নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূণ্যতা থেকে শূণ্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূন্যতা থেকে শূন্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

কান্ডারি অথর্ব

আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।

কান্ডারি অথর্ব › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাচীন স্বস্তিকা প্রতীক এবং সাদা আর্য জাতির নিষিদ্ধ ইতিহাস

১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৫:৫৯









খ্রিস্টান ধর্ম আবির্ভাবের হাজার হাজার বছর আগে সাদা জাতি ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের পৈতৃক হিন্দু ধর্ম থেকে নিজেদের মুক্ত করেছে; যার রেওয়াজ ছিল প্রাগৈতিহাসিক ইউরোপ জুড়ে। ফলে সাদারা পৃথিবীতে তাদের পথ হারিয়েছে এবং আধ্যাত্মিক ভাবে তারা যা, তা তারা ভুলে গেছে। অর্থ ও বস্তুগত সম্পদ তাদের বন্য সাধনার অন্তর্দর্শনকে অবমুক্ত করে দিয়েছে। ইউরোপের আদিবাসী হিন্দু বিশ্বাস আধুনিক দিনের সেন্সরশিপ পরীক্ষার মাধ্যমে কিভাবে তাদের প্রতীক, স্বস্তিকা দমন এবং ফলাফল হিসাবে সাদারা তাদের অতীত, তাদের ভবিষ্যত এবং তাদের প্রাচীন আধ্যাত্মিক পথের মহিমা হারিয়েছে তা দেখতে পাবো। হিন্দুধর্মের অত্যন্ত উচ্চ আধ্যাত্মিক ধারণা শাশ্বত আত্মা, পুনরজ্জীবিত, কর্মফল, যোগ, থার্ড আই, এবং নির্বাণ অনেক সাদারাই রহস্যজনকভাবে আজও আলিঙ্গন করে আসছে যা ইউরোপের হারিয়ে যাওয়া ধর্মীয় ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক ছিলো। তবে এটা কোন বর্ণবাদী অনুমান বা অসমর্থিত মতামত না। এটা তথ্য প্রমান ভিত্তিক ভিত্তিপূর্ণ একটি সত্য।





গ্রীসের অটাগন যাদুঘরে রক্ষিত ৮ম শতাব্দীর প্রাচীন গ্রিক স্বর্ণ চাকতীতে স্বস্তিকা প্রতীক



সমস্ত প্রাচীন ইউরোপীয় সংস্কৃতি অর্থাৎ এট্রুস্ক্যান্স, গ্রীক, রোমান, গলস, কেল্ট ইত্যাদি একই ভাবে হিন্দুধর্মের এই উচ্চ আধ্যাত্মিকতার চর্চা করে আসছে।





ক্রীট থেকে একটি মিনোয়ান মৃত্শিল্প টুকরার উপর প্রাচীন স্বস্তিকা প্রতীক





স্বস্তিকা প্রতীকের সঙ্গে প্রাচীন রোমান মোজাইক





এথেন্সের জাতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরে রক্ষিত ক্রীট থেকে স্বস্তিকা প্রতীক দিয়ে তৈরি ছোট পোড়ামাটি জগ



ভারতীয় উপমহাদেশে আর্যদের আগমন







ভারতের অধিকাংশ মানুষ আজ হিন্দু ধর্মের সঙ্গে সংযুক্ত। কিন্তু হিন্দু ধর্মের উৎস ভারতে নয়। এই ধর্মকে ভারতে নিয়ে আসা হয়। মূলত ইউরোপ থেকে প্রাচীন সাদা জাতি বা আর্যরাই হিন্দু ধর্মের প্রচার ও প্রসার ঘটায় এই উপমহাদেশে। আর্য শব্দটি হিটলারের অনুমিত বিশ্বাস স্বর্ণকেশী নীল নেত্রবিশিষ্ট মাস্টার জাতি হিসেবে বোঝালেও তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ঐতিহাসিকভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শত শত বছর আগে আর্য বলতে সবসময় ইউরোপীয় সাদা মানুষদেরকেই বোঝানো হয়েছে। হিন্দু ধর্ম আজও সারা ভারতে চর্চা করা হয় কিন্তু এর জন্য ইউরোপ একটি ভিন্ন পরিণতি ভোগ করে। খ্রিস্টান ধর্ম প্রবর্তনের হাজার বছর আগে ইউরোপীয় এবং সাধারণ সাদা মানুষ অনেক উপায়ে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়, যার উত্থানের মধ্যে দিয়ে ইউরোপ অন্ধকার যুগে পতিত হয় অথচ যার শেকড় আদিবাসী হিন্দু ধর্মীয় ককেশীয় জাতি থেকে অবমুক্ত হয়।







আর্যদের আক্রমণের আগে দ্রাবিড়রা ভারতের স্থানীয় মানুষ ছিলো। কিন্তু আর্যদের বিজয় দ্রুততার সাথে সম্পূর্ণ হয়। আর্যরা অবশেষে উপমহাদেশের উত্তর অংশে তাদের সংস্কৃতি ও ভাষার কর্তৃত্ব স্থাপন করে। দ্রাবিড়রা উন্নত আর্য সংস্কৃতি ও ধর্ম, স্বস্তিকা চিহ্ন, তাদের মূল প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। আর্যরা নিজেদেরকে প্রভাবশালী জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে তোলে। এই আর্যরাই অত্যাধুনিক বৈদিক লেখায় গঠিত হিন্দু ধর্মকে হৃদয়ে গঠন করে।







খ্রিস্টান ধর্মের আবির্ভাবের পূর্বে ইউরোপের ককেশীয় অঞ্চলে যে ধর্ম চর্চা করা হতো আজকের হিন্দু ধর্ম মূলত তারই ফল স্বরূপ। আর্যরা যদি ভারতে হিন্দু ধর্ম এনে থাকে তাহলে ইউরোপীয়দের কালপঞ্জির প্রয়োজনীয়তা হিসাবে ইউরোপীয় পূর্বপুরুষরা হিন্দু ধর্মর চর্চা করতো, যা আর্যদের থেকে অবতীর্ণ হয়। বর্তমানে স্বস্তিকা প্রতীক ভারতে হিন্দুদের মধ্যে পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে বিবাহ, উৎসব, ঘর, পোশাক এবং গয়না, ভারতীয় মন্দির, বেদী, ধর্মীয় ধর্ম গ্রন্থগুলোতে ব্যবহৃত হয়। অথচ পশ্চিমাদের কাছে স্বস্তিকা প্রতীক যে ইউরোপ এর সবচেয়ে প্রাচীন গুরুত্বপূর্ণ এবং উর্বর ধর্মীয় প্রতীক ছিলো তা এখন অজ্ঞাত।







ভারতে স্বস্তিকা প্রতীক সমন্বিত হিন্দু মন্দির





প্রাচীন ফরাসী স্বস্তিকা প্রতীক





স্বস্তিকা প্রতীক দিয়ে সজ্জিত প্রাচীন রোমান মোজাইক মেঝে লা অল্মেডা





প্রায় ৭০০ বি.সি. তে গ্রীসের স্বস্তিকা প্রতীক দিয়ে আর্টেমিস



Some authorities are of the opinion that it was an Aryan symbol and used by the Aryan peoples before their dispersion through Asia and Europe. This is a fair subject for inquiry and might serve as an explanation how…as a sacred symbol…the Swastika might have been carried to the different peoples and countries in which we now find it by the splitting up of the Aryan peoples and their migrations and establishment in the various parts of Europe.



--- Thomas Wilson







স্বস্তিকা প্রতীক এট্রুস্ক্যান্স, রোমান, স্কেন্ডিনাভিয়ান্স, সাবিনেস, ফ্রিগিয়ান্স এবং গ্রীক মোজাইক শিল্প, ভাস্কর্য, পেইন্টিং এর মধ্যে ব্যবহৃত হয়। ইউরোপের বাইরে স্বস্তিকা প্রতীক হিট্টিট, প্রাচীন ইরানী ধ্বংসাবশেষ এবং কিছু মেসোপটেমিয়ার নগর রাজ্যেও পাওয়া যায় এবং তিব্বত আদিবাসীদের ধর্মীয় বিশ্বাসেও ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও স্বস্তিকা প্রতীক বৌদ্ধ মন্দির এবং চীনা, কোরিয়ান ও জাপানি শিল্পে ব্যবহৃত হয়। প্রাগৈতিহাসিক জৈনধর্মতেও এর ব্যবহার দেখা যায়।





স্বস্তিকা প্রতীকের সঙ্গে দালাই লামা









জাপানি বৌদ্ধ মন্দিরের উপর স্বস্তিকা প্রতীক



ইউরোপে স্বস্তিকা প্রতীকের রেনেসাঁ - "ঈশ্বর মৃত"







নীটশে তার বাইবেলের আবেগপূর্ণ একেশ্বরবাদ দিব্যর জন্য বিখ্যাত। জরথুশত্রর মধ্যে "ঈশ্বর মৃত" ছিল তার বিখ্যাত ঘোষণা।







Christianity can be understood only in terms of the soil out of which it grew—it is not a counter-movement to the Jewish instinct, it is its very consequence… even today the Christian can feel anti-Jewish without realizing that he himself is the ultimate Jewish consequence



--- Friedrich Nietzsche







অনেক ইউরোপীয় ইতিমধ্যে বাইবেলের ঐতিহ্য ধারন করতে অনিচ্ছুক হয় এবং পরে তারা তাদের পূর্বপুরুষগণকেই সঠিক হিসাবে অনুভূব করতে শুরু করে। এই এন্টি জুডেও বা খৃস্টান আন্দোলন সবসময় তাদের একেশ্বরবাদের প্রতি অবিশ্বাস অর্জন করায়। তবে ইহুদি, খ্রিস্টান এবং ইসলামের আব্রাহামিক বা সেমিটিক ধর্মের অনুসারীরা স্বস্তিকা প্রতীক ব্যবহার করেনা।





এডমন্টন স্বস্তিকা, ১৯১৬ কানাডা





স্বস্তিকা প্রতীকে বাস্কেটবল টিম, সান ফ্রান্সিসকো, ১৯০৮





১৯২০ সালে স্বস্তিকা প্রতীক পরিহিতা অভিনেত্রী ক্লারা নম





ইংরেজি লেখক এবং ফ্রীম্যাশন রুডইয়ার্ড কিপলিং তার লেখা বই ডাস্ট জ্যাকেটে স্বস্তিকা প্রতীক ব্যবহার করেন





কোকাকোলার স্বস্তিকা প্রতীক আকৃতির ঘড়ি



In ancient times… they were renowned as Aryans among themselves and their neighbors.



--- Herodotus



I am Darius the great King… A Persian, son of a Persian, an Aryan, having Aryan lineage



--- Darius The Great



The Aryan nations…stand before us in history as the principal nations of northwestern Asia and Europe. …They have perfected society and morals; and we learn from their literature and works of art the elements of science, the laws of art, and the principles of philosophy. …these Aryan nations have become the rulers of history, and it seems to be their mission to link all parts of the world together by the chains of civilization



--- Max Muller



this is the highest country. No doubt it was inhabited before any other and could even have been the site of all creation and all science. The culture of the Indians, as is known, almost certainly came from Tibet, just as all our arts like agriculture, numbers, the game of chess, etc., seem to have come from India.



--- Immanuel Kant



The greatest part of the Atlantean population declined, and from a small portion are descended the so-called Aryans who comprise present-day civilized humanity



--- Rudolf Steiner, Cosmic Memory



For many generations…they obeyed the laws and loved the divine to which they were akin. …they reckoned that qualities of character were far more important than their present prosperity. So they bore the burden of their wealth and possessions lightly, and did not let their high standard of living intoxicate them or make them lose their self-control…But when the divine element in them became weakened…and their human traits became predominant, they ceased to be able to carry their prosperity with moderation.



