নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনটা হল এক রঙ্গমঞ্চ। আর আমরা সবাই হলাম সেই মঞ্চের অভিনেতা / অভিনেত্রী !!!\n\nমেইল করতে চাইলে: [email protected]

একজন আরমান

জীবনটা হল এক রঙ্গমঞ্চ। আর আমরা সবাই হলাম সেই মঞ্চের অভিনেতা / অভিনেত্রী!

একজন আরমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোমরা কি ভুলে গেছো সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালিকে !

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:৫২

আজ শোকাবহ ১৫ আগস্ট। জাতির ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়। বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনের পুরোধা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ১৯৭৫ সালের এই দিনে একদল বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর সড়কের ৬৭৭ নম্বরের নিজ বাসভবনে নৃশংস হত্যার শিকার হন তত্কালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই নয়, তার শিশুপুত্র রাসেলসহ পরিবারের সব সদস্যকেই ওইদিন হত্যা করে। তবে বঙ্গবন্ধুকন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা তখন বেলজিয়ামে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান।



শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক নেতা যিনি পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব এবং বাংলাদেশের জাতির জনক হিসেবে বিবেচিত। তিনি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সভাপতি, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং পরবর্তীতে এদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। জনসাধারণের কাছে তিনি "শেখ মুজিব" এবং "শেখ সাহেব" হিসাবে বেশি পরিচিত এবং তার উপাধি 'বঙ্গবন্ধু'।



তার কন্যা শেখ হাসিনা ওয়াজেদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বর্তমান সভানেত্রী এবং বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।



১৯৪৭-এ ভারত বিভাগ পরবর্তী পূর্ব পাকিস্তানের রাজনীতির প্রাথমিক পর্যায়ে শেখ মুজিব ছিলেন ছাত্রনেতা। ক্রমে তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতৃত্বের উচ্চপদে আসীন হয়েছিলেন। তার বড় গুণ ছিল তুখোড় বক্তৃতা প্রদানের ক্ষমতা। সমাজতন্ত্রের পক্ষসমর্থনকারী একজন অধিবক্তা হিসেবে তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তনের জনগোষ্ঠীর প্রতি সকল ধরণের বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলেন। জনগণের স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি একসময় ছয় দফা স্বায়ত্ত্বশাসন পরিকল্পনা প্রস্তাব করেন যাকে পশ্চিম পাকিস্তানে একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী পরিকল্পনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল। ছয় দফা দাবীর মধ্যে প্রধান ছিল বর্ধিত প্রাদেশিক স্বায়ত্ত্বশাসন যার কারণে তিনি আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের অন্যতম বিরোধী পক্ষে পরিণত হন। ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকারের সাথে যোগসাজশ ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তার বিচার শুরু হয় এবং পরবর্তীতে তিনি তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনে তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ বিপুল বিজয় অর্জন করে। তথাপি তাকে সরকার গঠনের সুযোগ দেয়া হয় নি।



পাকিস্তানের নতুন সরকার গঠন বিষয়ে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খান এবং পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ জুলফিকার আলী ভুট্টোর সাথে শেখ মুজিবের আলোচনা বিফলে যাওয়ার পর ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে ২৫ মার্চের মধ্যরাত্রে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ঢাকা শহরে গণহত্যা পরিচালনা করে। একই রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং পরবর্তীকালে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। রহিমুদ্দিন খান সামরিক আদালতে তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে তবে তা কার্যকরা হয় নি। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শেষে ১৯৭১-এর ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারত যৌথ বাহিনীর কাছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নামে স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা হয়। ১০ এপ্রিল ১৯৭২ শেখ মুজিব পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন এবং বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন।



পরবর্তীকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে ভিত্তি করে সংবিধান প্রণয়ন এবং সে অনুযায়ী রাষ্ট্র চালনার চেষ্টা সত্ত্বেও তীব্র দারিদ্র্য, বেকারত্ব, সর্বব্যাপী অরাজকতা এবং সেই সাথে ব্যাপক দুর্নীতি মোকাবেলায় তিনি কঠিন সময় অতিবাহিত করেন। ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অস্থিরতা দমনের লক্ষ্যে ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি সকল দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে নিজেকে আজীবনের জন্য রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। এর সাত মাস পরে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তারিখে একদল সামরিক কর্মকর্তার হাতে তিনি সপরিবারে নিহত হন।





প্রাথমিক জীবনঃ

জন্ম ও শিক্ষা

শেখ মুজিবুর রহমান তদানীন্তন ভারতীয় উপমহাদেশের বঙ্গ প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার পাটগাতি ইউনিয়নের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা শেখ লুৎফর রহমান গোপালগঞ্জ দায়রা আদালতের সেরেস্তাদার (যিনি আদালতের হিসাব সংরক্ষণ করেন) ছিলেন এবং মা'র নাম সায়েরা খাতুন। চার কন্যা এবং দুই পুত্রের সংসারে তিনি ছিলেন তৃতীয় সন্তান। তার বড় বোন ফাতেমা বেগম, মেজ বোন আছিয়া বেগম, সেজ বোন হেলেন ও ছোট বোন লাইলী; তার ছোট ভাইয়ের নাম শেখ আবু নাসের। ১৯২৭ সালে শেখ মুজিব গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন যখন তার বয়স সাত বছর। নয় বছর বয়সে তথা ১৯২৯ সালে গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন এবং এখানেই ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। ১৯৩৭ সালে গোপালগঞ্জ মাথুরানাথ ইনস্টিটিউট মিশন স্কুলে সপ্তম শ্রেনীতে ভর্তি হন। ১৯৩৪ থেকে চার বছর তিনি বিদ্যালয়ের পাঠ চালিয়ে যেতে পারেন নি। কারণ তার চোখে জটিল রোগের কারণে সার্জারি করাতে হয়েছিল এবং এ থেকে সম্পূর্ণ সেরে উঠতে বেশ সময় লেগেছিল। গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুল থেকে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। ১৯৩৮ সনে আঠারো বছর বয়সে তার সাথে ফজিলাতুন্নেসার বিয়ে হয়। এই দম্পতির ঘরে দুই কন্যা এবং তিন পুত্রের জন্ম হয়। কন্যারা হলেন শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা। আর পুত্রদের নাম শেখ কামাল, শেখ জামাল এবং শেখ রাসেল। তিনজন পুত্রই ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট রাতে আততায়ীর হাতে নিহত হন।



রাজনৈতিক জীবনের সূচনা

বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল ১৯৩৯ সালে মিশনারি স্কুলে পড়ার সময় থেকেই। এ বছর স্কুল পরিদর্শনে এসেছিলেন তদানীন্তন অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক এবং পরবর্তীতে বাংলার প্রধানমন্ত্রী এবং এমনকি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারী হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী। তিনি স্কুলের ছাদ সংস্কারের দাবীর উপর ভিত্তি করে একটি দল নিয়ে তাদের কাছে যান যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি নিজেই। ১৯৪০ সালে নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগ দেন। সেখানে তিনি এক বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৪২ সনে এনট্র্যান্স পাশ করার পর কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে (বর্তমান নাম মাওলানা আজাদ কলেজ) আইন পড়ার জন্য ভর্তি হন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এই কলেজটি তখন বেশ নামকরা ছিল। এই কলেজ থেকে সক্রিয়ভাবে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৪৩ সালে তিনি বেঙ্গল মুসলিম লীগে যোগ দেন এবং অগ্রণী কাশ্মিরী বংশোদ্ভূত বাঙালি মুসলিম নেতা হুসেইন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সান্নিধ্যে আসেন।এখানে তার ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য বিষয় ছিল একটি পৃথক মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন। ১৯৪৩ সনে বঙ্গীয় মুসলিম লীগের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।



১৯৪৪ সনে বর্তমান বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায় নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্র লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে শেখ মুজিব বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। তিনি কলকাতায় বসবাসকারী ফরিদপুরবাসীদের নিয়ে তৈরি "ফরিদপুর ডিস্ট্রিক্ট এসোসিয়েশনের" সেক্রেটারি মনোনীত হন। এর দুই বছর পর ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের মহাসচিব নির্বাচিত হন। ১৯৪৭ সনে অর্থাৎ দেশবিভাগের বছর মুজিব কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইসলামিয়া কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রী লাভ করেন। ভারত ও পাকিস্তান পৃথক হওয়ার সময়ে কলকাতায় ভয়ানক হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা হয়। এসময় মুজিব মুসলিমদের রক্ষা এবং দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সোহরাওয়ার্দীর সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক তৎপরতায় শরিক হন।



পাকিস্তান-ভারত পৃথক হয়ে যাওয়ার পর শেখ মুজিব পূর্ব পাকিস্তানে ফিরে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৪৮ সালের জানুয়ারি ৪ তারিখে প্রতিষ্ঠা করেন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্র লীগ যার মাধ্যমে তিনি উক্ত প্রদেশের অন্যতম প্রধান ছাত্রনেতায় পরিণত হন। এ সময় সমাজতন্ত্রের দিকে ঝুঁকে পড়েন এবং দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও জীবনযাত্রার নিম্নমানের উন্নয়নের জন্য এটিকেই একমাত্র সমাধান হিসেবে মনে করতে থাকেন।

প্রাথমিক রাজনৈতিক তৎপরতা



রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন

বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবী নিয়ে প্রতিষ্ঠিত আন্দোলনে অংশ নেয়ার মাধ্যমেই শেখ মুজিবের রাজনৈতিক তৎপরতার সূচনা ঘটে। ১৯৪৮ সনের ফেব্রুয়ারি ২৩ তারিখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমউদ্দিন গণ-পরিষদের অধিবেশনে বলেন যে, উর্দূই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। তার এই মন্তব্যে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদী শেখ মুজিব অবিলম্বে মুসলিম লীগের এই পূর্ব পরিকল্পিত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরুর সিদ্ধান্ত নেন। এই বছরের ২ মার্চে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে একটি সম্মিলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মিলনে মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নীতিমালা নিয়ে আলোচনা করা হয় যাতে শেখ মুজিব একটি প্রস্তাব পেশ করেছিলেন। এখান থেকেই সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই পরিষদের আহ্বানে ১১ মার্চ ঢাকায় ধর্মঘট পালিত হয়। ধর্মঘট পালনকালে শেখ মুজিবসহ আরও কয়েকজন রাজনৈতিক কর্মীকে সচিবালয় ভবনের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু ছাত্রসমাজের তীব্র প্রতিবাদের মুখে ১৫ মার্চ শেখ মুজিব এবং অন্য ছাত্র নেতাদেরকে মুক্তি দেয়া হয়। এদের মুক্তি উপলক্ষে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় র‍্যালি হয় যাতে মুজিব সভাপতিত্ব করেন। পুলিশ এই র‍্যালি অবরোধ করেছিল। পুলিশী কার্যক্রমের প্রতিবাদে শেখ মুজিব অবিলম্বে ১৭ মার্চ দেশব্যাপী ছাত্র ধর্মঘটের ঘোষণা দেন। ১৯ মার্চ তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে একটি আন্দোলন পরিচালনা করেন। এতে ১১ সেপ্টেম্বরে তাকে আবার আটক করা হয় এবং বহিষ্কৃত হন ।উল্লেখ্য ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর হৃত ছাত্রত্ব (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) ফিরিয়ে দেয়া হয় ।



১৯৪৯ সালের ২১ জানুয়ারি শেখ মুজিবকে জেল থেকে মুক্তি দেয়া হয়। জেল থেকে বেরিয়ে তিনি আবার চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের দাবী আদায়ের আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন যার জন্য তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জরিমানা করা হয়। কিন্তু তিনি এই জরিমানাকে অবৈধ ঘোষণা করে তা আদায় থেকে বিরত থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২৬ এপ্রিল মুসলিম লীগ বিরোধী প্রার্থী শামসুল হক টাঙ্গাইলে একটি উপ-নির্বাচনে বিজয় লাভ করেন। বঙ্গবন্ধু তার সেই আন্দোলনের সফলতার জন্য উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অনশনের ধর্মঘট করেন যার জন্য তাকে আবার আটক করা হয়। এ সময়ই তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মাচারীদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদান। ২৩ জুন সোহরাওয়ার্দী এবং মাওলানা ভাসানী পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন করার পর শেখ মুজিব মুসলিম লীগ ছেড়ে দিয়ে এই নতুন দলে যোগ দেন। তাকে দলের পূর্ব পাকিস্তান অংশের যুগ্ম সচিব নির্বাচিত করা হয়। জুনের শেষ দিকে জেল থেকে ছাড়া পান। ছাড়া পাওয়ার পরই খাদ্য সংকটের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যোগ দেন। এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে সাময়িকভাবে আটক করে রাখা হলেও অচিরেই ছাড়া পেয়ে যান। এর পর মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সাথে মিলে লিয়াকত আলি খানের কাছে একটি প্রতিনিধিদল প্রেরণের চেষ্টা করায় ভাসানী এবং তাকে আটক করা হয়। এটি ছিল অক্টোবরের শেষদিকের কথা।



১৯৫০ সনের জানুয়ারি মাসের প্রথমদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খানের পূর্ব পাকিস্তান আগমনকে উপলক্ষ্য করে আওয়ামী মুসলিম লীগ ঢাকায় দুর্ভিক্ষবিরোধী মিছিল বের করে। এই মিছিলের নেতৃত্ব দেয়ার কারণে এবারও শেখ মুজিব আটক হন। সেবার তার দুই বছর জেল হয়েছিল। ১৯৫২ সালের ২৬ জানুয়ারি খাজা নাজিমুদ্দিন ঘোষণা করেন, উর্দুই পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হবে। এ ঘোষণার পর জেলে থাকা সত্ত্বেও মুজিব প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ আয়োজনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। জেল থেকে নির্দেশনা দেয়ার মাধ্যমে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদকে পরিচালনায় তিনি ভূমিকা রাখেন। এরপরই ২১ ফেব্রুয়ারিকে রাষ্ট্রভাষার দাবী আদায়ের দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একই সময়ে বঙ্গবন্ধু জেলে থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে অনশন পালনের সিদ্ধান্ত নেন। তার এই অনশন ১৩ দিন কার্যকর ছিল। ২৬ ফেব্রুয়ারি তাকে জেল থেকে মুক্তি দেয়া হয়।



যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন

১৯৫৩ সালের ৯ জুলাই তিনি পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনের শেষে দলের সেক্রেটারী জেনারেল (মহাসচিব) নির্বাচিত হন। একই বছরের ১৪ নভেম্বর সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য অন্যান্য দল নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ১৯৫৪ সালের ১০ মার্চ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট ২৩৭ টি আসনের মধ্যে ২২৩ টিতে বিপুল ব্যবধানে বিজয় অর্জন করে যার মধ্যে ১৪৩ টি আসনই আওয়ামী লীগ লাভ করেছিল। শেখ মুজিব গোপালগঞ্জে আসনে ১৩,০০০ ভোটের ব্যবধানে বিজয় লাভ করেন। সেখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল শক্তিশালী মুসলিম লীগ নেতা ওয়াহিদুজ্জামান। ১৫ মে তাকে কৃষি ও বন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়। ২৯ মে কেন্দ্রীয় সরকার যুক্তফ্রন্ট ভেঙে দেয়। ৩০ মে করাচি থেকে ঢাকা ফেরার পর বিমান বন্দর থেকেই তাকে আটক করা হয়। ২৩ ডিসেম্বর মুক্তি লাভ করেন। ১৯৫৫ সালের ৫ জুন শেখ মুজিব আইন পরিষদের সদস্য মনোনীত হন। ১৭ জুন আওয়ামী লীগ পল্টন ময়দানে আয়োজিত এক সম্মেলনে ২১ দফা দাবী পেশ করে যার মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্ত্বশাসন অন্তর্ভুক্ত ছিল। ২৩ জুন দলের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়, পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্ত্বশাসন অর্জিত না হলে আইন সভার সকল সদস্য পদত্যাগ করবেন। ২৫ আগস্ট পাকিস্তানের করাচিতে গণপরিষদের অধিবেশনে শেখ মুজিব বলেন:



"Sir [President of the Constituent Assembly], you will see that they want to place the word "East Pakistan" instead of "East Bengal." We had demanded so many times that you should use Bengal instead of Pakistan. The word "Bengal" has a history, has a tradition of its own. You can change it only after the people have been consulted. So far as the question of one unit is concerned it can come in the constitution. Why do you want it to be taken up just now? What about the state language, Bengali? We will be prepared to consider one-unit with all these things. So I appeal to my friends on that side to allow the people to give their verdict in any way, in the form of referendum or in the form of plebiscite."



