নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূণ্যতা থেকে শূণ্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূন্যতা থেকে শূন্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

কান্ডারি অথর্ব

আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।

কান্ডারি অথর্ব › বিস্তারিত পোস্টঃ

অমীমাংসিত রহস্য

১২ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:১৪









পৃথিবীতে অনেক সময় এমন সব ঘটনা ঘটে থাকে যার রহস্য কখনও কখনও ভেদ করা সম্ভব হয়না। অলৌকিক কিংবা লৌকিকতার দ্বৈরথে রহস্যাবৃত হয়েই থেকে যায় সেইসব ঘটনা। ধর্ম কিংবা বিজ্ঞান কোন কিছুর আলোকেই; যৌক্তিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে সেসবের সমাধান বের করা সম্ভব হয় না। তেমনই কিছু ঘটনা নিয়ে আমার অমীমাংসিত রহস্য। এগুলোকে মিথ্যা ভাবলে মিথ্যা আর সত্য ভাবলে সত্য। তবে বলতেই হয় যে, বিশ্বাস করুন আর নাই করুন ঘটনাগুলো আজও অমীমাংসিত রহস্য হয়েই রয়ে গেছে আমার কাছে। হয়ত কখনও এসব রহস্যের সমাধান হলেও হতে পারে।



ঘটনাঃ - ০১



আজকের আধুনিক মিরপুর একটা সময় ছিল একেবারেই অজপাড়াগাঁ। সামান্য গুলিস্তান গেলেই মানুষ বলতো ঢাকা যাচ্ছি। আমি তখন স্কুলে পড়ি। কোন ক্লাস ঠিক মনে নেই। উত্তর পাড়ার সৈকত ছিল আমার বন্ধু। সৈকতের অনুরোধে সেইদিন ওদের হয়ে ফুটবল ম্যাচ খেলতে গিয়েছিলাম। তখন প্রায় নিয়মিতই ক্ষেপ দেই। ক্ষেপ দেই বলতে কোথাও খেলা হলেই আমার ডাক পড়ত। দরদাম হয়ে যাওয়ার পর খেলতাম সেই দলের পক্ষ হয়ে। বিনিময়ে যা টাকা পেতাম তাই দিয়ে হাত খরচ চলে যেত। খেলা শেষে বাড়ি ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে গেল। সেই সময়ে মিরপুরে একটু রাত হলেই মনে হতো যেন গভীর রাত হয়ে গেছে। চারদিকে শুধু ধান ক্ষ্যাত। ক্ষ্যাতের আইল ধরে হাঁটছি। নিস্তব্ধ চারদিকে অন্ধকার। চাঁদের আলোই একমাত্র ভরসা। ঘন ঘন শিয়ালের ডাক। হেটে হেটেই বাড়ি ফিরছি। কিন্তু খেলায় হেরে যাওয়ার কারনে মনের ভেতর খুব জ্বালা করছিল। ওরা যে আশা করে আমাকে নিয়ে গিয়েছিল ওদের সেই আশা আমি পূরণ করতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছি। বরং কিছু মনোমালিন্যও হয়ে গেল ওদের সাথে। খেলায় হেরে যাওয়ার কারনে ওদের কাছ থেকে পারিশ্রমিক হিসাবে কোন টাকা নিতে পারি নাই। তাই মনঃটা ভীষণ খারাপ। হাঁটছি; হঠাত সামনে দেখি রহিম চাচা জিকির করতে করতে যাচ্ছেন। বাম হাত দিয়ে ধরে কাঁধে করে একটি লাঠি নিয়ে হাঁটছেন। লাঠির মাথায় গামছা দিয়ে পুঁটলি বাঁধা। রহিম চাচা ছিলেন আমাদের পাড়ার মসজিদের খাদেম। আমি পেছন থেকে ডাকছি, “রহিম চাচা, ও! রহিম চাচা”। কোন সাড়া শব্দ নাই। উনি উনার মতো জিকির করেই হেটে চলেছেন। আমি আবারও ডাকলাম, “রহিম চাচা, ও! রহিম চাচা”। এবারও কোন সাড়া শব্দ নেই। আমি আবারও ডাকলাম। কিন্তু শেষে কোন সাড়া না পেয়ে চুপচাপ উনার পেছনে পেছনে হাঁটতে লাগলাম। হাঁটতে হাঁটতে কখন যে বাড়ির সামনে এসে পৌঁছেছি খেয়ালই করি নাই। রহিম চাচা তখনও একই ভাবে জিকির করতে করতে হাঁটছেন। আমি দৌড়ে গিয়ে উনার ডান হাতটা ধরে বললাম, “চাচা”। সাথে সাথে মনে হলো যেন আমার হাতটা জ্বলে গেল। যখন জ্ঞান ফিরল, বাড়ির সবাই দেখি আমাকে ঘিরে দাড়িয়ে আছে। আমি বিছানায় শুয়ে আছি আর আমার মা পাশে বসে আমার মাথায় পানি ঢালছেন। সবাই জিজ্ঞাস করল কিরে তোর কি হয়েছিল? আমি কোন জবাব দিতে পারলাম না শুধু আমার ডান হাতের মুঠো খুলে দেখি পয়সার মতো গোল হয়ে হাতের তালুর মাঝখানটা ঝলসে গেছে। আমার হাতের তালুর সেই ক্ষত দাগ প্রায় ষোল বছর ধরে ছিল। সেই রাতের ঘটনার দুইদিন পর যখন ঘটনাটা সবাইকে বললাম; তখন আমি মাত্র জানতে পারলাম যে, রহিম চাচা মারা গেছেন মাস কয়েক আগেই। এই ঘটনা নিয়ে সবাই কিছুদিন উপহাস করল। তারপর সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে এলো কিন্তু এই নিয়ে এখনও আমার মায়ের মধ্যে আমাকে নিয়ে উদ্বেগ লক্ষ্য করি।



