নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূণ্যতা থেকে শূণ্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূন্যতা থেকে শূন্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

কান্ডারি অথর্ব

আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।

কান্ডারি অথর্ব › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবহেলিত এক আইনের ফোঁকরে ক্ষতিকারক প্লাস্টিক ব্যাগ

২৬ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:০৬




১৮৫২ সালে আলেকজান্দার পার্ক নামের এক উদ্ভাবক নাইট্রো-সেলুলোজ, প্লাস্টিসাইজার ও অন্য দ্রাবক পদার্থের মিশ্রণে প্লাস্টিক তৈরি করার পর থেকে আজ অবধি তৈরিকৃত কোনো প্লাস্টিকই পঁচে বা নষ্ট হয়ে যায়নি। প্রকৃতিতে সরাসরি এখনও সেই প্লাস্টিকগুলো বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় রয়ে গেছে। প্লাস্টিক পুরোপুরি নষ্ট হতে আনুমানিক কমপক্ষে ৫০০ থেকে ১০০০ বছর সময় লাগে।

প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা দেশের মধ্যে আছে ব্রাজিল, ভুটান, চীন, কেনিয়া, রুয়ান্ডা, সোমালিয়া, তাইওয়ান, তানজানিয়া, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা, ভারত ইত্যাদি। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন রাজ্যে এখন প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ। এ তালিকা প্রতিবছরই বাড়ছে। অথচ তারাই ছিলো পৃথিবীর সর্বাধিক প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহারকারী দেশ। ২০১১ সালের ১ জানুয়ারি প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ করে ইতালি। এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোসাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (এসডো) উদ্যোগে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে পলিথিন বিরোধী আন্দোলন হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ১৭ টি দেশে পলিথিনব্যাগ নিষিদ্ধ করা হয়। ২০১৫ সাল নাগাদ পুরো ইউরোপে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ হবে।

প্লাস্টিক ব্যাগ মূলত বিভিন্ন জৈব ও অজৈব আঠা যেমন রং, প্লাস্টিসাইসার, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য ধাতু থেকে তৈরি। কলকারখানার ক্ষার জাতীয় পদার্থ যা প্লাস্টিক ব্যাগগুলিকে উজ্জ্বল রং করে দেয়। এদের মধ্যে কিছু খাদ্যে বিষক্রিয়া ঘটায়। রং এর মধ্যে থাকা ভারি ধাতব যেমন ক্যাডমিয়াম স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।বর্জ্য পদার্থ যেমন ক্যাডমিয়াম , সীসা যখন প্লাস্টিক ব্যাগগুলি তৈরীর সময় ব্যবহৃত হয় সেগুলি খাদ্যে মিশে বিক্রিয়া ঘটায়। অল্প পরিমাণে নেওয়া ক্যাডমিয়াম বমি ভাব, হৃদপিণ্ড বড় হওয়ার প্রবণতা তৈরি করে। দীর্ঘ দিনের ব্যবহারে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়।

প্লাস্টিক ব্যাগ যদি ঠিকমত ফেলা না হয় তাহলে তারা ড্রেনে চলে যায়, তার ফলে ড্রেন বন্ধ হয়ে যেতে পারে, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হবে এবং জল বাহিত রোগ ছড়াবে।পুনর্ব্যবহৃত বা রঙীন প্লাস্টিকে এমন কিছু রাসায়নিক থাকে যা মাটির তলায় গিয়ে মাটি এবং জলকে দূষিত করে। পুনর্ব্যবহারের জন্য যে সব প্রযুক্তি কারখানাগুলিতে ব্যবহার হচ্ছে তা পরিবেশের দিক থেকে যথাযথ না হলে প্রস্তুতির সময় যে বিষাক্ত গ্যাস উত্‌পন্ন হবে তা পরিবেশদূষণ আরো বাড়াবে। কোনো কোনো প্লাস্টিক ব্যাগে খাবারের টুকরো থেকে যায় বা অন্য আবর্জনার সাথে মিশে যায় এবং পশুরা খেয়ে ফেলে, এর ফলাফল খুবই ক্ষতিকর।প্লাস্টিক যেহেতু পরিবেশের সাথে মিশে যায় না এবং অভেদ্য বলে জলকে মাটির তলায় পৌঁছনোর ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়াও, উন্নতমানের প্লাস্টিকের জিনিষ এবং যে সমস্ত প্লাস্টিককে রঞ্জক ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে দিয়েও স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়ে।