২১ অক্টোবর বাংলাদেশ আওয়ামী মুসলিম লীগের বিশেষ অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে দলের নাম থেকে "মুসলিম" শব্দটি বাদ দেয়া হয়। শেখ মুজিব পুনরায় দলের মহাসচিব নির্বাচিত হন। ৩ ফেব্রয়ারি মুখ্য মন্ত্রীর সাথে আওয়ামী লীগের বৈঠকে দল থেকে খসড়া সংবিধানে স্বায়ত্ত্বশাসন অন্তর্ভুক্ত করার দাবী জানানো হয়। ১৪ জুলাই রাষ্ট্রীয় প্রশাসনে সামরিক উপস্থিতির বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব রাখা হয় যা তিনিই সরকারের কাছে পেশ করেন। সেপ্টেম্বর মাসের ৪ তারিখ তাঁর নেতৃত্বে একটি দুর্ভিক্ষ বিরোধী মিছিল বের হয়। ১৪৪ ধারা ভঙ্গের কারণে এই মিছিলে পুলিশ গুলিবর্ষণ করলে কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়। ১৬ সেপ্টেম্বর শেখ মুজিব কোয়ালিশন সরকারে যোগ দিয়ে একযোগে শিল্প, বাণিজ্য, শ্রম, দুর্নীতিরোধ এবং গ্রামীণ সহায়তা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দলের জন্য সম্পূর্ণ সময় ব্যয় করার তাগিদে ১৯৫৭ সালে ৩০ মে মন্ত্রীপরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন। ৭ আগস্ট সরকারি সফরে চীন এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন গমন করেন। ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল ইস্কান্দার মির্জা এবং সেনাবাহিনী প্রধান আইয়ুব খান দেশে সামরিক আইন জারি করে সকল ধরণের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এই বছরেরই ১১ অক্টোবর তাঁকে আটক করা হয়। জেলা থাকা অবস্থায় তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়। ১৪ মাস একটানা আটক থাকার পর তাঁকে মুক্তি দেয়া হলেও জেলের ফটক থেকে পুনরায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।



পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান নেতা

১৯৪৯ সালে হুসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সাথে শেখ মুজিব

উচ্চ আদালতে একটি রিট পিটিশন দায়ের করার মাধ্যমে তিনি ১৯৬১ সালে জেল থেকে ছাড়া পান। এবার শুরু করেন গুপ্ত রাজনৈতিক তৎপরতা। অন্যান্য সাধারণ ছাত্রনেতাদের নিয়ে গোপনে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন যার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করা। ১৯৬২ সালের ৬ ফেব্রয়ারি জননিরাপত্তা আইনে তাকে আবার আটক করা হয়েছিল। জুনের ২ তারিখে চার বছরব্যাপী মার্শাল ল অপসারণের পর একই মাসের ১৮ তারিখে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। ২৫ জুন অন্য রাজনৈতিক নেতাদের সাথে মিলে আইয়ুব খান আরোপিত বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুর বিরুদ্ধে সংগ্রামে নেমে পড়েন। ৫ জুন পল্টন ময়দানে আয়োজিত এক সম্মেলনে আইয়ুব খানের সমালোচনা করেন। ২৪ সেপ্টেম্বরলাহোর যান এবং সেখানে শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সাথে মিলে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট গড়ে তোলেন। এটি মূলত বিরোধী দলসমূহের একটি সাধারণ কাঠামো হিসেবে কাজ করেছিল। পুরো অক্টোবর মাস জুড়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সাথে মিলে বাংলার বিভিন্ন স্থান সফর করেন এই যুক্তফ্রন্টের সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে। ১৯৬৩ সালে সোহরাওয়ার্দীর সাথে আলোচনার উদ্দেশ্যে লন্ডন যান, সোহরাওয়ার্দী সেখানে চিকিৎসারত ছিলেন। এই বছরের ৫ ডিসেম্বর তিনি বৈরুতে মৃত্যুবরণ করেন।

সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর ১৯৬৪ সালের ২৫ জানুয়ারি মুজিবের বাসায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে আওয়ামী লীগকে পুণরায় সংহত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই বৈঠকের প্রস্তাবের ভিত্তিতে শেখ মুজিব তত্কালীন পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের মহাসচিব ও মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ১১ মার্চ একটি সর্বদলীয় সংগ্রমা পরিষদ গঠিত হয় যার মাধ্যমে মুজিব সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধকল্পে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। সেনাশাসক আইয়ুব খানের বেসিক ডেমোক্রেসিস প্ল্যান, সামরিক শাসন এবং এক-ইউনিট পদ্ধতির বিরোধী নেতাদের মধ্যে অগ্রগামী ছিলেন শেখ মুজিব। এই পদ্ধতি অনুযায়ী ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করার পরিকল্পনা করা হয় এবং প্রদেশগুলোকে একত্রে জুড়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কাজ করতে গিয়ে, মুজিব আইয়ুব বিরোধী দল প্রার্থী ফাতিমা জিন্নাহকে সমর্থন করেন। যথারীতি নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পূর্বে তাকে আটক করা হয়। তাকে রাষ্ট্রদ্রোহীতা এবং আপত্তিকর প্রস্তাব পেশের অভিযোগে অভিযুক্ত করে এক বছরের কারদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। অবশ্য উচ্চ আদালতের এক রায়ে তার আগেই তিনি মুক্তি পেয়ে যান। এ সময় সামরিক বাহিনীর গণহত্যা আর বাঙালিদের চাহিদা পূরণে সামরিক শাসকদের ঔদাসীন্য পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকে ক্ষুব্ধ করে তোলে।



ছয় দফা দাবী

এই বিষয়ে মূল নিবন্ধের জন্য দেখুন: ছয় দফা আন্দোলন ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধী দলসমূহের একটি জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনেই শেখ মুজিব তার ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবী পেশ করেন যাতে পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্ত্বশাসনের পরিপূর্ণ রূপরেখা উল্লেখিত হয়েছিল। শেখ মুজিব এই দাবীকে "আমাদের বাঁচার দাবী" শিরোনামে প্রচার করেছিলেন। এই দাবীর মূল বিষয় ছিল একটি দুর্বল কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে পরিচালিত পাকিস্তানী ফেডারেশনে পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ণ স্বায়ত্ত্বশাসন। এই দাবী সম্মেলনের উদ্যোক্তারা প্রত্যাখান করেন এবং শেখ মুজিবকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে চিহ্নিত করেন। এ কারণে তিনি উক্ত সম্মেলন বর্জন করে পূর্ব পাকিস্তানে ফিরে আসেন। মার্চ মাসের এক তারিখে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এই নির্বাচনের পর তিনি ছয় দফার পক্ষে সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে দেশব্যাপী অভিযান পরিচালনা করেন। প্রায় পুরো দেশই ভ্রমণ করেন। এই ভ্রমণের সময় তিনি সিলেট, ময়মনসিংহ এবং ঢাকায় বেশ কয়েকবার পুলিশের হাতে বন্দী হন। বছরের প্রথম চতুর্থাংশেই তাকে আটবার আটক করা হয়েছিল। এই বছরের মে ৮ তারিখে নারায়ণগঞ্জে পাট কারখানার শ্রমিকদের এক র‍্যালিতে অংশগ্রহণের জন্য তাকে আবার গ্রেফতার করা হয়। তার মুক্তির দাবীতে ৭ জুন দেশব্যাপী ধর্মঘট পালিত হয়। পুলিশ এই ধর্মঘট চলাকালে গুলিবর্ষণ করে যার কারণে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জে আনুমানিক তিনজনের মৃত্যু হয়।



আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা

সেনাবাহিনী কর্তৃক আটক হয়ে জেলে দুই বছর থাকার পর ১৯৬৮ সালের প্রথমদিকে পাকিস্তান সরকার শেখ মুজিব এবং আরও ৩৪ জন বাঙালি সামরিক ও সিএসপি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে যা ইতিহাসে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নামে সুপরিচিত। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছিল শেখ মুজিবসহ এই কর্মকর্তারা ভারতের ত্রিপুরা অঙ্গরাজ্যের অন্তর্গত আগরতলা শহরে ভারত সরকারের সাথে এক বৈঠকে পাকিস্তানকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনা তৈরি করেছে। এতে শেখ মুজিবকে এক নম্বর আসামী করা হয় এবং পাকিস্তান বিভাগের এই ষড়যন্ত্রের মূল হোতা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। অভিযুক্ত সকল আসামীকে ঢাকা সেনানিবাসে অন্তরীন করে রাখা হয়। এর অব্যবহিত পরেই সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় উঠে। এই মামলাকে মিথ্যা আখ্যায়িত করে সর্বস্তরের মানুষ শেখ মুজিবসহ অভিযুক্ত সকলের মুক্তির দাবীতে রাজপথে নেমে আসে। এহেন পরিস্থিতে একই বছরের ১৯ জুন ঢাকা সেনানিবাসের অভ্যন্তরে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে অভিযুক্ত আসামীদের বিচারকার্য শুরু হয়।



উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান

উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান তথা স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক মুক্তি সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা আইয়ুব খান সরকারের পতন ঘটে এই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে।



ঘটনাপঞ্জি

৪ জানুয়ারি: সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ তাদের ঐতিহাসিক ১১ দফা কর্মসূচী পেশ করেন।

৭ ও ৮ জানুয়ারি: গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে রাজনৈতিক ঐক্য ডেমোক্রেটিক অ্যাকশন কমিটি বা ড্যাক (DAC) গঠিত হয়।

২০ জানুয়ারি: ছাত্রদের মিছিলে গুলিবর্ষনের ঘটনায় নিহত হন ছাত্র আসাদুজ্জামান।

২৪ জানুয়ারি: পুলিশের গুলিতে নিহত হন কিশোর ছাত্র মতিয়ুর রহমান-সহ আরো অনেকে।

১৫ ফেব্রুয়ারি: কুর্মিটোলা ক্যান্টনমেন্টে আটক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম আসামী সার্জেন্ট জহুরুল হক নিহত।[১]

১৮ ফেব্রুয়ারি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মৌন মিছিলে গুলি চালালে নিহত হন শিক্ষক ড. শামসুজ্জোহা।

২১ ফেব্রুয়ারি: আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার।

২৬ ফেব্রুয়ারি: বিরোধী নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনার জন্য আইয়ুব খান গোলটেবিল বৈঠক আহবান করেন। পরবর্তীতে গোলটেবিল বৈঠক ব্যর্থ হলে আইয়ুব খান পদত্যাগ করেন।



বিচারকার্য চলাকালীন সময়ে ১৯৬৯ সালের জানুয়ারি ৫ তারিখে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ তাদের এগার দফা দাবী পেশ করে যার মধ্যে শেখ মুজিবের ছয় দফার সবগুলোই দফাই অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে দেশব্যাপী ছাত্র আন্দোলনের প্রস্তুতি গৃহীত হয়। এই সংগ্রাম এক সময় গণ আন্দোলনে রূপ নেয়। এই গণ আন্দোলনই ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান নামে পরিচিত। মাসব্যাপী প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ আন্দোলন, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ, কারফিউ, পুলিশের গুলিবর্ষণ এবং বেশ কিছু হতাহতের পর আন্দোলন চরম রূপ ধারণ করলে পাকিস্তান সরকার ছাড় দিতে বাধ্য হয়। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান রাজনৈতিক নেতাদের সাথে এক গোলটেবিল বৈঠকের পর এই মামলা প্রত্যাহার করে নেন। এর সাথে শেখ মুজিবসহ অভিযুক্ত সকলকে মুক্তি দেয়া হয়। কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ এই বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি তারিখে শেখ মুজিবের সম্মানে ঢাকাররেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক সভার আয়োজন করে। লাখো জনতার এই সম্মেলনে শেখ মুজিবকে "বঙ্গবন্ধু" উপাধি প্রদান করা হয়। উপাধি প্রদানের ঘোষণা দিয়েছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ। এই সভায় রাখা বক্তৃতায় শেখ মুজিব ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের এগার দফা দাবীর পক্ষে তার পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন।



১৯৬৯ সালে আইয়ুব খানের আহ্বানে অনুষ্ঠিত একটি সর্বদলীয় সম্মেলনে মুজিব তাঁর ছয়-দফাসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের চাহিদাগুলো মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান এবং তা প্রত্যাখ্যাত হলে সম্মেলন থেকে বের হয়ে আসেন। ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক জনসভায় মুজিব ঘোষণা করেন যে এখন থেকে পূর্ব পাকিস্তানকে "বাংলাদেশ" নামে অভিহিত করা হবে:



"একটা সময় ছিল যখন এই মাটি আর মানচিত্র থেকে "বাংলা" শব্দটি মুছে ফেলার সব ধরণের প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল। "বাংলা" শব্দটির অস্তিত্ব শুধু বঙ্গোপসাগর ছাড়া আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যেত না। আমি পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আজ ঘোষণা করছি যে, এখন থেকে এই দেশকে 'পূর্ব পাকিস্তানের' বদলে 'বাংলাদেশ' ডাকা হবে"।



মুজিবের এই ঘোষণার ফলে সারা দেশে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। পশ্চিম পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ এবং সামরিক কর্তারা তাঁকে একজন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবে মূল্যায়িত করতে শুরু করেন। মুজিবের বাঙালি সংস্কৃতি ও জাতিগত আত্মপরিচয়ের বহিঃপ্রকাশ প্রাদেশিক স্বায়ত্বশাসনের বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করে। অনেক বুদ্ধিজীবি ব্যক্তিত্ব্যের মতে, বাঙালিদের আন্দোলন দ্বি-জাতি তত্ত্বকে অস্বীকার করার নামান্তর। এই দ্বি-জাতি তত্ত্বের মাধ্যমেই পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়। বাঙালিদের জাতিগত ও সংস্কৃতিগত এই আত্মপরিচয় তাদেরকে একটি আলাদা জাতিসত্ত্বা প্রদান করে। মুজিব পূর্ব পাকিস্তানে ব্যাপক জনমত গড়ে তুলতে সমর্থ হন এবং কার্যত ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন।



১৯৭০ এর নির্বাচন ও স্বাধীনতা যুদ্ধ

১৯৭০ সালের নির্বাচনে শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ প্রাদেশিক আইনসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। পূর্ব পাকিস্তানের কোটার ২ টি আসন ছাড়া বাকি সবগুলোতে জয়ী হওয়ার জন্য জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠতাও অর্জন করে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের ফলাফল পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে মেরুকরণ সৃষ্টি করে। পশ্চিম পাকিস্তানের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের নেতা জুলফিকার আলি ভুট্টো, মুজিবের স্বায়ত্বশাসনের নীতির প্রবল বিরোধীতা করেন। ভুট্টো এ্যাসেম্বলি বয়কট করার হুমকি দিয়ে ঘোষণা দেন যে, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান মুজিবকে সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানালে তিনি সে সরকারকে মেনে নেবেন না।



রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে ইয়াহিয়া খান সংসদ ডাকতে দেরি করছিলেন। বাঙালিরা এতে বুঝে ফেলে যে, মুজিবের দলকে সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও সরকার গঠন করতে দেয়া হবে না। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে এক জনসভায় শেখ মুজিব স্বাধীনতার ডাক দেন এবং জনগণকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত করেন।



ইয়াহিয়া খান সামরিক আইন জারি করেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন এবং মুজিবসহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতাদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী রাজনৈতিক ও জনসাধারণের অসন্তোষ দমনে ২৫ মার্চ অপারেশন সার্চলাইট শুরু করে। সামরিক বাহিনীর অভিযান শুরু হলে মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।



মূল ঘোষণার অনুবাদ নিম্নরূপ:

"এটাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন, আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের মাটি থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানি সৈন্যটিকে উত্খাত করা এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক"।



মুজিবকে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ফয়সালাবাদের একটি জেলে কড়া নিরাপত্তায় রাখা হয়। পাকিস্তানি জেনারেল রহিমুদ্দিন খান মুজিবের মামলার পরিচালনা করেন। মামলার আসল কার্যপ্রণালী এবং রায় কখনোই জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয় নি। এ মামলাটি "লায়ালপুর ট্রায়াল" হিসাবে অভিহিত।



পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পরিচালিত অভিযান অল্প সময়ের মধ্যেই হিংস্রতা ও তীব্র রক্তপাতে রূপ নেয়। রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাঙালি বুদ্ধিজীবি, রাজনীতিবিদ ও ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ মানুষকে আক্রমণ করে। বাঙালি ও অবাঙালি হিন্দুদেরকে লক্ষ্য করে বিশেষ অভিযানের কারণে সারা বছরজুড়ে প্রচুর হিন্দু জনগোষ্ঠী সীমান্ত অতিক্রম করে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম বঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরায় আশ্রয় গ্রহণ করে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে ও পুলিশ রেজিমেণ্টে কর্মরত পূর্ব বাংলার সদস্যবৃন্দ দ্রুত বিদ্রোহ ঘোষণা করে এবং লীগ সদস্যবৃন্দ কলকাতায় তাজউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্ব প্রবাসে বাংলাদেশ সরকার গঠন করে। পূর্ব পাকিস্তানে মুক্তি বাহিনীর নেতৃত্ব বড় রকমের বিদ্রোহ সংঘটিত হতে থাকে। আন্তর্জাতিক চাপ থাকা স্বত্ত্বেও পাকিস্তানি সরকার মুজিবকে ছেড়ে দিতে এবং তাঁর সাথে সমঝোতা করতে অস্বীকৃতি জানায়।



যুদ্ধবর্তী সময়ে মুজিবের পরিবারকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়। তাঁর সন্তান শেখ কামাল মুক্তি বাহিনীর একজন গুরুত্বপূর্ণ অফিসার ছিলেন। মুক্তিবাহিনী ও পাকিস্তান বাহিনীর ভিতরে সংঘটিত যুদ্ধটিই বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালে ভারতীয় সরকারের অংশগ্রহণের পর, পাকিস্তানী সেনাবাহিনী মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর যৌথ দলের কাছে আত্মসমর্পণ করে এবং লীগ নেতৃবৃন্দ ঢাকায় ফিরে সরকার গঠন করেন। পাকিস্তানি শাসকবৃন্দ মুজিবকে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি মুক্তিদান করে। এরপর তিনি লণ্ডন হয়ে নতুন দিল্লিতে ফিরে আসেন এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী’র সাথে সাক্ষাতের পর জনসমক্ষে “ভারতের জনগণ, আমার জনগণের শ্রেষ্ঠ বন্ধু” বলে তাঁকে সাধুবাদ জানান। তিনি ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশে ফিরে আসেন। গান্ধীর সাথে সেদিন তিনি ঢাকায় জড়ো হওয়া প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের সামনে বক্তৃতা দেন।



বাংলাদেশের শাসন

শেখ মুজিবর রহমান অল্পদিনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি ছিলেন এবং পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭০-এ পূর্ব পাকিস্তান আইনসভার জন্য নির্বাচিত রাজনীতিবিদরা নতুন রাষ্ট্রের প্রথম সংসদ গঠন করেন। মুক্তিবাহিনী এবং অন্যান্য মিলিশিয়াদের নিয়ে নতুন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গঠিত হয়। তাঁরই অভিপ্রায়ক্রমে ১৭ মার্চ ১৯৭২ ভারতীয় বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের ভূ-খণ্ড ত্যাগ করে।



বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে স্বীকৃতি লাভের পর শেখ মুজিব পাকিস্তান, ওআইসি, জাতিসংঘ ও জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলনে বাংলাদেশের সদস্যপদ নিশ্চিত করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশে ভ্রমণ করে বাংলাদেশের জন্য মানবীয় ও উন্নয়নকল্পের জন্য সহযোগিতা চান। তিনি ভারতের সাথে একটি ২৫ বছর মেয়াদী মিত্রতা চুক্তি স্বাক্ষর করেন যাতে অর্থনৈতিক ও মানব সম্পদ উন্নয়নে ব্যাপক সাহায্যের আশ্বাস দেয়া হয়। চুক্তিতে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী ও সরকারী কর্কমর্তাদের প্রশিক্ষণের শর্ত অন্তর্ভুত ছিল। মুজিব ইন্দিরা গান্ধির সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখেন। মুজিবের জীবদ্দশায় দুই সরকারের মধ্যে পারষ্পরিক সমঝোতা ছিল।