--- Plato









প্লেটো ব্যাখ্যা করেন যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে আর্যরা আটলান্টিক মহাসাগরে তলিয়ে যায়। যারা জীবিত ফিরতে পারে তারা একসময় পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে যায় এবং পরবর্তীতে তারা তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী স্বস্তিকা প্রতীক পূর্ণ স্থাপনা নির্মাণ করে।





প্রাচীন রোমান স্বস্তিকা প্রতীক চিহ্নিত জ্যামিতিক মোজাইক, রোমান-জার্মানিক যাদুঘর, জার্মানী





প্রাচীন গ্রীসের একটি মোজাইকে স্বস্তিকা প্রতীক



the Swastika was an “Aryan emblem”… The supposition that the Aryan Hindus carried the Swastika with them to India is…perfectly tenable, since it belongs to early prehistoric art of Europe



--- William Henry Goodyear, Grammar of the Lotus, 1891





প্রাচীন মুদ্রায় স্বস্তিকা প্রতীক



Aryan Hindus…in very early times…separating from the great family in the highlands of Central Asia, crossed the Himalayas, descended into the plains of the Indus and Ganges, overran a great part of the peninsula, and introduced the civilization and religion which are now dominant in India.



--- John Richardson, A School Manual of Modern Geography, 1876



The accounts…of the early Aryan invaders…are mainly derived from an examination of the Hymns of the Vedas, the most ancient religious books of the Aryans… …the invaders of India…belong to a race (called Aryan or Indo-European) which included the ancient Greeks, Romans, and Persians, and most of the modern nations of Europe, such as the English, Germans, French, and many others.



--- Sir Roper Lethbridge, A Short Manual of the History of India, 1881



নিষিদ্ধ ইতিহাস







মূসার মিশরে আগমন এবং দশটি আদেশ, ডেভিড এবং সলোমনের রাজপদ সবকিছুই বিশ্বাস করা হয় এবং প্রচার করা হয় কিন্তু আর্য হিন্দুদের এই সত্য অত্যন্ত চতুরতার সাথে গোপন করে আসা হচ্ছে। কারন আর্য ইতিহাসে শক্তিশালী কিছু লুকানো আছে বলে মনে হয়। বিশ্বের অভিজাত ক্ষমতাশালীরা এতে তাদের অস্তিত্ব প্রকাশ পেলে বিপদের আশংকা করে।



You don’t have a soul. You are a soul. You have a body.



--- C.S. Lewis



Man is a god in the body of an animal according to the pronouncement of ancient philosophy




--- Dr. Alvin Boyd Kuhn



A man is a god in ruins.




--- Ralph Waldo Emerson









the divine element in them became weakened…and their human traits became predominant, and they ceased to be able to carry their prosperity with moderation.



--- Plato, Timaeus and Critias



this is the highest country. No doubt it was inhabited before any other and could even have been the site of all creation and all science. The culture of the Indians, as is known, almost certainly came from Tibet, just as all our arts like agriculture, numbers, the game of chess, etc., seem to have come from India.



--- Immanuel Kant



The greatest part of the Atlantean population declined, and from a small portion are descended the so-called Aryans who comprise present-day civilized humanity.



--- Rudolf Steiner, Cosmic Memory



Did the Aryan…race come from Atlantis?” “The center of the Aryan migrations (according to popular opinion)…was Armenia. Here too is Mount Ararat, where it is said the ark rested—another identification with the Flood regions, as it represents the usual transfer of the Atlantis legend by an Atlantean people to a high mountain in their new home.” “The Greeks, who are Aryans, traced their descent from the people who were destroyed by the Flood, as did other races clearly Aryan…herein we find another evidence of relationship between the Aryans and the people of Atlantis.. the Greeks, an Aryan race, in their mythological traditions, show the closest relationship to Atlantis…We have seen that Zeus, the king of Atlantis, whose tomb was shown at Crete, was transformed into the Greek god Zeus.” “There is another reason for supposing that the Aryan nations came from Atlantis. We find all Europe… occupied by nations recognized as Aryan.



--- Ignatius Donnelly, Atlantis: The Antediluvian World, 1882



প্রাচীন আর্যরা ইউরোপ জুড়ে একটি অত্যন্ত অত্যাধুনিক আধ্যাত্মিক রাজধানী তৈরি করে। ধারনা করা হয় স্টোনহেঞ্জ হলো তারই স্থাপনার একটি অংশ বিশেষ।



List was attracted to the ideas of Giordano Bruno…Bruno had proclaimed that Judaism and Christianity had corrupted the ancient and true religion…which had enjoyed considerable popularity amongst the Neo-Platonists of the Renaissance. Bruno also wanted a new dispensation based on the rediscovered ancient gnosis.




--- Nicholas Goodrick-Clarke, The Occult Roots of Nazism, 1992







ওল্ড টেস্টামেন্ট মানব ইতিহাসের কোন সঠিক হিসাব না; যা মানব ইতিহাসের উপর জোড় পূর্বক চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। ইউরোপ এবং পশ্চিমারা মনপ্রাণে বাইবেল গ্রহণ করেছেন কারণ, এটি সমস্ত মানবজাতির ঐতিহ্য হিসেবে লিখিত অথচ যা পশ্চিমাদের অনেক বেশী ইতিহাস স্বীকার করতে ব্যর্থ হয়েছে। সেখানে অনেক সমৃদ্ধ আধ্যাত্মিক জ্ঞানের প্রতীক স্বস্তিকা তারা তাদের ধর্ম বিশ্বাস থেকে অবমুক্ত করে দিয়েছে। স্বস্তিকা শব্দটি সংস্কৃত থেকে এসেছে যার অর্থ ভাল হচ্ছে।







দুটি বিপরীত মেরুর ভারসাম্য বোঝাতে প্রাচীন স্বস্তিকা প্রতীক যা অবিকল বিপরীত মেরুর বাছাইযোগ্য সমীকরণ থার্ড আই জাগরণের জন্য পবিত্র সূত্র সূচক।



The double sign is, as every student of Occultism knows, the symbol of the male and the female principles in Nature, of the positive and the negative



--- Helena Blavatsky, The Secret Doctrine



the swastika…surmounted by a rudely drawn symbol of the sun and moon…marks every main doorway in the country.



--- Perceval Landon, Lhasa: An Account of the Country and People of Central Tibet, 1905





সূর্য ও চন্দ্র খোচিত তিব্বতের স্বস্তিকা প্রতীক





বুদ্ধের কপালে থার্ড আই এবং হৃদপিণ্ডে স্বস্তিকা প্রতীক







স্বস্তিকা প্রতীকের পেছনে আরো অনেক কিছু লুকিয়ে আছে। কিন্তু এর মূল অর্থ আমাদের শিক্ষা দেয় কিভাবে আমাদের মধ্যে ঈশ্বরকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব এবং আমাদের থার্ড আই জাগ্রত করা। আমাদের ভেতরের সব পূর্ণতা প্রকাশ করে, যেখানে সব অসঙ্গতি এবং জনগোষ্ঠীর সমস্ত বিপরীত মেরু কেন্দ্রিক ভারসাম্য ঠিক থাকে। বর্ণবাদ নয় উপেক্ষিত এই আর্য সাদা জাতিদের মাধ্যমে পৃথিবীর সকল পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য যে একঈশ্বরবাদই হলো মূল ধর্ম অথচ যা তাদের কাছে গোপন রাখা হয়েছে মূলত এই প্রসঙ্গে আলোকপাত করার জন্যই এই পোস্ট।



মন্তব্য ৮২ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৮২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৬:০৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। স্বস্তিকার আদ্যপান্ত জানা গেল এই পোস্টে।+

১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা সেলিম ভাই।

২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৬:৪০

ঢাকাবাসী বলেছেন: দুর্দান্ত পোস্ট, প্রচুর গবেষনা পড়াশুনা আর পরিশ্রমের ফসল। খুব ভাল লাগল। পোস্টে +++++++++++++

১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


প্লাসের জন্য আন্তরিক ভালবাসা জানবেন ভাই।

৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৭:০৮

জাফরুল মবীন বলেছেন: এরকম একটি অসাধারণ গবেষণাধর্মী মৌলিক লেখার জন্য লেখককে শুধু ধন্যবাদ দিয়েই ক্ষান্ত হলে চলবে না বরং উনার এই লেখাটাকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শক পূর্বক ব্লগে বিশেষভাবে হাইলাইট করা উচিৎ যাতে লেখক এ ধরণের অসাধারণ লেখা বার বার লিখতে উৎসাহিত হন এবং অন্য সহব্লগারগণ তা অনুসরণে ভাল মানের লেখা উপস্থাপনে অনুপ্রাণিত হয়ে সামুকে মৌলিক জ্ঞান চর্চার প্ল্যাটফর্ম হিসাবে উচ্চ আসনে আসীন করতে পারে।

আমি এই পোস্টটি স্টিকি করার জন্য ব্লগ কর্তৃপক্ষকে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।

ভাই কান্ডারি আপনার উদ্দ্যেশে কিছু বলার মত কোন ভাষা নেই আমার। আপনার প্রজ্জ্বলিত আলোয় সবাই আলোকিত হউক-এ কামনা করি।প্রিয়তে রইলো এ অসাধারণ গবেষণা কর্ম। :)

১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


মবীন ভাই খুব অনুপ্রেরণা পেলাম এমন একটি মন্তব্যে। আপনাদের ভালবাসাই আমার পথ চলার প্রেরনা। তবে এই ধরনের পোস্ট স্টিকি না হওয়াই ভাল।

আমার কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৪৭

সিস্টেম অ্যাডমিন বলেছেন: লেখক বলেছেন ঃ
"ভারতের অধিকাংশ মানুষ আজ হিন্দু ধর্মের সঙ্গে সংযুক্ত। কিন্তু হিন্দু ধর্মের উৎস ভারতে নয়। এই ধর্মকে ভারতে নিয়ে আসা হয়। মূলত ইউরোপ থেকে প্রাচীন সাদা জাতি বা আর্যরাই হিন্দু ধর্মের প্রচার ও প্রসার ঘটায় এই উপমহাদেশে।"
একমত হতে পারলাম না ।
১।দ্রাবিড় শব্দের মানে কি?

এর সংস্কৃত মূল দ্রব। এর অর্থ তরল জাতীয় বা জলীয়। তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তামিলদের সঙ্গম সাহিত্যে দ্রাবিড় বলতে কোন শব্দ নাই।
তামিলদের সঙ্গম সাহিত্য ঐ অঞ্চলের জীবন, সময়, ঘটনাপ্রবাহ এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সুনির্দিষ্ট ঘটনাপ্রবাহ ইঙ্গিত করে। এটা তামিলদের ব্যাকরণেরও বিবর্তন নির্দেশ করে। এর সময়সীমা খ্রিস্টের জন্মের ২০০ বছর আগে থেকে খ্রিস্টের জন্মের ৬০০ বছর পরে পর্যন্ত।

তাহলে আর্য বলে যদি কোন জাতি বাইরে থেকে এসে দ্রাবিড়দের হত্যা করে তাদের দক্ষিণ ভারতের দিকে অভিবাসী হতে বাধ্য করে তাহলে তামিলদের এই প্রাচীন সাহিত্যে কেন এই ঘটনার উল্লেখ নেই?

নবম শতাব্দীর দিকের তামিল সাহিত্যে দ্রাবিড় শব্দটি প্রথম পাওয়া যায়। সেন্থান দিবাকরম নামে একটি শব্দভাণ্ডারে দ্রাবিড় নামটি পাওয়া যায়। এটি ব্যবহৃত হয়েছিল তামিল বুঝাতে।

এটি পরিষ্কার যে দ্রাবিড়দের নিয়ে গল্পটি একটি নির্লজ্জ মিথ্যাচার। উনবিংশ শতাব্দীতে রবার্ট ক্যাডঅয়েল নামক এক খ্রিস্টান ইভানজেলিস্ট প্রথম এই দ্রাবিড় শব্দটি ব্যবহার করেন আর্য আক্রমণ তত্ত্বে। এরপরই এটা রাজনৈতিক রূপ পায়।

২। সঙ্গম সাহিত্য থেকে প্রমাণঃ

যদি তামিলদের সাহিত্যের দিকে নজর দেই। আমরা দেখি আসলেই কি তামিলরা তথাকথিত দ্রাবিড় যারা আর্যদের হাতে নির্যাতিত হয়েছিল?

