নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূণ্যতা থেকে শূণ্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূন্যতা থেকে শূন্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

কান্ডারি অথর্ব

আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।

কান্ডারি অথর্ব › বিস্তারিত পোস্টঃ

সময়ের নিয়ন্ত্রণ আদৌ কি সম্ভব ?

৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৬









I am Horus, and I traverse millions of years. - The Egyptian Book of the Dead



যীশুর ৩০০০ বছর আগে বিশ্বাস করা হত মিশরীয় দেবতা হোরাস জন্ম নেন কুমারী মা দেবী আইসিস এর গর্ভে। হোরাসকে আকাশের দেবতা বলা হয়ে থাকে যার ডান চোখ হলো সূর্য আর বাম চোখ চাঁদ। সূর্য অপেক্ষা চাঁদের উজ্জ্বলতা কম হওয়ার কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয় হোরাস এবং শেঠের মধ্যাকার দ্বৈরথ অমীমাংসিত থেকে যাওয়াকে। যেখানে শেঠ ছিল মিশরের উচ্চ পর্যায় থেকে এবং হোরাস ছিল নিম্ন পর্যায় থেকে। শেঠের বিরুদ্ধে হোরাসের এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ছিল মিশরের জনগণের স্বার্থে যেখানে ঈশ্বর ছিলেন হোরাসের পক্ষে। কথিত আছে যে হোরাসকে ক্রুশে বধ করে হত্যা করা হয় কিন্তু মিশরীয় পুরাণের বিশ্বাস অনুযায়ী হোরাস বেঁচে আছে এবং মিশরের জনগণের কল্যাণে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসবে।



ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী; ঈসা (আঃ) এখনও জীবিত আছেন এবং তিনি কেয়ামতের পূর্বে ফিরে আসবেন যে বয়সে তাকে পৃথিবী থেকে উঠিয়ে নেয়া হয়েছিল ঠিক সেই বয়সেই। তারপর তিনি পুরো পৃথিবী জুড়ে ইসলাম ধর্ম কায়েম করবেন। যদিও ঈসা (আঃ) এর জন্মের বহু আগে থেকেই মিশরের পুরাণে বর্ণিত হোরাসের কাহিনী প্রচলিত ছিল তবু দুটি কাহিনীর মধ্যে রয়েছে এক অভূতপূর্ব মিল।



কিন্তু দুটি কাহিনী যাই হোক না কেন; হোরাস কিংবা ঈসা (আঃ) বেঁচে আছেন হাজার হাজার বছর ধরে এবং তারা আবারও ফিরে আসবেন যুবক অবস্থাতেই; এমনটাই বিশ্বাস করা হয়। কোরআন-হাদিস অনুযায়ী এটাও বিশ্বাস করা হয় যে কেয়ামতের পর পরকালে যে জীবন মানুষ পাবে সেটা হবে অনন্ত কালের জন্য। সেখানে মানুষকে চিরদিন যুবক অবস্থাতেই থাকতে হবে। পৃথিবী থেকে বৃদ্ধ অবস্থাতে মৃত্যু হলেও পরকালে ফিরে পাবে মানুষ অনন্ত যৌবন।



ইসলাম ধর্মমতে; খিজির (আঃ) নাকি আবে হায়াত নামক ঝর্ণার জল পান করে অনন্ত জীবন প্রাপ্ত হয়েছিলেন। তিনি এখনও বেঁচে আছেন এই পৃথিবীতে। ধর্মের সাথে আমি বিজ্ঞানকে মেলাতে না চাইলেও বিজ্ঞানী স্যার আইজেক নিউটন কিন্তু পিছিয়ে থাকেন নি মোটেও। সেই গাছ থেকে আপেল পতিত হবার পর থেকে তিনি বল বিদ্যা আর গতি বিদ্যার উপর যে যুগান্তকারী সূত্র আবিষ্কার করেছিলেন আর যার জন্য আজকের এই আধুনিক পৃথিবী সেই তার মূল নেশা কিন্তু ছিল অনন্ত জীবন প্রাপ্তির প্রতি আকাংখা। আর সে কারণেই তিনি দিন রাত এক করে দিয়ে আলকেমি নিয়ে গবেষণা করতেন। আর যার ফলশ্রুতিতে তিনি একসময় মানসিকভাবে ভেঙেও গিয়েছিলেন। আবার বিজ্ঞানী আইনস্টাইন ছিলেন আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে। তিনি দেখিয়ে গেছেন যে মানুষ যদি আলোর বেগে ছুটতে পারে তাহলে নাকি সময়ের পরিবর্তন সম্ভব।



এবার আসুন দেখা যাক; দাজ্জাল সম্পর্কে যা জানা যায় তা হলো পৃথিবীতে ৪০ দিন সে অবস্থান করবে। তার প্রথম একদিন হবে এক বছরের সমান, এরপর একদিন হবে এক মাসের সমান, তৃতীয় দিন হবে এক সপ্তাহের সমান, বাকী দিন গুলো আমাদের দিনের মতোই হবে। হাদিসে যেহেতু বাকী ৩৭ দিন আমাদের দিনের মত বলা হয়েছে, কিন্তু প্রথম ৩ দিনকে বছর, মাস আর দিনের সমান তুলনা করা হয়েছে, সুতরাং প্রথম ৩ দিনের ব্যাপ্তি বা ডাইমেনশন মূলত পৃথিবীর সময়ের চেয়ে ভিন্ন। কোরআনে আখেরাতের সময় এর যে সকল উল্লেখ আছে, তার মধ্যে আখেরাতের ১ দিনের সমান দুনিয়ার ১০০০ বছর; এই ব্যাপ্তিটাই দাজ্জালের ১ম দিনের ব্যাখ্যা হিসেবে বণর্না করেন অনেক স্কলার। অর্থাৎ, তার ১ম দিন দুনিয়ার হিসেবে ১০০০ বছরের সমান। সুতরাং তার হায়াৎ ১০০০ বছরের চেয়েও বেশি। তবে সে তার হায়াতের শেষ ৩৭ দিন যা আমাদের সময়ের সমান ডাইমেনশনে প্রবেশ না করা পযর্ন্ত আমরা তাকে আমাদের চোখে দেখতে পাবোনা কিংবা চিনতে পারবো না বলে ধরে নেয়া যায়।



তাহলে এখন প্রশ্ন দাঁড়ায় কি করে হোরাস কিংবা ঈসা (আঃ) এখনও বেঁচে আছেন ঠিক একই বয়স নিয়ে ? তাদের উভয়ের বয়স বাড়ছেওনা কিংবা কমছেওনা। তাহলে কি তাদের উভয়ের ক্ষেত্রে সময়কে থামিয়ে রাখা হয়েছে ? সময়কে থামিয়ে রাখার তাহলে কি কোন বিশেষ উপায় রয়েছে নাকি কোন মেডিসিন দিয়ে তাঁদেরকে জীবিত করে রাখা হয়েছে ? হাদিস অনুযায়ী আমরা জানি যে ঈসা (আঃ) যখন পৃথিবীতে ফিরে আসবেন তখন তার মাথার কেশ মোবারক থেকে যেন মনে হবে বিন্দু বিন্দু পরিমান জল ঝরবে। তাহলে কি তাঁকে ফরমালিন জাতীয় কোন দ্রব্যের মধ্যে দ্রবীভূত করে রাখা হয়েছে যে দেখে মনে হবে সদ্য গোসল করে উঠে এসেছেন ?



আমি সেই তর্কে যাবো না। এখানে মূল বিষয়টা হলো সময় নিয়ে। কি করে এতকাল ধরে একজন মানুষ একই বয়স নিয়ে বেঁচে আছেন আর কি করেই বা পরকালে মানুষ অনন্ত জীবন প্রাপ্ত হবে। নাকি সবাইকে তখন আবে হায়াতের ঝর্ণার জল পান করিয়ে নেয়া হবে, নাকি আলকেমির মেডিসিন প্রয়োগ করা হবে ?



এখানেই সময়ের প্রশ্ন আসে। প্রকৃত পক্ষে পৃথিবীর সময় আর পরকালের সময় এক নয়। টাইম ডাইমেনশনের পার্থক্যটা এখানেই। যখনই এই টাইম ডাইমেনশন পরিবর্তিত হয়ে যাবে তখনই সব কিছুর সমাধান সম্ভব।



নর্সের পুরাণ অনুযায়ী রাতের দেবী নট তার ঘোড়া নিয়ে পরিভ্রমণ করে রাতের সময় নির্ধারণ করে থাকে। কিন্তু আমরা জানি চাঁদ, সূর্য আর পৃথিবী তাদের নিজ নিজ কক্ষপথে পরিভ্রমণ করে বলেই দিন আর রাত আসে। পূর্ণ হয় সম্পূর্ণ একটা দিনের। এভাবে সপ্তাহ থেকে মাস, তারপর বছর; এভাবে গঠিত হয় মহাকাল। এই চাঁদের উপর নির্ভর করে আরবী মাস গণনা করা হয়, এই সূর্যের উপর নির্ভর করেই ইংরেজীতে আমরা বর্ষ উদযাপন করে থাকি মহা ধুম ধাম করে। সমুদ্রে যে জোয়ার-ভাটা হয় সেটাও এই চাঁদ আর সূর্যের কারণেই হয়ে থাকে। এখন যদি সূর্য আর পৃথিবীর মাঝে চাঁদকে একই সরলরেখায় রেখে তাদের সকল প্রকার ঘূর্ণন চিরদিনের জন্য থামিয়ে দেয়া হয় তাহলে পরিস্থিতি কোন পর্যায় গিয়ে দাঁড়াবে ?



দেখা যাবে পৃথিবীর এক প্রান্তে যুগের পর যুগ ধরে রাত আর অন্য প্রান্তে মহাকাল ধরে দিন চলে আসছে। সূর্যকে দেবতা ভেবে অনেকেই পূজা করে অনেকেই আবার তার আদরের প্রিয় সোনামণির কপালে চাঁদের টিপ পরিয়ে শঙ্কা মুক্ত হয়। কিন্তু এই মহাবিশ্বে গ্যালাক্সির অভাব নেই। এখন সব গ্যালাক্সি নিশ্চয় এই চাঁদ আর সূর্যের উপর নির্ভর করে না। কিংবা সব গ্যালাক্সিতে যে এই চাঁদ আর সূর্যই রয়েছে এমনটাও নিশ্চয় নয়। তাহলে প্রশ্ন দাঁড়ায় সেখানে দিন আর রাত কিভাবে হয় ? সেখানে টাইম ডাইমেনশনটা কেমন ? আর যদি সেখানে চাঁদ আর সূর্য না থেকে থাকে তাহলে সূর্য দেবতা আর চাঁদ মামার কি হবে ? তাহলে অবশিষ্ট গ্যালাক্সিগুলোর পরিচালক কে ?



আমার ভাগ্য নির্ধারকের ভাগ্যটা নির্ধারণ করে কে ? আমার সময়ের নির্ধারকের সময়টা নির্ধারণ করে কে ?



অবশ্যই এর পেছনে মহাপরাক্রমশালী কোন শক্তি অবশ্যই আছে। নতুবা সব কিছু এত স্বাভাবিক নিয়মে চলছে কি করে ? সূর্য আর চাঁদ যদি দেবতা নাই হয়ে থাকে তাহলে এই যে এতটা নিয়মমাফিক সময় করে পরিভ্রমণ এর পেছনে অবশ্যই কোন শক্তি কাজ করছে। যার নিয়ন্ত্রণে সব কিছু, সব গ্যলাক্সি এবং মহাকাল।



এখন যদি এই চাঁদ, সূর্য আর পৃথিবীর এই ঘূর্ণিত কক্ষপথের বাইরে কিংবা বিপরীতে অবস্থান নেয়া যায় তাহলে টাইম ডাইমেনশনের অবস্থাটা কি হতে পারে ?



