নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনটা হল এক রঙ্গমঞ্চ। আর আমরা সবাই হলাম সেই মঞ্চের অভিনেতা / অভিনেত্রী !!!\n\nমেইল করতে চাইলে: [email protected]

একজন আরমান

জীবনটা হল এক রঙ্গমঞ্চ। আর আমরা সবাই হলাম সেই মঞ্চের অভিনেতা / অভিনেত্রী!

একজন আরমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিত্তে রেখে গেছো ভালোবাসা কবি, তবু আজও ভালোবাসতে পারিনি...

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭

জীবনানন্দ দাশ বাংলা সাহিত্যের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র। যার জন্ম ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৯ সালে।



বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাংলা কবি জীবনানন্দ দাশ। তিনি বাংলা কাব্যে আধুনিকতার পথিকৃতদের মধ্যে অগ্রগণ্য। তার মৃত্যুর পর থেকে শুরু করে বিংশ শতাব্দীর শেষ ধাপে তিনি জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন এবং ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে যখন তাঁর জন্মশতবার্ষিকী পালিত হচ্ছিল ততদিনে তিনি বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয়তম কবিতে পরিণত হয়েছেন !



" চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,

মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের পর

হাল ভেঙ্গে যে নাবিক হারায়েছে দিশা

সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর,

তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে; বলেছে সে, 'এতদিন কোথায় ছিলেন?'

পাখির নীড়ের মত চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন "




তিনি প্রধানত কবি হলেও বেশ কিছু প্রবন্ধ-নিবন্ধ রচনা ও প্রকাশ করেছেন। তবে ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে অকাল মৃত্যুর আগে তিনি নিভৃতে ১৪টি উপন্যাস এবং ১০৮টি ছোটগল্প রচনা গ্রন্থ করেছেন যার একটিও তিনি জীবদ্দশায় প্রকাশ করেননি। তাঁর জীবন কেটেছে চরম দারিদ্রের মধ্যে।

বিংশ শতাব্দীর শেষার্ধকাল অনপনেয়ভাবে বাংলা কবিতায় তাঁর প্রভাব মুদ্রিত হয়েছে। রবীন্দ্র-পরবর্তীকালে বাংলা ভাষার প্রধান কবি হিসাবে তিনি সর্বসাধারণ্যে স্বীকৃত।



" সুরঞ্জনা, অইখানে যেয়োনাকো তুমি,

বোলোনাকো কথা অই যুবকের সাথে;

ফিরে এসো সুরঞ্জনা :

নক্ষত্রের রুপালি আগুন ভরা রাতে "




জীবন বৃত্তান্ত:

শৈশব:

জীবনানন্দ দাশ ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের দক্ষিণ প্রান্তের জেলা শহর বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পূর্বপুরুষেরা ছিলেন ঢাকা জেলার বিক্রমপুর পরগণা নিবাসী। তাঁর পিতামহ সর্বানন্দ দাশগুপ্ত (১৯৩৮-৮৫) বিক্রমপুর থেকে স্থানান্তরক্রমে বরিশালে নিবাস গাড়েন।সর্বানন্দ দাশগুপ্ত জন্মসূত্রে হিন্দু ছিলেন; পরে ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষা নেন। তিনি বরিশালে ব্রাহ্ম সমাজ আন্দোলনের প্রাথমিক পর্যায়ে অংশগ্রহণ করেন এবং তাঁর মানবহিতৈষী কাজের জন্যে সমাদৃত ছিলেন।জীবনানন্দের পিতা সত্যানন্দ দাশগুপ্ত সর্বানন্দের দ্বিতীয় পুত্র। সত্যানন্দ দাশগুপ্ত (১৮৬৩-১৯৪২) ছিলেন বরিশাল ব্রজমোহন স্কুলের শিক্ষক, প্রাবন্ধিক, বরিশাল ব্রাহ্ম সমাজের সম্পাদক এবং ব্রাহ্মসমাজের মুখপত্র ব্রাহ্মবাদী পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক। জীবনানন্দের মাতা কুসুমকুমারী দাশ ছিলেন কবি, তাঁর সুপরিচিত কবিতা আদর্শ ছেলে (আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে/ কথায় না বড় হয়ে কাজে বড়ো হবে) আজও শিশুশ্রেণীর পাঠ্য। জীবনানন্দ ছিলেন পিতামাতার জ্যেষ্ঠ সন্তান; তার ডাকনাম ছিল মিলু। তার ভাই অশোকানন্দ দাশ ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে এবং বোন সুচরিতা দাশ ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা কম বয়সে স্কুলে ভর্তি হওয়ার বিরোধী ছিলেন ব'লে বাড়িতে মায়ের কাছেই মিলুর বাল্যশিক্ষার সূত্রপাত। ভোরে ঘুম থেকে উঠেই পিতার কণ্ঠে উপনিষদ আবৃত্তি ও মায়ের গান শুনতেন। লাজুক স্বভাবের হলেও তার খেলাধুলা, ভ্রমণ ও সাঁতারের অভ্যাস ছিল। ছেলেবেলায় একবার কঠিন অসুখে পড়েন। স্বাস্থ্য উদ্ধারের জন্যে মাতা ও মাতামহ হাসির গানের কবি চন্দ্রনাথের সাথে লক্ষ্মৌ, আগ্রা, দিল্লী প্রভৃতি স্থান ভ্রমণ করেন। ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারিতে আট বছরের মিলুকে ব্রজমোহন স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি করানো হয়। স্কুলে থাকাকালীন সময়েই তার বাংলা ও ইংরেজিতে রচনার সূচনা হয়, এছাড়াও ছবি আঁকার দিকেও তার ঝোঁক ছিল। ১৯১৫ সালে তিনি ব্রজমোহন বিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগসহ ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। দু'বছর পর ব্রজমোহন কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় পূর্বের ফলাফলের পুনরাবৃত্তি ঘটান ; অতঃপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার উদ্দেশ্যে বরিশাল ত্যাগ করেন।



"অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ-পৃথিবীতে আজ,

যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দ্যাখে তারা;

যাদের হৃদয়ে কোনো প্রেম নেই - প্রীতি নেই - করুণার আলোড়ন নেই

পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া"




কলকাতা জীবন:

প্রথম পর্ব:

