নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূণ্যতা থেকে শূণ্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূন্যতা থেকে শূন্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

কান্ডারি অথর্ব

আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।

কান্ডারি অথর্ব › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিস্টার হেরা

১১ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১:১২




রাতের বেলা অফিস থেকে ফেরার পথে ঝুম বৃষ্টিতে ভিজে ফয়েজের প্রচন্ড মাথা ধরেছে। প্রতিদিনই অফিসের কাজ শেষে বাড়ি ফিরতে তার রাত হয়। আজকে বৃষ্টির জন্য গাড়ি পেতে দেরী হওয়াতে রাতটা একটু বেশীই হয়ে গেছে। আদা লেবু দিয়ে এক কাপ রং চা খেলে হয়ত ভাল লাগত। কিন্তু রত্নাকে চায়ের কথা বলার সাহস তার হচ্ছেনা। বিছানায় গাল ফুলিয়ে বসে আছে। এভাবে গাল ফুলিয়ে বসে থাকলে রত্নাকে মনে হয় যেন একটা গ্যাস বেলুন সুতা দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। সুতা ছিঁড়ে দিলেই বাতাসে উড়ে যাবে। আজকেও ফয়েজ ফেরার পথে হিজাব কেনার কথা ভুলে গেছে। সেই কবে থেকে রত্না তাকে হিজাব কিনে দেয়ার জন্য বলছে। কিন্তু প্রতিদিনই সে ভুলে যায় হিজাব কেনার কথা। তাছাড়া সে যখন অফিস থেকে বের হয় তখন আর মার্কেট খোলা থাকেনা। অবশ্য সে বেশ কয়েকদিনই ভেবেছে অফিস থেকে একটু আগে বের হয়ে মার্কেটে যাবে। কিন্তু তার এখনও সেই সময় সুযোগ আর করে উঠা হয়নি অফিসের কাজের চাপে।

টেলিভিশনে সিস্টার হেরার টক-শো চলছে। রত্না গভীর মনোযোগ দিয়ে সিস্টার হেরার কথা শুনছে। এমন মনোযোগ দিয়ে কোন স্ত্রী তার স্বামীর কথাও শোনে কিনা সন্দেহ আছে। এভাবে যদি কোন স্ত্রী তার স্বামীকেও পীর ভাবত এতদিনে দেশটা সুখি দম্পতীদের অভয়ারণ্যে পরিনত হয়ে যেত। এইসময়ে ডিসকভারি চ্যানেলে সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির উপর খুব চমৎকার একটা প্রোগ্রাম হয়। এইটা দেখার জন্য ফয়েজ সব সময় মুখিয়ে থাকে। কিন্তু আজকে আর সেই সুযোগ হচ্ছেনা তার। বাধ্য হয়ে শরৎ সমগ্র নিয়েই তাকে বসতে হলো। বহুবার চরিত্রহীন উপন্যাসটা সে পড়েছে। সতীশ-সাবিত্রী দুজন-দুজনকে ভালোবাসলেও তাদের মিল দেখান হয়নি। সাবিত্রী বিধবা। তার দৃষ্টিতে তখনকার সামাজিক পটভূমিতে এই প্রেম অনৈতিক। তাছাড়া সতীশের সমকক্ষ পবিত্রতা তার নেই। তার দৃষ্টিতে বিচ্ছেদের মাধ্যমে সরোজিনীর সাথে সতীশের বিয়ে দিয়ে নিজেকে মহিয়সী নারী রুপে প্রতিষ্ঠিত করা। খুব নিম্ন পরিবেশে অঙ্কিত চরিত্রগুলো মহিয়সীর রুপ লাভ করেছে শরৎ উপন্যাসে। তারপরেও সাবিত্রী চরিত্রটা তাকে খুব টানে।

বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে আধুনিক এবং সাহসী লেখক খুব সম্ভবত শরৎচন্দ্র। নারী-পুরুষের মধ্যকার জৈবিক সম্পর্কের টানা-পোড়েন নিয়ে সাহিত্যে তার চিন্তার বিচরণ, বিচক্ষণতা অতুলনীয় এবং বাস্তব সম্মত। বস্তুত এমন কিছু দিক আছে যা আমরা বাস্তবে সহজ ভাবে মেনে নিতে না পারলেও, শরতের সাহিত্যে সেগুলো সানন্দেই গ্রহন করে নিয়েছি।

