নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূণ্যতা থেকে শূণ্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূন্যতা থেকে শূন্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

কান্ডারি অথর্ব

আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।

কান্ডারি অথর্ব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় বিপর্যয়ে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাবের কবলে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:০২









শিক্ষা মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম একটি। কিন্তু যখন এই মৌলিক চাহিদার উপর কালো মেঘ এসে ছেয়ে যায় তখন একটি জাতির জন্য দুর্ভাগ্যের চেয়ে বড় আর কোন বিষয় থাকেনা। দৃশ্যমান ব্যবস্থার পেছনে যখন কোন অদৃশ্য ব্যবস্থার প্রতি আনুগত্যের প্রকাশ পাওয়া যায় তখন সাধারন মানুষের উপর এর কিছু দায় এসে বর্তায়। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থা ও দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসনের মধ্যে এক ধরনের নাপাক জোট দ্রবীভূত থাকে। এই অদৃশ্য ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেয়াই রাষ্ট্রনায়কোচিত প্রথম দায়িত্ব। বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে তার ব্যতিক্রম নয়। এই ব্যবস্থা এতটাই সূক্ষ্ম ভাবে কাজ করে যে, অধিকাংশ মানুষ এর বহুদূরপ্রসারিত ক্ষতিকর প্রভাব দেখতে পায় না।



২০০৩ সালে প্রথমবারের মতো উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজ জিপিএ-৫ পদ্ধতিতে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। প্রথমবার জিপিএ-৫ পেয়েছিলো মাত্র ২০ জন শিক্ষার্থী। ২০০৩ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের হার ছিলো ৩৮.৪৩ শতাংশ। ২০০৪ সালে ছিলো ৪৭.৭৪ শতাংশ, ২০০৫ সালে ছিলো ৫৯.১৬ শতাংশ, ২০০৬ সালে গড় পাসের হার ছিলো ৬৫.৬৫ শতাংশ। কিন্তু ২০০৮ সালে এসে এইচএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের হার দাঁড়ায় ৭৬.১৯ শতাংশ। যা পরবর্তী বছরগুলোতে ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে। ২০০৯ সালে গড় পাশের হার ছিলো ৭২.৭৮ শতাংশ, ২০১০ সালে ছিলো ৭৪.২৮ শতাংশ, ২০১১ সালে ছিলো ৭৫.০৮ শতাংশ, ২০১২ সালে ছিলো ৭৮.৬৭ শতাংশ, ২০১৩ সালে ছিলো ৭৪.৩০ শতাংশ এবং সবশেষে ২০১৪ সালে এসে এইচএসসি পরীক্ষায় গড় পাশের হার দাঁড়ায় ৭৮.৩৩ শতাংশ। উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট ও সমমানের পরীক্ষায় মোট জিপিএ-৫ পায় ৭০ হাজার ৬০২ জন শিক্ষার্থী। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ১১ লাখ ৪১ হাজার ৩৭৪ জন। মোট ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২ হাজার ৩৫২টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ঠিক একই ভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষার ক্ষেত্রেও গড় পাশের হার ২০০৩ সালের তুলনায় ২০১৪ সাল নাগাদ এসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ। এত বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর জিপিএ-৫ পাওয়া দেখে মনে হতে পারে যে, বর্তমানে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মান অনেক উন্নত হয়েছে। মেধার বিকাশ ঘটেছে ইর্শণীয় পর্যায়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ৫৫ শতাংশ জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী উত্তীর্ণই হতে পারেনি। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক উভয় পরীক্ষাতেই জিপিএ-৫ পাওয়া বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর পায়নি। স্নাতক সম্মান প্রথম বর্ষে ক, খ ও গ ইউনিটে জিপিএ-৫ পাওয়া ৪৪ হাজার ৬৪২ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলো। এর মধ্যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ১৯ হাজার ৮৬৮ জন বা প্রায় ৪৫ শতাংশ। বাকি ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণই হতে পারেনি। ২০১০ ও ২০১১ সালে এই অনুত্তীর্ণের হার ছিলো যথাক্রমে ৫২ ও ৫৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পাওয়া ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বরই পায়নি। তাহলে শিক্ষার মান বেড়ে মেধার বিকাশ হয়েছে বলাটা অযৌক্তিক।



তাহলে এখন প্রশ্ন দাঁড়ায়; মেধা শূণ্য এত বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পাচ্ছে কিভাবে? কিভাবেই বা পাশের হার এত বেড়েছে? শিক্ষার মান সত্যি কি আদৌ বেড়েছে? মেধার বিকাশ আসলে বর্তমানে কোন পর্যায় এসে দাঁড়িয়েছে?



উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর বিভিন্ন বিষয়ের খাতা দেওয়ার সময় শিক্ষা বোর্ডগুলো থেকে শিক্ষকদের লিখিত নির্দেশনা দেওয়া হয় যেন উদারভাবে নম্বর দেওয়া হয়। নির্দেশনায় এমন কথাও বলা থাকে যে, শিক্ষার্থী ভুলশুদ্ধ যাই লিখুক না কেন, তাকে নম্বর দিতেই হবে। আর নম্বর দিতে হবে বাড়িয়ে বাড়িয়ে। যে শিক্ষার্থী পাস নম্বর পাওয়ার যোগ্য নয়, তাঁকে পাস নম্বর বা তার অধিক নম্বর দিতে হবে। আর বাড়িয়ে বাড়িয়ে নম্বর দেওয়ার ফলে যে শিক্ষার্থী ৫০ নম্বর পাওয়ার যোগ্য, সে পেয়ে যায় ৬০, ৬৫, ৭০ বা তার অধিক। নম্বর দেওয়ার বেলায় উদার নীতিমালা অনুসরণ করার ফলে কৃত্রিমভাবে মেধার বিকাশ ঘটে। যার ফলস্বরূপ উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফলে হাজার হাজার শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়। কিন্তু বাস্তবে এইসব জিপিএ-৫ গোল্ডেন জিপিএ পাওয়া হাজার হাজার শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল বা বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণই হতে পারে না। এর ফলশ্রুতিতে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মেধা ও মানের প্রতিফলন হয় না। এতে করে অযোগ্যতাই প্রমাণিত হয়। কিন্তু এর জন্য মেধা শূণ্য শিক্ষার্থীদের আসলে দোষ দেয়া চলেনা।