এই কক্ষপথের বাইরে কিংবা বিপরীতে অবস্থান নেয়ার অর্থই হলো সেই মহান শক্তির নিকটবর্তী হওয়া। যেখানে পৃথিবীর টাইম ডাইমেনশনের সাথে কোন মিল নেই। দিন কিংবা রাতের হিসাব সম্পূর্ণ ভিন্ন। সেটাই অনন্ত কালের হিসাব। এখন সেখান থেকে ঘুরে পৃথিবীর সময়ে ফিরে এলে মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক যে হাজার বছর ধরে ঘুরে আসা হয়েছে অথচ আমার টেবিলের উপর রেখে যাওয়া চায়ের কাপ এখনও গরমই রয়েছে। তাহলে এখন পরিস্থিতি এই দাঁড়ায় যে চাঁদ, সূর্য আর পৃথিবী বেচারা ত্রয়ীকে নিজ নিজ কক্ষপথে ঘূর্ণনে পরিবর্তন না আনিয়ে পৃথিবীতে সময়ের গতির পরিবর্তন করা আদৌ সম্ভব নয়।



সবশেষে, একটা ছোট্ট কাহিনী দিয়ে শেষ করছি। একদা অনেক শখ করে একটা চারা রোপণ করা হলো। উদ্দেশ্য হলো এই চারা একদিন বড় হয়ে ফুল দেবে, ফল দেবে, ছায়া দেবে। প্রচুর যত্ন আর পরিচর্যা করা হলো। একদিন প্রচন্ড এক ঝড় এসে চারা হতে সদ্য প্রস্ফুটিত নবীণ গাছটিকে উপড়ে দিয়ে চলে গেল। বেচারা কৃষক এর মধ্যেই কোন মঙ্গল নিহিত আছে বলে মনে করে পুণরায় নতুন করে এক চারা রোপণ করল। কিন্তু ভুলটা তার সেখানেই হলো। এমন এক জায়গায় কৃষকটি বাস করে যেখানটা হলো ঝড় প্রবণ এলাকা। অতপর আবারও সেই ঝড়ে সব কিছু লন্ড ভন্ড। কিন্তু কৃষকটির পক্ষে এমন কোন স্থানে চলে যাওয়া সম্ভব নয় যেখানে গেলে ঝড় থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। সে ভাবল পৃথিবীতে আদৌ কি এমন কোন স্থান আছে যেখানে ঝড় হয়না। অনেক ভেবে যখন সে দেখল যে কোথাও এমন ঝড় বিহীন স্থান পাওয়া সম্ভব নয়; এই ঝড়ের মধ্যেই বেঁচে থাকতে হবে তখন তার আর ধৈর্য ধারন করার ধৈর্য অবশিষ্ট রইলো না। পুরোপুরি হতাশ এই কৃষক এবার কৃষি কাজ ছেড়ে দিয়ে জেলে হবার স্বপ্নে বিভোর হলো। মাছ বেঁচে জীবনটা বেশ কেটে যাবে এমন আশ্বাস নিয়ে নতুন করে শুরু হলো তার পথ চলা। কিন্তু মানুষের সব স্বপ্ন পূর্ণ হয়না। আশা আর নিরাশার মাঝে ধৈর্য নিয়ে স্বপ্ন দেখা কোন বিলাসিতা ছাড়া কিছুই নয়। একদিন মাছ নিয়ে নৌকা করে বাড়ি ফেরার পথে আবারও সেই ঝড়। অতপর সলীল সমাধী...







মন্তব্য ১৪০ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (১৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২২

মামুন রশিদ বলেছেন: কঠিন পোস্ট :-& |-)

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:১৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



সুপ্রিয় মামুন ভাই সালাম জানবেন। যদিও বিষয় বস্তু বেশ জটিল তবে বোঝার সুবিধার জন্য চেষ্টা করেছি সহজ ভাবে লিখতে। তাই খুব বেশি গভীরে যাই নি। আপনার জন্য সব সময় আমার ভালোবাসা রইলো।

২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৫

কালের সময় বলেছেন: শুধু পাঠ করলাম
পরে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করতে হবে
এখন মাথায় ডুকতেছে না অনেক হার্ড পোষ্ট ।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:২০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



অনেক ধন্যবাদ সময় দেয়ার জন্য। বিষয়গুলো ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে দেখার জন্যই। যদিও এই বিষয়ে কোন সিদ্ধ্যান্তে পৌঁছানো খুব কঠিন। এই সময় নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। তবে বোঝার সুবিধার জন্য চেষ্টা করেছি সহজ ভাবে তুলে ধরতে।

শুভকামনা ভাই আমার আপনার জন্য সব সময়ের।

৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪০

সাাজ্জাাদ বলেছেন: kothin post. porte porte mone hoccilo GAP ta ami-o dorte parci.

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:২১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



অনেক অনেক ধন্যবাদ সাজ্জাদ ভাই।

এই ফাঁকটা ধরতে পারার মাঝেই সার্থকতা। শুভকামনা সব সময়ের জন্য।

৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সময় ভ্রমন সম্ভব।

মিরাজের ইতিহাসতো তাই বলে।

আমরা সে পর্যন্ত পৌছতে পারি না্‌ই।

এবার একটু উদ্ভট প্রশ্ন-

বৃহষ্পতির দূরত্ব যদি বৃহত এক কদম বলি- আপনি কি কি ভাবে একে ব্যাখ্যা করবেন? ;)

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৪০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



সময়ের ভ্রমণ সম্ভব নয় সুপ্রিয় বিদ্রোহী ভৃগু ভাইজান। মিরাজের যে ঘটনা; একবার ভেবে দেখুন, আমাদের প্রিয় নবী কি অতীত কিংবা ভবিষ্যৎ কালে চলে গিয়েছিলেন নাকি বর্তমান সময়ের মধ্যেই ছিলেন ?

তিনি শুধুমাত্র পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা জগতে গিয়েছিলেন। যেখানের সময়ের সাথে পৃথিবীর সময়ের পরিমাপ ভিন্ন। এখন প্রশ্ন হতে পারে তাহলে এত দ্রত তিনি গেলেন কিভাবে ? আর ফিরেও এলেন ঠিক পৃথিবীর সময়ের সাথে মিল রেখেই। যানবাহনটা ছিল বোরাক। যদি এই বোরাক যানবাহনকে আমরা টাইম মেশিনের সাথে মিলিয়ে ফেলি তাহলে হবে না।

ঢাকায় যখন সূর্য অস্ত যায় সন্ধ্যা ৬.৪৫ এ তখন রাজশাহীতে সূর্য অস্ত যায় সন্ধ্যা ৭.০০ টায়। সেখানে অন্য দেশের কথা বাদই দিলাম। যেখানে পৃথিবীতেই সময়ের তারতম্য সেখানে অন্য জগতে তারতম্যটা আরও অনেক বেশিই হবে। কিন্তু মজার বিষয় হলো আপনি আমি কি চাইলেই এই পনের মিনিটের ব্যবধানে রাজশাহী পৌছাতে পারবো ? হ্যাঁ পারবো যদি তেমন কোন গতির যানবাহন পাই। কিন্তু তাই বলে আজ থেকে কয়েক বছর পর কিংবা কয়েক বছর আগে রাজশাহীতে যেয়ে নিজেকে দেখে আসতে পারবোনা। অতএব বোরাক আর টাইম মেশিন এক নয়।

পৃথিবীতে একই সময় অনেক মানুষের মৃত্যু হয়। অথচ আমরা জানি যে আজরাইল ফেরেশতা এসে জান কবচ করে। কিন্তু একজন আজরাইল ফেরেশতার পক্ষে একই সময় স্থান ভেদে কি করে জান কবচ করা সম্ভব ? কিংবা একজন মানুষের পক্ষে যতই আপনি যানবাহন বের করেন না কেন আলোর গতি কাজে লাগিয়ে একই সময় কি পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া সম্ভব ?

এটা শুধুমাত্র সেই মহাশক্তির এক বিস্ময়কর মহিমা।

আর সুপ্রিয় ভাই আমার আপনার উদ্ভট প্রশ্নের উত্তরটা খুব সহজ। বাজার থেকে এক কেজি আলু কিনে এনে যদি বলেন এক লিটার আলু কিনে আনলাম তাহলে যদি কোন সমস্যা না থাকে তাহলে বৃহষ্পতির দূরত্ব বৃহৎ এক কদম হতেই পারে।

৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৩০

শান্তির দেবদূত বলেছেন: ভাল একটা পোষ্ট, তবে শেষের গল্পের প্রসঙ্গটা বুঝলাম না।

সময় ভ্রমন সম্ভব না। তবে সময় আপেক্ষিক কখনো দ্রুত আবার কখনো স্লো হতে পারে। কোথাও ১ মিনিট অতিবাহিত হলে অন্য কোথাও ১ বছর অতিবাহিত হতে পারে, গতীর কারনে এটা হতে পারে। তবে অতীত বা ভবিষ্যতে চলে যাবে কোন যন্ত্রে করে সেটা সম্ভব না।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৪৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অনেক দিন পর সুপ্রিয় শান্তির দেবদূত ভাইজান। কেমন আছেন ?

প্রশংসার জন্য কৃতজ্ঞতা।

শেষের গল্পটা আমাদের ভাগ্যের সাথে জড়িত। আর ভাগ্য জড়িত সময়ের সাথে, সময়ের নিয়ন্ত্রণকারীর সাথে এর বেশি কিছু নয়।

আমিও তাই মনে করি যে সময়ের ভ্রমণ সম্ভব না। তবে যদি আপনাকে ভিন্ন কোন সময়ের পরিমাপের দেশে নিয়ে যাওয়া যায় তাহলে সেটা ভিন্ন ইস্যু। তবে পৃথিবীতে যদি ১ সেকেন্ড ধরা হয় পরিমাপক হিসেবে সেখানে অন্য কোথাও এর পরিমাপক ভিন্ন কিছু হবে এটাই স্বাভাবিক। এই গ্যলাক্সির সব জায়গায় যদি আবহাওয়ার তারতম্য হতে পারে তাহলে সময়ের তারতম্য হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাই বলে সময়ের নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। আপনি চাইলেই অতীতে ফিরে গিয়ে আপনার ছোট বেলার খেলার সাথীকে আই লাভ ইউ বলে আসতে পারবেন না।

৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৩৩

বোকা মিয়া বলেছেন: আমি যতদূর শুনেছি,দাজ্জাল হল মূলত একটা নেটওয়ার্ক,এটা কোন ব্যক্তি বিশেষ না।কাদের নেটওয়ার্ক তা তো আপনি বুঝতেই পারছেন এবং যতদূর শুনেছি সেই নেটওয়ার্ক কাজ শুরু করে দিয়েছে অনেক আগেই।এখন আমার প্রশ্ন আপনি কি নিশ্চিত দাজ্জাল একজন ব্যক্তি?দাজ্জালের সেই চিহ্ন তো এখনও দেখা যায় তবে মানুষ বুঝে না,ঠিক যেমনটা বলা হয়েছিল।হয়ত কোন ঈমানদার ব্যক্তি এই নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে প্রথম আওয়াজ তুলবেন।এবং তারপর সেই মানুষ জীবিত-মৃত করার ব্যাপারটা হবে।আপনার মতামত কি এই ব্যাপারে?

আরেকটা ব্যাপার,মিরাজের ঘটনা থেকেই তো টাইম ট্রাভেল প্রমাণিত।মানুষ কিন্তু এখন আর চাঁদ সূর্য দেখে সময় হিসেব করে না কাজেই ওদের ঘূর্ণন বন্ধ করলেও সময়ের কিছু আসে যায় না।এটা কেবল টাইম ট্রাভেলের মাধ্যমেই সম্ভব।আল্লাহর কাছে তো এটা কোন কিছুই না।মিরাজেও আমরা সেরকমটা দেখি।

আবে হায়াত সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবেন?মহান আল্লাহ তো এমনিতেই কারো হায়াত দিতে পারেন।আবে হায়াত থেকে পানি পান করার প্রয়োজন কি?খোদ নূহ নবীর সময়ে স্বাভাবিক ভাবেই মানুষ হাজার বছর বাঁচতো।তাহলে আবে হায়াত সৃষ্টির রহস্য/প্রয়োজন কি?কোন বিশেষ কারণ কি আছে যেজন্য আল্লাহ আবে হায়াত সৃষ্টি করেন?

