নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূণ্যতা থেকে শূণ্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূন্যতা থেকে শূন্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

কান্ডারি অথর্ব

আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।

কান্ডারি অথর্ব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বার্মিজ মার্কেট নয় চাই দেশীয় পণ্যের সমাহার

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩৫





দেখতে দেখতে আরও একটি বিজয়ের মাস এসে উপস্থিত হয়েছে আমাদের মাঝে। সময় এসেছে প্রোফাইল পিকচারে জাতীয় পতাকার ছবি দেয়ার। বাসা-বাড়ি এবং গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড্ডয়নের এখনই শ্রেষ্ঠ সময়। নইলে আমাদের দেশপ্রেমের চেতনার বহিঃপ্রকাশ হবে না। সারা বছর জুড়ে শহীদ মিনার এবং স্মৃতি সৌধ ভ্রাম্যমাণ পতিতাদের অভয়ারণ্য হলেও এবং গাঁজার আশর জমে উঠলেও বছরের নির্দিষ্ট দিনটিতে খালি পায়ে ফুল হাতে সন্মান প্রদর্শনের মাঝেই আমাদের দেশপ্রেম জাগ্রত হয়। ভাষার জন্য প্রাণ দেয়ার ইতিহাস থাকলেও আমরা আমাদের দোকানের নাম সততা জেনারেল স্টোর রাখতেই পছন্দ করি। এতে করে ইংরেজীর সাথে বাংলা ভাষার একটা মেলবন্ধন রচিত হয়। কাগজে জাতীয়তার স্থানে বাংলাদেশী লিখতে হলেও আসলে আমাদের কার্যক্রমে আমরা বিজাতীয় চেতনার ধারক এবং বাহক হিসেবে থাকতেই বেশী সাচ্ছন্দ বোধ করি। খুব সম্ভবত এই কারণে গ্লোবালাইজেশন শব্দটা দিয়ে সবকিছু থেকে পরিত্রাণ পেতে চাই।

গ্লোবালাইজেশন খারাপ কিছুই নয়। আমি মোটেও এর বিপক্ষে নই। ট্রিট কিংবা জীলেট নামক ব্লেড থেকে শুরু করে টয়োটা কিংবা টাটা নামক গাড়ি ইত্যাদি যে কোন পণ্য ব্যবহারে কোন বাঁধা নেই। কিন্তু তারমানে এই নয় যে আমাদের দেশীয় পণ্য নিগৃহীত হয়ে পড়ে থাকবে। আমাদের গর্ব করার মতো অনেক পণ্যই রয়েছে। যেমনঃ জামদানী, বেনারসি, পাটজাত দ্রব্য, ওষুধ, প্রসাধনী, পোশাক শিল্প, প্ল্যাস্টিক সামগ্রী, সিমেন্ট, সিরামিক শিল্প, কাঁচ শিল্প, মেলামাইন ইত্যাদি। এগুলোর প্রায় সবকিছুই বিদেশে রপ্তানী করা হয়ে থাকে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।

কিন্তু প্রশ্ন হলো আমরা নিজেরা আমাদের পণ্য সম্পর্কে কতটা উদার ? নাকি দেশীয় পেঁয়াজ, ডাল, তৈরি পোশাক থাকতেও আমরা ভারতীয় পেঁয়াজ, ডাল আর তৈরি পোশাকে বেশী আসক্ত। আমরা ন্যাশনাল টঙ্গী পাখার চেয়ে বেশী সাচ্ছন্দ বোধ করি জিএফসি পাখা ব্যবহারেই। দেশীয় চলচ্চিত্রের চেয়ে বেশী আগ্রহ আমাদের বিদেশী চলচ্চিত্রের রিভিউ লেখা নিয়ে। যেন এই দেশে ভাল চলচ্চিত্র প্রায় হয় না বললেই চলে ! অথবা আমি যে একজন মুভী প্রেমী তার নমুনা প্রদর্শন হিসেবে বিদেশী চলচ্চিত্রই মুখ্য আর যদি এই দেশের চলচ্চিত্র সম্পর্কে কিছু বলতেই হয় শুধুমাত্র অতীত নিয়ে কিছুটা স্মৃতিচারণা ছাড়া আর কিছুই তেমন ভাল নয় বলেই দ্বায়সারা একটা মনোভাব নিয়ে থাকা। তাইতো ঋত্বিক রোশনরা এই দেশে এসে প্রশ্ন রেখে যাওয়ার সুযোগ পায় কেন বাংলাদেশে তাদের দেশের ছবি মুক্তি পায় না ? যদি মুক্তি পায় তাহলে সে আর স্টেজে নাচবেনা, নাচবে আমাদের সকলকে নিয়েই। আর আমাদের দেশের নায়করা আমাদের কাছে রয়ে যাবে খ্যাঁত হিসেবেই। এই যখন আমাদের অবস্থা তখন বার্মিজ মার্কেট নিয়ে ভেবে দেখার অবকাশ আমাদের হওয়ার কথাও না।

আমরা অনেকেই থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, নেপাল, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, জাপান, চীন কিংবা দুবাই যাই ভ্রমণে। দেশে ফেরার আগে কেনাকাটা করে আনি সেইসব দেশের নাম খোদাই করা পণ্য সামগ্রী। কিন্তু ভেবে দেখার বিষয় হলো আমাদের দেশ থেকে যখন কোন বিদেশী পর্যটক ফিরে যায় তখন তারা কোন দেশীয় পণ্যটা কিনে নিয়ে যায় তাদের সাথে করে তাদের দেশে।

কক্সবাজার হলো দেশের পর্যটন স্থানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে অধীক জনপ্রিয় স্থান। আর ভ্রমণের সাথে জড়িয়ে থাকে কেনাকাটার বিষয়টাও। কিন্তু কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে যদি কোন বিদেশী পর্যটক এসে কিছু কেনাকাটা করতে চায় তাহলে সে পাবে বার্মিজ মার্কেট। যাওয়ার আগে সাথে করে কিনে নিয়ে যাবে বার্মিজ আঁচার, চকোলেট, সাবান, স্যান্ডেল ইত্যাদি। তারা চিনবে বার্মিজ পণ্য সামগ্রী। শুধু বিদেশী পর্যটক কেন স্বয়ং আমরা নিজেরাই কক্সবাজার বেড়াতে গেলেই বার্মিজ পণ্য সামগ্রী না কিনে ধন্য হতে পারিনা। যেন বার্মা আমাদের দেশেরই কক্সবাজার জেলার একটি গ্রাম। আমরা না পারলেও বার্মা কিন্তু ঠিকই আমাদের একটা মূল্যবান বাজার দখল করে ফেলেছে অত্যন্ত সুকৌশলে। পুরো কক্সবাজার এলাকাজুড়ে গড়ে উঠেছে বার্মিজ মার্কেট। শুধু পণ্যই নয় পুরো বাজারের নামই রাখা হয়েছে বার্মিজ মার্কেট। আমরা এতটাই বার্মিজ প্রিয় জাতি যে নিজেদের ঐতিহ্যের চেয়ে আমরা বিদেশী ঐতিহ্য ধারণ করতেই বেশী পছন্দ করি।

এসব বার্মিজ পণ্য টেকনাফ দিয়ে আসে চোরাই পথে। খোদ টেকনাফেই আছে বিশাল এক বার্মিজ মার্কেট। এই যখন চোরাকারবারের অবস্থা তখন বার্মিজ মদ, আঁচার, চকোলেট, স্যান্ডেল, সাবান, শ্যাম্পু, পোশাক, মশারি ইত্যাদি পণ্যের মতো রোহিঙ্গারাও করে নিয়েছে তাদের নিরাপদ আশ্রয় স্থল। এমনও দেখা গেছে তাদেরকে এই দেশের নাগরিক সনদপত্র দেয়া হয়েছে স্থানীয় ভাবে, তারা এইদেশে থেকেই বার্মিজ কারেন্সিতে লেনদেনও করছে।