ঘটনাঃ – ০২



আমাদের পাশের বাড়িতে থাকতেন জোয়ারদার চাচা। তারা ছিলেন নিঃসন্তান দম্পতী। এই নিয়ে তাদের মাঝে সবসময় ভীষণ কষ্ট বিরাজ করত। সেই সময়ে পুরো পাড়া জুড়ে শুধু জোয়ারদার চাচার বাড়িতেই একটা টেলিভিশন ছিল তাও সাদা কালো। সন্ধ্যা হলেই আমরা কয়েকজন মিলে তার বাড়িতে যেতাম টেলিভিশন দেখতে। তিনি আমাদের জন্য একটা নাম ডাকার খাতা করেছিলেন। সবাই যখন টেলিভিশনের সামনে বসতাম তখন তিনি নাম ধরে ডাকা শুরু করতেন। একে একে উপস্থিত বলা শেষ হলে তিনি টেলিভিশন ছেড়ে দিতেন। যদি কাউকে কোন দিন অনুপস্থিত পেতেন সঙ্গে সঙ্গে তার খোঁজ নেয়ার জন্য ছুটে যেতেন। এমনই এক অদ্ভুত খেয়ালের মানুষ ছিলেন জোয়ারদার চাচা। একদিন কোথা থেকে যেন একটা বাচ্চাকে সাথে করে নিয়ে এলেন। বাচ্চাটার বয়স হবে চার কী পাঁচ বছর। বেশ মায়াবী একটা চেহারা ছিল বাচ্চাটার। দেখলেই গাল টেনে ধরে আদর করতে ইচ্ছে করত। চাচা-চাচী দুজনেই যেন তাদের নিঃসন্তান দাম্পত্য জীবনে একটা সন্তান পেলেন। নিজের সন্তান হলেও হয়ত এত আদর তারা করতেন না, যতটা বাচ্চাটাকে আদর করতেন। জোয়ারদার চাচা আদর করে তার নাম রাখলেন তুলি। কিন্তু বাচ্চাটার একটাই সমস্যা ছিল কথা বলতে পারত না। শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে মায়া ভরা চোখে তাকিয়ে থাকত। পৃথিবীর যাবতীয় কথা যেন সব তার চোখই বলে দিত। চাচা খুব শখ করে তুলির জন্য ছোট একটা বালিশ বানিয়ে আনলেন যাতে তুলি আরাম করে ঘুমাতে পারে। এক রাতে চাচার কলম দিয়ে সেই বালিশে তুলি অবিকল তার নিজের মুখের মতো করে একটা মুখ আঁকল। তারপর সেই বালিশ দিয়েই তার সারাদিনের পুতুল খেলা। চাচী বহুবার চেষ্টা করেছে বালিশের কাপড় ধুয়ে দেয়ার জন্য কিন্তু তুলির জেদের কারনে সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত ময়লায় নোংরা হয়ে কালো হয়ে গেল বালিশটা। সেই ময়লা বালিশেই চাচীর কাছ থেকে কখনও লিপিস্টিক নিয়ে, কখনও কয়লা দিয়ে বউ সাজাতো। চাচা অনেক পুতুল কিনে এনে দিলেন কিন্তু কোন কিছুই তুলির মন ভোলাতে পারলনা। সে তার বালিশ নিয়েই পড়ে থাকল। একদিন চাচা ভীষণ রেগে গিয়ে তুলির গালে চড় বসিয়ে দিলেন। সেইদিন থেকে তুলি উধাও হয় গেল। সাথে বালিশটাও নাই। আমরা সবাই মিলে অনেক খোঁজা খুঁজি করেও কোথাও আর তুলিকে পেলাম না। তুলির শোঁকে দেখতে দেখতে জোয়ারদার চাচা কেমন যেন উদাস প্রকৃতির হয়ে গেলেন। কারও সাথে কথা বলেন না। সারাদিন চুপচাপ বিছানায় শুয়ে থাকেন। খাওয়া দাওয়াও ছেড়ে দিলেন। সব সময় হাসিখুশি নাদুস নুদুস একটা মানুষ হঠাত করেই ভীষণ রোগা হয়ে গেলেন। এভাবে পড়ে থাকতে থাকতে একটা সময় ভীষণ অসুস্থ হয়ে দীর্ঘ দিনের জন্য কোমায় চলে গেলেন। অনেক টাকা পয়সা খরচ করে বিদেশে নিয়ে গিয়েও চিকিৎসা করানো হলো। এরই মাঝে কেটে যায় প্রায় বছর সাতেক কিন্তু কোন কিছুতেই কোন ফল না পেয়ে অবশেষে ডাক্তাররা তার বাঁচার আশা ছেড়ে দিলেন। একরাতে জোয়ারদার চাচার বাড়ির দরজায় কাড়া নাড়ার শব্দে চাচী ঘুম ভেঙে দরজা খুলে দিতেই স্তব্ধ হয়ে গেলেন। সেই চার-পাঁচ বয়সের বাচ্চা মেয়েটা হাতে সেই বালিশটা নিয়ে দাড়িয়ে আছে। গুটি গুটি পায়ে চাচার বিছানার পাশে গিয়ে দাঁড়াতেই জোয়ারদার চাচার চোখ বেয়ে পানি নেমে এলো। তুলি চাচার দিকে বালিশটা এগিয়ে দিতেই অস্পষ্ট কণ্ঠে জোয়ারদার চাচা একবারের জন্য বললেন, “তুলি মা আমার, তুই ফিরে এসেছিস”। তারপর আর কোন দিন জোয়ারদার চাচা কথা বলেন নাই। কিন্তু আশ্চর্য জনক হলো চাচার সেই মৃত্যুর রাতের পর থেকে তুলিকেও আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। কিন্তু এবার উধাও হওয়ার আগে তুলি বালিশটা রেখে গেল। জোয়ারদার চাচা বেঁচে নেই, তুলিও নেই কিন্তু সেই বালিশটা আজও ঠিক তেমনই আছে। চাচী এখন বুড়ো হয়েছেন তবু খুব যত্ন করে তুলির ফিরে আসার প্রতীক্ষায় তুলে রেখেছেন বালিশটা।





মন্তব্য ৭১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৭১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:২৪

কেএসরথি বলেছেন: ভাল লাগছে।

১২ ই মে, ২০১৪ সকাল ৮:১৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ধন্যবাদ ভাই। শুভ সকাল।

২| ১২ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৩৯

রায়ান ঋদ্ধ বলেছেন: তুলির ঘটনাটা একটু গাঁয়ে কাঁটা দিল!