মুজিব তার অন্তর্বর্তী সংসদকে একটি নতুন সংবিধান রচনার দায়িত্ব দেন এবং চারটি মূলনীতি হিসেবে “জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র” ঘোষণা করেন যা মুজিববাদ নামেও পরিচিত। মুজিব শতাধিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও কোম্পানি রাষ্ট্রীয়করণ করেন এবং ভূমি ও মূলধন বাজেয়াপ্ত করে ভূমি পূনর্বণ্টনের মাধ্যমে কৃষকদের সাহায্যের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধ কালে ভারতে আশ্রয়গ্রহণকারী ১ কোটি শরণার্থীর পূনর্বাসনের জন্য বড় পদক্ষেপ নেয়া হয়। এর ফলে অর্থনৈতিক সংকট হ্রাস পেতে শুরু করে এবং সমূহ দুর্ভিক্ষ এড়ানো সম্ভব হয়। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ ডিসেম্বর থেকে নতুন সংবিধান কার্যকর করা হয় এবং ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে শেখ মুজিব ও তাঁর দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে এবং তিনি বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত সরকার গঠন করেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা, খাদ্য, স্বাস্থ্য, পানি ও বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিতকল্পে রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডের বিস্তৃতি ঘটান। ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে প্রণীত বাংলাদেশের প্রথম পঞ্চ বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় কৃষি, গ্রামীণ অবকাঠামো ও কুটির শিল্প উন্নয়নে প্রাগ্রাধিকারমূলক সরকারী অর্থ বরাদ্দের নির্দেশ দেয়া হয়।



ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি রাষ্ট্রীয় দায়বদ্ধতা থাকা স্বত্ত্বেও মুজিব ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ইসলামি অনুশাসনের পথে অগ্রসর হন। তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে আঁতাতের অভিযোগে ১৯৭২ সালে নিষিদ্ধ ঘোষিত ইসলামিক একাডেমি পুনরায় চালু করেন। ইসলামিক গোত্রগুলোর জোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মদ তৈরি ও বিপণন এবং জুয়া খেলা নিষিদ্ধ করেন। তাঁরই সিদ্ধান্তক্রমে বাংলাদেশ অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কনফারেন্স ওইসলামিক ডেভেলপমেণ্ট ব্যাংক-এর সদস্যপদ গ্রহণ করে। মুজিব ১৯৭৪ সালে লাহোরে অনুষ্ঠিত ওআইসি সম্মেলনে যোগ দিতে যান যা পাকিস্তানের সাথে কিছুমাত্রায় সম্পর্ক উন্নয়ন ও পাকিস্তানের স্বীকৃতি পেতে সহায়তা করে।জনসাধারণের সামনে উপস্থিতি ও ভাষণের সময় শেখ মুজিব ইসলামিক সম্ভাষণ ও শ্লোগান ব্যবহার বাড়িয়ে দেন এবং ইসলামিক আদর্শের উল্লেখ করতে থাকেন। শেষ বছরগুলোতে মুজিব তাঁর স্বভাবসুলভ “জয় বাংলা” অভিবাদনের বদলে ধার্মিক মুসলিমদের পছন্দনীয় “খোদা হাফেজ” বলতেন।



বাকশাল

স্বাধীনতার পরে অচিরেই মুজিবের সরকারকে ক্রমশ বাড়তে থাকা অসন্তোষ সামাল দিতে হয়। তাঁর রাষ্ট্রীয়করণ ও ইণ্ডাস্ট্রিয়াল সমাজতন্ত্রের নীতি প্রশিক্ষিত জনবল, অদক্ষতা, মাত্রাতিরিক্ত দুর্নীতি আর দুর্বল নেতৃত্বের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মুজিব অতিমাত্রায় জাতীয় নীতিতে মনোনিবেশ করায় স্থানীয় সরকার প্রয়োজনীয় গুরুত্ব লাভে ব্যর্থ হয়। আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রীয় সরকার পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ করায় গণতন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়ে। এ সময় তৃণমূল পর্যায়ে কোন নির্বাচনই অনুষ্ঠিত হয় নি। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের মধ্যে কমিউনিস্ট এবং ইসলামি মৌলবাদীরা অন্তর্ভুক্ত ছিল। বাংলাদেশকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ঘোষণা করায় ইসলামিক গোত্রের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ পদে আপনজনদের নিয়োগ দেয়ার জন্য মুজিবের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ আনা হয়। ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ খাদ্য সংকট আরো বাড়িয়ে দেয় এবং অর্থনীতির প্রধান উত্স কৃষিকে ধ্বংশ করে ফেলে। রাজনৈতিক নেতৃত্বের অভাব, দ্রব্যমূল্যের অসামঞ্জস্যতা, রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহের ব্যর্থতার কারণে মুজিবকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।

রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সংঘাতের মাত্রা বাড়তে থাকায় মুজিবও তাঁর ক্ষমতা বাড়াতে থাকেন। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি মুজিব জরুরি অবস্থা জারি করেন এবং তাঁর রাজনৈতিক সমর্থকদের অনুমোদনের মাধ্যমে সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তদুপরি ৪টি বাদে সকল সংবাদপত্র নিষিদ্ধ করা হয়। মুজিবকে আজীবন রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয় এবং চূড়ান্ত ক্ষমতা প্রদান করা হয়। তাঁর রাজনৈতিক সমর্থকেরা একত্রিত হয়ে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ নামের রাজনৈতিক দল গঠন করে। সংক্ষেপে বাকশাল নামে পরিচিত এ দলটি তখন একমাত্র বৈধ দল ছিল। দলটি প্রত্যন্ত জনসাধারণ, কৃষক ও শ্রমিকদের প্রতিনিধি হিসেবে নিজেদের বিবেচিত করে রাষ্ট্রযন্ত্রের কর্তৃত্ব গ্রহণ করে। দলটি বৃহৎ সমাজতান্ত্রিক কর্মকাণ্ড গ্রহণ করে। সরকারি বাহিনীর সাথে সমর্থকদের নিয়ে গঠিত জাতীয় রক্ষী বাহিনীর সহায়তায় মুজিব বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার করেন এবং সারাদেশের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের উপর কড়া নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেন। রক্ষী বাহিনী এবং পুলিশের বিরুদ্ধে অত্যাচার ও রাজনৈতিক হত্যার অভিযোগ ওঠে। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারীরা মুজিবের উপর অসন্তুষ্ট হয়ে ওঠেন এবং তাঁর কর্মকাণ্ডকে গণতন্ত্র ও নাগরিক অধিকারবিরোধী বলে গণ্য করেন। মুজিবের বিরোধীরা অসন্তোষ ও সরকারের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে একত্রিত হয়ে ওঠে।



ইতিহাসের কালো অধ্যায়ঃ হত্যাকাণ্ড

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট প্রত্যূষে একদল তরুণ সেনা কর্মকর্তা ট্যাঙ্ক দিয়ে রাষ্ট্রপতির ধানমণ্ডিস্থ বাসভবন ঘিরে ফেলে এবং শেখ মুজিব, তাঁর পরিবার এবং তাঁর ব্যক্তিগত কর্মচারীদের হত্যা করে। কেবল তাঁর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করার কারণে বেঁচে যান। তাদের বাংলাদেশে ফিরে আসার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সেনা অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করেন বিক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সামরিক কর্মকর্তারা। এদের মধ্যে ছিলেন শেখ মুজিবের প্রাক্তন সহকর্মী খন্দকার মোশতাক আহমেদ, যিনি তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন, এবং ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৫ তারিখে মুজিব হত্যাকাণ্ডের বিচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে খন্দকার মোশতাক সরকার ইমডেমনিটি (দায়মুক্তি) অধ্যাদেশ জারি করেন এবং জেনারেল জিয়াউর রহমান ও পাকিস্তানপন্থী প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীতে তার বৈধতা দেয়া হয়। যা ১২ অগাস্ট, ১৯৯৬ তারিখে সংসদে রহিত করা হয়।। সংবাদ মাধ্যমে এ হত্যা কান্ডের ইন্ধনদাতা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সেণ্ট্রাল ইণ্টেলিজেন্স এজেন্সি সিআইএ-কে দায়ী করা হয়। বাংলাদেশে অবস্থিত তৎকালীন রাষ্ট্রদুত ইউজিন দিয়ে লরেন্স লিফসুল্জ সিআইএ-কে অভ্যুত্থান ও গণহত্যার জন্য দোষারোপ করেন। তাঁর মরদেহ তাঁর জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়ায় হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সামরিক তত্ত্বাবধানে দাফন করা হয়। অন্যান্যদের ঢাকার বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।



১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট চ্যান্সেলর হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ছিল বঙ্গবন্ধুর । ১৪ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু রাত সাড়ে আটটার দিকে গণভবন থেকে বাড়ি ফেরেন। ১৪ই আগস্ট রাতে কাওরান বাজারে একটি ট্যাংক দেখা যায়, পিজি হাসপাতালের সামনে আরেকটি ট্যাংক দেখা যায় । মতিঝিলের কাছে আরো একটি ট্যাংক । এক কিলোমিটারের ব্যবধানে ৩টি ট্যাংক । আবার ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটের সামনে আরেকটি ট্যাংক। সেদিন রাতে খন্দকার মোশতাক আহমেদের ৫৪ নং আগামসি লেনের বাসায় মেজর রশিদ এবং তাহেরউদ্দিন ঠাকুরের আগমন। ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্বর্ধনা জানানো হবে বলে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন কাজ করে মুজিবপুত্র কামাল সেদিন মধ্যরাতে বাড়ি ফেরেন। ঢাকা সেনানিবাসও ব্যস্ত, কর্নেল ফারুক বেঙ্গল ল্যান্সারের উদ্দেশ্য ভাষণে বলে – মুজিব সেনাবাহিনীদের শেষ করে দেবে এবং ল্যান্সারদের বাতিল করবে এবং ধর্মের দোহাই দিয়ে বলে –

এবার আঘাত হানার সময় এসেছে।



ঘাতক চক্র তিন লাইন করে বেরিয়ে পড়ে। মাত্র দুই কিলোমিটার দূরেই তাদের লক্ষ্যবস্তু । গভীর রাতে রক্ষীবাহিনী তড়িঘড়ি করে শেরেবাংলা নগরস্থ এমএনএ’র হোস্টেলের সামনে লুঙ্গী ও গেঞ্জি পরে অবস্থান নিলেও অজ্ঞাত কারণবশত কিছুক্ষণ বাদেই ফেরত যায়। একটি ট্যাংক পুরানো এয়ারপোর্টের রানওয়ে দিয়ে এসে একটি দেওয়াল ভেঙে রক্ষীবাহিনীর ক্যাম্পের দিকে ট্যাংকের বন্দুকের নলটি তাক করে। সে রাতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ৩০টি ট্যাংক অবস্থান নেয়। মুজিব ও তাঁর ভগ্নীপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবত এবং ভাগনে শেখ ফজলুল হক মণির বাড়ি ট্যাংক দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। সৈন্যরা চারদিক থেকে মুজিবের বাড়ির ওপর গুলি বর্ষণ করতে থাকে। একটি বুলেট মুজিবের ছোটভাই নাসেরের হাতে লাগে। মুজিব কয়েকজন অফিসারকে ফোন করেন, তাঁর স্ত্রী শাড়ির এক অংশ ছিড়ে নাসেরের রক্তাক্ত হাতে ব্যান্ডেজ বেঁধে দেন। কামাল ওপর থেকে নিচে নেমে এসে গার্ডদের অবস্থা নেওয়ার জন্য বলেন কিন্তু ততক্ষণে গার্ডরা নিরস্ত্র, এই মুহূর্তে মেজর হুদা কয়েকজনকে নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করলে গার্ডরা হুদাকে স্যালুট দেয় এবং মেজর হুদার সাথে থাকা একজন কামালকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। মুজিবের বাড়িতে আসার সময় সোবহানবাগে অবস্থানরত সৈন্যরা বিগ্রেডিয়ার জামিলের পথরোধ করে, জামিল নিজের পরিচয় দিলেও পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক তাকে অগ্রসর হতে দেওয়া হয়নি এবং জামিল জোরপূর্বক জীপ নিয়ে এগোতে চেষ্টা করলে তাকে গুলি করে মেরে ফেলা হয়। এদিকে সৈন্যদের অনেকে মুজিবের বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে এবং রেহানার বন্ধ কামরায় ঢুকে জিনিসপত্র তছনছ করে।

দেখি তারা কি চায় বলে চেক লুঙ্গী ও সাদা কুর্তা (পাঞ্জাবী) পরিহিত মুজিব নিজ কামরা থেকে বের হয়ে আসেন। সিড়িতে হুদার সঙ্গে দেখা হলে মুজিব জিজ্ঞাসা করেন -



ও’তুমি, কি চাও ?



হুদা বলে –



আমরা আপনাকে নিতে এসেছি



মুজিব একটু গম্ভীর গলায় বলেন



তোমরা কি আমার সঙ্গে তামাশা করছো আমি দেশকে সর্বনাশের পথে ঠেলে দিতে পারিনা



হুদা ঘাবড়ে যায়, এদিকে বাড়ির একজন কাজের লোক ক্রন্দনরত অবস্থায় বলে ওঠে –



কামাল ভাই আর নেই



হাবিলদার মোসলেহউদ্দিন ছাদ থেকে নিচে নামা অবস্থায় সিঁড়িতে মুজিবকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সাথে সাথে পেছন থেকে তাঁর স্বয়ংক্রিয় বন্দুক দিয়ে মুজিবের সমস্ত পিঠে গুলি করে ঝাঁঝরা করে ফেলে, মুজিব লুটিয়ে পড়েন মাটিতে। এদিকে সৈন্যরা মুজিবের বাড়ি থেকে হাতের সামনে যা যা পাচ্ছিলো তাই তাই লুটে নিচ্ছিলো, মুজিবের স্ত্রী মিনতি করে তাদের উদ্দেশ্যে বলেন -



তোমরা সবকিছু নিয়ে যাও কিন্তু আমাদের জীবন নিওনা

কিন্তু নিচে বন্দুকের গুলির বিকট শব্দে তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে এসে উপলব্ধি করেন, মুজিব আর নেই। তিনি ব্যাকুল হয়ে কেঁদে উঠে বলেন,

তোমরা ওকে শেষ করে দিয়েছ, আমাকেও আর রেখো না।



বেগম মুজিবকেও গুলি করে মেরে ফেলা হলো। শেখ জামাল, তার স্ত্রী রোজী এবং কামালের স্ত্রী সুলতানা তখন ছিলো ড্রেসিং রুমে , বন্দুকধারীরা সেই কামরায় ঢুকে স্টেনগান দিয়ে তিনজনকে চিরতরে শেষ করে দেয়। তারা নাসের কে একটি বাথরুমে আবিষ্কার করে, তাকে ওখানেই হত্যা করা হয়। রাসেল একটা ঘরের এক কোনায় ভীত হয়ে বসেছিল, তার চোখে পানি। সে কেঁদে বলে,



আমাকে আমার মায়ের কাছে নিয়ে চলো

একজন উন্মাদ বন্ধুকধারী বলে ওঠে –



চল তোকে তোর মায়ের কাছে পৌঁছে দিবো



একজন পুলিশ কর্মকর্তা রাসেলকে হত্যা না করার অনুরোধ জানালে তাকেও গুলি করে হত্যা করা হয়। এদিকে রাসেলের এক হাতে গুলি করা হয়, রাসেলের প্রচন্ড ব্যথায় ককিয়ে উঠে তার জীবন ভিক্ষার আবেদন করে, একটি বুলেটের মাধ্যমে তার জীবন ভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দেওয়া হয়।

সেইদিন বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা আর শেখ রেহেনা ছিলেন বিদেশে। আর সে কারণেই বেঁচে গেছেন তারা। ১৫ই আগস্ট কালোরাতে বাঙালি হারিয়েছিল তার প্রিয়নেতাকে, জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের নায়ককে। ষড়যন্ত্র, মিথ্যা আর অপপ্রচারে তাঁর আর বাঙালি জাতির সব অর্জনকে চাপা দেওয়ার সব চেষ্টাই বিগত বছরগুলো ধরে চলে আসছে।





১৯৭৫ সালে নিহত মুজিব পরিবারের সদস্যগণ:

মুজিবের স্ত্রী, তিন ছেলে এবং দুই পুত্রবধূকে রক্তাক্ত কাপড়েই বনানী গোরস্থানে দাফন করা হয়, কিন্তু নিজেদের ইসলামের সিপাহী বলে দাবী করা সেই তথাকথিত মুসলিম ঘাতক চক্র সেখানে কোন জানাজা কিংবা ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে দেয়নি। উপরন্তু কার কবর কোনটা, সেটাও চিহ্নিত করে রাখেনি। মুজিবের জন্যও বনানীতে কবর খোঁড়া হয়েছিলো, তবে মুজিবের লাশ এখানে দাফন করলে তার পরিণতি ভয়াবহ হবে এমন আশংকায় তারা ১৬ই আগস্ট সকালে একজন মেজর, একজন লেফটেন্যান্ট ও কিছু সৈন্যকে মুজিবের লাশসহ হেলিকপ্টারযোগে টুঙ্গিপাড়া পাঠায়। সেই দল গ্রামের মসজিদের ইমাম সাহেবকে ডেকে জিজ্ঞাসা করে গ্রামের লোকজন কি শেখ মুজিবের লাশ দাফন করবে ? উত্তরে জানানো হয়, যদি মরদেহ হস্তান্তর করা হয় তবে তারা দাফন করবে। গ্রামবাসীদের বলা হয়, তাদেরকে মুজিবের কবর ছাড়াও আরো ১০ -১২টি কবর খুঁড়তে হবে। দুপুর ২.৩০ নাগাদ সেনাবাহিনীর কয়েকজন সেই লাশ নিয়ে উপস্থিত হয়, সেখানে গোপালগঞ্জ মহকুমার ম্যাজিস্ট্রেট একটি পুলিশবাহিনী নিয়ে উপস্থিত ছিলেন। যদিও ইসলাম সম্মত নয়, তবুও মেজর চাচ্ছিলো কফিনসহ লাশ কবর দিতে। গ্রামবাসীরা দাবী করেন –



আমাদের লাশ দেখতে দিতে হবে

মেজর সংকুচিত হয়ে বলেন –

লাশ না দেখে কি কবর দেওয়া যায়না ?