আমাদের দেশে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ আইন দ্রুত কার্যকরে সরকারকে সচেতন ভুমিকা পালন করতে হবে। প্লাস্তিক ব্যাগ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমুলুক শাস্তি দিতে হবে। প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে পাটের ব্যাগ, কাপড়ের ব্যাগসহ সহজলভ্য ও পরিবেশবান্ধব ব্যাগ ব্যবহারে জনগণকে উৎসাহিত করতে হবে।



বাংলাদেশে ২০০২ সালে প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। আইনানুসারে সকল প্রকার প্লাস্টিক শপিং ব্যাগের উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাতকরন, বিক্রয়, বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন, মজুদ বিতরন বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিবহন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো। নামানো হয়েছিলো ভ্রাম্যমান আদালত। মোটামুটি সেই সময় ভালই সারাও পাওয়া গিয়েছিলো। প্লাস্টিক ব্যাগ এর বিপরীতে পরিবেশসম্মত পাটের ব্যাগ ব্যবহার করার কথা হয়েছিলো। কিন্তু বাজার থেকে এই দীর্ঘ একযুগ পরে এসেও প্লাস্টিক ব্যাগ যেমন পুরোপুরি উঠে যায়নি, তেমনি জনপ্রিয় হয়নি পাটের ব্যাগ। যদিও এখন নেটের ব্যাগ ব্যবহৃত হয়ে আসছে কিন্তু হরদম ব্যবহৃত হচ্ছে প্ল্যাস্টিকের ব্যাগ। যার উপর কোন নিয়ন্ত্রন নেই সরকারের পক্ষ থেকে।

২০১০ সালে পুরান ঢাকার নিমতলিতে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১২৫জন মানুষ মারা যায়। আর এই অগ্নিকাণ্ডের জন্য দায়ি ছিল অবৈধভাবে গড়ে ওঠা প্লাস্টিক কারখানায় ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থের গুদাম।

২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে পণ্যে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক আইন ২০১০ গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। আইনে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্যের মোড়ক হিসেবে ৭৫ শতাংশ পাট আছে এমন উপাদান দিয়ে তৈরি মোড়ক ব্যবহারের বিধান রাখা হয়। অথচ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে সাশ্রয়ী ও সহজলভ্যতার কারণে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য চালের মোড়কজাতকরণে ৮০ শতাংশ প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার হয়ে আসছে।

আমাদের পাশের দেশ ভারতে ২০১১-১২ সালে পাটজাত দ্রব্য উৎপাদন করে নিজেরা ব্যবহারের পর রফতানি করেছে প্রায় ৭৫ মিলিয়ন কোটি টাকার। সরকারি সহায়তা, উন্নত প্রযুক্তি, উদ্ভাবনী ক্ষমতা ইত্যাদির কারণে ভারতের এই সাফল্য।

অথচ, আমাদের দেশে পাটকে বলা হতো একসময় সোনালী আঁশ তার বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সুনামের কারণে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় পাটের উৎপাদন না বেড়ে বরং বন্ধ হয়ে গেছে এই শিল্পের সাথে জড়িত অনেক কারখানা।

সারা বিশ্বে বর্তমানে ৫০০ মিলিয়ন থেকে এক ট্রিলিয়ন পাটের ব্যাগের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন ও পাটকলগুলো তা কাজে লাগাতে পারছে না। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বছরে মাত্র ১২ লাখ পাটের ব্যাগ রফতানি হয়ে থাকে। ২০১৫ সাল নাগাদ ইউরোপে প্লাস্টিক ব্যাগ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে ইউরোপসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের পাটের ব্যাগ রফতানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।

সুদীর্ঘ একযুগ আগে দেখা স্বপ্ন কি বাস্তবতার রুপ দেখবে আদৌ ?

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:৪৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার এবং দরকারী পোস্ট। ২০০১ সালের দিকে পলেথিন বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হয়েছিল। তখন অন্তত ঢাকার বাজারে পাওয়া না গেলেও এখন ঢাকার বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। বুড়িগঙ্গায় নিচে তো মনে ছয় সাত ফুট পলেথিন পাওয়া যাবে।

যাইহোক, এই আইন আরো কঠোর ভাবে এপ্লাই করা হোক।

তবে ইয়ে মানে বর্ষাকালে মোবাইল আটে এমন পলেথিন না পাওয়া গেলে ঝামেলা হয়ে যাবে ;) :P 8-| 8-| B-)