সঙ্গম সাহিত্যে পৃথিবীকে ভাগ করা হয়েছে মুল্লাই (বন), কুরিঞ্ছি (পাহাড়), মারুদাম (কৃষি ভূমি), নেইদাল (সমুদ্র সৈকত) এবং পালাই (খোলা ভূমি) এই পাঁচ ভাগে।

তল্কাপ্পাইয়াম সাহিত্যে আছে এই জায়গাগুলোর দেবতা হচ্ছে মুল্লাইঃ তিরুমাল/ বিষ্ণু। কুরিঞ্ছিঃ সেয়ন ( কুমার/মুরুগুয়া/ কার্ত্তিকেয়)। মারুদামঃ ভেন্দান/ইন্দ্র। নেইদালঃ বারুনান/ বরুণ। পালাইঃ কররাভাই/ শক্তি।

সঙ্গম সাহিত্যের আরেকটি অংশ হচ্ছে পুরানানুরু। সেখানে আছে শিব তিনটি শহরকে ধ্বংস করেছেন (ত্রিপুরা সামহারা)। সেখানে আছে শিব এক হাতে মেরু পর্বত তুলে নেন তীরধনুক হিসেবে। একটা ভয়ংকর সরীসৃপকে তীর ধনুকের ছিলা হিসেবে ব্যবহার করেন। একটা তীরের আঘাতে শহর তিনটিতে আগুন লেগে যায় এবং তা ধ্বংস হয়ে যায়। পুরানানুরু সাহিত্যে কার্তিককে বারবার দেখা যায় শিবের ছেলে হিসেবে।

এটা আমাদের অগ্নিকুমার যিনি পুরাণের কার্তিকেয়র প্রতিচ্ছবি তার সাথে শিবের সম্পর্ক স্থাপনে সহায়তা করে। আর্য আক্রমণ তত্ত্বের সমর্থকদের দেখা যায় শিবকে শুধু দ্রাবিড়দের দেবতা বলতে দেখা যায়। সত্য এই যে বেদের রুদ্র থেকে পৌরাণিক শিবের উৎপত্তি।
তৈত্তিরীয় সংহিতা বা কৃষ্ণ যজুর্বেদ এর রুদ্রম ভাগের বিভিন্ন ভাগে রুদ্র সম্পর্কে নির্দিষ্ট ধরনের বেশকিছু বৈশিষ্ঠ্য উল্লেখিত হয়েছে।আর শিব হল সেই বেশ কিছু গুনের একটি নির্দিষ্ট অংশের প্রতীক।পরবর্তীতে রুদ্রের বদলে অধিকাংশ স্থানেই শিব শব্দটির ব্যবহার শুরু হয়।তামিল গ্রন্থসমুহ যেমন পেরিয়া বা পুরানাম সমুহে শিবের যে বৈশিষ্ঠ্য দেখানো হয়েছে তা বেদের রুদ্রের সমরুপ।চিদাম্বরাম,থেবারাম এলাকাগুলোতে এখনও রুদ্রাম/চমকম পাঠ করা হয়।যদি তামিলদের শিব আর বৈদিক শিব আলাদা হত তবে তা নিশ্চয় করা হতনা।আসলে তৈত্তিরীয় সংহিতার রুদ্রাম সংস্কৃতিটাই এখনো তামিলনাড়ু, কর্ণাটকে বিদ্যমান।

৩।ঋগ্বেদে আর্য শব্দটি কি একটি জাতিকে বুঝিয়েছে? ঋগ্বেদে আর্য শব্দটি গৌরব বা মর্যাদার অর্থ বহন করেছে, মোটেই কোন জাতিকে বুঝায়নি। ইরানী আবেস্তায়ও আর্য শব্দটি গৌরব ও শ্রেষ্ঠত্ববোধের পরিচায়ক। আর্য ও দ্রাবিড় যদি দুটো ভিন্ন জাতি হত তাহলে উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের অধিবাসীদের একই দেবতা, একই ঈশ্বর, প্রায় একই ভাষা (সংস্কৃত থেকে উদ্ভুত), একই পৌরাণিক বিশ্বাস ও গল্প হতে পারত না। দ্রাবিড়িয়ান কি কোন আলাদা জাতিগোষ্ঠী? তা তো নয়। তাহলে দাড়ায়- ককেশিয়ানরা দুই ভাগে ভাগ হয়ে একদল আর্য আরেকদল দ্রাবিড়িয়ান হয়েছে। দুই মহাদেশের বিশাল অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষদের ভাষা একই পরিবারভুক্ত হওয়ায় এবং একইসাথে আবেস্তা ও ঋগ্বেদের মিল দেখে পণ্ডিতগণ অনুমান করেছিলেন যে এরা একই আদি জনগোষ্ঠী থেকে ছড়িয়ে পড়ে সভ্যতা গড়ে। তাদের অনুমান ঠিকই ছিল কিন্তু যখন তারাই এই আর্যদের যাযাবর পশুপালক বর্বর বলেন আবার ঋগ্বেদও তাদের দ্বারা রচিত বলেন তখন তাদের ইতিহাস প্রশ্নবিদ্ধ না হয়ে উতড়ে যেতে পারে না।

ঋগ্বেদ যদি তথাকথিত আর্যদের দ্বারা রচিত হয় তাহলে কেন ঋগ্বেদে কোথাও ইউরোপীয় স্থান, নদী ইত্যাদির নামও নেই? তারা যখন বলেন আর্যরা খ্রীষ্টপূর্ব ১৫০০ সালে সিন্ধু সভ্যতা আক্রমণ করে আর এদিকে আমরা ঋগ্বেদে খরস্রোতা স্বরস্বতী নদী দেখতে পাই, যে নদী খ্রীষ্টপূর্ব ৪০০০ অব্দে মরে যায় (সম্ভবত প্লেট টেকটোনিক মুভমেন্টের জন্য) তখন এ ইতিহাস যে মিথ্যা তা আর দ্বিতীয়বার ভাবতে হয় না। তাছাড়া পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের মেহরগড় প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানটি খননের পর দেখা যায় প্রায় ৯৫০০ বছর আগে নবপ্রস্তর যুগে এখানকার অধিবাসীরা যাযাবর জীবন ছেড়ে স্থিতিশীল গ্রামীণ কৃষি জীবনে চলে গিয়েছিল। খ্রীষ্টপূর্ব ৮০০ সাল পর্যন্ত সেখানে কোন বাইরের জনগোষ্ঠীর আগমণ ঘটেনি।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানেবন চমৎকার এই গঠন মূলক মন্তব্যটির জন্য যা আমার পোস্টের অলংকার হয়ে থাকবে।

ইতিহাস ছলনা করতে পছন্দ করে। ঐতিহাসিকগণ একে অপরের যুক্তি মানতে চান না, কষ্ট হয় আমাদের সাধারন কৌতুহলী পাঠকদের।

প্রাচীন ধর্ম বলতে বৈদিক ধর্মকে বোঝায়। আমরা জানি বৈদিক ধর্মের ধারক বাহকদের বলে আর্য জাতি। আর্যদের আগমন ও বৈদিক ধর্মের প্রচলন হওয়ার আগে কোন ধর্ম চালু ছিল তার সঠিক তথ্য জানা যায়নি। তবে আর্যদের আগমনের আগে অস্ট্রিক, দ্রাবিড়, কোল, ভাম, সাঁওতাল, মুয়া ও অন্যান্য উপজাতির বসবাস ছিল। অস্ট্রিক জাতির ধর্ম সম্পর্কে ধারণা না থাকলেও সাঁওতাল, মুয়া ও অন্যান্য উপজাতির মধ্যে ধর্মের প্রচলন ছিল। মুয়া ও সাঁওতালরা প্রত্যেকেই প্রাচীনকালে আর্যদের চেয়েও প্রবল ধর্মবিশ্বাস লালন করত। তখন তারাই ছিল ধর্মভীরু জাতি। বিশেষ করে সাঁওতাল ও মুয়া জাতির মধ্যে সম্পর্কটা অনেক ব্যাপক। সাঁওতালরা তাদের দেবতাকে ঠাকুর নামে ডাকে। আর মুয়া জাতির স্রষ্টার নাম হারম। বাংলায় যাকে বলে ঈশ্বর, তিনিই কোনো ধর্মে হারম আবার কোনো ধর্মে ঠাকুর।

সাঁওতাল ও মুয়া উপজাতির স্রষ্টায় বিশ্বাসটির সঙ্গে পবিত্র কোরআনে বর্ণিত নুহু নবীর কাহিনীর সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। কোরআনের বর্ণনা মতে, নুহু নবী তাঁর অনুসারীদের তাওহিদবাদের দাওয়াত দিতেন। একেশ্বরের দাওয়াতই যেহেতু নবীদের কাজ, সুতরাং একজন নবী হিসেবে নুহু নবীর কাজও তাই হবে, এটাই স্বাভাবিক। তিনি দাওয়াত দিতেন; কিন্তু তাঁর অনুসারীরা তাঁর দাওয়াতে কান দিত না। তারা দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করত। এমনকি নবীকে এ কাজের জন্য তাচ্ছিল্যও করত। তাদের কার্যক্রমে নবী নুহু অসন্তুষ্ট হলেন। বিরক্ত হলেন তাঁর উম্মতদের ওপর। তাঁর ছেলে এবং স্ত্রীও কথা না শুনে অন্য লোকদের দলে শামিল হলো। নবী নুহু এতে করে আরো বেশি মনে আঘাত পেলেন। পরিশেষে উম্মতের ওপর ত্যাক্ত বিরক্ত হয়ে তিনি স্রষ্টার দরবারে নালিশ করে হতাশার কথা জানালেন। তখন স্রষ্টার নির্দেশে তিনি নৌকা তৈরি করে সে নৌকায় এক জোড়া করে সৃষ্টির বিভিন্ন জাত নিলেন। পরে প্রবল বন্যায় নৌকার আরোহী বাদে বাকি সবাইকেই ধ্বংস করে দিলেন স্রষ্টা স্বয়ং। এরপর ভালো মানুষ ছাড়া পৃথিবীতে কোনো খারাপ মানুষ থাকল না। মুয়াদের এবং সাঁওতালদের ধর্মের হারম পৃথিবীর মানুষকে অবাধ্য ও অননুগত দেখে মাত্র একটি দম্পতি বাদে বাকি সবাইকে অগি্নবৃষ্টির মাধ্যমে ধ্বংস করে দেন। মুয়া ও সাঁওতালদের এ বিশ্বাস পবিত্র কোরআন নাজিলেরও কয়েক হাজার বছর আগের। মনে করা হয় আর্য আগমনের বহু আগের এসব ঘটনা মানুষ কিংবদন্তি হিসেবে মনে রাখত। তখন যেহেতু লেখাপড়ার প্রচলন ছিল না, তাই মনে হয় মুয়া ও সাঁওতালদের বহু ইতিহাস অলিখিত অবস্থাতেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। তারপরও যতটুকু অবশিষ্ট আছে তা থেকে অনুমান করা যায়, হয়তো বা নুহু এর পর পৃথিবীতে যখন নতুন করে আবাদ শুরু হলো তখনো মুয়া ও সাঁওতালদের প্রতাপপূর্ণ অস্থিত্ব ছিল। বৈদিক গ্রন্থাদিতে উপমহাদেশের নর নারীকে অনার্য ও অসভ্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এখানকার আদিম অধিবাসীরা আর্য থেকে উদ্ভূত নয়। তখন অর্থাৎ আর্য-পূর্ব যুগে মূলত এ দেশে নেগ্রিটো, অস্ট্রিক, দ্রাবিড় ও ভৌচ.... চীনার এ চার শাখার লোক বাস করত। ইন্দো-চীন থেকে এখানে আগমনকারী অস্ট্রিক জাতি নেগ্রিটোদের উৎখাত করে। এরাই মূলত কোনো ভীম, সাঁওতাল, মুয়া প্রভৃতি উপজাতির পূর্বপুরুষ হিসেবে চিহ্নিত। অস্ট্রিক ও দ্রাবিড় জাতির সংমিশ্রণে সৃষ্টি হয়েছে মূলত আর্য-পূর্ব জনগোষ্ঠীর। পরে আর্য জাতি সংযুক্ত হয়ে হলে জাতি আরো সমৃদ্ধ হয়। আর্যদের আগে এ দেশে অন্যান্য জাতির ধর্ম পালনের নজির রয়েছে। তবে আর্যদের মাধ্যমে বৈদিক ধর্ম এ দেশের জনগোষ্ঠীর মাঝে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। আর্যদের বৈদিক ধর্মই পরে হিন্দু ধর্ম হিসেবে পরিচিত হয়। এ দেশে আর্যদের মাধ্যমে আগমনকৃত বৈদিক ধর্মের পর সম্রাট অশোকের সময় এ দেশে বৌদ্ধ ধর্মের আগমন হয়। বৌদ্ধ ধর্মের প্রচলনের সন্ধিক্ষণে এ দেশে আরেকটি ধর্মের উদ্ভব ঘটে সেটি হলো জৈন ধর্ম। গুপ্ত যুগে এ দেশে ব্রাহ্ম ধর্মের উত্থান লক্ষ্য করা যায়। ঠিক ওই সময়ই এ দেশে তান্ত্রিক মতবাদেরও উত্থান ঘটে। অষ্টম শতকে এসে এ দেশে বৈষ্ণব ধর্মের প্রচলন ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এভাবে গুপ্ত যুগে মহাত্রিদেবতার অন্যতম শিবের ভক্ত সম্প্রদায়ের মাধ্যমে জৈন ধর্মের প্রচলন হয়, পাল রাজাদের শাসনামলে আবারো নতুন করে বৌদ্ধ ধর্মের গোড়াপত্তন ঘটে। এ যুগে বৌদ্ধ ধর্মের মহজিয়া গোষ্ঠীর এত ব্যাপক উত্থান ঘটে যে তাদের মাধ্যমেই এ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৌদ্ধবিহার ও বৌদ্ধস্তূপ গড়ে ওঠে। এ সময় বাংলার প্রাচীন আমলের সাহিত্য চর্যাপদ রচিত হয়। পাল আমলের পর বৌদ্ধ ধর্মে আবারো ভাটা পড়ে এবং সেন আমলে এসে পৌরাণিক হিন্দু ধর্মের ব্যাপক প্রচলন লক্ষ্য করা যায়। সেন আমলেই এ দেশের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী ও গ্রহণযোগ্য ধর্ম ইসলামের আগমন ঘটে। আজো বাংলার প্রান্তে প্রান্তে ব্যাপক মজবুতভাবে ইসলামের ভিত্তি স্থাপিত হয়। এ দেশে ইসলামের আগমন মূলত সুফি, সাধক, বণিক, সওদাগর ও বিজেতা যোদ্ধাদের মাধ্যমে। এভাবেই এখানে নানা ধর্ম ও বর্ণের বিকাশ ঘটে।