মৌলভী শেখ আব্দুল হালিম বলেন –

যায়, তবে আপনাদের তাঁকে শহীদ বলে ঘোষণা দিতে হবে।



সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে লাগলো, তখন মৌলভী বলেন –

আপনারা কি তার দাফন কাফন ইসলামিক আইন অনুযায়ী করতে চান না ?



শুনে চারিদিক নীরব নিস্তব্ধ। উত্তেজনাকর মুহূর্ত । অফিসারেরা দোটানায়। যদিও ওপর থেকে কঠোর নির্দেশ – গ্রামবাসীদের মুজিবের মরদেহ দেখানো যাবেনা। কিন্তু তারা উপলব্ধি করলো যে, যদি একজন মুসলমানকে মুসলমান গ্রামবাসীদের সামনে ইসলামী আইন অনুযায়ী কবর দেওয়া না হয়, তাহলে সেখানে বিদ্রোহের সৃষ্টি হতে পারে। এই কথা চিন্তা করে মেজর বললো –



হ্যাঁ, ইসলামিক আইন অনুযায়ীই হবে তবে তাদের উপস্থিতিতেই কাজটি সম্পন্ন করতে হবে।

কফিন খোলা হলো। মুজিবের সারা দেহ বুলেটের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত এবং বরফ দেওয়া সারা কফিনটি লাল রক্তে মাখামাখি । গ্রামবাসীরা কফিনের আশেপাশে ভীড় জমাতে লাগলো এবং হতভম্ব ও নির্বাক হয়ে গেল। এদিকে পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলো থেকে শত শত মানুষ ছুটে আসতে শুরু করলো, তাদেরকে লাশের সামনে পৌঁছুতে বাধা দেওয়া হলো, কিন্তু যে কোন মুহূর্তে তারা সে বাধা ভেঙে এগিয়ে আসতে পারে, এজন্য প্রথমে এক লেফটেন্যান্ট চিৎকার করে তাদেরকে ফিরে যেতে বললো এবং ইমামকে বললো তাড়াতাড়ি করতে। আর মেজর কুকুরের মত ঘেউঘেউ করে চেঁচিয়ে উঠলো –

আপনাদের আর পাঁচ মিনিট সময় দেওয়া হলো।



বঙ্গবন্ধুর লাশ যেভাবে দাফন হয়েছিল

মুজিবের লাশ তার গ্রামের বাড়ীর বারান্দাতে রাখা হয়। মুজিবের দেহে ৩৫টি বুলেট বিদ্ধ হয়েছিলো, ১টি বুলেট একটি অটোমেটিক রিভলভারের মাধ্যমে তার পেছন দিয়ে শরীরে ঢোকে, অর্থাৎ মোসলেহউদ্দিন ছাড়াও আরেকজন তাঁকে গুলি করেছিলো। মুজিবের পরনের কুর্তার পকেটে ধূমপানের পাইপ ও ভাঙা চশমাটি ছিলো। মুজিবের গ্রামের বাড়িতে ঐ মুহূর্তে কেউ ছিলেন না, আশেপাশের সকল দোকান পাটও বন্ধ ।একজন গ্রামবাসী একটি সাবান নিয়ে আসে। লাশের শেষ গোসলের জন্য গরম পানির ব্যবস্থা করা হলোনা। লাশ থেকে রক্ত পরিস্কার না করা হতেই উপস্থিত মেজর আবার ঘোঁতঘোঁত করে উঠলো –

তাড়াতাড়ি করুন, আপনাদের আর কত সময় লাগবে।



মুজিবের মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত সায়েরা খাতুন হাসপাতাল থেকে কয়েকজন গ্রামবাসী ৪টি শাড়ি নিয়ে আসেন। তারা শাড়ির লাল পাড় ছিড়ে ফেলেন কিন্তু মেজর কাফন সেলাই করতে দিলো না। জানাজা হবে কিনা এমন প্রশ্নে মেজর সম্মতি জানালো এবং বললো তারা জানাজায় অংশগ্রহণ করবে কিনা।পুলিশ উত্তরে বললো- তারা যদি পাক পবিত্র অবস্থায় থাকে তবেই তারা জানাজায় অংশ নিতে পারবে। তারা জানাজায় অংশ নিতে ব্যর্থ হলো। মুজিবকে তাঁর পিতার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হলো ।



শেষ হল ইতিহাসের এক মহা নায়কের শেষ বিদায়।





খুনিচক্র

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ১২ আসামির ৬জনই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আছেন। কেউ যুক্তরাষ্ট্র, কেউ কানাডা, পাকিস্তান বা থাইল্যান্ডে। তবে বেশির ভাগ পলাতক শুধু আত্মগোপনে নয়, প্রতিনিয়ত দেশ ও জায়গা পরিবর্তন করছেন। পলাতক অবস্থায় মারা গেছেন বাকি একজন।



বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ফাঁসি হয়েছে ৫ আসামির। এরা হলেন, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, আর্টিলারি কোরের লে. কর্নেল মহিউদ্দিন, বরখাস্ত হওয়া সেনা কর্মকর্তা কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, মেজর বজলুল হুদা ও সেনাবাহিনীর ল্যান্সার ইউনিটের লে.কর্নেল একেএম মহিউদ্দিন।



বিদেশে পলাতক ৭ আসামির মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল আজিজ পাশা জিম্বাবুয়েতে অবস্থান করার সময় মারা গেছেন বলে জানা গেছে। বাকি ৬ জনের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল খন্দকার আবদুর রশিদ পাকিস্তানে, লে. কর্নেল নূর চৌধুরী ও লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিম কানাডায় এবং রিসালদার মোসলেমউদ্দিন থাইল্যান্ডে অবস্থান করছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ধারণা করছে, অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল এম এ রাশেদ চৌধুরী দক্ষিণ আফ্রিকায় এবং অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদ কেনিয়ায় অবস্থান করছেন। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন গত নভেম্বরে দাবী করেন, খুনিরা প্রতিনিয়ত অবস্থান পরিবর্তন করছে।



বিলম্বিত ও দীর্ঘতম বিচার

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ওই ঘটনায় মামলা দায়ের করতে লেগেছিল দুই যুগেরও বেশি সময়। বাঙালির জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের অবিসংবাদিত এই নেতাকে হত্যা করেছিল সে সময় সেনাবাহিনীর একটি চক্রান্তকারী চক্র। তাকে হত্যার পর ক্ষমতা কুক্ষিগত করেন ওই সময়কার আওয়ামী লীগ নেতা ও বানিজ্যমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমেদ। তিনি খুনীদের রক্ষায় জারী করেন দায়মুক্তি অধ্যাদেশ। আর সেই অধ্যাদেশ বাতিল করতে সময় লাগে ২১ বছর। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হলে ওই বছরই নভেম্বর মাসে বাতিল করা হয় কুখ্যাত এই অধ্যাদেশটি। আর একই বছরের অক্টোবরের ২ তারিখে বঙ্গবন্ধুর আবাসিক ব্যক্তিগত সহকারী আ ফ ম মুহিতুল ইসলাম ধানমন্ডি থানায় এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় ২৪ আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন। চার আসামী মারা যাওয়ায় ২০ জনের বিরুদ্ধে ওই মামলার বিচার কাজ শুরু হয় ১৯৯৭ সালের ১২ই মার্চ, ঢাকার দায়রা জজ আদালতে।



দেড়শ’ কাজের দিন শুনানির পর ১৯৯৮ সালে দায়রা জজ গোলাম রসুল ২০ আসামির মধ্যে ১৫ জনের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। ওই রায়ের পর কারাবন্দি চার আসামি অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর বজলুল হুদা, লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ ও বরখাস্ত লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান হাইকোর্টে আপিল করে।

হাইকোর্টের কয়েকজন বিচারপতি মৃত্যু নিশ্চিত করার এই আপিল শুনতে বিব্রতবোধ করেন। অবশেষে ২০০০ সালের জুনে বিচারপতি মো. রুহুল আমিন ও বিচারপতি মো. এবিএম খায়রুল হকের বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। ৬৩ কাজের দিন শুনানির পর হাইকোর্ট ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর এ মামলায় বিভক্ত রায় দেয়। বিচারপতি মো. রুহুল আমিন ১০ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। অপর বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ১৫ আসামির ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন।



২০০১ সালে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয় তৃতীয় বিচারপতি মো. ফজলুল করিমের আদালতে। তিনি ১২ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন। চূড়ান্ত রায়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা ১২ আসামির মধ্যে পরে ওই বছরই কারাবন্দি চার আসামির আপিল শুনানি শুরুর আবেদন বা লিভ টু আপিল দায়ের করে। সেনাবাহিনীর ল্যান্সার ইউনিটের লে.কর্নেল একেএম মহিউদ্দিনকে ২০০৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গ্রেফতার করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়। তিনিও মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরুর আবেদন করেন। ৬ বছর পর ২০০৭ সালে শুরু হয় ওই লিভ টু আপিল শুনানি। ২৫ কাজের দিন শুনানির পর আসামিদের আপিল শুনানি শুরুর অনুমতি দেন সর্বোচ্চ আদালত।

এরপর প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারপতির অভাবে শুনানি শুরু হতে পেরিয়ে যায় আরো ২ বছর। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এলে এই সমস্যার জট খুলে যায়। জুলাইয়ে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান আপিল বিভাগে ৪ জন বিচারপতিকে নিয়োগ দেন। গতবছর ৫ অক্টোবর বিচারপতি তাফাজ্জল ইসলামের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয়ে চলে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত। ১৯ নভেম্বর সর্বোচ্চ আদালত তার রায়ে আসামিদের আপিল খারিজ করে দিলে ১২ আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল থাকে।

বিচার প্রক্রিয়ায় এরপর আসামিরা রায় পূনর্বিবেচনার জন্য আবেদন জানায়। প্রধান বিচারপতি তাফাজ্জল ইসলামের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ গতকাল বুধবার তা খারিজ করে দেন। এরই মধ্যে একাধিক আসামি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করলে তাও নাকচ হয়ে যায়। দেশের প্রচলিত আইনি প্রক্রিয়া অনুসরন করে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধের ৩৪ বছর পর ৫ আসামির ফাঁসি শেষ পর্যন্ত কার্যকর হলো।



সমালোচনা ও কৃতিত্ব

কিছু কিছু ঐতিহাসিকদের মতে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের ভিতরের সংঘাত ও বৈষম্যগুলোকে শেখ মুজিবও তাঁর দল অতিরঞ্জিত করেছিল এবং স্বাধীনতা বাংলাদেশকে শিল্প ও মানবসম্পদের ক্ষেত্রে ক্ষতির সম্মুখীন করে। সৌদি আরব ও চীনা সরকার শেখ মুজিবের সমালোচনা করে এবং মুজিবের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অনেক দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি।

অনেক ইতিহাসবিদ মুজিবকে বিদ্রোহে মদদদাতা নেতা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন এবং তাঁদের মতে তিনি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে প্ররোচিত করলেও রাষ্ট্র পরিচালনায় অদক্ষ হিসেবে উল্লেখ করেন। বাংলাদেশের নেতা হিসেবে শাসনকালে, মুসলিম ধর্মীয় নেতারা মুজিবের তীব্র সমালোচনা করেন তাঁর ধর্মনিরপেক্ষতার নীতির কারণে। ভারতীয় সরকারের কাছ থেকে ব্যাপক সহযোগিতা গ্রহণ এবং গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও পররাষ্ট্রনীতিতে ভারতের সাথে একাত্মতার কারণে অনেকে মুজিবের উপর অসন্তুষ্ট হয়ে ওঠেন। সমালোচকদের অনেকে আশঙ্কা করেন বাংলাদেশ ভারতের উপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল হয়ে একটি স্যাটেলাইট রাষ্ট্রে পরিণত হবে। মুজিবের একদলের শাসন এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের দমন জনগণের একটি বড় অংশের অসন্তোষের কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং বাংলাদেশের বহুদলীয় গণতান্ত্রের চর্চাকে দীর্ঘসময়ের জন্য কক্ষচ্যুত করে।

১৯৯৬ সালে পুনরায় ক্ষমতায় যাওয়ার পূর্বে মুজিবের মৃত্যুর পরবর্তী সরকারগুলোর মুজিব বিরোধীতার কারণে তাঁর সম্পর্কে জনমনে নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হয়। তাঁর ভাবমূর্তি আবার ফিরে আসে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হয়ে ফিরে আসার পর। ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। তিনি এখনো আওয়ামী লীগের আদর্শগত প্রতীক হয়ে আছেন এবং দলটি মুজিবের সমাজতান্ত্রিক ভাবধারা ধারণ করে চলেছে। মুজিব বাংলাদেশ, ভারত ও বিশ্বের বাঙালি বুদ্ধিজীবিদের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত। পাকিস্তানের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং পাকিস্তানের গোষ্ঠীগত বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বাঙালিদের আন্দোলনকে স্বাধীনতার পথে ধাবিত করার জন্য তিনি ব্যাপকভাবে প্রশংসিত।

২০০৪ সালে বিবিসি'র বাংলা রেডিও সার্ভিসের পক্ষ থেকে সারা বিশ্বে যে জরিপ চালানো হয়, তাতে মুজিব সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে বিবেচিত হন।





এক নজরে শেখ মুজিবুর রহমানঃ



উপাধিঃ বঙ্গবন্ধু



জন্ম তারিখ: মার্চ ১৭, ১৯২০



জন্মস্থান: টুঙ্গীপাড়া, গোপালগঞ্জ জেলা, বঙ্গ,ব্রিটিশ ভারত

মৃত্যু তারিখ: ১৫ই আগস্ট, ১৯৭৫



মৃত্যুস্থান: ঢাকা, বাংলাদেশ



জীবনকাল: মার্চ ১৭ ১৯২০ – আগস্ট ১৫ ১৯৭৫



আন্দোলন:

বাংলা ভাষা আন্দোলন

ছয় দফা আন্দোলন

বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন



স্মরণীয় অর্জন: জুলিও কুরি পুরস্কার



দাম্পত্য সঙ্গী: বেগম ফজিলাতুন্নেসা



তথ্য সূত্রঃ উইকিপিডিয়া ও গুগল

মন্তব্য ২২৯ টি রেটিং +৪৩/-০

মন্তব্য (২২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:১৬

সবুজ-ভাই বলেছেন: আপনার কি ধারণা এই সরকারের আমলে সেটা সম্ভব ??

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:২৫

একজন আরমান বলেছেন:
কোনটা?

২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:২৯

সবুজ-ভাই বলেছেন: ভুলে যাওয়া !!

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:৪১

একজন আরমান বলেছেন:
কি ভুলে যাওয়া?
ভাই প্লিজ পুরো প্রশ্নটা একবারে করুন। আমি বুঝতে পারছি না আপনার কথা।
এই সরকারের আমলে কি ভুলে যাওয়া সম্ভব?

৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:২০

আসফি আজাদ বলেছেন: সর্বকালের?

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬

একজন আরমান বলেছেন:
অবশ্যই।

৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৩৪

মামুন রশিদ বলেছেন: কিছু বলার নাই ।


পোস্ট স্টিকি করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ মামুন ভাই।

৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৩৯

দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: শোকাবহ ১৫ ই আগষ্টে জাতির পিতাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরন করি। বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবুর রহমান কোনো দলের নয়, দলমতের ঊর্ধে তিনি। আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা। আমাদের সবারই উচিত আজকের এই জাতীয় শোকদিবসে দলমত নির্বিশেষে স্বাধীন বাংলাদেশের রুপকার বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরন করা। দেশের সাধারন মানুষ তাই করবে। দুইএকজন অকৃতজ্ঞ মানুষের কথায় কিছু যায় আসে না। এই মহান নেতার একচুল মাহাত্ম্য কমাতে পারবে না তাদের হিনমন্যতা।

জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু।

আজীবন তুমি সাধারন মানুষের মনে, স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখানো এবং বাস্তবে রুপদানের জন্য শ্রদ্ধার আসনে অমলীন থাকবে।



অসাধারন পোষ্ট আরমান ভাই। এই শোক দিবসে স্টিকি করে রাখার মত একটি পোষ্ট। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।


+++ এবং প্রিয়তে।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই।

৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৪১

স্বপ্নক বলেছেন: সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি কে?
কার মৃত্যুতে সর্বকালের সবচেয়ে বেশি বাংগালীরা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বকালের সবচেয়ে বড় জানাজায় অংশ নিয়েছিল? মানে সর্বকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি বা এদেশি বাংগালী কাকে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ভালবেসেছিল?

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪৫

একজন আরমান বলেছেন:
আমাদের থাবা বাবার জানাযায়ও লক্ষ মানুষের সমাগম হয়েছিল !!!

৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৫১

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আজকের দিনটি ক্ষমা প্রার্থনার,
ক্ষণগুলো নতমস্তকে কিছু শব্দ বুনবার,
শোকের প্রাবল্যে হওয়া কাতরতার,
আজকের সময়গুলো ভেঙে পড়ার।
আজ কালোর জয়, পিতৃশোকের লগ্ন,
চশমাটা, পাইপটা একান্তে-নিভৃতে ছুঁয়ে
ত্যাগিও অশ্রু খানিক, হও স্মৃতিতে মগ্ন!
আজ বাতাসের কান্নাগুলোর গল্প হবে,
বিষণ্ণ কষ্টগুলো আর্দ্র হয়ে জেগে রবে।

আজ স্বাধিকার পরাধীন হবার ইচ্ছে !
আজকের দিনটি কর্কশতার, বেদনার,
অস্তিত্বে নীলগুলো খুঁজে ফেরা কান্নার,
মাতমে মাতমে আবার উঠে দাঁড়াবার,
আবার কেঁদে কেঁদে হওয়া প্রেরনার।
আজকের ভোর প্রেমিকের মৃত্যুদিবস,
মাটিকে মুকে আঁকড়ে ধরে কাঁদা মহাত্মার
মহাপ্রয়াণ অস্বীকারিয়া বলা, তুমি নির্দোষ!
কান্নামাখা দরদে আবীর ঢেলে দেবার নির্মমতা
প্রত্যক্ষ করিনি বটে তবু জেনেছি সে আকুলতা!
জেনেছি কি আবেগে বেসেছো ভালো পিতা,
বেঁচেছে প্রেরনায় সে, জাগ্রত জনতা।


পিতাকে ভুলে যাবার ধৃষ্টতা কি সন্তানের তাকে? তাকে শুধুই ভালোবাসি, আজীবন বাসবো।

*ডাকনাম বঙ্গবন্ধু নাকি উপাধি এটা একবার রিচেক করবেন কাইন্ডলি?