২৬ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


সুপ্রিয় কা_ভা ভাই এখন বুড়িগঙ্গাকে পানির বদলে বলতে হবে পিলিথিনের নদী। আইন আছে, চাই সেই আইনের কঠোর প্রয়োগ।

ওয়াটার প্রুফ ব্যাগ ব্যবহার করা যেতে পারে মোবাইল সুরক্ষায়। অথবা বর্ষাকালে সর্বক্ষণ সাথে ছাতা রাখা যেতে পারে। বুঝেছেন ছাতা রাখতে হবে সাথে। ;) :P B-))

২| ২৬ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:২৫

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: অসাধারণ একটি পোস্ট --- চোর না শোনে ধর্মের কাহিনী --- নিষিদ্ধ হলেও আমরা আবার সিন্ধ করে নিয়ে পলিথিন আবারো ব্যবহার করছি

২৬ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:৩০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আপা বর্তমানে আইন যেভাবে ব্যাক্তিগত সার্থ রক্ষা করে চলেছে তাতে করে চোর কেন প্রশ্রয় পাচ্ছে ডাকাতরাও। সেখানে জনসচেতনতা জিম্মি হয়ে পড়ছে আইনের মার প্যাঁচে।

৩| ২৬ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:৪৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: বাংলাদেশে আইন আছে কিন্তু তার যথাযথ প্রয়োগ নেই। কারন যারা গলাবাজী করে আইন পাস করায়, পরবর্তিতে তারাই আবার সেই আইনকে ভঙ্গ করে। হায়রে ডিজিটাল দেশ!!

২৭ শে মে, ২০১৫ সকাল ৯:১৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আইন আছে প্রয়োগ নেই। আবার দেখা যায় নিজ স্বার্থে আইন বদলে যেতেও।

৪| ২৬ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:২০

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:

সময়োপযোগী ও জনসচেতনামূলক পোস্ট।+++

কর্তৃপক্ষের বোধোদয় হবে কি? আমরাওতো পলিথিন ব্যবহার করছি।

২৭ শে মে, ২০১৫ সকাল ৯:১৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


কর্তৃপক্ষের বোধোদয় হবে কি?

৫| ২৬ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:৩৭

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
সমাধান হল প্লাটিকেরচেয়ে সহজ লোভ্য, সস্তা ও ইউজারফ্রেন্ডলি কিছু একটা বাজারে আসতে হবে, তা না হলে বর্তমানে যে অবস্থা তাতে প্লাস্টিক এ্যভয়েড করা প্রায় অসম্ভব !!

২৭ শে মে, ২০১৫ সকাল ৯:১৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অসম্ভব বলে কিছু নেই ভাই। স্বদিচ্ছা থাকাই যথেষ্ট।

৬| ২৬ শে মে, ২০১৫ রাত ১০:৪৮

অরুদ্ধ সকাল বলেছেন: এই নিষিদ্ধ পলি লইয়াই তো এতকাল চলিতেছে। শৈশবে দেখিতাম চটের ব্যাগ এখন আর নাই

২৭ শে মে, ২০১৫ সকাল ৯:১৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


শৈশব কৈশোর পার করে এখন যৌবন যাবার পালা কিন্তু আমাদের নৈতিকতা শুধ্রাবার নয়।

৭| ২৬ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:২৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: প্লাস্টিক, পলিথিন, পলিভিনাইল এজাবৎ আবিষ্কৃত সবচেয়ে ইন্ডাষ্ট্রি ফ্রেন্ডলি সস্তা সহজলোভ্য কার্যকর পদার্থ।
ম্যানুফ্যাকচার জগতের প্রায় সকল প্রডাক্টেই প্লাস্টিকজাতের বিপুল ব্যাবহার। এর বিকল্প এখনো চিন্তাই করা যায়নি।
সকল ফুড প্রডাক্টের মোড়ক
সকল ফার্মাসিটিকলস প্রডাক্টের মোড়ক
ব্লাড, সেলাইন পাইপ, সিরিঞ্জ, ইত্যাদি ফিটিংস।
সকল বিদ্যুত কেবলস, সর্বপ্রকার সুইচগিয়ার
মোবাইল, টিভি, পিসি সহ সকল ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসে ও সার্কিট, মাইক্রোপ্রসেসরে প্লাস্টিকের বিকল্প নেই।
পানি সর্বরাহ পাইপ ও ফিটিংস, সুয়ারেজ পাইপ, ওয়াসার সার্ভিস পাইপ।
সবচেয়ে বেশী ব্যাবহার PET বোতল (কোক,পেপ্সি মজু, ফ্রুটিকা, মাম্পানি, ডাইল)
এখন সিমেন্ট, সার, ও ভারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্যাকিংএও পলি বা পিভিসি ব্যাবহার হচ্ছে।
বাংলাদেশ থেকে বিলিয়ন টন গার্মেন্ট এক্সপোর্ট প্রডাক্টের প্রতিটি শার্ট-পেন্ট পলিথিন মোড়কে।

