নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূণ্যতা থেকে শূণ্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূন্যতা থেকে শূন্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

কান্ডারি অথর্ব

আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।

কান্ডারি অথর্ব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বাস ও বিজ্ঞান এবং আজকের বিপর্যস্ত মুসলমান

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১০





মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তাঁর বিদায় হজ্জের ভাষণে সুস্পষ্ট করে বলে গিয়েছেন, তিনি মানুষের জন্য কোরআন এবং হাদিস রেখে যাচ্ছেন এবং এই দুটিকে আঁকড়ে ধরে থাকলেই মানুষের জন্য রয়েছে মুক্তির পথ।

আমরা মুসলমানেরা সবাই আশেকে রাসূল। কিন্তু আসলেই কি তাই ? মুসলমানদের আজ এত চরম বিপর্যয়ের কারণ কি ? কেন আজ পৃথিবী জুড়ে এত অবিশ্বাস আর প্রমাণ খোঁজার তাগিদ ?

যদি গভীরভাবে চিন্তা করা যায়, তাহলে একটি কথাই বলতে হয় আমরা কেউ নবীর কথা মতো কোরআন এবং হাদিস আঁকড়ে ধরে নেই। কোরআন এবং হাদিস আঁকড়ে ধরে থাকা মানে ঘরের ভেতর দামী মখমলের কাপড় দিয়ে এই দুটি ধর্ম গ্রন্থ মুড়িয়ে রাখা নয় কিংবা দৈনিক কোরআন তেলাওয়াত করা, নামাযে সূরা পড়া আর রমজান এলেই তারাবী নামাযে কোরআন খতম দেয়া নয়। হ্যাঁ অবশ্যই কোরআন ধর্মীয় এইসব কাজের জন্যই কিন্তু কোরআন কখনই শুধুই একটি ধর্ম গ্রন্থ নয়। এঁকে বলা হয়েই থাকে পরিপূর্ণ জীবন বিধান। অতএব পৃথিবীর জন্য এবং মানুষের জন্য এই কোরআনেই রয়েছে সকল কিছুর সমাধান। কিন্তু আমরা কি মুসলমান হিসেবে সত্যিকার ভাবে সেইসব সমাধানে পৌঁছাতে পেরেছি ?

আসুন দেখা যাক সূরা আল ইসরায় বর্ণিত কিছু আয়াত সম্পর্কেঃ

আর তিনি এমন জিনিস সৃষ্টি করেন যা তোমরা জান না।

তিনিই তোমাদের কাজে নিয়োজিত করেছেন রাত্রি, দিন, সূর্য এবং চন্দ্রকে। তারকাসমূহ তাঁরই বিধানের কর্মে নিয়োজিত রয়েছে। নিশ্চয়ই এতে বোধশক্তিসম্পন্নদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে। তোমাদের জন্যে পৃথিবীতে যেসব রং-বেরঙের বস্তু ছড়িয়ে দিয়েছেন, সেগুলোতে নিদর্শন রয়েছে তাদের জন্যে যারা চিন্তা-ভাবনা করে।

তিনিই কাজে লাগিয়ে দিয়েছেন সমুদ্রকে, যাতে তা থেকে তোমরা তাজা মাংস খেতে পার এবং তা থেকে বের করতে পার পরিধেয় অলঙ্কার। তুমি তাতে জলযান সমূহকে পানি চিরে চলতে দেখবে এবং যাতে তোমরা আল্লাহর কৃপা অন্বেষণ কর এবং যাতে তার অনুগ্রহ স্বীকার কর।

এবং তিনি পৃথিবীর উপর বোঝা রেখেছেন যে, কখনো যেন তা তোমাদেরকে নিয়ে হেলে-দুলে না পড়ে এবং নদী ও পথ তৈরী করেছেন, যাতে তোমরা পথ প্রদর্শিত হও।

এবং তিনি পথ নির্ণয়ক বহু চিহ্ন সৃষ্টি করেছেন, এবং তারকা দ্বারা ও মানুষ পথের নির্দেশ পায়।

উপরের প্রতিটা আয়াতেই একটি বিষয় খুব লক্ষণীয়। মহান আল্লাহ তাআলা তাঁর সৃষ্টি থেকে জ্ঞান অর্জন এবং চিন্তা ভাবনার কথা বলছেন কিছু নিদর্শন উল্ল্যেখ করে। কোরআনের বেশিরভাগ আয়াতেই ঠিক এমনি ভাবে বলা আছে যে চিন্তাশীলদের জন্য রয়েছে জ্ঞানের খোঁড়াক। কিন্তু আমরা মুসলমানরা এই কোরআনের আয়াত নিয়ে আসলে কতটা সুগভীর চিন্তা করার প্রয়াশ পেয়েছি, কতটা বিশ্লেষণ করে বোঝার চেষ্টা করেছি ?

আমরা শুধু কিছু ঘটনার মধ্যেই আবধ্য রয়েছি কিন্তু স্বয়ং আল্লাহ তাআলা বলেছেন এইসব ঘটনার মধ্যে রয়েছে জ্ঞানীদের জন্য ভাবনার বিষয়। আমরা সূরা ফীলের ঘটনায় দেখতে পাই কি করে আবাবিল নামক পাখি দ্বারা বিরাট হাতি বাহিনী কুপোকাত হয়েছে, কিভাবে মূসা (আঃ) তাঁর দলবল নিয়ে নীল নদ অতিক্রম করেছেন এবং ফেরাউন ডুবে মরেছে, কিভাবে ইব্রাহীম (আঃ) তাঁর পুত্র ইসমাইল (আঃ) কে কোরবানি করার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। এইসবই আমরা গল্পের মতো করে পড়েই বিশ্বাস করি এবং এর থেকে শিক্ষা নেই। কিন্তু আদৌ কি এসবের গভীরে পৌঁছাতে পেরেছি কিংবা কখনও চেষ্টা করেছি ? নাকি অন্ধ ধর্ম বিশ্বাসের দোহাই দিয়ে শুধু মেনেই গিয়েছি, পাছে যদি পাপা হয়ে যায় এই ভয়ে !

অথচ স্বয়ং আল্লাহ নিজেই তাঁর গ্রন্থে বলে দিয়েছেন এইসব নিয়ে রয়েছে জ্ঞান চর্চার অবাধ সুযোগ এবং আমরা যেন এসব থেকে শিক্ষা গ্রহণ করি। শিক্ষা গ্রহণ বলতে শুধুই পড়ে মুখস্ত করে কিছু বয়ান করাকেই বোঝানো হয়নি। যেখানে কোরআনের প্রথম আয়াতেই বলা হয়েছে, পড় তোমার প্রভুর নামে। পড়তে বলা হয়েছে মানে এই নয় শুধুই পড়। এখানে অত্যন্ত গভীরের জ্ঞান অন্বেষণের কথাই বলা হয়েছে। নতুবা কোরআনকে বলা হতো না পরিপূর্ণ জীবন বিধান।

উপরে বর্ণিত সূরা আল ইসরার কিছু আয়াতে দেখা যাচ্ছে, বলা হয়েছে জল পথে নৌ যান চলার কথা, বলা হয়েছে চাঁদ, তারা আর সূর্য হলো মানুষের পথ নির্ণায়ক। এবং এইসব বোধশক্তি সম্পন্ন মানুষের জন্য জ্ঞান চর্চার উপাদান। অতএব এখানে চাঁদ, তারা আর সূর্য নিয়ে গবেষণা করতে কোন বাঁধা নেই। সেই প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ জ্যোতিষ শাস্ত্রের চর্চা করে আসছে তবে কি এইজন্যই ? সেই মিশর পুরাণ, ইনকা সভ্যতাতেও দেখা গেছে জ্যোতিষ শাস্ত্র নিয়ে চর্চা। এইসব নক্ষত্রের উপর ভিত্তি করে পিরামিড পর্যন্ত নির্মিত হয়েছে।