যাই হোক, এই বার্মিজ মার্কেটের ইতিহাস সম্পর্কে যা জানা যায় তা হলো, এক রাখাইন উদ্যোগী মহিলা উনাং তার নিজ বাড়িতে খুবই ছোট পরিসরে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত রাখাইন হস্তশিল্পের কিছু মালামাল-চাদর, কাঁধে ঝোলানো ব্যাগ, চুরুট, পুরুষদের লুঙ্গি আর টুকিটাকি জিনিস পত্রের পসরা সাজিয়েছিল। সেখান থেকেই আজকের এই সর্বজন স্বীকৃত বার্মিজ মার্কেটের সূচনা।

যদিও শুরুতে দোকানগুলোতে বার্মিজ কোন পণ্য ছিল না কিন্তু পরবর্তীতে বার্মিজ পণ্য যেমনঃ লুঙ্গি, থামি, স্যান্ডেল, আঁচার, বাম জাতীয় ভেসজ, স্নেখা, বিভিন্ন জাতের পাথর এবং বার্মিজ হস্তশিল্পের কাঠের ও ঝিনুকের তৈরী বিভিন্ন সৌখিন জিনিস সংযোজন হতে থাকে এবং বার্মিজ মার্কেট নামের পরিপূর্ণতা লাভ করে। যদিও বলা হয়ে থাকে এটা মূলত রাখাইন উপজাতিদের দ্বারা পরিচালিত কিন্তু মনে প্রশ্ন জাগে তাহলে কেন এর নাম রাখাইন মার্কেট না হয়ে বার্মিজ মার্কেট রাখা হলো ? এই রাখাইনদের সম্পর্কে যা জানা যায়, এরা মূলত আরাকান উপজাতি। তাহলে কি এটা বার্মিজদের কোন সুদূর প্রসারী বাণিজ্যিক প্রক্রিয়া নয়; যা আমরা আমাদের স্বভাব জাত কারণে টোপ হিসেবে গিলে নিয়ে এখন তার বৈধতা দিয়ে চলেছি।

আমরা কক্সবাজারে বিদেশী পর্যটকদের কাছে দেশীয় পণ্য তুলে দেয়ার বদলে তুলে দিচ্ছি বার্মিজ পণ্য। নিজেদের পরিচিতির চেয়ে যেন আমাদের কাছে মূখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে বার্মিজ পণ্য তুলে ধরার প্রয়াস। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো জাতীয় পর্যটন নিয়ে যে ওয়েব সাইটটি আছে সেখানেও কক্সবাজারের বিশেষ আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে এই বার্মিজ মার্কেট সম্পর্কে। যেন এটা আমাদের জাতীয় পর্যায় অত্যন্ত গৌরবের একটি বিষয় !

আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে সামান্য কিছু আঁচার আর স্যান্ডেল কিংবা মদ বেঁচে বার্মা আমাদের কাছ থেকে কি আর তেমন অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হচ্ছে। থাকনা ওরা এভাবেই। পাছে আমরা ওদের ওখানে না গিয়েওতো সহজেই ওদের পণ্য পেয়ে যাচ্ছি। কিন্তু ভেবে দেখার বিষয় হলো ওরা কি এভাবে আমাদের পণ্য পাচ্ছে ? আমরা কি এভাবে ওদের বাজার দখল করতে পেরেছি? বিষয়টা পণ্যের সাথে সাথে আমাদের সামগ্রিক জাতীয়তা বোধেরও।

বার্মিজ পণ্য আমাদের বাজারে পাওয়া যেতেই পারে কিন্তু সেটার পরিচিতি কেন জাতীয় পর্যায় হবে ? এটা আমাদের কেমন ধরনের জাতীয়তাবোধ। তারচেয়ে বরং কক্সবাজারের মতো পৃথিবী বিখ্যাত একটি স্থান হোক আমাদের একান্ত নিজস্ব দেশীয় পণ্যের একটি স্থান। যার নাম হবে বাংলাদেশী মার্কেট। সেখানে পাওয়া যাবে দেশীয় সব তৈরি পোশাক, গহনা, জামদানী কিংবা বেনারসি, মনিপুরী, সাঁওতাল আর চাকমাদের তৈরি পোশাক, হস্তশিল্প, পাটজাত পণ্য, দেশীয় আঁচার আর চকোলেট। বিদেশ থেকে আমরা যেমন সামান্য চাবির রিং কিনে আনলেও দেখি সেখানে সেইসব দেশের নানা উল্ল্যেখ যোগ্য স্থান শোভিত রয়েছে তেমনই যেন কোন বিদেশী পর্যটক এই দেশ থেকে ৫৫৫ লেখা চাবির রিং না কিনে; যাওয়ার আগে সাথে করে কিনে নিয়ে যেতে পারে বগুড়ার মহাস্থানগড় কিংবা কুমিল্লার ময়নামতি অথবা সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারের চিত্র।

বিজয়ের মাসে এই হোক তবে নব প্রত্যয়। বার্মিজ মার্কেট নয় চাই দেশীয় পণ্যের সমাহার। হৃদয়ে সদা জাগ্রত থাকুক জাতীয়তা বোধ।




মন্তব্য ৭০ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৭০) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: দেশপ্রেমের চেতনার বহিঃপ্রকাশের ছড়াছড়ি দেখতে পাবেন এই মাসটিতে।। অনেকে তো আবার সাধারনের ঘুম,পড়া নষ্ট করে বিজাতিয় গানে ভরিয়ে তুলবে আকাশ বাতাস।। পন্য তো মানুষ শখ করে কেনে,কিন্তু এখানটায়?? (তাই বলে বিদেশীপন্য কেনা জায়েজ করছি না)।। আহবান জানাই একসাথে অন্ততঃ এই মাসটিতে আমরা শুনি নিজেদের গান আর কিনি নিজেদেরই পন্য।।
শুরুটাই হোক এভাবে।।
ধন্যবাদ।। ভাল আছেন তো??

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


চেতনা থাকা জরুরী কিন্তু ঘূণে খাওয়া চেতনা ক্ষতিকর। ঘূণ মারার ব্যবস্থা নেয়া দরকার নতুবা একসময় সব ভেঙে পড়বে।
এখনও সময় আছে নিজকে জানার, নিজকে মেলে ধরার।

আছি ভালই। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাই।
বিজয়ের শুভেচ্ছা।

২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫৯

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
এভাবে চিন্তা করা হয়নাই কখনো।
চমৎকার লিখা ||

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


বিজয়ের শুভেচ্ছা প্রিয় মুন ভাই।

৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১৫

কবি এবং হিমু বলেছেন: চমৎকার একটি লেখা।যেদিন থেকে আমরা প্রতিদিন এসব নিয়ে চিন্তা করবো,মনে করবো প্রতিটা দিন বিজয়ের সেদিন আমরা সোনার বাংলার সোনার মানুষ হতে পারবো।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


সহমত।
আমরা এমন দিনের প্রত্যাশায় আমাদের জাতীয়তা বোধকে জাগ্রত করি।

৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩৮

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: দারুণ একটা পোস্ট কান্দারি ভাই মোবাইল থেকে বাংলা লিখতে ঝামেলা বিস্তারিত পরে লিখব

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভ্রাতা অপেক্ষায় থাকলাম। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা চিরদিনের।
ভাল থাকুন সব সময়।

৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:১৭

আসিফামি বলেছেন: সহমত । বার্মিজ মার্কেট থাকতে পারে কিন্তু সাথে বাঙ্গালী মার্কেট অথবা বাংলাদেশি বাজার অথবা আড়ং ও অন্যান্য বড় দেশি প্রতিষ্ঠান থাকা জরুরি

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


কক্সবাজারে ঝিনুক মার্কেট নামের আরেকটি মার্কেট আছে কিন্তু সেখানেও বার্মিজ পণ্যের আধিক্য।
দেশীয় মার্কেট থাকবে কিন্তু সেখানে অল্প বিস্তর বার্মিজ পণ্য পাওয়া যেতেই পারে।

ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য।
বিজয়ের শুভেচ্ছা।

৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৭

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: যে জাতির মনে দেশপ্রেম নাই, কেবলই উৎসব কেন্দ্রীক! সেখানে পাকিস্তানী মার্কেট থাকলেই বা কী আসে যায়?

