নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূণ্যতা থেকে শূণ্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

আমি আঁধারে তামাশায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূন্যতা থেকে শূন্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙ্গলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।

কান্ডারি অথর্ব

আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমাকে খুজোনা আমার মৃত্যু ভূমির ‘পর। সেখানে তোমরা আমাকে পাবেনা খুঁজে; আমি লুকিয়ে রবো লোক চক্ষুর অন্তরালে; কিছু না পাওয়ার ব্যথাতুর বেদনার, শকুনেরা আমাকে ছিঁড়ে খাবে; রক্ত আর ভস্মীভূত দহনের জ্বালায়; সীমাহীন এক যন্ত্রণার আঁধার, আমি হতে রবো কাতর।

কান্ডারি অথর্ব › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মৃতিতে চির অনির্বাণ বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীত

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:০৬





মনে পড়ে যায় আমার কৈশোর
স্মৃতি হারানো সেই সুর আজও ভুলিনি
সেই দিনগুলি মনে পড়ে যায়
আবার ফিরে আসে
আবার ফিরে আসে...

বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের কথা মনে হলেই আমার সঞ্জয়ের গাওয়া এই গানটির কথা খুব মনে পড়ে। এই দেশের ব্যান্ড সংগীত প্রিয়দের মাঝে সঞ্জয় এক অনন্য নক্ষত্রের নাম। ওয়ারফেজ ব্যান্ডের এক সময়কার ভোকাল ছিলেন। যার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায় তার গান। গলার ভোকাল কর্ড ছিঁড়ে যাওয়ার পর মূলত সঞ্জয় ব্যান্ড সংগীত জগত থেকে বিদায় নেন। কিন্তু তিনি যতদিন ছিলেন ওয়ারফেজ ব্যান্ড ছিলো তরুণ প্রজন্মের হৃদয়ের প্রতিধ্বনি হিসেবে। সঞ্জয়ের অবসরের পর মিজান এই ব্যান্ডটির হাল ধরলেও এখনও হৃদয়ে দোলা দেয় সঞ্জয়ের গাওয়া গানগুলোই।

বাংলাদেশের সংগীত জগতটাকে ব্যান্ডের গান অনেকাংশেই দখল করে আছে। বিশেষ করে নব্বই দশকের গানগুলোই চির সবুজ হয়ে আমাদের হৃদয়ে আজও রাজত্ব করে চলেছে। নব্বই দশকের পর আরও অনেক ব্যান্ড দলই এসেছে কিন্তু নব্বই দশকের মতো করে হৃদয়ে আলোড়ন জাগাতে সক্ষম হয়নি। সেই সময়ের গানগুলো একদিকে যেমন ছিলো সামাজিক প্রেক্ষাপট নিয়ে তেমনি ছিলো প্রেম ঘটিত সুখ দুঃখের অনুভূতিতে গাঁথা। যেমন ছিলো প্রতিটা গানের গীতিকবিতা তেমনি ছিলো মনকাড়া সুর। শুধুই সামাজিক কিংবা প্রেম নয় গ্রাম বাংলার কথা, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, দেশাত্ববোধক, মানুষের জীবন যাপনের রূপ প্রায় সবকিছুই উঠে এসেছিলো সেসব গানের মাধ্যমে। আজও যখন গান শোনা হয় কিংবা গানের কথা বলতে গেলে সেই সময়ের গানের কথাই মনে পড়ে। আমার মাঝে মাঝে এই ভেবে গর্ব হয় যে আমি সেই যুগের সাথে বেড়ে উঠতে পেরেছিলাম।

বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীত প্রসঙ্গে কিছু বলতে গেলে সবার আগে স্মরণ করতে হয় গুরু আজম খানকে। মূলত গুরুর হাত ধরেই বাংলাদেশের ব্যান্ড জগতের যাত্রা শুরু হয়। বন্ধু নিলু আর মনসুরকে গিটারে, সাদেক ড্রামে আর নিজেকে প্রধান ভোকাল করে শুরু করলেন তার ব্যান্ড উচ্চারণের যাত্রা। বিটিভিতে একটি অনুষ্ঠানে এতো সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে এবং চার কালেমা সাক্ষী দেবে গান দুইটি গাওয়ার মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসা আর তুমুল জনপ্রিয়তা পান। এরই মধ্যে বন্ধু ইশতিয়াকের পরামর্শে সৃষ্টি করেন একটি এসিড রক ঘরানার গান জীবনে কিছু পাবোনা এ হে হে! তিনি দাবী করেন এটি বাংলা গানের ইতিহাসে প্রথম হার্ডরক! আমাদের মাঝে গুরু যেমন চির ভাস্মর হয়ে থাকবেন তেমনই চির ভাস্মর হয়ে থাকবে গুরুর গাওয়া; রেল লাইনের ঐ বস্তিতে, ওরে সালেকা ওরে মালেকা, আলাল ও দুলাল, অনামিকা, অভিমানী, আসি আসি বলে ইত্যাদি গানগুলো।

এরপর অনেক ব্যান্ড এসেছে একের পর এক। কোন ব্যান্ডের চেয়েই কোন ব্যান্ডকে এবং তাদের কোন গানকেই খাটো করে দেখার কোন রূপ সুযোগ হয়ে উঠেনি কখনওই। ব্যান্ড সংগীত আমাদের জীবনে স্থান করে নেয় সার্বিক ভাবে। সেই ফিতার ক্যাসেটের যুগ। যে কোন গান বার বার শোনা যে সময়টাতে ছিলো বিশেষ এক কসরত করার যুগ। সেইসব শুধুই এখন স্মৃতি।

যে সময়টাতে প্রেমিক মন নিয়ে ঘুরে বেড়তাম একটি প্রেম করার প্রয়াসে এক বুক তৃষ্ণা নিয়ে, ঠিক সেই সময় এলো ডিফারেন্ট টাচ তাদের মন কি যে চায় বল যারে দেখি লাগে ভাল গানটি নিয়ে। আহা ! যেন একদম অন্তরের কথাগুলোই গানের ভাষায় প্রকাশিত হলো। লিড ভোকালিস্ট মেসবা এবং গিটারিস্ট পিয়াল অতুলনীয় এক জুটির নাম। শ্রাবনের মেঘ, দৃষ্টি প্রদীপ জ্বেলে, জীবন মাঝি, স্বর্ণলতা, সুখ আসে এই গানগুলো যতই শুনি মনে হয় যেন এই সময়টাকেই ধারণ করা হয়েছে প্রতিটা গানের মাধ্যমে।

মন ছুঁয়ে যাওয়া প্রতিটা গান। এই ক্ষেত্রে আমার তপন চৌধুরীর গাওয়া মন শুধু মন ছুঁয়েছে গানটির কথাই বলতে হয়। ব্যান্ড সোলসের একসময়কার সদস্য ছিলেন তিনি। এই একটি ব্যান্ড যার মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ ঘটেছিলো কুমার বিশ্বজীৎ, আইয়ূব বাচ্চু, নকীব খান, পীলু খান, নাসিম আলী খান, সাজিদ উল আলম, লুলু, নেওয়াজ, রনি বড়ুয়া, তাজুল, পার্থ বড়ুয়ার মতো গুণী সব শিল্পীদের। তারা এসেছেন মন জয় করে নিয়েছেন আবার ব্যান্ড ছেড়ে চলে গিয়ে গড়েছেন নিজেদের ভিন্ন ব্যান্ড দল কিন্তু সোলস কখনও ভাঙেনি। টিকে থাকে তার আপন মহিমায় চির ভাস্মর হয়ে। তবে এইজন্য পার্থর কৃতিত্ব অনেকাংশেই। তিনিই এখনও পর্যন্ত ব্যান্ডটির হাল ধরে রেখেছেন আপন মহিমায়। সুপার সোল, কলেজের করিডোরে, মানুষ মাটির কাছাকাছি, ইষ্ট এন্ড ওয়েস্ট, এ এমন পরিচয়, আজ দিন কাটুক গানে, অসময়ের গান, আনপ্লাগড মুখরিত জীবন, তারার উঠোনে, টু-লেট, ঝুট ঝামেলা, জ্যাম এই পর্যন্ত প্রকাশিত এ্যালবাম।

ব্যান্ড জগতের আরেক নক্ষত্র আইয়ূব বাচ্চু যিনি সোলস থেকে বের হয়ে এসে লিটল রিভার ব্যান্ড (এলআরবি) নামক নতুন এক ব্যান্ডের জন্ম দেন। সারা ভারতীয় উপমহাদেশে গীটারে বিখ্যাত এই গুণী শিল্পী ব্যান্ড সংগীত পাগল শ্রোতাদের কাছে আজম খানের পর গুরু হিসেবেই সমান পরিচিত। তিনি একাধারে গায়ক, লিডগিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার, চলচ্চিত্রের প্লেব্যাক শিল্পী। এলআরবি ব্যান্ড দলের আগে তিনি দশ বছর সোলস ব্যান্ডের সাথে লিড গিটারিস্ট হিসেবে যুক্ত ছিলেন। মূলত রক ঘরানার কন্ঠের অধিকারী হলেও আধুনিক গান, ক্লাসিকাল সংগীত এবং লোকগীতি দিয়েও শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন। রক্তগোলাপ তার সর্বপ্রথম প্রকাশিত একক এ্যালবাম। এই এ্যালবামটি তেমন একটা সাফল্য পায়নি। তার সফলতার শুরু দ্বিতীয় এ্যালবাম ময়না এর মাধ্যমে। তারপর তিনি বের করেন তৃতীয় অ্যালবাম কষ্ট। সর্বকালের সেরা একক এ্যালবামের একটি বলে অবিহিত করা হয় এটিকে। এই অ্যালবামের প্রায় সবগুলো গানই জনপ্রিয়তা পায়। বিশেষ করে কষ্ট কাকে বলে , কষ্ট পেতে ভালোবাসি , অবাক হৃদয় , আমিও মানুষ। তিনি অনেক চলচ্চিত্রেই প্লে ব্যাক করেছেন। অনন্ত প্রেম তুমি দাও আমাকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অন্যতম একটি জনপ্রিয় গান। এটি তার গাওয়া প্রথম চলচ্চিত্রের গান। গুরু আমাদের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবেন তার গাওয়া অবিস্মরণীয় গান; সেই তুমি কেন অচেনা হলে, রূপালী গীটার, রাত জাগা পাখি হয়ে, কষ্ট পেতে ভালোবাসি, মাধবি, ফেরারি মন, এখন অনেক রাত, ঘুমন্ত শহরে, বার মাস, হাসতে দেখ ইত্যাদি গানের মাধ্যমে।