পোস্ট অসাধারণ লেগেছে, মহাকাব্যের মতো পড়ে গেলাম! প্রিয়তে নিয়েছি। এবং অবশ্যই প্লাস।

পোস্টটি স্টিকি করার প্রয়োজন মনে করছি। জানিনা সামু কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিভঙ্গি, আমি বাংলাদেশী হিসেবে আমার মতামত জানালাম।

অনেক ধন্যবাদ আরমান ভাই, অনেক নতুন কিছু জানতে পারবো এই আশায় রইলাম, ডিটেইল পড়ে যদি কোন প্রশ্ন জাগে আবারও কমেন্ট করবো।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪৭

একজন আরমান বলেছেন:
বঙ্গবন্ধু উপাধি হলেও তাকে কিন্তু আমরা ওই নামেই ডাকি !

ধন্যবাদ দিকভ্রান্ত ভাই।

৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৫৫

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
আগেই প্রিয়তে নিয়েছি। আমিও পোস্ট স্টিকি করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪৭

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ স্বর্ণা।

৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:২২

ননদালীনাজ বলেছেন: সর্বশ্রে বংগাল -এর লিষ্টে নাকি খালেদা,হাসিনা,হোমু এরশাদ--- গো,আজমের নামও ছিল- খবর হাছা নাকি?

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪৮

একজন আরমান বলেছেন:
আপনি জানেন না?

১০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই বাংলাদেশের পথের দিশারীর জন্যে।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪৮

একজন আরমান বলেছেন:
বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।

১১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:০৬

মামুন হতভাগা বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা রইল জাতির জনকের প্রতি।অনেক প্লাস সহ শোকেসড।

পোষ্ট স্টিকি করার আবেদন রইল।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৫০

একজন আরমান বলেছেন:
বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।

ধন্যবাদ মামুন ভাই।

১২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: পোস্ট স্টিকি করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।


মেগা পোস্ট প্রিয়তে।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৫০

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ বর্ষণ।

১৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১৯

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: জোশ পোষ্ট।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৩৯

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ শরৎ দা।

১৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩

জানা বলেছেন:


শিরণামের শেষে 'মেগা পোস্ট' শব্দ দু'টো মুছে দেবার অনুরোধ রইলো @একজন আরমান।

ভাল একটি পোস্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪০

একজন আরমান বলেছেন:
মুছে দিয়েছি।

অনেক ধন্যবাদ আপু।

১৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬

জানা বলেছেন:

দুঃখিত,

শিরণামের= শিরোনামের

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪২

একজন আরমান বলেছেন:
বুঝেছি। :)

১৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫

কাজের কথা বলেছেন: কিছু মানুষের নাম কখনও মোছা যায় না। তেমনই একজন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নতুন প্রজন্ম অনেকেই জানে না এই মহান বাঙ্গলীর জীবনী।

স্বপ্নক, উত্তরটা কি হবে ? আপনার ফাকিস্তানী বাপ?

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৫১

একজন আরমান বলেছেন:
কিছু মানুষের নাম কখনও মোছা যায় না। তেমনই একজন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

১৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯

রাজীব দে সরকার বলেছেন: আমার বক্তব্য

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৫২

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ।

১৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩

টুনা বলেছেন: বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের উপর অনেক রাগ অভিমান থাকলেও এই দেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই দেশের জনগনের জন্য কি করে দিয়ে গেছেন তা দেশে থাকলে বুঝতে পারবেন না সবাই। কিন্তু প্রবাসে আসলে বুঝা যায় তিনি আমাদের কি দিয়ে গেছেন। রাস্ট্র নায়ক জিয়ার ব্যপারে না গিয়েও বলা যায়, শেখ মুজিব না থাকলে জিয়ার রাস্ট্র নায়ক হবার কোন সুযোগ থাকতো না। কারন তখন বাংলাদেশ নামের দেশটার জন্মই হতোনা।তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। শেখ মুজিব এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে যারা মিথ্যাচারে লিপ্ত তাদের আল্লাহ্‌ হেদায়াত করুন এবং সত্য প্রকাশ পাক এই দোয়া করি।

ধন্যবাদ সবাইকে।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪

একজন আরমান বলেছেন:
চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

১৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪

আসিক ইসলাম বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই বাংলাদেশের পথের দিশারীর জন্যে। আমিন........।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫

একজন আরমান বলেছেন:
আমিন।

২০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১

টুনা বলেছেন: শেখ মুজিব দেশ স্বাধীন করেছেন বলেই আমরা আজ অনেক বদনাম থেকে বেঁচে গেছি। আমার ব্যক্তিগত প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির ক্ষুদ্র একটা অংশ শেয়ার করলাম। আপনারটাও চিন্তা করে দেখুন-

Click This Link

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ।

২১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২

ভোরের সূর্য বলেছেন: জাতির জনক বল্লে ঠিক আছে কিন্তু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বিষয়টা বিতর্কিত। ওনাকে বিতর্কে টেনে না আনাই ভাল।শিরোনাম জাতির জনক।এরকম হলে ঠিক হত।কারন এটাতে অনন্ত কেউ দ্বিমত পোষন করবেনা।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭

একজন আরমান বলেছেন:
বিতর্কের ত কিছু দেখছি না।
ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।

২২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪

কাকপাখী বলেছেন: অসাধারন ।ধন্যবাদ আরমানকে এমন তথ্যবহুল পোস্ট দেবার জন্য ।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই।

২৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০১

মদন বলেছেন: তথ্যবহুল চমৎকার একটি লেখা।
স্টিকীর জন্য সামুকে ধন্যবাদ।

ভালো-মন্দ মিলিয়ে মানুষ। আল্লাহ তার সমস্ত অপরাধ ক্ষমা করে জান্নাত নসীব করুন।
আমীন

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮

একজন আরমান বলেছেন:

ধন্যবাদ ভাই।
আমিন।

২৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। স্টিকি করাতে সামুকে ধন্যবাদ।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই।

২৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩০

সৈয়দ ফয়সল রেজা বলেছেন: জয় বাংলা!!!! জয় বঙ্গবন্ধু!!!

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯

একজন আরমান বলেছেন:
জয় বাংলা!!!! জয় বঙ্গবন্ধু!!!

২৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩১

ডাব্বা বলেছেন: জীবনে যতবারই এই নৃশংসতার বর্ণনা পড়ি, ততবারই রাসেল এর মৃত্যুর জায়গাটায় এসে আমি কখনোই ঠিক থাকতে পারি না। আল্লাহ তোমাদের সবাইকে বেহেশত্‌ নসীব করুন।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫০

একজন আরমান বলেছেন:
আমিন।

২৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩২

এস দেওয়ান বলেছেন: যার শরীরে বাঙালির রক্ত আছে সে কখনোই বঙ্গবন্ধুকে ভুলতে পারবে না । আমি বাঙালি, কি করে ভুলি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালিকে ?

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫০

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই।

২৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬

লাল চাঁন বলেছেন: কৃত্বিমানের মৃতু্ নেই! তার আত্বার মাগফিরাত কামনা করছি।
ধন্যবাদ দারুন পোষ্টের জন্য

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫২

একজন আরমান বলেছেন:
আমিন।

২৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭

ভিয়েনাস বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই জাতির পিতা বংগবন্ধু কে ....

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩

একজন আরমান বলেছেন:
বিনম্র শ্রদ্ধা

৩০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬

ফাহীম দেওয়ান বলেছেন: আল্লাহ তায়ালা এমন মহান নেতাকে বেহেস্ত নসীব করুন। এই বাংলা যেন আর একবার এমন নেতা পায় সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য বাকী কাজটুকু স্বম্পন্ন করতে, এই দেশটাকে প্রেতাত্মাদের রাহু মুক্ত করতে।

জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪

একজন আরমান বলেছেন:
আমিন।
জয় বাংলা।

৩১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:

চমৎকার পোস্ট হয়েছে আরমান ভাই।
না, আমরা ওনাকে কখনো ভুলিনি, ভুলব না।

পোস্ট স্টিকি হওয়ায় সামুর মডুদের ধন্যবাদ।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই।

৩২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩

mukidahmad বলেছেন: sorbokaler sorbo shesto banglai jatir jonk tumake janai soto kuti salam

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই।

৩৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫

mukidahmad বলেছেন: sorbokaler sorbo shesto banglai jatir jonk tumake janai soto kuti salam

৩৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮

আল ইফরান বলেছেন: স্বাধীন দেশ হিসেবে যতদিন বাংলাদেশ টিকে থাকবে, ততদিন বংগবন্ধুর নাম উচ্চারিত হবে।
তথ্যবহুল চমৎকার একটি লেখা।
লেখককে ধন্যবাদ।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪৮

একজন আরমান বলেছেন:
আপনাকেও ধন্যবাদ।

৩৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: শ্রদ্ধাঞ্জলী রইলো!

না ভোলা সম্ভব না কোনদিনই না!!

পোস্টটি স্টিকি করায় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই!!

আরমান ভাই আপনাকে ধন্যবাদ এই পোস্টের জন্যে!!

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫২

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকেও। ভালো থাকুন সবসময়।

৩৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮

দখিনা বাতাস বলেছেন: বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, বন্গবন্দুর নামও ততদিন থাকবেই। সুন্দর পোস্টের জন্য "একজন আরমান"কে অসংখ্য ধন্যবাদ +++++++

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:০২

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকেও। ভালো থাকুন সবসময়।

৩৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪

লেখোয়াড় বলেছেন:
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চিরকালের, সর্বকালের।
বিনম্র শ্রদ্ধা আর শ্রদ্ধাঞ্জলি এই মহামানবকে। কেউ তাকে কোনদিন ভুলবে না।

আরমান আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এই সুন্দর পোস্টটি দেওয়ার জন্য।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০০

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকেও। ভালো থাকুন সবসময়।

৩৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯

সাবু ছেেল বলেছেন: কেউ যদি কোন তথাকথিত "বড় জানাজা"দিয়ে ব্যক্তিত্বের "মহত্ব"বুঝাবার চেষ্টা করে তবে তার প্রতি রইলো আমার হৃদয়ের করুণা ও অশেষ আফসোস!

একটি পরিবারের অধিকাংশ সদস্য শহীদ হয়েছে,আর এ কারণে যারা "অকারণে"উল্লসিত;তাদের এমনকি "পশুত্ব"নিয়েও সন্দেহের অবকাশ রয়েছে বৈকি! মনুষ্যত্বের কথাতো বাদই রাখলাম!!!

ভাবতে ভীষণ অবাক লাগে-একটি মানুষ সারা জীবন অক্লান্ত পরিশ্রম,জেল-জুলুম সহ্য করে গেলো এই দেশের জন্য আর "একটি রাতের"ঘোষণার জন্য "একজন"কিনা হয়ে গেলো ঐ "মহা পর্বতের"সমতুল্য??

ধিক আমাদের সেই স্বত্বাকে,যে স্বত্বা "পর্বত" ও "ঢিবিকে" একই পাল্লায় পরিমাপ করার অপপ্রয়াস চালায়!!!

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬

একজন আরমান বলেছেন:
এই পোষ্ট কারো সাথে কারো তুলনা বা কাউকে বড় বা ছোট করা উদ্দেশ্য নয়। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানতেই এই পোষ্ট এটা কোন রাজনৈতিক পোষ্ট নয়। তাই সকলের প্রতি আমার অনুরোধ পোষ্ট সম্পর্কিত কথা বলার জন্য।

ধন্যবাদ।

৩৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: আমি যে বিদ্যালয়ে পড়াই সেখানে আমার এক সহকর্মীকে সেদিন বলছিলাম আচ্ছা আপনারা মুসলিমরা বাঙালি নাম না রেখে বেশিরভাগ আরবীয় নাম রাখেন কেন? উত্তরে আমার সেই সহকর্মী জানালেন বাঙালি পরিচয়টা তুলনায় ছোট পরিচয়, মুসলিম পরিচয়টাই বড় পরিচয়। সেটাই নামকরণে তাই আগে আসে। সাগর আর পুকুরের তুলনামূলক উপমাও তিনি এ প্রসঙ্গে ব্যক্ত করলেন।
আমি তখন তাকে বাংলাদেশ গঠন ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেন বাংলাদেশের মানুষ ভুল করেছে। ইন্দিরার ক্রীড়নক হয়ে গেলেন মুজিব। ইন্দিরার চালে চলে বাংলাদেশ করে সেখানকার মানুষ ভুল করল। অখণ্ড একটা ইসলামিক রাষ্ট্রকে ভাঙা উচিৎ হয় নি।
আমি বললাম এ তো অনেকটা জামাত এর যুক্তির কাছাকাছি যাচ্ছে। তিনি বললেন, জামাত কিছু বাড়াবাড়ি করে থাকতে পারে, হত্যা ইত্যাদি, কিন্তু তাদের যুক্তিটাই সঠিক ছিল।
আমি খানিক হতাশ হলাম তার ভাবনার ধরণ দেখে। কিন্তু এও ভাবলাম গণতন্ত্রে সব মত সব যুক্তিই খোলামেলা ভাবে আলোচনা হওয়া উচিৎ। তাই বললাম, এ বিষয়ে 'এটলিস্ট উই এগ্রি টু ডিসএগ্রি'। ভিন্নমতের অধিকার রক্ষিত হোক।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪

একজন আরমান বলেছেন:
আপনার সহকর্মী একজন জামাতি হওয়ার সম্ভবনাই বেশি সেটা আপনার বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আপনার প্রশ্নের তার উত্তরে অনেকটাই স্পষ্ট। আবার মুসলিমরা বাঙালি নাম না রেখে বেশিরভাগ আরবি নাম রাখেন কেন? আপনার এই ধরণের প্রশ্নও করাটাও আমার কাছে আপনাকে ঠিক ঠিক অবান্তর মনে হয়েছে। কেন না দেশ ও ধর্ম এক নয়। দুটো পরিচয়ই প্রতিটি মানুষের সমান্তরাল থাকতে পারে। আমি জানতে পারি আপনি কোন ধর্মে বিশ্বাসী? আমার ধারনা যদি ভুল না আর আপনার ঘোয়াল পদবি দেখে মনে হচ্ছে আপনি হিন্দু। আমি যদি আপনার কাছে জানতে চাই- হিন্দু বাঙ্গালীরা বাংলা নাম না রেখে সংস্কৃত নাম রাখে কেন?

তবে আশা করবো পরবর্তীতে অন্তত আমার পোষ্টে পোষ্ট সম্পর্কিত কমেন্টস করবেন এবং ধর্ম সম্পর্কিত অসামঞ্জস্য কমেন্টস থেকে বিরত থাকবেন ।

৪০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮

গোর্কি বলেছেন: যতকাল রবে পদ্মা, মেঘনা
গৌরী, যমুনা বহমান
ততকাল রবে কীর্তি তোমার
শেখ মুজিবর রহমান।




জাতীয় শোকের এই মাসে আমরা ব্যথিত চিত্তে স্মরন করি জাতির পিতাকে।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪০

একজন আরমান বলেছেন:

ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্যের জন্য।

৪১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯

ফুরব বলেছেন: আরমান সাহেব আপনার ভাষন গতানুগতিক তবে সবচেয়ে লজ্জার ও হাস্যকর বিষয় হলঃ-- হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বা মহামানব বা জাতিরজনক যাহাই বলার চেষ্টা করেন না কেন এটা শুধু আওয়ামীলীগের সমর্থকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ।। দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠী এটা স্বীকার করে না।

একটা উদাহরন দেইঃ শেখ মুজিব কে যেদিন স্ব পরিবারে হত্যা করা হয় তার পরদিন বাংলাদেশের আপামর জনতা সস্থির নিঃশ্বাস ফেলেছিল আর বলেছিল ক্ষুদে হিটলারের পতন হয়েছে। ঢাকার রাজপথে আনন্দ মিছিল বের করেছিল জনতা। শেখ মুজিবের সুনাম করার মত একজন লোক ও ছিল না বাংলাদেশে।।

আরও লজ্জাকর কাজ হল জাতির জনক উপাধি জাতির হাত পা বেধে আদালতের মাধ্যমে জাতির উপরে চাপানো হয়েছে। যা পৃথিবীর কোণ সভ্য দেশে এর নজীর নাই। দরকার ও পরে না।।

আপনি আপনার লেখায় শুধু মুজিবের গুনকির্তন করেছেন মুজিবের অপকর্ম গুলো তুলে ধরেননি বা তা করার সাহস ও আপনার নাই।।

তবে মুজিবের স্বজন প্রীতি রাজনৈতিক অদুরদর্শিতা বা চরম ব্যার্থতার কারনেই বাংলাদেশে বিকল্প রাজনৈতিক নেতৃত্বের সৃষ্টি হয়েছে।। এবং সত্যিকারের দেশ প্রেমিক জনতা আওয়ামিলিগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

আরমান সাহেব আপনার ভাষন গতানুগতিক তবে সবচেয়ে লজ্জার ও হাস্যকর বিষয় হলঃ-- হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বা মহামানব বা জাতিরজনক যাহাই বলার চেষ্টা করেন না কেন এটা শুধু আওয়ামীলীগের সমর্থকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ।। দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠী এটা স্বীকার করে না।

দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠী বলতে কাদের বুঝালেন বুঝতে পারলাম না! আপনি নিজেই বলেছেন শুধু আওয়ামী লীগের সমর্থকদের মধ্যেই এই ধারণা সামীবদ্ধ। গত ৪ টার্মের নির্বাচনে কিন্তু ভোটের সংখ্যা যদি হিসেব করেন তাহলে কিন্তু তা আওয়ামী লীগেরই বেশি ছিলো এবং এমন অনেক নীতিবান ভিন্ন দলের সমর্থকরাও এটা স্বীকার করে বঙ্গবন্ধু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী যা এই পোষ্টেও মন্তব্যে দেখে নিবেন প্রমান আছে।

একটা উদাহরন দেইঃ শেখ মুজিব কে যেদিন স্ব পরিবারে হত্যা করা হয় তার পরদিন বাংলাদেশের আপামর জনতা সস্থির নিঃশ্বাস ফেলেছিল আর বলেছিল ক্ষুদে হিটলারের পতন হয়েছে। ঢাকার রাজপথে আনন্দ মিছিল বের করেছিল জনতা। শেখ মুজিবের সুনাম করার মত একজন লোক ও ছিল না বাংলাদেশে।