জীবনানন্দ কলকাতার নামকরা প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি এ কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্সসহ বি.এ. পাশ করেন। ওই বছরেই ব্রাহ্মবাদী পত্রিকার বৈশাখ সংখ্যায় তার প্রথম কবিতা ছাপা হয়। কবিতাটির নাম ছিল বর্ষ আবাহন। কবিতাটিতে কবির নাম ছাপা হয়নি, কেবল সম্মানসূচক শ্রী কথাটি লেখা ছিল। তবে পত্রিকার বর্ষশেষের নির্ঘণ্ট সূচিতে তার পূর্ণ নাম ছাপা হয়: শ্রী জীবনানন্দ দাশগুপ্ত, বিএ। ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে দ্বিতীয় বিভাগসহ মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি কিছুকাল আইনশাস্ত্রেও অধ্যয়ন করেন। সে সময়ে তিনি হ্যারিসন রোডের প্রেসিডেন্সি বোর্ডিংয়ে থাকতেন।তবে পরীক্ষার ঠিক আগেই তিনি ব্যাসিলারি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন, যা তার প্রস্তুতি বাধাগ্রস্ত করে। ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে জীবনানন্দ কলকাতা সিটি কলেজে অধ্যাপনা শুরু করেন এবং আইনশাস্ত্র অধ্যয়ন ছেড়ে দেন। সাহিত্যচর্চা ও জীবনসংগ্রাম: জীবনানন্দের সাহিত্যিক জীবন বিকশিত হতে শুরু করে। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ ১৯২৫ এর জুনে মৃত্যুবরণ করলে জীবনানন্দ তার স্মরণে 'দেশবন্ধুর প্রয়াণে' নামক একটি কবিতা রচনা করেন, যা বঙ্গবাণী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। কবিতাটি পরবর্তীতে তার প্রথম কাব্য সংকলন ঝরা পালকে স্থান করে নেয়। কবিতাটি পড়ে কবি কালিদাস রায় মন্তব্য করেছিলেন, "এ কবিতাটি নিশ্চয়ই কোন প্রতিষ্ঠিত কবির ছদ্মনামে রচনা"। ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দেই তার প্রথম প্রবন্ধ স্বর্গীয় কালীমোহন দাশের শ্রাদ্ধবাসরে প্রবন্ধটি ব্রাহ্মবাদী পত্রিকার পরপর তিনটি সংখ্যায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। ঐ বছরেই কল্লোল পত্রিকায় 'নীলিমা' কবিতাটি প্রকাশিত হলে তা অনেক তরুণ কাব্যসরিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ধীরে ধীরে কলকাতা, ঢাকা এবং অন্যান্য জায়গার বিভিন্ন সাহিত্যপত্রিকায় তার লেখা ছাপা হতে থাকে; যার মধ্যে রয়েছে সে সময়কার সুবিখ্যাত পত্রিকা কল্লোল, কালি ও কলম, প্রগতি প্রভৃতি। ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ ঝরা পালক প্রকাশিত হয়। সে সময় থেকেই তিনি তার উপাধি 'দাশগুপ্তের' বদলে কেবল 'দাশ' লিখতে শুরু করেন। প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের কয়েক মাসের মাথাতেই তিনি সিটি কলেজে তার চাকরিটি হারান। ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে কলেজটিতে ছাত্র অসন্তোষ দেখা দেয়, ফলাফলস্বরূপ কলেজটির ছাত্রভর্তির হার আশঙ্কাজনকহারে কমে যায়। জীবনানন্দ ছিলেন কলেজটির শিক্ষকদের মধ্যে কনিষ্ঠতম এবং আর্থিক অসুবিধায় পড়ে কলেজ তাকেই চাকরিচ্যুত করে। কলকাতার সাহিত্যচক্রেও সে সময় তার কবিতা কঠিন সমালোচনার মুখোমুখি হয়। সে সময়কার প্রখ্যাত সাহিত্য সমালোচক কবি-সাহিত্যিক সজনীকান্ত দাস| শনিবারের চিঠি পত্রিকায় তার রচনার নির্দয় সমালোচনায় প্রবৃত্ত হন। কলকাতায় করবার মতোন কোন কাজ ছিল না বিধায় কবি ছোট্ট শহর বাগেরহাটের প্রফুল্ল চন্দ্র কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তবে তিন মাস পরেই তিনি কলকাতায় প্রত্যাবর্তন করেন। এ সময় তিনি চরম অর্থনৈতিক দুর্দশায় পড়েছিলেন। জীবনধারণের জন্যে তিনি টিউশানি করতেন এবং সাথে সাথে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরির সন্ধান করছিলেন। ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বরে তিনি দিল্লির রামযশ কলেজে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। বরিশালে তার পরিবার তার বিয়ের আয়োজন করছিল এবং ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ৯ই মে তারিখে তিনি লাবণ্য দেবীর সাথে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ে হয়েছিলো ঢাকায়, ব্রাহ্ম সমাজের রামমোহন লাইব্রেরিতে।বিয়ের পর আর দিল্লিতে ফিরে যাননি তিনি, ফলে সেখানকার চাকরিটি খোয়ান। এরপর প্রায় বছর পাঁচেক সময় জীবনানন্দ কর্মহীন অবস্থায় ছিলেন। মাঝে কিছু দিন ইনশিওরেন্স কোম্পানির এজেন্ট হিসাবে কাজ করেছেন; ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে অর্থ ধার করে ব্যবসার চেষ্টা করেছেন; কিন্তু কোনটাই স্থায়ী হয়নি। ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে কবির প্রথম সন্তান মঞ্জুশ্রীর জন্ম হয়। প্রায় সে সময়েই তার ক্যাম্পে কবিতাটি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত সম্পাদিত পরিচয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয় এবং সাথে সাথে তা কলকাতার সাহিত্যসমাজে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হয়। কবিতাটির আপাত বিষয়বস্তু ছিল জোছনা রাতে হরিণ শিকার। অনেকেই এই কবিতাটি পাঠ করে তা অশ্লীল হিসেবে চিহ্নিত করেন। তিনি তার বেকারত্ব, সংগ্রাম ও হতাশার এই সময়কালে বেশ কিছু ছোটগল্প ও উপন্যাস রচনা করেছিলেন;- তবে তার জীবদ্দশায় সেগুলো প্রকাশিত করেন নি। ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি একগুচ্ছ গীতিকবিতা রচনা করেন যা পরবর্তীতে তার রূপসী বাংলা কাব্যের প্রধান অংশ নির্মাণ করে। জীবনানন্দ এ কবিতাগুলো প্রকাশ করেননি এবং তার মৃত্যুর পর কবিতাগুলো একত্র করে ১৯৫৭ সালে রূপসী বাংলা কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয়।



বরিশালে প্রত্যাবর্তন: ১৯৩৫ সালে জীবনানন্দ তার পুরনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রজমোহন কলেজে ফিরে যান, যা তখন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছিল। তিনি সেখানকার ইংরেজি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। সে সময়ে কলকাতায় বুদ্ধদেব বসু, প্রেমেন্দ্র মিত্র এবং সমর সেন একটি আনকোড়া নতুন কবিতাপত্রিকা বের করার তোড়জোড় করছিলেন, যার নাম দেয়া হয় কবিতা। পত্রিকাটির প্রথম সংখ্যাতেই জীবনানন্দের একটি কবিতা স্থান করে নেয়, যার নাম ছিল 'মৃত্যুর আগে'। কবিতাটি পাঠ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বুদ্ধদেবকে লেখা একটি চিঠিতে মন্তব্য করেন কবিতাটি 'চিত্ররূপময়'। কবিতা পত্রিকার দ্বিতীয় সংখ্যাতে (পৌষ ১৩৪২ সংখ্যা; ডিসে ১৯৩৪/জানু ১৯৩৫) তার কিংবদন্তিতুল্য বনলতা সেন কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এই ১৮ লাইনের কবিতাটি বর্তমানে বাংলা ভাষার সবচেয়ে জনপ্রিয় কবিতার অন্যতম হিসেবে বিবেচিত। পরের বছর জীবনানন্দের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ধূসর পান্ডুলিপি প্রকাশিত হয়। জীবনানন্দ এর মধ্যেই বরিশালে সবকিছু গুছিয়ে নিয়েছিলেন। ১৯৩৬ এর নভেম্বরে তার পুত্র সমরানন্দের জন্ম হয়। ১৯৩৮ সালে রবীন্দ্রনাথ একটি কবিতা সংকলন সম্পাদনা করেন, যার নাম ছিল বাংলা কাব্য পরিচয় এবং এতে জীবনানন্দের মৃত্যুর আগে কবিতাটি স্থান পায়। ১৯৩৯ সালে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কবিতা সংকলন প্রকাশিত হয় আবু সয়ীদ আইয়ুব ও হিরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের সম্পাদনায়; এতে জীবনানন্দের চারটি কবিতা - পাখিরা, শকুন, বনলতা সেন এবং নগ্ন নির্জন হাত অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৪২ সালে কবির পিতৃবিয়োগ হয় এবং ঐ বছরেই তার তৃতীয় কবিতাগ্রন্থ বনলতা সেন প্রকাশিত হয়। বইটি বুদ্ধদেব বসুর কবিতা-ভবন হতে 'এক পয়সায় একটি' সিরিজের অংশ হিসেবে প্রকাশিত হয় এবং এর পৃষ্ঠাসংখ্যা ছিল ষোল। বুদ্ধদেব বসু ছিলেন জীবনানন্দের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক এবং তার সম্পাদিত কবিতা পত্রিকায় জীবনানন্দের বহু সংখ্যক কবিতা ছাপা হয়। ১৯৪৪ সালে তার চতুর্থ কাব্যগ্রন্থ মহাপৃথিবী প্রকাশিত হয়। এর আগের তিনটি কাব্যগ্রন্থ তাকে নিজের পয়সায় প্রকাশ করতে হয়েছিল, তবে মহাপৃথিবীর জন্যে প্রকাশক পান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে প্রকাশিত এই কবিতাগুচ্ছে যুদ্ধের ছাপ স্পষ্ট।



"আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে - এই বাংলায়

হয়তো মানুষ নয় - হয়তো বা শাঁখচিল শালিকের বেশে,

হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিঁকের নবান্নের দেশে

কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব কাঁঠাল ছায়ায়।

হয়তো বা হাঁস হবো - কিশোরীর - ঘুঙুর রহিবে লাল পায়

সারাদিন কেটে যাবে কলমীর গন্ধভরা জলে ভেসে ভেসে।"




কলকাতা জীবন:

চূড়ান্ত পর্ব:

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন প্রবল হয়ে ওঠে। জিন্নাহর নেতৃত্বে মুসলিম নেতৃবৃন্দ মুসলমানদের জন্যে পৃথক রাষ্ট্র গঠনের দাবি জানান। এর ফলে বাংলা দ্বিখন্ডিত হওয়া অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে, কারণ এর পূর্ব অংশ ছিল মুসলমান সংখ্যাপ্রধান আর পশ্চিমাংশে হিন্দুরা ছিল সংখ্যাগুরু। ১৯৪৭ এর দেশভাগ পূর্ববর্তী ঐ সময়টিতে বাংলায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বিভৎসরূপে দেখা দেয়। জীবনানন্দ সব সময়ই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সপক্ষে সোচ্চার ছিলেন। কলকাতায় যখন ১৯৪৬ সালে আবার হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে কবি তখন লেখেন ১৯৪৬-৪৭ কবিতাটি। দেশবিভাগের কিছু আগে তিনি বি.এম. কলেজ থেকে ছুটি নিয়ে কলকাতায় চলে যান। পরে তিনি আর পূর্ববঙ্গে ফিরে যাননি। কলকাতায় তিনি দৈনিক স্বরাজ পত্রিকার রোববারের সাহিত্য বিভাগের সম্পাদনা করেন কয়েক মাস। ১৯৪৮ খৃস্টাব্দে তিনি দু'টি উপন্যাস লিখেছিলেন - মাল্যবান ও সুতীর্থ, তবে আগেরগুলোর মতো ও দুটিও প্রকাশ করেননি। এ বছরের ডিসেম্বরে তাঁর পঞ্চম কাব্যগ্রন্থ সাতটি তারার তিমির প্রকাশিত হয়। একই মাসে কলকাতায় তার মাতা কুসুমকুমারী দাশের জীবনাবসান ঘটে। ইতোমধ্যেই জীবনানন্দ কলকাতার সাহিত্যিক সমাজে নিজস্ব একটি অবস্থান তৈরি করে নিয়েছিলেন। তিনি 'সমকালীন সাহিত্যকেন্দ্র' নামে একটি সংস্থার সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন এবং এই সংস্থার মুখপত্র দ্বন্দ্ব পত্রিকার অন্যতম সম্পাদক নিযুক্ত হন। মাঝে তিনি কিছুকাল খড়গপুর কলেজে অধ্যাপনা করেন। ১৯৫২ খৃস্টাব্দে তাঁর জনপ্রিয় কবিতার বই বনলতা সেন সিগনেট প্রেস কর্তৃক পরিবর্ধিত আকারে প্রকাশিত হয়। বইটি পাঠকানুকূল্য লাভ করে এবং নিখিল বঙ্গ রবীন্দ্রসাহিত্য সম্মেলন-কর্তৃক ঘোষিত "রবীন্দ্র-স্মৃতি পুরস্কার" জয় করে। ১৯৫৪ খৃস্টাব্দের মে মাসে প্রকাশিত হয় জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা। বইটি ১৯৫৫ খৃস্টাব্দে ভারত সরকারের সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করে। কর্মজীবন: অধ্যাপনার কাজে তাঁর কর্মজীবনের সূচনা ও সমাপ্তি। এমএ পাসের পর কলকাতায় কলেজের বোর্ডিংয়ে থাকার প্রয়োজন হলে তিনি আইন পড়া শুরু করেন। এ সময় তিনি ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার ব্রাহ্মসমাজ পরিচালিত সিটি কলেজে টিউটর হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯২৮-এ সরস্বতী পূজা নিয়ে গোলযোগ শুরু হলে অন্যান্য কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে তাঁকেও ছাঁটাই করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। জীবনের শেষভাগে কিছুদিনের জন্য কলকাতার একটি দৈনিক পত্রিকা স্বরাজ-এর সাহিত্য বিভাগের সম্পাদনায় নিযুক্ত ছিলেন। অধ্যাপনা করেছেন বর্তমান বাংলাদেশ ও ভারতের অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, যার মধ্যে আছে সিটি কলেজ, কলকাতা (১৯২২-১৯২৮), বাগেরহাট কলেজ, খুলনা (১৯২৯); রামযশ কলেজ, দিল্লী (১৯৩০-১৯৩১), ব্রজমোহন কলেজ, বরিশাল (১৯৩৫-১৯৪৮), খড়গপুর কলেজ (১৯৫১-১৯৫২), বড়িশা কলেজ (অধুনা 'বিবেকানন্দ কলেজ', কলকাতা) (১৯৫৩) এবং হাওড়া গার্লস কলেজ, কলকাতা, (১৯৫৩-১৯৫৪)। তার কর্মজীবন আদৌ মসৃণ ছিল না। চাকুরী তথা জীবিকার অভাব তাকে আমৃত্যু কষ্ট দিয়েছে। একটি চাকুরির জন্য হন্যে হয়ে তিনি দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। স্ত্রী লাবণ্য দাশ স্কুলে শিক্ষকতা করে জীবিকার অভাব কিছুটা পুষিয়েছেন। ১৯৫৪ সালে অকাল মৃত্যুর সময় তিনি হাওড়া গার্লস কলেজ কর্মরত ছিলেন। দুই দফা দীর্ঘ বেকার জীবনে তিনি ইন্সুরেন্স কোম্পানীর এজেন্ট হিসাবে কাজ করেছেন এবং প্রধানত গৃহশিক্ষকতা করে সংসার চালিয়েছেন। এছাড়া ব্যবসার চেষ্টাও করেছিলেন বছরখানেক। দারিদ্র্য এবং অনটন ছিল তার কর্মজীবনের ছায়াসঙ্গী।



"আমাকে সে নিয়েছিলো ডেকে;

বলেছিলোঃ 'এ নদীর জল

তোমার চোখের মত ম্লান বেতফল;

সব ক্লান্তি রক্তের থেকে

স্নিগ্ধ রাখছে পটভূমি;

এই নদী তুমি।"




সাহিত্যিক জীবন:

সম্ভবতঃ মা কুসুমকুমারী দেবীর প্রভাবেই ছেলেবেলায় পদ্য লিখতে শুরু করেন তিনি। ১৯১৯ সালে তাঁর লেখা একটি কবিতা প্রকাশিত হয়। এটিই তাঁর প্রথম প্রকাশিত কবিতা। কবিতাটির নাম বর্ষা আবাহন। এটি ব্রহ্মবাদী পত্রিকার ১৩২৬ সনের বৈশাখ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। তখন তিনি শ্রী জীবনানন্দ দাশগুপ্ত নামে লিখতেন। ১৯২৭ সাল থেকে তিনি জীবনানন্দ দাশ নামে লিখতে শুরু করেন। ১৬ জুন ১৯২৫ দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ এর লোকান্তর হলে তিনি 'দেশবন্ধুর প্রয়াণে' শিরোনামে একটি কবিতা লিখেছিলেন যা বংগবাণী পত্রিকার ১৩৩২ সনের শ্রাবণ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। তবে দীনেশরঞ্জন দাস সম্পাদিত কল্লোল পত্রিকায় ১৩৩২ (১৯২৬ খ্রি.) ফাল্গুন সংখ্যায় তাঁর নীলিমা শীর্ষক কবিতাটি প্রকাশিত হলে আধুনিক বাংলা কবিতার ভুবনে তার অন্নপ্রাশন হয়। জীবদ্দশায় তাঁর ৭টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। প্রথম প্রকাশিত ঝরাপালক শীর্ষক কাব্যগ্রন্থে তাঁর প্রকৃত কবিত্বশক্তি ফুটে ওঠেনি, বরং এতে কবি কাজী নজরুল ইসলাম, মোহিতলাল মজুমদার ও সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের প্রকট প্রভাব প্রত্যক্ষ হয়। তবে দ্রুত তিনি স্বকীয়তা অর্জন করেছিলেন। দীর্ঘ ব্যবধানে প্রকাশিত দ্বিতীয় কাব্য সংকলন ধূসর পান্ডুলিপি-তে তাঁর স্বকীয় কাব্য কৌশল পরিস্ফুট হয়ে ওঠে। বাংলা সাহিত্যের ভূবনে তাঁর বৈশিষ্ট্যগুলো আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। শেষের দিককার কবিতায় অর্থনির্মলতার অভাব ছিল। সাতটি তারার তিমির প্রকাশিত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে দুবোর্ধ্যতার অভিযোগ ওঠে। নিজ কবিতার অপমূল্যায়ন নিয়ে জীবনানন্দ খুব ভাবিত ছিলেন। তিনি নিজেই স্বীয় রচনার অর্থায়ন করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছিলেন যদিও শেষাবধি তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে কবি নিজেই নিজ রচনার কড়া সমালোচক ছিলেন। তাই সাড়ে আট শত কবিতার বেশী কবিতা লিখলেও তিনি জীবদ্দশায় মাত্র ২৬২টি কবিতা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ও কাব্যসংকলনে প্রকাশ করতে দিয়েছিলেন। এমনকি রূপসী বাংলার সম্পূর্ণ প্রস্তুত পাণ্ডুলিপি তোড়ঙ্গে মজুদ থাকলেও তা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি জীবনানন্দ দাশ। তবে তিনি এ কাব্যগ্রন্থটির নাম দিয়েছিলেন বাংলার ত্রস্ত নীলিমা যা তার মৃত্যুর পর আবিষ্কৃত এবং রূপসী বাংলা প্রচ্ছদনামে প্রকাশিত হয়। আরেকটি পাণ্ডুলিপি আবিষ্কৃত হয় মৃত্যু পরবর্তীকালে যা বেলা অবেলা কালবেলা নামে প্রকাশিত হয়। জীবদ্দশায় তার একমাত্র পরিচয় ছিল কবি। অর্থের প্রয়োজনে তিনি কিছু প্রবন্ধ লিখেছিলেন ও প্রকাশ করেছিলেন। তবে নিভৃতে গল্প এবং উপন্যাস লিখেছিলেন প্রচুর যার একটিও প্রকাশের ব্যবস্থা নেননি। এছাড়া ষাট-পয়ষট্টিরও বেশী খাতায় "লিটেরেরী নোটস" লিখেছিলেন যার অধিকাংশ এখনও প্রকাশিত হয়নি।



"বনের চাতক, মনের চাতক আসে না আর ফিরে,

কপোত-ব্যথা বাজায় মেঘের শকুনপাখা ঘিরে!

সে কোন্ ছুঁড়ির চুড়ি আকাশ-শুঁড়িখানায় বাজে!

চিনিমাখা ছায়ায় ঢাকা চুনীর ঠোঁটের মাঝে

লুকিয়ে আছে সে-কোন্ মধু মৌমাছিদের ভিড়ে!"