সোলস থেকে বের হয়ে নকীব খান গড়ে তুলেন তার ব্যান্ড রেনেসাঁ। ফয়সাল সিদ্দিকি বগী, পীলু খান, কাজী হাবলু, মোটো, মামুন ছিলেন ব্যান্ডের প্রাথমিক সদস্য বৃন্দ। রেনেসাঁর হৃদয় কাদা মাটির কোন মূর্তি নয় আঘাত দিলেই ভেঙে যাবে এবং আজকের শিশু গান দুটি রেনেসাঁকে দিয়েছে অন্যন্য এক স্থান। এরপর দেশ নিয়ে বেশ কিছু গান করে নামের সার্থকতা রাখতে সক্ষম হয় ব্যান্ডটি।

যারা কিছুটা দুঃখ বিলাসী তাদের জন্য চাইমকে ভোলা কখনওই সম্ভব নয়। আর চাইম মানেই খালিদ। চাইমের প্রাথমিক সদস্য ছিলেন আশিকুজ্জামান টুলু, সাইদ হাসান টিপু, শওকত আলী ইমন, সুমন, বাবু, আল আমিন। পরবর্তীতে তারা সবাই চলে গেলে খালিদ আবারও ঘুরে দাঁড়ান নতুন প্রত্যয় নিয়ে নতুন কিছু মুখ নিয়ে। যাদের মধ্যে বাহাদুর, বীপ্লব, রিয়াজ, নাদিম এবং আশিক ছিলেন চাইমকে নতুনভাবে রূপদান করার সফল রূপকার। আমার কাছে মনে হয় নাতি খাতি বেলা গেল সুতী পারলাম না এই গানটি সেই সময় যারা শুনেছিলেন তারা কখনও চাইমকে ভুলতে পারবেন না। এরপর অসংখ্য জনপ্রিয় গান দিয়ে শ্রোতাদের মন জয় করে নিয়েছেন খালিদ তার সুরেলা কণ্ঠের মাধ্যমে। হাঁসের ছাও, তুমি হিমালয় হয়ে, সরলতার প্রতিমা, হয়নি যাবার বেলা, আকাশনীলা, আবার দেখা হবে, জয় জগা নন্দন, আজকে রাতে, কোনো কারণে ইত্যাদি তাকে দিয়েছে ভক্তদের কাছে দারুণ জনপ্রিয় গায়কের সন্মান।

চাইম থেকে বের হয়ে সাইদ হাসান টিপু অর্থাৎ আমাদের সকলের প্রিয় টিপু গঠন করেন তার ব্যান্ড অবসকিউর। রোমান্টিক গান মানেই তখন ছিলো টিপু। ছাইড়া গেলাম মাটির পৃথিবী, মাঝ রাতে চাঁদ যদি আলো না বিলায়, তুমি ছিলে কাল রাতে, খোদা তোমায় ডাকবো যখন, আধার ঘেরা স্বপ্ন, সন্ধ্যা আকাশ, দৃষ্টিরই সীমানায় এর মতো চিরসবুজ ও চিরকাল মনে রাখার মতো প্রিয় সব গান গেয়ে অগণিত ভক্ত হৃদয়ে স্থান করে নেন টিপু। এরপরে খানিক বিরতি দিয়ে অবসকিউর এর একটু অন্যরকম রকিং এ্যালবাম স্বপ্নচারিণী আসে যেখানে এতদিনের চেনা শান্ত শিষ্ট রোমান্টিক টিপু অনেক দুর্দান্ত, বুকের ভেতর জমে থাকা কোন ক্ষোভ যেন বারুদ হয়ে বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে সেইরকম একটি এ্যালবাম বের করেন। এই এ্যালবামের আগে খুলনার দুই জনপ্রিয় শিল্পী ফ্রম ওয়েস্ট ও ডীফরেন্ট টাচ কে সাথে নিয়ে একটি অসাধারণ ব্যান্ড মিক্সড এ্যালবাম আবেগ বের করে অবসকিউর। যে এ্যালবামের প্রতিটা গানই ছিল আবেগ নিয়ে খেলা করা দুর্দান্ত সুন্দর সব গান। এরপর অবসকিউর কে আর পাওয়া না গেলেও শ্রোতারা প্রিয় টিপু কে পেয়েছিল সবসময় বিভিন্ন মিক্সড এ্যালবামের চরম জনপ্রিয় ও দুর্দান্ত সব গানে। সেই মিক্সড এ্যালবামের যুগে শ্রোতারা পায় প্রিয় টিপুর প্রথম একক এ্যালবাম একাকী একজন। সেই এ্যালবামের একাকী একজন, আমার আমি ছাড়া, আমার মন গানগুলো ছিল চোখে পানি আসার মত সব গান।

চাইম থেকে বের হয়ে এসে আশিকুজ্জামান টুলু আরেক জনপ্রিয় শিল্পী ভিন্ন মাত্রার গায়কী ঢঙয়ের হাসান ও অসাধারণ সুরকার পঞ্চম কে নিয়ে গঠন করেন ব্যান্ড আর্ক। যাদের প্রথম এ্যালবাম ছিলো তাজমহল। তারপর জন্মভূমি, স্বাধীনতা নামে আরও দুটি এ্যালবাম বের হয় তাদের। গুরু তোমার এমন বাণী, তাজমহল, একাকী, পাগল মন, সুইটি, মনে পড়ে, আকাশের নীলে, এই দূর পরবাসে, অভিমানে নয়, বাংলাদেশ গান দিয়ে জয় করে নেয় অগণিত ভক্তের হৃদয়। পরবর্তীতে হাসান বিভিন্ন মিক্সড এ্যালবামে একক ভাবে গান গেয়ে তার জনপ্রিয়তা ধরে রাখেন।

নোভা বাংলাদেশের আরেকটি জনপ্রিয় ব্যান্ডের নাম যার সাথে হৃদয়ে আজও নাড়া দেয় আহমেদ ফজল করিমের নামটি। মাদক বিরোধী গান আহবান দিয়ে যিনি স্থান করে নেন অগণিত ভক্তের হৃদয়। তারপর আরেকটি তুমুল ঝড় তোলা গান রাজাকারের তালিকা চাই গেয়ে চিরদিনের জন্য বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীত জগতে স্থান করে নেন। তারপর স্কুল পলাতক মেয়ে, সজনী সাঁঝেরও তারা হয়ে গানদুটি গেয়ে সমান ভাবে সমাদৃত হন তিনি।

পপ সম্রাট আজম খানের ব্যান্ডের কিছু সদস্য সিদ্ধান্ত নেন নিজেরা কিছু গান করার। তখন উইনিং ব্যান্ডটি গঠিত হয় যার সদস্য ছিলেন হায়দার হোসেন, মিতুল, রঞ্জন, শেলী, রানা, ফাহিম। একটা সময় মিতুল, হায়দার, ফাহিম ও রানা আমেরিকাতে পাড়ি জমান উন্নত জীবন এবং পড়াশোনার জন্য। তখন ব্যান্ডে কিছু নতুন সদস্য যোগ দেন। বাবু, রেজা এবং বিপ্লব। একটা সময় উইনিং ব্যান্ড তাদের মূল ভোকালের খোঁজ শুরু করে। তখন বর্তমানে নগর বাউল ব্যান্ডের জেমসকে তারা কিছু সময়ের জন্য ব্যান্ডের সাথে অনুশীলনে রাখে। পরে চন্দন ব্যান্ডে যোগ দেয় গিটারিস্ট ও ভোকাল হিসেবে। তারপর রঞ্জন ক্রিকেট খেলতে গিয়ে আহত হয়ে আংগুল ভেঙ্গে ফেলেন এবং আর ড্রামস বাজাতে সক্ষম ছিলেন না। এ অবস্থাতে টিপু ব্যান্ডে যোগ দেন ড্রামার হিসেবে। তাদের সেলফ টাইটেল এ্যালবাম উইনিং বের হয় এবং বাবু ও রেজা ব্যান্ড ত্যাগ করেন। তখন ব্যান্ডের নতুন সদস্য হিসেবে যোগ দেয় কিবোর্ডে বিপ্লব ও সজল। একটা সময় আবারও ব্যান্ডটি ভেঙে যায়। শেলী সিলেটে চা বাগানে তার কর্মজীবন শুরু করেন ও সজল তাঁর ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এ সময় দলে যোগ দেন মবিন যিনি পরে সড়ক দুর্ঘটনাতে নিহত হন। এসবের মাঝেও ব্যান্ডের দ্বিতীয় এ্যালবাম অচেনা শহর মুক্তি পায়। তারপর আরও অনেকবার ব্যান্ডের লাইন আপে পরিবর্তন আসে। টিপু ব্যান্ড ত্যাগ করলে তার জায়গায় আসেন ইমন, মবিন ব্যান্ড ত্যাগ করেন। এসময় বর্তমানে মাইলস ব্যান্ডের সদস্য জুয়েল ব্যান্ডে কিছুদিন কাজ করেন। সবশেষে মোর্শেদ এবং রাসেল ব্যান্ডে যোগ দেন। এরপর ইমন ব্যান্ড ত্যাগ করেন ও চন্দন ব্যান্ড ছেড়ে এক বছরের জন্য ইংল্যান্ডে উচ্চ শিক্ষার জন্য পাড়ি জমান। তারপর ব্যান্ডের কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে। তবে এত ভাঙা গড়ার মাঝেও আজও উইনিং মানেই অচেনা শহরে, ইচ্ছে করে, ঐ দূর পাহাড়ের ধারে এখনও আমাদের হৃদয়ে স্থায়ী ভাবে জায়গা করে রেখেছে।

