা হত’? ছাহাবায়ে কেরাম বললেন, না। তিনি বললেন ‘সে স্থানে কি তাদের কোন উৎসব বা মেলা অনুষ্ঠিত হ’ত’? তাঁরা বললেন, না। তখন রাসূল (ছাঃ) বললেন, ‘তুমি তোমার মানত পূর্ণ কর। কেননা আল্লাহর নাফরমানীমূলক কাজে মানত পূর্ণ করা যাবে না। আদম সন্তান যা করতে সক্ষম নয়, এমন মানতও পুরা করা যাবে না’।

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮

মার্কোপলো বলেছেন:



যেসব দরিদ্র লোক সেখান থেকে আয় করে পরিবার চালাচ্ছে, তাদের পরিবার কি আপনি চালাবেন?

২| ২২ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:১৪

আরিফুল হক৩৫ বলেছেন: আল্লাহ্‌ আয় করার জন্য হালাল পথ দিছেন লাখো কোটি ।

৩| ২২ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:২৪

মার্কোপলো বলেছেন:


@আরিফুল হক৩৫ ,

বাবার পয়সায় স্কুলে গেছেন, টিউটরিং গেছেন, কম্প্যুটার কিনেছেন; বাবার থেকে জেনে নিয়েন, কত পথে উনি আয় করেছেন, ওকে?

২২ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৩১

আরিফুল হক৩৫ বলেছেন: আমার বাবার আয় করা ১ টা ১টা পয়সা হালাল আল্লাহ্‌র রহমতে।

৪| ২২ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:২৭

রোয়ানু বলেছেন: অবশ্যই উপরে বর্ণিত কাজ বা আক্বীদা ইসলাম সমর্থন করে না। হাক্কানী আউলিয়া কেরাম কখনোই এমন কাজ করেন নাই।

আহলান

৫| ২২ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০

চিন্তাহীন সামি বলেছেন: তথ্য নির্ভর একটি দারু পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ

৬| ২২ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৩১

চিন্তাহীন সামি বলেছেন: সংশোধনী "দারুন"

৭| ২২ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৪১

মার্কোপলো বলেছেন:


"লেখক বলেছেন: আমার বাবার আয় করা ১ টা ১টা পয়সা হালাল আল্লাহ্‌র রহমতে। "

-এখন ওদের প্রতি রহমত করতে আল্লাহ'কে বলুন, যাতে ওরা আপনার বাবার মত হালাল আয় করতে পারে; আপনার বাবা, আপনি হলেন আল্লাহের লোক; আপনার কথা আল্লাহ শুনবেন।

২২ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৭

আরিফুল হক৩৫ বলেছেন: আমীন ..............................

৮| ২২ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২১

মার্কোপলো বলেছেন:


"লেখক বলেছেন: আমীন .............................. "

কাজ হয়ে গেছে, সব মাজার বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

কমেন্ট মুছবেন না, এটা ব্লগ; ব্লগিং এ কইছু মুছতে হয় না

২২ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৭

আরিফুল হক৩৫ বলেছেন: আপনাকে আমি কিছু বুঝাতে চাইনা ।

২২ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪০

আরিফুল হক৩৫ বলেছেন: কমেন্ট রাখার মতো হলে অবশ্যই রাখতাম। আমার বাবা নিয়ে কথা বলেছেন , কিন্তু আমি আপনার বাবা নিয়া কথা বলবনা। উনি গুরুজন ।সকল সন্তানের বাবাকেই সম্মান করি। এবং তা অবশ্যই করনিয়।

৯| ২২ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০

মুসাফির নামা বলেছেন: আবারও মার্কোপলো! অতীব প্রয়োজনীয় একটি পোস্ট। মানতের ব্যাপারেও কথা আছে। মানত আল্লাহর সাথে শর্ত সাপেক্ষে দান,যা মাকরুহ। রাসূল(সঃ) এবং প্রধান সাহাবীরা কখনও মানত করেননি। তবে মানত করলে তা পূরণকারীদের আল্লাহ প্রশংসা করেছেন। আর মানতের দান শুধুমাত্র গরীব-মিসকিনরাই খেতে পারবে।তবে রাসূল(সঃ) মানত না করে এমনি দান করার জন্য সাহাবীদের উৎসাহ দিয়েছেন।