মানুষের জন্য সমাজে মাথা উঁচু করে; মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়ানোটা গৌরবের। যে মানুষের মেরুদন্ড ভেঙে যায় তার জন্য অসহায়ত্বের সীমা থাকেনা। শিক্ষা একটি জাতির জন্য মেরুদন্ড স্বরূপ। সেখানে শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল দশা দেখে এটাই প্রমাণিত হচ্ছে বারবার; যে এই জাতি যেন ভবিষ্যতে সোজা হয়ে মাথা উঁচু করে গৌরব নিয়ে দাঁড়াতে না পারে সেই আয়োজন চলছে ঘটা করেই। অথচ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার এমন বেহাল দশার উন্নয়নের জন্য সরকারের স্বদিচ্ছাই যথেষ্ট হওয়ার কথা! মূলত শিক্ষার মানের ক্ষেত্রে যে আশঙ্কাজনক অধঃপতন হয়েছে, তার জন্য সামগ্রিক ব্যবস্থাটাই দায়ী। স্কুল কলেজ থেকে যথাযথ শিক্ষা না দেওয়া, পাঠ্যপুস্তকের বাইরের বিষয়ে পড়াশোনা কমে যাওয়া, স্বল্প পরিশ্রমে সফল হওয়ার প্রবণতা, কোচিং সেন্টারের উপর নির্ভরশীলতা, বাড়িয়ে বাড়িয়ে নম্বর দিয়ে কৃত্রিমভাবে মেধার বিকাশ ঘটানো; এসব কিছুর সম্মিলিত ফলাফল হচ্ছে শিক্ষার মান না বেড়ে বরং শিক্ষাক্ষেত্রে বিপর্যয় নেমে আসা। যার ফলস্বরূপ দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব গ্রাস করবে ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে।



জেএসসি পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করছে সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা!



খিলগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা অলকা বিশ্বাস বিষয়টিকে তুচ্ছ ঘটনা বলে উড়িয়ে দিয়ে; দম্ভোক্তি প্রকাশ করে বলেন যে এ ধরনের কাজ সব শিক্ষকই করে থাকেন। খাতাগুলো তিনিই শিক্ষার্থীদের দিয়েছেন বলে সগর্বে স্বীকারও করেন। [সূত্রঃ যায়যায়দিন]







এই যখন দেশের শিক্ষাক্ষেত্রের অবস্থা; তখন একবার নজর দেয়া যাক প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে; সেই প্রশ্নপত্রেই পরীক্ষা সংঘটিত হওয়ার দিকে। পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস এবং শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই পরীক্ষা নিয়ে আমরা আজ উদ্বিগ্ন। প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বিসিএস পরীক্ষার। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার। মেডিক্যাল ভর্তি এবং ডাক্তার হওয়ার চূড়ান্ত পরীক্ষার। প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা নিয়োগ পরীক্ষার। এসএসসি পরীক্ষার, এইচএসসি পরীক্ষার। প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে কামিল পরীক্ষার। এমনকি শিক্ষক নিয়োগের প্রাকনিবন্ধন পরীক্ষার। অধিকাংশ পরীক্ষার্থীরা এই প্রশ্ন না পেলেও ত্রিশ থেকে চল্লিশ ভাগ শিক্ষার্থীর হাতে হাতে ফাঁস হয়ে যাওয়া প্রশ্ন পাওয়া গেছে দেশের অর্ধেক পরীক্ষা কেন্দ্রে। যারা প্রশ্ন পরীক্ষার আগে পায়নি, তারা মিছিলও করেছে। সমাবেশ করেছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। মহানগরীর সিংহভাগ এলাকায় পরীক্ষার আগের দিন রাতে প্রশ্ন চলে গেছে স্কুলে স্কুলে। পৌঁছে গেছে ভাগ্যবান শিক্ষার্থীদের হাতে। অভিভাবকরাও মহাখুশি।



প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার চেয়ে; সবচেয়ে দুঃখজনক হলো শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা যখন ফাঁসকৃত প্রশ্ন তাদের হাতে তুলে দিয়ে; নিজেরাই তাদের জীবন নষ্ট করছে।







যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে কঠিন তদারকির কথা, নেয়া হচ্ছে বিভিন্ন পদক্ষেপ; এমনকি ফেসবুকের উপর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারী করা হচ্ছে কিন্তু প্রকৃত পক্ষে চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। যে কোন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছাপা হয়ে থাকে সরকারী ছাপা খানা থেকে, যা কঠিন নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। কিন্তু সরকারের চোখ ফাঁকি দিয়ে যে চক্র এমন অসাধু কাজে লিপ্ত হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে খুব সহজেই দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া গেলেও নেয়া হচ্ছেনা কেন; সেটাই এখানে মূল ভবিতব্য বিষয়! সরকারের পক্ষ থেকে তদন্ত করার ঘোষণা এবং জড়িতদের কঠিন শাস্তি দেওয়ার প্রশাসনিক হুমকিও এসেছে। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি কিছুই। এমন একটি পরীক্ষাও বাংলাদেশে গত পাঁচ বছরে অনুষ্ঠিত হয়নি, যেখানে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। সর্বশেষ এবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চূড়ান্ত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অন্যান্য শ্রেণীর চেয়ে সবচেয়ে বেশি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই সমাপনী পরীক্ষার চূড়ান্ত ব্যবস্থাটি গ্রহণ করা হয়েছিলো ২০০৩ সালের শিক্ষাবর্ষে। যা এই সরকারের আমলে এসে চূড়ান্ত পর্যায় রুপ পেলো পঞ্চম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে। ইতোমধ্যে ফাঁস হয়ে যাওয়া পরীক্ষাগুলোর কোনো ফলাফল বন্ধ থাকেনি এবং দুই একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমগুলোতে ছাপা হলেও কোনো ধরনের শাস্তির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। দেশের মানুষ আজ ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, শিক্ষাব্যবস্থায় তারা আমূল পরিবর্তন এনেছেন। কিন্তু বাস্তবিক চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। বর্তমানে পরীক্ষার্থীদের হাতে প্রশ্নপত্র পরীক্ষার আগেই পৌঁছে যাচ্ছে। সরকারের সকল তদন্তই অর্থহীন। কোনো তদন্তের কোনো কিছুই দেশের মানুষ জানতে পারছেনা। মূলত প্রশ্ন যেখানে ছাপা হয় এবং যেখান থেকে বিতরণ করা হয় সেখানেই প্রশ্ন ফাঁসের মূল আস্তানা। এ দুটির সঙ্গেই সরকার এবং সরকারি কর্মকর্তারা সামগ্রিকভাবে জড়িত। অথচ পরিতাপের বিষয় তদন্ত হয় ফেসবুক নিয়ে।