সময়ের সঙ্গে পথ চলার ব্যান্ড প্রমিথিউস। মূলত দেশাত্মবোধক গানের জন্যই বিখ্যাত হয়ে আছে এই ব্যান্ডটি। সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে একসময় আরিফ, রেজওয়ান, শারেক, কোয়েল এবং বিপ্লব মিলে ব্যান্ডটি গঠন করেন। প্রকাশিত এ্যালবামগুলো হচ্ছে স্বাধীনতা চাই, মুক্তির প্রত্যাশায়, প্রজন্মের সংগ্রাম, স্লোগান, যোদ্ধা, প্রমিথিউস ২০০০, স্মৃতির কপাট, অ-আ, পাঠশালা, ঢোল, টাকা, নাগরদোলা, রাজপথ, প্রমিথিউস আনবাউন্ড, প্রমিথিউস আনবাউন্ড ওয়ান ও ছায়াপথ। বেশির ভাগ এ্যালবামেই দেশের সমসাময়িক বিভিন্ন সমস্যা ও দেশাত্মবোধক গান রয়েছে।

লাল শাড়িতে গানটির কথা সবারই মনে আছে নিশ্চয়। অরবিট ব্যান্ডের পলাশের গাওয়ার একটি তুমুল জনপ্রিয় গান সেই সময়ের যা ছিলো আমাদের মুখে মুখে।

তারপর মনিটর, পালস, নেক্সাস, উইন্ডস, সলিড ফিঙ্গারস, ওয়েভস, শিঞ্জন, রং নাম্বার, অর্কিড, চার্মিং, অডিসি, ডিজিটাল, রকস্টারটা, ইন ঢাকা, স্পন্দন, ইকারাস, ব্লু ওশেন, তীর্থক, কেইড্যান্স, কেওজ, লিজেন্ড, অরবিট, নরদানস্টার, ড্রিমল্যান্ড, মাইক্রো, স্টারলিং, ফেইথ, মিউজিক টাচ, সফট টাচ, সিম্ফনি, লেসন, সানডে, পেপার রাইম এর মতো অনেক ব্যান্ড আসে।

আরেক শিল্পী আদনান বাবুর গাওয়া মৌচাক মার্কেটে হলো দেখা, রং নাম্বার টেলিফোনে, ও পরানের পাখিরে, চিত্র নায়িকা মৌসুমির সাথে ডুয়েট গান পাশের বাড়ির ঐ মেয়েটি ছিলো তখন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে যা এখনও আমাদের হৃদয়কে দোলা দেয়। তাছাড়া পার্থ, চারু ও আশরাফ বাবুর ব্যান্ড ত্রীরত্নের ক্ষ্যাপার চলছে, গায়ে হলুদ, সারাদিন গানগুলো ছিলো বাংলা ব্যান্ড জগতে র‍্যাপ গান হিসেবে নতুন এক সংযুক্তি।

ব্যান্ডের গান ছাড়াও এখানে আরও মনে পড়ছে দীঘল কালো লম্বা চুলের সুন্দর মুখশ্রীর গায়িকা সুমনা হকের গাওয়া মায়াবী এই রাতে, ডলী সায়ন্তনীর রং চটা জিন্সের প্যান্ট পরা যুবক, বেবী নাজনিনের গাওয়া এলোমেলো বাতাসে উড়িয়েছি শাড়ির আঁচল, শুভ্র দেবের মন আমার পাথর নয়, সাবিনা আক্তার রুনার নীল চাঁদোয়া, দিলরুবার পাগল মন, মুরাদের আমি আগের ঠিকানায় আছি, আবদুল মান্নান রানার যেখানেই যাও ভালো থেকো, কুমার বিশ্বজীতের যেখানেই সীমান্ত তোমার, সাইফের কখনও জানতে চেয়েও না কী আমার সুখ, আগুনের আমার স্বপ্নগুলো কেন এমন স্বপ্ন হয়, জুয়েলের দুঠোঁটের ভাঁজে সিগারেট জ্বলে পুড়ে যায় গানগুলো শুনলে আজও শরীরে কাঁটা দিয়ে উঠে। এখানে আরও দুইজন মহান গায়কের কথা না বললেই নয়। লাকী আখন্দ এবং শেখ ইশতিয়াক। আমায় ডেকোনা, এই নীল মনিহার, নীলাঞ্জনা কিংবা তোমার মনের ফুলদানীতে গানগুলোর জন্য যাদের প্রতি শ্রদ্ধা থাকবে আজীবন ধরে।

যাই হোক ফিরে আসি আবারও ব্যান্ডের মাঝে। ফীডব্যাক, মাইলস, ওয়ারফেজ এবং নগর বাউল বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীত জগতে যারা দিয়েছেন চারটি ভিন্ন মাত্রার সংযুক্তি।

প্রথমেই আসি মেটাল ব্যান্ড ওয়ারফেজের কথা নিয়ে। যদিও পরবর্তীতে ব্ল্যাক, অর্থহীন, শিরোনামহীন, ভাইকিংস নামের আরও কিছু মেটাল ব্যান্ড আসে কিন্তু ওয়ারফেজের মতো করে হৃদয়ে কেউ আর তেমন করে স্থান করে নিতে পারেনি। সঞ্জয়, বাবনা, টিপু, কমল আর রাসেল মিলে গঠন করেন প্রিয় ব্যান্ড ওয়ারফেজ। কৈশোর, মনে পড়ে, ধূপছায়া, হতাশা, মহারাজ, বিচ্ছিন্ন আবেগ, আলো, অসামাজিক, ইত্যাদি গান দিয়ে আজও যেভাবে মোহময় করে রেখেছে তার কোন তুলনা হয়না। ওয়ারফেজ, অবাক ভালবাসা, জীবনধারা, অসামাজিক, আলো, মহারাজ, পথচলা, সত্য প্রকাশিত এ্যালবাম।

মাইলস মানেই আধুনিক বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহারে দুর্দান্ত সব গানের জনক। শাফিন আহমেদ, হামিন আহমেদ, মানাম আহমেদ, ইকবাল আসিফ জুয়েল নিয়ে বর্তমান লাইন আপ হলেও একসময় হ্যাপি আখন্দ, ইশতিয়াকের মতো জনপ্রিয় গুণী শিল্পীরা ছিলেন এই ব্যান্ডের সদস্য হিসেবে। মাইলস সর্বপ্রথম ইংরেজীতে ব্যান্ডের নামেই একটি এ্যালবাম বের করেছিলো। তারপর বের করে প্রতিশ্রুতি। মূলত এই দ্বিতীয় এ্যালবামের পড়ে তাদের আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। মাইলস খুব সম্ভবত জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি সংগীত শ্রোতার হৃদয়ে। তারপর একে একে বের হয় তাদের প্রত্যাশা, প্রত্যয়, প্রয়াস, প্রবাহ ও প্রতিধ্বনি এ্যালবামগুলো। চাঁদ তারা সূর্য, জ্বালা জ্বালা, ধ্বিকি ধ্বিকি, সে কোন দরদীয়া, ফিরিয়ে দাও, এক ঝড় এসে, আর কতকাল খুঁজব তোমায়, পলাশীর প্রান্তর, পাহাড়ী মেয়ে, নীরবে কিছুক্ষণ, হৃদয়হীনা, সোনালী রোদে, গুঞ্জণ শুনি গানগুলো এমন ভাবেই এখনও জীবনের সাথে জড়িয়ে রয়েছে যে সুখ দুঃখ যাই বলি না কেন; এই গানগুলোই সকল সময়ের সঙ্গী।

ফীডব্যাক বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে দিয়েছে মেলায় যাইরের মতো এক মাইল ফলক গান। বৈশাখের মেলা মানেই এই গান বাজাতেই হবে। নইলে বৈশাখ উদযাপন বৃথা। ফুয়াদ নাসের বাবু, লাবু রহমান, পিয়ারু খান, পন্টি, লুমিন, রায়হান এই নিয়ে প্রিয় ব্যান্ড ফীডব্যাক। একসময় মাকসুদ ব্যান্ডের মূল ভোকাল হিসেবে থাকলেও পরে তিনি গড়ে তুলেন নিজের ব্যান্ড ঢাকা যেখান থেকে তিনি বের করেন নিষিদ্ধ নামের এ্যালবামটি। যা আজও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর একমাত্র সেরা একটি এ্যালবাম হিসেবে ইতিহাস হয়ে রয়েছে। বিশেষ করে গণতন্ত্র গানের কথা না বললেই নয়। তাছাড়া নিজের দেশ হতে পারে গরীবের দেশ গানটি যখনই শুনিনা কেন চোখে পানি চলে আসে। যাই হোক ফীডব্যাকের কথায় ফিরে আসি। আসলে ফীডব্যাকের কথা বলতে গেলে মাকসুদের কথা না বলে পারা যায়না। চলচ্চিত্রেও তার গাওয়া তোমাকে দেখলে একবার মরিতে পারি শতবার এখনও যেন মাথার ভেতর অনুরণন তোলে। ফীডব্যাকের ফীডব্যাক, উল্লাস, মেলা, জোয়ার, বাউলিয়ানা, বংগাব্দ-১৪০০, দেহঘড়ি ছিলো এক একটা মাইল ফলক এ্যালবাম। গীতিকবিতা-১,২, মামা, টেলিফোনে ফিসফিস, পালকি, চিঠি, বিদ্রোহী, মৌসুমি গানগুলো আজও চির সবুজ।