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:০৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ধন্যবাদ অনেক অনেক বোকা মিয়া ভাই। যুক্তি বলে যে দাজ্জাল একটা নেটওয়ার্ক। কিন্তু ধর্ম সেটা মানতে দিতে চায়না। তবে ধর্ম গ্রন্থে সব কিছু দেয়া আছে রুপক হিসেবে। বলা আছে পাখির কথা যেটাতে চড়ে ঈসা (আঃ) যাবেন দাজ্জাল বধে। কিন্তু এই পাখি বলতে কি প্লেনকে বোঝান হয়নি ? যে যুগে ধর্ম গ্রন্থ নাযিল হয়েছিল সেই যুগে প্লেনের কথা বললে মানুষ কিছুই বুঝতনা। তাই পাখিকে রুপক হিসেবে বলা হয়েছিল হয়তবা। কিন্তু বলা হয়েছে ফিলিস্তীনের লুদ নামক স্থানে দাজ্জালকে হত্যা করা হবে তীরের মতো তীক্ষ্ণ কিছু দিয়ে। এখন তীর না হয়ে সেটা লেজার গান হতে পারে কে জানে ? তবে দাজ্জাল কে যেহেতু ফিলিস্তীনের লুদ নামক স্থানে হত্যার কথা বলা হয়েছে তাই ভাবতেই হয় আসলে আদৌ কি দাজ্জাল কোন মানুষ হবে নাকি কোন সিস্টেম ? যদি সিস্টেম হয়ে থাকে তাহলে লুদ নামক স্থানে এই সিস্টেম লেজার গান দিয়ে যুদ্ধের পর কি করে শেষ হবে ? নাকি ফিলিস্তীনের লুদ নামক স্থানে শেষ ক্রুসেডে ঈসা (আঃ) জয়ী হবেন এবং টোটাল সিস্টেমও শেষ হবে সেটাই ভেবে দেখার বিষয়।

মিরাজের ঘটনা থেকে টাইম ট্রাভেল প্রমানিত নয় বরং মিরাজের ঘটনা থেকে প্রমানিত হয় যে পৃথিবীর সময়ের সাথে অন্য স্থানের সময়ের পরিমাপ এক নয়। টাইম ট্রাভেল মানে হলো আপনি আপনার বর্তমান সময় থেকে হয় ভবিষ্যতে চলে গেছেন অথবা অতীতে ফিরে গেছেন। কিন্তু নবীজি যখন মেরাজে যান তখন ফিরে এসে দেখেন যে তার ওযুর পানি তখনও ঠিক একই ভাবে গড়িয়ে যাচ্ছিল। তিনি বর্তমান সময়ের ভেতরেই ছিলেন।

আর আপনি বলছেন এখন আর কেউ চাঁদ সূর্য দেখে না। ভাই তাহলে মানুষ কেন এখনও চাঁদ দেখে ঈদ পালন করে বলবেন কি ?

আপনি ঠিক পয়েন্টে শেষে এসেছেন মহান আল্লাহর কাছে কোন কিছুই অসম্ভব না কিন্তু আমি আপনি মানুষ, আমার আপনার পক্ষে সম্ভব না।

আবে হায়াত অনেক বিশাল ঘটনা। এটা ইসলামিক একটা মিথ যা খিজির(আঃ) এর উপর লেখা যে কোন গ্রন্থেই পাবেন। এখানে এত বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়। এই কথা ঠিক আল্লাহ চাইলে সবই সম্ভব সেখানে আবে হায়াতের কোন প্রয়োজন নেই। কিন্তু ভাই কথা হলো আল্লাহ চাইলেই তো আকাশ থেকে ধান, চাল, ডাল এগুলো পাঠাতে পারেন কিন্তু আমাদের কেন কষ্ট করে জমিতে চাষ করতে হয় ? এখন আপনি কি বলবেন সব গুণ জমি চাষের, আল্লাহর না।

৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৪০

তূর্য হাসান বলেছেন: এমনও তো হতে পারে মানুষ একদিন পৃথিবী নামক এই গ্রহ থেকে পাড়ি জমাবে অন্য কোন গ্রহে তখন এসব সমীকরণ হয়তো পাল্টে যাবে।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:০৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা তূর্য হাসান ভাই।

শুনেছি মানুষ মঙ্গল গ্রহে বসত গড়বে। এই নিয়ে অনেক গবেষণা চলে আসছে। এটাও হতে পারে মানুষ অন্য গ্রহে চলে যাবে। সেখানে সময়ের পরিমাপ পৃথিবীর মতো হবেনা। কিন্তু দেখার বিষয় হলো মঙ্গল গ্রহের আবহাওয়ায় বেঁচে থাকবে কি করে?

৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২০

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:


পোস্ট পড়ি নাই, সময় নিয়ে ঠান্ডা মাথায় পড়তে হবে।

আমার খুব আগ্রহের এক ব্যাপার নিয়ে লিখেছেন, তাই
পোস্টে সপ্তম প্লাস।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:০৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


এত ভালোবাসা রাখবো কোথায় ভাইরে ?

৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৩৩

মাতাল বৈরাগী বলেছেন: শেষাংশ ভালো লেগেছে... নির্মম সত্য দর্শন

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:০৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ধন্যবাদ মাতাল বৈরাগী ভাই। এই দর্শন এমনই এক দর্শন যার জন্য পৃথিবীতে এত কাপ ঝাপ। ভাল থাকুন ভাই।

১০| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৪৪

জেরিফ বলেছেন: দুইজন মিলে কি শুরু করলেন ??


আরো গভীরে যাওয়া প্রয়োজন ।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:১১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ধন্যবাদ সুপ্রিয় জেরিফ ভাইয়া

দেখা যাক দুই ভাই মিলে কোন সমাধানে পৌছাতে পারি কিনা !!!

আরও গভীরে গেলে পাগল হওয়ার সম্ভাবনা আছে। যা আমি হতে চাইনা।

১১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৫১

ঢাকাবাসী বলেছেন: অনেক কঠিন বিষয়, ভালই লাগল। নতুন করে মাথা চুলকানো যাবেনা!

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:১২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। শুভেচ্ছা সব সময়ের জন্য।

অবশ্যই নতুন করে মাথা চুলকানো যাবেনা। শুধু ভাবনাটুকু রেখে দিলেই চলার পথ সহজ হবে।

১২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০৭

শাহ আজিজ বলেছেন: নিত্য যা ভাবি তার অদ্ভুত প্রতিফলন । মহাশক্তিকেই জ্ঞ্যানে ধারন করেছি কিন্তু কি সেই মহা শক্তি তা রয়ে যাচ্ছে রহস্য ঘেরা এক ঘূর্ণায়মান আবর্তে । ওই বিশালত্তে নিজেকে অতি ক্ষুদ্র মনে হয় । তারপরও কি জ্ঞ্যানচর্চা থেমে আছে ? নেই । সৃষ্টি নিজেই বিজ্ঞানময় , চলুক চর্চা।

মনমতো পোস্ট পেলাম একটা ।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:১৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



জ্ঞান হলো সাগরের মতো যেখানে আমাদের দেয়া হয়েছে এক বিন্দু জল। আর সেই জল নিয়ে সাগর মাপা সম্ভব নয়। তবুও মাঝে মাঝে যে বিন্দু পরিমান জল পেয়েছি তা নিয়েই ভাবতে হয় আসলে এই জল কি দিয়ে গঠিত।

মন্তব্যে অনেক অনেক ভাল লাগা ভাই। শুভকামনা সব সময়ের জন্য।

১৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:২৭

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আপাতত প্রিয়তে নিলাম। পরে গবেষণা কইরা মন্তব্য করুম।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:১৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আচ্ছা মৃদুল ভাই তাই হবে। তবে খুব বেশি গবেষণা করার দরকার নেই। যেমন আছি আমরা তেমন থাকি শুধু নিজের সময়ের ব্যাপারে সচেতন হলেই জীবন সার্থক।

ভাল থাকা হোক চিরদিন।

১৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৩২

সানজিদা আয়েশা সিফা বলেছেন: দারুণ লেখা , আমার মাথায়ও ঢুকে গেল বিষয়টা , তবে এই মহাযজ্ঞের পিছনে যে খুব বৃহৎ কোন শক্তি আছে তাতে কোন সন্দেহ নেই ।

যেমন কুরআনে অনেক জায়গায় বলা আছে "নূর" । এর অর্থ কি আসলেই আলো নাকি তার থেকেও বেশি কিছু , এমন কিছু যা সময়কে অগ্রাহ্য করে ?

চিন্তাশীল পোস্টে প্লাস ।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:২১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে। কৃতজ্ঞতা ও শুভকামনা সব সময়ের জন্য।

মহাযজ্ঞের পিছনে যে খুব বৃহৎ কোন শক্তি আছে তাতে কোন সন্দেহ নেই । কিন্তু কি সেই শক্তি ? সেই শক্তির সঞ্চালক কিংবা শক্তির ধারকটা কি ?

সেটা কি সময়কে অগ্রাহ্য করে এমন কিছু ? হতে পারে সেটা শুধুই কোন নূর। মিশরের পুরাণে যে সূর্যের কথা আছে সেটা কি আসলেই সূর্য নাকি নূরের রুপক প্রতীকী কিছু ? আপনাকে নূরের ছবি আঁকতে দিলে কিভাবে আঁকবেন?

মানুষের জ্ঞান তার দৃশ্যত জ্ঞানের সমানুপাতিক। সে যা দেখে তার বাইরে কল্পনা করা সম্ভব নয়।

১৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৩৫

নন্দীত নরকে বলেছেন: অনেক ভাল একটা পোষ্ট ! আরও বিস্তারীত জানানো যেত...

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:২৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই প্রশংসা করার জন্য। আরও বিস্তারিত হলে ভাবনার খোঁড়াকটা নষ্ট হয়ে যেত বলে মনে করেই খুব সহজ করে চেষ্টা করেছি ছোট্ট পরিসরে ভাবনাগুলো তুলে ধরতে।

শুভকামনা সব সময়ের জন্য।

১৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৩৮

আজমান আন্দালিব বলেছেন: আবারও ভাববো।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:২৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অনেক অনেক ধন্যবাদ ভেবে দেখার জন্য আন্দালিব ভাই। কেমন আছেন?

১৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৫৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

আমি এখন পর্যন্ত যতটুকু বুঝি, বায়োলজিকাল ক্লকের সাথে তথাকথিত ঘড়ির সম্পর্ক নাই। আর ঘড়ির সম্পর্ক নাই সূর্যের আর চাদের সাথে বা গ্যালাক্সির সাথে। আসলে এরা সকলেই ভিন্ন।


তথাকথিত ঘড়ি হচ্ছে শুধুই একটা যন্ত্র যা বাস্তব অর্থে সময় পরিমাপ করতে পারে না। এগুলো আসলে আমরা যে ভাবে চালাই সেই ভাবে চলে। সূরা মুজাম্মিলের ২০নংআয়াতের একাংশে বলা আছে “আল্লাহ দিবা ও রাত্রি পরিমাপ করেন। তিনি জানেন, তোমরা এর পূর্ণ হিসাব রাখতে পার না”


মহাকাশ গত ভাবে যদি সময়ের হিসাব করি তাহলে আরো বিপদ। একেক গ্রহের দিনের লেন্থ একেক রকম। যদি ৃথিবীকে স্টান্ডার্ড ধরেন তাহলে আরেক বিপদ, কেন তাকে স্টেন্ডার্ড ধরবেন যখন তার নিজেরই ঠিক ঠিকানা নাই???!!


আর বায়োলজিকাল ক্লক এটাতো মেটাবলিজম, বিশেষ করে অক্সিজেন আর ফ্রি রেডিক্যাল ম্যাটাবলিজমের উপরে নির্ভর করে। আর কিছু জিনের উপরে যেগুলো টার্ন ওভাবের সাথে সম্পর্কিত। লম্বা সময় বেঁচে থাকতে চাইলে খাবার না হয় কম খেলেন, জিনের এ্যক্টিভিটি না হয় আবে হায়াত ঝর্নার পানি আবিষ্কারের মাধ্যমে ব্লক করতে সক্ষম হলেন, কিন্তু অক্সিজেন কঞ্জামসান কিভাবে কমাবেন ???? তবে মানুষের শরীর যতটুকু বুঝি, তাতে মনে হয় বায়লজিকাল ক্লক থামানো, যিনি আমাদের বানিয়েছেন তার জন্য তা থামানো কোন ব্যাপারই না। বরং অবাক হই কিভাবে এটি চলছে তাদেখে। আর আত্নার সাথে বিজ্ঞানের সম্পর্ক নাই, তাই দির্ঘ জীবন নিয়ে ঘটনা গুলো বা অনন্ত জীবনের ব্যাপার নিয়ে কখনো কনফিউশন হয় না।


ঠিক আছে আলোর গতিতে না হয় আমরা চলব কিন্তু কারো কি মনে প্রশ্ন আসে না কটটুকু গতি আমাদের মানব দেহ টলারেট করতে পারবে? আমাদের ঘিলুর সাপেক্ষে আমাদের রক্তের বা শরীরের অন্নান্য কোষ গুলোর আপেক্ষিক গতি জড়তার টলারেন্স কি রকম হবে????