১২ ই মে, ২০১৪ সকাল ৮:১৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


কাঁটা দেয়ার মতো আরও অনেক ঘটনা আছে ভাই। আপনি কেমন আছেন?

৩| ১২ ই মে, ২০১৪ রাত ১:৩৮

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: পোষ্টটি পড়ে আমার জীবনে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা বলতে ইচ্ছা হলো।

সেই অনেক বছর আগে দিনাজপুরের সাঁওতাল অধ্যুষিত এক প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়েছি বিয়ের অনুষ্ঠানে। এরমধ্যে একদিন ঘুরতে বের হয়ে ঘুরতে ঘুরতে সন্ধ্যা লেগে গেলো। ফেরার সময় খেয়াল করি আমরা পথ ভুলে গেছি। আমরা বলতে আমি আর আমার এক ভার্সিটির রুমমেট। প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ যেমন ঢাকা এসে রাস্তা হারিয়ে ফেলে, গ্রামে গিয়ে আমাদেরও হয়েছে একই দশা। যেদিকে যাই সবদিকের রাস্তাই একই রকম লাগে। মেঠো পথ, পথের ধারের গাছ বাড়ীর ধরন সব একই রকম। যাইহোক কি আর করা। হঠাৎ দেখতে পেলাম সাইকেল চালিয়ে এক লোক আসছে। আকাশে চতুর্থী কি পঞ্চমীর চাঁদ থাকাতে চারদিক অল্প একটু হলেও পরিষ্কার। লোকটিকে থামিয়ে গ্রামের নাম বলতেই লোকটি বললো সেও নাকি সেদিকেই যাচ্ছে। অগত্যা তার কথামতো আমরাও তার পিছু নিলাম। কিছুদূর গিয়ে দেখলাম নদীতে একটি প্রশস্থ সাঁকো। সেইদিকে ইঙ্গিত করে লোকটি বললো এই সাঁকো ধরে গেলে তাড়াতাড়ি হবে। লোকটি আগে আগে সাইকেল নিয়ে সাঁকোতে উঠে গেলো আমরাও পিছু পিছু উঠলাম। নিয়মিত সাঁকোতে উঠান অভিজ্ঞতা না থাকায় খুব স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের গতি ধীর হয়ে আসলো আর লোকটি সাইকেল নিয়েও খুব দ্রুত এগিয়ে চললো। সাঁকোর মধ্যিখানে এসে দেখি সাঁকোটা ভাঙ্গা। ভাঙ্গা মানে এমন ভাবে ভাঙ্গা যে একটা বাঁশও নেই। এবং ভাঙ্গা অংশটুকুর দূরত্ব ১০/১২ ফুটের কম নয়। ভাবনায় পড়ে গেলাম যে বড় মাপের লম্ফবিদও তো নদীর উপর সাঁকোর এতটুকু জায়গা পার হতে পারার কথা না আর এই লোক সাইকেল নিয়ে পেরুলো কি করে। চেঁচিয়ে লোকটাকে ঢাকলাম। বললাম এখন আসবো কি করে। লোকটি বললো, ব্যাপারনা হাঁটা ধরলেই আসতে পারবেন। এই বলে লোকটি এগিয়ে যেতে লাগলো আর আমরা বিভ্রান্ত ভাবে ভাঙ্গা সাঁকোর এক মাথায় দাঁড়িয়ে রইলাম
-------

সেই ভ্রমণে আরো একটি ঘটনা ঘটেছিলো। তবে সেটি ঘটেছিলো সেই গ্রামে এবং আমরা যে বাড়ী উঠেছিলাম সেই বাড়ীর কাছেই। সেই ঘটনার আরেকদিন বলবো।

১২ ই মে, ২০১৪ সকাল ৮:১৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


কুনো ভাই তারপর কি আপনারা আবার সাঁকো থেকে ফিরে এসেছিলেন, না ওভাবেই পার হলেন ?

আপনার ঘটনাগুলো শোনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রইলাম।

শুভ সকাল।

৪| ১২ ই মে, ২০১৪ রাত ২:২৩

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: পৃথিবীটা সত্যিই রহস্যময়। এখানে অনেক কিছুই ঘটে যার কোন ব্যাখ্যা দেয়া যায় না।

১২ ই মে, ২০১৪ সকাল ৮:২০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আবার এই ব্যাখ্যার জন্য আমরা অস্থির হয়ে পরি। জড়িয়ে পরি নানা রকম যুক্তি তর্কে।

শুভ সকাল ভাই।

৫| ১২ ই মে, ২০১৪ ভোর ৫:৪৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ও আপনার কোমরের তাবিজটা তাইলে এই কারনে নিসেন? আমি তো আরো অন্য কারন ভাবছিলাম!! :|| :|| B:-)

আপনার হাতে দাগ ছিল?? না! ইয়ে মানে... যার কেউ নাই... আচ্ছা না থাক। কিছু আর নাই বলি। :#) :#) #:-S ;)

ঢাকা শহরের ভুত আমার পছন্দ না। ভুতে হওয়া উচিত কিছুটা গ্রাম্য। গ্রামের শ্মশানে থাকবে, কবরস্থানে থাকবে, বাঁশঝাড়ে থাকবে। ইলিশ মাছ খেতে চাইবে, মাঝে মাঝে ভয় দেখাবে, মাঝে মাঝে সাহায্য করবে। শহরে ভুতের এই সব নাই। রসকষহীন ভুত!