দর্পচূর্ণের সেই স্বামীকে দেবতার আসন থেকে নামিয়ে জৈবিক চাহিদার তাড়নায় তাচ্ছিল্য করতে দেখা গেছে। দেবদাসে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে ছুটে যেতে দেখা গেছে পতিতালয়ের নর্তকীর কাছে। চরিত্রহীনে দেখা গেছে কাজের মেয়ের প্রতি আসক্তির। তবে সব কিছু ছাড়িয়ে এইসব সাহিত্যে স্থান করে নিয়েছে মূলত প্রেম এবং প্রেমের পরিণতি হিসেবে বিচ্ছেদ। তবে কিছু কিছু বিচ্ছেদ যে প্রেমকে অমর করে তোলে সেটাই মূল উপজীব্য বিষয় শরৎ সাহিত্যের।

কবি জীবনানন্দের ভাষায় শরৎ সাহিত্যে ঠিক যেন, হাজার বছর ধরে পথ চলার পর কারও কাছে দুদন্ড শান্তি পাওয়ার গল্পই উঠে এসেছে। আমাদের প্রেম-ভালোবাসাগুলো আজও ঠিক এমনই। আমরা দুদন্ড শান্তির নেশায় পথ হেটে চলি।

“আমি মাদার তেরেসার মতো মানব সেবা মূলক কর্মকান্ডে বেশি বেশি নিজেকে সংযুক্ত করতেই বেশি পছন্দ করি।“

হঠাৎ কথাটা কানে আসতেই ফয়েজ শরৎ থেকে মুখ ফিরিয়ে আগ্রহ নিয়ে টেলিভিশনের দিকে তাকায়। কথা হচ্ছিলো নারীর অধিকার নিয়ে। নারীকে তার অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। একজন নারী হয়ে উঠতে পারে একজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা। এখনত অনেকেই নিজের বুটিক হাউজ দিচ্ছে, বিউটি পার্লার দিচ্ছে। এইজন্য ব্যাংক থেকে সহজ শর্তে ঋণ সুবিধাও পাওয়া যাচ্ছে। এমন নারী উদ্যোক্তাদের পাশে সব সময়েই সিস্টার হেরা স্বপ্রণোদিত হয়ে এগিয়ে আসেন। তাছাড়া সমাজের অসহায় দুঃস্থ নারীদের জন্য তিনি খুলেছেন সমবায়-সমিতি। এখানে যে কেউ চাইলেই সঞ্চয় করতে পারে। সমিতি থেকে সহজ শর্তে ঋণ দেয়ার ব্যবস্থাও তিনি রেখেছেন।

ফয়েজ ভাবে, বাহ ! বেশত সিস্টার হেরার এমন মানব সেবা মূলক কর্মকান্ড। সিস্টার হেরার কিছু কর্মকান্ডের ভিডিও ফুটেজ দেখান হচ্ছে। সেখানে সরকারের অনেক মন্ত্রীদের সাথেই তার হাস্যউজ্জ্বল উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেল। সামনের কোন নির্বাচনে দাঁড়াবার প্রত্যাশাও ব্যাক্ত করলেন তিনি।

সিস্টার হেরাকে দেখার পর ফয়েজের বুঝতে আর বাকি রইলনা; তার স্ত্রী রত্নার কোথা থেকে এমন হিজাব প্রীতির উদয় হয়েছে। মোটা শোটা গড়নের মধ্য বয়স্কা একজন নারী; সিস্টার হেরা দেখতে খুব একটা খারাপ নন। হয়ত মুখে একগাদা মেকআপ দেয়ার কারণেই তার সৌন্দর্যটা খুব বেশি চোখে লাগছে। বেগুনী রঙের পাতলা সিল্কের একটি শাড়ি পরে আছেন। মাথায় শাড়ির রঙের সাথে মিল করে সিল্কের হিজাব পরেছেন। পুরো হিজাবের ছাপা জুড়ে গোলাপ ফুলের কারুকাজ করা। সেটাকে আবার প্রজাপতির আকৃতির একটা ক্লীপ দিয়ে আটকিয়ে রাখা হয়েছে। ক্লীপে আলো পড়তেই রঙবেরঙের আলোতে জ্বল জ্বল করে উঠছে।

টক-শো শেষ হতেই রত্না ফয়েজের বুকের উপর মাথা রেখে আহ্লাদের সুরে বলে, এই শোন না ! আমিনা একটা ছোট খাটো বিউটি পার্লার দিতে চাচ্ছি। ফয়েজ মনে মনে ঠিক এই আশঙ্কাটাই করছিলো।

পার্লার দিতে অনেক টাকার প্রয়োজন। এত টাকা পাব কোথায় ?

