নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

১০১ টা বানান ভুল । তবুও লিখব......

আরিফুল হক৩৫

আরিফুল হক৩৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম আজ প্রশ্নবিদ্ধ!

২০ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২

ইসলাম (আরবি: الإسلام‎) শব্দটি এসেছে আরবি س-ل-م শব্দটি হতে যার দু'টি অর্থ; ১▪ শান্তি ২▪ আত্মসমর্পণ করা। সংক্ষেপে, ইসলাম হলো শান্তি (প্রতিষ্ঠা)'র উদ্দেশ্যে এক ও অদ্বিতীয় ঈশ্বর (আল্লাহ)-এর কাছে আত্মসমর্পণ করা।



পবিত্র কুরআন ইসলাম ধর্মের মূল ধর্মগ্রন্থ। এই ধর্মে বিশ্বাসীদের মুসলমান বা মুসলিম বলা হয় ( তবে আলকোরআনের বিধান মতে কেবল মাত্র এই ধর্মে বিশ্বাসী হলেই তাকে "মুসলিম" বলা যাবে না । দুনিয়ার যে কোন ধর্ম, বর্ণ, গোত্রের মানুষই হোক, যারা এই ধর্মে নিজেকে শতভাগ সমর্পন করতে পারবেন, কেবল তাদেরকেই বলা হবে "মুসলিম" সূত্রঃ- সূরা বাকারাহ-আয়াত ২০৮ ) ।

আদম হতে শুরু করে আল্লাহ্ প্রেরিত সকল পুরুষ ইসলামের বাণীই প্রচার করে গেছেন। পবিত্র কুরআনের সূরা ফাতিরে বলা হয়েছে,
“ "নিঃসন্দেহে আমি তোমাকে (মুহাম্মদ) পাঠিয়েছি সত্যের সাথে সুসংবাদদাতা এবং সতর্ককারীরূপে। আর এমন কোনো সম্প্রদায় নেই, যাঁদের মধ্যে একজন সতর্ককারী পাঠানো হয়নি।"৩৫:২৪ ”

ইসলামের দৃষ্টিতে ইহুদি ও খ্রিস্টান উভয় ধর্মাবলম্বীরাই আব্রাহামের শিক্ষার ঐতিহ্য পরম্পরা। উভয় ধর্মাবলম্বীকে কুরআনে "আহলে কিতাব" বলে সম্বোধন করা হয়েছে । পবিত্র কুরআনের সূরা আলে ইমরানে আহবান করা হয়েছে,
“ "তুমি (মুহাম্মদ) বল, হে কিতাবীগণ, এসো সেই কথায় যা তোমাদের এবং আমাদের মধ্যে এক; যেন আমরা আল্লাহ ব্যতীত কারও ইবাদত না করি। কোনো কিছুকেই তাঁর শরিক না করি। এবং আমাদের কেউ কাউকে আল্লাহ ব্যতীত উপাস্য হিসেবে গ্রহণ না করি। যদি তাঁরা মূখ ফিরিয়ে নেয় তবে বল, তোমরা স্বাক্ষী থাক; অবশ্যই আমরা মুসলিম।"৩:৬৪”

ইসলাম ধর্ম আদি এবং অন্ত এবং স্রষ্টার নিকট একমাত্র গ্রহনযোগ্য ধর্ম।

ইসলাম ধর্মে, শির্ক (বিকল্প প্রতিবর্ণীকরণ: শিরক, শির্ক) (আরবি: شرك‎ širk) পৌত্তলিকতা বা বহুঈশ্বরবাদ চর্চা করার পাপকে বুঝায় অর্থাৎ শির্ক হল আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাওকে উপাস্য হিসেবে সাব্যস্ত করা বা তার উপাসনা করা।শাব্দিকভাবে এর দ্বারা এক বা একাধিক কোন কিছুকে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব ও কর্তৃত্বের অংশীদার সাব্যস্ত করাকে বুঝায়।এটি তাওহীদের পরিপন্থী একটি বিষয়। ইসলামে শির্ক হল একটি অমার্জনীয় অপরাধ যদি না মৃত্যু নিকটবর্তী হবার পূর্বেআল্লাহর নিকট এই অপরাধের জন্যে ক্ষমা চেয়ে না নেয়া হয়।ইসলামের নির্ভরযোগ্য তথ্য অনুসারে, আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা না চাইলেও মৃত্যুর পর নিজের বিচার অনুসারে তার ইবাদতকারীদের যে কোন ভুল ক্ষমা করতে পারেন, কিন্তু শিরকের অপরাধী দুনিয়াতে ক্ষমা না চাইলে কখনোই ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ তা'আলা শির্কের বিপরীত তাওহীদের মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন এভাবে,
“ বলঃ তিনিই আল্লাহ একক/অদ্বিতীয়।