স্বীকৃতি ও সমালোচনা:

জীবদ্দশায় অসাধারণ কবি হিসেবে পরিচিতি থাকলেও তিনি খ্যাতি অর্জন করে উঠতে পারেননি। এর জন্য তার প্রচারবিমুখতাও দায়ী; তিনি ছিলেন বিবরবাসী মানুষ। তবে মৃত্যুর অব্যবহিত পরেই তিনি বাংলা ভাষায় আধুনিক কবিতার পথিকৃতদের একজন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। জীবনানন্দ দাশের জীবন এবং কবিতার উপর প্রচুর গ্রন্থ লেখা হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে, বাংলা ভাষায়। এর বাইরে ইংরেজিতে তার ওপর লিখেছেন ক্লিনটন বি সিলি, আ পোয়েট আর্পাট‌‌ নামের একটি গ্রন্থে। ইংরেজি ছাড়াও ফরাসিসহ কয়েকটি ইউরোপীয় ভাষায় তাঁর কবিতা অনূদিত হয়েছে। তিনি যদিও কবি হিসেবেই সমধিক পরিচিত কিন্তু মৃত্যুর পর থেকে ২০০৯ খ্রিস্টাব্দ অবধি তাঁর যে বিপুল পাণ্ডুলিপিরাশি উদ্ঘাটিত হয়েছে তার মধ্যে উপন্যাসের সংখ্যা ১৪ এবং গল্পের সংখ্যা শতাধিক।



"হায় চিল, সোনালী ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দুপুরে

তুমি আর কেঁদোনাকো উড়ে উড়ে ধানসিড়ি নদীটির পাশে!

তোমার কান্নার সুরে বেতের ফলের মতো তার ম্লান চোখ মনে আসে।

পৃথিবীর রাঙ্গা রাজকন্যাদের মতো সে যে চলে গেছে রূপ নিয়ে দূরে;

আবার তাহারে কেন ডেকে আনো?

কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে!"




পুরস্কার:

নিখিলবঙ্গ রবীন্দ্রসাহিত্য সম্মেলন ১৯৫২ খৃস্টাব্দে পরিবর্ধিত সিগনেট সংস্করণ বনলতা সেন কাব্যগ্রন্থটি বাংলা ১৩৫৯-এর শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ বিবেচনায় পুরস্কৃত করা হয়। কবির মৃত্যুর পর ১৯৫৫ খৃস্টাব্দের ফেব্রুয়ারী মাসে জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা (১৯৫৪) সাহিত্য অকাদেমী পুরস্কার লাভ করে।



"রৌদ্র ঝিল্‌মিল,

উষার আকাশ, মধ্য নিশীথের নীল,

অপার ঐশ্বর্যবেশে দেখা তুমি দাও বারে বারে

নিঃসহায় নগরীর কারাগার-প্রাচীরের পারে!"




মৃত্যু:

শম্ভূনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল, কলকাতা। ১৪ই অক্টোবর, ১৯৫৪ তারিখে কলকাতার বালিগঞ্জে এক ট্রাম দূর্ঘটনায় তিনি আহত হন। ট্রামের ক্যাচারে আটকে তার শরীর দলিত হয়ে গিয়েছিল। ভেঙ্গে গিয়েছিল কণ্ঠা, ঊরু এবং পাঁজরের হাড়। গুরুতরভাবে আহত জীবনানন্দের চিৎকার শুনে ছুটে এসে নিকটস্থ চায়ের দোকানের মালিক চূণীলাল এবং অন্যান্যরা তাঁকে উদ্ধার করে।তাঁকে ভর্তি করা হয় শম্ভূনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে। এ সময় ডাঃ ভূমেন্দ্র গুহ-সহ অনেক তরুণ কবি জীবনানন্দের সুচিকিৎসার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন। কবি-সাহিত্যিক সজনীকান্ত দাস এ ব্যাপারে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তাঁর অনুরোধেই পশ্চিমবঙ্গের তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় কবিকে দেখতে এসেছিলেন এবং আহত কবির সুচিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছিলেন যদিও এতে চিকিৎসার তেমন উন্নতি কিছু হয়নি। এ সময় স্ত্রী লাবণ্য দাশকে কদাচিৎ কাছে দেখা যায়। তিনি টালিগঞ্জে সিনেমার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। জীবনানন্দের অবস্থা ক্রমশঃ জটিল হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন কবি। চিকিৎসক ও সেবিকাদের সকল প্রচেষ্টা বিফলে দিয়ে ২২শে অক্টোবর, ১৯৫৪ তারিখে রাত্রি ১১টা ৩৫ মিনিটে কলকাতার শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। আবদুল মান্নান সৈয়দ-সহ কেউ কেউ ধারণা করেছেন হয় আত্মহত্যা স্পৃহা ছিল দুর্ঘটনার মূল কারণ। জীবনানন্দ গবেষক ডাঃ ভূমেন্দ্র গুহ মনে করেন জাগতিক নিঃসহায়তা কবিকে মানসিকভাবে কাবু করেছিল এবং তাঁর জীবনস্পৃহা শূন্য করে দিয়েছিল। মৃত্যুচিন্তা কবির মাথায় দানা বেঁধেছিল। তিনি প্রায়ই ট্রাম দুর্ঘটনায় মৃত্যুর কথা ভাবতেন। গত এক শত বৎসরে ট্রাম দুর্ঘটনায় কোলকাতায় মৃত্যুর সংখ্যা মাত্র একটি। তিনি আর কেউ নন, কবি জীবনানন্দ দাশ। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীর মতে এ সময় দুই হাতে দুই থোকা ডাব নিয়ে ট্রাম লাইন পার হচ্ছিলেন কবি। আত্মহননের সিদ্ধান্ত নিয়ে দুই হাতে দুই থোকা ডাব নিয়ে গৃহে ফেরার সড়কে ওঠার জন্য ট্রাম লাইন পারি দেয়া খুব গ্রহণযোগ্য যুক্তি নয়।



"তারই লাগি কোথা বালুপথে দেখা দেয় হীরকের কোণা,

তাহারই লাগিয়া উজানী নদীর ঢেউয়ে ভেসে আসে সোনা!

চকিতে পরশপাথর কুড়ায়ে বালকের মতো হেসে

ছুড়ে ফেলে দেয় উদাসী বেদিয়া কোন্ সে নিরুদ্দেশে!"




এক নজরে কবি সম্পর্কে আরও কিছুঃ

ছদ্মনামঃ 'শ্ৰী', 'কালপুৰুষ'

পদবীঃ কবি, ঔপন্যাসিক,গল্পাকার, প্ৰবন্ধাকার, দাৰ্শনিক, গীতিকার।

উল্লেখনীয় কৰ্মঃ ঝরা পালক, রুপসী বাংলা, ধূসর পাণ্ডুলিপি, মহাপৃথিবী, বনলতা সেন।

উল্লেখযোগ্য পুরষ্কারঃ রবীন্দ্ৰ-স্মৃতি পুরস্কার

সাহিত্য একডেমি পুরস্কার।

প্ৰভাবিত হয়েছেনঃ

কাজী নজরুল ইসলাম, মোহিতলাল মজুমদার, সত্যেন্দ্ৰনাথ দত্ত, কুসুমকুমারী দাস।

প্ৰভাবিত করেছেনঃ

বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধের বাংলা কাব্যধারা।



"বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ

খুঁজিতে যাই না আর : অন্ধকারে জেগে উঠে ডুমুরের গাছে

চেয়ে দেখি ছাতার মতো ব্ড় পাতাটির নিচে বসে আছে

ভোরের দয়েলপাখি - চারিদিকে চেয়ে দেখি পল্লবের স্তূপ

জাম-বট-কাঁঠালের-হিজলের-অশথের করে আছে চুপ;

ফণীমনসার ঝোপে শটিবনে তাহাদের ছায়া পড়িয়াছে;"




চিত্তে রেখে গেছো ভালোবাসা কবি, তবু আজও ভালোবাসতে পারিনি... তবু আমার এই কবিতা শুধু হে মহান প্রান প্রিয় কবি তোমার নামে উৎসর্গ করছিঃ



অপেক্ষার প্রহর শেষে কেউ একজন আসুক ।

কেউ একজন যে না চাইতেই,

ভালোবাসার সব অঞ্জলি লুটিয়ে দিবে ।

সমস্ত শুভকামনা তুমি আমায় দিলে !

কিন্তু এই এতো শুভকামনা আমি কিভাবে নিবো?



কে বলো না চাইতেই,

তার ভালোবাসার সব অঞ্জলি আমায় দিবে?

আমি যার কাছে চাইলাম,

সেই তো আমায় ফিরিয়ে দিলো!

আমি আর কার কাছে চাইবো?



ভিক্ষে চাইলেও তো মানুষ ভিক্ষে দেয়!

সামান্য দু চার টাকাই তো!

কিন্তু ভালোবাসা?

দিবে কি চাইলেই তোমার ভালোবাসা?

চাইলেই কি পাওয়া যায় সব কিছু?



শুভকামনা জানালে আমায়,

যেন না চাইতেই কারও ভালোবাসা পাই!