“সর্বে গত্যর্থাঃ জ্ঞানার্থাঃ প্রাপ্ত্যর্থাশ্চ” - সমূদায় গমনার্থক ধাতু জ্ঞানার্থক ও প্রাপ্ত্যর্থক। সুতরাং, যারা জ্ঞানশীল অথবা যারা শাস্ত্রসীমায় গমন করেন কিংবা যারা শাস্ত্রের পার প্রাপ্ত হন, তারাই আর্য।

ইউরোপীয় পণ্ডিতেরা বলেন, আর্যগণ প্রথমে পশুপালন করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তারা দলবদ্ধ হয়ে অনেকগুলো পশু সাথে নিয়ে ঘাস আচ্ছাদিত অঞ্চল বা প্রদেশে গমন করতেন। পরে সে স্থানের ঘাস পশু খাদ্য হিসেবে নিঃশেষিত হলে তারা পুনরায় অন্য অঞ্চল বা প্রদেশে যেতেন। এভাবে তারা প্রতিনিয়ত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন করতে বলে আর্য অর্থাৎ গমনশীল নামে পরিচিত হয়েছেন। পরবর্তী সময়ে আর্যগণ নিরন্তর এরূপ স্থান পরিবর্তন খুবই কষ্টদায়ক বিবেচনায় এনে এক স্থানে অবস্থানের উপর গুরুত্ব আরোপ করে এবং এ সমস্যা সমাধানের উপায় বের করার চেষ্টা চালায়। উপায় হিসেবে কৃষিকাজকেই তারা অধিক গুরুত্ব দিয়ে ফসল উৎপাদনে নিযুক্ত হয়। এজন্যই তারা আর্য অর্থাৎ কৃষিজীবি নামে প্রসিদ্ধ হন। শেষোক্ত পক্ষের মতবাদে আর্য শব্দের অর্থ দাঁড়ায় কৃষিকর্মকারী, কারণ ও ধাতুর কর্ষণার্থও আছে।

ভারতীয় উপমহাদেশের শাস্ত্রগ্রন্থে কতগুলো উৎকৃষ্ট গুণসম্পন্ন ব্যক্তিকে আর্য শব্দে নির্দেশ করা হয়েছে। কোন কোন গ্রন্ধে হিন্দুধর্মাবলম্বী লোকমাত্রেই অর্থাৎ ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র - এ চার বর্ণের লোকই আর্য বলে লিপিবদ্ধ আছে। আবার, কোন কোন গ্রন্থে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য - এ তিন বর্ণকে আর্য এবং চতুর্থ বর্ণকে শূদ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এতে কউ কউ অনুমান করেন যে, শূদ্র বর্ণ আর্যবংশের নয়; আর্যেরা ভারতবর্ষে এসে শূদ্রনামক অনার্য জাতিবিশেষকে নিজেদের সমাজভূক্ত করে নেন। কিন্তু সেই অনার্য শূদ্র যে কারা, তা আজ অবধি কেউই নির্ণয় করতে পারেন নাই। ফলে, এ বিষয়ের কোন নির্দিষ্ট প্রমাণ নির্ণিত হয় নাই।

রাইন নদী থেকে তুরস্ক পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে আর্যজাতির বাস ছিল।অনেকে মনে করেন হিন্দুকুশ পর্বত বেয়ে যারা উপমহাদেশে আগমণ করে তারাই ভারতীয় আর্য। ইরানী প্রাচীণ শাসকরাও নিজেদেরকে আর্যবংশ সম্ভূত বলে দাবী করতেন। আর্যরা ছিল সভ্যতা, ভাষা, সংস্কৃতির দিক দিয়ে অনেক উন্নত। ঋগবেদ আর্যজাতির সবচেয়ে প্রাচীন গ্রন্থ। খ্রীস্টপূর্ব ১৭০০ থেকে খ্রীস্টপূর্ব ১১০০ সালের মধ্যে ঋগবেদ রচিত হয।ঋগবেদ মূলত দেবতাদের উদ্দ্যেশ্যে লিখিত। ঋগবেদের মূল কেন্দ্রীয় চরিত্র দেবতা ইন্দ্র আর ইন্দ্রের প্রধান শত্র 'বৃত্তাসুর।৭ম শতকে আর্যরা বঙ্গ সহ উপমহাদেশের পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে সমর্থ হয়।আর্যরা হয়ে ওঠে মহান শাসক।

দ্রাবিড়দের নগরগুলো ধ্বংস সাধনের সময় আর্যরা যে গণহত্যার আশ্রয় নেয় তা, ঐসব নগর সমুহের গণকবর বা বৈধ্যভূমি আবিস্কারের মাধ্যমে প্রমানিত হয়েছে বলে কেউ কেউ মনে করেন। আর্যরা যাযাবর হওয়ায় তাদের কাছে নগর জীবন উপেক্ষিত ছিল। গৌতম বুদ্ধের আবির্ভাবপূর্ব কালে উপমহাদেশে আর্যজাতি বিভিন্ন জন বা উপজাতিতে বিভক্ত ছিল। এসব জনদের বসতিকে জনপদ বলা হত। এসব জনপদ গৌতম বুদ্ধের আবির্ভাবের পুবের্বই রাজ্যে পরিণত হয়।মুঘলদেরও বহুকাল আগে প্রাচীন আর্যরা এই ভারতবর্ষে শুধু বহিরাগতই ছিলো না, এই আর্যরা আদিনিবাসী জনগোষ্ঠি ও তাদের সভ্যতা-সংস্কৃতির উপরও চালিয়েছিলো ব্যাপক আক্রমণ। আর্যদের ধর্মই বৈদিক ধর্ম যা কালক্রমে হিন্দু ধর্ম নামে পরিচিতি পায়।

আর্যগণ প্রথমে পশপালন করে জীবিকানির্বাহ করতেন। প্রাচীন বাংলায় দ্রাবিড়রা ধান চাষ করত। ধান ছাড়াও দ্রাবিড়রা গম ও যবের আবাদও করত। দ্রাবিড়রা অস্ট্রিকভাষী আদি অস্ট্রেলীয়দের মতোই মাছ খেত। মাছ ধরা ছাড়াও তারা নদীতে কিংবা সমুদ্রের ধারে মুক্তা ও প্রবাল আহরণ করত। সংস্কৃত ভাষায় মুক্তা, নীর পানি, মীন মাছ এসব শব্দের মূলে রয়েছে দ্রাবিড় শব্দ। আর্যরা যখন ভারতীয় উপমহাদেশে হানা দেয়, তখন তাদের হাতে পতন হয় একের পর এক জনপদের। সুসভ্য সিন্ধু উপত্যকার মানুষ যাযাবর যুদ্ধবাজ আর্যদের সঙ্গে শক্তিতে কুলিয়ে উঠতে পারেনি। শুধু ভারতবর্ষ নয়, শ্রীলঙ্কায়ও আগ্রাসন চালায় তারা। আর্যরা বাংলাদেশ জয়ের জন্য বারবার চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়। প্রতিবারই তারা পরাজিত হয় গাঙ্গেয় বদ্বীপের বীর জাতির কাছে। যে কারণে আর্যদের ধর্মগ্রন্থ বেদে বাঙালি জাতি সম্পর্কে রয়েছে নানা ধরনের অবজ্ঞাপ্রসূত উক্তি।

অনেকেই মনে করেন আর্যরা সিন্ধু সভ্যতার নির্মাণকর্তা। সিন্ধুবাসীরা শিব ও মাতৃকা দেবীর আরাধনা করলেও আর্যদের প্রধান দেবতা ছিল পুরুষ ইন্দ্র। আর্যরা মৃতদেহ দাহ করত । সিন্ধুবাসীরা কবর দিত । বিদেশ থেকে আগত আর্যরাই ভারতকে অনার্য মুক্ত করেছে। শিব, মহাদেব, রাবণ ও মহীষাসুর ছিলেন অনার্য দেবতা ও রাজা মহারাজা। কিছুটা সমঝোতা, কিছুটা দমন করেই আর্যরা সারা ভারত খল করে নেয়। আর্যরা ভারতে প্রবেশের পর ব্রহ্মাবর্ত নামক একটি স্থানে প্রথম বসতী স্থাপন করেছিলেন। সেই স্থানের একটি নদীকে আর্যরা সরস্বতী নামে আখ্যায়িত করেন। এই নদীটি ক্রমে ক্রমে পবিত্র নদী হিসাবে আর্যদের কাছে সম্মানিতা হয়ে উঠে। বেদে সরস্বতী নদীর উল্লেখ আছে।

আপনি যদি বাইবেল পড়েন দেখবেন কোথাও টেমস কিংবা আটলান্টিক মহাসাগরের নাম নেই। তাহলে কি প্রমানিত হয় যে এদের এক্সিস্টেন্স ছিল না ?



৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৫৫

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: জাফরুল মবীন ভাই যে কথাগুলো বলেছেন আমিও সেই একই কথা বলতে চেয়েছি। রকম একটি অসাধারণ গবেষণাধর্মী মৌলিক লেখার জন্য লেখককে শুধু ধন্যবাদ দিয়েই ক্ষান্ত হলে চলবে না বরং উনার এই লেখাটাকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শক পূর্বক ব্লগে বিশেষভাবে হাইলাইট করা উচিৎ যাতে লেখক এ ধরণের অসাধারণ লেখা বার বার লিখতে উৎসাহিত হন এবং অন্য সহব্লগারগণ তা অনুসরণে ভাল মানের লেখা উপস্থাপনে অনুপ্রাণিত হয়ে সামুকে মৌলিক জ্ঞান চর্চার প্ল্যাটফর্ম হিসাবে উচ্চ আসনে আসীন করতে পারে।

আমি এই পোস্টটি স্টিকি করার জন্য ব্লগ কর্তৃপক্ষকে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।


কাণ্ডারি ভাই আপনাকে সাধুবাদ জানাই কষ্টসাধ্য এই গবেষণাধর্মী পোষ্টের জন্য।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমি আন্তরিক ভাবে আপনাদের এই ভালবাসায় সিক্ত হোলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫৬

ট্রোল বলেছেন: আর্যরা অনার্যদের শুদ্র নামে অভিহিত করে

১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


এর কারণটা এখনও ব্যাখ্যার বাইরে রয়ে গেছে। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা নিরন্তর।

৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:১০

জুন বলেছেন: পড়বো কি ছবি দেখতে দেখতেই জীবন শেষ :(
ভালো লিখছো #:-S

কান্ডারী প্রিয়তে নিলাম, অনেক তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্ট।
ধীরে সুস্থে পড়তে হবে।
+

১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আপু একসময় সময় করে ধীরে ধীরে পড়ে নিয়েন। আমার যুক্তি যে ঠিক তা মানতে বলছিনা। তবে তথ্য প্রমান বলে যে একই প্রতীক যেহেতু এতগুলো জাতি ফলো করছে তাহলে নিশ্চয় কোন রহস্য অবশ্যই আছে।

আমার শ্রদ্ধা রইল আপনার জন্য।

৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬

শাশ্বত স্বপন বলেছেন: চমৎকার পোস্ট! প্রিয়তে নিলাম। পরে বড় আকারে নিজের মতামত লিখব। ভাই, চান (চাঁদ) বিভিন্ন ধর্মে হাজার বছর ধরে নিজেদের মত করে ব্যবহার কয়ে আসছে, পারলে আারেকটা গবেষনা করবেন।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আপনার মতামতের অপেক্ষায় রইলাম। আমি চেষ্টা করব এটা নিয়ে পড়তে।

শুভেচ্ছা ও শুভকামনা নিরন্তর।

৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:০৫

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: +++++++++++++++++++++++++

১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অসংখ্য ধন্যবাদ এতগুলো প্লাসের জন্য।

১০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:২১

ইমরান হক সজীব বলেছেন: ++++

'সিস্টেম অ্যাডমিন' এর কমেন্টের রিপ্লাই এর অপেক্ষাই আছি

১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আপনার প্লাসের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন। উত্তর দিয়েছি জানিনা যৌক্তিক হলো কিনা। আমি যেসব তথ্য পেয়েছি তাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

১১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৪০

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
পরে আবারো পড়তে হবে, অনেক আলোচনা হবে বলে মনে হচ্ছে !! সুন্দর পোষ্ট !!

সিম্বোলিজমে ফ্যাসিনেসন আছে আমার, দেখুন কান্ডারি ভাই স্টার অফ ডেভিড আঁকতেও ৬টা সরল রেখা দরকার আবার সোয়াস্তিকা আকতেও তাই।

আসলে এই গুলো ব্যাপক বিষয় !!!

১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


এগুলো সত্যি অনেক গভীর ভাবে ভাববার বিষয়। তবে এইটুকু বলতেই পারি যেহেতু এর ব্যবহার জাতি ও ধর্ম ভেদে একই তাই নিশ্চয় সবার মূল একই জায়গায় নিহীত। আর তা হলো অবশ্যই ঈশ্বর একজনই শুধু বিভিন্ন জাতির কাছে বিভিন্ন নামে পরিচিত।

শুভেচ্ছা ও শুভকামনা নিরন্তর।

১২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:২১

ইমিনা বলেছেন: আমি স্বস্তিকা প্রতীক সম্পর্কে তেমন কিছুই জানতাম না। তাই এই পোস্ট আমার জন্য বিশাল প্রাপ্তি :) :) :)

এই বার খুটিয়ে খুটিয়ে প্রতিটি ছবি দেখতে হবে এবং প্রতিটি লাইন পড়তে হবে।

এই ধরনের গুরুত্বপূর্ন পোস্টের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
:) :) :)

১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৪৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমার এই বিষয়গুলোর উপর প্রচন্ড রকম কৌতূহল। মূলত যা জানতে পারি তাই শেয়ার করি মাত্র।

আপনাদের ভাল লাগায় আমার আনন্দ।

শুভেচ্ছা জানবেন আপু।

১৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৪৮

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: আগে প্রিয়তে, দেন প্লাস নিশ্চিত কইরা নিলাম!!! :)

এইবার পোস্টে আসি ... এমন ইতিহাস খুঁড়ে আনা পোস্টে গড়পড়তা মন্তব্য দিতে লজ্জা লাগতেসে! /:)

ইহার জন্য ধন্যবাদ টন্যবাদ দিয়ে পোষাইবে নাহ! ;)

বুঝিলাম নাহ! পোস্টটা চোখে পড়তে ঘন্টা কয়েক লাগলো কেন!!!? /:) :-B

ইতিহাস খুঁড়ে আনা পোস্ট পড়তে যে কি মজা লাগে ক্যামনে বোঝাই! B-)

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:১১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আপনার পোস্টটা পড়লাম। আপনার লেখার তুলনা নেই। সত্যি খুব ভাল লাগছে আপনার কথাগুলো। একদম মনের কথা তুলে ধরছেন। বেশি কিছু বলিনাই কারন আপনার সাথে একমত।

আর ধন্যবাদ লাগবেনা বরং আমি কৃতজ্ঞ যে আপনার কাছে প্রিয়তে নেবার মতো মনে হয়েছে।

পোস্টটা চোখে পড়তে সময় লাগার পেছনে কারন হতে পারে অনেক পেছনের দিকে চলে যাওয়া। ;)

কিছু বলার ছিল কিন্তু বললাম না। আপাতত ভাল থাকুন এই প্রত্যয় রইল। সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছুই ইতিহাস হয়ে যায়। কিছু লেখা হয় আর কিছু হারিয়ে যায়। কেউ জানতেও পারেনা।

১৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:২৮

আরজু মুন জারিন বলেছেন: একটি অসাধারণ গবেষণাধর্মী মৌলিক লেখার জন্য লেখককে শুধু ধন্যবাদ দিয়েই ক্ষান্ত হলে চলবে না বরং উনার এই লেখাটাকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শক পূর্বক ব্লগে বিশেষভাবে হাইলাইট করা উচিৎ যাতে লেখক এ ধরণের অসাধারণ লেখা বার বার লিখতে উৎসাহিত হন এবং অন্য সহব্লগারগণ তা অনুসরণে ভাল মানের লেখা উপস্থাপনে অনুপ্রাণিত হয়ে সামুকে মৌলিক জ্ঞান চর্চার প্ল্যাটফর্ম হিসাবে উচ্চ আসনে আসীন করতে পারে। *************

আমি ও মৃদুল শ্রাবণ এবং জাফরুল ভাই এর সাথে একমত। অসাধারণ একটি পোস্ট আপনার পক্ষে করা সম্ভব। সত্যি এইধরনের পোস্ট আমি করতে চাই। কিন্তু এ আমার কর্ম নয়। মিথ্যে মিথ্যি গল্প লিখতে পারি শুধু।

অনেক অনেক মুগ্ধতা জানিয়ে গেলাম পোস্ট এ। আপনি আমাদের কান্ডারী সামুর কান্ডারী। .লেখা সংক্রান্ত দিক নির্দেশনা আপনার কাছে থেকে নিব এখন থেকে।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা এই প্রিয় ভাইটির জন্য। ভাল থাকবেন অনেক অনেক। ....কেমন।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৩৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাল থাকবেন আপু। আমি কিন্তু আপনার গল্পের একজন নিয়মিত পাঠক। এর একটাই কারন আপনার লেখার হাত অসাধারন।

আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল এভাবে আরও চমৎকার সব গল্প দিয়ে মনটা ভরিয়ে দিন।

১৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৫৯

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: কেন বলবেন না, যা ছিল বলবার...!?

লেখায় অতুলনীয় কিছু আছেকিনা আমি জানিনা যদিও, তবে আপনার সেদিনের ফেসবুক স্ট্যাটাস টা পড়ে অনেকগুলো ব্যাপার মনে পড়ে গেল যা আগেও বলেছিলাম, হয়তো অন্যত্র ...

তখনই মনে হলো ব্লগে পোস্ট করে দিই। সেখানেই বলেছিলাম, স্বল্প পরিসরে লিখবো ... তাই বাড়তি দলিল প্রমাণাদি ঘাঁটাঘাঁটি না করে, মনে আর ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতায় যা ছিলো তাই শুধু টাইপ করে গেছি ...

হুম!! সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছুই ইতিহাস হয়ে যায়। কিছু লেখা হয় আর কিছু হারিয়ে যায়। কেউ জানতেও পারেনা। কিন্তু, নাজানা বিষয় গুলো যখন কেউ পুরানো মাটি খুঁড়ে খুঁড়ে, কংকাল সরিয়ে তুলে নিয়ে আসে আর চমৎকার উপস্থাপনায় আমাদের মত সাধারণ কিন্তু কৌতূহলী পাঠক সম্মুখে এমন চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করে তখন তার অনুভূতি টা হয় অন্যরকম ...

হয় আসলে ধন্যবাদোত্তর ... তাই আর দেয়া গেলনাহ ধন্যবাদ টুকু শুধু ... ;)

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:০৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


সব কথা বলতে নাইরে ভাই। কিছু কথা বুঝে নেয়া উচিত। ;)

আপনার লেখাটা আমার খুবি পছন্দ হইছে। তাছাড়া আপনার তিনটা লেখা আমার প্রিয়র তালিকায় আছে। আপনি খুব ভাল একজন ব্লগার এবং লেখক। তাইলে বুঝেন আমি আপনার একজন কিরকম ভক্ত।

দোয়া করি ভাই।

১৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:০০

উপপাদ্য বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়ে সবসময় নতুন কিছু না কিছু জানছি। আজ জানলাম স্বস্তিকা সম্পরকে। এটাকে এতোদিন জাস্ট একটা সিম্বল হিসেবেই জানতাম কোন ইন্টারেস্ট পাইনি কারন হিন্দু ও নাৎসাীদের বয়াবহারের জন্য।

তবে সিম্বলিজম নিয়ে কিছুটা আকর্ষন বোধ করি যখন দ্যা ভিন্সি কোড পড়ি। তবে ইনফার্নো পড়ার পরে আরো বেশী বিস্মিত হই সিম্বলিজমের কান্ড কীর্তি দেখে।

অনেক ধন্যবাদ নতুন নতুন তথ্যের জন্য।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:১৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


বিভিন্ন ধর্মের বিভিন্ন সিম্বল, ধর্মীয় বই থাকবে, ভিন্ন রীতিনীতি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এই নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট করার কিছু সত্যি নেই। কিন্তু যখন একই কাহিনী, একই সিম্বল বেশিরভাগ ধর্মেই পাওয়া যায় তখনই কৌতূহল বেড়ে যায়। নতুন করে চিন্তা করতে হয়। আসলে রহস্যটা কি ?