সুতরাং গরীব তরকারিওয়ালার পলিথিন আটকাইতে পারবেন কিন্তু বাকিগুলো কখনোই বন্ধ করতে পারবেন না।
এসব বন্ধ না করে বরং দক্ষতার সাথে ব্যবহার ও রিসাইকেল করতে হবে।
উন্নত দেশের মত ময়লাওয়ালা দের দুই ভান্ড (সাধারন ও প্লাসটিক জাত) যাতে রিসাইকেলের জন্য দিতে পারে, বর্তমানে এসব আলাদা করতে তাদের ময়লার ভেতর অনেক কষ্ট করতে দেখেছি।
দেশে অনেক রিসাইকেল প্রডাক্ট ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠেছে, প্লাস্টিকের ফার্নিচার, দরজা জানালা, ম্যালামাইন সহ বহু প্রডাক্ট আসছে।

২৭ শে মে, ২০১৫ সকাল ৯:১৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আপনি যে সমস্ত প্রডাক্টের উদাহরন টেনেছেন তার মধ্য থেকে পেট বোতল শুধু মাত্র ব্যবহারের পর আমরা যত্রতত্র ফেলে দেই। যা মাটিতে মেশে না। অন্যান্য প্রডাক্টগুলো নিত্য ব্যবহার্য যা আবর্জনা হিসেবে ফেলে দেয়া হয় না। এই পোস্টে শুধু মাত্র প্লাস্টিক ব্যাগের কথাই বলা হয়েছে। শুধু গরীব তরকারি ওয়ালাই কেন দামী দামী শপিং মলে ঘুরে বেড়ানো আপা মনিরাও প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার করে থাকেন। চেয়ার টেবিল কিংবা কোন ওয়াসার পাইপ ড্রেনেজ ব্যবস্থায় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় না কিংবা বুড়িগঙ্গা নদীর পানি দূষণ করেনা; এর জন্য দায়ী একমাত্র এই প্লাস্টিকের ব্যাগ।

তাই যেহেতু ২০০২ সালে একটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে সেই আইনের বাস্তবায়ন হওয়া দোষণীয় নয়। সারা পৃথিবী জুড়ে যেখানে পরিবেশের ক্ষতির কথা ভেবে প্লাস্টিক ব্যাগ বন্ধ হচ্ছে সেখানে আমরা কেন পিছিয়ে থাকব ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়ে।

৮| ২৬ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:৫৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমি থাকি পুরাতন ঢাকায়, এখানকার লালবাগ, ইসলামবাগ, উর্দুরোড, কামরাঙীরচর প্রভৃতি এলাকাগুলোকে কেন্দ্র করেই প্লাস্টিক আর পলিথিন ব্যবসা ছড়িয়ে আছে সারা দেশ জুড়ে। ২০১১'তে পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধের পর অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে দেখেছি। কিন্তু গত বছর দুয়েক ধরে আবার নতুন করে পলিথিন উৎপাদন শুরু হয়েছে। আসলে পলিথিনের ব্যবহার কমাতে হলে দরকার সরকারী উদ্যোগের সাথে জনসচেতনতা। আমার মনে হয় দ্বিতীয়টি বেশী কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম। গত মার্চ মাসে খাদ্য পাত্র হিসেবে প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ে লিখেছিলাম এই পোস্টটি, পড়ে দেখতে পারেন। খাদ্য পাত্র, ফুড গ্রেড প্লাস্টিক এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি - কতটুকু সচেতন আমরা?