আমি অস্বীকার করতে চাই না সে সময় কিন্তু অস্থির ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু তাই আপামর জনতা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে তা হলে তা মানতে পারছি না। আপনি এই উদাহরণ কোন সুত্র থেকে টেনেছেন জানি না। তবে সেদিন পুরো ঢাকায় ১৪৪ ছিলো এবং উল্লাস হয়েছে তা ছিলো একদল বিপদ্গামী সৈনিকের। শেখ মুজিবের সুনাম করার মত একজন লোকও যদি না থাকতো সে সম্য তাহলে আমার আশেপাশের অনেক বয়স্ক মানুষকেই দেখি যারা ৭১ এর আগেই জন্মগ্রহন করেছে তার প্রশংসা করতে।

আরও লজ্জাকর কাজ হল জাতির জনক উপাধি জাতির হাত পা বেধে আদালতের মাধ্যমে জাতির উপরে চাপানো হয়েছে। যা পৃথিবীর কোণ সভ্য দেশে এর নজীর নাই। দরকার ও পরে না।।

আসলেও লজ্জার বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্থপতি এবং সার্বজনীনভাবে তা সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য তাও আমাদের আদলতের মাধ্যমে তা প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়োজনীয়তা পড়েছে গুটিকয়েক নিচু মানসিকতার মানুষের জন্য।

আপনি আপনার লেখায় শুধু মুজিবের গুনকির্তন করেছেন মুজিবের অপকর্ম গুলো তুলে ধরেননি বা তা করার সাহস ও আপনার নাই।।

আমি আশা করছি আপনি রেফারেন্সসহ একটা পোষ্ট দিবেন। আমি যুক্তিযুক্তভাবে আপনার সেই পোষ্টে কমেন্টস করে আসবো।

তবে মুজিবের স্বজন প্রীতি রাজনৈতিক অদুরদর্শিতা বা চরম ব্যার্থতার কারনেই বাংলাদেশে বিকল্প রাজনৈতিক নেতৃত্বের সৃষ্টি হয়েছে।। এবং সত্যিকারের দেশ প্রেমিক জনতা আওয়ামিলিগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

মানুষমাত্রই স্বজনপ্রীতি করবে সেটাই স্বাভাবিক আর কিন্তু সে যদি যাই করতো তাহলে উনি মরতেন না। মোশতাকের মতো কালসাপ কে বিশ্বাস করে ছিলো বলেই তো উনি মরেছেন। আমি সেই দেশপ্রেমিক হতে চাই না।

ভালো থাকবেন।

৪২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০০

এস দেওয়ান বলেছেন: @সৌভিক ঘোষাল, যারা মৌলবাদী বা জামাতী তাঁরা মনে করে বাঙালির ঘরে জন্ম নিয়ে তাঁরা ভুল করেছে তাই এই মুর্খরা নিজের জাতকে ছোট মনে করে ।
আপনার প্রশ্ন; বাঙালি মুসলিমরা আরবি ভাষায় নাম কেন রাখে ? এর উত্তর হলো- শুধু ধর্মীয় কারণে । আমাদের দেশের খৃস্টান ও বৌদ্ধরাও একই রোগে আক্রান্ত ।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৯

একজন আরমান বলেছেন:
@সৌভিক ঘোষাল

৪৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বঙ্গবন্ধু এবং তার শহীদ পরিবারের সকল আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা ও লাল ছালাম ।।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ পরিবেশ ভাই।

৪৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩

ফুরব বলেছেন: এস দেওয়ান শেখ মুজিব নিজেই স্বাধীনতা বিরোধী ছিলেন যার উজ্জ্বল প্রমান ৬দফা। ৬ দফা না পড়ে থাকলে আবার পড়ে নিন সব ক্লিয়ার হয়ে যাবে।। শেখ মুজিব ছিল চরম ক্ষমতা লোভী যার চরম পরিনতি ১৫ আগষ্ট।।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:০১

একজন আরমান বলেছেন:
ভালো গবেষণা !!!

৪৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫

আদনান০৫০৫ বলেছেন: উনার লাশের গোসল দেয়ার জন্যে সময় দিছিলো মাত্র ৩ মিনিট, গোসল দেয়ার লোক বারবার বলছিলেন এত কম সময়ে গোসল পাক হবেনা- মানবিক বোধ লোহার মেশিনের কাছে বন্ধক রাখা সেনারা মানতে চাইলোনা।

আর এত সুন্দর করে ঘটনাগুলো বর্ণনা দেয়ার পরেও যখন না পড়েই কেউ মন্তব্য করে- জানাযায় অংশ নেয়া মানুষের সঙ্খ্যা দিয়ে জনপ্রিয়তা যাচাই করে - বিকারগ্রস্ততা নিয়ে বিরক্ত না হয়ে পারিনা।

দেওয়ানবাগী বা চরমোনাই পীররা তাহলে বাংলাদেশের সর্বকালের সেরাদের একেকজন - তাদের জানাযায় মানুষের সঙ্খ্যা ৩-৪ লাখ পার হবেই।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭

একজন আরমান বলেছেন:
ঠিক বলেছেন ভাই। সেই সময় কারফিউ আর ভয়াবহ পরিস্থিতির কারনে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারেনি।

৪৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫

হাছন রাধা করিম বলেছেন: সময়ের প্রয়োজনে নেতার সৃষ্টি হয়। শেখ সাহেবকে সময়ই নেতা বানিয়েছিলো। ইতিহাসের পাতায় তিনি বাংলাদেশের একজন শ্রেষ্ট সন্তান হিসাবেই স্হান পাবেন। কিন্তু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট? এটা একটু বেশী হয়ে গেলোনা?

তিনি দোষে গুনেই একজন মানুষ ছিলেন। তিনি শুধই একজন নেতা ছিলেননা, একজন প্রশাসক ও ছিলেন এবং ওনার অসংখ্য ভুল ভ্রান্তি ছিলো যা কলমের আচড়ে মুছে ফেলা যাবেনা কখনোই।

যারা ওনাকে নিয়ে কুৎসিত কথাবার্তা বলেন তারা যেমন ভুলের মাঝে রয়েছেন, তেমনি আপনারা যারা ওনাকে মহামানব বানানোর প্রচেষ্টায় রত আছেন আপনারা ও ভ্রান্তির মাঝে রয়েছেন। আল্লাহর ওয়াস্তে এটা বন্ধ করেন।

আল্লাহ রাব্বুল আ'লামিন যেনো ওনার সমস্ত ভুল ত্রুটি মাফ করে দেন এবং ওনাকে পরজীবনে জান্নাতবাসী করেন।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
ঠিক তাই উনিও দোষে-গুনে একজন মানুষ ছিলেন। তবে যেহেতু উনি বাংলাদেশ নামক দেশটি স্থপতি সেক্ষেত্রে তাকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বললে ভুল কিছু হয়নি। আরো অনেক মহান মানুষ জন্মগ্রহন করেছেন এইদেশে বা আরো জন্মগ্রহন করবে। কিন্তু তার নেতৃত্বে এই দেশের জন্য এই সম্মানটুকু অবশ্যই উনার প্রাপ্য।

ভালো থাকবেন।

৪৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭

হাছন রাধা করিম বলেছেন: @এস দেওয়ান: আপনার লাষ্ট কমেন্ট রিপোর্ট করা হলো।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ করিম ভাই। এদের মানুষিকটা অবনমিত হয়েছে।

৪৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৯

গোলক ধাঁধা বলেছেন: নাহ্ উনি অনেক অনেক দিয়েছেন আমাদের এই দেশের জন্য।একজন বাংলার লিডার হিসাবে এই বাংলাদেশের স্থপতি হিসাবে উনি নিঃসন্দেহে একজন শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি।দোষে গুনেই মানুষ।উনার ও অনেক ভুল ছিল পরবর্তিতে কিন্তু উনার অবদান যদি ভুলে যাই তাহলে অবশ্যি আমরা নিমখহারাম জাতি।এবং কখনই আমাদের তা ভুলা উচিত না।
কিন্ত মাঝে মাঝে আফসোস লাগে হাসিনা কি আসলেই এই বাপের বেটি?

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০

একজন আরমান বলেছেন:
চরম বলেছেন। তবে শেষ লাইনটা চখাম হইছে ;)

৪৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৪

বিপদেআছি বলেছেন:
শেখ মুজিব , বংগবন্ধু , জাতির পিতা, মি বাংলাদেশ।
শাসক হিসাবে উনার কর্ম আলোচনার দাবি রাখে , কিন্তু উনাকে অপমান করার অধিকার কোন বাংগালির নেই।

@এস দেওয়ান , নবী মোহাম্মদ(সা) কে বোঝার মত যোগ্যতা আপনার নেই। বংগবন্ধু নিজেও উনার অনুসারি ছিলেন, জুলুমবাজের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোই নবী মোহাম্মদ(সা) শিক্ষা। বাংগালি মুসলমান (মুলত যার অধিকাংশই তথাকথিত নিম্নবর্নের মানুষ) আজ মানুষের মর্যাদা নিয়ে মাথা তুলে বেচে আছে নবীজির কারনেই।ষে জন্যই ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ এ দেশে ফিরে বংগবন্ধু বলেছেন
আমি মুসলমান , আমি বাংগালি , আমি মানুষ।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ ব্রাদার। চমৎকার মন্তব্যে +++

৫০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১

তোমোদাচি বলেছেন: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সহ তাঁর পরিবারবর্গের করুণ মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছি!
আল্লাহ্‌ যেন তাদের বেহেস্তবাসী করেন!

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫২

একজন আরমান বলেছেন:
আমিন। ধন্যবাদ তোমোদাচি ভাই।

৫১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩২

বিপদেআছি বলেছেন: যতদিন বাংলাদেশ থাকবে , যতদিন বাংগালি থাকবে ততদিন বংগবন্ধুর নাম থাকবে। আওয়ামী লীগের বাড়াবাড়ি কিংবা খালেদার ভুয়া জন্মদিনের কেক ,কিছুই শেখ মুজিব এর নাম আমাদের হ্রদয় হতে মুছতে পারবেনা।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৪

একজন আরমান বলেছেন:
বঙ্গবন্ধু প্রতিটি দেশ প্রেমিক বাঙ্গালির হৃদয়ে সবসময় বেচে থাকবে।

৫২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৩

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: জাতীয় শোক দিবস এবং জাতীয় ঐক্যর আহবান ।।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪ |
শেয়ারঃ
0 0

বঙ্গবন্ধু এবং বাঙালির সকল শহীদ বীর আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও লাল
ছালাম ।।
************
প্রিয় দেশবাসী ও বন্ধুগন
***********
সমাজে মানবের ন্যায্য অধিকার আজ কোথায় , কাদের স্বার্থ কিসে উন্নয়ন । আমাদের দেশের
গণতান্ত্রিক ব্যাবস্থাপনা খুবই জটিল । এক দল চায় অন্যদলকে বিনষ্ট করে নিজেদের ক্ষমতার
অপব্যাবহার । ফলে সর্বক্ষেত্রে উন্নয়নে আসে বাধা , বাড়ে দুর্নীতি , দুঃশাসন । অন্যায় অসত্যর
দাপটে কুলুসিত হয় মানবের জীবনদ্বারা । হত দারিত্রতা আর অনিয়ম দুষ্কৃতির শিকার হয় জাতী । এসব হতে উত্তরণের জন্য একমাত্র উপায় সঠিক গনতান্ত্রিক অধিকার এবং জাতীয় ঐক্য ।।

এবার জানা যাক জাতীয় এক্য স্থাপন কিভাবে সম্ভব ।।
সরকারি দল যারা ক্ষমতায় থাকে তাদের উচিৎ বিরুধি দল গুলুকে পরিপূর্ণ মর্যাদা দেওয়া এবং
দেশের আত্তসামাজিক সর্বদিক উন্নয়ন খসড়া নিতিমালায় তাদের কে উচ্ছ পর্যায়ে সমান অধিকার দেওয়া ।

সব দলের মধ্য থেকে মন্ত্রি বা উচ্ছ নির্বাহী কমিটিতে বিরুধি দলের উপযুক্ত লোক নিয়োগ করা ।
সেবা স্বাস্থ্য , ও উন্নয়ন কেত্রে বিরুধি দল গুলুকে সহযোগী কর্মসংস্থানের পরিবেশ সৃষ্টি করা ।।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কর্ম পরিকল্পনায় প্রত্যক সভা সেমিনারে একাত্তভাবে কাজ করার উদ্দ্যুগ
নেওয়া ।
এবং দেশের জাতীয় সম্পদ রক্ষা ও বণ্টনে সবার সংশ্লিষ্ট সহযোগিতা থাকা ।।
তবেই জাতীয় এক্যর মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা ও দেশ কে বিশ্ব ব্যাপি তার স্বকীয়তায়
মাথা তুলে বাঙালী জাতীকে স্বনির্ভর করা সম্ভব ।।

আর আমাদের মধ্য জনগণের রায়ে যারাই সেবার ব্রত লয়ে কাজ করবে তাই হবে জনতার
অধিকার এবং গনতান্ত্রিক মূল্যায়ন ।।

আমার সাথে একমত প্রকাশ করে , দেশ ও জাতীর ধংশ যজ্ঞ থেকে মুক্তি চাই ।।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৪

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ।

৫৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬

গরম কফি বলেছেন: হাসান মাহবুব wrote: বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই বাংলাদেশের পথের দিশারীর জন্যে।

অসাধারন পোস্ট ।

আমরা এমন ই সৌভাগ্যবান জাতি আমাদের একটা দেশ আছে । বহু গ্রেট জাতি আছে তাদের দেশ নাই ,,আফছোচ তাদের জন্য তার চাইতে বর আফছোছ তাদের জন্য যারা এই প্রাপ্তির মূল্য বুঝেনা । একটি জাতির জন্য এরচাইতে বড় প্রাপ্তি আর কিছু হতে পারেনা । তাই একটি জাতি সর্বকালে একবারই এই পাওয়া পেতেপারে ,,,, আতএব....

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ গরম কফি। সহমত আপনার কমেন্টে।

৫৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০০

তিতুন বলেছেন: শেখ মুজিবর রহমান ছোটবেলা থেকেই আমার প্রিয় ব্যক্তিত্ব। তাঁর কথা ছিল 'কেউ খাবে, কেউ খাবে না, তা হবে না, তা হবে না। তাই যখন কেউ তাঁর 'বাকশাল' সিদ্ধন্তকে কেন্দ্র করে উপহাস করে তখন মনে কষ্ট পাই, কারণ মানুষ মাত্রই ভুল হয় আর তিনি তো স্বাধীনতার জনক, জাতির পিতা।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮

একজন আরমান বলেছেন:
মানুষ মাত্রই দোষে-গুনে সমন্বিত। তাই বলে ২/১ ভুলে এদেশকে দেয়া বাকী সব অবদান তো আর মিথ্যা হয়ে যাবে না।

ধন্যবাদ ভাই।

৫৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০৭

নেক্সাস বলেছেন: দুটো সম্প্রদায়। এক পক্ষ স্পষ্টতই মুজিব বিরোধী আর অন্য পক্ষ অন্ধ মুজিব প্রেমি।দুপক্ষের একটি জায়গায় মিল। এরা ২ পক্ষই এক্ষট্রিমিষ্ট। দুই পক্ষ মানুষ মুজিব নয় অন্য কোন দেবতা মুজিব কে নিয়ে বাক যুদ্ধে লিপ্ত।

এক পক্ষের উদ্দেশ্য যে ভাবেই হোক যে কোম মুল্যেই হোক শেখ মুজিবুর রহমান কে খলনায়ক বানাতে হবে। বিতর্কিত করতে হবে।

আরেক পক্ষের উদ্দেশ্য যে ভাবেই হোক, যে কোন মুল্যেই হোক মুজিব দেবতা ছিলেন এটা প্রমাণ করতে হবে।

কিন্তু এরা দুপক্ষই মুজিবের শত্রু বলে আমি মনে করি। এক পক্ষ জাত শত্রু আরেক পক্ষ সুবিধাবাদী শত্রু। রক্ত মাংসে গড়া মানুষ মুজিব কে বিতর্কিত করার পেছনে এদের কার ভুমিকা কম নয়। এরা কেউ সত্যিকারের ইতিহাসের অনুগত নয়।

শেখ মুজিবুর রহমান ফেরেশতা বা দেবতা ছিলেন না। উনি ছিলেন মানুষ। দোষ এবং গুন দুটোই মানুষের কমন এবং সমান্তরাল বৈশিষ্ট্য । কাজেই শেখ মুজিবুর রাহমানের দোষ থাকতেই পারে। এটা ইতিহাসের নির্ভেজাল সত্য যে নানা ঘাত প্রতিঘাত কিংবা পারিপাশ্বিকতার কারণে এমনি কি রাষ্ট্র নায়কোচিত দূর দর্শিতার কারণে শাষক মুজিব সফল হতে পারেন নি। মানুষের ঠিক চাওয়ার মত করে চালাতে পারেননি স্বাধীন বাংলাদেশ কে। নিয়েছিলেন কিছু অপরিনাম দর্শী অনাকাঙ্খিত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। যার কারণে মুজিবের শাষন মানুষের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ অবকাশ তৈরি হয়েছিল।এটাও রাষ্ট্র পরিচালনার কমন বৈশিষ্ট্য। দোষ ত্রুটি মিলিয়ে রাষ্ট্রনায়কদের ইতিহাস রচিত হয়।

কিন্তু ৪ বছরের শাষন ব্যাবস্থা্য কি একজন শেখ মুজিবুর রহমান কে চুড়ান্ত মুল্যায়নের মানদন্ড হতে পারে?
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্মদাতা কার বিবেকে বাধা পড়ে? কেন পড়ে? এই প্রশ্নের সদুত্তর আমি কোন মুজিব বিদ্বেষীর কাছ থেকে অদ্যবধি পাইনি। অবশ্য আমি সে মওদুদীর প্রেতাত্মা জামাতি নফরমান ছাড়া কার্যত তেমন কোন মুজিব বিদ্বেষী দেখিনি।

শাষক মুজিবের, শাষক জিয়ার সমালোচনা হতে পারে। বিকশমান গনতন্ত্রের স্বীকৃত ব্যাপার এটা। কিন্তু সমালোচনা কি বিদ্বেষের সমার্থক। শাষক মুজিবের সমালোচনা করতে গিয়ে কেন নেতা মুজিবের কীর্তি কে অস্বীকার করার ঘৃন্য মনোভাব দেখাতে হবে। বাহুদলীয় গনতন্ত্রের চারণভূমিতে আদর্শ বা এজেন্ডা ভিত্তিক নানা দল থাকবে, রাজনীতি থাকবে, নির্বাচন থাকবে, জনগন শাষক নির্বাচন করবে, বদলাবে । কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তো এসবের উর্ধে থাকার কথা। বঙ্গবন্ধু তো বাংলাদেশের। এখন সমালোচক প্রশ্ন করবেন , আওয়ামিলীগ কি মুজিব কে সমগ্র বাংলাদেশের হতে দিয়েছে (!) ইয়েস লাকসই এবং মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন। পরে আসছি সে প্রশ্নের উত্তরে।

কিন্তু শাষক মুজিব রাষ্ট্র পরিচালনায় ভূল করেছেন। সত্য। কিন্তু সে ভূল কি একটা পরিবার কে সমূলে নৃশংসভাবে হত্যা করার কোন অজুহাত হতে পারে। যে মানুষটির বজ্রকন্ঠের ঝংকারে পত পত করে উড়েছে বাংলাদেশের পতাকা তার এমন মৃত্যু কি কাম্য। অত্যাচারী হানাদার যাকে মেরে ফেলার সাহস দেখায়নি তাকে তার স্বপ্নের স্বদেশের মানুষেরা মেরে ফেলেছে এটা কি সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে নির্লজ্জতা নয় ? (!!!)