১২ ই মে, ২০১৪ সকাল ৮:৩০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আপনার নজরের প্রশংসা করতেই হয়। আপনার চোখ নয় যেন স্ক্যানার। তাইতো বলি...... ইয়ে মানে আপনার সেই ইয়ে ধরে ঘুমানোর ছবিটা কিন্তু অনেক অমীমাংসিত রহস্যের সৃষ্টি করেছে...... B-)) B-)) B-))

ব্লগে কিন্তু ভাই আমার জন্য আপনি আছেন। নাহলে এমন উৎসাহ কে যোগাত ? /:)

তবে শহরের মানুষগুলো কিন্তু কা_ভা ভাই আপনার মতো ভীষণ রসকষ ময়। শীতে খেজুর গাছে হাড়ি না পেতে বরং সারা বছর আপনার কাছেই হাড়ি পেতে অনেক রস পাবে। আর তা দিয়ে তৈরি হবে সুমিষ্ট হরেক রকম গুড়। আইডিয়াটা কিন্তু ভেবে দেখতে পারেন। কা_ভা গুড় খাঁটি তরমুজীয় ফ্ল্যাভারে। B-) B-) B-)

অটঃ আপনার বাস ভ্রমনের খবর কি? :!>

৬| ১২ ই মে, ২০১৪ সকাল ৮:৩৪

(একজন নিশাদ) বলেছেন: ব্যপক রহস্য পাইলাম।

১২ ই মে, ২০১৪ সকাল ৮:৪৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


হে হে হে :D :D :D আমি কিন্তু ভেবেছিলাম ব্যাপক রহস্য পাবেন :P

৭| ১২ ই মে, ২০১৪ সকাল ৮:৫৪

জাফরুল মবীন বলেছেন: আমি নিজে কখনও ভূত দেখিনি তবে এ সংক্রান্ত অলৌকিক ঘটনাগুলোর ব্যাপারে রয়েছে দূর্বার কৌতুহল।ভালো লাগলো পড়ে।

১২ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:০২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাই ভুত বলে পৃথিবীতে কিছু নেই। তবে প্রকৃতি রহস্যের আঁধার। আর সেই সব রহস্য জন্ম দেয় নানা রকম মিথ আর প্রোপাগান্ডার।

মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা রইল ভাই। শুভ কামনা নিরন্তর।

৮| ১২ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৪২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: তেঁতুলগাছের ওপরে লক্ষ্মীপেঁচার চোখ দেখে ভয় পেয়েছি কতবার, কবর-শ্মশানের পাশ দিয়ে সাইকেল চালিয়ে আসার সময় পুরো শক্তিতে প্যাডেল করতাম, রাতের বেলায় উড়ন্ত বক দেখে চিৎকার করেছি - ওই দেখ দানো উড়ে যায়! এখনও ভূত-সঙ্ক্রান্ত বিষয় আগ্রহ জাগায়।

ভাল লাগল পোস্ট, কাণ্ডারি।

১২ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৪৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমার ভাই রাতে হাটতে বের হলে রাস্তায় কুকুর দেখলে ভীষণ ভয় হয় এখনো। অথচ এক সময় আমি নিজে কুকুর পেলেছি। অবশ্য সেই কুকুরটা আমার হাতেই মারা যায়। তারপর থেকে সেই ভয়। একদিন সেই গল্পটা শেয়ার করা যাবে।

শুভেচ্ছা রইল।

৯| ১২ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:০১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: পৃথিবীটা সত্যিই রহস্যময়।

১২ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৪৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


মানুষগুলো তারচেয়েও বেশি রহস্যময়।

শুভেচ্ছা রইল ভাই।

১০| ১২ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:১২

লিরিকস বলেছেন: ১ম গল্প নিয়ে আমার কথা আছে। ওয়েট

১২ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৪৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আপনার অপেক্ষায় রইলাম আপু।

১১| ১২ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:২৯

বৃতি বলেছেন: আমি ভূত বিশ্বাস করি না কিন্তু ভূত ভয় পাই ভীষণ। আর আমার দেখা একটা অমীমাংসিত রহস্য আছে।

ভাল লাগলো পড়ে ভাইয়া :)

১২ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৪৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমিও ভুত বিশ্বাস করিনা তবে জীন আছে এটা বিশ্বাস করি।

আপনার অমীমাংসিত রহস্য যদি শেয়ার করেন তাহলে এই পোস্টে আপডেট করে দেবো আপু।

শুভকামনা রইল আপু।

১২| ১২ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:৫৯

রায়ান ঋদ্ধ বলেছেন: ভালো আছি ভাই। আপনি কেমন আছেন?

কুনো ভাইয়ের পরের গল্পটা শুনতে খুব আগ্রহী। আমার এলাকায় এমন রহস্য শুনতে তো হবেই!

১২ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৪৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আমি ভাল আছি ভাই।

আমিও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি কুনো ভাইয়ের গল্পটা শোনার জন্য। উনি গল্পটা বলে গেলে পোস্টে আপডেট করে দেবো।

১৩| ১২ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩১

মুদ্‌দাকির বলেছেন: রহস্যময়তার পৃথিবীতে বাসকরি আর আধ্যাতিকতায় বিশ্বাস করি, ঘটনা গুলো ভাবালো !!!

১২ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৪৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আমিও ভাই আধ্যাতিকতায় বিশ্বাস করি। ঘটনাগুলো আজও আমাকে ভাবায়।

১৪| ১২ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৩৩

অপু তানভীর বলেছেন: অতি রহস্য জনক !

১২ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৫০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অপু ভাই রহস্যের শেষ নাই। আপনি উৎসাহ দিলে আরও কিছু শেয়ার করতে পারি।

১৫| ১২ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৪০

অদৃশ্য বলেছেন:





এইতো কান্ডারী ভাই, লাইনে আসতেছেন আপনি... হাহ হাহ হাহ... মাত্র দুইটা ঘটনা দিয়েই শেষ করে দিলেন... অবশ্য দুইটাই আপনার সাথে সম্পৃক্ত... চমৎকার লাগছে...