আমরা যারা আশেকে রাসূল আমাদের কাছে মেরাজের ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মেরাজের জন্য যে যানের কথা এসেছে তাঁর নাম বোরাক। বোরাক আরবী শব্দ যার অর্থ বিদ্যুৎ। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী দেখা যায় বোরাক ছিলো গাধা কিংবা খচ্চরের মতো একটি জীব যা অতি উচ্চগতি সম্পন্ন এবং যার কান অতি চিকন, পাখা আছে এবং গায়ের রং ধবধবে সাদা।

এখানে লক্ষণীয় বিষয় হলো নবী যে বর্ণনা দিয়ে গেছেন তা মূলত বুঝিয়েছিলেন সেই বোরাক নামক যানটি দেখতে কেমন ছিলো। এর অর্থ এই নয় যে, বোরাক ছিলো খচ্চর প্রজাতির কোন প্রাণী বিশেষ। এখন পরবর্তীতে এটি রূপান্তরিত হতে হতে যদি বোরাক থেকে খচ্চরে পরিণত হয়ে যায় তাহলে সেটি নিতান্তই আমাদের অন্ধ জ্ঞানের কারণ। পারস্যের জ্ঞানীরা একসময় এই বোরাকের চিত্ররূপ দান করেছিলো মানুষের মুখের মতো। আবার আরবী থেকে ফারসীতে অনুবাদের সময় করা হয়েছিলো ভুল অনুবাদ এবং পরবর্তীতে মোঘল আমলে ভারতবর্ষে এর চিত্র অঙ্কিত হয় পাখা ওয়ালা উড়ন্ত এক ঘোড়া রূপে।

কিন্তু আমাদের মস্তিষ্কে কি একবারও এলোনা যে কেন এর নাম বোরাক অথবা বিদ্যুৎ। নতুবা এর নামতো আরবীতে হাম্মার কিংবা বাংলায় গাধার গাড়িই হতে পারতো। যদি বোরাকের বর্ণনা আধুনিক কালের কোন রকেটের সাথে তুলনা করে মেলাই দেখা যাবে তুলনা করতে গিয়ে বলছি মাথায় চিকন কান আছে, রং সাদা, আর আছে পা পর্যন্ত লম্বা পাখা। তাহলে কি বোরাক এর সাথে রকেটের কোন সাদৃশ্য পাওয়া যাবে ?

এবার আসুন নবী ইউনুস (আঃ) এর কাহিনী সম্পর্কে জানা যাক। তাকে মাছের পেটে দীর্ঘ দিন থাকতে হয়। এবং শেষে জীবিত অবস্থায় সেই মাছ তাকে ফেলে যায় সমুদ্রের তীরে। কি অদ্ভুত না ? মাছের পেটে থেকেও একজন মানুষ জীবিত থাকলেন এবং এখানেই আল্লাহর অপার মহিমা নিহীত রয়েছে। আমরা ঠিক এই বিশ্বাস নিয়েই থাকতে বিশ্বাসী যে সেটি আসলে মাছই ছিলো। নতুবা ধর্মদ্রোহী হয়ে যেতে পারি। কিন্তু একজন প্রকৃত মুসলমান হিসেবে কি কখনও ভেবে দেখেছি আসলেই সেটি মাছ ছিলো কিনা ? যেখানে আল্লাহ স্বয়ং নিজেই বলেছেন জলে চলা যানের কথা যেখানে আমাদের জন্য রয়েছে জ্ঞান চর্চার নিদর্শন। কেন আমরা ধরেই নেই যে সবই আসলে ছিলো খচ্চর, মাছ আর আবাবিল নামক পাখি। যদি বলি আল্লাহ মাছ নয় তিনি আসলে সাবমেরিন পাঠিয়েছিলেন, পাঠিয়েছিলেন রকেট, পাঠিয়েছিলেন হেলিকপ্টার তাহলে কি আল্লাহতে অবিশ্বাস করা হয়ে যাবে ? আমিতো বলবো মুসলিম হিসেবে যেহেতু বিশ্বাস করি আল্লাহ সর্বজ্ঞানী, সর্ব প্রজ্ঞাময়, সর্বশক্তিমান তাঁর পক্ষে রকেট, সাবমেরিন কিংবা হেলিকপ্টার পাঠানো কোন বিচিত্র কোন বিষয় নয়। যিনি চাঁদ, সূর্য, তারা বানাতে পারেন মানুষের পথ নির্ণায়ক হিসেবে, যিনি দোযখ এবং জান্নাত বানাতে পারেন তিনি এইসব কেন পারবেন না ? এটা আমার কাছে এক বিপন্ন বিস্ময়।

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, তোমরা আল্লাহ্‌র নবীদের মধ্যে মর্যাদার তারতম্য করোনা। তিনি যেমন মেরাজে সিদরাতুল মুনতাহায় গিয়েছেন, তেমন নবী ইউনুস (আঃ) ছিলেন মাছের পেটে।

আমরা লুত (আঃ) এর ঘটনায় বিশ্বাস করি। কি করে একটি জাতির উপর আকাশ থেকে আগুন বর্ষিত হয়, কি করে তাঁর স্ত্রী লবনের মূর্তিতে পরিণত হয়। আকাশ থেকে আগুন নিক্ষেপের যেসব বর্ণনা পাওয়া যায় তাঁর বেশিরভাগেই দেখা যায় আজকের পারমাণবিক বোমার সাথে মিল রয়েছে। এত উজ্জ্বল রশ্মির বিকিরণ শুধুমাত্র আগুন নিক্ষেপে সম্ভব নয় বরং তা পারমাণবিক বোমার মতোই ছিলো।

আমরা জানি যে পৃথিবীতে সর্বপ্রথম পারমাণবিক বোমার আঘাত হানা হয় হিরোশিমা আর নাগাসাকিতে। কিন্তু মহেঞ্জোদারোতেও পাওয়া গেছে অনুরূপ বিস্ফোরণের চিহ্ন কিংবা পেরুতেও পাওয়া গেছে একই রকম বিস্ফোরণের চিহ্ন। যেখানে দেখা গেছে প্রচুর পরিমাণে রেডিয়েশন হয়েছে যা ধূমকেতুর আঘাতে সম্ভব নয়। তাহলে এত আগে নিশ্চয় মানুষ তখন পারমাণবিক বোমা বানাতে সক্ষম হয়েছিলো। এইসবই বিস্তর গবেষণার বিষয়। এখন মানুষ ব্যাটারী চালায় কিন্তু হাজার বছর আগের সভ্যতা খুঁড়ে ইরাকে পাওয়া গেছে উন্নত মানের ব্যাটারী কোষ। সেইসব মানুষ ব্যতীত অন্য কারও আবিষ্কার ভাবার কোন অবকাশ দেখিনা।

এখন আসুন ঈসা (আঃ) এখনও জীবিত আছেন। এবং তিনি যে বয়সে আকাশে উঠে গিয়েছিলেন ঠিক সেই বয়সেই আবার পৃথিবীতে নেমে আসবেন। অনেক বর্ণনাতেই এসেছে তিনি যখন আসবেন দেখে মনে হবে সদ্য তিনি গোসল করে এসেছেন এবং তাঁর মাথার চুল হতে বিন্দু বিন্দু পানি ঝরবে। তবে কি বলা যেতে পারেনা এখানেও কোন বিশেষ প্রক্রিয়ার ব্যবহার করা হয়েছে। আর এইসব ধারণায় অবশ্যই আল্লাহ তাআলার উপর বিশ্বাসের কোন ভাটা পরার কথা নয়। বরং তিনি চাইলে সবই পারেন যা মানুষও করতে পারেনা সেই বিশ্বাসই দৃঢ় হয়। আর মানুষকে আল্লাহ দিয়েছেন শ্রেষ্ঠত্ব। বানিয়েছেন আশরাফুল মাখলুকাত করে। দিয়েছেন সকল বিষয়ে জ্ঞান। অতএব মানুষ আজকে যে রকেট, সাবমেরিন, হেলিকপ্টার বানাতে সক্ষম হয়েছে সেই সবই আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞানের কারণেই সম্ভব হয়েছে। কারণ আল্লাহর কাছে সকল সৃষ্টিই বিদ্যমান এবং সেইসব জ্ঞানই তিনি মানুষকে দান করেছেন।