হিন্দুরা মৎস্যদেবতার পূজা করে। মুসলমানরা নূহ নবীকে আল্লাহর দূত হিসেবে জানে। এতে ভাবার কিছু নাই। কিন্তু ভাবতে হয় তখনই যখন তাদের কাহিনী একই দেখতে পাওয়া যায়। ভগবান, ঈশ্বর, আল্লাহ আমি কোন পার্থক্য দেখতে পাইনা। কিন্তু তাহলে সমস্যাটা কোথায় ?

সমস্যা হলো মানুষের বিশ্বাসের মধ্যে। আপনি চাইলে আমার একেশ্বরবাদ পোস্টটি পড়ে দেখতে পারেন কিংবা কুমারী মা পোস্টটা দেখতে পারেন। আমি কিছুটা ক্লিয়ার করেছি।

যদি ঈসা/যীশু তে বিশ্বাস করতে হয় তাহলে হোরাসকে বিশ্বাস করতে হবে।

মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন। শুভেচ্ছা।

১৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:২৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মানুষের জ্ঞ্যান কত সীমাবদ্ধ তা এ লেখাটি না পড়লে বুঝতামই না। এতদিন জেনে এসেছি স্বস্তিকা মানেই নাৎসীবাদের ধারক-বাহক। আজ এই ভুল ভাঙ্গলো
না জানা থাকলে মানুষ কতকিছুকেই না প্রথম এবং শেষ বলে ভাবে থাকে।। ইতিহাসকে এভাবে মেলে ধরাতে আমার মত অনেকেই অনেক কিছু জানতে পারবে।।
ধন্যবাদ।।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৪২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


স্বস্তিকা নাৎসীদের ব্যবহার করতে দেখার পর যখন দেখলাম এই প্রতীক হিন্দু ধর্মেও ব্যবহার করা হয় তখন থেকেই কৌতূহল হলো আসলে রহস্যটা কোথায় জানার জন্য। তারপর শুরু করলাম ঘাটাঘাটি। দেখলাম শুধু আমি না এই নিয়ে অনেক গবেষণা হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। তারপর সেগুলো পড়া শুরু করলাম। তারপর এই পোস্টের অবতারণা। এসব নিয়ে ড্যান ব্রাউন, প্ল্যাটো, ইমানুয়েল কান্ট আর রিচার্ড ক্যাসেরর লেখাগুলো অনেক বেশি তথ্য পূর্ণ। তাদের লেখা বেশ কিছু বই পড়ে অনেক ইন্টারেস্টিং তথ্য জানতে পেরেছি। সেইসবের আলোকেই মূলত এই পোস্ট। যদি এসব নিয়ে আগ্রহ থাকে তাহলে বইগুলো পড়ে দেখতে পারেন। অনেকগুলো সিরিজ আছে তাদের। আমার সবগুলো পড়া হয়নাই। যতগুলো পড়েছি তাতে আরও জানার আগ্রহ জন্মেছে।

তাছাড়া অনেকগুলো ডকুমেন্টারি পেয়েছি। ওগুলো দেখলেও অনেক কিছু ক্লিয়ার হবে।

মন্তব্যে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইল।

১৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:০৬

তারছেড়া লিমন বলেছেন: নিয়া গেলাম এখন কমেন্ট গুলাপড়া বাকি....ভাই. এমন আরও চাই......

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:১৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাল আছেন নিশ্চয় লিমন ভাই। চেষ্টা করব।

আমার সালাম জানবেন।

১৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:১৪

উপপাদ্য বলেছেন: ভগবান, ঈশ্বর, আল্লাহ আমি কোন পার্থক্য দেখতে পাইনা। কিন্তু তাহলে সমস্যাটা কোথায় ?

আমিও খুব একটা পার্থক্য করিনা। সমস্যাটা হচ্ছে রাজনীতিতে। ধর্মের মধ্যে যত বেশী অমিল খুঁজে বের করবেন ততো বেশী শোষন করতে পারবেন। ঐ ঘুরে ফিরে ডিভাইড এন্ড রুল।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:১৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


খুব ভাল বলেছেন। আপনার সাথে একমত।

শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানবেন।

২০| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:১৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: লেখাগুলি অনলাইনে পাওয়া গেলে তার এবং ডকুমেন্টারির লিংক পাঠালে খুশী হবো।।
আর আপনার এদকটার প্রশংসা না করে পারছি না,আপনি আমাদের মত নূতন ব্লগারদের উত্তর দিতে কার্পন্য করেন না। যা দুঃখজনক হলেও সত্যি,অনেকের ক্ষেত্রে।
এটা কিন্তু মানুষ বা সিনিয়র ব্লগার হিসাবে শুধুই শ্রদ্ধা অর্জন করে।
ভল থাকুন সততঃ।।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:১৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অনলাইনে কিছু আছে। তবে আমার কাছে পিডিএফ আর কিছু ভিডিও ফাইল সংগ্রহ করে রাখা আছে।

এইভাবে বলে লজ্জা দিলেন।

ভাল থাকুন সব সময়।

২১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৭:৪৬

না পারভীন বলেছেন: আপনার পোস্ট সবসময় ব্যতিক্রমী অসাধারণ। এই পোস্টের হিন্দু ধর্ম, স্বস্তিকা প্রতীক নিয়ে কোন ধারনাই ছিলনা।
অনেক ধন্যবাদ।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ধন্যবাদ সুপ্রিয় নাপা আপু।

এখানেই কবি নীরব। একই প্রতীক কেন ধর্ম ও জাতি ভেদে ব্যবহার করা হচ্ছে ?

শুধু যুক্তি তর্ক নয় নিজের স্বাভাবিক চিন্তা দিয়ে একবার ভাবুন। একবার ভাবুন আপনি কি দেখেছেন কোন হিন্দুকে অথবা বুদ্ধকে ক্রুশ কিংবা চাঁদ তারা ব্যবহার করতে ? কিন্তু সেই হিটলার থেকে শুরু করে হিন্দু, বুদ্ধ সবাই কেন স্বস্তিকা প্রতীকটি ব্যবহার করে আসছে ? এর মধ্যে আসল স্বস্তিটা কোথায় ?

সত্য হল আমরা সবাই একই ঈশ্বরের অধীনে। শুধু বিভেদ করে আছি রাজনৈতিক কারনে। আপনার আমার মধ্যে যেন বিভেদ থাকে এই কারনে।

২২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:০১

সিস্টেম অ্যাডমিন বলেছেন: ইন্দোইউরোপিয়ান ভাষাগুলোর পারস্পরিক মিল দেখে ধারণা করা হয় যে এই ভাষাভাষীরা সকলে একই পূর্বআবাসস্থল থেকে এসেছে। সংস্কৃতের সাথে ইউরোপিয়ান বেশ কয়েকটি ভাষার মিল দেখে কেবল ভাষাগত মিল দেখেই জার্মান ইন্ডোলোজিস্ট ম্যাক্স মুলারই প্রথম আর্য আক্রমণ তত্ত্বের সূচণা করে। এই তত্ত্ব অনুযায়ী আর্যরা রাশিয়ার দক্ষিণ অংশ থেকে মাইগ্রেট করে ভারতীয় উপমহাদেশের আদিম অধিবাসীদের আবাস তথা সিন্ধু উপত্যকায় পৌছে। ম্যাক্স মুলারের এই তত্ত্বে কেবল ভাষাগত মিলকে বিবেচনায় নিয়েই এরকম একটি তত্ত্বকে দাঁড় করানো হয়। সিন্ধু সভ্যতার কোন আর্কিওলজিকাল এভিডেন্স তখনও আবিস্কৃত হয়নি। পরবর্তীতে ১৯২০ সালের দিকে যখন হরপ্পা, মহেঞ্জোদারো ও লোথাল নগর সভ্যতা আবিস্কৃত হয় তখন তত্ত্বটির খানিকটা পরিবর্তন হয়। যাযাবর বর্বর আর্যরা ইউরোপ থেকে এসে উন্নত নগর সভ্যতায় আক্রমণ করে এবং তাদেরকে পরাজিত করে সভ্যতাগুলোকে ধ্বংস করে। মহেঞ্জোদারো খনন করতে গিয়ে মন্টিমার হুইলার একেবারে উপরের অংশে কিছু মানুষের খুলি-হাড়গোড় পেলে এ তত্ত্বটি আরো দৃঢ় হয় এবং মোটামুটি সর্বজনবিদিত তত্ত্বে রূপান্তরিত হয়। তত্ত্বটি অনুযায়ী খ্রীষ্টপূর্ব ১৫০০ সালের দিকে আর্যরা ভারতের প্রাচীন কিন্তু সভ্য অধিবাসী দ্রাবিড়দের আক্রমণ করে। এই অসভ্য-বর্বর-যাযাবর-পশুপালক জাতিই আর্য জাতি। এদের হাতেই ঋগ্বেদ রচিত হয়।
কী সহজ ইতিহাস!

ঋগ্বেদ যে কোন যাযাবর জনগোষ্ঠীর রচিত হতে পারে না তা ফুটে ওঠে এর সমাজচিত্র রূপায়নে, গৃহনির্মাণের উপমা প্রয়োগে, অট্টালিকা, তন্তুবায়, ভেষজ চিকিৎসা ইত্যাদি শব্দপ্রয়োগে। চান্দ্রমাসে হিসাব করলে যে প্রতি তিন বছর একটি ১৩ মাসে বছর হতে হয় (যা কৃষিকাজ ইত্যাদির জন্য খুবই প্রয়োজনীয়), যাকে বৈদিক সমাজ মলমাস বলত (এখনো হিন্দুরা বলে) তাও বেদে উল্লেখ পা্ওয়া যায়। এরকম কয়েকশ উদাহরণ দেয়া যাবে যাতে প্রমাণিত হয় যে বেদের রচয়িতা মোটেই তথাকথিত আর্যরা হতে পারে না।

প্রত্মতাত্ত্বিকভাবে এখন জানা যাচ্ছে যে মেহেরগড়ে মৃৎশিল্প-পূর্ব যুগে এখানকার মানুষ স্থিতিশীল বসতি গড়ে এবং পশুপালন ও কৃষিকাজ শুরু করে। পরবর্তীতে কালক্রমে তারা বৃহত্তর সিন্ধু-সরস্বতী উপত্যকায় ছড়িয়ে পড়ে। তাম্রযুগ ও আদি হরপ্পান পর্যায় পেরিয়ে তারা প্রায় ২৬০০ খ্রীস্টপূবাব্দ থেকে ১৯০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত এক স্থায়ী নগর সভ্যতা গড়ে তোলে যাকে হরপ্পান সভ্যতাও বলা হয়।

বেদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারঃ

আর্য আক্রমণ তত্ত্বের বানানো গল্পের প্রবক্তরা ঋগবেদের মন্ত্রগুলো ব্যবহার করছে আর্য আক্রমণ তত্ত্ব প্রমাণ করতে। তারা ঋগবেদের ১০/৪৮ সুক্তকে দেখায় যেখানে আছে ইন্দ্র দস্যু, বৃত্র এবং পানিদের দমন করেছেন, তাদের সম্পদ নিয়ে নিয়েছেন এবং বলেছেন যারা তাঁর অনুসারী তাঁরা ব্যর্থ হবে না।
কিন্তু ঋগবেদের ১/৩৩/১-১০ মন্ত্রগুলো পড়লে বুঝতে পারা যায় দস্যুদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া ইন্দ্রের সম্পদ আসলে জ্ঞান। ঋগবেদের ১/৩৩/১ মন্ত্রটি শেষ হয় “gavam ketam param avarjate nah” এই কথাগুলো দিয়ে।এর অর্থ দীপ্তিময় গাভীর সর্বোচ্চ জ্ঞান।