কিন্তু তোমার কাছে তো আমি চেয়ে চেয়ে হয়রান।



তুমি এটা কেন বোঝো না,

তোমার মাঝেই যে আমি ভালোবাসা খুঁজে ফিরি।

তুমিই তো সেই যার কাছে,

আমার ভালোবাসার সমস্ত অঞ্জলি জমা রাখা।



তবে কি তোমার শুভকামনা মিছে আশা নয়?

যদি আমায় ভালো না ই বাসো,

তবে কেন এই মিছে শুভকামনা?

তোমায় ছাড়া বলো আমি কি করে ভালো থাকি?



উৎসর্গঃ

যাদের কারনে আজ আমার জীবন বোধ বদলে গেছে। আমি নতুন করে ভাবতে শিখেছি, সেই ব্লগার আমিনুর রহমান, ব্লগার ফারজানা শিরিনব্লগার কাণ্ডারী অথর্ব কে।

মন্তব্য ১২৬ টি রেটিং +৩৫/-০

মন্তব্য (১২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০০

স্বপনবাজ বলেছেন: আজকে প্রথম !
ধন্যবাদ আরমান ভাই , নতুন কিছু জানলাম !

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১৯

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই।

২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩

বাংলার হাসান বলেছেন: খুবই তথ্যবহুল পোষ্ট।

খুব ভাল একটি কাজ করেছ আরমান।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১৯

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই।

৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। আমার প্রিয় কবিদের একজন। :)


অঃটঃ পোষ্টে একটা কান্ডারী ভাই ছাপ আছে। ;) ;)

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১

একজন আরমান বলেছেন:
কান্ডারী ভাইয়ের অনুপ্রেরনায় এইটা লিখেছি।
শুধু এইটা না এইরকম আরও পোস্ট আছে লিখা।
বরেণ্য ব্যাক্তিত্তদের নিয়ে লেখা। আর শুরুটা আমি বরিশালের ব্যাক্তিত্তদের দিয়ে করেছি। এটা সেই ধারাবাহিকতার দ্বিতীয় প্রচেষ্টা !

আর এর সব কৃতজ্ঞতাই কান্ডারী ভাইয়ের।

৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭

বোকামন বলেছেন:

সম্মানিত লেখক,
একজন অতিপ্রিয় কবি আমাদের।

আপনার পোস্টে কৃতজ্ঞতা
ধন্যবাদ

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩

একজন আরমান বলেছেন:
জীবনানন্দ দাশ আমারও খুব প্রিয় একজন কবি।

আপনাকেও ধন্যবাদ।

৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আর একটা কথা, তোমার এই কবিতাটা অসম্ভব ভালো হয়েছে।
দারুন। খুব কম পোষ্টেই আমি দ্বিতীয়বার এসে মন্তব্য করি। তোমার এই কবিতাটা পড়ে আবার মন্তব্য করতে ইচ্ছে হল।

অনেক শুভ কামনা রইল।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাইয়া। :)

এর পরের পোস্টে শুধু এই কবিতাটা আলাদাই পোস্ট দিবো !!!
এই কবিতাটা আমার নিজের কাছেও অনেক ভালো লেগেছে। তাই এই পোস্টে সংযুক্তি না করে পারলাম না। চাইলাম যেন প্রিয় কবির সাথে নিজেকে কিছুটা সংযুক্ত করি ! :)

৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০৭

লাবনী আক্তার বলেছেন: জীবনানন্দ কে নিয়ে লেখা ভাল লাগল । সেই সাথে তোমার কবিতাও ভাল লাগল।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ আপু। :)

৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪

বটবৃক্ষ~ বলেছেন: শুভকামনা জানালে আমায়,
যেন না চাইতেই কারও ভালোবাসা পাই!
কিন্তু তোমার কাছে তো আমি চেয়ে চেয়ে হয়রান।

তুমি এটা কেন বোঝো না,
তোমার মাঝেই যে আমি ভালোবাসা খুঁজে ফিরি।
তুমিই তো সেই যার কাছে,
আমার ভালোবাসার সমস্ত অঞ্জলি জমা রাখা।





:)+++++++++++++++:)

অত্যন্ত সৌন্দর্য কবিতা হইসে ভাইয়া!!!!!

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪

একজন আরমান বলেছেন:
ঐ আপু আমার কবিতা দেইখেন না জীবনানন্দকে দেখেন।
এই কবিতা আমি আবার পোস্ট দিবো তো। :(

৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩

মামুন রশিদ বলেছেন: প্রিয় কবি কে নিয়ে প্রিয় ব্লগারের চমৎকার পোস্ট ।


পোস্টে অনেক অনেক ভালোলাগা । +++++++

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯

একজন আরমান বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় মামুন ভাই। :)

৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫

মামুন রশিদ বলেছেন: আমার দুটি প্রিয় কবিতা,

"আমি যদি হতাম বনহংস;
বনহংসি হতে যদি তুমি
কোন এক দিগন্তের জলসিঁড়ি নদীর ধারে
ধানক্ষেতের কাছে
ছিপছিপে শরের ভিতর
এক নিরালা নীড়ে,
তাহলে আজ এই ফাল্গুনের রাতে
ঝাঁউয়ের শাখার পেছনে চাঁদ উঠতে দেখে
আমরা নিম্নভূমির জলের গন্ধ ছেড়ে
আকাশের রুপালী শষ্যের ভিতর গা ভাসিয়ে দিতাম-
তোমার পাখনায় আমার পালক,
আমার পাখনায় তোমার রক্তের স্পন্দন
--"


অথবা,


গভীর অন্ধকারের ঘুম থেকে নদীর চ্ছল চ্ছল শব্দে জেগে উঠলাম
আবার;
তাকিয়ে দেখলাম পান্ডুর চাঁদ বৈতরনীর থেকে তার অর্ধেক ছায়া
গুটিয়ে নিয়েছে যেন
কীর্তিনাশার দিকে ।

ধানসিঁড়ি নদীর কিনারে আমি শুয়েছিলাম-- পৌষের রাতে--
কোন দিন আর জাগবোনা জেনে
কোন দিন জাগবোনা আমি-- কোন দিন জাগবোনা আর--

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:০৩

একজন আরমান বলেছেন:
আকাশলীনা

- জীবনানন্দ দাশ

সুরঞ্জনা, অইখানে যেয়োনাকো তুমি,
বোলোনাকো কথা অই যুবকের সাথে;
ফিরে এসো সুরঞ্জনা :
নক্ষত্রের রুপালি আগুন ভরা রাতে;

ফিরে এসো এই মাঠে, ঢেউয়ে;
ফিরে এসো হৃদয়ে আমার;
দূর থেকে দূরে - আরও দূরে
যুবকের সাথে তুমি যেয়োনাকো আর।

কী কথা তাহার সাথে? - তার সাথে!
আকাশের আড়ালে আকাশে
মৃত্তিকার মতো তুমি আজ :
তার প্রেম ঘাস হয়ে আসে।

সুরঞ্জনা,
তোমার হৃদয় আজ ঘাস :
বাতাসের ওপারে বাতাস -
আকাশের ওপারে আকাশ।

আমার কাছে এইটা বেশি জোস লাগে। :)

এইটার একটা দেশি ভার্শনও বের করেছিলাম। :)
Click This Link

১০| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১২

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
আমার প্রথম প্রিয় কবি।
যার কবিতা পড়ে কবিতা ভালোবাসতে শুরু করি।

দারুন পোস্টে ধন্যবাদ।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৪

একজন আরমান বলেছেন:
আমারও প্রিয় কবি। :)

ধন্যবাদ দুর্জয় ভাই।

১১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৭

বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: চমৎকার একটা পোষ্ট

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২০

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই। :)

১২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৮

মাক্স বলেছেন: নাইস পোস্ট ব্রো!

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২১

একজন আরমান বলেছেন:
থ্যাংকস ব্রো। :)

১৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪১

s r jony বলেছেন:
চমৎকার ++++++

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ জনি ভাই। :)

১৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯

জািকর েহােসন002 বলেছেন: চমৎকার ++++++
আমারও প্রিয় কবি।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ।

১৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩

shfikul বলেছেন: প্রথমে একটা কথা বলে নেই।সেটা হলো কবি জীবনানন্দ যে স্কুল এবং যে ব্রজমোহন কলেজে পড়াশুনা করেছেন,আমি সেই স্কুল এবং সেই ব্রজমোহন কলেজে পড়াশুনা করেছি।এটা ভেবে খুব ভালো লাগছে।এবার আপনার পোস্ট নিয়ে কিছু বলি।কবি জীবনানন্দের উপর অনেক লেখা আগে পড়েছি।কিন্তু আপনার পোস্টের মতো একসাথে এতকিছু আগে পড়া হয়নি।ভীষণ ভালো লেগেছে বললেও আরমান ভাই অনেক কম বলা হয়ে যায়।অসাধারণ একটা পোস্ট।অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে এই জন্য যে, কবি জীবনানন্দকে আপনি নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন সবার সাথে,বিস্তারিত লেখার মাধ্যমে।ভালো থাকবেন।এরকম আরো পোস্ট আশা করবো।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮

একজন আরমান বলেছেন:
আপনার মতো আমার সৌভাগ্য হয় নি। পড়েছি বরিশাল জিলা স্কুলে আর এরপর ঢাকায় !
আর একটা কথা জীবনানন্দ কিন্তু আপনার কলেজের অধ্যাপকও ছিলেন !