যেমন আল্লাহ সূরা আল ইসরায় আরও বলেছেন,

নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের গোপন রহস্য আল্লাহর কাছেই রয়েছে। কিয়ামতের ব্যাপারটি তো এমন, যেমন চোখের পলক অথবা তার চাইতেও নিকটবর্তী। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর উপর শক্তিমান।

তাই অনেক রহস্য চাইলেও ভেদ করা সম্ভব নয়। শুধুমাত্র ধারণা করা যেতে পারে।

ধরুন আফ্রিকার কোন গভীর জঙ্গলে যেখানে শিক্ষার আলো, প্রযুক্তির আলো পৌঁছায়নি সেখানে গিয়ে যদি মানুষকে কম্পিউটার সম্পর্কে বলতে চান কিসের সাথে তুলনা করে বলবেন ?

যদি বলা হয় কম্পিউটার হলো একটা প্রস্তরখন্ড এখানে লেখা যায়, ছবি আঁকা যায়, তাহলে কি হবে ? আফ্রিকার মানুষ একসময় প্রস্তরখন্ডকেই বলবে কম্পিউটার।

আমরা মানুষ আমাদের নিজেদের জ্ঞান সম্পর্কেই অনিশ্চিত সেখানে আল্লাহ্‌র জ্ঞান সম্পর্কে কি করে জ্ঞানী হবো ?

আমরা আমাদের পূর্বের হাজার হাজার বছর আগের মানুষের প্রযুক্তির কথা ভাবতে গিয়ে মনে করি তারা ছিলো মূর্খ তারা কি করে পিরামিড, স্টোনহেঞ্জ বানাবে ? এইসব কোন ভিনগ্রহের অশরীরির কাজ। অথচ এই মানুষই কিন্তু আজকের যুগের কম্পিউটার বানিয়েছে। আমরা এলিয়েনে বিশ্বাস করি যে তারাও নাকি মানুষের চেয়ে প্রযুক্তিতে এগিয়ে। তা আজ পর্যন্ত কোন এলিয়েন কে পৃথিবীতে এসে কোন যুদ্ধ করতে দেখা গেলোনা কেন ? অথচ কেবলমাত্র মানুষই আকাশে স্যাটেলাইট পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। আজকের যুগের মানুষ যদি ক্রেন ব্যবহার করে আইফেল টাওয়ার বানাতে পারে অবশ্যই আদি যুগের মানুষও বিশেষ কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে পিরামিড বানিয়েছিলো। যা তাদের ধ্বংসের মধ্য দিয়ে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এখন যদি আজকের বিশ্ব কোন কারণে ধ্বংস হয়ে যায় তাহলে আগামী কোন সভ্যতা কি বলবে ? আমরা কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে করেছিলাম এইটা একটা তাদের কাছে বিস্ময়। অথবা কোন ভিনগ্রহ থেকে কেউ এসে আমাদের সব কিছু করে দিয়ে গিয়েছিলো। আসলে আমরাই সভ্যতায় সবচেয়ে এগিয়ে, আর আগের যেসব সভ্যতা ছিলো সেগুলো কিছুই না এমনটা হয়ত ইচ্ছা করেই আমরা ভাবি; পাছে আমাদের অজ্ঞতা প্রকাশিত হয়ে পড়ে, আমরা হেরে যাই আমাদের পূর্ব পুরুষের জ্ঞানের কাছে।

আমরা জানি যে, আল্লাহ মানুষ ও জীন সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। মুসলমান ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী এও জানি যে, আল্লাহ যখন মানুষ সৃষ্টির সিদ্ধ্যান্ত নেন তখন ফেরেশতারা উদ্বেক প্রকাশ করেছিলো মানুষ না জানি আবার জীনদের মতো মারামারি, কাটাকাটি শুরু করে দেয় ? কেন তাদের এই উদ্বেক কারণ তখন জীনদের দমাতে পৃথিবীতে ফেরেশতাদের নেমে আসতে হতো। তাহলে দেখা যাচ্ছে মানুষ সৃষ্টির বহু আগেই এই পৃথিবীতে জীন জাতির সৃষ্টি হয়েছিলো এবং কে জানে বিভিন্ন আদি সভ্যতার নিদর্শনে যেসব অদ্ভুত প্রকৃতির দেবতাদের ছবি পাওয়া গেছে তারা আবার জীন নয়তো ! বহু নিদর্শনে পাওয়া গেছে আকাশ থেকে পাখা লাগানো দেবতা পৃথিবীতে নেমে আসছে কিংবা আছে আগুন চালিত রথের বর্ণনা। দেবতারা নাকি আগুন চালিত রথে করে পৃথিবীতে আসতো যাদের দেহে পাখা থাকতো। এখন কথা হলো এরা তাহলে কোন প্রকারের বোরাক ছিলো ? নাকি ফেরেশতা জীব্রাইল (আঃ) এর দেহের বর্ণনা অনুযায়ী পাখা সম্বলিত কেউ ছিলো, নাকি স্বয়ং ফেরেশতা জীব্রাইল (আঃ) আসতেন যাকে সেই সভ্যতার মানুষেরা তাদের প্রস্তর খন্ডে এঁকে রেখেছিলেন।

এই ধারণা একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায়না। কারণ আমরা জানি আল্লাহ অসংখ্য নবী রাসূল গোত্র ভেদে পাঠিয়েছিলেন এবং তাঁর আসমানী কিতাব সংখ্যা ১০৪। কিন্তু কোরআনে কিন্তু সব নবীদের ঘটনা আসেনি কিংবা মূল ৪ টি কিতাব ছাড়া বাকি ১০০ খানা কিতাব সম্পর্কে আমাদের অজানাই রয়ে গেছে। হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করা হয় যমদূত মৃত্যু নিয়ে আসে, মুসলমান ধর্মে বিশ্বাস করে আজ্রাইল (আঃ) জান কবচ করে, ইনকা কিংবা মিশরীয় পুরাণে বুক অফ ডেথে উল্ল্যেখ আছে এমনই এক মৃত্যু দেবতার কথা যাকে কালো মেঘময় বাতাসের সাথে তুলনা করা হয়েছে। গ্রীক পুরাণে মানুষের মাথা ওয়ালা পাখা ওয়ালা অশ্বারোহী কল্পনা করা হয়। যে ধর্মের আলোকেই আর যে পুরাণের আলোকেই দেখা যাক না কেন বিশ্বাস প্রায় একই শুধু ধর্ম আর পুরাণ ভিন্নতায় ব্যবহৃত হয়েছে ভিন্ন নাম। কোথাও দেবতা বলা হলে, কোথাও বলা হয়েছে ঈশ্বরের দূত। নূহ (আঃ) এর যে ঘটনা তা হিন্দু পুরাণে দেবতা শিবের দশ রূপের একটি মৎস্য রুপধারী আবতারের সাথে হুবুহু মিলে যাওয়া কি শুধুই কাকতালীয় ! কিংবা মিশর পুরাণের দেবতা রায়ের পাখা কিংবা গ্রীক দেবতা হোরাডাসের পাখার সাদৃশ্য কি শুধুই কাকতালীয় !