তাহলে কেন বাংলাদেশের কিছু মানুষের চিন্তায় একজন শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকান্ড কে শাষনের দূর্বলতা দিয়ে জাস্টিফাই করার হীন মানসীকতা দেখব? ভারতে কি দলাদলি নাই। পাকিস্তানে কি নাই। কিন্তু ওখানে গান্ধী, জিন্নাহ তো সবার। আমাদের মুজিব কেন সবার হল না? আমার বিশ্বাস ১৬ কৌটি বাংলাদেশী অন্তরে ঠিকই ধারণ করে মুজিব কে। তাহলে মুখে প্রকাশের জড়তা কেন? এই কোন রাজনীতি ?? মুজিব কে সন্মান করলে কেউ আওয়ামিলীগ করতে হবে। আবার আওয়ামিলীগ না করলে সে বাংলাদেশ বিরোধী, রাজাকার হয়ে যাবে হাস্যকর আর উন্মাদ রাজনৈতিক সংস্কৃতি আমাদের।

আমিতো কোনদিন নৌকায় ভোট দিইনি, কোনদিন দিবওনা, আওয়ামিলীগ কে ঘৃণা করি প্রচন্ড রকমে কিন্তু কই মুজিবের প্রতিকৃতির সামনে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধায় মাথা অবনত করে দিতে আমার বিবেক তো আমাকে বাধা দেয়না। বরং মুজিব কে অপমান করার ঘৃন্য প্রবনতা থেকে আমার বিবেক আমাকে সদা বিরত রেখেছে। আমি জিয়াউর রহমানের রাজনীতি করি। অসংখ্য বই পড়েছি জিয়ার রাজনৈতিক দর্শনের উপর। কিন্তু কোথাও দেখিনি আমার নেতা বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে কটাক্ষ করে কথা বলেছেন। একটা লাইন সত্যিকারের ইতিহাস থেকে তুলে এনে কেউ কি আমাকে দেখাতে পারবেন?

যাই হোক একজন গোড়া বিএনপি সমর্থক জিয়ার সৈনিকের পক্ষ থেকে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ নেতা, বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাদিবসে শোক জানিয়ে শ্রশদ্ধ চিত্তে স্মরণ করলাম বঙ্গবন্ধু কে। আসুন সবাই কে বলি আওয়ামিলীগ দিয়ে বঙ্গবন্ধু বিচার করবেন না। আওয়ামিলীগের কোন ঘৃন্য কর্ম কান্ড বা দূর্নিতির দায় বঙ্গবন্ধুর নয়। বঙ্গবন্ধু কে বঙ্গবন্ধু হিসেবে সন্মান করি।


এবার আসি সে মিলিয়ন ডলার প্রশ্নের উত্তরে। হুম আওয়ামিলীগ কতটা বঙ্গবন্ধু কে শ্রদ্ধা করে কিংবা আওয়ামিলীগ কি বঙ্গবন্ধুকে সমগ্র জাতীর সম্পদ হতে দিয়েছে?
এই প্রশ্নের উত্তর বরং আমি আমার কোন আওয়ামিলীগ সমর্থক ভাইয়ের জন্য উন্মুক্ত রাখবো।

তবে শুধু বলব পোষ্টার ছাপিয়ে কবির বানী লিখে শোক দিবস পালন করে মারামারি লাঠালাঠি, ১৫ আগষ্টের নামে চাঁদাবাজি করে শেখ মুজিব কে সন্মান করা যায়না, আবার অন্য কোন নেতা কে বাজে ভাষায় আকর্মন করে একজন শেখ মুজিব কে সন্মান করা যায়না শেখ মুজিব কে সন্মান করতে হলে মুজিব কে হৃদয়ে ধারণ করতে হয়। আর শেখ মুজিবের আওয়ামিলীগ এই শ্লোগান তোলার কোন নৈতিকতা আজকের আওয়ামিলীগ রাখেনা। আলজেরিয়ার আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন " বিশ্ব দুইভাবে বিভক্ত, একদিকে শাষিত আর অন্যদিকে শোষিত- আমি শোষিতের পক্ষে। প্রশ্ন আজকের আওয়ামিলীগ কার পক্ষে?

তাই আপনাদের প্রতিও আমাদের আহবান থাকবে যিনি মহান তাকে মহান করার জন্য কোন শ্লোগানের দরকার নাই। দয়া করে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিয়ে সারা জাতির কাছে ফিরিয়ে দিন।

ভাল থাকুন সবাই।











১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৩৯

একজন আরমান বলেছেন:
পুরো কমেন্টসে সহমত। আমি আপনার দুটো পয়েন্ট হাইলাইট করছি তা হলোঃ

আমি সে মওদুদীর প্রেতাত্মা জামাতি নফরমান ছাড়া কার্যত তেমন কোন মুজিব বিদ্বেষী দেখিনি।

আওয়ামিলীগের কোন ঘৃন্য কর্ম কান্ড বা দূর্নিতির দায় বঙ্গবন্ধুর নয়। বঙ্গবন্ধু কে বঙ্গবন্ধু হিসেবে সন্মান করি।

ধন্যবাদ আপনাকে নেক্সাস ভাই।

৫৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: যতদিন বাংলাদেশ থাকবে , যতদিন বাংগালি থাকবে ততদিন বংগবন্ধুর নাম থাকবে।
সশ্রদ্ধা তার প্রতি।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৩৯

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ সুজন ভাই।

৫৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৯

নেক্সাস বলেছেন:
সবার মন্তব্য পড়লাম

শৌভিক ঘোষাল সাহেবের মন্তব্যটা সম্পর্কে কিছু না বলে পারলাম না। মাফ করবেন আরমান।

অত্যন্ত বিনয়ের সাথে বলছি শৌভিক বাবু আপনার মন্তব্যটা একদম অপ্রাসঙ্গিক।
বরং আপনাদের এই ধরনের কিছু অপ্রাসঙ্গিক আচরণ বঙ্গবন্ধু বা আমাদের মুক্তিযু্দ্ধ বা আমাদের জাতিস্বত্তা নিয়ে অপপ্রচারে র সুযোগ তৈরি করে দেয়। ইসলাম এবং বাঙ্গালিত্ব দুটো স্বতন্ত্র এবং সমানভাবে গুরুত্বপূর্ন ইস্যু রাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য। নাম কোন জাতীর জাতীয়তা ঠিক করেনা। আমেরিকান, ইংরেজ, কানাডিয়ানদের নাম প্রায় সেইম কিন্তু এরা সেইম জাতি নয়। বাঙ্গালী এবং ইসলাম পরস্পর প্রতিদন্ধি নয়।
আপনারা যে ভিভাজন টা সৃষ্টি করতে চান এটা আপনাদের উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আপনাদের মত লোকদের এসব কর্মাকান্ডই মুজিবের শত্রুদের যড়যন্ত্রের পথ উন্মুক্ত করেছিল।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪৭

একজন আরমান বলেছেন:
আমিও তার মন্তব্যের উত্তর দিয়েছি নেক্সাস ভাই। এদের রন্দ্রে রন্দ্রে সাম্প্রদায়িকতা ঢুকে আছে। কিভাবে আমাদের ধর্ম ইসলামকে হেয় প্রতিপন্ন করা যায় সেই কাজে লিপ্ত। তবে আমি বলি এদের কথায় কান না দেয়াই ভালো। আমার ধর্ম এত সস্তা না যে এই ২/১ মুর্খের কথায় ইসলামের অবমাননা হবে।

৫৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫২

জহির উদদীন বলেছেন: আওয়ামীলীগের ১নং দালাল....
স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার হচ্ছে কিন্তু এর বিচার কে বা কারা বা কবে হবে..

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫১

একজন আরমান বলেছেন:
সত্য হয়ত হতেও পারে। কিন্তু এটাও সত্য বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী তার গ্রহন যোগ্যতা হারিয়েছে। তাই তার কথার সম্পূর্ণ বিশ্বাস করতেও কষ্ট হয়। আরো বিস্তারিত বলতে গেলে আমি বলব বাংলাদেশের বেশিরভাগ রাজনীতিবিদই (সব দলের) গ্রহন যোগ্যতা হারিয়েছে। এরা দেশের সেবার জন্য নয় নিজের জন্য রাজনীতি করেন।

ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।

৫৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০১

ইউসুফ আলী রিংকূ বলেছেন: পোস্টটি দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আরমান ভাই


পোস্টটি স্টিকি করায় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই!!

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৮

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই।

৬০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০২

সানড্যান্স বলেছেন: শাবাস আরমান, অন্তর থেকে তোমার প্রতি ভালোলাগা, সেসাথে জাতির জনকের প্রতি অসীম শ্রদ্ধা!!

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৮

একজন আরমান বলেছেন:

ধন্যবাদ ভাই।

৬১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০২

লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: ফিনান্সিয়াল টাইমস বলেছে, ‘মুজিব না থাকলে বাংলাদেশ কখনই জন্ম নিতনা।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২০

একজন আরমান বলেছেন:
আমারও তাই মনে হয়।

৬২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২০

মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: গোর্কি বলেছেন: যতকাল রবে পদ্মা, মেঘনা
গৌরী, যমুনা বহমান
ততকাল রবে কীর্তি তোমার
শেখ মুজিবর রহমান।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২১

একজন আরমান বলেছেন:
আসলেই।

৬৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩৪

কলাবাগান১ বলেছেন: "অত্যাচারী হানাদার যাকে মেরে ফেলার সাহস দেখায়নি তাকে তার স্বপ্নের স্বদেশের মানুষেরা মেরে ফেলেছে এটা কি সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে নির্লজ্জতা নয় ? (!!!)"

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৪

একজন আরমান বলেছেন:
হ্যাঁ, অবশ্যই।

৬৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪০

মেকগাইভার বলেছেন: মুজিব কি করছে দাখিনাই ভাই।

মুজিবের মাইয়া কি কুকাম করতাছে সেটা প্রতিদিন দেখতাছি।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৬

একজন আরমান বলেছেন:
পোলিও টিকা নিন, সুস্থ থাকুন।

৬৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০৯

সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: একজন শেখ মুজিব আমরা আর কবে পাব? আমরা বড়ই দুর্ভাগা জাতি। সে কারনে আমরা নিজেরাই আমাদের নেতাকে মেরে ফেলেছি। কোন সন্দেহ নেই যে এটা ইতিহাসের অন্যতম নেক্কারজনক হত্যাকান্ড।

আমি ব্যক্তিগত ভাবে আওয়ামী লীগের সমর্থক নই। কিন্তু তারপরেও শেখ মুজিবের ব্যক্তিত্ব আর দেশপ্রেমের কাছে আমার মাথা নত হয়ে আসে। শাসক হিসেবে উনি বেশ কিছু ভুল করেছিলেন। কিন্তু সেটা কোনভাবেই এই নেক্কারজনক হত্যাকান্ডকে জাস্টিফাই করে না।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৮

একজন আরমান বলেছেন:
সহমত।

৬৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১০

সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: একজন আরমানকে অনেক ধন্যবাদ চমৎকার এই পোস্টের জন্য।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩০

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই।

৬৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১৩

েশখ েসিলম বলেছেন: শেখ মুজিব সাধারণ মানের এক নেতা। এ দেশে তার চেয়ে অনেক বড় বড় নেতার জন্ম হয়েছে। যাদের অবদান শেখ মুজিবের চেয়ে অনেক বেশী। তবে তার অবদান নেই এ কথা বলা যাবে না। তাকে নিয়ে আওয়ামী লীগ এতটা বাড়াবাড়ি করেছে বলেই তার সমালোচনা হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও অনেক সমালোচনা করে তার অবস্থানকে আরও খাটো করা হবে। সত্যি কথা বলতে গেলে এ দেশ স্বাধীন করার জন্য শেখ মুজিবের অবদান খুবই সামান্য। অতএব
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বলা যাবে না।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫৭

একজন আরমান বলেছেন:
ভাই মনে হয় পোষ্ট পড়েন নাই ! ওখানে লিখা আছে বঙ্গবন্ধু'র অবদানের কথা। বঙ্গবন্ধু কে আওয়ামী লীগ দিয়া বিচার করতে যাবেন। তাহলে কিছু পাবে না। কথায় আছে যারে দেখতে নাহি তার চলন বাঁকা আমাদের হইছে সেই অবস্থা। আওয়ামী লীগকে আমি দেখতে পারি না তাই বঙ্গবন্ধু ভালো সেই রকম আর কি।

ভালো থাকুন।

৬৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১৬

নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ বলেছেন: ভাল পোস্ট ভাই

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩২

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই।

৬৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪১

অডি বলেছেন: নেক্সাস বলেছেন: "অত্যাচারী হানাদার যাকে মেরে ফেলার সাহস দেখায়নি তাকে তার স্বপ্নের স্বদেশের মানুষেরা মেরে ফেলেছে এটা কি সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে নির্লজ্জতা নয় ? (!!!)"
আমি অবশ্যই এই নারকীয় হত্যাকান্ডের বিপক্ষে এবং কোনভাবেই একে জাস্টিফাই করতে চাইনা। তবে দুইসময়ের পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপট ভিন্ন। তূলনাটা মনে হয় বেমানান এবং অপ্রয়োজনীয়।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:০০

একজন আরমান বলেছেন:
হত্যাকাণ্ডটা কতটা নারকীয় ও লজ্জাজনক তা বুঝাতেই উনি এই তুলনাটা করেছেন।

ধন্যবাদ।

৭০| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০১

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: আল ইফরান বলেছেন: স্বাধীন দেশ হিসেবে যতদিন বাংলাদেশ টিকে থাকবে, ততদিন বংগবন্ধুর নাম উচ্চারিত হবে।
তথ্যবহুল চমৎকার একটি লেখা।
লেখককে ধন্যবাদ।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৩

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই।

৭১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:১৯

সেফানুয়েল বলেছেন: যতকাল রবে পদ্মা, মেঘনা
গৌরী, যমুনা বহমান
ততকাল রবে কীর্তি তোমার
শেখ মুজিবর রহমান।

কিছু বেআক্কেলের কমেন্টস দেখে মনে হয় বাংলাদেশ বুঝি এক ঘোষনায় স্বাধীন হয়েছিল। আসলে যারা বাংলাদেশকে হৃদয়ে ধারণ করেন না তারা এই ব্যাপার টি কোন দিনই বুঝতে পারবেন না। বাংলাদেশের জনগন কে মুক্তিযুদ্ধের জন্য তিল তিল করে প্রস্তুত করেছিলেন শেখ মুজিব। সেখানে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধিনতার ঘোষনা না দিলেও চলতো জনগন মুক্তিযুদ্ধে এমনিই ঝাপিয়ে পড়তো। তবে লক্ষনীয় বিষয় এই যে জিয়াউর রহমান যে "বঙ্গবন্ধুর পক্ষে" স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন তা অনেকেই ভুলে যান ইচ্ছে করেই।

অনেকরই কমেন্টসে দেখলাম যে ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর না কি দেশবাসী হাফ ছেড়ে বেচেছে। হায়রে মুর্খতা!!! এতই যদি বঙ্গবন্ধুকে হত্যায় জনগনের সম্মতি থাকতো তাহলে কেন বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সামরিক শাসককে মেনে নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রীয় রেডিওতে বার বার ঘোষনা করা হচ্ছিল? এর কোন উত্তর কি আছে? সত্যিই বড় বিচিত্র প্রজাতি আমরা!!!

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:০৭

একজন আরমান বলেছেন:
ভাই মূর্খের কথা বাদ দে। এরা বিরোধীতা করার জন্য বিরোধীতা করে। এরা সবই বুঝে শুধু এতটুকু বুঝে না যার যা সম্মান প্রাপ্য সেটা তাকে দিলে তাতে সে আরো বড় হবে। বঙ্গবন্ধু এবং জিয়াউর রহমান দুজনই যার যার স্থানে সম্মানীয় - যা অনস্বীকার্য।

৭২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৪২

এ.এ.এম বিপ্লব বলেছেন: তগো এইসব বাং খাইয়া ঘাস চিবানো মার্কা পা চাঁটা আতলামী দেখলে মনে চায় তগোরে কচু গাছের ঢালে ঝুলাইয়া দেই ।

কয়েকজন ইসলামী ধর্মান্ধ পথব্রষ্ট সেনারা মুজিবরে সপরিবারে হত্যা করাটা বিরাট অন্যায় !!
আতলামি মাতলামি করতে গিয়া কথায় কথায় ইসলামী ধর্মান্ধ ধরনের কথা কইলে আপনি অসাম্প্রদায়ীক প্রমান হয় ভাবলে ,আপনেগো লাইগা আফসোস হয়। আপনেগো ভাষায় শেখ মুজিব যখন নিজেরে অসাম্প্রদায়ীক প্রমান করায় তারে সপরিবারে হত্যা করা হয়, তখন সেই আপনেগোই আজকের ইনুর মত অসাম্প্রদায়ীক নেতারাই নাচানাচি , মিষ্টি বিতরন করছিলো সে দিন । সো, কথায় কথায় ইসলামী ধর্মান্ধ, অসাম্প্রদায়ীক শব্দ ঘোলায়েন না ।
পথব্রষ্ট সেনারা মুজিবরে সপরিবারে হত্যা করাটা বিরাট যেমন অন্যায় !! গলির মোড়ের চিচকে চোর হারুকে ধরে লাঠি পেটা করে মেরে পলাটাও অন্যায় !!
উচিত সকলকেই সকলের কৃতকর্মের জন্য বিচারের মুখো মুখি করা ।

শেখ মুজিবকে সদ্য ৩০ লক্ষ আত্বদানে ভূমিষ্ট হওয়া দেশকে নিজের সন্তান মনে না করে নিজের বাবার সম্পত্তি মনেকরে ৫ বছরে আতুর ঘরের চালা খুলে বিক্রি করার জন্য।

আর গলির মোড়ের হরু চোরাকে ফাজেরো জিপের গ্লাস চুরির জন্য ।

আর কিছু বলবো না। মুজিব পরিবারের আত্বার মাগফেরাত কামনা রইলো ।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩

একজন আরমান বলেছেন:
ওই শুয়োর কই লিখছি রে আমি ইসলামী ধর্মান্ধ !