আপনারা সাহস যোগালে আশা করি ভবিষ্যতে আরও এই রকম পোস্ট দিবো। নিজ এলাকার বরেণ্য ব্যাক্তিদের নিয়ে লিখার মজাটাই আলাদা। :)

১৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

বাহ খুব সুন্দর গুছিয়ে খুব তথ্য বহুল একটি পোস্ট উপহার দেয়ার জন্য আরমান তোকে অনেক ধন্যবাদ।

এভাবে চালিয়ে যা তুই খুব ভাল করবি। আসলে আমাদের দেশের সাহিত্যিকদের সম্পর্কে আমরা কতজন এভাবে ভাবি বল।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১০

একজন আরমান বলেছেন:
হুম। এটা আমার দ্বিতীয় প্রচেষ্টা !

আর আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই।
আপনি সাহস না দিলে এই রকম পোস্ট দেবার সাহস আমার জীবনেও হতো না। আমি অনেক ভিতু একটা মানুষ। আপনারা আছেন বলেই আমি আজ এখানে।

১৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ-পৃথিবীতে আজ,
যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দ্যাখে তারা;
যাদের হৃদয়ে কোনো প্রেম নেই - প্রীতি নেই - করুণার আলোড়ন নেই
পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া"

এই অংশটা আমার দারুণ প্রিয়।জীবনানন্দ দাশ আমার প্রিয় কবি।হয়ত তার প্রভাবও আপমার ওপর সবচেয়ে বেশি।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৯

একজন আরমান বলেছেন:
আমারও প্রিয় কবি তিনি। :)

১৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১

আহমেদ সাব্বির পল্লব বলেছেন: দারূণ পোস্ট.........অনেক অনেক ভাল লাগা, শ্রদ্ধা, প্রশংসা, সম্মান এই বিরল প্রতিভার অধিকারী কবির জন্য।

আর পোস্টের লেখককে অনেক অনেক ++....এি চমৎকার পোস্টের জন্য।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই। :)

১৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০০

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:

"আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে - এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয় - হয়তো বা শাঁখচিল শালিকের বেশে,
হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিঁকের নবান্নের দেশে
কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব কাঁঠাল ছায়ায়।
হয়তো বা হাঁস হবো - কিশোরীর - ঘুঙুর রহিবে লাল পায়
সারাদিন কেটে যাবে কলমীর গন্ধভরা জলে ভেসে ভেসে।"



প্রিয় কবি ।

একরাশ ভালোলাগা।


দোস্ত সেইরম পোস্ট হয়েছে। নেট প্রবলেম পরে এসে প্রিয়তে নিয়ে যাবো।


শুভ কামনা রইলো।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫

একজন আরমান বলেছেন:
তোরে আমি মাইর লাগামু। কল দিতেছি রিসিভ কর।

২০| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০১

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: অসাধারন ভাই আরমান! সাধুবাদ এই মহৎ পোস্টে!

নিভৃতচারী সেই জীবন কবির গল্প নিয়ে এসেছেন আপনি, কি বলে ভালো লাগা জানাবো বলুন তো? যাঁর যে কোন একটি শব্দ কোন মুকুটে গুজলে লজ্জায় মুখ লুকাতো যাবতীয় পাথুরে কোহিনূর?যাঁর যে কোন একটি পংক্তি বিছিয়ে হেঁটে যাওয়া যায় হাজার বছরের পথ? যাঁর যে কোন একটি অভিমানী কবিতায় জমাট বেঁধেছে সহস্র যুবকের আকুলতা?

পোস্ট যে প্রিয়তে তা কি আর বলতে হবে? আপনার কবিতা নিয়ে এখন মন্তব্য করতে পারছিনা বলে দুঃখিত, জীবন কবির ঠিক পর পরই অন্য কারও কবিতা পড়া শাস্ত্রে নিষেধ আছে, পরে এসে পড়ব!!!!

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬

একজন আরমান বলেছেন:
হা হা।
ধন্যবাদ ইফতি ভাই সুন্দর এই মন্তব্যের জন্য।

আর আমার কবিতা তাই আলাদা করেই পোস্ট দিবো। :)

২১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২২

আশিক মাসুম বলেছেন: দুর্দান্ত পোস্ট আরমানাচিতো পোস্ট এর বাইরে অন্য রক্ম কিছু ।
ধন্যবাদ আপনাকে ।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬

একজন আরমান বলেছেন:
হা হা হা।
সেইরাম একখান কমেন্ট করলেন তো ভাইজান।
এই রকম কিন্তু আরও পোস্ট আছে। ;)

আপনাকেও ধন্যবাদ। :)

২২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ভাল পোস্ট করেছেন ভাই। ধন্যবাদ।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮

একজন আরমান বলেছেন:
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই। :)

২৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০

রাইসুল সাগর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আরমান আমার প্রিয় কবিকে নিয়ে লিখার জন্য। পোষ্টে +। শুভকামনা সব সময় তোর জন্য।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০০

একজন আরমান বলেছেন:
ঐত্তেরি।
আমার প্রিয় কবি দেখি সবারই প্রিয় ! :)

ধন্যবাদ ভাইয়া। :)

২৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৪০

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: প্রিয় কবিকে নিয়ে অনেক সুন্দর একটা পোস্ট।
ভালো লাগলো।
+++++++++

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৯

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই।

২৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৮

একজন পরিব্রাজক বলেছেন: "তারপর — একদিন
আবার হলদে তৃণ
ভরে আছে মাঠে- -
পাতায় শুকনো ডাঁটে
ভাসিছে কুয়াশা
দিকে দিকে, চুড়ায়ের ভাঙা বাসা
শিশিরে গিয়েছে ভিজে — পথের উপর
পাখির ডিমের খোলা, ঠান্ডা-কড়কড়!
শসাফুল — দু-একটা নষ্ট শাদা শসা
মাকড়ের ছেঁড়া জাল, শুকনো মাকড়সা
লতায় — পাতায়;
ফুটফুটে জোছনারাতে পথ চেনা যায়;
দেখা যায় কয়েকটা তারা
হিম আকাশের গায় — ইদুর পেঁচারা
ঘুরে যায় মাঠে মাঠে, ক্ষুদ খেয়ে ওদের পিপাসা আজও মেটে,
পঁচিশ বছর তবু গেছে কবে কেটে"

অনেক ভালো একটা কাজ :)

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০১

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ। :)

২৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
চিত্তে রেখে গেছো অপেক্ষা কবি, তবু আজও অপেক্ষা শেষ হয় নি....

শেষবার তার সাথে যখন হয়েছে দেখা মাঠের উপরে
বলিলাম: ‘একদিন এমন সময়
আবার আসিয়ো তুমি, আসিবার ইচ্ছা যদি হয়!–
পঁচিশ বছর পরে!’
এই বলে ফিরে আমি আসিলাম ঘরে;
তারপর কতবার চাঁদ আর তারা,
মাঠে মাঠে মরে গেল, ইদুর — পেচাঁরা
জোছনায় ধানক্ষেতে খুঁজে
এল-গেল। –চোখ বুজে
কতবার ডানে আর বায়ে
পড়িল ঘুমায়ে
কত-কেউ! — রহিলাম জেগে
আমি একা — নক্ষত্র যে বেগে
ছুটিছে আকাশে
তার চেয়ে আগে চলে আসে
যদিও সময়–
পঁচিশ বছর তবু কই শেষ হয়!–

তারপর — একদিন
আবার হলদে তৃণ
ভরে আছে মাঠে- -
পাতায় শুকনো ডাঁটে
ভাসিছে কুয়াশা
দিকে দিকে, চুড়ায়ের ভাঙা বাসা
শিশিরে গিয়েছে ভিজে — পথের উপর
পাখির ডিমের খোলা, ঠান্ডা-কড়কড়!
শসাফুল — দু-একটা নষ্ট শাদা শসা
মাকড়ের ছেঁড়া জাল, শুকনো মাকড়সা
লতায় — পাতায়;
ফুটফুটে জোছনারাতে পথ চেনা যায়;
দেখা যায় কয়েকটা তারা
হিম আকাশের গায় — ইদুর পেঁচারা
ঘুরে যায় মাঠে মাঠে, ক্ষুদ খেয়ে ওদের পিপাসা আজও মেটে,
পঁচিশ বছর তবু গেছে কবে কেটে!

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০২

একজন আরমান বলেছেন:
চিত্তে রেখে গেছো ভালোবাসা কবি, তবু আজও ভালোবাসতে পারিনি...

২৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮

এসএমফারুক৮৮ বলেছেন: " সুরঞ্জনা, অইখানে যেয়োনাকো তুমি,
বোলোনাকো কথা অই যুবকের সাথে;
ফিরে এসো সুরঞ্জনা :
নক্ষত্রের রুপালি আগুন ভরা রাতে "

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০২

একজন আরমান বলেছেন:
আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে - এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয় - হয়তো বা শাঁখচিল শালিকের বেশে,
হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিঁকের নবান্নের দেশে
কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব কাঁঠাল ছায়ায়।
হয়তো বা হাঁস হবো - কিশোরীর - ঘুঙুর রহিবে লাল পায়
সারাদিন কেটে যাবে কলমীর গন্ধভরা জলে ভেসে ভেসে।"

২৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪

শের শায়রী বলেছেন: চমৎকার কাজ আরমান ভাই।

জীবনানন্দকে নিয়ে আলাদা একটা ভাবালুতা মনে হয় সবার মাঝেই কাজ করে

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০৩

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই।
আমার প্রিয় একজন কবি।

আপনি হঠাৎ করে উধাও হয়ে গেলেন কেন ভাই?

২৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: জীবনান্দ প্রেমের কবি,অনেক বড় মাপের মানুষ,অসুস্থ হলেন,,মরে ও গেলেন
আমিও প্রেমের কবি, নবিস ,দূর্ঘটনায় পড়লাম কিন্তু মারা গেলাম না: বৃহতেরা চলে যায়: বেঁচে থাকে আমার মত নবিস এ বেঁচে থাকা অর্থহীন।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০৬

একজন আরমান বলেছেন:
হা হা হা।

দেখেন আরও কি আছে সামনে !

৩০| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৪৪

পেন্সিল চোর বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে নিলাম আরমান ভাই... মেজাজটা মারাত্মক খারাপ X( X( X( । গত তিন দিন ধরে সামুতে ঢুকতেই পারছিনা। পেজ লোডই হয় না। বাংলালায়নের সাথে কি সামুর কোন বিরোধিতা চলছে নাকি!!!

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০৭

একজন আরমান বলেছেন:
বাংলালায়নের এই সমস্যার কথা বেশ কিছুদিন ধরেই শুনছি।
বুজতে পারলাম না কি সমস্যা !

৩১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৮

এম এম কামাল ৭৭ বলেছেন:
আমার প্রিয় কবি। ট্রাম দেখলে তার কথা মনে হয়। এই ট্রাম প্রিয় কবি কে কেড়ে নিয়ে গেছে।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০৮

একজন আরমান বলেছেন:
শোনা যায় তিনি নাকি আত্মহত্যা করেছেন।

৩২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:২৩

জনৈক গণ্ডমূর্খ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট আরমান ভাই। ভালো লাগা রইল। প্রিয় কবির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১০

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই। :)

৩৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১০

এন এফ এস বলেছেন: বাহ্ সুন্দর পোস্ট পড়লাম ভাল লিখেছেন ভাই

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১১

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই। :)

৩৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১২

এন এফ এস বলেছেন: ধইন্যার সিজন কি শেষ ? X(

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩৮

একজন আরমান বলেছেন:
হা হা হা।
কেন?

দিলাম তো !

৩৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩৪

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: তথ্যবহুল পোষ্ট। প্রিয়তে রাখলাম

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩৮

একজন আরমান বলেছেন:
:)

৩৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

ইখতামিন বলেছেন:
একবিংশ ভালো লাগা
কেমন আছেন?

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫০

একজন আরমান বলেছেন:
আছি এইতো মোটামুটি।
আপনি কেমন আছেন?

৩৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫৫

শ্রাবণ জল বলেছেন: ভাল লাগল, আরমান।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৩

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ জল।

৩৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৩৭

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: নাইস পোস্ট ভাইয়া!

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৪

একজন আরমান বলেছেন:
থ্যাংকস আপু। :)

৩৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪৬

সায়েম মুন বলেছেন: অসাধারণ একটা পোস্ট। খুব প্রিয় একজন কবি। তার কবিতা অনেক ভাবায়। তার কবিতার ছায়া এসেছে আমার দুটি কবিতায়।

সুনিদ্রিতা

রাজফড়িং

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৬

একজন আরমান বলেছেন:
পড়লাম। দারুন লাগলো।

আমারও লেখার ইচ্ছা আছে। :)

৪০| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫৭

বাঙ্গালী মামুন বলেছেন: অনেকের মতোই আমারও প্রিয় কবি। মহুয়ার মায়া লাগানো তার কলম। আর ‘বোধ’ যেন অতিলৌকিক কোন এক সময়ের প্রতিবিম্ব। যাক্ আপনার পরিশ্রমলব্ধ পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৬

একজন আরমান বলেছেন:
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই।

৪১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১৫

রাতুল_শাহ বলেছেন: আমার প্রথম কেনা কবিতার বইটি উনার।
যাহোক সুন্দর পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ। :)

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪১

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ রাতুল ভাই। :)

৪২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪৬

বোকামানুষ বলেছেন: অনেক প্রিয় কবি

কবিতা পড়ার অভ্যাস তৈরি হয়েছে উনার কবিতা পড়ে

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:০৯

একজন আরমান বলেছেন:
আমারও খুব প্রিয় একজন কবি !

৪৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:১৬

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: পোস্ট টা অনেক ভাল লাগল । ইনফো , বর্ণনা মিলে নাইস রাইটিং ।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৩০

একজন আরমান বলেছেন:
থ্যাংকস আপু। :)

৪৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৩০

আমিনুর রহমান বলেছেন:

অসাধারণ একটা পোষ্ট। তাও আবার আমার প্রিয় কবিকে নিয়ে পোষ্ট। জীবনানন্দ দাশকে নিয়ে আমার ভালোবাসা অন্তহীন। অন্য কোনো কবি আমার কল্পনায় এমন প্রবলভাবে দাগ কাটেনি। তাঁর কবিতার প্রতিটি শব্দ অনায়াসে নিজের বোধ করি। তার প্রকৃতির বর্ণনায় যে সৌন্দর্য আমি দেখি নিজের ভেবে তা আঁকড়ে ধরি। জীবনানন্দের কবিতার বিষয়বস্তু একই কবিতা একেক সময় ভিন্নভাবে তা আমাদের কাছে ধরা দেয়। তাঁর কবিতায় হাজার বছর ধরে চলা সম্ভব।


তোর আমার কাছে জীবনানন্দ দাশ কবিতার বই পাওনা রইল।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৩২

একজন আরমান বলেছেন:
আচ্ছা মনে থাকে যেন। কবিতার বই পাওনা।

আর একটা কথা আপনি নাকি বরিশালের মানুষদের দেখতে পারেন না? জীবনানন্দ কিন্তু বরিশালের ! B-) ;) :P

৪৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৫৫

বটবৃক্ষ~ বলেছেন: ওক্কে ওক্কে তখন আবার লাইক দিবানে....নো টেনশন!!;);)

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৫৭

একজন আরমান বলেছেন:
হা হা হা।

লাইকের খরায় আমি ভুগি না।

আমি বলতে চাইছি যে, কবির থেকে আমারে বেশি ইম্পরটেন্স দিলে কবি মাইন্ড খাবে না? :!> :#> :P

৪৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:১৭

একজন নিশাচর বলেছেন: +++

ভাবতেই ভাল লাগে উনিও আমাদের বরিশালের মানুষ। :)

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:২৩

একজন আরমান বলেছেন:
আবার জিগায় !

বরিশাইল্লা রকস !! B-) B-) B-)

৪৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:১৮

বাঘ মামা বলেছেন: ব্লগে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কোন জিজ্ঞাসা থাকেনা আমার কখনো,তবুও গত কিছু দিন ধরে আপনার ব্লগে এসে আমার খুব জানতে ইচ্ছে করছিলো কি এমন হয়েছে আরমানের যে সারা বুক জুড়ে এমন কষ্টের চাষ করছে আরমান,তবে বুঝতে যে পারিনা তা কিন্তু নয়। ধারণা থেকে পাওয়া বুঝা থেকেই বলছি আরমান..

ভালোবাসার জন্য আমরা নই,আমাদের জন্যই ভালোবাসা।মাঝে মাঝে ভুল করে কিছু বোকা মানুষের সাথে আমাদের দেখা হয়ে যায়,তারা না জানে দিতে না জানে পেতে।এমন সব মানুষের জন্য একটা দীর্ঘশ্বাস যথেষ্ট।জীবন নয়।

অনাধিকার হলে ক্ষমা করবেন।

পোস্টের কবির কথা বলি-

তিনি একজনকে ভালোবাসেননি,সারা দেশ এবং মানুষকে ভালোবেসে গেছেন,একজনকে ভালোবেসে মরলে এত কথা লিখতে পারতেননা জীবু বাবু।জীবনে একজনকে ভালোবেসে মরলে সেটা ভালোবাসার সীমাবদ্ধতাই বোঝায়।

সারা ব্লগের সবাইকে সেই ভালোবাসা বিলিয়ে দিন যা বুকে জমাট বেঁধে আছে।আমাদের চোখে একজন আরমান হয়ে থাকুন সারা জীবন।

শুভা কামনা সব সময়

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৩১

একজন আরমান বলেছেন:
আমার পাওয়া সুন্দর মন্তব্যগুলোর মধ্যে একটি।

আপনি জিজ্ঞেস করে আপনিই বলে দিয়েছেন উত্তর !

আপনার কথাগুলো অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। আর অনধিকারের প্রশ্ন আসে না যখন সেটা কোন প্রিয় ব্যাক্তি বলেন। দেখা না হলেও মানুষ মানুষের প্রিয় হতে পারে।

আমার সমস্যাটা হয় যখন আমি আমার হৃদয়ের কাছে পরাজিত হই বার বার !