১০| ২২ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩২

কবি এবং হিমু বলেছেন: অনেক অনেক ভাল লিখেছেন।আল্লাহ আমাদের যেন এই রকম পাপ করা থেকে দূরে রাখে।

১১| ২২ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৪

আরিফুল হক৩৫ বলেছেন: আমার লিখাটা তাদের জন্য , যারা আজ ও সেই অন্ধত্তের বন্ধনে আছে । বিবেককে প্রশ্ন করলেই উত্তর সহজ। কারো কারো এই লিখা ভালো না ও লাগতে পারে । কাওকে উদ্দেশ্য করে লিখা নয় । ২০১৬ সাল , আধুনিক বাংলার স্বপ্ন দেখি আমরা । আমাদের এসব মানায় না ।

১২| ২২ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:২৭

মার্কোপলো বলেছেন:

"আরিফুল হক৩৫ বলেছেন: আমার লিখাটা তাদের জন্য , যারা আজ ও সেই অন্ধত্তের বন্ধনে আছে । "

-আপনার কথাগুলো মোটামুটি বেদরকারী।

আপানার বাবার কথা এসেছে এজন্য যে, আপনার বাবা আপানাকে পড়ায়েছে, সেজন্য; যে লোকটি লেংটি পরে নাচছে, সেও আপনার মতো হতে পারতো, যদি ওর বাবা ওকে আপনার মতো স্কুলে পাঠাতো; কোন ছেলে চাহে না লেংটি পরে নাচতে।

আপনি ব্লগিং করছেন বাবার গুণে, ওরা লেংটি পরে নাচছে বারার অসামর্থের কারণে; এখানে সবার দায়িত্বের কথা আসে, সরকারের দায়িত্বের কথা আসে।

আপনি লেংটি পরা লোকটার জন্য কস্ট পাননি; তাকে ব্যবসায়ী বলেছেন, সে কিসের ব্যবসায়ী? তার তো পরণে কাপড়ও নেই?

১৩| ২২ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:৪৮

বিজন রয় বলেছেন: আমীন!

১৪| ২২ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:১১

সোজোন বাদিয়া বলেছেন: লেখাটা অবশ্যই ভাল এবং লেখককে ধন্যবাদ। তবে, ওদের এমন কূপমণ্ডুকতা এবং বিকৃত জীবনযাত্রার পেছনে সমাজের দায়ও তো অস্বীকার করা যাবে না। আমরা কি স্বাধীনতার এত বছর পরেও জনমানুষের কাছে জ্ঞানবিদ্যার চর্চা পৌঁছে দিতে পেরেছি? সেই ব্যর্থতার দায় কি আমারও নয়?

১৫| ২২ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: আপনার এই লেখা আমি সমর্থন করলাম। আসলে ইসলামে এখন বেদআতের ছড়াছড়ি, এর কারন অশিক্ষা, কুশিক্ষা। ইসলামের সঠিক জ্ঞানের অভাব সর্বত্র।
খুব প্রয়োজনীয় বিষয় লিখেছেন।
আর হ্যা.. অবুঝরা সবসময় ক্ষুদ্র জ্ঞানে খারাপ ভাষায় তর্ক করতে আসবে, করতে দিন। তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করবেন.. ইসলাম তো এটাই শিক্ষা দেয়।

১৬| ২২ শে মে, ২০১৬ রাত ১০:৫২

আসাদ আরিফ বলেছেন: খুবই ভাল লাগলো।আল্লাহ আমদের সবাইকে হিদায়েত দান করুক।ভাইজান এই ধরনের লেখা আরো আশা করছি।।

১৭| ২৩ শে মে, ২০১৬ রাত ১:১৫

নতুন বলেছেন: শিক্ষার আলো যেখানে থাকেনা সেখানে কুসংস্কারের অন্ধকার থাকবে সেটাই সাভাবিক...

ধান্ধাবাজরা আমাদের দেশের জনগনের ধমভক্তিকে ব্যবহার করে ব্যবসা করে যাচ্ছে সেটা অনেকেই বোঝেনা।

যুক্তি এবং বিজ্ঞানভিক্তিক শিক্ষাই পারে এই রকমের কুসংস্কার দুর করতে...