আরব্য রজনীর আলীবাবা চল্লিশ চোরেরা কোন দেবতা ছিলো যে তারা পাহাড়ের অটোমেটিক দরজা বানিয়েছিলো ? চিচিং ফাঁক বললেই দরজা খুলে যেতো। সেই সবই কি শুধুই রুপকথার কোন গল্প ? যদি তাই হয়ে থাকে তবে আজকের মানুষ যেভাবে আধুনিক শপিং মলে অটোমেটিং গ্লাস ডোর ব্যবহার করে পা রাখলেই চিচিং ফাঁক; এটাও তাহলে রুপকথার গল্প কিংবা কোন এলিয়েনের কাজ !

বস্তুত মানুষ সবসময় সর্বযুগেই জ্ঞান বিজ্ঞানে আধুনিক এবং যার কাছ থেকে এই জ্ঞান প্রাপ্ত হয়েছে তিনি আর কেউ নন স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা যিনি সর্ব জ্ঞানের অধিকারী।

তাই সভ্যতার যে কোন কালকেই ছোট করে দেখার কোন অবকাশ নেই কিংবা মানুষের জ্ঞানকে ছোট করে দেখারও কোন কারণ নেই। মানুষ যেমন আদি কালে মমি বানাতে সক্ষম হয়েছে, এই কালে বানাচ্ছে ক্রিয়নিক্স। শুধুমাত্র সভ্যতার বিলুপ্তিতে রহস্যের জালে বাঁধা পড়ে গেছে সেইসব বিজ্ঞান, সেইসব আধুনিক আবিষ্কার। আর যেখানে মানুষের জ্ঞানকে ছোট করে দেখার কন অবকাশ নেই, সেখানে সৃষ্টিকর্তা হলেন সর্বশক্তিমান মহাপ্রজ্ঞার অধিকারী।

মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৪০

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ভালো কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন । ধন্যবাদ পড়ে ভালো লাগলো ।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:১৩

ধমনী বলেছেন: আপনার চিন্তা ধরনটা ভালো লাগলো। তবে খেয়াল রাখতে হবে জ্ঞান বিজ্ঞানের ক্রমবিকাশ সাধিত হচ্ছে। আল্লাহ যে যুগের জন্য বিজ্ঞানের যে মাত্রা দরকার সেটি বাস্তবায়িত করছেন। বোরাকের সাথে বিদ্যুতের সাদৃশ্য ভাবার কোন কারণ নেই সে যুগের মানুষের। কারণ বিদ্যুত আবিস্কৃত হলোই তো অষ্টাদশ শতকে। তারা কীভাবে জানবে?
লুতের জাতিকে ধ্বংসের জন্য আমাদের আবিস্কৃত পারমাণবিক বোমার প্রয়োজন কী? আল্লাহ যদি বোমার কাজ সাধারণ পাথর দিয়েই সেরে নিতে পারেন! স্রষ্টার কাজকে আমাদের জানা বিজ্ঞান দিয়ে বিশ্লেষণ করলে যুগে যুগে কুরআনের অর্থ পরিরবর্তন করতে হবে। পরবর্তী প্রজন্ম এসে ভাববে আগের প্রজন্ম ভুলের মধ্যে ছিল...স্রষ্টা আসলে এই বোঝাতে চেয়েছেন।
তাই বৈজ্ঞানিক বিকাশের বিষয়টি মাথায় রেখে কোন আয়াতের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা সুনির্দিষ্ট করে দেয়া উচিত নয়।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা।

বিদ্যুৎ আবিষ্কার মানুষ করেছে অষ্টাদশ শতকে। ওকে ফাইন কিন্তু তাই বলে সেটা স্রষ্টার জন্য প্রযোজ্য নয়। আর আপনার কথা অনুযায়ীই বলতে হয় যে যে বিদ্যুৎ অষ্টাদশ শতকে আবিষ্কৃত হয়েছে তার জন্যই সেইসময় বিদ্যুৎগতি সম্পন্ন একটি বাহনকে বোঝাতে খচ্চর এর মতো দেখতে বলা হয়েছিলো নতুবা সে সময়ের মানুষের বোঝার কথা না। আর একবার ভেবে দেখুন সেই সময় কেনই বা এর নাম বোরাক বা বিদ্যুৎ রাখা হয়েছিলো যখন বিদ্যুৎই ছিলো না ?

হ্যাঁ আল্লাহ চাইলেই সব পারেন তিনি পাথর দিয়ে বোমা মারতে পারেন কিন্তু স্রষ্টা যদি বোমা মারেও সেটা কেন মানুষের কাছ থেকে নেবেন ! আমি এখানে এটাই বোঝাতে চেয়েছি মানুষের সব সৃষ্টিই মূলত স্রষ্টার দেয়া সৃষ্টিলব্ধ জ্ঞান থেকেই এসেছে।

আর পরবর্তী প্রজন্ম এসে যদি জানতে পারে তাদের আছে পানির নীচে চলার মতো কোন প্লেন তাহলে তারা হয়ত ঠিকই তখন প্লেনই ভেবে নেবে আর এই কারণেই হয়ত মানুষের জ্ঞানের এবজর্ভ ক্ষমতার কথা ভেবেই সেই সময় মাছের কথাই বলা হয়েছিলো। তবে যাই হোক বিজ্ঞান দিয়ে এখানে কোরআনের আয়াত যাচাই করা হচ্ছেনা বরং আল্লাহ তাআলা যে বিজ্ঞান সৃষ্টি করেছেন সেটাই বিবেচ্য বিষয়। আমরা মানুষ শুধুমাত্র আবিষ্কারক।

৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫১

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: বস্তুত মানুষ সবসময় সর্বযুগেই জ্ঞান বিজ্ঞানে আধুনিক এবং যার কাছ থেকে এই জ্ঞান প্রাপ্ত হয়েছে তিনি আর কেউ নন স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা যিনি সর্ব জ্ঞানের অধিকারী।

চমৎকার বলেছেন

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


বিশ্বাস, অবিশ্বাসের দোলাচালে জ্ঞান বিজ্ঞানকে যারা বন্দি করতে চায় তাদেরকেই কোরআনে চোখ কান অন্ধ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭

চলন বিল বলেছেন: পোস্ট না পরেই প্লাস দিলাম

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


এইটা কিন্তু ঠিক হইলো না ভাই। ;)

৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০০

আবু শাকিল বলেছেন: কোরআন এবং হাদিস না বোঝা এবং না জানা, পড়ার কারনেই পৃৃথিবীর মানুষ নানা রকম সমস্যায় পতিত হচ্ছে ।
আমরা নামায পড়ি ,রোযা রাখি ,কোরআন পড়ি তারপরও সমস্যা কেন ????

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


শাকিল ভাই সমস্যাটা ঠিক এই কারণেই।

৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক সময় নিয়ে পড়লাম , এখন ঝিম ধরে আছি !!!

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আপনার রম্য পড়লাম। চরম হইছে।

৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৮

জেন রসি বলেছেন: কিছু ব্যাপারে যৌক্তিক ভাবেই দ্বিমত আছে। তবে তর্ক করব না। :)

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


দ্বিমত থাকাটাই স্বাভাবিক। এটা আমার একান্ত ভাবনা। তবে যদি যুক্তি তর্কে কিছু একটা দাঁড়ায়। তারচেয়েও বড় কথা হলো বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর।

৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: থিঙ্কিং ডিফারেন্টলি, মেইক ডিফারেন্টস

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


এক্সাক্টলি !!!