আমি যতোই সামনে আগাতে চাই, ততোই আমাকে টেনে ধরে আমার হৃদয়। পুরনো ক্ষতগুলো নতুন করে আবার ক্ষতবিক্ষত হয় !

মনে হয় সর্বক্ষণ হৃদয়ের অনলে কেউ অনবরত কয়লা আর উপর্যুপরি অক্সিজেন দিয়ে যাচ্ছে। যাতে সেটা না নিভে উল্টো দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে ক্ষণে ক্ষণে !

চেস্টা থাকবে আপনাদের সাথে থাকার, যতো দিন বেঁচে আছি, সুস্থ আছি !

৪৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:২৯

গগণজয় বলেছেন: চমতকার পোস্ট।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২১

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ।

৪৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০০

এম হুসাইন বলেছেন: +++++++++++

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২১

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই।

৫০| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২১

রাইসুল নয়ন বলেছেন: ভাল লিখেছ আরমান ।

অনেক কিছু জানতে পারলাম প্রিয় কবি সম্পর্কে ।


২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩১

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ নয়ন ভাই।

আপনি কি ঢাকা চলে এসছেন?

৫১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪

আরমিন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আরমান! প্রিয় কবিকে নিয়ে এত চমৎকার একটি পোস্ট লিখবার জন্য!

ক্লাস সিক্সে আমি প্রথম স্টেজে উঠি,
"আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে - এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয় - হয়তো বা শাঁখচিল শালিকের বেশে"

এই কবিতাটি নিয়ে!

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১১

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ।

৫২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২

ইখতামিন বলেছেন:
আমিও কোনও রকম ভালো আছি
ভালো থাকুন
শুভ কামনা রইল সব সময়

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫

একজন আরমান বলেছেন:
ওহ আচ্ছা।

ধন্যবাদ ভাই।

৫৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২৩

আমি বাঁধনহারা বলেছেন:




ভালো লাগলো:+++++++++++

শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।


ভালো থাকবেন
মনে রাখবেন!!!

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই।

৫৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:

সুন্দর পোস্ট আরমান ভাই।

ইদানিং কবিতা পড়তে ভাল লাগে। আপনাদের বাতাস লাগছে মনে হয়।

ভাল থাকবেন কবি।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫

একজন আরমান বলেছেন:
হা হা হা।
কবিতা আমারও আগে খারাপ লাগতো। কিন্তু এখন পুরো উল্টো !

আপনিও ভালো থাকবেন ভাই। :)

৫৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৪৯

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: আরমান আমি বোধয় তোমার এই পোষ্টের প্রথম পাঠক ছিলাম কিন্তু ফোনে থাকায় মন্তব্য করা হয়নি , এখন দেখি অনেক পিছনে পরে গেলাম :(

যাই হোক যে কথাটা তোমায় বলবো ভেবেছিলাম তা আমার চাইতে আরও সুন্দর গুছিয়ে বাঘ বলে দিয়ে গেছে , তাই আর কিছু বলছি না ।
শুধু এইটুকু মনে রেখ ভাইয়া মানুষের যে কোন সৎ উদ্দেশ্য চাওয়া পাওয়া গুলো আল্লাহ্‌ তালা অপূর্ণ রাখেন না ।

পোষ্টে + , আমি বছর কয়েক আগে অনেক ঝামেলা করেই নাটোর ঘুরে এসেছি , এখান থেকে দেশে গেলে খুব কম সময় পাওয়া যায় এদিক সেদিক ঘুরাঘুরি করার , তার মদ্ধে মেয়ে সিক হয়ে পরে । মনে হয় কবির লেখার টানেই সম্ভব হয়েছে

"হায় চিল, সোনালী ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দুপুরে
তুমি আর কেঁদোনাকো উড়ে উড়ে ধানসিড়ি নদীটির পাশে!
তোমার কান্নার সুরে বেতের ফলের মতো তার ম্লান চোখ মনে আসে।
পৃথিবীর রাঙ্গা রাজকন্যাদের মতো সে যে চলে গেছে রূপ নিয়ে দূরে;
আবার তাহারে কেন ডেকে আনো?
কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে!"

( আমার কোন ভাই নেই , এই নিয়ে জদিও কোন আফসোস আমার কোন কালেই ছিল না ,বরং ভাবতাম ভালো হয়েছে ভাই থাকলে নিশ্চই আমার পাওয়া ভালোবাসা আদরে ভাগ বসাত :!>
কিন্তু এখন কেন যেন মনে হয় একটা নয় ২,৩,৪,৫ টা ভাই থাকলে মনে হয় মন্দ হত না :) )

অনেক অনেক ভালো থেক

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩৭

একজন আরমান বলেছেন:
কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে!
আমি বোধ হয় !

আপু আপনার শেষের কথাগুলো পড়ে আমার চোখটা ভিজে গেলো।
শুভকামনা থাকবে আপনার আর আপনার পরিবারের প্রতি।
সর্বদা ভালো থাকুন। :)

৫৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩৯

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: আমার এলাকার কবি !!!!

আমি সবসময় তাকে নিয়া গর্ববোধ করি , এরপর লিখো ফেলো চারন কবি মুকুন্দদাসের জীবনি ।





আমিও প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়ছি তয় কলিকতার না ধানমন্ডির টাতে ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০৫

একজন আরমান বলেছেন:
হা হা।
লেখমু ভাই।
তয় এরপরের সিরিয়ালে আছে কবি কামিনী রায় !

সব বরিশাইল্লারাই সিরিয়ালে আছে।

৫৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:১৭

ভিয়েনাস বলেছেন: আমাকে সে নিয়েছিলো ডেকে;
বলেছিলোঃ 'এ নদীর জল
তোমার চোখের মত ম্লান বেতফল;
সব ক্লান্তি রক্তের থেকে
স্নিগ্ধ রাখছে পটভূমি;
এই নদী তুমি।" ............ প্রিয় কবি সম্পর্কে পড়ে ভালো লাগলো :)

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:০৬

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ আপু। :)

৫৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: আমার প্রিয় কবি।।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩

একজন আরমান বলেছেন:
আমারও প্রিয় কবি ! :)

৫৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮

তারছেড়া লিমন বলেছেন: হয়তো বা হাঁস হবো - কিশোরীর - ঘুঙুর রহিবে লাল পায়
সারাদিন কেটে যাবে কলমীর গন্ধভরা জলে ভেসে ভেসে।"
এই দু লাইন আমার বেশম্ভব প্রিয়.......................

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১

একজন আরমান বলেছেন:
আমার ভালো লাগে হায় চিল -

হায় চিল, সোনালী ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দুপুরে
তুমি আর কেঁদোনাকো উড়ে উড়ে ধানসিড়ি নদীটির পাশে!
তোমার কান্নার সুরে বেতের ফলের মতো তার ম্লান চোখ মনে আসে।
পৃথিবীর রাঙ্গা রাজকন্যাদের মতো সে যে চলে গেছে রূপ নিয়ে দূরে;
আবার তাহারে কেন ডেকে আনো?
কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে!"


৬০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন:
প্রিয় কবি সম্পর্কে পোস্ট দেখে খুব ভাল লাগলো।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪০

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ মুবিন ভাই।

৬১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০২

না পারভীন বলেছেন: খুব ভাল লেগেছে অসাধারণ এই পোস্ট । অনেক ভাল লেগেছে । আর কিছু বললেও কম বলা হয়ে যাবে ।
আরমান ভাল থাকুন সবসময় এই প্রার্থনা রইল ।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ আপু।
আপনিও ভালো থাকবেন। :)

৬২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:২৬

রুদ্র জাহেদ বলেছেন:
"হায় চিল, সোনালী ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দুপুরে
তুমি আর কেঁদোনাকো উড়ে উড়ে ধানসিড়ি নদীটির পাশে!
তোমার কান্নার সুরে বেতের ফলের মতো তার ম্লান চোখ মনে আসে।
পৃথিবীর রাঙ্গা রাজকন্যাদের মতো সে যে চলে গেছে রূপ নিয়ে দূরে;
আবার তাহারে কেন ডেকে আনো?
কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে!"

প্রিয় কবিকে নিয়ে অসাধারন সমৃদ্ধ একটি পোস্ট।পড়ে অনেক অনেক ঋদ্ধ হলাম।শোকেসে তুলে রাখলাম

৩০ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৮:৪২

একজন আরমান বলেছেন: :)

৬৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৫৩

তুষার আহাসান বলেছেন: "কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীর মতে এ সময় দুই হাতে দুই থোকা ডাব নিয়ে ট্রাম লাইন পার হচ্ছিলেন কবি। আত্মহননের সিদ্ধান্ত নিয়ে দুই হাতে দুই থোকা ডাব নিয়ে গৃহে ফেরার সড়কে ওঠার জন্য ট্রাম লাইন পারি দেয়া খুব গ্রহণযোগ্য যুক্তি নয়। "
একমত।
সুন্দর ও সাবলীল লেখা।শুভ কামনা।

৩০ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৮:৪৪

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ । ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.