কিন্তু এটুকুতেইতো ভাই পেট ভরবে না... আমি চাই এই বিষয়টা নিয়ে আপনি একটা গবেষনামূলক পোষ্ট দেন... অবশ্যই জানা শোনা সত্য কিছু ঘটনা তাতে রাখবেন... আর চেষ্টা করবে ডিটেইল দিতে... আরাম করে পড়ছে চাই...

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
শুভকামনা...

১২ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৫৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাই সত্যি করে বলি কিছু কিছু মানুষের জন্য ব্লগে লেখালিখি করি। তাদের মধ্যে আপনি একজন। আপনাদের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী ব্লগিং করি। আপনাদের পরামর্শ আমার প্রেরনা। এই লাইনে আশার জন্য প্রভাবক হিসেবে আপনি সব সময় আমার সাথে আছেন বলে চিরদিনের জন্য আমি ঋণী।

আপনার ঐ পোস্টের জন্য এখনও পড়ছি। নিজে পুরোপুরি ধাতস্ত না হয়ে আসলে পোস্টটা দিতে চাইছিনা। বেশ দেরী হবে তার জন্য অগ্রীম ক্ষমা চাইছি।

ভাই আপনার জন্য দোয়া ছাড়া এই অথর্বের আর দেয়ার কিছু নাই।

১৬| ১২ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫

তাসজিদ বলেছেন: অদ্ভুত ঘটনা। প্রথমটার হয়ত কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে। কিন্তু পরের টার কোন ব্যাখ্যা দেয়া সম্ভব না।


আসলে আমার কিছু অভিজ্ঞতা, বলা যেতে পারে কষ্টের বাজে অভিজ্ঞতা : ভৌতিক অভিজ্ঞতার বিশ্বাস কে একেবারে নাড়িয়ে দিয়েছে।


সে ভয়ানক কষ্টের অভিজ্ঞতা আমাকে একটি জিনিস শিখিয়েছে। ক্ষুধার চেয়ে বড় ভয় আর নেই। আপনি যখন ক্ষুধার কষ্টের মাঝে থাকবেন, তখন আপনার কাছে ভৌতিক অভিজ্ঞতা স্রেফ একটি হাস্যরস মনে হবে।
মনে হবে ভুত/পেতনিকে খেয়ে খুধা নিবারণ করি। B-))

ধরেন, আপনার হারানোর কিছু নেই। আপনি সর্বস্বান্ত। সেসব ক্ষেত্রে আপনি হাজার চেষ্টা করেও ভয় কে মনে আনতে পারবেন না।

একটু অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করে ফেললাম। আশা করি অন্য ভাবে নিবেন না।

১২ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:০৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


সুপ্রিয় তাসজিদ ভাই আপনার অভিজ্ঞতা যদি শেয়ার করেন খুব খুশি হব। পোস্টে আপডেট করে দেবো। আসলে সবার জীবনেই এমন ঘটনা হয়ত থাকতে পারে। যদি কারও থেকে থাকে তাহলে চাইছি পোস্টে সংগ্রহ করে রাখবো।

ভাই আপনার খুধার কথা শুনে আমারও অতীত কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। তবে আমি শিখেছি হাউ টু সারভাইব। তবে এখন খুব ভয় হয় যদি কখনও এমন দিন আসে তাহলে আমি পারলেও আমার সন্তানরা কি করে না খেয়ে থাকবে ? তবে বিশ্বাস করি রিজিকের মালিক আল্লাহ।

শুভকামনা রইল সব সময়ের জন্য।

১৭| ১২ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:১০

ক্যাতর আলী বলেছেন: আল্লাহর সৃষ্টিতে কত যে রহস্য তা ক্যাতর আলীর মাথার উপ্রে দিয়ে যায়

আপনার মায়ের মধ্যে আপনাকে নিয়ে উদ্বেগ থাকবেই
মা তো

১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৪০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ধন্যবাদ ক্যাতর আলী। ভাল থাকুন।

১৮| ১২ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:৪৩

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: B:-) B:-) B:-)

১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৪২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

তোর মাঝে দিয়ে ব্লগ থেকে হারিয়ে যাওয়াটা কিন্তু কম রহস্যের নয়।

১৯| ১২ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:১১

নতুন বলেছেন: ২য় ঘটনা>>

জোয়ারদার চাচা। একদিন কোথা থেকে যেন একটা বাচ্চাকে সাথে করে নিয়ে এলেন। বাচ্চাটার বয়স হবে চার কী পাঁচ বছর।

একরাতে জোয়ারদার চাচার বাড়ির দরজায় কাড়া নাড়ার শব্দে চাচী ঘুম ভেঙে দরজা খুলে দিতেই স্তব্ধ হয়ে গেলেন। সেই চার-পাঁচ বয়সের বাচ্চা মেয়েটা হাতে সেই বালিশটা নিয়ে দাড়িয়ে আছে।

৭ বছর পরে সেই একই বয়স রয়ে গেলো তুলির???

এটা হয়তো চাচার অন্য কোন মেয়ে দেখে তুলির কথা চিন্তা করা...

আর যেহেতু অনেক অসুস্ধ ছিলো তাই মানুষিক সমস্যা জাতিয় কারনে ঐ রকমের দেখাও অস্ভাবিক না...

ঘটনাটা অনেক আগের এবং এর ব্যাপ্তি ৭-৮ বছর তাই সব টুকুই কি সত্যি ???

১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৪৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আপনার কথাগুলো ভেবে দেখার মতো। কথায় লজিক আছে। আর পোস্টের শুরুতেই বলেছি যে সত্য ভাবলে সত্য আর মিথ্যা ভাবলে মিথ্যা। বিশ্বাস করা বা না করা পুরোটাই আপনাদের উপর নির্ভর করবে।

কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।

১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৪৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

তবে ভাই একটা কিন্তু যে থেকেই যায় যে অন্য কোন মেয়ে যদি হতোই তাহলে সেই বালিশটা আসবে কোথা থেকে আর অন্য কোন মেয়ে ঐ বালিশটা আনবে কেন আর কোথা থেকে ?