জনগুরুত্বপূর্ণ এই পোস্টের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

২৭ শে মে, ২০১৫ সকাল ৯:২২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


২০১১ তে নয় ২০০২ সালেই প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ করার আইন হয়। যার সফল প্রয়োগ সেই সময় হয়েছিলো। কিন্তু কালের খেয়ায় সব পরিবর্তিত হয়ে গেছে।

যাই হোক এই ক্ষেত্রে সরকারের উদ্যোগ নেয়া উচিত জনসচেতনতায়।

আপনার পোস্টটি সময় করে পড়তে হবে ভাই। অনেক তথ্য বহুল এবং গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট লিখেছেন।

মন্তব্যে ভাল লাগা রইল।

৯| ২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ১:০০

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আইনতো আছেই,নেই প্রয়োগ।। যা ঘুড়িয়ে বলা যায়,কাজীর গরু কিতাবে আছে,কিন্তু গোয়ালে নেই।। আমরা এখানেও একটি নূতন আইনের প্রয়োগ হওয়ার পর প্রথম প্রথম ঢিলেঢালা ভাবেই চলে।। তারপরই আইন তার গতি ফিরে পেলে,বন্ধ হয়ে যায় ভাঙ্গার প্রবনতা।।
কিন্তু আমাদের দেশে এর উল্টো দেখা যায়।। যেন আমরা নচীকেতার উল্টোরাজার দেশে উল্টোরথেই পিছনে গড়াচ্ছি।।

২৭ শে মে, ২০১৫ সকাল ৯:২৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাই শুধু প্লাস্টিকের ব্যাগ কেন চোখে কালো কাপড় বেঁধে আমরা সর্ব ক্ষেত্রেই উল্টো পথে যাচ্ছি।

১০| ২৭ শে মে, ২০১৫ সকাল ১০:৩০

জুন বলেছেন: সুদীর্ঘ একযুগ আগে দেখা স্বপ্ন কি বাস্তবতার রুপ দেখবে আদৌ ?
আমাদের মত সচেতন মানুষ ও কিন্ত বাজারে গিয়ে পলিথিন খোজে কেনা কাটার সময় ।
অত্যন্ত জনগুরুত্ব পুর্ন পোষ্ট কান্ডারী ।
+

০১ লা জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


সেটাই আপা।

মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১১| ২৭ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০

তুষার কাব্য বলেছেন: চমৎকার একটা পোস্ট কাণ্ডারি ভাই। কিন্তু কথা হল আমরা কি আদৌ আমাদের/সামগ্রিকভাবে দেশের কথা ভাবি ? সবাই তো নিজের আখের গোছাতেই ব্যাস্ত ! তাইতো কয়েকবছর আগে পলিথিনের ব্যাবহার নিষিদ্ধ হলেও পলিথিনের অবাদ ব্যাবহার কমেনি তাতে।

শুভেচ্ছা ভাই।

০১ লা জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাই আমরা যদি সামগ্রিক ভাবে আমাদের দেশের কথা ভাবতাম আজকে এতটা অবক্ষয় দেখতে হত না।

মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১২| ২৭ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:৪০

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: একটা সময় যথেষ্ট সচেতনতা দেখা গেলেও এখন তা নেই বললেই চলে।
আচ্ছা "হাতল ছারা পলিথিন ব্যাগ পরিবেশ বান্ধব" এই ফর্মুলা(মুলা) কার বলতে পাড়েন কান্ডারি ভাই?


"মেঘ না চাইতে ভাড়ি বর্ষণ" - ব্যাখ্যা নিষ্প্রয়োজন

ধন্যবাদ প্রিয় কান্ডারি

০১ লা জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


কেমন আছেন আপনি ভাই ?

১৩| ২৭ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার পোস্ট কাণ্ডারি ভাই। দীর্ঘদিন পর আপনাকে ব্লগে দেখে ভালো লাগলো।

০১ লা জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ধন্যবাদ হামা ভাই। মন্তব্যে অনেক ভাল লাগা রইল।

আপনাদের মাঝে ফিরে এসে আমারও ভালই লাগছে।

১৪| ২৭ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৫:০২

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: আমরা যদি প্লাস্টিক ব্যবহার না করি তাহলেই হলো । তাবে মনে হয় ভাই প্লাস্টিক নিয়ে আমাদের একবার মানবন্ধনে নামা
উচিৎ । সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরেছেন । এখন সময় আছে আমাদের সচেতন হওয়ার ।প্রয়োজনে প্লাস্টিক বন্ধ করে পাটশিল্পকে
জাগিয়ে তোলা যায় ।

০১ লা জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


মানব বন্ধন করতে কেউ চাইবে কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহ আছে। যেভাবে পুলিশি বাঁধা আসে !!!!!! :( :( :(

১৫| ০১ লা জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:০২

দীপান্বিতা বলেছেন: খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় ...

০১ লা জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমাদের সচেতনতাই পাল্টে দিতে পারে পুরো দেশের চিত্র।

১৬| ১০ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:৪৮

এহসান সাবির বলেছেন: ভালো পোস্ট।

শুভ কামনা।

০৫ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:০২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ধন্যবাদ সাবির ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.