তাহলে কি এই ক্ষেত্রে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে না? বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা মেধার বিকাশের বদলে মেধা শূণ্য হয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত। চলছে মেধাহীন, মেরুদন্ডহীন জাতি তৈরি করার গভীর ষড়যন্ত্র।







এখানে, ২০০১-২০০৬ সালের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার কথা স্মরণ করা যেতে পারে। এই সময়টাকে স্বর্ণযুগ বলা যেতে পারে। এই সময়টাতে বাজারের প্রচলিত নোট বই এবং কোচিং সেন্টারগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছিলো; এমনকি শিক্ষকদের প্রাইভেট পড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছিলো। এমনকি নেয়া হয়েছিলো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা। নোট বই এবং কোচিং সেন্টারগুলো মূলত অর্থের বিনিময়ে দুর্বল মেধার জন্য অন্যতম অণুঘটক হিসেবে কাজ করে। সবচেয়ে ভালো যে বিষয়টি ছিলো; নকল করার কথা দূরে থাক নকলের নাম শুনলেই মানুষ যমের চেয়ে বেশী ভীত হয়ে উঠত। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, বর্তমানে নোট বই এবং কোচিং সেন্টারে বাজার পুনরায় সয়লাব হয়ে গেছে। এমনকি শিক্ষকরা ক্লাসের চেয়ে বেশি ব্যাস্ত হয়ে গেছেন বাসায় পড়ানো নিয়ে। শুধু তাই নয় বাসায় গিয়ে না পড়লে, শিক্ষকের দেয়া নোট না লিখলে কোন কোন ক্ষেত্রে বিনা কারণে পরীক্ষায় ফেল পর্যন্ত করিয়ে দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে শুধু নকল কেন! প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়াটাও হয়ে দাঁড়িয়েছে সংস্কৃতির অংশ।







ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় নকল করতে না দেওয়ায়; পরীক্ষা বন্ধ করে দিয়েছে ছাত্রলীগের কর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক ও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ২৩২ নং কক্ষে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদেরকে চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে পরীক্ষার হল থেকে বের করে দিয়ে ভাংচুর চালায়। [সূত্রঃ দৈনিক কালেরকণ্ঠ]



প্রায় সবকটি ধর্মেই লটারীকে হারাম বলে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু সেই হারাম লটারীই যখন হয়ে উঠে মেধার প্রধান মানদণ্ড তখন দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার বিকল্প কিছু থাকেনা। শিক্ষাক্ষেত্রে জীবনের প্রথম শুরুটাই যদি হয় লটারী দিয়ে, তাহলে ভবিষ্যতে একটা শিশু বড় হয়ে শিক্ষার যে আলো ছড়াবে সেটা কতটা ফলপ্রসূ হবে সেটাই ভবিতব্য বিষয়!



এখানে প্রকৃত মেধার তাহলে আর মূল্যটা রইল কোথায়?



কিন্তু একটা সময় ছিলো যখন শিশুদের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে স্কুলে ভর্তি হতে হতো। সেই সময়টাই ভালো ছিলো। প্রকৃত মেধার বিকাশ হতো। যে শিশু এক থেকে দশের নামতা থেকে শুরু করে বাংলা ইংরেজীতে ট্রান্সলেশন পর্যন্ত করতে পারে, টেন্স, আর্টিকেল এমনকি সাধারন জ্ঞানের অনেক কিছুই জানে, জানে পচুর ভোকাবিলুরী; অথচ সেই তাকেই স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য হেরে যেতে হয় অপেক্ষাকৃত কম মেধাবী একজনের কাছে। তাহলে যে শিশুটি লটারী নামক জুয়া খেলায় হেরে গেল; সে যদি বলে বসে কেন আমাকে এত পড়াশোনা করালে তারচেয়ে ঘরে বসে বসে টিভিতে ডোরেমন কার্টুন দেখতাম তাই ভাল ছিলো! তখন আর সেই সন্তানের কাছে আসলে জবাব দেবার কিছু থাকেনা।



মূলত সব অভিভাবকের স্বপ্নই থাকে তার সন্তানকে ভালো একটি স্কুলে পড়ানোর জন্য। শিক্ষার পরিবেশ একটি শিশুর মেধার বিকাশ এবং বেড়ে উঠার জন্য অন্যতম অণুঘটক হিসেবে কাজ করে। কিন্তু এই লটারী প্রথার জন্য দেখা যায় অধিকাংশ মেধাবী শিশু জীবনের শুরুতেই হোঁচট খায়। অবশেষে ভালো একটি স্কুলে পড়তে না পেরে; গিয়ে ভর্তি হয় এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেখানে মেধার বিকাশের বদলে মেধা ধীরে ধীরে ক্ষয় হতে থাকে। তবে যাদের টাকার অভাব নেই তারা মোটা অংকের ডোনেশন দিয়ে ভর্তি করানোর সুযোগ পায়। কিন্তু তার সংখ্যা অত্যন্ত নগণ্য। অধিকাংশের ক্ষেত্রে হেরে যেতে হয় লটারী নামক জুয়া খেলায়।







স্থানীয় মন্ত্রীরা সাধারণত তার এলাকার স্কুলের সভাপতি হয়ে থাকেন। সরেজমিনে ঘুরে জানা যায় যে অভিযোগ আছে; এমন অনেক মন্ত্রী আছেন যারা তাকে শুধু মাত্র ভোট দেয়ার শর্তে তার নিজস্ব কোঠায় কিছু নিয়োগপত্র প্রদান করে থাকেন। আর যারা তার এলাকার নন তাদের ক্ষেত্রে তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ডোনেশন নেয়া হয়ে থাকে। এই কাজের ক্ষেত্রে মন্ত্রী সরাসরি জড়িত না থাকলেও মন্ত্রীর কিছু সহচারীরা জড়িত থাকে। এমনকি স্কুলের প্রধানশিক্ষক থেকে শুরু করে অভিভাবক প্রতিনিধিরাও পর্যন্ত জড়িত থাকেন কোন কোন ক্ষেত্রে।