কোন কিছুই ইম্পসিবল না , আল্লাহ চাইলে সম্ভব। অনেক কথা বলে ফেললাম আসলে এই ধরনের পোষ্টে কিছু বলার লোভ সামলানো দায়। অনুরোধ থাকবে আকাশ পালা ভাইয়ের(এই এই এই এই এই এই ) পোষ্টটা পড়ার জন্য। অনেক মজা পাবেন, আশা করি।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:২৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয় মুদ্‌দাকির ভাই। অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ দিক তুলে ধরেছেন।

গ্রহ নক্ষত্র কিংবা ঘড়ির সাথে মেনে নিলাম কোন সম্পর্ক নাই। কিন্তু আমি যেহেতু এই মুহূর্তে ব্লগে বসেই লিখছি আর সেটা পৃথিবীতেই তাই পৃথিবীর সময়কে নিয়েই মূলত ভাবনা।

এখন আমার ঘড়িতে রাত ২.১২ বাজে। আর মাত্র তিন ঘন্টা পর সূর্য উঠবে। সকাল হবে। শুরু হবে নতুন এক দিনের। আগামীকাল সকাল থেকে সারাদিন থাকবে ৩১শে আগস্ট, ২০১৪ তাহলে সূর্য কি এখানে পৃথিবীর ঘড়ির সাথে মিল রেখে চলছে না ?

আপনি চাইলেই কি ঘড়িতে তেরটা বাজাতে পারবেন বা বলতে পারবেন যে এখন থেকে দুই ঘন্টা পর সূর্য উঠবে ?

আমরা যে যার অবস্থানে আছি ঠিক সেই অবস্থানে থেকে সময়কে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। আমার এখানে যদি এখন রাত হয় তাহলে আমেরিকাতে দিন। কিন্তু চাইলেই আমার এখানে এই মুহূর্তে দিন নিয়ে আসা সম্ভব নয় কিংবা আমেরিকাতে রাত।

বায়োলজিক্যাল ভাবে ট্যাবলেট খেয়ে হয়ত যুবক রূপ ধারণ করে রাখা সম্ভব কিংবা ফেয়ার এন্ড লাভলী মেখে চামড়ার ভাঁজ ঠিক রাখা সম্ভব কিন্তু আপনার বয়সকে কি করে থামিয়ে রাখবেন। মিশরে মৃত মানুষকে সংরক্ষণ করে রাখার জন্য মমী করে রাখা হতো। এখন তেমন কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে হয়ত মানুষকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হলেও হতে পারে। কিন্তু আল্লাহ পাক বলে দিয়েছেন সকল মানুষ মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। এখন পৃথিবীর সময় এগিয়ে গিয়ে ৩০০০ সাল এসে যাবে কিন্তু একজন মানুষের বয়স ৩৫ই থেকে যাবে সেটা সম্ভব নয়। হয়ত তার পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব হবে।

আমার প্রশ্নটা এখানেই যে, আমাদের পৃথিবীতে নিজ অবস্থানে থেকে সময়ের নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না কিন্তু অন্য টাইম জোনে হয়ত যাওয়া সম্ভব হলেও হতে পারে। কিন্তু সেটাও বিতর্কিত।

আলোর গতি ব্যবহার না হয় করেই দেখলাম কিন্তু মানুষের শরীর সেটা কিভাবে গ্রহণ করবে ? সামান্য রোলার কোষ্টারের গতি বেড়ে গেলেই শ্বাস নেয়া কষ্টকর হয়ে যায় সেখানে আলোর গতির যানবাহন হলে মৃত্যু নিশ্চিত।

তবে শেষ কথা হলো আল্লাহ চাইলে সবই সম্ভব। যেমন কুমারী মা মরিয়ম। কিন্তু কথা হলো সেটা কি আল্লাহ ইচ্ছা করলেই সবাইকে কুমারী মা বানিয়ে দেবেন ? তাহলে আবুলের বাবা কে এই নিয়ে দেখা যাবে তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে বিশ্ব জুড়ে। তখন সেই যুদ্ধ থামাতে গিয়ে হযবরল অবস্থা হয়ে যাবে।

১৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:১৭

যুবায়ের বলেছেন: অসাধারন একটি পোষ্ট....

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:২৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অনেক অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয় ভাই আমার। কেমন আছেন ?

১৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩০

রাজীব বলেছেন: আরেকটিা কান্ডারি স্পেশাল

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:২৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রিয় রাজীব ভাই। শুভকামনা নিরন্তর।

২০| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩৬

জাফরুল মবীন বলেছেন: কাজের চাপে মাথা জ্যাম হয়ে আছে :( ।১০দিনের জন্য বাইরে যাচ্ছি।ফিরে এসে পড়ার জন্য পোস্ট প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম। :)

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:২৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



প্রিয় মবীন ভাই খুব শীঘ্রই কাজের চাপ কমে যাক দোয়া রইলো।

শুভকামনা সব সময়ের জন্য।

২১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৫৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একটানে পড়লাম। লেখাটা খুব হৃদয়গ্রাহী।

সময়কে স্থির করা সম্ভব নয়। চাঁদ, সূর্য বরাবর একটা লাইন টেনে এদের ঘুর্ণন থামিয়ে দিলেই সময় থেমে থাকবে না। সময়ের সাথে অনেকগুলো বিষয় জড়িত। যেমন, আপনার খিদে লাগবে, ঘুম পাবে, ক্লান্তি আসবে। সময় যদি থেমে যায় তাহলে সকল চলাচলও থেমে যেতে হবে। সেটা সম্ভব নয়।

পৃথিবীর সময়ের পরিমাপক যে ঘড়ি, সে ঘড়ির সময়ের ইউনিট হলো সেকেন্ড। চাঁদ-সূর্যের ঘুর্ণন থেমে গেলেও ঘড়ির কাঁটা থেমে যাবে না। এখন আমরা রাতদিনের হিসাব করছি, তখন সময়ের হিসাব ঘণ্টার হিসাবে হবে- ১০ ঘণ্টা, ১০০ বা ১০০০ ঘণ্টা- এভাবে। বর্তমান অবস্থায় সেকেন্ডের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে (যেমন ১০ সেকেন্ডকে ১ সেকেন্ড ধরলে) দিয়ে ৬০ মিনিটে ১ ঘণ্টা করা হলে ১ দিনের দৈর্ঘ্য ২৪ ঘণ্টা থেকে কমে আসবে, চাঁদ-সূর্য থামিয়ে দিলে এতে আর কোনো বিপর্যয় হবে না। আমাদের সময়টা হলো সূর্যের সাথে পৃথিবীর ঘুর্ণনের সাথে সম্পর্কিত। ধরুন, আমরা যদি খোদ সূর্যপৃষ্ঠে বাস করতাম, তাহলে সময়ের হিসাব কীভাবে হতো? তখন কি বলা হতো, সময় স্থির? পৃথিবীর প্রথম মানবজাতির কাছে সময়, রাতদিন ইত্যাদি কোনো বোধগম্য বিষয় ছিল না। সূর্যপৃষ্ঠে বাস করলেও এমনই হতো। কিন্তু কালক্রমে অবশই সময়ের ডাইমেনশন মানুষের মগজে ঢুকে পড়তো। আমরা এখন যেটাকে ‘দিন’ বলছি, ঐ অবস্থায় কোনো দিনের অস্তিত্ব হওয়া সম্ভব নয়, তবে সময়ের একক অবশ্যই থাকবে, এবং সময় চলমান থাকবে। এই গ্যালাক্সির বাইরে যারা আছে, তারা তো পৃথিবীর টাইম-ইউনিটে সময় গননা করে না। ধরে নিই, একজন মহাসময়রক্ষক রয়েছেন, যিনি সুবিপুল মহাজগতের সময়ের হিসাবে রাখছেন। তার কাছে সময়ের একক কীরকম, তা আমরা জানি না। কিন্তু তিনি সময়ের বয়ে চলা দেখছেন, তা নিশ্চিত।

আপনার বেসিক প্রশ্ন হলো- সময়ের নিয়ন্ত্রণ আদৌ সম্ভব কিনা। আমার মনে হয়- এটা অসম্ভব।

ধরি, সময় স্থির। বৃষ্টি হচ্ছে। কতক্ষণ ধরে বৃষ্টি হলো? এ প্রশ্নের জবাব দিতে গেলেই সময়কে আর স্থির রাখা সম্ভব নয়। আপনি ঘুমুচ্ছেন। কতক্ষণ ঘুমুলেন? এখানেও সময় সচল। আপনি খেলেন এবং খিদে পেলো। কতক্ষণ পর খিদে পেলো?

পৃথিবী, বা সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ড স্থির থেমে গেলো। সবকিছু স্ট্যাচুর মতো দাঁড়িয়ে গেলো- যে যেমন ছিল। এভাবে চলতে থাকলো। এই চলতে থাকাটাই সময়। স্টিফেন হকিন্সের ‘ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইমে’ দেখা যায়, সময়ের কোনো উৎপত্তি বিন্দু নেই। সময় অনাদি ও অনন্ত।

মেরাজের ব্যাপারটা আমার কাছে আল্লাহর একটা মোযেজা মনে হয়। ধরি, আমি আর আপনি দুজনে হাঁটছি। পথে যেতে যেতে আমি হঠাৎ এক বাসায় ঢুকে পড়লাম। আপনি একটা সিগারেট ধরিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেন। আমি সে বাসায় যেতেই নতুন একটা জগতে ঢুকে পড়লাম। সেখানে অনেক বছর কাটিয়ে দিলাম। আমার ঘর-সংসার হলো। নাতি-পুতি সব হলো। একদিন রাগ করে বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় এসে দেখলাম আপনি তখনও সেই একই সিগারেট টানছেন, আমার জন্য অপেক্ষা করছেন, যেন ৩-৪ মিনিটের একটা ঘটনা। মেরাজ তো এরকমই। এই মোযেজাকে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিয়ে তার সত্যতা প্রতিষ্ঠা করার কোনো এ্যাটেম্পট নেয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।

কমেন্ট বড় হয়ে গেলে মূল বক্তব্য উধাও হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। আমারও সেই আশঙ্কা হচ্ছে।

ভালো থাকুন কাণ্ডারি। চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।


৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৪০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


চমৎকার, চমৎকার, চমৎকার সুপ্রিয় সোনাবীজ ভাই আপনার মন্তব্য সব সময় আমার জন্য প্রেরনা হয়ে কাজ করে। আপনার যৌক্তিক বিশ্লেষণ এক কথায় আমার ব্লগিং জীবনের পাথেয় হয়ে থাকবে সব সময়।

আপনার মন্তব্যের সাথে আমিও একমত। আপনার আশঙ্কা সম্পূর্ণ ভুল কারণ আপনার এই দীর্ঘ বক্তব্যই আমার আলোচনার মূল বিষয় যা মোটেও দিক হারায়নি।

সময়ের নিয়ন্ত্রণ কিংবা সময়ের ভ্রমণ সম্ভব নয়। শুধুমাত্র আমার অবস্থানে থেকে আমার সময়ের পরিবর্তন সম্ভব নয় যদি না অন্য কোন টাইম ডাইমেনশনে পৌঁছে যাই।

এই পোস্টে আমি মেরাজ নিয়ে কিছু প্রমাণ করতে চাইনি। কারণ সেটা অবশ্যই আল্লাহর একটা মোজেজা যেমন আরও মোজেজা হলো চাঁদকে দুই ভাগ করে ফেলা। এখন মানুষ যতই প্রযুক্তি ব্যবহার করুক না কেন কেউ চাঁদকে দুই ভাগ করতে পারবেনা। শুধু চাঁদ কেন চাইলে পৃথিবীকেও দুই ভাগ করতে পারবেনা। তাহলে টাইম মেশিন কিংবা বোরাক নিয়ে ভাবাটা প্রশ্ন বিদ্ধ হয়ে যায়।



২২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৫৬

সায়েম মুন বলেছেন: অনেক ভাবনার বিষয় সময় নিয়ে সুন্দর একটা পোস্ট। পোস্টে অনেক ভাললাগা।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৪১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয় সায়েম মুন ভাই। অনেক দিন পর। কেমন আছেন ?

২৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:০০

খেপাটে বলেছেন: ভাল লাগলো,,,তবে ইসা (আঃ) কি বেঁচে আছে,,,,কোরআন শরীফের কোনো আয়াতে কি এমন লেখা আছে,,,

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৪৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অনেক ধন্যবাদ খেপাটে ভাই।

আল্লাহ বলেন, "এ বিষয়ে তাদের কোনই জ্ঞান নেই। তারা কেবলই সন্দেহের মধ্যে পড়ে আছে। এটা নিশ্চিত যে, তারা তাকে হত্যা করতে পারেনি" (সূরা নিসা ৪/১৫৭)।

২৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:১৬

আবু শাকিল বলেছেন: সহজ পোস্ট।একবার পড়ছি।এখন ভেবে দেখলাম আরো একবার পড়তে হবে। =p~ =p~

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৪৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


হা হা হা হা শাকিল ভাই আচ্ছা ঠিক আছে; মেনে নিলাম।

২৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:২৯

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: প্রকৃত পক্ষে পৃথিবীর সময় আর পরকালের সময় এক নয়। টাইম ডাইমেনশনের পার্থক্যটা এখানেই। যখনই এই টাইম ডাইমেনশন পরিবর্তিত হয়ে যাবে তখনই সব কিছুর সমাধান সম্ভব।

পৃথিবী আর পরকালের টাইম ডাইমেনশনের মধ্যে পার্থক্য কি? এই ডাইমেনশনটা কিভাবে পরিবর্তিত হয়?

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৫৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ধন্যবাদ সুপ্রিয় কুনো ভাই।

কোরআনে আখেরাতের সময় এর যে সকল উল্লেখ আছে, তার মধ্যে আখেরাতের ১ দিনের সমান দুনিয়ার ১০০০ বছর। এমনটাই বিভিন্ন তর্জমায় এসেছে।

যদিও আমার নিজেরই এই বিষয়ে আপত্তি আছে। কারণ কোরআন অনুযায়ী আমরা জানি পরকালে সবাই পাবে এক অনন্ত জীবন তাহলে এই যুক্তি ধোপে টিকে না। পৃথিবীতে যেমন আর কয়েক মাস পরেই আমার জন্মের আরও এক বছর শেষ হবে কিন্তু পরকালে দিন রাতের পার্থক্য হলেও আমার বয়স বাড়বেনা। পৃথিবীতে মানুষের চলার জন্য কিছু নির্দিষ্ট উপায় দেয়া আছে। আপনি আকাশের তারা দেখে দিক নির্ণয় করবেন। আপনি চাঁদ সূর্য দেখে দিন রাত নির্ণয় করবেন। কিন্তু পরকালে আপনাকে সময় নির্ণয় করতে হবে পৃথিবীর নিয়মে নয়। দুটো নিয়ম এক হলে অনন্ত শব্দটা আসত না। বলাই হয়েছে পৃথিবী নশ্বর আর পরকাল অনন্ত কালের।

ঐযে একটা কৌতুক আছেনা স্বর্গে গেলে নাকি সিগারেট খাওয়ার জন্য আগুন পাওয়া যাবেনা ঠিক এমনই আরকি। সেখানে ঋতুর উপর নির্ভর করে আউশ আমন ধান রোপণ করতে হবে না।

২৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৩৬

বালক বন্ধু বলেছেন: পড়লাম। কিন্তু শেষটা কেমন যেন হঠাৎই হয়ে গেল বলে আমার মনে হল। একটা সমাপ্তি টেনে দিলে ভাল লাগত।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৫৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমি কিছু যুক্তি দাঁড় করাতে চেষ্টা করেছি মাত্র। ভাবনার খোড়াক হিসেবে। বাকিটা যুক্তির পেছনে যুক্তি খন্ডালে কিছু ফল হয়ত বেরিয়ে আসবে এই আশায় পোস্ট এভাবেই শেষ করেছি।

মন্তব্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো।

২৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৪৬

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই খুবই ভাল বলেছেন উনার কমেন্টে প্লাস। এর পর আর বলার তেমন কিছু বাকি নেই।

মুদ্‌দাকির ভাই বলেছেন:
মহাকাশ গত ভাবে যদি সময়ের হিসাব করি তাহলে আরো বিপদ। একেক গ্রহের দিনের লেন্থ একেক রকম। যদি ৃথিবীকে স্টান্ডার্ড ধরেন তাহলে আরেক বিপদ, কেন তাকে স্টেন্ডার্ড ধরবেন যখন তার নিজেরই ঠিক ঠিকানা নাই???!!

এতটুকুই বলা বাকি ছিল ;)

প্রিয় "অথর্ব ব্লগারদের কান্ডারি" ভাই, এই ধরনের লেখা গুল পড়ার লোভে এখনও সামুতে আসি। ভাল থাকবেন।

+সমেত সংগ্রহে

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:০৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


দালাল ভাই আপনার প্রতি আমার অনেক অভিযোগ। আপনি কি কোন টাইম মেশিনে করে একদিনের জন্য হলেও আমার সাথে দেখা করতে পারেন না ?

আমার অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী দিয়ে যা বুঝেছি তাই নিয়ে আমার অনেক অনেক প্রিয় এই দুই ভাই মুদ্‌দাকির ও সোনাবীজ ভাইয়ের সাথে লড়াই করলাম। কিন্তু সবলের সাথে দুর্বলের লড়াই টেকে না। আমি শুধু নিজের অবস্থান থেকে লড়েছি কিন্তু আমার এই দুই ভাই শতভাগ সঠিক।

সামু ছেড়ে কোথায় যাবো ? কোথাও কি আর আমার এই আপন ভাইদের আমি পাবো ?

২৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৫৩

ওপেস্ট বলেছেন: টাইম ট্রাভেলের জন্য আলোর গতির সমান বা কাছাকাছি যেতে হবে আর সেটা অলিক কল্পনা । এই গতিতে ছুটলে যে তাপমাত্রা তৈরি হবে সেটা নিয়ন্ত্রনের জন্য ও এমন কোন ধাতু বা পদার্থ নাই । এটা সাইন্স ফিকশন মুভি বা কল্পনাতে সম্ভব ।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:০৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাই।

বিজ্ঞানী আইনস্টাইন সেটাই প্রমাণ করতে চেষ্টা করেছেন কিন্তু তার জ্ঞানের কাছে আমাদের জ্ঞান কিছুই না। আলোর গতিতে হয়ত যাওয়া সম্ভব। পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত সব অসম্ভবই সম্ভব হয়েছে। কিন্তু আবার অনেক থিউরি ভুল প্রমানিত হয়েছে। আমারও তাই মনে হয় আলোর গতি পেলেও সেটা নিয়ন্ত্রণ করা মানুষের শরীরের জন্য কতটা বাস্তব হবে।

২৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৫৬

ওপেস্ট বলেছেন: আর টাইম ট্রাভেল এ হয়তো ভবিষ্যতে যাওয়া যাবে কিন্তু অতিতে যাওয়া সম্ভব নয় । আর হয়তো গেলেন আপনি েএবং আপনার দাদা দাদুর বিয়েটা আটকে দিলেন তাহলে আপন‍ার সৃষ্টির সমিকরণ কিভাবে মিলাবেন ।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:১১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আবারও অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাই।

টাইম মেশিনে করে অতীতে গিয়ে দাদা দাদীর বিয়ে ঠেকিয়ে দিয়ে আবার ভবিষ্যতে গিয়ে নিজেই বিয়ে করলে যখন বাস্তবে ফিরে আসবো তখন যদি দেখি আমার কোন অস্তিত্বই নাই তাহলে বড়ই বিপদ হয়ে যাবে রে ভাই।

আর এই জন্যই বলেছি যে, সময়ের নিয়ন্ত্রণ আদৌ কি সম্ভব ?

৩০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:১২

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: যেহেতু কোরআনে দেয়া আছে সেটা আমি বিশ্বাস করে নিলাম। কিন্তু সেই ডাইমেনশন বুঝতে গেলে লাগবে যুক্তি প্রমাণ। যুক্তি প্রমান সহ ব্যাপারটি কোরআন যখন আলোচনা করেনি তখন সে আলোচনার দায়িত্ব আপনার আমার। যেখানে এগুতে হলে যুক্তি বা গাণিতিক সমীকরণের বিচারে এগুতে হবে। নাহলে বিশ্বাসের মাঝে এই ডাইমেনশন চিরকাল আমাদের অধরাই রয়ে যাবে দুর্বোধ্যই রয়ে যাবে।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:১১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


কোরআনে কোন জিনিসটা যুক্তি প্রমান সহ আলোচনা করা হয়েছে কুনো ভাই ?

কিন্তু কোরআনের সকল আলোচনা হাদিসে করা হয়েছে। আমার ও আপনার সেগুলো নিয়ে নতুন করে যুক্তি না খন্ডাতেই বলা হয়েছে। বলা হয়েছে কোরআন মেনে চলার জন্য।

শপথ ওই মহাকালের যখন মহাপ্রলয় সংঘটিত হবে, এবং তোমরা তা শীঘ্রই দেখতে পাবে...

কোরআনে সূরা মায়দাহর এই আয়াতটাকে আপনি কোন গাণিতিক সমীকরণে ফেলে বিচার করবেন। ধর্মকে যুক্তি বা গাণিতিক ভাবে ব্যাখ্যা করতে নেই। আপনি আমি ব্যাখ্যা করতে পারবো বিজ্ঞানকে, ধর্মকে নয়। নতুবা সেটা অধর্ম হয়ে যাবে।

তবু যদি যুক্তি তর্কেও যেতে হয় তাহলে আমি বলব ধরে নিন একটা সময় পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ শক্তি এমন এক পর্যায় গিয়ে পৌঁছাবে যখন পাহাড়, পর্বত সব পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে চুম্বকের মতো ছুটে গিয়ে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। তাহলে হয়ত অবিশ্বাসীরা খুশি হলেও হতে পারে কিন্তু এতকাল এত হাজার বছর ধরে যখন কিছু হলো না তখন হুট করে একদিনে কি করে এমন লংকা কান্ড ঘটে যাবে।

লুতের স্ত্রীর পাথুরে মূর্তি হয়ে যাওয়ার ঘটনাকে আপনি কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন। বিজ্ঞান কি এটাকে সমর্থন করে যে একজন মানুষ এর ভেতরকার জিন পরিবর্তিত হয়ে পাথরে রুপ নিয়ে ফেলল। এখানে বিজ্ঞান কোথায় ?

৩১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৭:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ওরে বাবা! পড়তে সহজ, বুঝতে কঠিন/ কী করে হয় রাত আর দিন?