জেমস গুরুর কথা বললেই হৃদয়ে কাঁপন ধরে যায়। বাংলাদেশের ব্যান্ড মূলত গুরুর হাত ধরেই পায় নতুন এক মাত্রা। যার গায়কী ঢঙের সাথে কারও কোন তুলনাই আসলে হয়না। প্রথমটায় ফিলিংস নামে ব্যান্ড দিয়ে শুরু করলেও পরে নগর বাউল নামে ব্যান্ড করে এখনও গানের জগতে চির অম্লান রয়েছেন। গুরু দেশীয় চলচ্চিত্র এবং ভারতীয় চলচ্চিত্রেও প্লে ব্যাক শিল্পী হিসেবে বেশ কিছু গান করেন। বের হয় একক শিল্পী হিসেবেও বেশ কিছু এ্যালবাম। তরুণ প্রজন্মের হার্টথ্রব জেমস আসলে যাই গেয়েছেন তাই ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। তার গাওয়া বাংলাদেশ গানের কথা বিশেষ ভাবে না বললেই নয়। যদিও ব্যান্ড জগতের আরেক গুরু আইয়ূব বাচ্চুর গাওয়া বাংলাদেশ গানটিও অসাধারণ কিন্তু জেমসের গানটি এক অনন্য ইতিহাস সৃষ্টি করে রেখেছে চিরদিনের জন্য। গুরুর সবচেয়ে মজার যে ব্যাপারটি হলো তিনি সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষদের জীবন ই জীবিকা নিয়ে গান করেছেন। যেমনঃ লেইস ফিতা, মান্নান মিয়াঁর তিতাস মলম, হাউজি, বায়োস্কোপ, বাংলার লাঠিয়াল, বিজলী, মীরা বাঈ ইত্যাদি অনন্য সব গান। জেমস একদিকে যেমন কবিতা, লিখতে পারিনা কোন গান, ভালোবেসে চলে যেও নার মতো প্রেমের গান গেয়েছেন তেমনি আবার আধ্মাতিক গানও করেছেন যেমনঃ ঈশ্বর, যিকীর। দুঃখিনী দুঃখ করোনা তার সেরা এ্যালবাম। মা এবং বাবা গান দুটিতো আরেক মাইল ফলক গান হিসেবে অত্যন্ত সুপরিচিত। জেমসের এত এত জনপ্রিয় গান আছে যে লিখে শেষ করা যাবেনা। জীবনের সঙ্গে, রক্তের স্রোত ধারার সাথে মিশে আছে প্রায় সবগুলো গানই।

দলছুট হলো একমাত্র ব্যান্ড যারা নব্বই দশকের পর এখনও মনে স্থান করে রেখেছেন। নতুবা অন্যান্যগুলো শুধু এসেছেই দুই একটা গান গেয়ে উধাও হয়ে গেছে। তবে ব্ল্যাক আর বাংলা ব্যান্ড দুটির কথা সম্পূর্ণ ভিন্ন। যাই হোক, বাপ্পা মজুমদার আর সঞ্জীব দা মানেই প্রাণের স্পন্দন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় সঞ্জীব দা অকালেই চলে গেলেন আমাদের ছেড়ে। নতুবা আমরা পেতাম আরও কিছু কালজয়ী গান। তোমার বাড়ির রঙের মেলায়, গাড়ি চলেনা, বাজী, ছুঁয়ে কান্নার রং, নাম না জানা মাস্তান গানগুলো কখনও হৃদয় থেকে মুছে যাবার নয়। তাছাড়া আমাদের সুপ্রিয় ব্লগার রানা ভাইয়ের লেখা পরী গানের কথা বিশেষ ভাবে না বললেই নয়।

ব্যান্ডগুলো যখন একটা সময় ম্রিয়মাণ হয়ে পড়ছিলো ঠিক তখনই এলো মিক্সড এ্যালবাম। বিভিন্ন ব্যান্ডের একটি বা দুটি করে গান নিয়ে একটি করে এ্যালবাম বের হতে থাকলো। সে এক অন্যরকম অনভূতি শুরু হলো। বিশেষ করে ক্যাপস্যুল এবং স্ক্র ড্রাইভার এ্যালবাম দুটি ছিলো সেই সময় জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। এই মিক্সড এ্যালবাম বলতেই তখন বুঝতাম মূলত প্রিন্স মাহমুদের সুরের কথা। তিনি দি ব্লুজ” নামের একটি ব্যান্ডের ভোকালিস্ট ছিলেন বেশ কিছু দিন। এরপর নব্বই দশকের শুরুতে তিনি গঠন করেন ফ্রম ওয়েস্ট নামক একটি ব্যান্ড যেখানে ব্যান্ড লিডার এবং মূল ভোকাল ছিলেন তিনিই। সেই ব্যান্ড এর আলোচিত একটি গান ছিলো রাজাকার আলবদর কিছুই রইবো নারে উপরে দালাল ভিতরে চোর কিছুই হইবো নারে সব রাজাকার ভাইসা যাইবো বঙ্গোপসাগরে গানটি। ফ্রম ওয়েষ্ট এর প্রকাশিত প্রথম অ্যালবাম এর নাম ছিল সে কেমন মেয়ে। পরবর্তীতে তিনি নিজের ব্যান্ড বাদ দিয়ে হাত দেন মিক্সড এ্যালবামের কাজে। একের পর এক উপহার দেন আমাদের মাঝে শক্তি, দাগ থেকে যায়, এখনও দু চোখে বন্যা, ঘৃণা, ক্ষমা, শেষ দেখা, ব্যবধান, ওরা এগারো জন, স্রোত, পিয়ানোর মতো দুর্দান্ত সব এ্যালবাম। এই কথা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে প্রিন্স মাহমুদের যাদুকরী সব সুরে ব্যান্ডগুলোর জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দিয়েছিলো আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে।

বাংলাদেশের ব্যান্ডের গান যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন এই ব্যান্ডগুলো ইতিহাসের এক একটি উজ্জ্বলতম তারা হয়ে জ্বলজ্বল করে বাংলা গানের আকাশে জ্বলবে। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম, গানের প্রতি ভালোবাসা আর শ্রোতাদের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে সবসময় বাংলা গানের সম্ভারকে করেছেন সমৃদ্ধ। আজকের এই ভালো ও শ্রুতিমধুর মানসম্পন্ন বাংলা গানের দুর্ভিক্ষের সময়কে কেবলমাত্র এরাই দূর করতে পারেন। তাদের ফিরে আসাটা এবং আবার সেই কাণ্ডারির ভূমিকায় অবতীর্ণ দেখার জন্য কোটি কোটি বাংলার মানুষ আশায় বুক বেঁধে আছে। যাদের গান আমাদের মুক্তি দিবে মানহীন বস্তাপচা গানের এই আকালের যুগ থেকে।

সবশেষে জেমসের গানের সুরে সুর মিলিয়ে বলে যাই;

যেদিন বন্ধু চলে যাবো বহু দূরে
ক্ষমা করে দিও আমায়...




মন্তব্য ৭৬ টি রেটিং +২৪/-০

মন্তব্য (৭৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৪৯

শফিউল আলম চৌধূরী বলেছেন: প্রথমেই বলি, এত বড় পোষ্ট পড়ি নাই। পুরাতন এলবাম নিয়া কথা বলছেন দেখেই আমি মন্তব্য করতে আসছি। আমি একটা গান খুজঁতেছি বহু বছর ধরে। গানের কথা গুলি কিছুটা এমন, হয়ত হুবহু মনে নাইঃ

শেষ ট্রেনে চলেছি সূদুর ঢাকায়,
কতদিন ধরে দেখি না তোমায়।
জানালায় আসছে বাতাস ভেসে,
ভেঙ্গে নিরবতা, তোমারই কথা,
বলে চুপিসারে।
তুমি আমি, দূরে আছি,
আজ হবো কাছা কাছি।

মাথার মধ্যে যখন গানটা বাজে, তখন মনে হয় এটা শাফিন/হামিন এর হবে। বহুত খুজঁছি, তাদের পেজেও ম্যাসেজ দিছি, কোথাও পাই নাই; এমনকি তারা রিপ্লাইও করেন নাই।

আর সবাই হাবিজাবি কিছু গানের কথা কয় খালি :/ আপনি একটু দেখবেন...

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ভ্রাতা মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। তবে এই মুহূর্তে এমন কোন গানের কথা ঠিক মনে করতে পারছিনা। তবে এই গান মাইলসের হওয়ার কথা না তবে শাফিনের একক এ্যালবামের কিনা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারছিনা। দুঃখিত ভ্রাতা।

২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:০৮

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: Ahare .. Vai, ki mone koira dilen. Mobile thaikka log in hoite baddho hoila. Murad Takla vashay likhtachi khoma koira diyen.