এই মন্ত্রটির অর্থ হচ্ছে come let us go seeking the cows to Indra, it is he that increases the thought in us, for us, he releases supreme knowledge of the luminous cows.
বেদে যারা আধ্যাত্মিক কর্ম করেন তাদের যাজ্যু বলা হয়েছে। এই উৎসর্গ যেই সত্ত্বাদের উদ্দেশে করা হত তাদের যাজত বলা হত। যাজ্যুকে তার শুভবুদ্ধির জন্য সুক্রাতু বলা হত। সুক্রাতু যখন ঐশ্বরিক বানী লাভ করতেন তাদের বলা হত বিশ্বের গায়ক।
দস্যু শব্দটি সুক্রাতু এবং যাজ্যুর ঠিক বিপরীত। একে বলা হত অযাজ্যু। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে দস্যু বিশ্বের গায়কদের ঘৃণা করে। এই জন্য একজন দস্যুকে বলা হত ব্রহ্মদ্ভিসা এবং অনাসা ( যার কথা বলার কোন মুখ নেই ) ও অমানযামানা ( যার কোন মানসিক বিবেকবোধ নাই )। বেদে বলা আছে দস্যুদের যে জ্ঞান তা ইন্দ্র কেড়ে নেন মানুষের সাহায্যে। ঋগবেদের আরেক জায়গাতে আছে পানি এমন এক ধরণের দস্যু যারা পবিত্র গাভি চুরি করে তাদের গুহাতে আটকে রাখে। ইন্দ্র মানুষের সহায়তায় তা উদ্ধার করেন।
ঋগবেদের ৬/৫১/১৪ তে ইন্দ্রের প্রতি প্রার্থনা করা হয়েছে পানিদের ধ্বংস করতে এবং পানিদের নেকড়ের সাথে তুলনা করা হয়েছে।
এ ধরণের ইতিহাস লেখার কারণগুলো কী কী।

১.ম্যাক্স মুলার বা অন্য যারা এই তত্ত্বের প্রবক্তা ও প্রচারক তারা সবাইই মনে করতেন বাইবেলের সৃষ্টিতত্ত্ব নির্ভুল। সুতরাং পৃথীবীর বয়স কোনক্রমেই খ্রীষ্টপূর্ব ৪০০০ অব্দের বেশী যেতে পারে না। সুতরাং খ্রীষ্টপূর্ব ১৫০০ এর বেশি তারা মোটেই ভাবতে পারেনি কারণ বাইবেল অনুযায়ী নুহের প্লাবন হয়েছে খ্রীষ্টপূর্ব ২৫০০ সালের দিকে। কেউ কেউ অবশ্য আরো নিচে নেমে এসেছেন। কারো কারো মতে খ্রীষ্টপূর্ব ১১০০-৯০০ সালও হতে পারে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে জার্মান আর্যশ্রেষ্ঠ তত্ত্ব। যেহেতু ঋগ্বেদের রচয়িতারা নিজেদেরকে আর্য বলেছেন সুতরাং ইতিহাস তৈরি হয়ে গেল।
২. খ্রিস্টান মিশনারিদের চক্রান্তঃ

এই তত্ত্ব সম্প্রসারণের পিছনে লর্ড মেকলে আর জার্মান দার্শনিক মাক্সমুলারের অবদান সবথেকে বেশি। এরা প্রত্যেকে খ্রিস্টধর্ম প্রচারের জন্য এই কাজটি করেন।

এই মাক্সমুলার প্রথম জীবনে ছিলেন একজন উদ্বাস্তু। তার আত্মজীবনীতেই রয়েছে

…Had not a penny left, and that in spite of every effort to make a little money, I should have had to return to Germany.(ref –the life and letters of Maxmuller, vol.1, p.61, London edn)

তাই ব্রিটিশদের ধর্মপ্রচারের কাজে তাকে যোগদান করতে হয়। তিনি তার মেধাকে ব্রিটিশদের হাতে বেঁচে দিলেন।

I am to hand over to the company, ready for the press, fifty sheets each year-the same I had promised to samter in Germany; for this I have asked 200 pounds a year, 4 pounds a sheet.(ref. the life and letters of Maxmuller, vol.1, p.60-61, London edn.)

কর্নেল জোসেফ বোডেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাবাহিনীতে বোম্বেতে চাকরি করতেন। তিনি ছিলেন একজন খ্রিস্টান উগ্রবাদী। হিন্দুদের খ্রিস্টান বানাতে তিনি মিশনারিদের সহায়তা করতেন। ১৮০৭ সালে অবসর গ্রহণের পর তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে ২৫০০০ পাউন্ড অনুদান করেন সেখানে সংস্কৃত ভাষার উপর চেয়ার প্রতিষ্ঠা করতে। বিশ্ববিদ্যালয় তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে এর নাম করে বোডেন চেয়ার। বোডেনের লক্ষ্য ছিল বাইবেলকে সংস্কৃত ভাষায় অনুবাদ করে এর মাধ্যমে হিন্দুদের খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করার।

এছাড়া মিশনারিরা হিন্দুধর্মকে একটি বহুশ্বরবাদী ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। কিন্তু হিন্দুদের একেশ্বরবাদী চেতনার উৎসই হল বেদ। তাই তাদের লক্ষ্য ছিল বেদকে আক্রমণ করা। এর জন্য মাক্সমুলারের মত ধূর্ত লোকদের দরকার ছিল আরও অনেক বেশী যার ইংরেজি এবং সংস্কৃত ভাষার উপর দখল ছিল অতি জঘন্য। তার কাজ ছিল হিন্দু শাস্ত্রগুলোর অপব্যাখা করা।

লর্ড মেকলে যাকে ইংরেজি ভাষা শিক্ষা প্রবর্তনের জন্য আমাদের বুদ্ধিজীবীরা পূজা করেন তিনি জন্ম নেন এক ডানপন্থী খ্রিস্টান পরিবারে। ইংরেজি শিক্ষা এবং ইউরোপীয় ভাষা প্রচারের প্রধান লক্ষ্যই ছিল খ্রিস্টধর্ম প্রচার।১৮৩৫ এর ফেব্রুয়ারিতে ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থায় ইংরেজি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেন তিনি।

১৮৩৬ সালের ১২ অক্টোবর তিনি তার পিতাকে চিঠিতে লিখেন, “ our English schools are flourishing wonderfully. We find it difficult – indeed, in some places impossible – to provide instructions for all who want it. At the single town of hoogle fourteen hundred boys are learning English. The effect of this education on the hindoos is prodigious. No hindoo, who has received an English education, ever remains sincerely attached to his religion. Some continue to profess it as a matter of policy; but many profess themselves pure deists, and some embrace Christianity. It is my firm belief that if, our plans of education are followed up, there will not be a single idolater among the respectable classes in Bengal thirty years hence. And this will be affected without any efforts to proselytize; without the smallest interference with religious liberty; merely by the natural operation of knowledge and reflection. I heartily rejoice in the prospects. Ref. the life and letters of Lord Macaulay, pp. 329-330 ”

লর্ড মেকলে আর মাক্সমুলারের প্রথম সাক্ষাৎ হয় ১৮৫১ সালে লন্ডনে। পরবর্তী সাক্ষাৎ হয় ১৮৫৫ সালের ডিসেম্বরে। তাদের সেই সাক্ষাৎকারে মাক্সমুলার ভাষাকে ব্যবহারের কথা জানান। তিনি লিখেন।

“…I made acquaintance this time in London with Macaulay, and had along conversation with him on the teaching necessary for the young men who are sent out to India. He is very clear headed, and extraordinarily eloquent…I went back to oxford a sadder, and, I hope, a wiser man. Ref. –the life and letters of Maxmuller, vol.1, p.162, London edn”

মাক্সমুলার ক্রমাগত সংস্কৃত শাস্ত্রের অপব্যাখা করতে থাকেন। এই বিষয়ে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী তার সত্য প্রকাশ বইয়ের ২৭৮ পৃষ্ঠাতে লেখেন

“the impression that the Germans are the best Sanskrit scholars, and that no one has read so much of Sanskrit as Prof Maxmuller, is altogether unfounded exposed Maxmuller. Yes, in a land where lofty trees never grow, even recinus communis or the castor oil plant may be called as oak…. I came to learn from a letter of a principal of some German university, that even men learned enough to interpret a Sanskrit letter are rare in Germany. I have also learnt from the study of Maxmuller’s history of Sanskrit literature and his comments on some mantras of the Veda, that prof. Maxmuller has been able to scribble out something by the help of the so-called tikas or paraphrases of the Vedas current in India”

এই মাক্সমুলারই বেদের বিভিন্ন মন্ত্রের অপব্যাখা দিয়ে আর্য আক্রমণ তত্ত্বের প্রবর্তন করেন।

বিশেষ কৃতজ্ঞতা ঃ অগ্নিবীর ।

আর বর্ণাশ্রম প্রথা সম্পর্কে জানতে
Click This Link

সর্বশেষে আপনার এই উদ্যোগ এর জন্য সাধুবাদ জানাই । তবে এই সঙ্গে এই আসাও রাখি যে প্রকৃত সত্য একসময় প্রকাশ হবেই । প্রতিউত্তর এর জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । আনন্দে থাকুন সুস্থ থাকুন ।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:০৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন আবারও চমৎকার তথ্য বহুল মন্তব্যের জন্য। আপনার দেয়া তথ্যগুলো বেশিরভাগই জানা ছিল আগে।

আর্যরা বেদুঈনদের মতো যাযাবর জাতি ছিলনা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর যখন তাদের সব কিছু তলিয়ে যায় যারা বেঁচে ছিল পরে তাদের কিছু অংশ তিব্বতে এসে বসবাস শুরু করে। সেই অর্থে এখানে তাদের যাযাবর বলা হয়েছে নতুবা আর্যদের মতো বিস্তর জ্ঞান সমৃদ্ধ প্রজ্ঞাময় পরাক্রমশালী জাতি খুব কমই ছিল। ভারতীয় সংস্কৃতি অধিকাংশই এসেছিল তীব্বত থেকে।

আর্যদের এই ইতিহাস কালের বহমানতায় রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও ভূমি শাসনের কারনে সত্যের উপর মিথ্যার প্রলেপ দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে। অথবা ইচ্ছে করেই এর চর্চা থেকে বিরত থাকা হয়েছে। লেখা হয়েছে আপনার প্রদত্ত ইতিহাস। এই কারনেই দেখুন পোস্টের শিরোনাম দিয়েছি নিষিদ্ধ ইতিহাস। যা লেখা হয়নি। অত্যন্ত সচেতন ভাবেই বিলীন করে দেয়া হয়েছে। আর্যদের বিরুদ্ধে নানা এলিগেশন আনা হয়েছে।

আপনার দেয়া তথ্য যদি আমাকে মানতেও হয় তবে একটি বার কি ভেবে দেখবেন এইযে স্বস্তিকা প্রতীকটি পৃথিবীর এত এত দেশে এত এত ধর্ম ভেদে ব্যবহার করা হচ্ছে এর পেছনের তাহলে রহস্যটা কি ?

আপনি কি কখনও দেখেছেন ইসলাম ধর্মে ক্রুশ ব্যবহার করা হয় আর খ্রিস্টান ধর্মে চাঁদ তারা কিংবা কোন বুদ্ধ ধর্মে ওম ব্যবহার করতে ? যদি এক ধর্মের প্রতীক অন্য ধর্ম ব্যবহার নাই করে তাহলে কেন এই স্বস্তিকা প্রতীকটি এভাবে ব্যবহার করা হয়ে আসছে ?