এই স্থান, কাল, সময়, সময়ভ্রমন ইত্যাদি নিয়ে বিজ্ঞানীদের নানারকম তত্ত্বকথা পড়লে আমার মাথা আউলা হয়ে যায়। বিজ্ঞানে অজ্ঞান, ভূগোলেতে গোল-আমি হলাম এই টাইপের পাঠক। আপনার এই পোস্ট পুরোটা পড়ে আমি এখন চোখে শর্ষে ফুল দেখছি।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:১৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


হা হা হা হা

মন্তব্যে অনেক ভাল লাগা রইল আবুহেনা ভাই। শুভ কামনা সব সময়ের জন্য।

৩২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৪৩

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: যেমন ধরুন, পাখাটি ঘুরছে। এটা আমি দেখলাম স্বাভাবিক ভাবেই বিশ্বাস করে নিলাম কারণ আমার চোখের সামনেই হচ্ছে এটা। কিন্তু আমি যদি প্রশ্ন করি, পাখাটি কেন ঘুরছে, কিভাবে ঘুরছে, কে ঘুরাচ্ছে। এটা নিশ্চই পাখাটি যে ঘুরছে এই বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক হবেনা। কেন ঘুরছে, কিভাবে ঘুরছে সেটা যখন বোঝার চেষ্টা করবো স্বাভাবিক ভাবেই শুরুতে ভুল বুঝবো তারপর সেটা সংশোধন ধরবো আবার সংশোধন করবো। এটাই তো যুক্তিবিদ্যা, এটাই তো সমীকরণ, এটাই তো জ্ঞান। এখন কোরআনের ভাষ্যমত যে টাইম ডাইমেনশনের কথা বললেন। যেহেতু আপনি কোরআনের প্রতিটি কথা বিশ্বাস করেন সেহেতু এটাও করে নিলেন। আপনার সাথে আমিও করে নিলাম। কোন সন্দেহ রাখলাম না। কিন্তু আমার কৌতুহলী মন বোঝার চেষ্টা করলো কোরআনে এই যে টাইম ডাইমেনশনের ব্যাপারটা রয়েছে সেটা আসলে কি। এই কৌতুহলটি কি কোরআনের বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক হবে? যেহেতু আমার উপর কোন আসমানী বাণী এসে আমার এই কৌতুহলের সমাধান করবেনা সেহেতু কিছু বুঝে কিছু ভুল বুঝে কিছু সংশোধন করে যুক্তি বিশ্লেষণের আলোকে ব্যাপারটি আমার বুঝে নিতে হবে। কোরআন ও হাদিসের বাণীত সবই থাকলে তো জ্ঞানার্জনের জন্য চীন দেশে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তার প্রশ্নই আসতোনা। তাছাড়া যতদূর জানি মোজেজা বা মিরাকল নামক যে ব্যাপারটি ধর্মে আছে সেটির শেষ প্রদর্শক ছিলেন আমাদের শেষ নবী। তারপর আল্লাহ্‌র তরফ থেকে পৃথিবীতে কোন মোজেজা আসবেনা বলেই জানি।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:১৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


কোরআনের প্রথম কথাই হচ্ছে পড় তোমার প্রভুর নামে। অতএব জানতে হলে আপনাকে পড়তেই হবে। শুধু চীন কেন প্রয়োজন হলে নেপচুন গ্রহেও যেতে হবে। কিন্তু আমি বলতে চেয়েছি ধর্মকে আপনি যদি বিজ্ঞান দিয়ে প্রুভ করতে চান তাহলেই বিপত্তি। কিন্তু ধর্মকে আপনি অবশ্যই বোঝার হক রাখেন । এখন ধরেন যুক্তি দিয়ে দেখলেন যে লুতের স্ত্রীর পাথরে মূর্তি হওয়া সম্ভব না কিংবা চাঁদকে দুই টুকরা করা সম্ভব না তাহলে কি আপনি ধর্মকে অমান্য করবেন ?

আল্লাহর কোন কিছুই অযৌক্তিক না সেটার প্রমান তিনি প্রতি পদে পদে রেখেছেন। যেই দর্শন নিয়ে আমাদের এত দর্শন তার স্রষ্টা কিন্তু স্বয়ং তিনিই।

আদম পৃথিবীতে ফিরে এসে তার স্ত্রীর কাছে আফসোস করে বলেছিল যে স্বর্গে নাকি সব সময় বসন্ত থাকে। অন্য কোন ঋতু নেই। হাদিসের কোন কোন রেওয়াতেও তাই এসেছে। তবে পরকালের ঐ জায়গার সময় সম্পর্কে আর পৃথিবীর সাথে তার পার্থক্য বোঝাতেই মেরাজের বিষয়টাকে রাখা হয়েছে।

মুসা (আঃ) লাঠি দিয়ে নীল নদের পানি দুই ভাগ করে ফেললেন এখানে যুক্তি দর্শন দিয়ে প্রমান করেন যে এটা সম্ভব না ?

শেষ নবীর পর আর কোন নবী আসবেনা ঠিক কিন্তু মোজেজা আসবেনা তা কেমন করে বলি বলেন। ঈসা(আঃ) ফিরে আসবেন, দাজ্জাল আসবে যার হাতের ইশারায় রুগ্ন গরু পর্যন্ত মোটা হয়ে যাবে। এগুলো তাহলে কী ভাইজান ?

৩৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৪৯

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: টাইম টানেল, টাইম ডাইমেনশন, টাইম মেশিন এসব নিয়ে মাথা ঘামালে মাথা শুধু ঘামেই না সাথে ঘুরতেও থাকে।

পোস্টটা প্রিয়তে রাখছি। বাকি মাথা পরে ঘুরাবো।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:১৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অনেক ধন্যবাদ আপু তবে অনুরোধ থাকবে মাথা না ঘুরানোর জন্য। এই বিষয়ে মাথা ঘুরালেই বিপদ।

৩৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৫৬

নতুন বলেছেন: সময় সবখানেই এক ভাবেই যায়.... মহাবিশ্বের সবখানেই সময় এক...

কিন্তু সময় মাপার ফিতা আলাদা...

।া আর গতির কারনে একই সময়ে আমাদের অভিঙ্গতার কম বেশি হতে পারে...

আপনি যদি পায়ে হেটে বিশ্বভ্রমনে বের হন... আর আমি গাড়ী,বিমান, সবই ব্যবহার করি.. তবে ১ বছরে কে বেশি জিনিস দেখবে?

সময়ের শুরু মহাবিশ্বের শুরু থেেক এর আগে আমরা যেতে পারবো না... শেষটা মনে হয় মহাবিশ্বের সংকচোনের মধ্যদিয়ে হতে পারে...

কিন্তু আমার মনে হয় সময় থামানোর মতন কিছু না...

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:২০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


মন্তব্যে অনেক অনেক ভাল লাগা রইল নতুন ভাই। কৃতজ্ঞতা সব সময়ের জন্য।

আমি যে পথ পায়ে হেটে যাবো সেই পথে কি হলো আপনি তখন কিভাবে দেখবেন ? আপনার কাছে আমি কি তখন ভবিষ্যৎ না ?

আসলে বিষয়টা হলো আপনি যে গতি নিয়েই এগিয়ে যান না কেন সময়কে নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন না। কিংবা টাইম ট্র্যাভেলের যে কন্সেপ্ট সেটা সম্ভব না।

আপনার শেষের কথাটাই যৌক্তিক।

সময়ের শুরু মহাবিশ্বের শুরু থেেক এর আগে আমরা যেতে পারবো না... শেষটা মনে হয় মহাবিশ্বের সংকচোনের মধ্যদিয়ে হতে পারে...

কিন্তু আমার মনে হয় সময় থামানোর মতন কিছু না...


৩৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৪১

বৃতি বলেছেন: মামুন ভাইয়ের সাথে একমত, কঠিন পোস্ট :( :(( ঠান্ডা মাথা নিয়ে একসময় আবার পড়বো- এখন গল্প আর কবিতার মুডে আছি কান্ডারি ভাই।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৪৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ভাল লাগা রইল। শুভকামনা সব সময়ের জন্য।

৩৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫৯

নতুন বলেছেন: সময় নিয়ন্ত্রন করার মতন কিছুনা....

তেতুলিয়া থেকে রাস্তা টেকনাফ থামবে.. আমরা গজ ফিতাদিয়ে মাপি যেটাকে আমরা সময় বলি...তাই ঐ সময়ের ফিতায় রাস্তা নিয়ন্ত্রনের চিন্তা এখানে খাটেনা..

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৩৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমিও তাই বলেছি সুপ্রিয় নতুন ভাই। সময়কে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।

৩৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:২৭

ইমিনা বলেছেন: আমার মাথা হ্যাং হয়ে আছে, তার মধ্যে এই কঠিন পোস্ট?

অনেকটা সময় নিলাম, পোস্ট পড়লাম এবং সবগুলো মন্তব্য ও তাদের রেসপন্সগুলোও পড়লাম। তবুও বিষয়টা এখনও কঠিন ঠেকতেছে কেন? :(

অথচ এই টপিকটা আমার অনেক প্রিয়। যদিও সময়কে নিয়ন্ত্রন করে অতীত কিংবা ভবিষ্যতে চলে যাওয়া সম্ভব নয় বলে আমি বরাবরই বিশ্বাস করে আসছি।

অনেক ভালো থাকবেন ভাইয়া :)

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৪৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু। কৃতজ্ঞতা জানবেন। বেশি ভাবার দরকার নেই এই নিয়ে। আপনার মতো আমিও বিশ্বাস করি যে,
সময়কে নিয়ন্ত্রন করে অতীত কিংবা ভবিষ্যতে চলে যাওয়া সম্ভব নয়

৩৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৩১

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: যেহেতু ধর্মকে বিজ্ঞান ও দর্শনের সাথে মেলাতে চাচ্ছেননা সেহেতু থাকুক বিজ্ঞান বিজ্ঞানের মতো। বিজ্ঞান বা দর্শন ধর্ম নিয়ে কি বললো না বললো সেটা বিজ্ঞান বা দর্শনই বলুক। ধর্ম দিয়ে বিজ্ঞান বা দর্শনকে কিছু বলার প্রয়োজন নেই। বিজ্ঞান যদি ভুল থাকে তাহলে সেটা বিলুপ্ত হবে। কারণ কোরআনেই বলা আছে "ত্য যখন মিথ্যার সামনে দাঁড়ায় মিথ্যা বিলুপ্ত হয়, কেননা মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল" যেটা আপনি বিশ্বাস করেন। নইলে ২/৪টি মিরাকলের গল্প দিয়ে পুরো ধর্মটাকেই বন্দী করা হয়ে যাবে, আর সে কারণেই হয়তো ইসলামের শুরুর কয়েকশত বছরের জ্ঞান বিজ্ঞানের যে অভূতপুর্ব উন্নতি পরবর্তীতে মুখ থুবড়ে ব্যাকওয়ার্ড ডাইরেকশনে চলে গেছে সে ধারা চলতেই থাকবে!

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৪৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


দুঃখিত আমি বোধ হয় আপনাকে বোঝাতে পারিনি। সূর্য যে পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে এইটা বহু আগেই কোরআনে এসেছে। মানুষ যে উচু উচু দালান বানাবে কিংবা জাহাজে করে সাগরে ভেসে যাবে এই সবই কোরআনে এসেছে যা বিজ্ঞান অনেক পরে বের করেছে। কিন্তু আমি আপনাকে যেটা বোঝাতে চেয়েছি সেটা হলো যুক্তি তর্ক দিয়ে বিজ্ঞান পরিবর্তিত হতে পারে কিন্তু ধর্ম নয়। বরং বিজ্ঞান ধর্ম থেকেই উৎসারিত জ্ঞান। যে কারনে আল্লাহ নিজেই বলেছেন সবার আগে পড় তোমার প্রভুর নামে। আপনি পড়বেন কিন্তু প্রভুকে স্মরণ করে। মানুষের বাচ্চা কিভাবে হবে তার নিখুত বর্ণনা, সম্পদের ভাগের বর্ণনা সবই কোরআনে আছে। আজকের যে সায়েন্স অথবা আইন সবই কোরআনে আছে। কোরআনকে বলাই হয় কমপ্লিট প্যাকেজ ওফ লাইফ।

৩৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৪১

নতুন বলেছেন: সূর্য যে পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে এইটা বহু আগেই কোরআনে এসেছে। মানুষ যে উচু উচু দালান বানাবে কিংবা জাহাজে করে সাগরে ভেসে যাবে এই সবই কোরআনে এসেছে যা বিজ্ঞান অনেক পরে বের করেছে। কিন্তু আমি আপনাকে যেটা বোঝাতে চেয়েছি সেটা হলো যুক্তি তর্ক দিয়ে বিজ্ঞান পরিবর্তিত হতে পারে কিন্তু ধর্ম নয়।

উচু দালান আগেই মানুষ বানাতো.... জাহাজে করে সাগরে ভেসে বেড়াতো.. এটা তো জটিল ভবিষ্যতবানী না...

চাদের দ্বীখন্ডীত হওয়া তো কোরআনে আছে ? এটার প্রমান কি এ্রকনকার সময়ে করা সম্ভব??

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


একটা সময় আমরা রেডিওতে গান শুনতাম তখন কি মোবাইলে গান শোনা যাবে সেটা ভেবে দেখছিলাম কখনও নতুন ভাই। কিংবা তারও আগে যখন মাত্র বিদ্যুৎ আবিষ্কার হয় তখন কি মানুষ ভেবে দেখছিল যে একসময় মানুষ ব্লগে লেখালিখি করবে ? তখনকার মানুষের কাছে এসব বললে জটিল বলেই মনে হতো।

কেয়ামত হবে সেটা কি এখন আপনাকে দেয়া সম্ভব ?