রাজধানী ঢাকার নামকরা স্কুলগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে; কোন কোন স্কুলে লটারীর আগে গণহারে সবার কাছে ভর্তি ফর্ম বিক্রি করা হচ্ছে। এইক্ষেত্রে ভর্তি ফর্ম বিক্রি করা হয় চড়া মূল্যে যা বছরের ভর্তির সময়টাতে আয়ের অন্যতম উৎস হিসেবে কাজ করে। পরবর্তীতে নেয়া হয় ভর্তি ফি বাবদ আরও চড়া মূল্য। এই নিয়ে অভিভাবকদের কয়েকদফায় আন্দোলন পর্যন্ত করতে হয়েছে কিন্তু কোন কাজ হয়নি। বরং সাংবাদিক এবং অভিভাবকদের সাথে মন্ত্রীদের হাতাহাতির অপ্রীতিকর ঘটনা পর্যন্ত ঘটতে দেখা গেছে। কোন কোন স্কুলে লটারীর আগে ভর্তি ফর্ম বিক্রি করা হয় শিশুর মেধা যাচাই করে। উদাহরণ স্বরূপ শিশুকে লিখতে দেয়া হয় তার নিজের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, ফোন নাম্বার, স্থায়ী ঠিকানা, অস্থায়ী ঠিকানা একবার বাংলায়, আরেকবার ইংরেজীতে। যারা পারছে শুধু মাত্র তাদেরকেই ভর্তি ফর্ম দেয়া হচ্ছে। তারপর সেখান থেকে লটারীর মাধ্যমে বাছাই করে চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়। কিছু স্কুলে আবার ভর্তি ফর্ম সবাইকে দেয়া হলেও জমা নেয়া হচ্ছে শুধুমাত্র যেসব শিশু নিজেদের ফর্ম নিজেরাই পূর্ণ করতে পারছে শুধু মাত্র তাদেরকেই। তারপর লটারীর মাধ্যমে ঘোষণা করা হচ্ছে চূড়ান্ত ফল। এখন প্রশ্ন হলো, যদি এভাবে মেধা যাচাই করাই হয় তাহলে কেন আবার লটারী প্রথা? এখন যে বাচ্চাটা জীবনের প্রারম্ভেই লটারী নামক জুয়া খেলায় অভ্যস্ত হয়ে উঠছে; সেই যদি বড় হয়ে চাকরী ক্ষেত্রে লটারী চায়, বিয়ের জন্য পাত্রপাত্রী চায় লটারীর মাধ্যমে তাহলে অবাক হবার কিছু থাকবেনা।







বর্তমানে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্ররাজনীতির নামে চলছে হত্যাকান্ড। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের কথা উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে। অথচ এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে অত্যন্ত গৌরবময় ইতিহাস। অভিযোগ আছে, এইসব ছাত্ররাই শিক্ষাক্ষেত্রে নানা দুর্নীতির সাথে জড়িত হয়ে পড়ছে। আর হবেইনা বা কেন, যাদের গোড়াতেই গলদ দিয়ে শুরু তারাইত সেবিবে রাম রাজত্বের লঙ্কা কান্ড। আর যাদের ছত্রছায়ায় লালিত পালিত হচ্ছে বাবা-মায়ের দুঃস্বপ্ন, মায়ের আঁচল কান্নায় ভিজে যাচ্ছে আদরের সন্তান হারানোর শোঁকে; সেই তারাই রয়ে যাচ্ছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে ভদ্রতার নাম ধরে।







অতএব, আমাদের নিজেদের স্বার্থেই, দেশের ভবিষ্যতের স্বার্থেই আমাদের সচেতন হতে হবে। রুখে দাঁড়াতে হবে মেধাশূণ্য, মেরুদন্ডহীন জাতি হিসেবে পরিণত হওয়ারা সুগভীর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে। তাই জেগে উঠার এখনই শেষ সময়।



[ছবি সূত্রঃ গুগল সার্চ ইঞ্জিন]

মন্তব্য ৬৬ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:১৩

লাতি বলেছেন: মুর্খ বেজির ( বে = বেগম, জি= ?) এর মুর্খ বেজির মুর্খ গর্দভ বাচ্চার জ্ঞান কতটুকু হবে তা পোষ্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম। প্রথমে ভাবলাম হয়তো কোন শিক্ষা সর্ম্পকিত গবেষণা র্ধমী পোষ্ট ভিতরে গিয়ে দেখি পুরাটাই রাজনৈতিক দালালী। খালেদা জিয়া পাশ করে পারেনি তায় তোর মত গর্দভরাও খালেদা জিয়ার মত ভাবে সবাইকে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



কথায় আছে; ডিগ্রীর ভারে নূয়ে পরাদের ব্যবহারেই বংশের পরিচয় বহন করে।

যাই হোক আপনার জন্য শুভেচ্ছা থাকল লাতি।

২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:




বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাজনীতি করুক, কিন্তু শিক্ষাকে রাজনৈতিকীকরণ থেকে মুক্ত করতে হবে। রাজনীতির বিষধর থাবাটি আঁকড়ে ধরেছে শিক্ষাকে। বাকি সব এমনিতেই ঠিক হবে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাজনীতি করুক এই নিয়ে আমারও কোন আপত্তি নেই। কিন্তু অবশ্যই অপ রাজনীতি চর্চা নয়।

ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রিয় মইনুল ভাই।

৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:

আপনার পোষ্টটি ভালো লেগেছে। দেশের সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনাটি উঠে এসেছে এই পোষ্টে। এবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের হাত থেকে রেহাই পায় নি কোমলমতি শিশুরাও। কর্তৃপক্ষ বলছেন, তারা প্রশ্ন ফাঁস রোধে নানাবিধ ব্যবস্থা কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন। যদি তাদের দাবি সত্য হয়ে থাকে, তাহলে তো অবস্থা আরো ভয়াবহ!! এত কঠিন নিরাপত্তা স্বত্তেও যেভাবে প্রতিবার প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করা হচ্ছে, তাতে কারো মনে যদি প্রশ্ন জাগে, এত কঠিন নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা যাদের জন্য প্রযোজ্য নয়, তাদের কেউই কি এই অপরাধের সাথে জড়িত কিনা, তা নিশ্চয় অবাস্তব কিছু হবে না।

গতকাল মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বললেন, 'এবার যদি কেউ এই পথে হাঁটে, হাত দেয়, তাহলে সেই হাত পুড়ে যাবে, ভেঙে দেয়া হবে' (সূত্রঃ প্রথম আলো)

এখন আবারও মনে প্রশ্ন জাগে, তাহলে কি ইতিপূর্বে যারা প্রশ্নফাঁস করেছিলেন, তাদের হাত ভাঙা হয় নাই?