90 doshok purotai bangla band er sonali somoy. Sei somoyer gaan gulo ekhono shuni. Koishor ar shoishober obisccheddo ongsho chilo sei somoyer band er gaan. Shraboner megh gulo, mouchak markete holo dekha, melay jaire, ohh konta raikha kontar kotha boli.

Gurur rail line er bostite, ghuriya dare dare, alal dulal...
Murubbider band er accha keno manushgulo emon hoye jay
ei nil monihar, amay deko na

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ঐ তোর ল্যাপটপ কবে ঠিক হইবো ? আগে ল্যাপটপ ঠিক কইরা আয় তারপর কথা কমু।

৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:১১

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: Sanjib dar gaan bad geche naki ekhane abar porte hobe purata,

ami tomakei bole debo

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমি তোমাকেই বলে দেবো কি যে ভুলে ভরা গল্প
কাড়া নেরে গেছি ভুল দরজায় ...

৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:১৪

কমরেড নীল বলেছেন: তপন চৌধুরীর নীল চাঁদোয়া, ????

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আরে না ভ্রাতা এইটা শুভ্র দেব আর সাবিনা আক্তার রুনা এর ডুয়েট গান। লেখার সময় খেয়াল করিনি। এখন এডিট করে দিছি। :P

৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:৫৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: রুটি মদ ফুরিয়ে যাবে, প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে আসবে, কিন্তু কাণ্ডারি ভাই এর পোষ্ট খানা আমার প্রিয় তালিকায় তেমনি ঝুলিয়া থাকবে যেমন করিয়া কিশোর বয়সের প্রথম ভালোলাগা মেয়েটির কথা মনে থাকে।

"নব্বই দশকের পর আরও অনেক ব্যান্ড দলই এসেছে কিন্তু নব্বই দশকের মতো করে হৃদয়ে আলোড়ন জাগাতে সক্ষম হয়নি। সেই সময়ের গানগুলো একদিকে যেমন ছিল সামাজিক প্রেক্ষাপট নিয়ে তেমনি ছিল প্রেম ঘটিত সুখ দুঃখের অনুভূতিতে গাঁথা। যেমন ছিল প্রতিটা গানের গীতিকবিতা তেমনি ছিল মনকাড়া সুর। শুধুই সামাজিক কিংবা প্রেম নয় গ্রাম বাংলার কথা, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, দেশাত্মবোধক, মানুষের জীবন যাপনের রূপ প্রায় সবকিছুই উঠে এসেছিলো সেসব গানের মাধ্যমে। আজও যখন গান শোনা হয় কিংবা গানের কথা বলতে গেলে সেই সময়ের গানের কথাই মনে পড়ে। আমার মাঝে মাঝে এই ভেবে গর্ব হয় যে আমি সেই যুগের সাথে বেড়ে উঠতে পেরেছিলাম। "

ঠিক ঐ সময়টাই ছিল হাই স্কুল জীবন। টিফিন পিরিয়ডে পছন্দের মেয়ের বইয়ের ভিতর "তোমারে বালা পাই" চিরকুট রাখিবার বয়স। কাণ্ডারি ভাই, ইমানে কন এই পোষ্ট লিখেছেন কয় মাস ধরে? উল্লেখিত গান গুলোর শতকরা ৮০ ভাগ শুনেই কেটেছে হাস্কুলের দিন গুলো।

সামু ব্লগ সব সময় জন গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট স্টিকি করিয়া থাকে। চিরাচরিত প্রথা ভাঙ্গিয়া সংগীত বিষয়ক একখানা পোষ্ট স্টিকি করা সময়ের দাবি। তাই কাণ্ডারি ভাই এর এপিক পোষ্ট খানা স্টিকি করিবার জোড় দাবি জানাইয়া গেলাম মডু মামা ও আপু দের কাছে =p~


০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



পলাশ ভাই সালাম জানবেন।

আগে সামুতে এই পোষ্ট ঝুলার প্রসঙ্গে বলে নেই; ভাইরে এইটাতো আর আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে থাকা টাইপ না তাই নির্বাচন পাতা পর্যন্ত স্থান পাইছে তাতেই আমি খুশী। ;)

এবার সেইসব দিনের কথা যদি বলতে হয়, জীবনের প্রতিটা স্টেপ হইতো সেইসব গান অনুসারে। প্রেম করার ইচ্ছা মনে বাজতো ডিফারেন্ট টাচ, প্রেমের প্রস্তাব দিব তখন মনে বাজতো মাইলস, প্রেমে ব্যর্থ আইয়ূব বাচ্চু এবং খালিদ, এরপর ভাবের জগতে প্রবেশ জেমসের গানে। আর মাথা নষ্ট করা ওয়ারফেজের যত গান। আহ ! ভাই সেই যুগ আর কখনও ফিরে আসবে না।

শুভকামনা ও কৃতজ্ঞতা চিরদিনের জন্য।

হারানো চোখ,
হারানো মুখ,
হারানো গান,
হারানো সুর,
হারানো রাত,
হারানো ভোর,
হারানো প্রেম,
হারানো স্মৃতি,
পুরনো মোমবাতি,
শুধু এক দীর্ঘশ্বাস
ঝড় হয়ে করে মাতামাতি...

৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:০০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: কাণ্ডারি ভাই, ইমানে কইতাছি শুরু থাইকা শেষ পর্যন্ত পুরো পোষ্টের প্রতিটা লাইন পড়া শেষ করে তার পর মন্তব্য করেছি।

তয় একটা বিষয়ে মাইন্ড খাছি মাইলসের নাম লিস্টে অনেক পড়ে আসায়। ওপেন স্টেস পারফমেন্সে মাইলসের গান গুলোতে অনেক বেশি ঠোঠ যুক্ত হয় অন্য শিল্পীদের তুলনায়। এটা আমার ব্যাক্তিগত অভিমত।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


পলাশ ভাই আমি জানি আপনি কখনওই কোন পোষ্ট পুরো না পড়ে মন্তব্য করেন না। এইটা সবাই করেনা।

মাইন্ড খাইয়েন না ভ্রাতা। বিষয়ডা একটু খেয়াল করেন আমি শেষে চাইরটা ব্যান্ডরে একসাথে রাখছি। মানে হইলো শেষের চারটা ব্যান্ড আমার সবচেয়ে প্রিয় ব্যান্ড। আমি যে এখনও ব্লগে আছি আমার কম্পুটারে কিন্তু মাইলসের গানই বাজতেছে.... আমার বেশীরভাগ সময়ে মাইলসের গানই শোনা হয়। মাইলস হইলো হৃদয়ের স্পন্দন। মাইলস নিয়েই একটা বিশাল পোষ্ট দেয়া যাবে।

শোন ওহ প্রিয়া কত যতনে
এঁকেছি যে তোমায়
কী যাদু তোমার প্রেমে...
আমি তোমায় যে চাই,
কাছে যেন পাই চিরদিন...

৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪৬

অবিবাহিত ছেলে বলেছেন: আগেও এমন পোস্ট পড়েছি । শিরোনাম দেখে আবার পড়লাম । সুন্দর নষ্টালজিক পোস্ট ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


হুম এসব পোষ্টের দিক দিয়ে আমাদের সবার প্রিয় ব্লগার কবি ও কাব্য ভাই এগিয়ে থাকবেন সব সময়।

ধূপছায়া গোধূলি বেলার শুভেচ্ছা রইলো।
কৃতজ্ঞতা সব সময়ের জন্য।

৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪২

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার বিস্তারিত পোস্ট। সবার কথাই তুলে ধরেছেন এবং আমারও সব মনে পড়ে গেল !! খুব মিস করি সে সময়গুলোকে ! গান না শুনে একদিনও থাকতে পারতাম না। আর এখনকার মেশিন বা সফটওয়্যার দ্বারা তৈরিকৃত গান শুনে মেজাজ মাঝে মাঝে চরম বিগড়ে যায় !!

নষ্টালজিক পোস্টে প্লাস !!

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



এখনতো গান গাইতে পারা লাগেনা ভ্রাতা। কম্পিউটারে ভোকাল এডিট করে নেয়া যায়। এইদিক দিয়ে হাবিব সাহেব এগিয়ে আছেন।

যাই হোক কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা ভ্রাতা।

৯| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: তাদের ফিরে আসাটা এবং আবার সেই কাণ্ডারির ভূমিকায় অবতীর্ণ দেখার জন্য কোটি কোটি বাংলার মানুষ আশায় বুক বেঁধে আছে। যাদের গান আমাদের মুক্তি দিবে মানহীন বস্তাপচা গানের এই আকালের যুগ থেকে।
সবশেষে জেমসের গানের সুরে সুর মিলিয়ে বলে যাই;

যেদিন বন্ধু চলে যাবো বহু দূরে
ক্ষমা করে দিও আমায়...
- সহমত। স্মৃতিচারন করিয়ে দেয়া পোস্টে অনেক অনেক ভাললাগা।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



শুভকামনা ও কৃতজ্ঞতা নিরন্তর ভ্রাতা।

মনে পড়ে শুধাংসু সেই উনিশ পাঁচ দুই ...