আল্লাহ কারও মুখাপেক্ষী নন। তাঁর কোন সন্তান নেই এবং তিনিও কারও সন্তান নন, এবং তাঁর সমতুল্য কেহই নেই।
শির্ক হল আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাওকে উপাস্য হিসেবে সাব্যস্ত করা বা তার উপাসনা করা, আমরা আজ কবর পূজায় লিপ্ত হচ্ছি, হারাম কাজে আনন্দিত হচ্ছি বারং বার।

হারাম কাজ সর্বাবস্থায় নিষিদ্ধ। কতিপয় হারাম কাজের জন্য শরিয়া কর্তৃক শাস্তি নির্ধারিত রয়েছে। এছাড়া ইসলাম অনুযায়ী হারামে লিপ্ত ব্যক্তির জন্য মৃত্যু পরবর্তী সময়ে শাস্তির কথা বলা আছে। হারাম কাজের মধ্যে রয়েছে মানুষ হত্যা, চুরি-ডাকাতি, মদপান, সুদের লেনদেন, ঘুষ আদানপ্রদান, ধর্ষণ, ব্যভিচার, মৃত পশুপাখির মাংস খাওয়া প্রভৃতি।

মানুষ হত্যা, চুরি-ডাকাতি, মদপান, সুদ, ঘুষ, ধর্ষণ, ব্যভিচার যা আজ আমাদের নিত্য নৈমিত্তিক ব্যপার।
ঘুষ ছাড়া চাকুরি, ব্যবসা, অনুমোদন প্রাপ্তি এমনকি ন্যায়ও পাওয়া সম্ভব নয়।

সুদ ছাড়াতো কেউ যেন হাজার টাকাও কাউকে ধারই দিবেনা। এনজিও আর ব্যংক এর কথা না ই বা বলি যা আমাদের সকলের জানা।
মদপান ছাড়া পুরুষই হওয়া যায়না এমনটি অনেকেই বলে। উৎসব , পূজা পার্বনেতো এটা ছাড়া কথাই চলেনা।

ধর্ষণ তো যেন পৈত্রিক সম্পত্তি । ছেলের কান্ডে বাবার সমর্থনও সমাজে অগণিত । শাস্তি নামে মাত্র। আইনি প্রয়োগ আজ প্রশ্নবিদ্ধ।
সমাজের নির্জিব কীট আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথাও বলতে নারাজ। আমরা মনে করি চাচা আপন জান বাঁচা। কাল আমি আপনি আমাদের মা-মেয়ে-বোন দের নিয়ে রাস্তায় বের হতে পারবো কিনা সন্দেহ। সরকারের ভাষ্য আগাম বলি ’’ সরকারকি সকলের জন্য বডি গার্ড এরও দ্বায়িত্বও নিবে নাকি?’’

আজ ধর্মের নামে হচ্ছে রাজনীতি, হচ্ছে ক্ষমতা দখল, জমি দখল, অবাদ মেলামেশা (লেংটার মাজার সহ অসখ্য মাজার বা নাম মাত্র উপাসনালয়ে হচ্ছে)।

আজ ইসলামে হচ্ছে বেদাভেদ , ইসলামের নামে দলীয় বিভক্তি, হচ্ছে লোক ঠকানোর ব্যবসা।

ইসলাম না জেনে ইসলামের নামে চলছে অপপ্রচার। আমাদের গুটি সংখ্যক অন্ধের জন্য গোটা বিশ্বে ইসলাম কর্দমাক্ত ।

আইএস ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা করে , মুসলিম হত্যা করে, মুসল্লীদের হত্যা করে, ধর্ষন করে ইসলাম প্রচার করে ! আমাদের বুদ্ধির উপর বালুচর উঠে গেলো? যে ইসলামের ই ও মানেনা সে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবে কী? ইসলাম কী বলে, কী আদেশ করে আর কি নিষেধ করে আগে জানি ও মানি তারপর মন্তব্য করি। ওরা ইসলামের সবচেয়ে বড় শত্রু। যাদের জন্য আজ ইসলামের উপর আঙুল উঠে আমরা সকলে তাদের ঘৃণা করি, আল্লাহ্র লানত তাদের উপর।



আল্লাহ্‌ আমাদেরকে শির্ক, মানুষ হত্যা, চুরি-ডাকাতি, মদপান, সুদ, ঘুষ, ধর্ষণ, ব্যভিচার থেকে দুরে রাখুন আর আমাদের দ্বারা ইসলাম ধ্বংস নয় বরং হেফাজত করার তৌফিক দান করুক, আমীন …সুম্মা আমীন ।

বিঃ দ্রঃ বানানে অসংখ্য ভুল আর কারও ব্যক্তিগত বিষয়ে আঘাত প্রাপ্ততার জন্য ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি কাম্য।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৯