'এবার' শব্দটি ব্যবহার করে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় ভুলে হোক আর স্বজ্ঞানেই হোক, স্বীকার করেছেন যে হ্যা প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে এবং ইতিপূর্বে ঐ সব অপরাধীদের হাত পা ভাঙা বা পুড়িয়ে দেবার মত কোন পরিস্থিতি ছিল না বা দেয়া হয় নি।

যাইহোক, তবে আমরা আশাবাদী। আমরা এই দুষ্টচক্রের 'ভাঙা- পোড়া হাত' দেখতে চাই। একটি জাতিকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা যারা করছে, তাদের প্রত্যেককে দেশদ্রোহী কর্মকার্ন্ডে অভিযুক্ত করে কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আর যদি নাই পারেন, তাহলে আমাদের বাবা মা দের কাছে 'লবন' সরবারহ করুন, তারা তাদের কোমলমতি শিশুদের মুখে লবন দিয়ে হত্যা করুক। অন্তত অন্ধকার ভবিষ্যতে প্রিয় সন্তানদের ধুঁকে ধুঁকে মরা দেখা চাইতে- একবারে মেরে ফেলাই উত্তম।

এই সামগ্রিক অব্যবস্থাপনায় আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো যারা কিনা একটা প্রেসার ক্রিয়েট গ্রুপ হিসেবে কাজ করতে পারত- তাদের কাছে কোন কিছুই চাওয়া নেই। অতীতেও আমরা দেখেছি শেয়ার বাজার, পদ্মা সেতু, টিপাইমুখ সহ বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুতে যেখানে জনগনকে সম্পৃক্ত করে কঠিন চাপ প্রয়োগ করা যেত, দেয়া যেত জনগনের স্বার্থের জন্যই রাজনীতি করার একটি সুন্দর গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যা সেখানে আমরা কেবলই ক্ষমতায়ন আর ব্যক্তিস্বার্থ রক্ষার জন্যই আন্দোলন বা চাপ প্রয়োগ করতে দেখেছি। রাজনৈতিক দলগুলো যে মূলত মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ- এই সত্যের যে অস্বীকার করে নিজেদের গুনগান গাইবে, তাকে মানুষ নিতান্তই বোকা এবং নির্লজ্জ হিসেবেই চিহ্নিত করবে।

যাইহোক, আপনি পোষ্টে কিছু সংবাদমাধ্যমের তথ্য উপস্থাপন করেছেন। আলোচনা এবং পোষ্টটিকে আরও বেশি গ্রহনযোগ্য করে তুলতে ঐ নির্দিষ্ট সংবাদপত্রের নাম যদি সংযুক্ত করতেন, তাহলে তা অবশ্যই ভালো হত।

ধন্যবাদ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আরও জোড়ালভাবে চাপ ক্রিয়েট করার প্রত্যাশা আপনার মতো আমিও করি। কিন্তু এই ক্ষেত্রে সরকারেরও শহনশীল ভূমিকার প্রয়োজন রয়েছে। প্রশাসন হওয়া উচিত দলীয় করণ মুক্ত। নতুবা কোন আন্দোলন সফলতার মুখ দেখবেনা।

জাতীয় ইস্যুগুলোতে জনগণের পাশাপাশি চাই রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পৃক্ততা। তাহলেই যদি ভাল একটা দেশ গড়া সম্ভব হয়ে উঠে।

যে দুটি অংশে (জেএসসি পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের) সংবাদ পত্র থেকে জেনে লিখেছি তা এডিট করে দিয়েছি। আপনি চাইলে সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদের সাথে মিলিয়ে দেখে নিতে পারেন। তাছাড়া বাকি সব সরেজমিনে আমার নিজের অভিজ্ঞতার আলোকেই লেখা। তবে এখানে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার সংক্রান্ত সকল তথ্য নেয়া হয়েছে শিক্ষা বোর্ডের আর্কাইভ থেকে। এছাড়া নির্দেশনা সংক্রান্ত গোপন তথ্য নেয়া হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ থেকে। তাছাড়া ছবি সূত্রত আগেই উল্ল্যেখ করে দিয়েছি।

আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

সকালের শুভ্রতা আপনার জন্য।

৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৯

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: পোস্টটির আকার একটু বড় হওয়ায় পড়তে একটু কষ্ট হয়েছে। কিন্তু ধন্যবাদ সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থাও ওপর বিশ্লেষণাত্তক একটি পোস্ট করায়। একটি লেখার মধ্যে সকল অনিয়মের চিত্র ফুটে উঠেছে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



মন্তব্যে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভ সকাল।

৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭

রিফাত ২০১০ বলেছেন: যে দেশের ভারতীয় দালাল এই টি ইমাম সোনার ছেলেদের উদ্দেশ্য করে বলে তোমরা শুধু বি সি এস লিখিত পরীক্ষায় পাশ করো ভাইবার ব্যাপারটা আমরা দেখবো, সে দেশের সরকার মানুষের কাছে ভালো সাজার জন্য ভারতের মদদে দেশের মেধা গুলোকে নিশ্চিত ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়ার নিমিত্তে পরীক্ষার খাতায় মার্ক বেশী দেওয়ার জন্য শিক্ষকদের চাপ প্রয়োগ করার মাধ্যমে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা হুমকির মুখে ঠেলে দেওয়া অসম্ভব কিছু নয় ।

দেশের মেধাবীদের ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিশ্চিত ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার প্রেক্ষিতে এই পোস্টটি স্টিকি হওয়ার দাবী রাখে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



বুলস আই রিফাত ভাই।

মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।

ব্লগ কর্তৃপক্ষ হয়ত এখনও পোস্টটা দেখেন নাই। ;)

৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২৩

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ৩য় ভালোলাগা ভ্রাতা +

ব্যাপক পোস্ট । শিক্ষা সম্পর্কিত সমসাময়িক অনেক সমস্যা তুলে ধরেছেন ! তাইতো ভাবি আমাদের দেশে এতো শিক্ষিত মানুষ , কিন্তু দেশের এই হাল কেন !!!