১৮| ২৩ শে মে, ২০১৬ রাত ২:৪৮

Safin বলেছেন: চট্টগ্রামে আসলেই এখনো মাজারের সংখা হু হু করে বেড়ে চলেছে।
তবে এখানে সিজদা করার চলটা তেমন না থাকলেও মানত করার চল আছে,যেটা হিন্দু/মুসলিম(?) সবাই করে!

দুঃখজনক!

১৯| ২৩ শে মে, ২০১৬ রাত ৩:৪৭

চাটগাইয়া জাবেদ বলেছেন: হ্যাঁ! আমাদের চট্টগ্রামে আসলেই এখনো মাজারের সংখা হু হু করে বেড়ে চলেছে। তবে এখানে সিজদা করার চলটা তেমন না থাকলেও মানত করার চল আছে, যেটা হিন্দু/মুসলিম(?) সবাই করে!

কিন্তু এখানে আপনার যে ছবি দেওয়া আছে গাঁজা খাচ্ছে সেগুলো আমি আজো চট্টগ্রামের কোন মাজারে দেখি নাই, আর কয়েক মাজারে দেখলেও সেগুলো কিন্তু একটাও চট্টগ্রামের লোক না। আমি হলব করে জোর গলাই বলতে পারি গাঁজা সেবন কারী ও নেংটা মিয়ারা একটাও চট্টগ্রামের মানুষ না। আমি আমার জন্মগতভাবে সব কিছু চট্টগ্রামে, আর আমি কম বেশী চট্টগ্রামের সব মাজারেই গিয়েছি ওরস এর দিনে।

যাইহোক, তবুও বিষয়টা খুবই দুঃখজনক! আমাদের এগুলো থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
তবে সেখানে হক্কানি আলেম ও আউলিয়া যে নাই তা নয়, যারা আছেন তারা মৃত। আর তাদের নিয়েই এ সব ভন্ডামি করে তাদের আওলাদগন, কিন্তু সে হক্কানি আলেম বা আউলিয়া তিনি কখনই বলেন নি আমাকে নিয়ে এভাবে কর। আমরা মানুষেই খারাপ, কেন যাচ্ছি তাদের কাছে?

নতুন বলেছেন: শিক্ষার আলো যেখানে থাকেনা সেখানে কুসংস্কারের অন্ধকার থাকবে সেটাই স্বাভাবিক...

ধান্ধাবাজরা আমাদের দেশের জনগনের ধমভক্তিকে ব্যবহার করে ব্যবসা করে যাচ্ছে সেটা অনেকেই বোঝেনা।

যুক্তি এবং বিজ্ঞানভিক্তিক শিক্ষাই পারে এই রকমের কুসংস্কার দুর করতে...

হ্যাঁ, এখানে তাদেরকে(বিশেষ করে ভক্তদেরকে) আমরা ভালো করে বুঝাতে হবে এবং তাদের এ বিষয়ে জ্ঞান শিক্ষা দিতে হবে। এটা ভালো নাকি খারাপ, আর এটা ইসলামে কি বলে সেটা জানাতে হবে, তাহলেই আমরা এগুলো থেকে হয়তো বের হয়ে আসতে পারবো, নাহলে এভাবেই বাড়তে থাকবে দিন দিন।

মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে জ্ঞান দান করুক এবং সঠিক পথে চলার তাওফিক দিক। আমিন।

২৩ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১২:০১

আরিফুল হক৩৫ বলেছেন: ভাই চাঁদপুরের নেংটার মাজার এর ছবি।

২০| ২৩ শে মে, ২০১৬ সকাল ৭:০৪

ওসেল মাহমুদ বলেছেন: মাজার বা কবর পুজা হারাম ! এটা স্পস্ট শিরক !