সুচিল বলেছেন: হ্যা,,,,, ভন্ডরাই ইসলামকে প্রশ্নবিদ্ব করেছে

২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৯

মানিজার বলেছেন: ইসলাম আইজকাইল মুফতী মুল্লার সম্পত্তি হইয়া গেছে । হেরা নিজেগর সম্পত্তি মনে করে ইসলামরে । ইচ্ছামত ফতুয়া দিয়া ফিতনা সৃষ্টি করতাছে । এইগুলাই হইল ইসলামরে প্রশ্নবিদ্দ করার পিছনের কারীগর ।

৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:০৫

আরিফুল হক৩৫ বলেছেন: দাড়ি টুপি পড়লেই মুল্লা মুফতী না । আমাদেরও জানতে হবে বুঝতেও হবে কে ইসলাম মানে - জানে- বুঝে ।

৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৩৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আসলে আমরাই ইসলাম থেকে দূরে সরে এসেছি আর অনুকরণ করছি বিজাতীর তাই আজ আমাদের এ অবস্থা। ইসলাম ধর্ম চিরকালই শান্তির ধর্ম, বিভ্রান্তির জন্য আমরা দায়ী ইসলাম নয়। আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত দান করুন।

৫| ২০ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৪৭

কানিজ রিনা বলেছেন: কি বলব যেখানে ইসলাম দলিয়গত ভাবে
ভাগ হয়ে গেছে। নানান দলের বড় বড়
বিজ্ঞপন্ডিতরা আলেমগন একে অপর দলের
গীবোদে লিপ্ত। সব দলের আলেম একসাথে
হয়ে তর্ক করলে হয়ত যুদ্ধ ক্ষেত্র সংগঠিত
হবে। এখন সাধারন মানুষ কোন দলের
আলেমের নির্দেশ মোতাবেক চলবে?

ইসলাম অর্থ শান্তি অথচ দলিয় প্রভাবে
শান্তি থেকে অশান্তি বেশী পরিলক্ষিত।
বাংলাদেশে সকল আলেম মুমিন হয়ত
ইচ্ছা করলেই পারেন একসাথে সকল
মতামতের ভাল দিকগুল ও কোরআন
হাদীস মোতাবেক নবী মোহাঃ সঃ জীবন
আদর্শর উপর একমত হয়ে সকল দলিয়
ভেদাভেদ ভুলে একসাথে ইসলামের শান্তি
প্রতিষ্ঠার উপর কাজ করা।
ইসলামী আলেমেদীন মুমিন ব্যক্তিদয়ের
জরুরী হয়ে পড়েছে এই সমস্যা সমাধান
করা। অসংখ্য ধন্যবাদ।

৬| ২০ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: সত্যিকার অর্থে এই যুগে কেউ'ই পুরোপুরি ইসলাম মানে না।
মানা সম্ভবও না।

২০ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৫২

আরিফুল হক৩৫ বলেছেন: আপনার কথায় একমত হতে পারছিনা। ইসলাম মেনে চললে সমাজ এতোটা নোংরাও হতো না। সবটা পালন করতে পারি আর না পারি চেষ্টা থাকা চাই। মানুষ চাইলে অনেক কিছুই পারে। পালন করতে এক টা অজুহাত যথেষ্ট 'পালন করবো' না চাইলে অসংখ্য । কথা গুলো নিজের জন্যই বললাম ভাই। যেন নিজে পারি।

৭| ২০ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:০৪

মানিজার বলেছেন: http://www.somewhereinblog.net/blog/KabeerAhmedShah/30206904

এই দেখেন এক মুফতী সাপের বয়ান । আমি কুলাঙ্গারের মুখের ভাষা খারাপ কিন্তু আইজকালের মুফতী সাবের মত লুকের ভাষা আরু খারাপ । তাইলে তু ইসলামের উপ্রে প্রশ্ন আসবই ।

আমি নাস্তিক না কিন্তু কু-বিশ্বাসীও না । আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যেমন অবৈধ তেমনি ইসলামের ব্যাপারেও সেইম কথা ।

৮| ২০ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:০৪

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: ইসলাম কেবল আজ নয়, শুরু থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল, যারা তাদের প্রশ্নের গ্রহণযোগ্য সমাধান পেয়েছে, আল্লাহ তাদেরকে কবুল করেছেন, অর্থাৎ তার ঈমানদার হয়েছে। যারা পায়নি, তার হয়েছে কাফির অথবা মুনাফিক। দুর্ভাগ্যজনক হলেই সত্যি যে আমাদের আজকের সমাজে ঈমানদারের চেয়ে মুনাফিকের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। এর দায় ইসলামের নয়, এর দায় হল আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা - যা আমাদেরকে ভালো-মন্দ বা সত্য মিথ্যা নির্ণয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান দেয়না।

৯| ২০ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ইসলাম প্রশ্নবিদ্ধ নয়। কতিপয় মুসলিম প্রশ্নবিদ্ধ...

১০| ২০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৫০

আবু তালেব শেখ বলেছেন: বিচার মানি তালগাছ আমার
বলেছেন: ইসলাম প্রশ্নবিদ্ধ নয়।
কতিপয় মুসলিম প্রশ্নবিদ্ধ...

সহমত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.