ভালো থাকবেন সবসময় :)

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



তাইতো ভাবি আমাদের দেশে এতো শিক্ষিত মানুষ , কিন্তু দেশের এই হাল কেন !!!

:)

৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২৪

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ব্লগ কর্তৃপক্ষ হয়ত এখনও পোস্টটা দেখেন নাই। ;)

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



না পোস্টটা দেখলাম নির্বাচিত পাতায় আছে। তাহলে অবশ্যই দেখেছেন। এইজন্য কৃতজ্ঞতা জানাই ব্লগ কর্তৃপক্ষকে।

:)

৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:




পোস্ট স্টিকি করার জন্য সহদাবি রইলো.... :)

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



পোস্ট স্টিকি হওয়ার চেয়ে জরুরী এই বিষয়ে আমাদের জেগে উঠা। তাহলেই হবে মইনুল ভাই।

৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: দেশের সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনাটি উঠে এসেছে এই পোষ্টে ।
স্টিকি করার দাবি জানাই ।
ভাল থাকবেন কাণ্ডারি ভাই ।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা মাহমুদ ভাই।

শুভকামনা সব সময়ের জন্য।

১০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০০

নুসরাতসুলতানা বলেছেন: অধতপনের শেষ ধাপে এসে দাঁড়িয়েছে , যত দ্রুত এটি উপলদ্ধি করা যাবে মঙ্গল হবে তাতে। নকল নিয়ে আনিসুল হক এর একটি লেখা প্রথম আলোতে দেখলাম-পড়েছেন নিশ্চয় ? ভয়াবহ অবস্থা। আপনার লেখাটিও ভাল লাগলো।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



সত্যি ভয়াবহ অবস্থা।

আমাদের নিজেদের স্বার্থেই, দেশের ভবিষ্যতের স্বার্থেই আমাদের সচেতন হতে হবে। রুখে দাঁড়াতে হবে মেধাশূণ্য, মেরুদন্ডহীন জাতি হিসেবে পরিণত হওয়ারা সুগভীর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে। তাই জেগে উঠার এখনই শেষ সময়।

১১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: তথ্য সমৃদ্দ্ব , পরিশ্রমী ও মননে চিন্তার উদ্রেক কারী চমৎকার পোস্ট ।
প্রথম মন্তব্যকারীর মন্তব্য কোন ভাবেই রুচিকর বা ব্লগার সুলভ নয় ।
ভাষা চয়নের ক্ষেত্রে প্রত্যেকেই পারিবারিক সুশিক্ষার চাপ রাখবেন এমতই প্রত্যাশা ।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



গোল্ডেন এ প্লাস পাওয়াই প্রকৃত শিক্ষার মানদণ্ড নয়। চাই মেধার বিকাশ, চাই সুনাগরিক হয়ে জীবন গড়ার নিশ্চয়তা।

কৃতজ্ঞতা চিরদিনের জন্য লিটন ভাই।

ভাষা চয়নের ক্ষেত্রে প্রত্যেকেই পারিবারিক সুশিক্ষার চাপ রাখবেন এমতই প্রত্যাশা।

সহমত।

১২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭

কলমের কালি শেষ বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষন । খুবই দুঃখজনক এবং হতাশাজনক ।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


শুধু দুঃখ আর হতাশায় ভুগলেই হবেনা আমাদের পথ আমাদেরকেই বেছে নিতে হবে।

১৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: বলা হচ্ছে প্রশ্নপত্র ফাঁসে জন্য ফেসবুক দায়ী। কি হাস্যকর কথা। আগে যখন ফেসবুক ছিলনা তখন কি প্রশ্নপত্র ফাঁস হতো না? ফেসবুকে একটা প্রশ্নপ্রত্র শেয়ার করলে যেখানে হয়তো কিছু লাইক পাওয়া যায় কিন্তু ঐ অসাধু চক্র তো আর্থিক লাভবান হয় না। কিন্তু আমরা জানি অনেক অনেক টাকার বিনিময় হয় একটা প্রশ্নপ্রত্র নিয়ে। বাঙালির কাজই হলো না বুঝে লাফানো। আসল ব্যপার বাদ দিয়ে ফেসবুকের পেছনে লাগছে। আমি ফেসবুকের সাফাই গাইছি না, কিন্তু ফেসবুক কখনোই প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যম হতে পারে না।

পোষ্টে ভালোলাগা নিবেন।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ফেসবুকের উপর দোষ না দিয়ে যারা এর সাথে জড়িত পারলে তাদের শনাক্ত করে শাস্তি দেয়াই হবে কার্যকরী পদক্ষেপ।

১৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২২

সোহেল মাহমুদ বলেছেন: দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সার্বিক অবস্থা তুলে ধরেছেন।

আপনার অনেক অভিযোগের সাথে আমি একমত।

নতুন শিক্ষানীতিকে কার্যকর প্রমাণের জন্য ভূল সিদ্ধান্ত নিয়ে ভূল পথে হাটছে। খুব দ্রুত ভূল সিদ্ধান্ত পরিহার করে সঠিক পথে এগোনো দরকার এবং দরকার কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার।

বেশি বেশি পাশের হার দেখিয়ে একটা প্রজন্মকে এভাবে ধ্বংস করার তাদের কোন অধিকার নেই।

আর কর্তৃপক্ষকে পোস্টটি স্টিকি করার অনুরোধ করছি।

দৃস্টি আকর্ষণ; প্রথম মন্তব্যকারীর মন্তব্য অত্যন্ত রুচিহীন আশা করি উনার শুভবোধ হবে।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা সোহেল ভাই।

যারা এমন ধ্বংসাত্মক শিক্ষানীতি প্রণয়ন করছে তাদের উচিত পদ থেকে সরে দাঁড়ানো। অযোগ্য মানুষকে দিয়ে দেশের শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে দেয়াটাও কোন বুদ্ধিমানের মতো কাজ নয়।

১৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৬

আবু শাকিল বলেছেন: যুক্তিসংগত এবং সময়োপযোগী লেখা।

কাণ্ডারী ভাইকে সালাম এবং ধন্যবাদ।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আপনাকেও সালাম জানাই প্রিয় শাকিল ভাই।

কৃতজ্ঞতা রইল।

১৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৪

ডি মুন বলেছেন:
শুধু এইটুকুই বলি,

দেশকে মেধাহীন শুয়োরের পালে পরিণত লক্ষে এটা আমাদের উচ্চশিক্ষিত রুইকাতলাদের পরিকল্পিত একটা কাজ বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।

তা না হলে, প্রশ্ন ফাঁসের মতো ঘৃণ্য ঘটনার পুনরাবৃত্তি কীভাবে হয়!!!!