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


কিছুদিন আগে সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ যাবো এক রোগী দেখতে। দোয়েল চত্বরের এখানে য্যামের মধ্যে রিক্সায় বসে আছি। পাশে একটি হোন্ডা এসে থামল। হোন্ডার সামনে দুটি ছেলে ও পেছনে একটি মেয়ে বসা। খুব সম্ভবত তারা শহীদ মিনার যাবে। মেয়েটি ছেলে দুটোর কাছে জানতে চাইছে তারা যেখানে যাবে ঐটার নাম যেন কি ? মাঝের ছেলেটি বলল শহীদ মিনার। তখন মেয়েটি বলল ওহ ! আচ্ছা ঐযে একুশে ফেব্রুয়ারীর অনুষ্ঠানের দিন যে একবার ফুল নিয়ে গিয়েছিলো সেইটা !

এই হলো আমাদের চেতনা। একুশে ফেব্রুয়ারী এখন শুধুই একটা অনুষ্ঠান ছাড়া আর কিছুই না।

তাতে পাকিস্তান, ভারত কিংবা বার্মা আর আমাদের মনে কীভাবে দাগ কাটবে !

৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৯

রিকি বলেছেন: যদিও শুরুতে দোকানগুলোতে বার্মিজ কোন পণ্য ছিল না কিন্তু পরবর্তীতে বার্মিজ পণ্য যেমনঃ লুঙ্গি, থামি, স্যান্ডেল, আঁচার, বাম জাতীয় ভেসজ, স্নেখা, বিভিন্ন জাতের পাথর এবং বার্মিজ হস্তশিল্পের কাঠের ও ঝিনুকের তৈরী বিভিন্ন সৌখিন জিনিস সংযোজন হতে থাকে এবং বার্মিজ মার্কেট নামের পরিপূর্ণতা লাভ করে।

ভাই আচারগুলো পোকা ধরা বিক্রি করে !!!! :D আর কত আশি বছরের বাসি জিনিস উফফ !!!! |-) চাদরগুলো বড় গামছার থেকে খুব একটা বেশি বড় হবে না!!!! আমরা হলাম ভাই হুজুগে বাঙালি---এটা অস্বীকার করার উপায় নাই। পোকা ধরা আচার খেলেও নিজেদের আমের আচার সেখানে বিক্রি করার মত চিন্তাও করি না---কথাটা অনেকটা এরকম 'মেড ইন চায়না, খারাপ বলা যায়না (পার্টস ভুয়া হোক না কেন, চায়নার লোগো আছে না)' !!! এরকম আমরা লোগো আর ট্যাগ সভ্যতাতে চলি !!!! B:-/

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অবস্থা এখন এইরকমের যে, মালদ্বীপ থেকে যদি কেউ ডাব এনে এখানে বিক্রি করে দেখবেন; আমরা মালদ্বীপের ডাব খেতে পেরেই তৃপ্ত হবো। দোকানের নাম হবে মালদ্বীপ ডাব স্টোর। ছোট আকারের ডাব ৮০ টাকা আর বড় আকারের ডাব ১২০ টাকা। আর দেশীয় ডাব কালের অতল গহবরে হারিয়ে যাবে।

আমরা শুধু লোগো না; আমরা আসলে ফরেন নামের লোগোতে বিশ্বাসী।

ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
বিজয়ের প্রত্যয় বিজয় আনুক আমাদের সকলের মননে।

৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার আজকের পোস্টটা আমার খুব ভাল্লাগছে।

এই চিন্তাগুলোর সত্যিই যদি বাস্তবায়ন হতো খুব খুশি হতাম।

কলেজ লাইফ থেকেই আমার খুব ইচ্ছা ছিল আমি ব্যবসা করবো। কিন্তু কোনো এইম ছিল না কি বিজনেস করবো। ধীরে ধীরে সেটা গিয়ে দাঁড়ালো ভাত মাছ ভর্তার হোটেল দিব।আমি চাকুরি বাকুরি না করে নিজেই হোটেলের খাবারটা রান্না করবো। আবার ভাবলাম থাক একটা চায়ের হোটেল দিবো। আজকে আপনার পোস্টটা পড়ে মনে হলো আমার যদি অনেক টাকা থাকতো তাহলে আমিই ওখানে গিয়ে দেশীয় ঐতিহ্য তুলে ধরে অমন কোনো দোকান দেই!

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


যাক এতদিনে অন্তত একটা পোষ্ট দিয়ে হলেও আপনাকে খুশি করতে পারলাম এটাই পরম আনন্দের। :)

কৃতজ্ঞতা চিরদিনের জন্য রইলো।

আপা আমারও খুব ব্যবসা করার ইচ্ছা আছে। যদি কখনও ব্যবসা করার মত টাকা পয়সা জোগাড় করতে পারি আসেন আমি আর আপনি মিলে ওখানে গিয়ে দেশীয় ঐতিহ্য তুলে ধরে দোকান দেই। এইটা আমারও খুব করার ইচ্ছা আছে। জানিনা এই ইচ্ছা পূরণ হবে কিনা কখনও।

৯| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৬

সুমন কর বলেছেন: অনেক কথাই তুলে ধরেছেন। পূর্ণ সহমত। +।

সবার আগে দরকার সচেতনা।

কোন বিদেশী পর্যটক এই দেশ থেকে ৫৫৫ লেখা চাবির রিং না কিনে; যাওয়ার আগে সাথে করে কিনে নিয়ে যেতে পারে বগুড়ার মহাস্থানগড় কিংবা কুমিল্লার ময়নামতি অথবা সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারের চিত্র।

বিজয়ের মাসে এই হোক তবে নব প্রত্যয়। বার্মিজ মার্কেট নয় চাই দেশীয় পণ্যের সমাহার। হৃদয়ে সদা জাগ্রত থাকুক জাতীয়তা বোধ।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