৪০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন:


সময় নিয়ন্ত্রন সম্ভব না। এটা এমন একটা ডায়মেশন যার অস্তিত্ব আছে শুধুই মানুষের ঘিলুতে। বা এটা হল কোন ঐশ্বরিক মুলা ............।

বায়োলিজিকাল ক্লক নিয়ন্ত্রন সম্ভব হবে।

ৃথিবী নিজের অক্ষের উপরে উলটা ঘুরানো সম্ভব হবে।

কিন্তু সময় চলতে থাকবে।

আসলে সময় কি ?

সবাই তা নিয়ন্ত্রনের চিন্তায় ব্যাস্ত।

কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে সময়টা কি ?

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৪০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয় ভাই আমার। আসলে সময়টা হচ্ছে আমার বর্তমান। কারন মরে গেলে আর আমার পার্থিব কিছু থাকবেনা। আমি যে একটু পরেই মারা যাবনা তার কোন গ্যারান্টি নেই। আমিও শেষ আমার সময় সেই সাথে।

৪১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৩৮

সোহানী বলেছেন: কি যে কইলেন... কানের পাশ দিয়ে মাথার উপ্রে দিয়ে গেছে........ ভাই জ্ঞানী পোস্ট কম বুঝি..... তারপর ও না বুঝে আপনার কস্টের লিখার জন্য +++++

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:০৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


হা হা হা আপু এই পাওয়াটুকু আমার মত ক্ষুদ্র একটা মানুষের জন্য অনেক বেশি পাওয়া।

ভাল থাকুন আপু এই দোয়া সব সময়ের জন্য।

৪২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:১৭

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
আল্লাহ পাক মহা বিজ্ঞানী। সমগ্র বিশ্ব বিজ্ঞান দ্বারা বিশ্লেষ্য যোগ্য। কিন্তু আল্লাহ তালা মহা পরাক্রমশালী , তা মানুষের উপলব্ধি করার জন্যই মাজেজা দেখিয়েছেন যাতে মানুষ এমন না ভাবে সব কিছু বিজ্ঞান দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত সৃষ্টিকর্তা বলে কিছু নেই।

তবে কোরআন বলে জ্ঞানীদের জন্য ভাববার আছে অনেক কিছু।

কান্ডারি ভাই অধমের অপারগতা আছে অনেক কিছুই, টাইম মেশিন ম্যানেজ করতে না পারলেও "মিস্টার ইন্ডিয়া" ঘড়ি দিয়ে আপনার মনের আনাচে কানাচে ঠিকই ঘুরে আসি মাঝে মাঝে। B-) ;)

আন্তরিক ভাবে স-মাপ্রার্থি

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাইজান কোন একদিন সময় পেলে আসবেন। অনেক আড্ডা দেয়া যাবে।

৪৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:২২

সাইফ সামির বলেছেন:

মূল পোস্ট আর মন্তব্যের জবাব মিলিয়ে এক কথায়- চমৎকার!

শুভ কামনা জানবেন।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



অসংখ্য ধন্যবাদ সামির ভাই। মন্তব্যে অনুপ্রানিত।

৪৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৮

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:

সর্বশেষ পোস্ট মানে কবিতায় কি মন্তব্য অপশন অফ? বুঝলাম না কিছু ভাই।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




সে এক দীর্ঘ কাহিনী, একদিন ঠিকই শোনাব...

৪৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১২

আছিমভ বলেছেন: সুন্দর একট পোষ্টের জন্য প্রথমেই ধন্যবাদ।

আমার ধারনা সময় হলো আমরা যে ডাইমেনশনে আছি তার সীমাবদ্ধতা আপার লিমিট.....মানসিক ভাবে আমরা সময়কে অতিক্রম করতে পারলেও তৃতীয় মাত্রার এ দেহের পক্ষে অসম্ভব যেমন সম্ভব না তৃতীয় মাত্রার বস্তুর পক্ষে দ্বিতীয় মাত্রায় অবস্থান যদিও আমরা দ্বিতীয় মাত্রা কল্পনা করতে পারি। একই বস্তুর একাধিক বাস্তব অবস্থান কি আমাদের মাত্রায় সম্ভব....টাইম ট্রাভেল ...... মাল্টিভার্স ..... সময়....ঘটনা....বিজ্ঞান ... ধর্ম ... ফিজিক্স ... মেন্টাল ফিজিক্স....ফিজিক্যাল সীমাবদ্ধতা ... মানসিক সীমাবদ্ধতা

মৃত্যু হয়তো মাত্রার পরিবর্তন, এই মানব দেহকে অতিক্রম করে.....মানবাত্মার অন্যযাত্রা......

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ভীষণ ভাল লাগল ভাই আপনার মন্তব্য। ভাবনার অনেক কিছুই আছে।

৪৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৯

সাদরিল বলেছেন: কিছুদিন আগে ব্লগার কুনোব্যাং এর একটি পোস্টের পর সময় নিয়ে আরেকটি দারুন পোস্ট আসলো ব্লগে। ঈসার বিষয়টা কিছু জানলেও হোরাসের বিষয়টি সম্পর্কে কিছু জানা ছিলো না। দুটি রিলেট করে পোস্ট দেয়ায় অন্য মাত্রা যোগ হয়েছে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




দীর্ঘদিন পর প্রিয় সাদরিল ভাইয়ের দেখা পেয়ে খুব খুব ভাল লাগছে।

৪৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৫৬

তারছেড়া লিমন বলেছেন: ভাই অনেক জ্ঞান গভীর আলোচনা পড়লাম এত সময়.......... তাই মাথা হালকা করার জন্য এখন এইটা শুনেন............

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




হুর মিয়াঁ ভাই হিন্দি গান কম শোনা হয়... আংরেজি গানের লিংক দেন।

৪৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৪

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ইন্টারস্টিং পোষ্ট।
সময় নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব কিনা সেটা আমাদের জানাতে গিয়ে কিছু সময় সংক্রান্ত প্যারাডক্সের বর্ণনা দিয়েছেন - এই জিনিষটা সবাইকে ভাবনায় ফেলে দিয়েছে।
যদিও আমি মনে করি হোরাসের সাথে ঈসা আঃ এর কার্যত মিল থাকার কথা না। কিন্তু যেহেতু পোষ্টটা সময় সংক্রান্ত সেহুতু ঈসা আঃ এর একই বয়সে প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারটা নিয়ে চিন্তা করা যেতে পারে। কারণ এখানে সময়কে থামিয়ে রাখার মতই একটা ঘটনা ঘটেছে।
এক্ষেত্রে আমার ধর্মীয় ব্যাখ্যা হল - ঈসা আঃ কে আল্লাহ পা'ক তুলে নিয়েছেন এবং তুলে নিয়ে এমন এক স্থানে রেখেছেন যেখানে সময় স্থির। মিরাজ যেমনটি ঘটেছে। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ সা যখন সাত সামানে গিয়েছিলেন তখন সময় স্থির ছিল। অর্থাৎ ওই জায়গাটাতে সমস্যা আছে। সময় আগাতে চায় না।
ঈসা আঃ ও নিশ্চিত এমন একটা জায়গাতেই আছেন এটা ধরে নিলেই সব মিলে যায়! আসলে ধর্মীয় ব্যাপার স্যাপার নিয়ে বেশী ঘাটাঘাটি করা ঠিক না। মাথায় সমস্যা তৈরি হতে পারে।

এবার আসি সময় নিয়ন্ত্রন সম্পর্কে। এটা ফিজিক্সের বিষয়। এখানে আলাপ চলতে পারে।

ধরেন আপনি একটা ট্রেনে উঠেছেন। ট্রেনটা আপনাকে নিয়ে পৃথিবীর চার পাশে আলোর গতিতে ছুটছে। এখন হিসেবে কিন্তু ট্রেনের সাথে আপনিও আলোর বেগে ছুটছেন।
হঠাৎ আপনার মাথায় ভুত চাপল। আপনি ট্রেনের সামনের দিকে দৌড়াতে শুরু করলেন। তাহলে আপনার বাইরের কোন অবজারভারের কাছে আপনার বেগ কত দাঁড়ালো? (এখানে অবজারভার না থাকলে কোন রেফারেন্স পয়েন্ট তৈরি হবে না। তাই অবজারভারের রেস্পেক্টে আপনার গতি পরিমাপ করতে হবে।)
ট্রেনের বেগ যোগ আপনার দৌড়ের বেগ, তাই না?

কিন্তু না।

আলোর গতি যেহেতু কন্সট্যান্ট, সেহেতু ট্রেনের বেগ যোগ আপনার দৌড়ের বেগ মিলিয়ে ওই আলোর বেগের সমানই হবে।

তাহলে আপনি যে দৌড়ালেন তার কি হল?

তার জন্য বাইরের অব্জারভারের টাইম ডায়লেশন হবে। অর্থাৎ বাইরের অবজারভারের সময় আর আপনার সময়ের পার্থক্য সৃষ্টি হবে।

মজার ব্যাপার তাই না?

সময়তো তাহলে নিয়ন্ত্রন করাই যায়। অন্তত ফিজিক্সের থিওরি অনুযায়ী তো অবশ্যই।

তাহলে আমরা সময় নিয়ন্ত্রন করছি না কেন?

আমরা সময় নিয়ন্ত্রন করছি না কারণ আমরা পারছি না। এই পরীক্ষা করার জন্য যে পরিমাণ শক্তির যোগান দেয়া প্রয়োজন তা আমাদের সাধ্যের অতীত। অন্তত এই মুহূর্ত পর্যন্ত।

তবে ভবিষ্যতে কি হয় সেটা কে বলতে পারে?

অনেক গেজাইলাম।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



সময়ের নিয়ন্ত্রন করা গেলে জীবন মৃত্যুকে চ্যালেঞ্জ করা হয়ে যাবে আর যেটা সম্ভব নয়।

চমৎকার মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা ।

শুভকামনা নিরন্তর।

৪৯| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৭

এ্যামালগাম বলেছেন:
পোষ্ট আলোচনা দুটাই ভালো

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



অনেক ধন্যবাদ ভাই।

৫০| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৩

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: শেষ পোস্ট কি মডারেট করে রেখেছেন ভ্রাতা ?

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




শেষ আর হতে দিলেন কোথায় ভাইডি ? আপনার খপর আছে ।

৫১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৭

সুমন কর বলেছেন: এখন সময়ের সাথে দেৌড়াদুড়ি করছি..........
তাই এত চিন্তামূলক পোস্ট পড়ব না, পরে স্থির মাথায় পড়তে হবে।

এত কষ্ট করে পোস্ট দেবার জন্য ধন্যবাদ।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইডি।

শুভেচ্ছা প্রথম সকালের।

৫২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৭

এহসান সাবির বলেছেন: বিষয়টা বেশ জটিল।

কুনোব্যাঙ ভাইয়ের টাও পড়লাম।

বেশ জটিল আমার কাছে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৩০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



পৃথিবীতে জটিল বলে কিছু নেই। সব কিছুর ব্যাখ্যা আছে।

৫৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৭

ডি মুন বলেছেন: ভাইয়া, উই মিস ইউ :(

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৩০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




আই মিস্টার ইউ টু...

৫৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:২২

জাফরুল মবীন বলেছেন: ওয়েল ডান ভাই কান্ডারি :)

মনে অনেক শান্তি লাগছে :) :) :)

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৩১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



জীবনে শান্তি পাওয়াটাই সার্থকতা সুপ্রিয় মবীন ভাই।

৫৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৩২

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: আপনার ফিরে আসায় অনেক ভালো লাগছে। এতগুলো দিন অনেক মিস করেছি আপনাকে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৩২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আপনার সাথে অনেক কথা বলার ইচ্ছে ছিল।

৫৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:০৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কান্ডারি ভাইয়ের আগমন...., শুভেচ্ছা স্বাগতম....
শুভেচ্ছা স্বাগতম...., কান্ডারি ভাইয়ের আগমন....

:) :) :) :) :) :) :) :) :) :) :) :) :) :) :) :) :) :)

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ভাইডি ভাল আছেন ?