সাথে সাথে এটাও মনে হয় যে ----- এই সময়টাতে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার জন্যে সরকার বহির্ভূত অন্যান্য দলগুলো দেশব্যাপী র‍্যালি বা তথাকথিত হরতালের ডাক দিলো না কেন !!! তাদের কি ছেলেমেয়ে নেই !!!

শেষমেশ বলতেই হয়, সত্যিই সেলুকাস, এ এক আজব দেশ।



গুরুত্বপূর্ণ একটা পোস্টের জন্যে ধন্যবাদ ভাইয়া

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



রাজনৈতিক দল কি করছে বা না করছে তারচেয়ে বড় বিষয় হলো আমরা সাধারন জনতারা কি করছি। তারা কেন র‍্যালী বের করছেনা বা হরতাল আন্দোলন করছেনা ? আমাদের কারণেই তারা সরকার কিংবা বিরোধী দল নিযুক্ত হতে পারে।

মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা মুন।

শুভকামনা সব সময়ের জন্য।

১৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৬

শামীম সুজায়েত বলেছেন: প্রশ্নফাস নিয়ে দায়িত্বশীল কর্তাব্যক্তিদের শাস্তির বিষয়টির চেয়ে বেশি অভিযোগ তোলা হচ্ছে অভিভাবকদের প্রতি। কেনো অভিভাবকরা সন্তানের সামনে ফাস হওয়া প্রশ্ন দিয়ে দিলো?
কাজটা অবশ্যই অন্যায়। কিন্তু দোষটা তাদের ওপর চাপিয়ে বিতর্ক তৈরি করে আমরা সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে পাবোনা বলেই প্রতিয়মান হচ্ছে।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



সমাধান একটাই শামীম ভাই এইসব কাজে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে জড়িতদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করা।

১৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: জ্ঞানহীন মেধাহীন একদল শুকর আর সারমেয় বাড়ছে!

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


কিন্তু এই কাজটা করছে কারা ?

১৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০১

গোধুলী রঙ বলেছেন: এর প্রভাব এতটাই সুদুরপ্রসারী এবং সমাজকে তিলে তিলে নষ্টের দিকে নিয়ে যাচ্ছে এটা নিয়ে আমি শংকিত। তবে আফসোস সামনের সেসব দিন স্পষ্ট হবার আগেই হয়তো এই বুইড়া গাঞ্জাখোর গুলো বেঁচে থাকবে না।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




সহমত।

আর কত কাল আমরা ঘুমিয়ে থাকব !!!

২০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৩

নাসির ভাই বলেছেন: পোস্টে খুব সুন্দর ভাবে সব উঠে এসেছে। ধন্যবাদ ভ্রাতা

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভ্রাতা কৃতজ্ঞতা জানবেন।

২১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৩

আলম দীপ্র বলেছেন: বাহ ! অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট । সুন্দর উপস্থাপন তার সাথে সুন্দর বিশ্লেষণ ।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



সুন্দর ও সুস্থ বাংলাদেশ দেখার প্রত্যয়ে .... আশাবাদী।

২২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আসলে কাণ্ডারি ভাই দেশে এখন শিক্ষা ব্যাবস্থা নেই। আছে শিক্ষা অব্যাবস্থা অথবা কুশিক্ষা ব্যাবস্থা। ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা শেষে এই নিয়ে লিখেছিলাম তথাকথিত শিক্ষাব্যবস্থা, বাস্তবতা এবং আমাদের অতল গহবরে ডুবে যাওয়া।

যে দেশে ডিগ্রী আর অর্থ উপার্জনই শিক্ষা লাভের একমাত্র মিশন এবং ভিশন; সেই দেশে শিক্ষা ব্যাবস্থা এরকমই হওয়ার কথা। আমরা শুধু দর্শক হয়ে দেখে যাব, নাথিং টু ডু... :(

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


সুপ্রিয় ভ্রাতা আমার শুধু দেখেই যাব আর নিজেরা ধ্বংস হয়ে যাব এটা ভাবতে খুব কষ্ট হয়।

উই মাস্ট নীড সামথিং টু ডু... :(

২৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪

রাবার বলেছেন: চরম হতাশার :(

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



এই হতাশা কাটবে কবে ?

২৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫

তুষার কাব্য বলেছেন: তথ্য সমৃদ্ধ ব্যাপক গবেষনা মুলক পোস্ট।অনেকগুলো মূল্যবান পয়েন্ট তুলে এনেছেন বিস্তারিত আলোচনায়।আসলে অনেক কিছুই করার আছে কিন্তু কি করছি আমরা ।একরাশ দীর্ঘশ্বাস :|| :|

ভালো থাকুন।শুভেচ্ছা

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আসলে অনেক কিছুই করার আছে কিন্তু কি করছি আমরা ।একরাশ দীর্ঘশ্বাস।

:( :( :(

২৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৩

জনসাধারণের মধ্যে একটি মলিন পট্টবস্ত্র বলেছেন: মেরুদণ্ডহীন সমাজ ব্যাবস্থা তৈরি করার জন্য এর চেয়ে ভালো কোন পদক্ষেপ নেই। প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার পরেও শিক্ষা মন্ত্রীর অস্বীকার বরাবরি মনে করিয়ে দেয় এটাতো কোন ষড়যন্ত্র নয়?