ব্যাংক থেকে লোনের ব্যবস্থা করে দেবে।

আমি ছোট খাটো চাকরী করি। আমাকে কেন ব্যাংক লোন দেবে ?

তোমাকে না দিলেও, আমাকেত দিবে। শুনেছি নারীদের জন্য ব্যাংক থেকে ব্যবসায়িক লোন নেয়ার ব্যবস্থা আছে। আমাকে তেমনই একটা লোনের ব্যবস্থা করে দাও।

আচ্ছা ! কিন্তু তোমারত বিউটি পার্লার সম্পর্কে কোন অভিজ্ঞতা নেই।

অভিজ্ঞতা নেইত কি হয়েছে ? শিখে নিব।

কোথা থেকে শিখবা ?

ও নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবেনা। পাশের বাসার ভাবী একটা ট্রেনিং সেন্টার থেকে কোর্স করতেছে পার্লারের উপরে। আমি তার সাথে সব আলাপ করে রেখেছি। এখন তুমি রাজী হলেই আমিও ভাবীর সাথে গিয়ে কোর্সে ভর্তি হব।

হুম !

কি হুম ? তুমি কালকেই দেখ আমার জন্য ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করতে পার কিনা ?

হুম ! দেখব।

শোন, আমি যদি বিউটি পার্লারটা দিতে পারি; ভেবে দেখ কত টাকা প্রতিদিন ইনকাম করতে পারব। আমাদের আর কোন অভাব থাকবেনা। তোমার উপর থেকেও অনেক প্রেসার কমে যাবে।

হুম !!

আবার হুম !

না না মানে দেখছি কি করা যায় !

দেখছি না, তুমি অবশ্যই কালকে ব্যাংকে যাবে।

আচ্ছা যাব ! চল এখন ঘুমাই। অনেক রাত হয়েছে।

সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠার আগেই মাথার কাছে চায়ের কাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে রত্না। রত্নার চেহারায় আজকে বিশেষ কিছু একটার পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। হিজাব !!! রত্না হিজাব পরেছে। কিন্তু ফয়েজত হিজাব কিনে দেয়নি ! তাহলে এই হিজাব সে পেল কোথায় ? ভাল করে খেয়াল করে দেখল; বিয়েতে যে সবুজ সিল্কের শাড়িটি সে দিয়েছিলো ওটাই কেটে হিজাব বানান হয়েছে। প্রথমটায় মনঃটা কিছুটা খারাপ হলেও মনে মনে সান্ত্বনা নেয় ফয়েজ। যাক ! শাড়িটা রত্না আর না পরলেও; এখন হিজাব আকারে হলেও অন্তত পরছেত সে। সেই বিয়ের পর আজকে রত্নাকে আবারও সাঁজতে দেখল ফয়েজ। মেকআপে একেবারে খারাপ লাগছেনা তার চিরচেনা সাদাসিধা রত্নাকে।

শোন আমি একটু ভাবীর সাথে পার্লারের কোর্সে ভর্তি হতে যাচ্ছি। সাথে আজকে থেকেই ক্লাস করা শুরু করে দিব। তুমি কিন্তু যে করেই হোক আজকে ব্যাংক থেকে লোনের একটা ব্যবস্থা করবে ?

ফয়েজ একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে মাথা নেড়ে শ্বায় দেয়। আজকে আর তার অফিসে যাওয়া হচ্ছেনা। ফোন দিয়ে স্যারকে বলে দেয় তার ভীষণ জ্বর। আজকে আর অফিসে আসতে পারবেনা। স্যার অফিসের জরুরী কাজের কথা বললেও ফয়েজ তার অপারগতার কথা জানিয়ে দেয়। এই মুহূর্তে তার কাছে অফিসের কাজের চেয়েও স্ত্রীর কাজটা বেশী গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীতে কোন পুরুষই তার সংসারে কোন রুপ অশান্তির সৃষ্টি হোক তা চায় না।