৫৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:১৫

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ কাণ্ডারি ভাই। আমার অনেক প্রিয় কিছু পোস্ট আবার ফিরে পাওয়ায় সত্যিই খুব আনন্দিত ।



শুধু এটুকুই চাওয়া প্রিয় মানুষটির কাছে,

কাণ্ডারি অথর্ব এতদিন যেমন করে পাশে ছিলো সবসময় তেমন ভাবেই থাকবে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



যা বাজার থেকে এখন ইলিশ মাছ কিনে নিয়ে আয়।

:#)

৫৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:১৮

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: প্রিয় ভ্রাতা , পোস্টগুলি ফিরিয়ে আনায় অনেক খুশি হয়েছি । আজকের ঘুমটা হবে তৃপ্তির । অনেক ধন্যবাদ ভ্রাতা ।

ভালো থাকবেন অনেক অনেক :)

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৪১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ভাইডি...

৫৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:৪১

এহসান সাবির বলেছেন: কবিতা টা মুছে দেবার দরকার কি ছিল??

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৪২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



পোস্টগুলো আন্ড্রাফট করারইবা কি দরকার ছিলো ?

৬০| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৪২

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ইয়ে ভ্রাতা , এখন ইলিশ মাছ কিনলে না জরিমানা হয় ? জেল ও তো হতে পারে ! :-&

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ইলিশ মাছ কি পদ্মা নদী থেকে কিনবে নাকি !!!

ফরমালিন যুক্ত ইলিশ কিনলে জেল জরিমানা হইব না। নো টেনশন এখন ফরমালিন যুগের জেনারেটর আমরা।

৬১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৪১

লিরিকস বলেছেন: কেন? X( X( X( X( X(

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



কারণ আই লাভ ইউ সো মাচ মাই ডিয়ার...

৬২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৫২

লিরিকস বলেছেন: ইমোশন দিয়ে জীবন চলে না ভাইয়া, বাস্তবে থাকুন, ভার্চুয়াল লাইফের সাথে (বিশেষ করে ব্লগ) রিয়েল লাইফ এক করবার দরকার নাই।

কথাগুলো অন্য একজন আগেও হয়ত বলেছে।

মিস ইউ।
ভালো থাকুন।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:০২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ইমোশন দিয়ে জীবন না চলা আর রেপ করা একই কথা। ভারচ্যুয়াল কিংবা একচ্যুয়াল যাই বলিস না কেন পেছনে কোন রোবট থাকেনা। থাকে মানুষ। আমি যে কারনেই হোক দূরে ছিলাম ব্লগ থেকে কিন্তু যাদের ভালোবাসা দূরে থাকতে দিলনা সেইটা কি ইমোশন না নাকি ?

শ্লার এই ইমশোন, জীবন এইগুলা নিয়া ঘ্যান ঘ্যান করবি না।

৬৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৯

লিরিকস বলেছেন: মন্তব্যের উত্তরে

+ :P

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



মজিব পরদেশির আমার সোনা বন্ধুরে তুমি কোথায় রইলারে গানের লিরিক্সটা আজকে পোস্ট দিতে পারবি ? খুব শুনতে ইচ্ছা করতেছে।

৬৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৫

এম এম করিম বলেছেন: আপনি ফিরে আসায় ভালো লাগছে।

ভালো থাকুন সবসময়।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:১৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



সব সময় সাথে ত্থাকার জন্য অনেক ভালোবাসা রইল।

৬৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৭

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভ্রাতা , যে আমাদের ছাই দিয়ে ধরা প্রচেষ্টায় সাড়া দিয়ে শেষ পর্যন্ত ফিরে এসেছেন , এতেই আমি অনেক খুশি , আর কিছু চাই না আপাদত :)

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৫৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ভ্রাতা যেই থ্রেট দিছেন আগামী সাত জনমেও আর যাওয়া হবে কিনা সন্দেহ।

!:#P !:#P !:#P

৬৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: হুমম। বাস্তবিক কঠিন পোস্ট।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাই। কেমন আছেন ?

৬৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১০

অহন_৮০ বলেছেন: ভালোই লাগলো পড়ে

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


কৃতজ্ঞতা জানবেন। শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৬৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বিস্তার জআহনীদের আলোচনার পর আসলে কি যে লিখব ভেবেই পাচ্ছি না।

তবে একান্ত যে অনুভব তা থেকে বলতে পারি-
বস্তাগত অবস্থার কারণেই আমাদের এমন অনুভব! বস্তুকে কেন্দ্র করেই সময়ের এই আবর্তন। এবার আপনি দেহকে বিলীন করে দেন! থাকবে রুহ! রুহটা নিয়ে ঘুরতে যান! দেখবেন মহাকালে মহা ভ্রমনে সময় দূরত্ব সসব কেমন হাস্যকর রকম অর্থহীন হয়ে গেছে!
এক কদমে বৃহষ্পতি! কিংবা মিল্কিওয়েতে একপাক চরকি খেয়ে আসতে বড়জোর বস্তুগত সময়ের কয়েক সেকেন্ড !!!!



০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা রইল ভাই অনেক।

৬৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩২

রাতুল_শাহ বলেছেন: আমরা বন্ধুরা মিলে একদিন এইসব নিয়ে আলোচনা করছিলাম। আলোর দিগুণ গতি সম্পন্ন কোন যান বানাইলে অতীতে যাওয়া সম্ভব। যুক্তি একটাই টাইম মেশিনে শুধু অতীতে যাওয়া সম্ভব, ভবিষ্যতে সম্ভবত যাওয়া সম্ভব না। কারণ যেটার অস্তীত্ব নেই সেখানে কিভাবে যাবো?

পোষ্টের সাথে মন্তব্যগুলো দারুণ লেগেছে।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।

৭০| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৪

মোবাশ্বের হোসেন বলেছেন: একটা মজার বিষয় নিয়ে ব্লগ লেখলেন , আপনার ব্লগের চম্বুক ২ অংশ আমার মনে হইছে ইহকাল ও পরকালের সময় পরিবেপ্তি ও পৃথিবীতে মানুষ এর বয়স স্থির রাখা , যেটা পরকালে হবে চির যৌবন , অনন্ত কাল জীবিত থাকা। প্রথমে আমি এখানে কোনো ধর্মীয় বিশেষ করে ইসলামের কোনো প্রসঙ্গ আনছি না , এবং আমরা মতামত সম্পুর্ন আমার কল্পনা থেকে।

সময় কখনো স্থির থাকে না বা থাকবেও না , কোথাও ১ দিন সমান ১ দিন , কোথাও ১ দিন সমান ১০০০ বছর , এটা একটা ইউনিট স্থান ভেদে , সময় যদি স্তির হতো তবে স্বর্গ ও নরকের অনন্ত কাল বসবাসের প্রশ্ন আসতনা ,
এবার আসি আসল কথায় , পরকালের অনুমান টা দাড়করাতে পারলে , বাকিটার হিসাব করতে সুবিধা হবে। চির যৌবন থাকবেন , একজনের শক্তি ১০০ জনের মত হবে , এটা হবে শাররিক গঠন অভ্ভন্তরীণ রাসয়িনিক বিক্রিয়া সেল গঠন ও সেলের মৃত্য শাররিক অনন্য গঠন গুলা হারের বৃদ্ধি ইত্যাদি দীর্ঘ মেয়াদী হবে এবং একটা অপটিমাম পর্যায়ে এটাকে স্তির রাখা হবে , যেমন আমরা ২২ থেকে ৩০ বছর বয়স কে পরিপূর্ণ যুবক ১৪-১৮ বছর বয়সীকে পূর্ণ যুবতী বলে ধরে থাকি , পরকালে একজন পুরুষ ও নারীকে এই বয়সের মধ্যে শাররীক গঠন স্তির রেখে কোষের আয়ু বৃদ্ধি ও বৃদ্ধ হওয়ার যে সিস্টেমিক সাইকেল আছে তা ইনাক্টিব হয়ে যাবে, খাদ্য গ্রহণ প্রনালিতেও পরিবর্তনের কথা বলা আছে , যেখানে খাদ্য গ্রহণ করলে কোনো মলমূত্র হবে না শুধুমাত্র ঢেকুরের মাধ্যমে সম্পাদন হবে তার মানে এমন ধরনের খাদ্য তালিকা থাকবে যার মধ্যমে শরীরের সমাগ্রিক বিক্রিয়া হবে একটি স্তির মানের মধ্যে যার দ্বারা দেহের মধ্যে কোনো ওল্ড সেলের তৈরী হবে না আর মৃত্যু হবে না , আপনি এখানে এ স্টেবিলিটি টাকে কনটিনু করার জন্য দেখবেন খাদ্য তালিকা পরিবর্তনের সাথে সাথে দেহের মধ্যে কোনো নাড়ী ভুরি কলিজা পাকস্থলী ইত্যাদির কোনো অস্তিত্ব পরকালের বর্ণনায় খুঁজে পাবেন না। এখানে টোটাল একটা রসায়নিক সাইকেল ও সিস্টেম কাজ করবে , যেহেতু পরকালে কোনো বিশ্রাম ও পরিশ্রমের কোনো বিষয় নাই , পারিবারিক সন্তান লালন বা বংশ বৃদ্ধি , খাদ্য সংগ্রহের মতো কোনো বিষয় নাই , আয় রোজগার বা দালান কোঠা নির্মান ও উন্নয়নের কোনো বিষয় নাই সুতরাং পরকালে দিন ও রাতের বেপারটা খুব উল্লেখিত নাই.

এবার আসি পৃথিবীতে চাদ সূর্য বা সময়ের ইউনিট ছোট বড় করতে পারলেও সময় কিন্তু স্থির করা যাবে না , মানুষ দীর্ঘ জিবি হয় শাররিক রসায়নিক বিক্রিয়া ও সেলের আয়ু অনন্য অর্গান গুলা কতদিন কাজ করছে , এগুলা যদি বেশি দিন কাজকরে বেশি আয়ু , আর বেশি তরতাজ রাখতে পারলে বেশিদিন যৌবন।
একটা উদাহরণের মধ্যে আসি , পৃথিবীতে অনেক কীর্তি আছে যেমন পিরামিড অনেক পুরানো দালান , ইমারত হাজার বছর ধরে বিদ্যমান , এমনকি আপনার আমার গ্রামের বাড়িতে গেলে দেখতে পাব ২০০/৩০০ বছরের পুরানো দিনের খাট ও সিন্দুক , কেনো এদের মৃতু বা ধংস দীর্ঘায়েত হচ্ছে , কারণ তাদের গঠন প্রক্রিয়া এক একটি স্থিতি অবস্থানে বিধ্যমান , কিন্তু এগুলা যে সব উপধান দিয়া তৈরী বালি কংকর , কাঠ লোহা আয়ু এত দির্ঘায়াতীত নয়।তুরু লতা ফল মূল অনন্য সামগ্রী গুলা সেলের আয়ু ক্রমান্নয়ে বাড়তে বাড়তে উত্পাদন প্রক্রিয়া ও সিস্টেমিক অর্গার অকার্যকর হয়ে যাই ফলে পচে অথবা নষ্ট অথবা খাদ্য হয়ে অন্য একটি রূপধারণ করে। পরকালে এমন একটা সিস্টেমিক সৃষ্টির মাধ্যমে প্রানের অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে অনন্ত কালের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যেখানে সময়ের আছে কিন্তু পরিমাপের ইউনিট ভিন্ন সিস্টেমিক প্রক্রিয়া ভিন্ন। কিন্তু সময় সময় স্তির না ,

আপনার যুক্তি খন্ডন করলাম।



إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ وَاخْتِلاَفِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ لآيَاتٍ لِّأُوْلِي الألْبَابِ
190

নিশ্চয় আসমান ও যমীন সৃষ্টিতে এবং রাত্রি ও দিনের আবর্তনে নিদর্শন রয়েছে বোধ সম্পন্ন লোকদের জন্যে।
الَّذِينَ يَذْكُرُونَ اللّهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَىَ جُنُوبِهِمْ وَيَتَفَكَّرُونَ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَذا بَاطِلاً سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
191

যাঁরা দাঁড়িয়ে, বসে, ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং চিন্তা গবেষণা করে আসমান ও জমিন সৃষ্টির বিষযে, (তারা বলে) পরওয়ারদেগার! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। সকল পবিত্রতা তোমারই, আমাদিগকে তুমি দোযখের শাস্তি থেকে বাঁচাও।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



চমৎকার মন্তব্যে অনেক অনেক ভাল লাগা জানবেন।

শুভেচ্ছা ও শুভকামনা নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.