৯| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৩

প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

১০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: প্রিয়তে রাখলেম। সময় করে দেখে নেবো।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ওকে ভাই। অপেক্ষায় রইলাম।

১১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪

আলোরিকা বলেছেন: বর্ণনা সুন্দর , পড়তে ভাল লেগেছে কিন্তু কিছু জায়গায় বিশ্লেষণে খটকা লেগেছে । মাছকে সাবমেরিন ভাবার কোন কারণ নেই , যিনি অমিত ক্ষমতাধর তিনি চাইলে সবই পারেন । তবে বলা যেতে পারে এ ধারণা থেকে সাবমেরিন আবিষ্কৃত হয়ে থাকতে পারে ।
@ ধমনী

মানুষের প্রয়োজনীয় সকল উপাদানই পৃথিবী রয়েছে । বিজ্ঞানের ভাষায় শক্তির বিনাশ নেই , এক প্রকার থেকে অন্য প্রকারে রূপান্তর মাত্র ! পৃথিবীতে নেই শূন্য থেকে বানিয়েছেন এমন কোন আবিস্কার কি আমাদের সামনে আছে ? এজন্যই আল্লাহ্‌ জ্ঞান অন্বেষণের কথা বলেছেন :) ধন্যবাদ । ভাল থাকুন সবাই। জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত হোক সকল প্রাণ ।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আপনার কথাও যৌক্তিক। যিনি অসীম ক্ষমতার অধকারী তিনি চাইলে সবই করতে পারেন।

সুন্দর গঠন মূলক মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভদুপূর।

১২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৩৬

কিরমানী লিটন বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন,কতগুলো বিষয়ে বিতর্ক থাকতে পারে,দ্বিমতও... তারপরেও বলবো চমৎকার পোষ্ট !
শুভকামনা রইলো...

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


মন্তব্য ও পাঠে কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।

১৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:০৩

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আপনার দৃষ্টিভঙ্গি আমার ভীষণ ভালো লেগেছে । আমারও ঠিক এভাবেই ভাবতে ভালো লাগে । লেখাটি প্রিয়তে রেখে দিলাম ।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



হুম ! ভাবনাগুলো মেলুক পাখা।

মন্তব্যে ভাল লাগা ও কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভেচ্ছা দুপূর রোদের।

১৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সত্যিই প্রশংসা না করে পারছিনা। চমৎকার একটি লেখা। আমরা তো কোরআন পড়ি আর সুন্দর করে কাপর দিয়ে মুড়িয়ে রেখে দেই যাতে ধুলা ময়লা না পরে। আমরা কোরআন থেকে শিক্ষা নিতে পারিনি কোরআনকে আঁকড়ে ধরতে পারিনি তাই তো আমাদের আজকের এই পরিনতি।


চমৎকার একটি লেখা উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।





ভালো থাকুন নিরন্তর।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


একমাত্র মুক্তির পথ কোরআন ও হাদিস।

ধন্যবাদ ভাই। কৃতজ্ঞতা চিরদিনের।

১৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫

বিষের বাঁশী বলেছেন: ভাবনার বিষয় বটে!

মাওলানা আকরাম খাঁর তাফসীরেও এরকম নাকি বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যাখ্যা দেবার চেষ্টা করা হয়েছে। যেমন মূসা ও ফেরাউনের নীলনদের বিষয়টি জোয়ার-ভাটার সাথে সম্পর্কিত ভাবা হয়েছে।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাবনার বিষয়তো বটেই।

মন্তব্য ও পাঠে কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯

বিজন শররমা বলেছেন: 33. Al-Ahzab: The Clans
33:53-54 O you who believe! Enter not the dwellings of the Prophet for a meal without
waiting for the proper time, unless permission be granted to you. But if you are invited,
enter, and, when, your meal is ended, then disperse. Linger not for conversation. Lo! That
would cause annoyance to the Prophet, and he would be shy of (asking) you (to go); but
God is not shy of the truth. And when you ask of them (the wives of the Prophet)
anything, ask it of them from behind a curtain. That is purer for your hearts and for their
hearts. And it is not for you to cause annoyance to the Messenger of God, nor that you
should ever marry his wives after him.

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ধন্যবাদ আপনাকে।

১৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: অন্যরকম পোস্ট।

আসলেই আমরা কুরআন ও হাদিস থেকে অনেক দূরে চলে গেছি তাই মুসলমানদের আজ এই অবস্থা।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাই মন্তব্যে।

আমাদের সকলের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।

১৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমি বলবো সুন্দর বিশ্লেষণ । দ্বিমত থাকা অন্যায় নয় । আল্লাহ আর তার রাসুলের ব্যাখ্যার উপরে কোন ব্যাখ্যা নেই ।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


এখানে দ্বিমত নয় ঠিক সেলিম ভাই। পুরো বিষয়টা নিজস্ব ধারনা।

মন্তব্যে ও পাঠে কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৮

বিজন শররমা বলেছেন: O you who believe! Enter not the dwellings of the Prophet for a meal without
waiting for the proper time, unless permission be granted to you. - Here the believers have been asked to take permission before entering the house. Nothing has been told about the non-believers. It may even mean that the non-believers can enter without permission. That indicate the religion has given more liberty and scope to the non-followers of the religion.

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আপনাকে ধন্যবাদ।

২০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অন্যরকম । ভিন্ন এঙ্গেলে চিন্তা করছেন ।
আপনি যে নিয়মিত ব্লগিং করেন না এই জন্য খারাপ লাগে ।
আপনার পোষ্ট কতজনের কাজে আসে তা বোধ হয় আপনি নিজেও জানেন না ।
এইবার আর গ্যাপ নয় , থাকেন । :)
ভাল থাকবেন কাণ্ডারি ভাই ।
শুভকামনা রইল ।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমি থাকার চেষ্টা করবো । সাথে থাইকেন কিন্তু নাইলে আড্ডা জমবে না। :)