২১| ২৩ শে মে, ২০১৬ সকাল ৭:৫১

প্রন্তিক বাঙ্গালী বলেছেন: ভাল কিছু তোলে ধরার জন্য লেখক কে ধন্যবাদ।
কিছু মানুষ আছে তারা হুদাই তর্ক করে, তাদের কে এরিয়ে চলাই ভাল।

২২| ২৩ শে মে, ২০১৬ সকাল ১০:৩২

জাহিদ রুবেল বলেছেন: এসব পন্থা কোন জীবিকা নির্বাহের পথ হতে পারে না,অলোস প্রকৃতি ও নেশায় মাতাল মানুষরাই এসব পথে যায়,আর যারা সমর্থন করে তারা সম্পূর্ণই অন্ধকারে আছে,আর এই অন্ধতা হচ্ছে পবিত্র কোরআনকে না জানার অন্ধতা,প্রত্যেক মুসলিমকেই অর্থ সহ কোরআনকে জানা উচিৎ, তাহলে তার চোখ খুলে যাবে,বেচে থাকার উপায় গুলো পরিষ্কার হয়ে যাবে,

২৩| ২৩ শে মে, ২০১৬ সকাল ১০:৩৫

বাঘ. বলেছেন: নবীজির রওজার পাশেই হযরত আবু বকর শুয়ে আছেন খুবই সাধারণ ভাবে,যার নেক দুনিয়ার সকল মানুষের নেকের চেয়ে বেশি,জান্নাতুল বাকিতে আছেন অন্য সব সাহাবিরা যাদের কবরের চার কোনায় চারটা পাথর। তাদের যদি এমন কবর হয় তাহলে এরা কারা যাদের কবরে ইমারত ?

খুব সাধারণ ব্যপার হলো কোন মৃত মানুষ জীবিত মানুষের কল্যাণে আসতে পারেনা, বরং তারাই জীবিতদের মুখাপেক্ষি হয়ে থাকেন। এই সাধারণ বিষয়টা যাদের মাথায় ধরবেনা তারা নষ্টের দখলে।

২৪| ২৩ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:০১

মার্কোপলো বলেছেন:




টেল পাবার আগে, ধর্মকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছিল আরবেরা ; তেল পাবার পর, ওরা মারামারিতে মন দিয়েছে

২৩ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:১২

আরিফুল হক৩৫ বলেছেন: আমরা আমাদের সমাজের বাইরে না যাই। কে প্রথম করেছে সেটা না দেখে কী করে অন্ধ বিশ্বাস দূর করা যায় তা ভাবা উচিত।

২৫| ২৩ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:১১

হাফিজ বিন শামসী বলেছেন: এ সব মাজারগুলোতে কয়েক শ্রেণীর মানুষ আছে। এক শ্রেণী আছে অলস।কাজকর্ম ভাল লাগেনা। সংসারের বৌ ছেলেমেয়ের ভরণপোষণ যোগানোরর ভয়ে মাজারে পড়ে থাকে। এক শ্রেণী আছে গাজা, হেরোইন, ইয়াবাসহ নানা ধরণের নেশা দ্রব্যাদির ব্যবসার সাথে জড়িত। এ সব নেশাজাতীয় দ্রব্যাদি ব্যবসার জন্য মাজার হচ্ছে উপযুক্ত স্থান।এক শ্রেণী আছে যারা মাজারের খাদেম বা সেবক। যারা মাজারের শিন্নীরর নামে পয়সা উঠায়ে নিজেদের পকেট ভারী করে।এলিট শ্রেণীর একটা দল আছে যারা সর্টখাটে বেহেস্ত পেতে চায়। নানাজ নাই রোজা নাই। মাঝে মাঝে মাজারে গিয়ে হাদিয়া দিয়ে আসে পাপ মোচনের জন্য।
এ সবের জন্য কারণও বিভিন্নমুখী।

২৬| ২৪ শে মে, ২০১৬ সকাল ৮:১৭

এখওয়ানআখী বলেছেন: খুব ভাল পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। পোস্টটি কপি করলাম।

২৭| ২৪ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৬

মিখু বলেছেন: এই সব ভুয়া পিরের কাছে গেলে কেউই খালি হতে ফেরে না।

বরং গুনাহের বোঝা কামাই করে নেয়।

২৮| ২৪ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:৫৫

muftisiraji বলেছেন: জাযাকাল্লাহ ,

চলমান সমাজের আধাঁরে নিমজ্জিত কিছু অন্ধভক্তেরর চোখ খুলবে এই ব্লগটির মাধ্যমে।

শেয়ার করলাম পেইজে.....

২৯| ২৮ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:১৯

টোকাই রাজা বলেছেন: খাজা বাবা, খাজা বাবা, মারহাবা মারহাবা, গেয়েছিলাম তোমার গুণগান। :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.