সবার আগে দরকার চেতনাজীবী না হয়ে জাতীয়তা বোধকে হৃদয়ে ধারণ করা।

মন্তব্যে ভাল লাগা ও কৃতজ্ঞতা জানবেন।
বিজয়ের শুভেচ্ছা।

১০| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৬

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: বার্মিজ মার্কেট থাকুক, অসুবিধা নাই। কিন্তু ভাই ওইখানের বেশিরভাগ জিনিসই মনে হয় আয়না আর থাইল্যান্ডের। পচা আচার আর কিছু হাবিজাবি ছাড়া। আমরাও যদি ওইপারে কিছু জিনিস ঢুকাইতে পারতাম তাইলে সমান সমান হইতো। বাংলাদেশের পশ্চিম দিকের সীমান্তে ভারতীয় পন্যে সয়লাব থাকবে আবার আসাম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড এইসব জায়গার মানুষ বাংলাদেশী পণ্য ছাড়া চলতে পারবেনা এইটা বাস্তবতা। তবে আমরা নিজেদের পন্যের প্রচারে কিংবা বিস্তারে কি করছি সেটাই প্রশ্ন। প্রান ভারতে ঢুকছে নাকি সেটা নিয়েও আমার সন্দেহ আছে। আমার তো মনে হয় দেশী চ্যানেলের চেয়ে ভারতীয় বাংলা আর হিন্দী চ্যানেলে দিলে মানুষ বেশি দেখবে তাই ওরা ওইখানেই বিজ্ঞাপন দেয়।

নিজেদের যদি আমরা টেনে না তুলি, অন্যরা আমাদের টেনে তুলবেনা। ওরা নিজেদের জন্যই কাজ করবে। ভারত বার্মার কোন দোষ নাই এইখানে।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাই কোন দেশেরই আসলে দোষ না। সব দেশই চায় তাদের পণ্য দিয়ে বিশ্ব বাজার দখল করতে। সব দেশেরই চেষ্টা থাকে নিজ দেশকে তুলে ধরতে। এখানে বিবেচ্য বিষয় কে তাতে সফল হতে পেরেছে। এই যেমন আপনি বললেন আমাদের দেশের পণ্য ভারতে চলুক তেমনি ভারতও চাইবে তাদের পণ্য এই দেশে চলুক। কিন্তু আমাদের পণ্য অন্য কোন দেশে চললেও তারা সেটাকে সামগ্রিক ভাবে প্রাধান্য দেবে না। কিন্তু আমাদের অবস্থা হচ্ছে নিজেরটা বাদ দিয়ে অন্যেরটা প্রাধান্য দেই। যার আদর্শ উদাহরণ এই বার্মিজ মার্কেট। পচা হোক আর মন্দ হোক বার্মিজ আঁচার, মদ কিংবা স্যান্ডেল কিন্তু ভালই স্থান করে নিয়েছে।

হ্যাঁ আমাদের নিজেদেরকেই নিজেদের টেনে তুলতে হবে।

মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।
বিজয়ের শুভেচ্ছা নিরন্তর।

১১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪২

আবু শাকিল বলেছেন: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আমরা যাই বার্মিজ মার্কেট আচার আর স্যান্ডেল কিনতে ।বহুদিন আগে থেকেই বার্মিজ মার্কেট একটা অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে।এখন আমরা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গিয়ে কেনাকাটার প্রথম পছন্দ বার্মিজ মার্কেট ।নিজ দেশের পর্যটন কেন্দ্রে গিয়ে অন্য একটা দেশের ছাপ নিয়ে আসি এখানেই শেষ নয় বাসায় বার্মিজ পণ্য নিয়ে আসার পর এটাকে নিজেরাই বার্মিজ পন্যের চাহিদা বৃদ্ধি করছি।
আপনি কঠিন সত্য কথা বলেছেন
"যদি কোন বিদেশী পর্যটক এসে কিছু কেনাকাটা করতে চায় তাহলে সে পাবে বার্মিজ মার্কেট। যাওয়ার আগে সাথে করে কিনে নিয়ে যাবে বার্মিজ আঁচার, চকোলেট, সাবান, স্যান্ডেল ইত্যাদি। তারা চিনবে বার্মিজ পণ্য সামগ্রী। শুধু বিদেশী পর্যটক কেন স্বয়ং আমরা নিজেরাই কক্সবাজার বেড়াতে গেলেই বার্মিজ পণ্য সামগ্রী না কিনে ধন্য হতে পারিনা।"
নীচের কথা গুলোতে সহমত
"বার্মিজ পণ্য আমাদের বাজারে পাওয়া যেতেই পারে কিন্তু সেটার পরিচিতি কেন জাতীয় পর্যায় হবে ? এটা আমাদের কেমন ধরনের জাতীয়তাবোধ। তারচেয়ে বরং কক্সবাজারের মতো পৃথিবী বিখ্যাত একটি স্থান হোক আমাদের একান্ত নিজস্ব দেশীয় পণ্যের একটি স্থান। যার নাম হবে বাংলাদেশী মার্কেট। সেখানে পাওয়া যাবে দেশীয় সব তৈরি পোশাক, গহনা, জামদানী কিংবা বেনারসি, মনিপুরী, সাঁওতাল আর চাকমাদের তৈরি পোশাক, হস্তশিল্প, পাটজাত পণ্য, দেশীয় আঁচার আর চকোলেট। বিদেশ থেকে আমরা যেমন সামান্য চাবির রিং কিনে আনলেও দেখি সেখানে সেইসব দেশের নানা উল্ল্যেখ যোগ্য স্থান শোভিত রয়েছে তেমনই যেন কোন বিদেশী পর্যটক এই দেশ থেকে ৫৫৫ লেখা চাবির রিং না কিনে; যাওয়ার আগে সাথে করে কিনে নিয়ে যেতে পারে বগুড়ার মহাস্থানগড় কিংবা কুমিল্লার ময়নামতি অথবা সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারের চিত্র।

বিজয়ের মাসে এই হোক তবে নব প্রত্যয়। বার্মিজ মার্কেট নয় চাই দেশীয় পণ্যের সমাহার। হৃদয়ে সদা জাগ্রত থাকুক জাতীয়তা বোধ। "


০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


বিজয়ের মাসে এই হোক তবে নব প্রত্যয়। বার্মিজ মার্কেট নয় চাই দেশীয় পণ্যের সমাহার। হৃদয়ে সদা জাগ্রত থাকুক জাতীয়তা বোধ।

বিজয়ের শুভেচ্ছা শতত সুপ্রিয় শাকিল ভাই।

১২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
এপিক পোস্ট!!! +++++++++++++++

বার্মিজ মার্কেটে আমি নিজেও কয়েকবার গিয়েছি। (শুধুই কিনতে নয়... ইয়ে করতে আরকি!) কিন্তু এভাবে ভাবি নি কখনও, কারণ কীভাবে যেন আমাদের অস্তিত্বের মধ্যে ঢুকে গেছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সচেতনতা প্রয়োজন।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয় মইনুল ভাই।

বার্মিজ মার্কেটে কি বিয়েও করা যায় নাকি B:-)

সত্যি বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজন রয়েছে বিস্তর সচেতনতার ।

বিজয় মাসের শুভেচ্ছা ভাই।

১৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

যা-ই হোক... ওটা তো ব্র্যাকেটের বিষয় X(


ওরা যেন কী একটা লাগিয়ে রাখে মুখমণ্ডলে। চন্দনের পেস্ট... বা এজাতীয় কিছু একটা। মুখ ফর্সা করার। ওরা তো এমনিতেই ফর্সা। ভালোই কিন্তু লাগে। আহা... বিক্রির জন্য কী তাদের ব্যাকুলতা! বিক্রয়কর্মী হিসেবে ওরা এক্কেবারে খাসা! (খুবই মায়া লাগে, বুঝলেন?) আমি তো অনেক কিছু কিনতে চেয়েছি। কিন্তু কিছুই কিনি নি /:)

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


দুঃখিত আমি ব্রাকেট দিতে ভুলে গেছিলাম :-*

শুধু বিক্রয়কর্মী হিসেবেই খাসা ? ;)
তবে যাই বলেন ওরা কিন্তু আসলেই অনেক সুন্দরী। :`>