প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া একটি নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তা রোধের ব্যাবস্থা না করে ফেসবুক বন্ধ রাখার বিষয় কেবলি হাস্যকর একটা বিষয় ছাড়া আর কিছুই না।
ভালো লাগলো পোষ্ট।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়া এটাই প্রমান করে ষড়যন্ত্র চলছে মেরুদণ্ডহীন সমাজ ব্যবস্থা তৈরি করার জন্য।

২৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০৪

গোল্ডেন গ্লাইডার বলেছেন: ্পোলাপানের কি দোষ :(

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


পোলাপানের দোষ নারে ভাই ! দোষ আমাদের।

২৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৯

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড- এই কথাটা আমাদের দেশে একটা এখন স্রেফ একটা রসিকতা! এর জন্য আমাদেরকে অনেক মূল্য দিতে হবে। অনেক দিক দিয়েই হয়ত আমরা এগুচ্ছি, আবার যে ডালে বসে থাকি, সেইটার গোড়াও দা দিয়ে কাটতে বসে গেছি! :(

আপনার পোস্ট একটা খুব চমৎকার কাজ হয়েছে! সবাই সবার জায়গা থেকে যৎসামান্য প্রতিবাদটুকুও যদি ঠিকঠাক করতে পারতাম!

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




প্রতিবাদ করতে না পারার কারণেই কিন্তু আজ এত দুর্দশা।

২৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৫

সোহানী বলেছেন: এমন একটি পোস্ট আশা করছিলাম... আপনি লিখলেন বলে অসংখ্য ধন্যবাদ ব্রাদার কান্ডারি।

কি বলবো বলেন, পৃথিবীর উন্নত বিশ্ব একটি এরিয়াতে মারাত্বক গুরুত্ব দেয় তা হলো শিশুদের শিক্ষা কারন এরাই ভবিষ্যত পৃথিবী শাসন করবে..... অথচ দেখেন আমরাই ওদের ধ্বংসের দিকে ঠৈলে দিচ্ছি। এটুকু বোঝার ক্ষমতা আমাদের শিক্ষা মন্ত্রীর নেই.. উল্টো বলে ফেইসবুক/ইউটিউব বন্ধ করলে প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ হবে....... কি হাস্যকর অবস্থা !!! প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করার জন্য কি করা উচিত তাও তিনি জানেন না।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ধন্যবাদ আপু।

সত্যি খুব হাস্যকর এবং অবশ্যই দুঃখজনক।

২৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২০

এহসান সাবির বলেছেন: ভালো পোস্ট দিয়েছেন।


শুভ কামনা রইল।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ধন্যবাদ সাবির ভাই সাথে থাকার জন্য।

৩০| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১১

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:

শিক্ষা ব্যাবস্থা শেষ হওয়ার আর বাঁকি কিছু নেই।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ঠিক বলেছিস। কিন্তু আমরা কেন নিরুপায় থাকব ?

৩১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২৮

ব্লগ পাঠক বলেছেন: ভালো লাগা রইল।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ধন্যবাদ ব্লগ পাঠক আপনাকে সাথে থাকার জন্য।

৩২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৩

জুন বলেছেন: মলিন পট্টবস্ত্রের মত আমিও বলি কান্ডারি । প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া একটি নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তা রোধের ব্যাবস্থা না করে ফেসবুক বন্ধ রাখার বিষয় কেবলি হাস্যকর একটা বিষয় ছাড়া আর কিছুই না।
আমাদের দেশের হাল ধরার কোন কান্ডারি আছে বলে এখন আর বিশ্বাস হয়না।
+

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



জুন আপু আমিও আপনার সাথে একমত। আমারও মনে হয়না হাল ধরার জন্য এখন উপযুক্ত কাউকে পাওয়া যাবে। যদি পাওয়া যায়ও তাহলে দেখবেন পেছন থেকে তার পা টেনে ধরা হবে।

৩৩| ২৭ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দেশের মানুষ আজ ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, শিক্ষাব্যবস্থায় তারা আমূল পরিবর্তন এনেছেন। কিন্তু বাস্তবিক চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। বর্তমানে পরীক্ষার্থীদের হাতে প্রশ্নপত্র পরীক্ষার আগেই পৌঁছে যাচ্ছে। সরকারের সকল তদন্তই অর্থহীন। কোনো তদন্তের কোনো কিছুই দেশের মানুষ জানতে পারছেনা। মূলত প্রশ্ন যেখানে ছাপা হয় এবং যেখান থেকে বিতরণ করা হয় সেখানেই প্রশ্ন ফাঁসের মূল আস্তানা। এ দুটির সঙ্গেই সরকার এবং সরকারি কর্মকর্তারা সামগ্রিকভাবে জড়িত। অথচ পরিতাপের বিষয় তদন্ত হয় ফেসবুক নিয়ে।

তাহলে কি এই ক্ষেত্রে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে না? বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা মেধার বিকাশের বদলে মেধা শূণ্য হয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত। চলছে মেধাহীন, মেরুদন্ডহীন জাতি তৈরি করার গভীর ষড়যন্ত্র।


ভাবতেও ভয় হয়- এই জেনারেশন যখন প্রশাসনে যাবে, সিভিস সার্ভিসে যাবে- কি হাল হবে তখন!!!??

এখনকার মেধাঘাটতি যেমন ৭২ ব্যাচের জন্য বোঝা যায়- তখনও বোধকরি তেমনি সবাই ঐ জেনারেশনকেও দেখিয়ে এই সময়ের ব্যর্থতার, অপরাজনীতি, আত্মঘাতি জাতি ধ্বংসের নীতি কিভাবে একটা ব্যর্থ সরকাররে হাতে বাস্তবায়িত হয়েছিল তা ভেবে শিউরে উঠবে!!!!!!!!!!

০১ লা জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাবতেও ভয় হয়- এই জেনারেশন যখন প্রশাসনে যাবে, সিভিস সার্ভিসে যাবে- কি হাল হবে তখন!!!??

এখনকার মেধাঘাটতি যেমন ৭২ ব্যাচের জন্য বোঝা যায়- তখনও বোধকরি তেমনি সবাই ঐ জেনারেশনকেও দেখিয়ে এই সময়ের ব্যর্থতার, অপরাজনীতি, আত্মঘাতি জাতি ধ্বংসের নীতি কিভাবে একটা ব্যর্থ সরকাররে হাতে বাস্তবায়িত হয়েছিল তা ভেবে শিউরে উঠবে!!!!!!!!!!


একই ভাবনা আমারও বিদ্রোহী ভৃগু ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.