শুভেচ্ছা রইলো ভাই।

২১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৯

ভারসাম্য বলেছেন: লেখাখানি ২/৩ দিন আগে পড়লেও সময়াভাবে বলা হয় নি কিছু। পোস্টের মূল স্পিরিটে প্রায় শতভাগ সহমত হলেও, ব্যখ্যামূলক বর্ণনায় কিছু দ্বিমত আছে। যেমন, এক জায়গায় বলা হয়েছে, " হ্যাঁ অবশ্যই কোরআন ধর্মীয় এইসব কাজের জন্যই কিন্তু কোরআন কখনই শুধুই একটি ধর্ম গ্রন্থ নয়। এঁকে বলা হয়েই থাকে পরিপূর্ণ জীবন বিধান"। এখানে ধর্ম বলতে যেটা বোঝানো হয়েছে, সেটাকে আমার ধর্ম বলে মনেই হয় না, বরং 'পরিপূর্ণ জীবন বিধান' কথাটি দিয়ে যা বোঝানো হয় সেটাই আসলে ধর্ম। আর নামাজ, রোজা এগুলো ধর্মীয় সংস্কৃতি মাত্র। ধর্মীয় সংস্কৃতি মানেই যে, সেটা তুচ্ছ কিছু এটা বোঝাচ্ছি না। যেমন, রোজা রাখার ব্যাপারটি ধরা যাক। একটা পূর্ণ দিবস পানাহার ও কামাচার মুক্ত থাকাই রোজা রাখা, যাকে কুরআনে 'সিয়াম' বলা হয়েছে। কুরআনের কথা অনুযায়ীই, কুরআনে বিশ্বাসী প্রত্যেক উপযোগী নর-নারীর জন্য পুরো রমজান মাস জুড়ে সিয়াম পালন করা বাধ্যতামূলক। এটাই ধর্মের বিধান। কিন্তু এই বিধানের পেছনের মূল তাৎপর্য হল, এটা একদিকে মানুষকে ক্ষুধা-তৃষ্ণা সহ্য করেও বেঁচে থাকার অভ্যাস গড়ে তোলার শক্তি প্রদান করে, অন্যদিকে অভূক্ত মানুষদের কষ্ট অনুভবের মাধ্যমে তাদের জন্যও দায় অনুভব করার আত্মিক প্রেরণা প্রদান করে। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানও বলে, সামর্থ্যসম্পন্ন কেউ এভাবে রোজা রাখলে, তা স্বাস্থ্যের স্থায়ী কোন ক্ষতি করে না, বরং অনেক অসুস্থতার নিরাময়ও এর মাধ্যমে সম্ভব। অবশ্য যাদের সামর্থ্য নেই, তাদের জন্য রোজা রাখা বাধ্যতামূলক নয়। এখানে বিজ্ঞানের উল্লেখ এ জন্য নয় যে, বিজ্ঞানের মাধ্যমেই কুরআনকে বিশ্বাস করতে হবে, কিন্তু কুরআনে বিশ্বাস যে অবিজ্ঞানসুলভ নয়, এটা বোঝানো। ধর্মের বিধানের মূল তাৎপর্য যে, প্রকৃতির শৃঙ্খলা ধরে রাখার পক্ষেই, এটা বোঝানো। অন্যদিকে রোজার ধর্মীয় সংস্কৃতি হল, যথাসময়ে সাহরী ও ইফতার করা। এখন কেউ যদি যথাসময়ে সাহরী না করে, তবুও তার রোজা হবে যদি কুরআনের বিধান অনুযায়ী সে সারাদিন পানাহার ও কামাচার মুক্ত থাকে। কিন্তু ইফতারের নির্ধারিত সময়ের আগেই যদি সে ইফতার করে ফেলে, তাহলে তা যেমন সংস্কৃতি সন্মত হবে না, তেমনি ধর্মসম্মতও হবে না। কেউ যদি ধর্মীয় সংস্কৃতিগুলো ঠিক মত মেনে চলে, তাহলে তার ধর্মের মূল বিধানও যেমন পালন করা হবে, তেমনি সেই বিধানের সর্বোচ্চ ইফিসিয়েন্সীও নিশ্চিত করা যাবে। অর্থাৎ আমার মতে, ধর্মটা হল ইফেক্ট যা কুরআনে বলা হয়েছে, আর সেই ইফেক্টের ইফিসিয়েন্সী ফ্যাক্টর থাকে ধর্মীয় সংস্কৃতিতে, যা রাসুলুল্লাহ'র আদর্শ বা সুন্নাহ ( হাদীস নয়, হাদীস ভিন্ন জিনিস) থেকে আমরা পেয়ে থাকি। ইফতারে খেজুর খাওয়া সুন্নাহ নয়, আবারা সুন্নাহ বহির্ভূতও নয়। কিন্তু যথাসময়ে ( সূর্য্য ডুবে যাবার অনতিবিলম্বে) ইফতার করা রাসুলুল্লাহ'র সুন্নাহ যদি তা এক ঢোঁক পানি গিলেও হয়। মূল ধর্ম ও তার সংস্কৃতিকে আমরা এভাবে গুলিয়ে ফেলাতেই ধর্মের ভেতরে এত বিভ্রান্তি তৈরী হয়ে গিয়েছে।

দ্বিতীয় দ্বিমত যেখানে সেটা হল, যদিও কুরআনের প্রায় বেশিরভাগ জায়গা জুড়েই মানুষকে কোন একটা উদাহরণ দিয়ে সে সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে, কিন্তু সেগুলোর অধিকাংশই প্রকৃতির সাধারণ বিষয়গুলো নিয়েই এবং যা অলৌকিক ( নবী-রাসুলদের মু'জিজা), অর্থাৎ যা স্বাভাবিকভাবে প্রকৃতিতে নেই, সেসবের কিছু কিছু উদাহরণ দেয়া হলেও সেগুলো নিয়ে কিন্তু চিন্তা-ভাবনা করতে পরামর্শ দেয়া হয় নি তেমন কোথাও। কারণ প্রকৃতির সাধারণ বিষয়গুলোর পেছনেই যে অসাধারণত্ব লুকিয়ে আছে, তা কেউ যদি ঠিকমত বোঝে, তাহলেই সে স্রস্টার প্রকৃত স্বরূপ ও ধর্মের প্রকৃত রূপটা ধরতে পারবে। হ্যাঁ অলৌকিক বিষয়গুলো নিয়েও চিন্তা করা যায়, তবে তা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দিয়ে বাস্তবায়ন করা যাবে না। আর যা বাস্তবায়ন করা যাবে, সেটা অলৌকিক হিসেবে বিশ্বাস করা যাবে না। আল্লাহ নবী-রাসুলগণের মাধ্যমে কিছু অলৌকিক ক্ষমতাও প্রকাশ করেছিলেন, এটাও বিশ্বাস করতে হবে, যারা কুরআনে বিশ্বাস করে। কিন্তু সেগুলো বিশ্বাসের পাশাপাশি, যা লৌকিক তাও বিশ্বাস করতে হবে, চিন্তা-ভাবনা সহকারে অর্থাৎ বিজ্ঞানসন্মত উপায়ে। শুধু বিশ্বাস করলেই হবে না, সেটার বাস্তবায়নও করতে হবে। এটাই মানুষের "প্রকৃত ধর্ম" আমার মতে।

অর্থাৎ যদিও আপনার লেখার বর্নণামূলক বক্তব্যে আমার বেশ কিছু দ্বিমত আছে, কিন্তু মূল চেতনার সাথে কিন্তু দ্বিমত নেই। ;)

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


চমৎকার মন্তব্যে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন।

পরিপূর্ণ জীবন বিধান মানে হইলো, যেমন আপনার সম্পত্তির ভাগবাটোয়ারা কেমন হইবে তাও যেমন আপনি কোরআনে পাইবেন, তেমনি একটা মানব শিশু কেমনে জন্ম নেয় তাও আপনি কোরআনে পাইবেন। নট অনলি নামায, রোজা, হজ্জ, যাকাত।

আর দ্বিতীয় প্যারায় যা বলেছেন সেই বিষয়ে দ্বিমত হইলো, প্রত্যেক নবী-রাসূল ও তাদের জাতির ঘটনার আলোকপাতের সাথেই বলা আছে এতে বিশ্বাসীদের জন্য রয়েছে শিক্ষারক্ষেত্র শুধু প্রকৃতির কথাই বলা হয়েছে এইটা ঠিক না। কোরআনে সবচেয়ে বেশি দুইটা দিকের কথা উল্ল্যেখ করা হয়েছে। এক হইলো সীমালঙ্ঘন আর দুই হইলো জ্ঞানীদের জন্য চিন্তা ভাবনার বিষয়ে।

শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো।

২২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১১

ক্যান্সারযোদ্ধা বলেছেন: জাযাকাল্লাহ! আংশিক দ্বিমত।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


মন্তব্যে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন। দ্বিমত থাকাটাই স্বাভাবিক।

ভাল থাকবেন।

২৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৯

ভারসাম্য বলেছেন: যদিও আপনার দ্বিমত প্রকাশ নিয়ে আমার কোন দ্বিমত নেই, তবে আমার কথাগুলোও যে কেবল ধারণাভিত্তিক নয়, বরং কিছুটা উপাত্তনির্ভর ছিল, সেটার ব্যখ্যা হিসেবে এই মন্তুব্যটি লিখছি। আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আপনার প্রতিমন্তব্য পড়ার পর আমি 'Zekr' সফটওয়্যারে মুহিউদ্দীন খান এর বাংলা অনুবাদে কিছু শব্দ সার্চ করে, প্রাপ্ত ফলাফল একটা স্প্রেডশীট ফাইলে রেখে, ফলাফল সংশ্লিষ্ট আয়াতগুলো তার আগে-পিছের আয়াতসহ পড়ে দেখলাম এবং সবগুলো আয়াতে কিছু রিমার্ক করে, সেগুলোকে বিশ্লেষণ করলাম। স্প্রেডশীট অ্যানালিসিস থেকে যা পেলাম, সেগুলো নীচে দেয়া হল।