ওদের একটা জিনিস খুবই মজা লাগে যে দামই বলেন না কেন বলবে "হোবে না"

১৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৫

লিও কোড়াইয়া বলেছেন: আমরা তো ভাই হুজুগে বাংগালী। অন্যকে আর দোষ কী দিবো, আমি নিজেই সবার দলে। দেশকে ভালবাসা অনেক কষ্টের। দেশতো আর গার্লফ্রেন্ড না যে, ''আই মিস ইয়ু, আই লাভ ইউ বেবি'' বলে ভালবাসা দেখিয়ে পার পেয়ে যাবো! জিনিসটা ভিতর থেকে আসতে হয়। বলে কয়ে এটা হয় না। যেদিন অামাদের ভিতর থেকে দেশপ্রেম আসবে, সেদিন দেশের কিছু হবে। আমরা মুখে বর্নবাদ বিরোধী কথা বলি, বিয়ে করার সময় সুন্দরী মেয়ে চাই। ভিতর থেকে না আসলে জোর করে কিছুই হয় না। সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ভাই।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাইয়া দেশকে ভালোবাসা আসলেই কষ্টের। বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে বুক পেতে দেয়া সহজ নয়। প্রেমিকাকে আই লাভ ইউ বলা সহজ কিন্তু তার আস্থাভাজন এবং ভালবাসার মানুষ হতে হলে ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। নইলে প্রেম জমে না। এই ভেতর থেকে প্রেম আসার অপেক্ষায় আছি সুপ্রিয় ভ্রাতা। এই সুন্দরী মেয়ে কনসেপ্টটা আসছে যতসব বিউটিপার্লার থেকে। এইসব পার্লার অথবা বার্মিজ মার্কেট সম্পর্কেই আমাদের সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। একদিন ঠিকই চেতনার মিটারে সঠিক রিডিং পাওয়া যাবে।

বিজয় মাসের শুভেচ্ছা ভাইয়া।
কৃতজ্ঞতা সব সময়ের জন্য।

১৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৭

মানবী বলেছেন: বার্মিজ পণ্যের অধিকাংশ ক্রেতারা মনে হয় বাংলাদেশী পর্যটক। বিদেশী পর্যটকরা সাধারণত কোন দেশে বেড়াতে গেলে সেদেশের পণ্য কিনতেই বেশী আগ্রহবোধ করে।

বার্মিজ পণ্যের চেয়েও ভারতীয় পণ্য রুখে দেয়া অনেক অনেক বেশী জরুরী। বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য ভারতীয় পণ্য নিঃসন্দেহে অনেক বড় হুমকী স্বরূপ।

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ কান্ডারী অথর্ব!

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আমি খুব ভাল ভাবেই পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি বার্মিজ মার্কেটে বিদেশী পর্যটকদের ঘুরে বেড়াতে এবং কেনাকাটা করতেও। মনের ভেতর সেই তাগিদ থেকেই এই পোষ্ট।

তাছাড়া কোন পণ্য হয়ত রুখে দেয়া একেবারেই সম্ভব নয় তবে ভারত বলেন আর যাই বলেন যে কোন আগ্রাসন থেকে মুক্তির একটাই উপায় সবার আগে নিজের দেশকে ভালোবাসা, নিজের দেশের পণ্যের প্রতি আস্থাশীল হওয়া, নিজের দেশেরটা ব্র্যান্ডিং করা।

সুন্দর মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো।
বিজয়ের শুভেচ্ছা রইলো।

১৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৩

মুখ ও মুখোস বলেছেন: সবই বুঝলাম, কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা পড়াবে কে?

এখন ব্লগে এই ধরনের ভালো, চিন্তাশীল মত প্রকাশ দেখা যায় না। আপনার চিন্তার ধরন ভালো। সরকারের উচিত ফেসবুক বাদ দিয়ে ব্লগ পড়া। ব্লগে অনেক ভালো ও প্রয়োজনীয় বিষয়ে আলোচনা হয়। শিক্ষা তারা এখান থেকেই বিনামুল্যে নিতে পারেন। আমেরিকায় এই ধরনের মতকে খুব এপ্রিশিয়েট করা হয়। বাংলাদেশে জানি না, কেউ পাত্তা দেয় কিনা।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাই সরকার যদি ব্লগ পড়া শুরু করে তাহলে খুব শীঘ্রই ব্লগটাও বন্ধ করে দিতে পারে। অস্বাভাবিক কিছুই নয়। তখন আর মত প্রকাশের এই জায়গাটুকুও থাকবেনা।

পাত্তা দিলে দেশ নিয়ে এত কিছু হয়ত ভাবতে হতো না কোনদিনও।

চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাই।
শুভকামনা নিরন্তর।

১৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২১

মানবী বলেছেন: "তাছাড়া কোন পণ্য হয়ত রুখে দেয়া একেবারেই সম্ভব নয় তবে ভারত বলেন আর যাই বলেন যে কোন আগ্রাসন থেকে মুক্তির একটাই উপায় সবার আগে নিজের দেশকে ভালোবাসা, নিজের দেশের পণ্যের প্রতি আস্থাশীল হওয়া, নিজের দেশেরটা ব্র্যান্ডিং করা।"

- বেশ কয়েক বছর আগে দেশে এক মার্কেটে পোশাক কিনতে গিয়ে শুধু ভারতীয় পণ্য দেখে অরুচী বোধ হয়। দোকানদার কে যখন বলেছি দেশি পণ্য দেখাতে তিনি সত্যি সত্যি হা করে মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলেন, মনে হলো এমন উদ্ভট কথা জীবনে শুনেননি। দুঃখজনক হলেও সত্য বেশ কিছু দোকান তা দেখাতে ব্যর্থ হয়, শেষে এক দোকানদার খুব খুশী হয়ে বলেন, "আপা দেশি পোশাক বিক্রী করতে আমাদের সবচেয়ে ভালো লাগে কিন্তু কাস্টমাররা পছন্দ করেনা, তারা ভারতীয়টা চায়"। তিনি তার পোশাকের বিপুল সমাবেশের আলমারীর একদম পিছন থেকে খুব গপনে বের করছেন এমন ভাবে কয়েকটি বাংলাদেশী পোষাক দেখালেন। হতভম্ব আর আতংকিত হয়ে দাঁড়িয়েছিলাম কারণ এমন গোপন করা ভঙ্গীতে শৈশবে শাড়ীর দোকানদারদের ভারতীয় শাড়ী আলমারী থেকে বের করতে দেখেছিলাম!!

সরকার যদি এসব পণ্য বন্ধ করে দেয়, ক্রেতারা দেশীপণ্য ক্রয়ে বাধ্য হবে।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


সরকার যদি এসব বন্ধ করে দিত; তাহলেতো বেশ ভালই হতো। কিন্তু যেহেতু সেটা আশা করা যাচ্ছেনা; তাই এখন নিজেদের সচেতন হওয়া ছাড়া অন্য কোন উপায় দেখছিনা।

এইক্ষেত্রে দোষ আমাদেরও, দোষ যারা এইসবের পৃষ্ঠপোষক, দোষ দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলোরও। তারা যথেষ্ট মান এবং সঠিক দাম রাখতে পারছেনা। দোষ আমাদের নিজেদের বিবেক এবং ত্রুটি যুক্ত জাতীয়তা বোধের।

১৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: পোস্টের ফোকাস পয়েন্ট বার্মিজ মার্কেট নিয়ে হলেও শিরোনামে লেখকের ভিতরের ভাব প্রকাশের প্রেক্ষাপট (আক্ষেপ) বুঝতে পারছি। বার্মিজ মার্কেট আমাদের হীন পণ্য ক্রয় এবং বিদেশ ভোগ এর নির্লজ্জ মানুশিকতার প্রতীক মাত্র, এটা আমাদের রাষ্ট্রের নিজস্ব পণ্য ব্যবস্থাপনার অবহেলা এবং স্ট্রেটেজিক অক্ষমতা প্রকাশ করে।

বিদেশী পণ্যের নামে বাংলাদেশীরা যা কিনেন, তার মান, ব্যবহারের কম্ফোর্ট, স্বাস্থ্য গত বিষয় এইসব নিয়ে কতটুকু ভাবেন তা নিয়ে আমি বরাবরই সন্দিহান, প্রায়ই করেন না। আমার মনে হয় "লোক দেখানো" ফ্যাক্টরও একটা বড় ব্যাপার।

দেশের পণ্য মান খারাপ তাই সহজাত ভাবেই মানুষ বাইরের পণ্য কিনতে চায়- এটা স্বাভাবিক হতে পারে। দেশের পণ্য খারাপ এটাতো জেনারেলাইজড কথা না, অনেক ভালো পণ্য আছে দেশের। তার পরেও রেডিমেইড কাপড়ের বাজার থাইল্যান্ড আর চায়নার দখলে, যেখানে আমরা রেডিমেইড কাপড়ের ইউরোপীয় আমেরিকান বাজারে নেতৃস্থানীয়।

লোকাল পণ্যের বাজার এঙ্কারেজ করতে কি করা যায় তা নিয়ে ভাবছিলাম, (আমি জেনারালাইজড কমেন্ট করি না সাধারণত!)-

০১। বি এস টি আই এবং সমজাতীয় প্রতিষ্ঠান গুলোর কার্জকরিতা ইম্প্রুভ করা দরকার, এগুলাকেই উচ্চ মানসম্পন্ন আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন নেয়ার টার্গেট বেইজড পরিচালনা নির্দেশনা দেয়া দরকার। ধরেন ২-৩ বছরের টার্গেট দিয়ে আইএসও (ইউ কে এস ইত্যাদি বহু আছে) এর সম মানের পরিচালনা সক্ষমতা না আনতে পারলে বি এস টি আই পরিচালনা বাজেট ৫০% কমিয়ে দেয়া হবে, বি এস টি আই বেসরকারি করন করা হবে, এই ধরনের কঠিন কোয়ালিটি টার্গেট দিতে হবে।

০২। দেশের সব রেজিস্টার্ড পণ্যের মান বি এস টি আই এর পাশাপাশি মানসম্পন্ন বিদেশী কোয়ালিটি সার্টিফিকেশন কোম্পানীর মাধ্যমে র‍্যাংকিং করা, এতে কোন পণ্যের মান কতটা তা বেরিয়ে আসবে। এই সমীক্ষা সব দেশী কোম্পানী মিলে স্পন্সর করবে।

এখানে দেশি কোম্পানীদের ফেবার দেয়া যায়। প্রথম সমীক্ষার রেজাল্ট পাবলিক করা হবে না। খারাপ পণ্য ধরে ধরে কোয়ালিটি রিপোর্ট সহ টার্গেট ৬ মাসের দেয়া হবে। তার পর ২য় সমীক্ষা করা হবে। সেই রেজাল্ট এ ব্যাপক ইম্প্রুভমেট টার্গেট নেয়া হবে। ফেইল্ড কোম্পানীর পণ্য বাজার থেকে সরিয়ে নেয়া বাধ্যতামূলক করা হবে। উদাহরন, প্রাণের আম ( কুমড়া) জুস। প্রাণকে একচুয়াল ইন গ্রেডিয়েন্ট রিপোর্ট ধরিয়ে দিয়ে ৬ মাসের টার্গেট দিয়ে পণ্য ইম্প্রুভ করতে বলা হবে, না করলে সোজা ব্যান এবং ব্যাপক আর্থিক জরিমানার ভয়!

০৩। গ্লোবাইলেজেশন, ফ্রি ট্রেড, মুক্ত বাজার এইসব ধুন ফুন কন্সেপ্ট সরকারের মাথা থেকে সরাতে হবে। শুধু অক্ষম দেশ গুলাই তার দেশে সকল পণ্যের প্রবেশ উন্মুক্ত করে রেখেছে। সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ পণ্যের স্ট্রেংথ বের করে এনে, স্ট্রং পণ্যের বিপরীতে বিদেশী পন্যে ২০০-৩০০% শুল্ক বসাতে হয়ত পারবে না।কিন্তু আন স্ট্রাকচারড ওয়েতে দলাক অনেক কিছু করা যাবে, সেসব পণ্যের এল সি নিতে ব্যাংক অনাগ্রহ দেখাবে, প্রেসেসিং টাইম ১ সপ্তাহের যায়গায় ৬ মাস করবে, যখন ব্যবসায়ীদের অনেক বড় ফান্ড দীর্ঘ সময় আটকে থাকবে তখন তারা এগুলার বিকল্প ভাব্বে, ঠিক তখনই স্ট্রং দেশী পণ্যের সরকারি বেসরকারি প্রমোশন চলবে ।

ব্যাকগ্রাউন্ডে অনেক প্রিপারেশন চলবে, লোকে সেসব জানবে না, লোকে শুধু জানবে দেশের ঐ ঐ পণ্য গুনগত মানে ভাল, ঐ ঐ পণ্য সার্টিফিকেশন এ উত্তীর্ন।

০৪। ফেস্টিভ্যাল প্রমোশন এর ব্যবস্থাঃ ২ ঈদে ৩-৪ সপ্তাহের ডিউরেশনে দেশী পণ্যের ভ্যাট পুরাপুরি সরিয়ে নিয়ে দেশী পণ্যের দাম কমিয়ে ফেলা হবে।

০৫। স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের দেশি কোম্পানীর প্ল্যান্ট ভিজিট এর আয়োজন করাতে হবে প্রতি বছর, এতে কোম্পানি গুলোর আধুনিক প্ল্যান্ট দেখে তারা পণ্য ক্রয়ে উৎসাহী হবে। এখানে তাদেরকে আপ্যায়ন করানো হবে, কিছু সামান্য গিফট দেয়া হবে। স্টুডেন্ট রা বাড়ি এসে অবিভাবকদের গল্প করবে।

০৬। সরকারকে প্রমিজিং কোম্পনির কাছে যেতে হবে, তাদেরকে জিজ্ঞেস করতে হবে কোন খাত, কোন পণ্য ডেভেলপ করতে তাদের কি ধরনের সহায়তা দরকার। এখানে ধমকও দিতে হবে, সাহায্যও করতে হবে।

০৭। পণ্য দাম কমিয়ে মান বাড়াতে হলে, ট্রিমেন্ডস ট্রান্সপোর্টেশন অবকাঠামো লাগবে, যানজট মুক্ত হাইওয়ে এবং শহর গড়তে হবে

০৮। পণ্য দাম কমিয়ে মান বাড়াতে হলে, জ্বালানি তেলে দাম কমাতে হবে, বিদ্যুতের দাম কমাতে হবে, নিরবিচ্ছিন্ন সরবারহ নিশ্চিত করতে হবে।

০৯। পণ্য দাম কমিয়ে মান বাড়াতে হলে, শিল্পকে চাঁদাবাজি মুক্ত করতে হবে।


দেশে মানসম্পন্ন পণ্যের উৎপাদন খরচ বেশি, তাই শিল্প আমদানি নির্ভর, এটা বুঝার জন্য পড়ালেখা না করলেও চলে। দেশীয় পন্যকে এঙ্কারেজ করার জন্য আমাদের মেলা কাজ করা বাকি।