২০| ১২ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:১৫

মামুন রশিদ বলেছেন: এরকম কিছু কিছু অতি প্রাকৃত ঘটনার মুখোমুখি আমরা সকলেই হয়েছি । আমার ধারণা এটা মানুষের ছোটবেলায় বেশি ঘটে ।


মজা পেয়েছি আপনার ঘটনাগুলো পড়ে ।

১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৪৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


সুপ্রিয় মামুন ভাই কিন্তু কুনো সাথে আবার দেখুন ঘটনা ঘটেছে কিন্তু বড় বেলায়। মাঝে মাঝে এগুলো ভীষণ অবাক করে।

আপনার কোন এমন মজাদার ঘটনা থাকলে শেয়ার করুন প্লীজ।

২১| ১২ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:২২

নতুন বলেছেন: ১ম ঘটনা>>

নিস্তব্ধ চারদিকে অন্ধকার। চাঁদের আলোই একমাত্র ভরসা। ঘন ঘন শিয়ালের ডাক।

আপনি বিভিন্ন বিষয়ে চিন্তা করছিলেন>>> তখন সামনের মানুষটিকে চাচা বলে মনে হলো....

অনেকেই হাতের মুঠোয় সিগারেট/বিড়ি রেখে খায়... হয়তো তার হাতে বিড়ি ছিলো... যখন আপনি তার হাত ধরেছেন এবং বিড়ি আপনার হাতে এসে ছেকা দিয়েছে তখন আপনি ভয়ে গিয়ান হারিয়েছেন...এবং যেহেতু বিড়ি আপনার হাতেই অনেক সময় ছিলো তাই পুড়ে গেছে... আর ঐ লোক ও যেহেতু সেই চাচা না তাই বিপদে না পড়তে চেয়ে চলে গেছে....

একটি সিগারেট/বিড়ি তে কি রকমের পুড়তে পারে তা খেয়াল করে দেখতে পারেন

১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৫৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাই আপনার দুটি মন্তব্যে সুপার লাইক। সাথে কৃতজ্ঞতা বেশ ভাল লাগছে যে এত দিনের জমে থাকা রহস্য সমাধিত হচ্ছে বলে। অথচ এই নিয়ে কত কিছু এত বছর ধরে শুধু ভেবেই এসেছি।

আপনার লজিক পারফেক্ট বলেই এখন মনে হচ্ছে। এমন কিছুই কেন আগে মাথায় আসেনি তাই ভাবছি।

তবে ভাই লোকটি যদি বিড়ি বা সিগারেট জাতীয় কিছু খেত তাহলে তো ধোঁয়া দেখতাম আর তাছাড়া আমি স্পষ্ট লোকটিকে জিকির করতে শুনেছিলাম।

২২| ১২ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:২৭

এহসান সাবির বলেছেন: হুম!!


দেখি কি ১৯, ২১ এর কি উত্তর দেন

১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৫৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


নতুন ভাইয়ের লজিক গুলো বেশ জোড়াল। তবে কিছু কিন্তু থেকেই যায়।

আপনার কি মনে হয় সাবির ভাই ?

২৩| ১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৩৫

তাসজিদ বলেছেন: সব কথা কি বলা যায়?

সকল অভিজ্ঞতা যে আপনার নিজের জীবনের হবে তা কিন্তু নয়। অন্যের কষ্ট কে হৃদয় দিয়ে দেখলে তাকে আপনার নিজের অভিজ্ঞতা বলেই মনে হবে।

আর ক্ষুধা রিলেটেড অ্ভিজ্ঞতা কিন্তু আমার ফ্যামিলির সাথে সম্পর্কিত না।

শুভকামনা, প্রিয় কাণ্ডারি ভাই।

১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৫৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাই আপনার কথাটা মন ছুঁয়ে গেল। দারুন একটা কথা বলেছেন।
অন্যের কষ্ট কে হৃদয় দিয়ে দেখলে তাকে আপনার নিজের অভিজ্ঞতা বলেই মনে হবে।

শুভ কামনা তাসজিদ ভাই।

২৪| ১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৫৯

নতুন বলেছেন: ঘটনাটা অনেক আগের এবং এর ব্যাপ্তি ৭-৮ বছর তাই সব টুকুই কি সত্যি ???

তবে ভাই একটা কিন্তু যে থেকেই >>
অন্য কোন মেয়ে ঐ বালিশটা আনবে কেন আর কোথা থেকে ?


চাচা মারা যাবার পরে নিশ্চয় মানুষ ঐ মেয়ে আর বালিশের কাহিনির সত্যতা জাচাইয়ে যাবেনা.... এই টুকু গল্প হিসেবেই সবার মুখে মুখে থাকবে...

এই রকমের গল্পে আরো যোগ হতো পারে....

* চাচার কবরের কাছে রাতে ৪-৫ বছরের বাচ্চাকে যেতে দেখা যায়...
* চাচি ও সেই বাচ্চাকে দেখে বালিশ হাতে...
* ...

আসলে পৃথিবিতে প্রতিটা ঘটনার পেছনে কারন থাকবেই কিন্তু আমরা অনেক কারন দেখিনা তাই আমাদের কাছে রহস্যময় মনে হয়...


১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৩২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আপনার যুক্তি না মেনে কোন উপায় নেই তবে একটা কথা বালিশটা কিন্তু একবার তুলি সহ উধাও ছিল আর তুলি সেই রাতে বালিশটা ফেরত দিয়ে গিয়ে ছিল। আর চাচী সেই বালিশটা যত্ন করে রেখে দিয়েছিলেন।

তবে বাচ্চাটা যে চাচার কবরে যায় না সেটা জানা হয়নি বলে গল্পে আসেনি।

২৫| ১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:০৫

নতুন বলেছেন: তবে ভাই লোকটি যদি বিড়ি বা সিগারেট জাতীয় কিছু খেত তাহলে তো ধোঁয়া দেখতাম আর তাছাড়া আমি স্পষ্ট লোকটিকে জিকির করতে শুনেছিলাম।

আপনি অন্যমনস্ক ছিলেন তা ঘটনাতেই বলেছেন (১)
আপনি দৌড়ে তার হাত ধরেছের (২)

>> আর যদি বাতাস থাকে তবে ধোয়া পেছনে না এসে হয়তো পাশে চলে যাচ্ছিলো...