সারাদিন ব্যাংকে ঘোরাঘুরি করে লোনের একটা ব্যবস্থা করে ফেলে ফয়েজ। বাড়ি ফেরার পথে মার্কেটে যায় হিজাব কেনার জন্য। দোকানে দোকানে নানা রকমের হিজাব দেখে মাথা ঘুরাতে থাকে তার। মনে হয় মেয়েদের পরনের সালোয়ার-কামিজ কিংবা শাড়িও এত জমকাল হয়না ! শেষে দুটি হিজাব কিনে মার্কেট থেকে বের হয়ে এসে সিগারেট ধরায় ফয়েজ। হঠাৎ দেয়ালে সিস্টার হেরার পোস্টারের দিকে চোখ পড়ে তার। মুখে ভারী মেকআপ, পরনে পাতলা সিল্কের শাড়ি, শাড়ির রঙের সাথে মিল করে মাথায় হিজাব। পোস্টারে বড় বড় অক্ষরে লেখা সিস্টার হেরার পক্ষ থেকে সবাইকে শুভেচ্ছা। সফল নারী উদ্যোক্তা, বিশিষ্ট সমাজ সেবিকা ইত্যাদি আরও অনেক বিশেষণে বিশেষায়িত করা হয়েছে সিস্টার হেরাকে। ফয়েজ ভাবে, আহা ! তার স্ত্রী রত্নাও বুঝি একদিন সিস্টার হেরার মতই হয়ে উঠবে। ফয়েজ ভাবে আর সিগারেটে টান দেয়।

হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়। আজ কদিন ধরেই বৃষ্টির কোন ঠিক ঠিকানা নেই। এই প্রচন্ড রোদ। বলা নেই, কওয়া নেই অমনি বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। অগ্যতা বৃষ্টিতে ভিজেই তাকে বাড়ি ফিরতে হলো। দরজার কাছে এসে দাঁড়াতেই ভেতর থেকে পুরুষ কণ্ঠ শুনতে পেয়ে ফয়েজের বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠে। দরজা খুলে দিয়ে রত্না মিষ্টি করে হাসি দিয়ে বলে, এসো পরিচয় করিয়ে দেই। ইনি হচ্ছেন রকি। রকি ভাইয়াকে নিয়ে এসেছি আমার বিউটি পার্লারের ইন্টেরিওর ডেকোরেশনের কাজ করানোর জন্য। রকি ভাইয়া খুব দারুণ কাজ করেন। তুমি ভাইয়ার কাজ দেখলে অবাক হয়ে যাবে।

রকি ফয়েজের দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়। বৃষ্টিতে ভেজার জন্য ফয়েজের মাথাটা প্রচন্ড ধরেছে। আজকাল একটু বৃষ্টিতে ভিজলেই তার প্রচন্ড মাথা ব্যথা শুরু হয়ে যায়। রত্না তুমি রকি সাহেবের সাথে বসে আলাপ কর। আমি দেখি একটু চা বানাতে পারি কিনা ! মাথাটা খুব ধরেছে, বলেই রান্না ঘরের দিকে চলে যায় ফয়েজ।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: গল্পের ভেতব প্রবন্ধ প্রবন্ধ একটা ভাব আছে যেটা ভাল লাগেনি

১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:৪৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



এই ভাবটা আমার নিজস্ব পছন্দ থেকেই আনা। গল্পের গতানুগতিক ভাব ধারা থেকে বের হওয়ার একটা প্রবণতা বলতে পারেন।
অনেক ধন্যবাদ রইল।

২| ১১ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:২৭

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: কোন পুরুষ কিংবা নারীই অশান্তি চায়না অল্প ব্যতিক্রম ছাড়া। আর আমার মনে হয় একটা লেভেল পর্যন্তই সবাই স্যাক্রিফাইস করে, এরপর বাধ ভাঙ্গতে বাধ্য।

ভালোই লাগছে। শুভকামনা রইলো।

১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:৪৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আমার পক্ষ থেকেও অনেক শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।

৩| ১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:৩৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: কেউই চায় না ঘরের অশান্তি।। আমিও ব্যাতিক্রম নই।। তবে অনেক কিছুই মেনে নিতে হয় পরিবেশ আর পরিস্থিতির কারনে।।
তবে আপনার লেখায় কেমন যেন একটা ছাড়াছাড়া ভাব।। হয়তো আমার ভুলও হতে পারে।। ধন্যবাদ।।

১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:৫৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ছাড়া ছাড়া ভাবটা স্বল্প পরিসরে গল্পে একটা বিশদ ভাব আনার জন্য মনে হতে পারে। মন্তব্যে ভাল লাগা রইল। শুভ কামনা সব সময়ের জন্য।

৪| ১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ১:৩২

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: গল্প কাণ্ডারিয় লেভেলের হয় নাই।