১০| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৯

শাহ আজিজ বলেছেন: বাংলাদেশের প্রথম ব্যান্ড স্পন্দনের কথা উল্লেখ করা হয়নি। ওটি ৭৪ সালে আত্মপ্রকাশ করে বা প্রথম পাবলিক শো করে ঢাকায়। ডাঃ দিপু এটির উদ্যোক্তা ছিলেন এবং তিনিই তার গায়ক বন্ধুদের নিয়ে শুরু করেন। ফেরদাউস ওয়াহিদ, আজম খান, ফিরোজ সাঁই , পিলু মমতাজ , হিটলু আর কজন মিলে শুরু করল । দিপু ভাই বিদেশ চলে গেলেন। আমি ৭৬ সালে এদের প্রথম দেখি খুলনাতে। এদের দেখার জন্য বিশাল প্যান্ডেল কানায় কানায় পূর্ণ ছিল। শহরাঞ্চলে ব্যান্ড খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। বলে রাখা ভাল স্পন্দনের পেছনে একজন ক্ষমতাধর ব্যাক্তি ছিলেন , তিনি শেখ কামাল।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



শাহ আজিজ ভাই লেখাটা লেখার সময় স্পন্দনের কথাটা মাথায় আসেনি। তবে আমরা আসলে উচ্চারণ থেকেই মূলত আজম খান কে চিনিতো তাই ঐটাই বেশী মনে আছে।

অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।

১১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৩

নীল আকাশ বলেছেন: বাংলা ব্যান্ডের গান বলতে আমি এখনো সেই ৯০ দশকের গান গুলি কেই বুঝি। আপনার এই অসাধারন ব্লগ টা পড়ে আমার আবার পুরনো দিনের কথা গুলি মনে পড়ে যাচ্ছে । সারা ঢাকায় ঘুরে বেড়াতাম ব্যান্ডের কনর্সাট দেখার জন্য । যেমন সুর, তেমন কথা গান গুলির। হৃদয়ে ডাক কেটে যায় একবার সুনলে । তবে আমরা দল বেধে একটা বিশেষ ব্যান্ডের গান শুনতাম, স্টারলিং। এটার একটা দারুন গান আছে, "ভালোবাসা এ মনে ছিল", ভাস্কর এর ভোকাল। আমরা সবাই দল বেধে এ ই গান টা গাইতাম। কি অসাধারন ছিল সেই দিন গুলি ? ইচ্ছে হ্য় আবার ফিরে যাই সেই দিন গুলিতে .....প্রিয় তে রাখলাম আপনার এই পোষ্ট টা। সবশেষে ধন্যবাদ আপনাকে অত সুন্দর একটা পোষ্ট দেবার জন্য। ভালো থাকবেন।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ভাই গান শুধু শুনতামই না রীতিমত খোলা গলায় চায়ের দোকানে বসে নিজেরাই গাইতাম সেইসব গান। আহা ! ভাই কীসব দিন চলে গেছে তাই না ?

বুকেরই গভীরে তুমি শুধু তুমি
আছো কী মায়া জড়িয়ে
সুখেরই স্বপনে তুমি শুধু তুমি
যেওনা কভু হারিয়ে
মনের জানালা খুলে রেখেছি শুধু তোমার আশায় আশায়

১২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আহ নস্টালজিক পোস্ট। আমার ভাইয়ের কারণে বা কল্যাণে ব্যান্ড গানের প্রতি আমার আগ্রহ জন্মায়। আগে যখন এতো এতো চ্যানেল ছিল না, বিটিভিতে ঈদের প্রোগ্রামের মাঝে একটা প্রোগ্রাম থাকতো ব্যান্ডের গান নিয়ে। অধীর হয়ে অপেক্ষা করতাম।
তপন চৌধুরীর 'এ এমন পরিচয়, অনুমতি প্রার্থনা ' গানটা আমার খুব ফেভারিট। সুমনা হক আর শুভ্র দেবের ' নীল চাঁদোয়া ' এটাও খুব ফেভারিট।

ভালো পোস্ট। প্লাস দিলাম

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


হুম গানটা আমারও খুব প্রিয় একটা গান।

নীল চাঁদোয়া গানটা আপা শুভ্র দেব আর সাবিনা আক্তার রুনার গাওয়া ডুয়েট গান।

এখনও অনেক চ্যানেল আর সব চ্যানেলেই চলে রাত হলেই লাইভ ফোনালাপ ব্যান্ড সংগীতের আয়োজন। এইটাও খারাপ না। ভালই লাগে দেখতে শুধু উপস্থাপিকা ছাড়া।

সে কোন দরদিয়া আমায় কাঁদায় আবার হাসায় ...

১৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: লিখাটা বেশ ভালো লেগেছে । তবে প্রতিটা বর্ণনার সাথে যদিএকটি করে ছবি সেঁটে দিতেন আরও ভালো হত । এটলিস্ট অজ্ঞরা আরো ভালো ভাবে কিছুটা জানতে পারতো ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ভাল আইডিয়া দেইনি নেট স্পীডের কথা মাথায় রেখে। এমনিতেই অনেক বড় পোষ্ট আর ছবি দিলে লোড হতে চাইতো না। তখন আর কেউ পোষ্টটা নিয়ে আগ্রহ দেখাতো না।

ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাই।

লিখতে পারিনা কোন গান আজ তুমি ছাড়া
ভাবতে পারিনা কোন কিছু আজ তুমি ছাড়া
কি যে যন্ত্রণা তুমি কি বোঝনা...

১৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: জটিল পোস্ট, পোস্ট পড়ছিলাম, আর ভাবতেছিলাম মাইলস, ফিডব্যাক আর প্রিন্স মাহমুদ গেল কই? যাক শেষ পর্যন্ত পরের দিকে পেলাম। যদিও আমি মনে করি আজম খানের উচ্চারণ এর পর সোলস আর মাইলসের নাম একসাথে আসা উচিত, এরপর অতি অবশ্যই ফিডব্যাকের।

পোস্টে +++ সাথে লাইক দিয়ে প্রিয়তে তুলে রাখলাম।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমার হৃদয় জুড়ে শুধু তুমি ছিলে
যত সুখ ছিলো মনে কেন মুছে দিলে
ফিরিয়ে দাও আমারই প্রেম তুমি ফিরিয়ে দাও
হারানো দিনগুলো ফেলে এভাবে চলে যেও না ...

আমি আমার প্রিয় চারটা ব্যান্ডকে শেষে একসাথে রাখতে চেয়েছি বলে পোষ্টটা এভাবে সাজাতে হলো ভ্রাতা। তাছাড়া কোন ব্যান্ড ভেঙে কোন ব্যান্ড হলো সেটার একটা ধারা বজায় রাখতেও চেষ্টা করেছি মাত্র।

ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা নিরন্তর ভ্রাতা।

১৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৫

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: অনেক অজানা তথ্য দিছেন :)

বাংলাদেশের বিখ্যাত ব্যান্ডগুলোর বিখ্যাত সব গান নিয়ে ভাই একটা সিরিজ করেন ।

আপনার এই পোস্টের জন্যে অনুরোধ করলাম


পোস্ট +++++++

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ভ্রাতা পোষ্টে কি লিংক যুক্ত করে দেয়া লাগবে নাকি শুধু গানের তালিকা দিয়ে দিলেই হবে ?

১৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: শোকেসে রাখার মতো পোস্ট দিয়েছেন ভাই। ঐ যে দেখেন, শোকেসে রেখে ফেললাম। আর পুরোটা পড়া হচ্ছে না...... পরে ;)

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



কই দেখি নাতো কিছুই ?

;)

১৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৪

চিলেকোঠার চঁড়ুই বলেছেন: ভাই প্রথমত অশেষ কৃতজ্ঞতা এত পরিশ্রম করে,কি বোর্ডের আয়ু কমিয়ে,এতক্ষন ধৈর্য ধরে পোষ্টটি দেয়ার জন্য।তারপর,ধন্যবাদ এরকম লিখার জন্য,আমি মন থেকে এক্সাক্টলি এরকম লিখাই খুজছিলাম অনেকদিন।এখনকার ব্যান্ড মানেই খালি চ্যাংচুংফাংফুং।গানের মানে টানে সুর টুর নাই,খালি চিল্লানি।পুরানা ব্যান্ডগুলোর গানগুলো এই পোষ্ট দেখে সংগ্রহ করা যাবে।ধন্যবাদ,আমিও একটা ছোট খাট ব্যান্ডের গিটার বাজাই,আমাদের নাম সাঁঝপ্রহর।লোকাল ব্যান্ড।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



প্রথম কথা হইলো আপনাদের গান কবে শুনাইবেন ?

আর আপনাদের ব্যান্ডের জন্য শুভকামনা রইলো। তয় ভাই আর যাই করেন আপনারা ভাই আবারও গানের হালটা ধরেন। আমরা আরও কিছু ভাল গান শোনার চান্স পাই।

১৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৩

ভারসাম্য বলেছেন: পড়লাম এবং প্রিয়তেও রাখলাম। দারুণ সংগ্রহ। তবে পুরো লেখায় প্রয়াত নায়ক জাফর ইকবাল যিনি শুরুতে ব্যান্ড সংগীত শিল্পীই ছিলেন, তার উল্লেখ পেলাম না। অবশ্য তাঁর ব্যান্ড সঙ্গীতের সময়টা বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগে এবং তার পরিসর মুলত হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ( পরে শেরাটন, এখন সম্ভবত রুপসী বাংলা) ভিত্তিক ছিল। যেহেতু লেখাটা বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীত নিয়ে তাই ভেবেছিলাম তাঁর কথা হয়তো সচেতনভাবে এড়িয়ে গিয়েছেন। কিন্তু পরে দেখলাম ব্যান্ডের বাইরেও যেহেতু সোলো আর্টিস্ট হিসেবে আদনান বাবু, ডলি সায়ন্তনীর উল্লেখ করেছেন তাই মনে হল জাফর ইকবাল এর কথাও আসতেই পারত। কারণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়েও একক শিল্পী হিসেবে জাফর ইকবালের " সুখে থাকো ও আমার নন্দিনী ..." বা "এক হৃদয়হীনার কাছে ... " -এর মত কালজয়ী কিছু গান গেয়েছিলেন।