আর আমাদের ব্রেন অনেক কিছুই তৈরি করে যা আমরা জানিনা.... ঐ লোকটাকে দেথে রহিমচাচা মনে করে আপনার ব্রেন হয়তো আপনাকে সাহস দিচ্ছিলো....

উপরের ব্যক্ষা সবই কেবল কাহিনি পড়ে যুক্তিদাড়া করতে চেস্টা করেছি মাত্র...

আপনিই পারবেন আসল রহস্য সমাধান করতে.... :)

১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৪০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাই আপনাকে সালাম ভাই। আপনি রিয়েলি জিনিয়াস। কিন্তু ভাই রহস্যের সমাধান বের করতে পারলে আরও আগেই বের করতাম আর এই পোস্ট দেয়া হতো না।

কিন্তু রহিম চাচাকে জিকির করতে শুনেছি এটা কি করে সম্ভব। যে লোক সিগারেট খাবে সেতো আর জিকির করবেনা ?

২৬| ১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:১২

এহসান সাবির বলেছেন: দেখি নতুন'দা নতুন মন্তব্যের রিপ্লাই আপনি কি দেন।

১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৪০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


সাবির ভাই আমি নতুন ভাইয়ের ফ্যান হয়ে গেছি। আমার রহস্যের সমাধান করে দিচ্ছেন খুব সহজেই।

২৭| ১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৪৪

এহসান সাবির বলেছেন: হুম।

কিছু বাকি আছে।একটু অন্যরকম। নতুন'দার কথায় যুক্তি আছে।

১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১:০৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


নতুন ভাই সত্যি জিনিয়াস।

২৮| ১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১:১০

নতুন বলেছেন: কিন্তু রহিম চাচাকে জিকির করতে শুনেছি এটা কি করে সম্ভব। যে লোক সিগারেট খাবে সেতো আর জিকির করবেনা ? :| :|

সে হয়তো জিকির বেশি করছিলেন আর সিগারেটে অল্প অল্প টান দিচ্ছিলেন...

আমি সবটুকু কেমনে জানুম কন ?? এইটা তো আমার চিন্তা মাত্র...

১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ২:২৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


হা হা হা ভাই ভালো বলেছেন এটার সম্ভাবনাও একেবারেই উড়িয়ে দেয়া যায়না।

২৯| ১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১:২২

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন:
নতুন ভাই সত্যি জিনিয়াস।


:#> :!> :#> :!>

এই গুলান এক্সফাইলস দেখা আর সা`লক হোমস পড়ার জন্য...

১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ২:২৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


নারে ভাই মাথায় কিছু থাকতে হয়। আপনার আইকিউ অসাধারন লাগছে।

শুভেচ্ছা ও শুভকামনা নিরন্তর।

৩০| ১৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৫৯

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন:
প্রকাশ করা হয়েছে: তবু আমি গল্প লিখি জীবনের জন্য বিভাগে

:-& :-&

ভাইয়া এগুলো তাহলে সত্যি না , তাইনা ? :|

১৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১:১০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ইয়ে না মানে আপু সত্যি গল্প বলেই তো জানতাম :||

৩১| ১৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১:৪২

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: ষ্টীল কনফিউজড :|

দ্বিতীয় ঘটনাটা বেশি অবিশ্বাস্য লাগছে ।এধরণের তেমন কোন অভিজ্ঞতা মনে পড়ছে না , তবে জীন বিষয়ক কিছু অভিজ্ঞতা আছে , অদ্ভুদ কিন্তু অমীমাংসিত না ।

১৫ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:৩০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আপু কনফিউজ হবেন না প্লীজ। এই পৃথিবী বিচিত্রময়। এখানে অনেক সময় অনেক কিছুই ঘটে যা আমাদের কাছে অত্যন্ত রহস্যজনক। তবে আপনি এখানে নতুন ভাইয়ের দেয়া ব্যাখ্যা দেখতে পারেন বিষয়গুলো পরিষ্কার হয়ে যাবে।

৩২| ১৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৬

ড্রীমার বলেছেন: নতুনের ব্যখ্যাটাকে সত্যি ধরে এবার আমি একটা গল্প শুনাই:

রহিম চাচা সেদিন ঘেমেনেয়ে বাড়ি পৌছে বউয়ের কাছে ঘটনাটা বললেন; আজকে বড় বাঁচা বাইচা গেলাম। বাজার থেইক্যা ফিরতে যখন দ্যাখলাম দেড়ি হইয়্যা গ্যাছে তহনি বুঝছি এমুন কিছু ঘটতে পারে আইজকা। বউ ব্যস্ত হয়ে জিগ্যেস করল, কি হইছে ঘটনাটা খুইল্যা কও দেহি!

বুঝলা চারদিক আইনধার, চান্দের আলোতে কুনুমতে একটু আধটু পথ দেইখা আইতেছিলাম। আর চারদিকে শিয়াইল্যা ডাকতাছিল। খুব ডর লাগতাছিল বুঝলা। তহন একমনে আল্লার নাম নিয়া হাটা দিছি। একটা চুরুট ধরাইছি, হুনছি আগুন দ্যখলে নাকি জ্বীন ভূত কাছে আহেনা। হঠাৎ হুনি কে জানি ডাক দেয়! চারদিকে কেউনাই, এত রাইতে এইহানে কুনু মানুষ চউক্ষে পড়লনা। আর পিছন ফিরার সাহস হইলনা। কি না কি দেহি পরে যদি জ্ঞান হারাইয়্যা ফালাই! জোরে জোরে পা ফালাইতে লাগলাম আর আল্লার নাম নিতে লাগলাম। কিছুক্ষণপর দেহি ডাক বন্ধ হয়া গ্যছে। বিড়িটাও শ্যাষ হয়া যাইতাছে। হঠাৎ দেখি আমার হাতটা কেটা জানি খপ কইরা ধরল। বিড়িটা হাত থেইকা পইড়া গেল আর আর দেরি না কইরা দিলাম দৌড়...... বুঝলা বড় বাঁচা বাইচা গ্যাছিগা আজকা !