১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ২:৫২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আমার সবগুলো গল্পই কিন্তু ভ্রাতা একই লেভেলের। এগুলোকে আসলে ঠিক সাহিত্যের পর্যায় মাপা ঠিক হবেনা। শুধু গল্পের ছলে কিছু বলতে চাওয়া।

মন্তব্যে ভাল লাগা ভ্রাতা।

৫| ১২ ই জুন, ২০১৫ ভোর ৪:১৫

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: সাহিত্যের পর্যায়ে মাপামাপি নিয়ে ভারী ভারী কথা বলতে চাই না কাণ্ডারি ভাই। আপনার আগের লেখা গল্পগুলোর বিচারে এই গল্পটা সাধারণ মানের হইছে। সামুতে আমার পড়া ভালো লাগা গল্প নিয়ে একটা পোস্ট করেছিলাম সেখানে আপনার চারটা গল্প আছে।


ওহ ভালো কথা, বুবু সিরিজটা আবার শুরু করেন। আমি কিন্তু বুবু সিরিজটার ভক্ত।

১২ ই জুন, ২০১৫ ভোর ৪:৫৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



প্রিয় ভ্রাতা,

ব্লগে বহুদিন না থাকার কারণে আপনার পোস্টটি দেখা হয়নি। এইজন্য আমি ক্ষমা চাই। এখন গিয়ে দেখলাম মাত্র। আমার গল্প যে কারও প্রিয়তে থাকতে পারে এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে খুব। তবে ভীষণ অনুপ্রাণিত হয়েছি। তবে এই কথা ঠিক যে এই গল্পটা আগের গল্পগুলোর তুলনায় কিছুই না। একেবারেই সাধারন মানের। তবে আমার বিচারে আমার কোন গল্পই ঠিক গল্পের বিচারে মান সম্মত নয়। এইটা আপনার ভালোবাসা ছাড়া আর কিছুই না। আর সাহিত্য সেত আরও বিশাল ব্যাপার।

আর সবচেয়ে বড় কথা হলো আপনিত সব জানেনই। আমি ব্লগে না থাকার কারণে অনেকদিন গল্প লিখি নাই। গল্প লেখা ছেড়েই দিয়েছিলাম। এখন আবার নতুন করে মাত্র শুরু করেছি। দেখা যাক সময় ও পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে সবকিছু।

দোয়া করবেন যেন নিজেকে ফিরে পেতে পারি লেখায়।

আর বুবু সিরিজটা আমার নিজের কাছেও একটা বিনোদন। ঐটা চলবে।

৬| ১২ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৩৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: বেশ ভাল লেগেছে।

০৫ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:০০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ধন্যবাদ ভাই। শুভেচ্ছা রইল অনেক অনেক।

৭| ১২ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ২:১৬

ভিটামিন সি বলেছেন: আমার মাথায় ভিটামিন নাই। তাই গল্প বোঝতে গিয়ে বিভিন্ন লাইনে চলে গেলো। আশা করছি যখন ২য় বার পড়বো, তখন কিছুটা বোঝতে পারবো।

০৫ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:০০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


:)

৮| ১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:৪৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জীবনবোধের এই বদল-টাই বদলে দিচ্ছে সব।

অল্পে তুষ্টর বদলে আরও বেশিতে আরও বেশী সূখের নামে ভাংছে বোধ, চিন্তা, চেতনা, বিশ্বাস, নৈতিকতা, সমাজ, সংসার সব! বদলে যাচ্ছে সম্পর্কের ভীত। বদলে যাচ্ছে আচার ব্যবহার কথা, ভাবনা! সত্য আপনাতেই বদলে যাচ্ছে চালাক চতুরতার নামে মিথ্যার, প্রতারণার আড়ালে।

কেমন একটা উন্নাসিকতা, ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা, স্বার্থপরতা চরম ভাবে চেপে বসছে সর্বত্র। আরও চাই আরও চাই রবে হারিয়ে যাচ্ছে - সত্য সেবা, প্রেম, সহানুভূতি, সহমর্মিতার মতো কুসুম কোমল সুন্দর বোধগুলো।

যা বাবা! আমিও দেখি আতেল আতেল কথা বলে আপনার পোষ্টকে ভার করে দিচ্ছি ;) যাই পালাই :)

ওহ লেখা দারুন, মানে দারুন- দেখেন না আতেল বানিয়ে দিল :):):)

০৫ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:০১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


হা হা হা হা মন্তব্যে সুপার লাইক ভাই। :) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.