হ্যাপী আখন্দ এর কথাও অনেক কষ্টে খুঁজে পেয়েছি পুরো লেখায়। কিন্তু তাঁর কালজয়ী গান, "আবার এলো যে সন্ধ্যা" -এর উল্লেখ সহ তাঁকে নিয়ে আলাদা একটা অংশই থাকা উচিৎ ছিল এরকম একটি সুন্দর সংগ্রহে।

এছাড়া "মৌচাক মার্কেটে হলো দেখা", "পাশের বাড়ির ওই মেয়েটি" গানগুলো আদনান বাবুর বলা হলেও গানগুলো প্রথমে মামুন নামে একজনের গাওয়া ছিল যা পরে ক্যাসেট কোম্পানীর যোগসাজশে আদনান বাবুর নামে ক্যাসেটে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু একই ক্যাসেটে আদনান বাবুর অন্যান্য গানের কন্ঠের সাথে ওই গানগুলোর কন্ঠের পার্থক্য সহজেই ধরা পড়ে যাওয়ায় মামুনের গানই মামুনের ছবি সহ কিন্তু শিল্পীর নাম হিসেবে শুধু "বাবু" নাম দিয়ে বাজারে আসে এবং সত্যি করে বললে সেই ক্যাসেটটাই বেশি চলেছিল তখন।

যেহেতু বেশ কিছু সোলো আর্টিস্টের কথাই এই লেখায় এসেছে, তাই প্রয়াত খালিদ হাসান মিলু'র উল্লেখও এই পোস্টে থাকাই উচিৎ বলে মনে করি।

এত কিছু বললাম দেইখা মাইন্ড খাইয়েন না। এই রকম লেখা আমার কাম না, তবে এত কষ্ট কইরা কেউ লিখলে সেইটা আরো সমৃদ্ধ হৌক এই জন্যেই ... ;)

+++++++++

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



খুবই গুরুত্বপূর্ন দিকগুলোই আপনার মন্তব্যে উঠে এসেছে ভ্রাতা। এই জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। শুধু হ্যাপী আখন্দ, লাকী আখন্দ, শেখ ইশতিয়াক এবং খালিদ হাসান মিলু কেন কুমার বিশ্বজীৎ, শুভ্র দেব, ডলি, বেবী ইনাদেরকেও আলাদা ভাবে হাইলাইট করে লেখা উচিৎ ছিলো। ইনারা হলেন বাংলাদেশের গানের প্রাণ। আরও অনেকেই বাদ পড়েছেন যেমন সাবাতানি, রুক্সি, মৌটুসি, হাসান চৌধুরী।

আমার সামনে আরও কিছু পোষ্ট আসছে। আশা করি আরও তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্ট পাবেন। এইগুলা আমার ব্লগ থেকে দীর্ঘ অবসর যাপন কালীন সময়ে তৈরি করা ভ্রাতা। এখন শুধু পোষ্ট করতেছি। ব্লগে থাকলে আরও আগে পোষ্টগুলো দেয়া হয়ে যেতো।

সাথে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা নিরন্তর।

১৯| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১২

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: খুব দারুন একটা পোস্ট। অনেক ভাললাগা

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



প্রথম প্রেমের মত
প্রথম কবিতা এসে বলে
হাত ধরে নিয়ে চলো
অনেক দূরের দেশে

কত পথ প্রান্তর ঘুরে ফিরেছি
পাইনা তো আজো তোমায়
সেই পথ চলা শেষ হলে
কাছে এসে যেও বলে
এই তো আমি এই তো আমি

তোমারি আশায় বসে থেকেছি
নাম ধরে ডাক দিলে কে গো তুমি
ফিরে এলে আজ কাছে
ভালোবাসা যত আছে
দিলাম তুলে দিলাম তুলে

--- মাইলস

২০| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৮

আবু শাকিল বলেছেন: নস্টালজিক পোস্ট ভাইয়া ।
আমি অবশ্য তখন ছোট ছিলাম ।বড় ভাইরা এইসব ব্যান্ড এর গান নিয়ে খুব মাতামাতি করত। =p~
অনেক ভাল লাগার পোষ্ট ।আমি এখনো পুরনো ব্যান্ড গুলো্র গান শুনি- নোভা,সোলস ,চাইম
ধন্যবাদ ভাইয়া।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



তুই রকস্টারটার গান শুইনা দেখতে পারিস। অনেক পুরান একটা ব্যান্ড। একটাই মনে হয় এ্যালবাম ছিলো ওদের।
আর টিপুর গানতো অবশ্যই শোনা লাগবে।

২১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫০

আবু শাকিল বলেছেন: view this link

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


এইডাতো স্কুল পলাতক মেয়ে।
সেইরকম একটা গান ছিলো ভ্রাতা।

২২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৬

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: লিংক দিলে ভাইয়া ভালো হতো , অনেক গান পাই না :(

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভ্রাতা দিলেনতো মুশকিলে ফেলে। আমি ইদানিং অলস হইয়া গেছি।

:P

২৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৬

আবু শাকিল বলেছেন: রকস্টারটার গান ।
খোঁজতে হপে ।তারপর শুনমু।
শুভ রাত্রী :)

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


নেটে নাও পাইতে পারিস।
কেনা লাগবে। সিডি পাওয়া যায়।

২৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: বস! আমার শোকেসে যাইয়া প্রিয় লিস্টে চোখ ঘসাইয়া দেখেন........ ;) ;)

লন। এনটিভিতে গুরুর বিজলী দেখেন। দেখেন...

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


:)

২৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ভাই, এইটার ভিউ বেড়ে যাবে। কাইন্ডলি ঐ লিংক রিমুভ করেন...... প্লিজ।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


:)

২৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৬

sunny09 বলেছেন: সঞ্জয় ও সঞ্জয়ের গান আজো মিস করি ,
জানাতে চাইনি পালাবার কারণ
নিরব থেকেছি, নিথর হয়ে --- নির্বাসন ( অবাক ভালবাসা )

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



একই রকম মনের অবস্থা আমারও। সঞ্জয়কে ভোলা কখনওই সম্ভব হবেনা।

মন্তব্যে অনেক ভাল লাগা রইলো ভাই।
শুভেচ্ছা শতত।

২৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৭

শাফায়াত উল্লাহ রহমত বলেছেন: ভাইয়া কোন বিশেষণে এই লিখার মন্তব্য করব তা খুজে পাচ্ছি না , এক কথায় অসাধারণ পোষ্ট.. এবং অবশ্যই প্রিয়তে
+++++

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন ভ্রাতা।

২৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৮

ম.র.নি বলেছেন: ভাই এইটা কি পোস্ট দিলেন! পুরা উইরা গেলাম।তয় জেমসরে গুরু বলা মানতে পারলাম না।ওরে আমার কখনই ভাল্লাগে নাই।কয়েকটা গান ভালো গাইছে সত্যি তবে অনেক গান সুর নকল করে গাইছে,একঘেয়েমি সব টিউন,এখন আবার হিন্দিতে গান গায়।দেশে সব ডাইলখোরগুলি ওর ভক্ত।জেমসরে গুরু বলাতে পোস্টে মাইনাচ।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাই নকলের দিক দিয়ে ওস্তাদ ছিলো হাসান। জেমসকে এই অপবাদ দেয়া ঠিক না। ভাল লাগার বিষয়টা আপেক্ষিক। আর জেমস শুধু যদি ডাইলখোরগুলোর গুরু হতো তাহলে কখনওই শীর্স তালিকায় আসতে পারতো না। নিশ্চয় দেশের অধিকাংশ পোলাপাইন তখন ডাইলখোর ছিলো না। আর এক ঘেয়েমি টিউন আমার কাছে কখনও মনে হয়নি। বরং বলা যেতে পারে টিউনের দিক দিয়ে ব্যতিক্রম কেবল জেমস এবং মাইলসই ছিলো।

যেমনঃ

১। চিঠি এসেছে প্রিয়ার কাছ থেকে
২। ভালোবেসে চলে যেও না
৩। অবরোধ
৪। কবিতা
৫। লিখতে পারিনা কোন গান
৬। দুঃখিনী দুঃখ করোনা
৭। যিকির
৮। ঈশ্বর আছে
৯। মা
১০। বাবা
১১। তারায় তারায়
১২। অনন্যা
১৩। চিরহরিৎ
১৪। কথা
১৫। শেষ দেখা
১৬। সুধাংশু
১৭। নিমন্ত্রণ
১৮। এপিটাফ
১৯। কালো যমুনা
২০। রাতের ট্রেন
২১। যে পথে পথিক নেই
২২। যতটা পথ তুমি
২৩। ঐ দূর পাহাড়ে
২৪। আমি আর এক ফালি নিষ্পাপ চাঁদ
২৫। বাংলাদেশ

ইত্যাদি আরও বহু গান আছে যা যে কোন সময়ের তুলনায় অনেক উঁচু মাপের গান। তবে হ্যাঁ বিজলী, মীরা বাই, দেওয়ানা মাস্তানা এমন কতিপয় গানের জন্য পুরো জেমসকে বিচার করা যাবেনা। আর হিন্দি সিনেমায় প্লে ব্যাক করায় এমন কোন দোষ সে করেনি। সে তার যোগ্যতা বলেই সেটা করেছে যদিও আমি নিজে একজন ভারত বিরোধী তবু মনে করি এইটা তার যোগ্যতা কারণ গানগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো।

আমরা আইয়ূব বাচ্চুকে বস মানি কিন্তু আইয়ূব বাচ্চুর কিছু গান আছে যা শোনার মতো কোন গান না তাই বলে তাকে ঐসব কতিপয় গান দিয়ে বিচার করা যাবেনা। বস বসই। বরং এমনও শিল্পী আছে যারা একটি বা দুটি গানের জন্যই হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে।

ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা সুপ্রিয় ম.র.নি ভাই।

২৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৯

লাবনী আক্তার বলেছেন: ছোট বেলায় বড় ভাই বোনকে দেখেছি খুব ব্যান্ডের গান শুনত। ওদের ভালোলাগার গানগুলো একসময়ে দেখলাম নিজের ভালোলাগার গানে জায়গা করে নিয়েছে।

তপন চৌধুরীর এই গানগুলো খুব ভালো লাগত এবং এখনোও লাগে।

১।তুমি আমার প্রথম সকাল..
২। মনে কর তুমি আমি চলে গেছি...
৩। আকাশের সব তারা ঝরে যাবে...
৪। এই রুপালী রা্তে.......