:) :) সম্পূর্ণ কল্পনা প্রসূত !

১৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:৫৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


হা হা হা সেই ক্ষেত্রে আমি হইলাম রহিম চাচার কাছে এক রহস্য মানব। এইখানে তাহলে নিউটনের সূত্র খাটে। প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। আপনার কল্পনা কিন্তু বাস্তবতাকেও ছাড়িয়ে গেছে।

তাহলে আর একটা গল্প শুনাই আমি একটা কুকুর পালতাম। তো কুকুরটার প্রতি ছিল আমার অগাধ মায়া। কিছুদিন যাবত রাতের বেলা একটা কাক এসে আমার বারান্দায় বসে থাকত। আর আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকত। আমি বহুবার তাড়াতে চেষ্টা করেছি কিন্তু কোন লাভ হয়নি। এই কাক ভোর পর্যন্ত আমার বারান্দায় ঠিক এভাবেই বসে থাকত। আর কাকটা যতক্ষণ বসে থাকত কুকুরটা সাংঘাতিক চিৎকার করতো। ঐ সময় আমি স্বপ্ন দেখতাম; আমার ঘর পানিতে ডুবে যাচ্ছে, আমার হাতে সাদা রঙের একটি বিড়াল জবাই হচ্ছে; কখনও স্বপ্ন দেখতাম আমার পায়ে সাপে কাটছে। তার কিছুদিন পরের ঘটনা কুকুরটার পাগলামী বাড়তে থাকে। কিন্তু ওর পাগলামী শুধু আমার পাশের বাসায় এক মেয়েকে নিয়েই সীমাবদ্ধ থাকত। সেই মেয়েটাকে আমি খুব ভালবাসতাম কিন্তু কোন কারণে প্রেম হয়নি বা হলেও ভেঙে যায়। ঐ মেয়েকে কুকুরটা একদিন পায়ে কামড়ে দিতে গেলে আমি ধরে নিয়ে গিয়ে দূরে একটি মাঠে মেরে ফেলি। এরপর থেকে আর কোনদিন আমি আর কাকটাকে দেখি নাই।

এর ব্যাখ্যা আপনি কিভাবে দিবেন ?

৩৩| ১৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৫০

ড্রীমার বলেছেন: পুনশ্চ: এনার নামও রহিম ই ছিল। গ্রামে খুব কমন একটা নাম ;)

১৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:০০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ঠিক বলেছেন রহিম শুধু গ্রামেই নয় শহরেও খুব সাধারন একটা প্রচলিত নাম। :)

৩৪| ১৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৫৭

ড্রীমার বলেছেন: আপনার জীবনটা মনে হয় একটু বেশিই রহস্যময়! হয়তবা আপনার স্মৃতিশক্তি ভাল, যে সব মনে আছে। বাই দ্য ওয়ে, আপনার দেয়া নতুন কেসটা এখনি সলভ্ করছিনা.. এখানে কুকুর আর কাকের চালচলন নিয়ে অনেক কিছুর জানার আছে। তবে আমি চাইছি এগুলো রহস্যই থাক.. It is not necessary all the time to unturned every stone !

২৬ শে মে, ২০১৪ রাত ১:২৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমিও চাই ভাই কিছু রহস্য রহস্য থাকলে একেবারেই কিন্তু মন্দ হয় না।

৩৫| ১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:৫৫

নতুন বলেছেন: কিছুদিন যাবত রাতের বেলা একটা কাক এসে আমার বারান্দায় বসে থাকত। আর আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকত।

একটা পাখি বারান্দায় আশ্রয় নিলে তার দিকে কেউ তাকালে সেও নিশ্চয় ঐ দিকে তাকিয়ে থাকবে আর কাক খুবই সত`ক পাখি... সাধারন কাকও কিন্তু আপনাকে ফল করে... আপনি খালি হাতে ঢিল মারার ভাব করলে সে উড়ে যায় কারন কাক অন্য পাখির চেয়ে চালাক...

আর কাকটা যতক্ষণ বসে থাকত কুকুরটা সাংঘাতিক চিৎকার করতো।

ঐ সময় আমি স্বপ্ন দেখতাম; আমার ঘর পানিতে ডুবে যাচ্ছে, আমার হাতে সাদা রঙের একটি বিড়াল জবাই হচ্ছে; কখনও স্বপ্ন দেখতাম আমার পায়ে সাপে কাটছে। তার কিছুদিন পরের ঘটনা কুকুরটার পাগলামী বাড়তে থাকে। কিন্তু ওর পাগলামী শুধু আমার পাশের বাসায় এক মেয়েকে নিয়েই সীমাবদ্ধ থাকত।

যেহেতু আপনি ঐ মেয়ের উপরে মোহাবিস্ট ছিলেন তাই আপনার কাছে ঐসময়ের ম্যমরীই প্রধান থাকবে...

সেই মেয়েটাকে আমি খুব ভালবাসতাম কিন্তু কোন কারণে প্রেম হয়নি বা হলেও ভেঙে যায়।

এখানে আপনি অনেক কিছু চেপে গেছেন>> আমার মনে হয় প্রেম বা যেই সম্পক` হয়েছিলো তা ভাঙ্গার জন্য আপনি নিজেকেই দোষী ভাবেন.... আর তা বুঝতে পেরেও কিছু না করতে পারার প্রভাবই উপরের সপ্ন >> পানিতে ডোবা= অসহায়ত্ব... সাদা বেড়াল= সম্পকের সমাপ্তি বা ঐ মেয়ে...

২৬ শে মে, ২০১৪ রাত ১:২৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অসাধারন, অসাধারন বলেছেন ভাইয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.