দেশাত্ববোধ তৈরির শর্টকাট কোন উপায় নাই।





০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


চমৎকার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। খুব সম্ভবত আপনার এমন মন্তব্যের গুণেই আপনার ভক্ত হয়েছিলাম একসময়।

আপনি অনেক কিছুই বলেছেন। এরপর আসলে আর কিছুই বলার থাকেনা।

যেমন ধরেনঃ

পাট একটা সময় ব্যাপক জনপ্রিয় একটি পণ্য ছিলো কিন্তু সেটাকে বন্ধ হয়ে যেতে হলো।
তাঁত এটিও একটা সময় বেশ জনপ্রিয় ছিলো কিন্তু এখন সেটাও মুখ থুবড়ে পড়েছে।
দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের ব্যাপক চাহিদা কিন্তু দেখুন এই সেক্টরটিতে কিভাবে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ছে ক্রমশ।
এই দেশে ওষুধ শিল্পের তুলনা হয়না কিন্তু এখন এটারও জিএসপির কারণে বারোটা বাজানোর পায়তারা চলছে।

এভাবে এই দেশের অনেক চাহিদা ও মান সম্পন্ন শিল্প শুধু মাত্র ধ্বংস হয়ে গেছে কিংবা যাচ্ছে অব্যবস্থাপনা, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বহিশক্তির প্রভাবে। নতুবা কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এরা থাকবেই। এদের জন্য থাকতে হবে আপনার দেয়া পদ্ধতি।

আর দেশীয় পণ্যের যতই প্রোমশন করি না কেন মন থেকে বিদেশী পণ্যের প্রতি চাহিদা কমানোর জন্য যেমন মান উন্নয়নের দরকার আছে তেমনি দরকার আছে সচেতনতা বৃদ্ধির।

যেমন ধরেন কোহিনূর কিংবা স্কয়ারের মান অনেক ভাল যা যে কোন বিদেশী পণ্যের চেয়েও অনেক উঁচু মানের কিন্তু আমরা কি সেগুলো ব্যবহার করতে চাই ? আমরা ইম্পেরিয়াল সাবান কেনার আগ্রহী কিন্তু স্যান্ডিলিনা নই। এখন বলেন স্যান্ডিলিনা কিন্তু তাদের মান যেমন ধরে রেখেছে ঠিক তেমন তাদের প্রোমোশন চালিয়েও যাচ্ছে। এইক্ষেত্রে দোষ আমাদের।

আবার ধরুন একটি পণ্যের প্রোমোর জন্য ভারত থেকে নায়িকা আনা হলো কিন্তু আমাদের দেশের নায়িকারা অবহেলিত হয়ে রইলো এই দায় কার ? আর এভাবেই আমাদের নিজেদের অস্তিত্ব নিজেরাই শেষ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছি। যেন নায়িকা শাবনুর এসে প্রোমো করলে জাত চলে যাবে আর দীপিকার হাতে স্বর্গ মিলবে !

যাই হোক ভাই, আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আবারও অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন।
বিজয়ের শুভেচ্ছা অগণিত।

১৯| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: নিরুদ্দেশ পথিক আমার প্রায় সবকথাই বলে দিয়েছেন কান্ডারি ভাই। আর বিশেষ কিছু যোগ করার নেই। সরকারে ওপর ভরসা করতে মন থেকে উদ্যোগ আসে না। জনগণের সচেতনতাই শেষ আশা। কি করা। :( :(

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


হুম ! মাঝে মাঝে এই আশাতেও ভরসা পাই না। :(

২০| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৮

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: বিষয়টা এমন কক্সবাজার মানেই বার্মিজ !! এটা হয়েছে দীর্ঘকালের চর্চার কারণে । ওখানে পর্যটকদের দোষ দিয়ে তো কোন লাভ নেই । ওরা যা পাবে তাই তো কিনবে । কোন এক অজানা কারণে আমাদের দেশীয় পণ্যকে ওখানে প্রমোট করা হয় না ।

আপনার পোস্টটি চমৎকার । সকলকে ভাবানোর সুযোগ তৈরী করে দিয়েছেন । পোস্টটা স্টিকি করা যেতে পারে বিস্তর জনসাধারণের জন্য ।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


এই অজানা কারণটাতেই যত সমস্যা। কিন্তু এই অজানা কারণ খুঁজে বের করে এর থেকে পরিত্রাণের যেন কোন ইচ্ছাই কারও নেই।

অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
বিজয়ের মাসের শুভেচ্ছা।

২১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আপনার চিন্তা চেতনা ভাল লেগেছে আমার।

আমি সময়ে সময়ে পতাকা লাগিয়ে দেশপ্রেম দেখানোতে বিশ্বাস করিনা। দেশকে ভালবাসতে হবে অন্তর থেকে।

সব সময় চেষ্টা করি দেশীয় জিনিস কিনতে। গুণগত মানের কারনে সব কিছু হয়ত কেনা হয়না কিন্তু আমার দেশের যে জিনিসের গুণগত মান ভাল তা অবশ্যই কিনি।

দেশের বাইরে থাকলেও প্রতিমাসে অন্যদের মাধ্যমে তার লাগেজে অন্তত আমার জন্য ১২/১৩ কেজির বিভিন্ন দেশীয় জিনিস পত্র আমি আনাই।
বিদেশের বাড়িতেও আমার বেশিরভাগই দেশীয় জিনিস।

বিদেশিরাও আমাদের দেশের কিছু কিছু জিনিস অনেক পছন্দ করে। বিশেষ করে আমাদের পরিচিত বিদেশিরা তো আমাদের দেশে গেলেই আমাদের দেশের কাপড় আর আড়ং এর বিভিন্ন জিনিস কিনে ব্যাগ ভরে নিয়ে আসে। আমি নিজেও তাদের সাথে থেকেছি বিভিন্ন কেনাকাটায়, নিয়ে গেছি বিভিন্ন মার্কেটে।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


এভাবেই আমাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের জন্য ব্র্যান্ডিং করতে হবে। শুধু ব্র্যান্ডিং নয় যে কোন অসংগতিতে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই একদিন মুছে যাবে সকল আঁধার। আমরা যদি না জাগি ক্যামনে সকাল হবে ?

বিজয়ের এই মাসের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা রইলো।

২২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: মার্কেটের লোক গুলো বদমাশ-- মেয়েদের অনেককেই মদের বোতল অফার করে... ! মানে কিনতে বলে!! বেশ কয়েকজন বলেছে! আসলে আমরা অনেক কিছু ভাবি করতে চাই কিন্তু করা হয় না! বেশ ভালো বলেছেন!