"চিন্ত" root দিয়ে, " চিন্তাগ্রস্ত চিন্তা চিন্তিতও চিন্তা-ভাবনা চিন্তিত চিন্তাম্বিত নিশ্চিন্ত নিশ্চিন্ত, মঙ্গলচিন্তা চিন্তান্বিত দুচিন্তাগ্রস্ত দুশ্চিন্তা চিন্তাশীলদের নিশ্চিন্তে চিন্তাশীল চিন্তার চিন্তা-ভাবনার চিন্তাভাবনা কুচিন্তা চিন্তায়" শব্দগুলো মোট ৮৬টি আয়াতে এসেছে, যেখানে ২১ টি আয়াতে সাধারণ প্রাকৃতিক বিষয়াদির উল্লেখ করে সেগুলো নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে বলা হয়েছে। ৫৬টি আয়াত এসেছে, 'দুশ্চিন্তা/কুচিন্তা/ মঙ্গলচিন্তা/চিন্তিত' ইত্যাদি চিন্তা-ভাবনা অসংশ্লিষ্ট শব্দ অথবা পরকাল নিয়ে চিন্তা এবং অনেকক্ষেত্রে সমাজবিদ্যা সংক্রান্ত চিন্তা-ভাবনা ইত্যাদি নিয়ে। আর অতিপ্রাকৃত ঘটনার বর্ণনার পরে সেসব নিয়ে চিন্তা-ভাবনা সংশ্লিষ্ট আয়াত এসেছে মাত্র ৯টি। এই ৯টি আয়াতের ৮টিতেই আবার অতিপ্রাকৃত ঘটনার পাশাপাশি সাধারণ প্রাকৃতিক ঘটনারও উল্লেখ করে এসব নিয়ে সমাজবিদ্যা সংক্রান্ত উপদেশ দেয়া হয়েছে। নিখাঁদ অতিপ্রাকৃত ঘটনার উল্লেখ কেবল একটিমাত্র আয়াতেই আছে, যা নিয়ে চিন্তা-ভাবনার কথা বলা হয়েছে। সেই আয়াতটি হল, " অতঃপর আমি বললামঃ গরুর একটি খন্ড দ্বারা মৃতকে আঘাত কর। এভাবে আল্লাহ মৃতকে জীবিত করেন এবং তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শণ সমূহ প্রদর্শন করেন-যাতে তোমরা চিন্তা কর। (Al-Baqara: 73) "

একই ভাবে 'বুদ্ধি' root দিয়ে, "বুদ্ধিমান বুদ্ধিমানগণ! বুদ্ধিমানগন! বুদ্ধি-বিবেচনার বুদ্ধিমানগণ, বুদ্ধি নির্বুদ্ধিতাবশতঃ বিবেক-বুদ্ধি স্থুল-বুদ্ধিসম্পন্ন বুদ্ধিমানদের বুদ্ধিমানরা বিচারবুদ্ধি হতবুদ্ধি বুদ্ধিমানগণ বুদ্ধিমান। " শব্দগুলো মোট ২৯টি আয়াতে এসেছে, যেখানে সাধারণ প্রাকৃতিক বিষয়গুলোর উল্লেখ করে সেসব নিয়ে বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ সংক্রান্ত মোট ১৪টি আয়াত এসেছে। আর মাত্র ২টি আয়াত এসেছে অতিপ্রাকৃত ঘটনার উল্লেখ করে, তা নিয়ে বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ সংক্রান্ত। এই ২টি আয়াতেই আবার সাধারণ প্রাকৃতিক বিষয় ও সমাজবিদ্যার উল্লেখও রয়েছে। যেমন, "স্মরণ করুণ, আমার বান্দা আইয়্যুবের কথা, যখন সে তার পালনকর্তাকে আহবান করে বললঃ শয়তান আমাকে যন্ত্রণা ও কষ্ট পৌছিয়েছে। তুমি তোমার পা দিয়ে ভূমিতে আঘাত কর। ঝরণা নির্গত হল গোসল করার জন্যে শীতল ও পান করার জন্যে। আমি তাকে দিলাম তার পরিজনবর্গ ও তাদের মত আরও অনেক আমার পক্ষ থেকে রহমতস্বরূপ এবং বুদ্ধিমানদের জন্যে উপদেশস্বরূপ। তুমি তোমার হাতে এক মুঠো তৃণশলা নাও, তদ্বারা আঘাত কর এবং শপথ ভঙ্গ করো না। আমি তাকে পেলাম সবরকারী। চমৎকার বান্দা সে। নিশ্চয় সে ছিল প্রত্যাবর্তনশীল। (Saad: 41-44) " এখানে বুদ্ধিমানদের প্রতি উপদেশ হিসেবে কিন্তু মূল ইংগিত করা হয়েছে আইয়ূব (আঃ) এঁর দৃঢ়-প্রতিজ্ঞা ও ধৈর্য্যের প্রতি। অবশ্য উল্লেখিত অতিপ্রাকৃত ঘটনার মাঝেও চিকিৎসা-বিজ্ঞানের অনেক কিছু নিহিত থাকতে পারে, যা নিয়ে চিন্তা-ভাবনার অবকাশ থাকতেই পারে।

এবার আসি 'শিক্ষ' root দিয়ে, " শিক্ষা শিক্ষনীয় প্রশিক্ষণ শিক্ষণীয় শিক্ষিত" শব্দগুলো থাকা আয়াতগুলো নিয়ে। এরকম মোট ৩৯টি আয়াত পাওয়া গিয়েছে যার, ৮টি আয়াত সাধারণ প্রাকৃতিক বিষয়াদি নিয়ে, ৪টি অতিপ্রাকৃত ঘটনা নিয়ে, আর বাকীগুলো প্রাকৃত/অতিপ্রাকৃত/ সমাজবিদ্যা মিলিয়ে অথবা শিক্ষাগ্রহণ অসংশ্লিষ্ট বিষয়ে। মন্তব্যের কলেবর বৃদ্ধির আশংকায় বিস্তারিত উল্লেখে বিরত রইলাম।

সর্বশেষ 'নিদর্শ' root দিয়ে, " নিদর্শনগুলোকে নিদর্শণ নিদর্শনসমূহ ... নিদর্শনসহ নিদর্শনরূপে মহা-নিদর্শন " শব্দগুলো পাওয়া গিয়েছে, মোট ২১৪টি আয়াতে যার প্রথম পঞ্চাশটি বিশ্লেষণ করতে পেরেছি আপাততঃ। সেখানে ১০টি আয়াত হল, সাধারণ প্রাকৃতিক বিষয়াদি নিয়ে, ২টি অতিপ্রাকৃত বিষয়াদি নিয়ে এবং বাকীগুলো প্রাকৃতিক/অতিপ্রাকৃত/ সমাজবিদ্যা মিলিয়ে অথবা চিন্তা-ভাবনা অসংশ্লিষ্ট বিষয়ে। বাকী আয়াতগুলোর ক্ষেত্রেও অনুপাতটা এরকমই হবে আশা করা যায়

যাই হোক, যদিও আবেগমুক্ত ভাবেই চেষ্টা করতে চেয়েছি, কিন্তু সময়াভাবে এবং আবেগীয় সীমাবদ্ধতার কারণে রিমার্কগুলোতে কিছু উনিশ-বিশ হতেই পারে, তাই আপনাকেও সময় পেলে এভাবে খুঁজে দেখার অনুরোধ রইল। আর আগেই বলেছি, আপনার লেখার মূল চেতনায় মোটেও দ্বিমত নেই আমার, তবে কুরআন নিয়ে চিন্তাভাবনার ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করতে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এবং কোনগুলোতে গুরুত্ব কম দেয়া হয়েছে ( নিষেধ নয়, চিন্তাভাবনা সব আয়াত নিয়েই করা যাবে) সেটাই উল্লেখ করতে চেয়েছি। আপনার আংশিক দ্বিমতে আমার বরং অনেক কিছু পড়াও হয়ে গেল আজ। তাই এজন্য উলটো আরও ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে। :D