হয় হিন্দু থেকে সবাই পেয়েছে নতুবা হিন্দু ধর্মে অন্য কোন ধর্ম থেকে এসেছে।

পৃথিবীতে সবচাইতে সনাতন ধর্ম হলো হিন্দু ধর্ম। যার চর্চা হয়ে আসছে সেই মানব জন্মের প্রথম ভাগ থেকেই। মূর্তি পূজা সেই আমলেও ছিল এই আমলেও আছে। একসময় মূর্তি পূজা হতো আরবে। তখন উপমহাদেশে ঠিক কোন ধর্মের চর্চা হতো জানা নেই। কিন্তু আমি আমার আগের মন্তব্যেই ব্যাখ্যা দিয়েছি কিভাবে এখানে ধর্মের বিস্তার হয়েছিল।

আজকের যে দুর্গা পূজা সেটাও কিন্তু শুরু হয় খুব বেশি দিন আগে নয়। তাহলে সেই হাজার বছর আগে এখানকার মানুষ কোন দেবীর পূজা করত সেটাই বোধ গম্য নয়। আর্যদের পর এই অঞ্চলে শুরু হয় মঘদের রাজত্ব। তারপর একে একে অনেক জাতির আগমন ঘটে। তারও বহু যুগ পর শুরু হয় দুর্গা পূজা। অথচ হিন্দু ধর্মের অন্যতম পূজাই হল এই দেবী দুর্গার পূজা।

যেমন ধরুন এই দেশের মানুষ বেশির ভাগ ইসলাম ধর্মের অনুসারী। কিন্তু তাই বলে কি ইসলাম ধর্মের জন্ম এই দেশে ? না ইসলাম ধর্ম এই দেশে আনা হয়েছে।

যাই হোক ধর্ম খুব সেন্সিটিভ বিষয়। এই নিয়ে তর্কে না গেলেই উত্তম। এখানে মূল বিষয় হলো আর্যদের কে নিয়ে। কেন তাদের ইতিহাস গোপন করা হয়েছে এই নিয়ে ?

শুধু আর্যদের প্রতিষ্ঠিত এই স্বস্তিকা প্রতীকের ধর্ম ও জাতি ভেদে ব্যবহার ভাবতে বাধ্য করে যে লুকিয়ে থাকা সত্য সম্পর্কে জানতে ?

২৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:২৩

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
বুকমার্ক করে গেলাম। সময় করে পড়বো।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৩২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আচ্ছা !!!

২৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩

মামুন রশিদ বলেছেন: যথারীতি তথ্যপূর্ণ চমৎকার পোস্ট ।


ভালোলাগা ।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৩২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


সেই যাত্রার শুরু থেকে সব সময় আপনাকে আমার সাথে পেয়েছি বড় ভাইয়ের মতো। এটা আমার পরম সৌভাগ্য।

২৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:১২

ডট কম ০০৯ বলেছেন: সেইরাম পোষ্ট।

এটি লিখতে গিয়ে কতখানি পড়তে হয়েছে আপনার সে আমি অনুভব করত পারছি। আপনার কষ্ট স্বার্থক। কারন আমরা যারা এর পাঠক তাদের কাছে অজানা একটা বিষয় নিজের মত করে তুলে ধরতে পেরেছেন।

এই জাতীয় পোষ্ট আরো আশা করছি।

শুভ কামনা সকল সময়ের জন্য।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৩০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। সব সময় পাশে থেকে এভাবে উৎসাহ দেন বলেই এই পর্যন্ত আসতে পারা।

শুভেচ্ছা শতত।

২৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:২১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অতি উৎকৃষ্ট মানের এ আর্টিকেলটি পড়ার সময় যে তথ্যটি আমাকে অবাক করে তা হলোঃ

ভারতের অধিকাংশ মানুষ আজ হিন্দু ধর্মের সঙ্গে সংযুক্ত। কিন্তু হিন্দু ধর্মের উৎস ভারতে নয়। এই ধর্মকে ভারতে নিয়ে আসা হয়। মূলত ইউরোপ থেকে প্রাচীন সাদা জাতি বা আর্যরাই হিন্দু ধর্মের প্রচার ও প্রসার ঘটায় এই উপমহাদেশে।

এ মন্তব্যের উপর সিস্টেম এ্যাডমিন এবং আপনার আলোচনা মূল পোস্টকেও ছাড়িয়ে গেছে। অনেক উপভোগ্য আলোচনা। তবে দুজনের বক্তব্যই ভালো লেগেছে, আসলে যখন যার কথা পড়েছি, হেলে পড়েছি তাঁর দিকেই। এ জটিল ও দুরূহ বিষয়টির আপাতত কোনো সুরাহা আমি যদিও পেলাম না, তবুও দু পক্ষের যুক্তিগুলোই মনে ধরে নিলাম। বিস্তর অধ্যয়নের পরই হয়তো ধারণা কিছুটা পরিষ্কার হবে, যা অনেক সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।

মূল্যবান পোস্টটির জন্য অভিনন্দন।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:২৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


খুব উৎসাহ পেলাম আপনার মন্তব্যে।

সিস্টেম এ্যাডমিন ভাইয়ের মন্তব্য আমিও খুব উপভোগ করেছি। উনার মন্তব্যটা এই পোস্টের প্রান।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাই।

২৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:০১

একজন আবীর বলেছেন: নাইস পোস্ট

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:২৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



কেমন আছেন ?

২৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৯

আবু শাকিল বলেছেন: প্রিয় তে রাখলাম। সময় করে সবটুকু পড়ে নেব।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:২৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।

২৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২৩

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
ভালো লাগা দিয়ে একটা ইট রেখে গেলাম। দারুন পোস্ট সময় নিয়ে পড়তে হবে।

এমন অসাধারণ পোস্ট কেমনে লিখেন,

ক্যামনে পারেন, ম্যান!!!

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:২৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাইজান ইটতো দিলেন কিন্তু সিমেন্টটা আমি দিয়ে দিলাম। :)

এটা আপনার মহানুভবতা।

শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৩০| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:১০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কঠিন পোষ্ট ভাই! বিষয়বস্তু খুবই ইন্টারেস্টিং । নতুন কিছু জানানোর জন্য ধন্যবাদ।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৪:১২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ধন্যবাদ কিভাবে দিব এটা বুঝতে পারছিনা। শুধু কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৩১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:১৮

আরজু মুন জারিন বলেছেন: আবার ও আসলাম আপনার ব্লগে কান্ডারী ভাই। আপনার কমেন্টস গুলি যেন এক একটি সাহিত্য। অসাধারণ আপনার লেখা। আপনার অনেক ভক্ত হয়ে গেলাম।
অনেক অনেক ভাল থাকুন ভাই। শুভেচ্ছা পুনরায়।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৪:১৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


দিনে দিনে বাড়িতেছে দেনা, এই দেনা শোধ করব কেমনে ?

৩২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:০৭

খাটাস বলেছেন: এমন তর পোষ্ট শুধু আপনার পক্ষেই সম্ভব কাণ্ডারি ভাই । বরাবরের মত অনেক কষ্ট করেছেন বোঝাই যায়। সিস্টেম অ্যাডমিন ভাই এর সাথে আলোচনা টা আরও বেশি চমৎকার। তার জন্য অনেক শুভ কামনা।
++++ সহ রেখে দিলাম।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৪:১৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আপনাকে দেখিনা অনেক দিন হয়ে গেছে। কেমন আছেন ? আসুন একদিন চা খাই দুইজনে।

৩৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৪

খাটাস বলেছেন: আমি ভাল আছি ভাই। আপনি কেমন আছেন?
আসলেই অনেক দিন দেখা হয় না। পরিক্ষা শেষে খুব তাড়াতাড়ি যোগাযোগ করব ভাই।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:১৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


হুম ভাল করে পরীক্ষা দে। তারপর দেখা হবে শীঘ্রই।

৩৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১১

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: অনলাইনে কাণ্ডারিয় ক্লাস রুমে আসতে দেরী হয়ে গেল। বরাবরের মত চমৎকার একটি পোস্ট। অনেক কিছুই জানা হল। সিস্টেম অ্যাডমিন এর কমেন্ট এবং আপনার রিপ্লাই পোস্টটাকে অনেক উপভোগ্য করে তুলেছে।


পোস্টে প্লাস এবং সরাসরি প্রিয়তে।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:২০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


পরীক্ষাতো শেষ হয়ে গেছে; এখন কিন্তু পরীক্ষা নিতে পারবো না :-B


কৃতজ্ঞতা চিরদিনের জন্য।

৩৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৪৬

এহসান সাবির বলেছেন: মন্তব্য গুলি সময় নিয়ে পড়তে হবে।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৫২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

সিস্টেম এডমিন ভাই অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।

৩৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৫৫

এহসান সাবির বলেছেন: সেই কারণে বেশ মন দিয়ে পড়ব পরে। আরো বেশ কিছু ভালো তথ্য আছে।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:০৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অবশ্যই সাবির ভাই।

৩৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:২৭

ভুং ভাং বলেছেন: কত কিছু আছে জানার । কতও কিছু। ধন্যবাদ আপনাদের মতো কিছু মানুষদের যারা শুধু নিজেরাই জানার চেস্টা করেন না বরঞ্চ সবার মাঝে বিলিয়ে দেন । ভালো থাকবেন ।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:১৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। কিছু শেয়ার করতে পেরে আমারও ভাল লাগল।

শুভকামনা নিরন্তর।

৩৮| ২১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৫০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভারতের অধিকাংশ মানুষ আজ হিন্দু ধর্মের সঙ্গে সংযুক্ত। কিন্তু হিন্দু ধর্মের উৎস ভারতে নয়। এই ধর্মকে ভারতে নিয়ে আসা হয়।

আগে জানতাম না এই ব্যাপারটা।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:১৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



মন্তব্যে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আপু।

৩৯| ২২ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৩০

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: সরি , পোস্ট না পড়েই কমেন্ট করছি :|

ভাইয়া কি সিম্বল ইস্যু নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করছেন ?? পোস্ট এ চোখ বুলিয়ে সেটাই মনে হলে । এবং এরপর কি কি সিম্বল আর তার উৎস ,ব্যাখ্যা আসতে পারে তার একটা ধারনা করতে পারছি /:)
এই জিনিস গুলো সাঙ্ঘাতিক রে ভাই একবার মাথায় ঢুকে গেলে চোখে শুধু এইসব সিম্বল ঘুরে ,যেদিকে তাকাই শুধু কুফরি সিম্বল :( মাথা নষ্ট হবার জোগাড় !!

২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:২০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



হা হা হা না আপাতত আপু আর সিম্বল নিয়ে থাকছিনা। আমারও মাথা ঘুরায়। কিছু কিছু সিম্বল নিয়ে কৌতূহল ছিল তাই একটু সময় নষ্ট করেছি।

শুভেচ্ছা ও শুভকামনা নিরন্তর।

৪০| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৭

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: সায়েদা সোহেলী বলেছেন:

ভাইয়া কি সিম্বল ইস্যু নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করছেন ?? পোস্ট এ চোখ বুলিয়ে সেটাই মনে হলে । এবং এরপর কি কি সিম্বল আর তার উৎস ,ব্যাখ্যা আসতে পারে তার একটা ধারনা করতে পারছি /:)
এই জিনিস গুলো সাঙ্ঘাতিক রে ভাই একবার মাথায় ঢুকে গেলে চোখে শুধু এইসব সিম্বল ঘুরে ,যেদিকে তাকাই শুধু কুফরি সিম্বল :( মাথা নষ্ট হবার জোগাড় !!

বরাবরের মতোই অসাধারণ। আপনার এরকম পো্স্টগুলোর আমি মনোযোগ দিয়ে পড়ি। সিম্বলের প্রতি আমার প্রচন্ড আগ্রহ।

এরকম আরো লেখা চাই কান্ডারি ভাই। :)

২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:২১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



সায়েদা সোহেলী আপুর সাথে একমত। মাথা ঘুরায়।

কৃতজ্ঞতা রইল সুন্দর মন্তব্যে। শুভেচ্ছা শতত।

৪১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০১

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: পরীক্ষা দিতে হবে না এটা জেনে খুব ভালো লাগছে। পাস নম্বর কিন্তু অবশ্যই দিতে হবে। :) আর যে হারে এ+ এর সংখ্যা বাড়ছে তাতে এ+ দিলে অনেক খুশি হব।

নতুন পোস্ট পাইনা কেন????????

২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:২৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


নতুন পোস্ট দিয়েছি ভাই। একটু ব্যাস্ত আছি ভীষণ।

আমার ভাইয়ের জন্য বাই ডিফল্ট গোল্ডেন এ+ :) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.