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


মদের এই সমস্যাটা কক্সবাজারে নেই তবে টেকনাফে চায়ের দোকানেও বার্মিজ মদ পাওয়া যায়।

এই ভাবা এবং করতে না পারার গন্ডি থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

বিজয় মাসের অগণিত শুভেচ্ছা।

২৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪১

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: যদিও নামে বার্মিজ মার্কেট, তবে পন্য নিয়ে আমি সন্দিহান। মাত্র একবার গিয়েছি, তাও তিরিশ মিনিটের জন্য। যা হোক মানুষ হুজুগে বেশি কিনে। তবে এটার প্রতি সচেতন মনোভাব দেখানোর সময় এসেছে।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


পণ্যের গুণগত মান খুবই খারাপ। কিন্তু বেশিরভাগ পণ্যই যে বার্মিজ সেটা নিশ্চিত। কারণ নাফ নদী পথে চলে হরদম চোরাকারবারি। তাছাড়া টেকনাফে স্থানীয় পর্যায় প্রশাসন এই চোরাকারবারির মদদ দিয়ে থাকে। অভিযোগ আছে যে অর্থের বিনিময়ে এক ধরনের রশীদ প্রদান করা হয়ে থাকে ওপারে যাতায়াত করার জন্য।

যদিও আমার কাছে মনে হয় অনেক দেরী হয়ে গেছে তবু এখনও সময় ফুরিয়ে যায় নি।

বিজয়ের অগণিত শুভেচ্ছা রইলো।

২৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: শুধু বার্মিজ মার্কেট নয় কোন বিদেশী মার্কেটই কাম্য নয়। এমন একটা বিষয় নিয়ে লেখবার জন্য ধন্যবাদ।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অবশ্যই ভাই শুধু বার্মিজ কেন কোন বিদেশী মার্কেট কাম্য নয়।

বিজয় মাসের অগণিত শুভেচ্ছা রইলো।

২৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৪

নীলসাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা রইল সুপ্রিয় কান্ডারি অথর্ব।
বিজয়ের মাসে এই হোক তবে নব প্রত্যয়। বার্মিজ মার্কেট নয় চাই দেশীয় পণ্যের সমাহার। হৃদয়ে সদা জাগ্রত থাকুক জাতীয়তা বোধ।

আমি সহমত জানাই। এটা মেনে নেয়া যায় না। চাই দেশীয় পণ্যের সমাহার!!

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা সুপ্রিয় নীল দা সাথে থাকার জন্য।

বিজয় মাসের অগণিত শুভেচ্ছা রইলো।

২৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৯

প্রামানিক বলেছেন: দেশীয় পণ্যের ব্যাপক প্রসার হোক এটাই চাই।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


দেশের গন্ডি ছেড়ে বিশ্ব জয় করুক দেশীয় পণ্য।

বিজয়ের শুভেচ্ছা রইলো।

২৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৮

ধমনী বলেছেন: বার্মিজ মার্কেটের আচার চকোলেট নাকি ঢাকার চকবাজার থেকে যায়। (শোনা কথা)

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


না এটা ভুল তথ্য। যে পথে ইয়াবা আসে সে একই পথে আসে বার্মিজ পণ্য।

২৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩২

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: চমৎকার পোস্ট ++++++++++++++++++++++++++++++++++

অনেক অনেক ধন্যবাদ এই বিষয়টা তুলে ধরার জন্যে

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন।

বিজয় মাসের শুভেচ্ছা অগণিত।

২৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০২

নেক্সাস বলেছেন: আমাদের দেশপ্রেম ব্যবহারিক না হয়ে হয়ে গেছে পুঁথিগত ক্যাককুলাস।
বুলি সর্বস বাগাডম্বর।

দেশপ্রেম দেখানোর বিষয়। শ্রুতি পঠনের বিষয় নয়।

বিজয়ের মাসে এই হোক তবে নব প্রত্যয়। বার্মিজ মার্কেট নয় চাই দেশীয় পণ্যের সমাহার। হৃদয়ে সদা জাগ্রত থাকুক জাতীয়তা বোধ।

গুরুত্বপূর্ণ পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


সুন্দর বলেছেন নেক্সাস ভাই।

দেশপ্রেম কাযেকর্মে দেখানোর বিষয়, শ্রুতি পঠনের কোন বিষয় নয়।

বিজয়মাসের শুভেচ্ছা রইলো।

৩০| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১২

সোহানী বলেছেন: ওওওও ভুলে গেছেন যে আমাদের দেশপ্রেমতো টকশো আর শহীদ মিনারে ফুল আর বক্তৃতার মাঝে সীমাবদ্ধ। কে কত ধরনের বিদেশি পন্য দেশের মাঝে ছড়িয়ে দিবে আর আপনার মগজে ঢুকাবে ওইটাই ভালো.... দেশেরটা ভালো না... সেটাইতো দেশপ্রেম!!!!!!!!!!

সহজ হিসাব... একটা ইন্ড্রাস্ট্রি করতে কত শ্রম/মেধা/সময়/অর্থ প্রয়োজন... এরপর লাভের হিসাব পরের কথা। আর অপরদিকে জাস্ট এলসি খুলবেন পণ্য আপনবেন, জম্পেস এড দিবেন........ লাভের টাকার রাখার জায়গা পাবেন না। ... টাকার সাথে দেশপ্রেম ... কনফ্লিক্ট বা কম্প্রোমাইজ কি করা যায়??????????... তাই না ব্রাদার !!!!!!!!!!!!!

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


হা হা হা হা আপা এই যুক্তি খন্ডানোর সাধ্য আমার নেই।

আমিও আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত।

বিজয়ের অগনিত শুভেচ্ছা ও সালাম রইলো।

৩১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: পুরো পোস্ট এবং মন্তব্য-প্রতিত্তর সব পড়লাম। যদি কিছু মনে না করেন একটা কথা বল, আপনি নিজেও কিন্তু পোস্টটি ডিসেম্বর মাসের শুরুতে পোস্ট করেছেন।

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


কিছু মনে করার কি আছে ভাই। দুইটা সেন্স দুই রকম। একটা সময়ে আসলেই শুধু দেশপ্রেমিক হওয়া, আরেকটা সেইটা উদাহরণ সমেত চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া যে এমনও কিছু বিষয় আছে যা আমাদের বন্ধ চক্ষু দেখেনা দায়সারা দায়িত্বের কারণে। আমার এই পোষ্ট আপনার কাছে কোন ধরনের মনে হলো সেটাই বিবেচ্য বিষয়।

শুভকামনা নিরন্তর।

৩২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার লিখার প্রতি ছত্রে দেশপ্রেমের ছোঁয়া পেলাম ।
একটি অতি গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয়ে চমৎকার আলোকপাত ভাল লাগলো ।

কক্সবাজারের মতো পৃথিবী বিখ্যাত একটি স্থান হোক আমাদের একান্ত নিজস্ব দেশীয় পণ্যের একটি স্থান। যার নাম হবে বাংলাদেশী মার্কেট। সহমত জানিয়ে গেলাম ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



লিটন ভাই আমি সেই অর্থে দেশপ্রেমিক নই। তবে দেশ ভাল থাকলে নিজেও ভাল থাকতে পারবো। ভাল থাকতে পারবে আগামী প্রজন্ম। এইটাই বিশ্বাস করি।

অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয় লিটন ভাই। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৩৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৮

কিরমানী লিটন বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট,বার্মিজ মার্কেটের ইতিহাসটাও জানলাম,অভিবাদন জানবেন প্রিয় কান্ডারী ভাই,নিরন্তর ভালোবাসা আর শুভকামনা রইলো ...

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাই সাথে থাকার জন্য।

শুভরাত্রি ভ্রাতা।

৩৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪২

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অসাধারন ও চিন্তাশীল একটা পোস্ট। সত্যি এভাবে যে জিনিসটা দেখা যায় কখনো চিন্তাই করিনি। তবে যারা করলে কাজ হবে তার যতসব ফেসবুক বন্ধ আর হাবিজাবি নিয়ে ব্যস্ত। এরপরে আছে গলাবাজি আর গালবাজি। দেশের কথা ভাবার ওদের সময় কোথায়?

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


উনারাই দেশপ্রেমিক কিনা তাই :(

বিজয় মাসের শুভেচ্ছা জানবেন।

৩৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৫

এহসান সাবির বলেছেন: ভালো পোস্ট।

শুভেচ্ছা।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



হৃদ্যতাপূর্ণ ভালোবাসা ভ্রাতা।

:) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.