শুভকামনা সব সময়ের জন্য। :)

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অনেক ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার একটি মন্তব্যের জন্য।

আমি চেষ্টা করি সব সময়েই এই বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে। মাঝে মাঝে অন্যধর্মে কি আছে সেটাও দেখে নেই। এতে যুক্তি তর্কের জন্য একটা শক্ত ভিত্তি তৈরি হয়।

এই পোষ্টটা সম্পুর্ণ আমার নিজস্ব ভাবনা থেকে লেখা। তাই এখানে দ্বিমত থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আপনি যে ভাবেই ভাবুন না কেন এই ভাবনাটাই হলো আসল। এই ভাবনার জন্যই মূলত পোস্টটি দেয়া। পোষ্ট দেয়া সার্থক বলা যেতে পারে। হা হা হা হা তবে ভাই জরুরী হলো কোন আয়াতে কি আছে এই নিয়ে গবেষণা না করে কি লিখেছে কেন লিখেছে তাই নিয়ে ভাবা।

শুভেচ্ছা রইলো। অনেক ভাল থাকুন ভাই।

২৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন: বিক্ষিপ্ত কত গুলো সরলরৈখিক চিন্তা, চিন্তাটাই দরকার ঠিক বা ভুল তিনি জানেন

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


সহমত।

শুভকামনা ও কৃতজ্ঞতা সব সময়ের জন্য।

২৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৪

েমাঃ এহ্‌েতশামুল হক বলেছেন: ভাল লেগেছে ভাই

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাই।

২৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫১

এহসান সাবির বলেছেন: পোস্টের মন্তব্য গুলো দারুন।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


হ! খালি মন্তব্যগুলাই দারুণ আর পোষ্টটা কিছুই না :|

২৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০০

নিঃসঙ্গ গ্রহচারি বলেছেন: পোস্টে প্লাস!!

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাই।

২৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন!

কিছূ আয়াত কি মিস করে গেছেন? এই আলোচনা সংশ্লিষ্ট আরো কিছু আয়াত পড়েছি মনে পড়ছে! অতীত সভ্যতার উৎকর্ষতা নিয়েও কিছু আয়াত আছে- যে তারা এমন উন্নত সব্যতার অধিকারী ছিল যা তকণকার মানুষ চিন্তাও করতে পারতো না। অথচ তাদেরও আল্লাহ ধ্ভংস করেছেন তাদের অবাধ্যতার সীমা লংঘনের জন্য।
কোন সভ্যতাকে পুড়িয়ে দিয়েছেন। কোনটা মাটির অতল গহব্বরে, কোনটা সাগরের অতলে কোনটাকে নির্দশন হিসাবে উপরেই রেখে দিয়েছেন যাতে অবিশ্বাসীদের চেতনা ফেরে! আবার বলেও দিচ্ছেন তোমরা এর অনেকের পাশ দিয়েই চলাচল কর। তবুও কি বোঝনা!

আপনার পোষ্টের সাথে একটু পয়েন্ট যোগ করতে চাই- ইবাদতের বিবর্তনটা কেন কিভাবে আমাদের অচেতন করে রেখেছে এই বিসয়ে-
কারবালায় যখন সত্য আর মিথ্যা স্পষ্ট হলো এবং মিথ্যা আপাত বিজয়ী হল তখন তারা সত্যকে চিরকালীন অবদমনের জন্য ইয়াজিদের নেতৃত্বে ধর্মকে কেবলই উপাসনার ভেতরে আটকে ফেলার চেষ্টা শুরু করল। রাষ্ট্র ক্ষমতা, সামাজিক ন্যায় বিচার, ভাল মন্দের দায় তারা নিজেদের কুক্ষিগত রাখতে মানুষকে কেবলই ৫ ওয়াক্ত হাজিরা, এক অক্ষরে এত নেকী, অর্থ বোঝা বা অনুভব করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা- এরচে বেশী বুঝতে চেওনা, আল্লাহই ভাল জানেন! আমাদের এত না জনালেও চলবে টাইপ থিওরির চল শুরু করে।যা আজো বিদ্যমান একটা শ্রেণীর কাছে।
জীবন ঘনিষ্ট যে ধর্ম তাকে আচার সর্বস্ব কেবলই আরাধনা উপাসনায় আটকে এর জ্ঞান গবেষনা, ধ্যান আবিস্কার এর ভিত্তিতে জীবন এবং সময়ের অনুকুলে সত্যাসত্য নির্ণয় সব কিছুতে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রন আরোপ করলো। এবং রাষ্ট্রের বা তাদের ক্ষমতা নিরকংুশ রাখার বিরুদ্ধে যায় এমন সকল সত্যের উপর আবরণ দিতে শুরু করলো।
প্রচুর সাহাবাগণ তাদের আনুগত্য অস্বীকার করে মরুভূমিতে নির্বাসন কবুল করেছেন কিন্তু মিথ্যার কাছে মাথা নত করেননি। আবুজর গিফারী রা: সহ বহু বহু সাহাবাগণ এর অন্তর্ভূক্ত। আবার অনেকে জানের ভয়ে লোভে বা বিশ্বাসের বিভ্রান্তিতে তাদের জাল হাদীস, মতবাদের সহযোগীতা করে গেছেন।

সেই ধারাবাহিকতা আজো চলছে। ওহাবী সালাফী, তাবলিগী নানা নামে ইসলামের অন্তর্নিহীত তাৎপর্য অনুধাবনের চেষ্টায়ও তাদের ঘোরতর আপত্তি! আজ ২০১৫ সালেও ছবি তোলা সারা, টাইপ বাস্তবতা বিবর্জিত তত্ব ধারন করে, সিনেমা নাজায়েজ বলে নিজেরা কোনঠাসা হয়ে আছে- আর মুসলিম জাতি পিছিয়ে যাচ্ছে শত শত বছরে্ যেমন পিছিয়ে ছিল ব্রিটিশ আমলে ইংরেজী শিক্ষার বিরোধীতা করে শত বছর।

আবার এন্টি ইসলামিক শক্তি এই বিসয়গুলোতে শতভাগ কনসাস। ভরেই তারা এগুলো প্রতিরোধে এবং বিভ্রান্ত মতবাদ ছড়াতে বা তার বিকাশে বিনিয়োগ পর্যন্ত করে। অথচ আমরাই কেবল উদাসীন। নিজের বিশ্বাসটুকু নিয়েও। এক কল্পভ্রমে বসবাস করছি। হুজুর বলেছে একবার যে কলেমা পড়েছে সে জান্নাত পাবেই.. বোধে মরে গেলেই জান্নাত আর হুরপরী পাব এই ভ্রম বিলাসে!
সরি অনেক কথা এসে গেল। আসলে বিষয়টাই এমন আলোচনা করতে গেলে শুধু আলোচনা দীর্ঘই হয়!!!! :)

++++সব দুষ আপনের পোষ্টের ;)

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অসাধারণ মন্তব্য করেছেন ভাই। আপনার আলোচনার প্রেক্ষিতে আসলে আর কিছু বলার নেই। আপনি সব কিছুর ব্যাখ্যা দিয়েছেন খুব সুন্দর করে। তবে এখানে সব আয়াত দেইনি। অল্পকিছু আয়াতেই থেকেছি। নতুবা পোষ্ট অনেক দীর্ঘ হয়ে যেত। আজকাল খুব বড় পোষ্ট কেউ পড়তে চায়না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.