ব্যান্ড সংগীত ছোট বেলার অনেক স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়। পোস্টে অনেক অনেক ভালোলাগা রইল ভাইয়া।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আরে আপা আপনি ! কেমন আছেন ?

তপন চৌধুরীর এ এমন পরিচয়, মন শুধু মন ছুঁয়েছে গানগুলো আরও সুন্দর।

সত্যি ব্যান্ডের সাথে জড়িয়ে আছে অনেক স্মৃতি।

৩০| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬

আমি মুক্তবাতাস বলেছেন: অফিসে আছি । এসেছিলাম একটা পোষ্ট দিতে । কিন্তু এমন যাদুকরী একটা পোষ্ট দিয়েছেন, অনেক সময় নিয়ে পড়লাম, আর হ্যাঁ, অনেক কিছুই অজানা ছিল, জানলাম । শুভ কামনা!

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


সময় দেয়ার জন্য ভাল লাগা রইলো।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ও আমার কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা ভাই।

৩১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: পোস্টটি যখন পড়ছিলাম তখন সেই নব্বই দশকে কলেজ পালিয়ে ব্যান্ডের গান শোনার দৃশ্য মনে পড়ে গেল --- অনেক সময় ও আন্তরিকতা দিয়ে পোস্টটি তৈরি করেছেন, যা দেখলেই বোঝা যায় --- মনের ভেতর ভাল লাগা গেথে রইল

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


কেমন আছেন আপা ?

অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা নিরন্তর।

৩২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৩

ইলুসন বলেছেন: নস্টালজিক করে দিলেন ভাই।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


এই নিয়েইতো এখনও বেঁচে আছি ভ্রাতা।

৩৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৪

নতুন বলেছেন: https://www.youtube.com/watch?v=rPo3fvLF1eo

অনেকক্ষন আবার পুরানো গান গুলি শুনলাম আজ....

দেশের বাইরে থাকি প্রায় ১০ বছর.. খুব বেশি দেশের গান শুনিনা আমি...বাংলা নাটক দেখি না... কারন হইলে তাতে দেশের কথা বেশি মনে পরে..কস্ট বাড়ে.. তাই ইংরেজী গান শুনি মুভি দেখি... :)

আপনার পোস্টের গানগুলি আমাদের সত্তার মাঝে মিশে আছে... ধন্যবাদ আবার মনে করিয়ে দেবার জন্য :)

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



নতুন দা তারপরেও এইভাবে নিজেকে কষ্ট দিয়ে বিদেশ পরে থাকার মানে কি ?
তবে দেশের যা অবস্থা তারচেয়ে অনেক ভাল আছেন ভাই।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য আবেগ চাপা দেয়াই ভাল।
ভাই ভাল থাকবেন এ কামনাই করি।

৩৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৭

নাফিজ মেহরাব বলেছেন: দলছুট আর এখন মনে হয় নাই। সম্ভবত ভেংগে গেছে। একটার নাম হইছে চিতকার আর আরেকটার নাম হইছে বাপ্পা এন্ড ফ্রেন্ডস। আর ওয়ারফেজ কে মেটাল ব্যান্ড বলায় আমার প্রবল আপত্তি। মেটাল বা ধাতব সংগীতের ধারণাই দিছে মেটালিকা,মেগাডেথ,এনথ্রাক্স আর স্লেয়ার এরা। একত্রে বিগ ফোর বলে। এরা যে ধারণার উপর প্রতিষ্ঠিত ওয়ারফেজ কিন্তু সে ধারণা বা আদর্শের প্রতি প্রতিষ্ঠিত না। আর নব্বইয়ের দশকের পরের কিছু পার্টিকুলার ব্যান্ড কিন্তু এখনো মাতিয়ে যাচ্ছে।বেশ ভালোভাবেই। আর আপনি যেহেতু গিটারবাদক হিসেবে বাচ্চু র কথা বললেন। এক্ষেত্রে বেইসবাবা সুমনের কথাও বলা উচিত ছিল। কারণ নাম বেইসবাবা নিজেকে এক অন্য পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। naam মিউজিক শোতে আমন্ত্রিত একমাত্র বাংলাদেশী হলেন বেসবাবা। স্ন্যাপ বেজে কিংবদন্তিতুল্য দক্ষতা তার। সময়ের সেরা বর্তমান বিশ্বের সেরা বেইস গিটার বাদক ভিক্টর উটেনের সাথে তার একটি ইন্সট্রুমেন্টাল এলবাম হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

খুব তথ্যবহুল পোস্ট।এমন পোস্টের আশায় অনেক দিন ছিলাম। ধন্যবাদ

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ওয়ারফেজ মূলত মেটাল ঘরানার ব্যান্ড হিসেবেই আত্মপ্রকাশ করে। বাংলাদেশে মেটাল আমেজ তারাই নিয়ে আসে।

শুধু সুমন কেন পঞ্চম, ফুয়াদ এরাও কম কিসের।

আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।
ভাল লাগলো খুব আপনার অনুভূতি। আসলে আমাদের বোধ হয় সকলের অনুভূতি একই রকম ব্যান্ডের ক্ষেত্রে।

৩৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৪

নতুন বলেছেন: নতুন দা তারপরেও এইভাবে নিজেকে কষ্ট দিয়ে বিদেশ পরে থাকার মানে কি ?
তবে দেশের যা অবস্থা তারচেয়ে অনেক ভাল আছেন ভাই।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য আবেগ চাপা দেয়াই ভাল।
ভাই ভাল থাকবেন এ কামনাই করি।


বিদেশে খারাপ নেই ভালই আছি.. অনেক নতুন নতুন জিনিস দেখেছি/জেনেছি/করছি আশা করি আরো দুনিয়াটা দেখা হবে...

শুধু একটু খারাপ লাগে পরিবার থেকে দুরে থাকা... তবুও আশা করি কয়েক মাসের মধ্যেই আমার স্ত্রী আর মেয়ে কে নিয়ে আসতে পারবো... তখন আর অত সমস্যা থাকবেনা।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আরে ভাই এইটাতো আরেক পেইন। এইটা জানা ছিলো না। ভাবীকে সালাম আর ভাতিজীকে আদর দিয়েন।
আর শীঘ্রই নিয়া যান। উনারাও পেইনে আছেন আপনিও এক পেইনে আছেন।

৩৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৩

নতুন বলেছেন: প্রবাসী কামলাদের এই পেইন তো চিরন্তন.....

এখন ইন্টারনেট ভাল... তাই প্রতিদিন সকাল বিকেল স্কাইপে কথা হয়.. দেখতে পাই ওদের...

তাও আমি আমার পরিবার নিয়ে থাকতে পারবে...কিন্তু লক্ষ লক্ষ প্রবাসি কিন্তু তা চিন্তাও করতে পারেনা ।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



সেটা ঠিক। জীবনের তাগিদে আমাদের অনেক কিছুই করতে হয়। আমি হলে অবশ্য পারতাম কিনা সন্দেহ আছে।

৩৭| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৪

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
স্বর্ণোজ্জ্বল সময়ের জাঁকাল একটি লিখা। অনেক ব্যান্ডের নাম উল্লেখ করে নতুন করে মনে করিয়ে দিলেন। কৃতজ্ঞতা নিবেন ভাইটি। মন্তব্যে ব্লগার শাহ আজিজের স্পন্দন সংযুক্তিতেও ভালোলাগা। ব্লগার কবি ও কাব্যর কাছ থেকে এমন পোস্ট পেতাম, তাই না ?

বর্তমানের বাজে অবস্থার কথা বললে প্রায়ই শুনতে হয় যে আমরা আবেগে নষ্টালজিক হচ্ছি। তাহলে হিন্দি গানের প্রতি শ্রোতারা এতো বেশি ঝুকে পড়ছে কেনো ! সেকী শ্রোতাদেরই দোষ শুধু !

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই। হ্যাঁ, ব্লগার কবি ও কাব্য ভাই এই বিষয়ের অগ্রদূত।

হিন্দি গানের কথা যদি বলেন তাহলে বলতে হয় সেই আশি আর নব্বই দশকের কথাই। তখনও হিন্দি গান শোনা হতো। কিন্তু সেটা ছিলো বাংলাদেশের গানের পাশাপাশি। বাংলা গান শোনা বাদ দিয়ে নয়। কিন্তু এখন হিন্দি গানেরও খুব সম্ভবত ভাটা পড়েছে। লোকে আগের মতো বস্তা পচা হিন্দি গানও তেমন শুনছে না। কিন্তু পাশাপাশি বাংলা গানেও ভাটা পড়েছে। এখন যাই শুনছে হয় ফিউশন/রিমিক্স কিংবা সেই পুরানো দিনের গানই।

এটা শ্রোতাদের দোষ নয় বরং দোষ সামগ্রিক সিস্টেমের।

৩৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৮

এহসান সাবির বলেছেন: সেরা পোস্ট........!!

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



:``>> :`> :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.