৭৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:০৮

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: এখনও সেই খুনীচক্রের কুত্তাগুলা বুক ফুলিয়ে বলে , (সেই) হত্যাকাণ্ড অন্যায় ছিলো না। অথচ তাদেরে ফাঁসিতে ঝুলাইলে অনেকেরই পাছা জ্বলে।

আমরা কবে স্বীকার করতে পারবো যে, যে কোনো হত্যাকাণ্ডই অপরাধ?

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫

একজন আরমান বলেছেন:
জুলিয়ান দা ধন্যবাদ। যে কোনো হত্যাকান্ডই অপরাধ। সহমত

৭৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:১৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক তথ্যবহুল একটা সুন্দর লেখা কিন্তু একটা বিষয়ে আমার দ্বিমত আছে।
ভোরের সূর্য বলেছেন: জাতির জনক বল্লে ঠিক আছে কিন্তু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বিষয়টা বিতর্কিত। ওনাকে বিতর্কে টেনে না আনাই ভাল।শিরোনাম জাতির জনক।এরকম হলে ঠিক হত।কারন এটাতে অনন্ত কেউ দ্বিমত পোষন করবেনা।
তবে বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাঙালীর স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হত না । তাঁকে সসম্মান শ্রদ্ধা জানাই।পরম করুণাময় আল্লাহ্‌র কাছে তাঁর ও তাঁর পরিবারবর্গের আত্নার মাগফিরাত কামনা করছি।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ তনিমা আপনার মুল্যবান মন্তব্যের জন্য।
সর্বকালের অন্যতম বললেও হয়ত আমি সেটা সহমত জানাতাম। আমাদের এ দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে কোটি কোটি মানুষের ত্যাগের বিনিময়ে। সে মানুষগুলো নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু। একটা দেশের স্থপতিকে যদি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বললে ভুল কিছু বলা হবে না মনে হয়। দেখবেন অনেকের জাতির জনক বলাতেও এল্যার্জী আছে। ব্যঙ্গ করে বাপ বা আব্বা বলে - নিশ্চয়ই জানেন। বঙ্গবন্ধু কে আওয়ামী লীগ দিয়া বিচার করতে যাবেন তাহলে কিছু পাবে না। কথায় আছে যারে দেখতে নাহি তার চলন বাঁকা আমাদের হইছে সেই অবস্থা। আওয়ামী লীগকে আমি দেখতে পারি না তাই বঙ্গবন্ধু ভালো না সেই রকম আর কি ।

৭৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:০৫

প্রিন্স হেক্টর বলেছেন:
জয় বাংলা

জয় বঙ্গবন্ধু।


প্রিয়তে +

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৪

একজন আরমান বলেছেন:
জয় বাংলা।

৭৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:৪০

দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: বঙ্গবন্ধু ও শহীদ জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধহাময় লাল সালাম ।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪১

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই।

৭৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:২৮

কষ্টবিলাসী বলেছেন: শহীদ জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধহাময় লাল সালাম।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪২

একজন আরমান বলেছেন:
আকাশে বক ওড়ে !

৭৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:২৮

ধীবর বলেছেন: নবীজিকে অপমান করে দেয়া এস দেওয়ানের মন্তব্যের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করবো না। কারণ সামু কর্তৃপক্ষই ইসলাম বিদ্বেষিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। তা না হলে, মালাউন শব্দটি উচ্চারণ করে কি করে একটা মাল্টি নিকধারি এখনো নির্বিঘ্নে মন্তব্য করতে পারে? (আরো প্রমান আছে)

স্ক্রিন শট নিয়ে রাখা হলো। একদিন এসব কুকর্মের জবাবহিদি করতে হবে।

যার শোক পালন করার করুন। তবে শোক না পালনকারিদের জোর করে কাদানোর চেস্টা হিতে বিপরীত হবে।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪২

একজন আরমান বলেছেন:
ধীবর ভাই, অবশ্যই জবাবদিহি দিতে হবে সবাইকে। ইহাকালে না হোক পরকালে এর জবাব দিতে হবে। নাস্তিকরা ইসলামকে বিশ্বাস না করে যেমন পাপ করছে উপরোন্ত বিদ্বেষ ছড়িয়ে আরো বড় পাপ করছে। আল্লাহ্‌ তাদের হেদায়েত করুন। অন্যদিকে জামাত-শিবিররা ইসলামকে বিশ্বাস (এটাকে ঠিক বিশ্বাস না বলা যাবে না ধর্মকে নিয়ে ব্যবসা করা) করে বিভিন্নভাবে ইসলাম ধর্মের অবমাননা করছে। আল্লাহ্‌ এদেরও হেদায়েত করুন। আমিন।

আপনাকে ধন্যবাদ মহানবী (সাঃ) এর অবমাননাকারীকে নিয়ে পোষ্ট দেয়া আপনাকে ধন্যবাদ। ইসলামের হেফাজতের জন্য আপনাকে জন্য সবসময় এভাবেই যেন পাই।

ভালো থাকবেন।

৭৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৪১

বাঙ্গালীর কুঠার বলেছেন: Click This Link

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৩

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই।

৮০| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:০০

রক্তলেখা বলেছেন: leaders are born not made.

উনি ছিলেন তারই যথার্থ উদাহরণ । শ্রদ্ধা জানাই ।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৬

একজন আরমান বলেছেন:
leaders are born not made.

ঠিক বলেছেন।

৮১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৫৫

আরজু পনি বলেছেন:

এমন একজন মানুষকে কি ভোলা যায় ?!

অত বড় অকৃতজ্ঞ এখনও হতে পারি নি যে !

শত সহস্র সালাম জানাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের তরে ।

খুবই ভালো পোস্ট আরমান, অনেক ধন্যবাদ রইল ।

স্টিকি করায় কর্তৃপক্ষকেও ধন্যবাদ ।।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৭

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ আপু।

৮২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:১১

আরজু পনি বলেছেন:

এক নজরে শেখ মুজিবুর রহমানঃ

ডাক নাম: বঙ্গবন্ধু



এই অংশটুকু নিয়ে আমার দ্বিধা আছে .....

"বঙ্গবন্ধু" উনার ডাক নাম বলে তো জানতাম না ।

যতদূর জানি উনার ডাক নাম "খোকা" ।
সেটা পরিবার থেকে ছেলেকে আদর করে ডাকতে ডাকতেই খোকা হয়ে গেছে বলে জানি ।

আর "বঙ্গবন্ধু" উনার উপাধি । যেটা আপনিও বিস্তারিতই দিয়েছেন আপনার পোস্টে ।

তথ্যবহুল সুন্দর পোস্টের জন্যে কৃতজ্ঞতা সহ শুভকামনা রইল আরমান ।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

একজন আরমান বলেছেন:
কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানবেন আপু।

৮৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২৩

পিনিকবাজ বলেছেন: জয় বাংলা

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

একজন আরমান বলেছেন:
জয় বাংলা

৮৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮

সুদীপ্ত কর বলেছেন: খুবই সুন্দর পোস্ট। ভালো লাগলো।

অনেকের বিরোধীতাপূর্ণ একটা প্রশ্নের ছোট জবাব দিয়ে দেই।


যে আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম সেই আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু/নেতা ছিলেন তিনি। তিনি বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য একটা স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছিলেন যে দেশের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। অনেক জটিল, সমৃদ্ধ আর সুমধুর একটা ভাষা।
যেই আন্দোলন না হলে আজকে বাংলা ভাষা একটা প্রাদেশিক, ক্ষুদ্র ভাষা হিসাবেই থাকতো সেই আন্দোলনের নেতা বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

তার প্রতি প্রতিটা বাংলা ভাষাভাষী কৃতজ্ঞ।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৯

একজন আরমান বলেছেন:
সুন্দর উত্তর দিয়েছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।

৮৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০৮

ৎায়ইাবুর বলেছেন: কেউ এমনি এমনি মরে না বিশেষ করে যখন ক্ষমতা তার হাতে থাকে। নাথিং গোজ আনপেইড

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৩

একজন আরমান বলেছেন:
মন্দ বলেনি। কেউ কেউ এমনি মরে না। কিছু নষ্ট মানুষ চাইনি বঙ্গবন্ধু বেচে থাকুক। তাহলে তাদের স্বার্থ সিদ্ধি হবে না।

ধন্যবাদ

৮৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫১

আশার রাজ্যে নিরাশার মেঘ বলেছেন: যারা বিদেশে নয়া এসেছে, তারা বুঝবেন না একটা স্বাধীন দেশের কি মাহাত্ম। আর বঙ্গবন্ধুই আমাদের স্বাধীনতার স্বাদ দিয়েছেন, আজীবন এই দেশকে নিজের থেকে বেশী ভালবেসেছেন।

বঙ্গবন্ধু তুমি লও সালাম, তুমাকে ভুলা যায় না, তুমিই শিখিয়েছ কিভাবে দেশকে ভাল বাসতে হয়। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, তুমি থাকবে সারা বাংলায়।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৫

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

৮৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫২

আশার রাজ্যে নিরাশার মেঘ বলেছেন: আমার কমেন্টের প্রথম বাক্যে "নয়া" এর স্থলে "না" হবে।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:১১

একজন আরমান বলেছেন:
আচ্ছা ঠিক আছে।

৮৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪

আমি ইহতিব বলেছেন: পোস্ট পড়তে সময় লাগবে আরমান, তবে তথ্যবহুল এমন একটি পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আওয়ামী লিগ নিয়ে অনেকের মধ্যেই বিরক্তি আছে, সেটা হয়তো তাদের সাম্প্রতিক কিছু নেতিবাচক কাজের জন্য। তবে বাংলাদেশ গড়ে উঠার পেছনে কেউ যখন বঙ্গবন্ধুর অবদান অস্বীকার করে তখন খুব কস্ট লাগে। হুমায়ূন আহমেদের দেয়াল উপন্যাসে তাকে হত্যা করার যে বর্নণা দেয়া হয়েছে তা পড়ে চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি আমি, হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাসের খাতিরে ঘটনাটিকে অনেক সহনীয় করে লিখেছিলেন বলে আমার মনে হয়েছে, ঐ হত্যাকারীদের নৃশংসরূপ বাস্তবে আরো ভয়াবহ ছিলো বলে আমার ধারণা, নইলে অন্তঃসত্তা মহিলা ছোট বাচ্চা সবাই তাদের নৃশংসতার বলি কেন হবে এটা আমি মেনে নিতে পারিনা।

ধন্যবাদ তোমাকে এমন একটি বিষয়ে লেখার জন্য।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫০

একজন আরমান বলেছেন:
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।

৮৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩

হৃদয় বাংলাদেশ বলেছেন: কতিপয় চামচা "সর্ব কালের সর্ব শ্রেষ্ঠ", "মহা মানব"-এই জাতীয় তেলাইন্যা উপাধি দিয়েই সাধারন মানুষের বিরক্তির শেষ পর্যায়ে নিয়ে গেছে!

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১০

একজন আরমান বলেছেন:
উপরে আপনার জ্ঞাতি ভাইদের অনেককেই এই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আসছি কষ্ট করে একটু পড়ে নিয়েন।
ধন্যবাদ।

৯০| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১

ক্ষুধিত পাষাণ বলেছেন: গত বছর এই দিনে খিচুরী খাওয়া উতসব দেখে এক জন মুরুব্বী বলেছিলেন-"যদি ১৫ ই আগষ্ট শেখ মজিবর রহমান নিঃসংশ ভাবে নিহত না হতেন-তা হলে এখন ঐনামের কাউকে মানুষ চিনতোইনা"!

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৩৭

একজন আরমান বলেছেন:
তার মাথায় সমস্যা আছে।

৯১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪

ভোরের সূর্য বলেছেন: আপনি কি ভাই ভবিষ্যত বলতে পারেন?আপনি কি নিশ্চিত যে আজ থেকে ৫বছর পর বা ৫০বছর পর আরো কোন শ্রেষ্ঠ বাঙালি জন্ম নিবেনা।আর বাঙালি বলতে তো শুধু বাংলাদেশের বাঙালি না। সারা পৃথিবীর বাঙালী।উনি জাতির জনক এবং বঙ্গবন্ধু(বাংলাদেশের) এটা আমরা সবাই মানি।লেখার হেডলাইন সেটা হলেই বেশি মানাতো।বাঙালির ব্যপারটা কিন্তু আরো বড় পরিসরে।এক সময় তো পাকিস্তান,বাংলাদেশ এসব কিছুই ছিলনা।সুভাষ বোস সহ আরো অনেক বাঙালি নেতারা ভারতবর্ষের স্বাধিনতার জন্য আন্দলন করেছেন।তাহলে তো এভাবে বলা যায় যে সুভাষ বোসরা আন্দলন না করলে ভারতবর্ষ স্বাধিন হতনা আর তাহলে বাংলাদেশ স্বাধিন হওয়ার ব্যাপারটাও আসতোনা।তাহলে সুভাষ বোস কি শ্রেষ্ঠ বাঙালি?না তাও না।তবে সুভাষ বোস বলুন আর শেখ মুজিবুর রহমান বলুন এনারা অবশ্যই সর্বকালের অন্যতম সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৪০

একজন আরমান বলেছেন:
বঙ্গবন্ধু এ পর্যন্ত শ্রেষ্ঠ বাঙালি এ ব্যাপারে কারো সন্দিহান থাকা উচিত নয়। আর

২০০৪ সালে বিবিসি'র বাংলা রেডিও সার্ভিসের পক্ষ থেকে সারা বিশ্বে যে জরিপ চালানো হয়, তাতে মুজিব সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে বিবেচিত হন।
আমি এখান থেকে শিরোনাম টা দিয়েছি।

৯২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪

ভোরের সূর্য বলেছেন: আপনি কি ভাই ভবিষ্যত বলতে পারেন?আপনি কি নিশ্চিত যে আজ থেকে ৫বছর পর বা ৫০বছর পর আরো কোন শ্রেষ্ঠ বাঙালি জন্ম নিবেনা।আর বাঙালি বলতে তো শুধু বাংলাদেশের বাঙালি না। সারা পৃথিবীর বাঙালী।উনি জাতির জনক এবং বঙ্গবন্ধু(বাংলাদেশের) এটা আমরা সবাই মানি।লেখার হেডলাইন সেটা হলেই বেশি মানাতো।বাঙালির ব্যপারটা কিন্তু আরো বড় পরিসরে।এক সময় তো পাকিস্তান,বাংলাদেশ এসব কিছুই ছিলনা।সুভাষ বোস সহ আরো অনেক বাঙালি নেতারা ভারতবর্ষের স্বাধিনতার জন্য আন্দলন করেছেন।তাহলে তো এভাবে বলা যায় যে সুভাষ বোসরা আন্দলন না করলে ভারতবর্ষ স্বাধিন হতনা আর তাহলে বাংলাদেশ স্বাধিন হওয়ার ব্যাপারটাও আসতোনা।তাহলে সুভাষ বোস কি শ্রেষ্ঠ বাঙালি?না তাও না।তবে সুভাষ বোস বলুন আর শেখ মুজিবুর রহমান বলুন এনারা অবশ্যই সর্বকালের অন্যতম সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।

৯৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন: হিসাব মিলানো খুব কঠিন!!!

কারো কাছে উনি জাতির পিতা আর কারো কাছে উনি খুবি বিতর্কিত এক জন !!!! যারা উনাকে জাতির পিতা মনে করেন , তাদের হিসাবে অন্য দলটি দেশ প্রেমিক নয় !!! কিন্তু দুক্ষের/সুখের(???) ব্যাপার দুই দলের সংখ্যাই ব্যাপক। কারা যে ঠিক মনে হয় এটা ভবিষৎ ঠিক করবে। তবে একটা কথা বলতেই হয় , শুনেছি অন্য কোন দেশের জাতির পিতার ব্যাপারটা আইন করে জনগনের উপর চাপাতে হয় নাই, এতে অনুমিত হয়যে তার জনপ্রিয়তার ধস তার করুন মৃত্যুর আগেই এসেছিল।

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৪২

একজন আরমান বলেছেন:
জাতির পিতাকে নিয়ে বিতর্কের জন্য আমাদের নিচু মানসিকতাই দায়ী। উনি সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে।

৯৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: বঙ্গবন্ধুকে বললে বাংলাদেশকে বলা হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার করলে মুক্তিযুদ্ধ আর বাঙালির অস্তিত্বকে স্বীকার করা হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাঙালি জাতির পরিচয় আরও কত বছরের জন্য পিছিয়ে যেতো তা বলা যায় না।

পরিহাসের বিষয় হলো, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে অধিকাংশ বিতর্কের জন্মদাতা হলো আওয়ামীলীগ নিজেই।

একটি অসাধারণ পোস্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ :)

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৪৩

একজন আরমান বলেছেন:
সহমত।

আওয়ামীলীগের একার সম্পত্তি না বঙ্গবন্ধু। তিনি সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে।

ধন্যবাদ আপনাকে। :)

৯৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪১

ভোরের সূর্য বলেছেন: উনি জাতির পিতা ঠিক আছে।এটাকে অস্বীকার করার কোন উপায় নাই।উনি আন্দোলন না করলে,জনগন কে একত্র না করলে এবং পরিশেষে স্বাধীনতার ডাক না দিলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতনা বা হয়তো অরো অনেক দেরি হত।কিন্তু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি না বলে এর সাথে অন্যতম যোগ করে দিলেই মনে হয় ভাল হত কারন আসলে আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি নির্নয় করতে পারিনা আর সম্মান সবাইকেই দেয়া উচিৎ অন্যকে ছোট না করে।আমি আমার পুর্বের কমেন্টে ব্যাখ্যা করেছি।সেটা ভাল করে পড়লেই বোঝা যাবে।

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৪৫

একজন আরমান বলেছেন:
এখানে কাউকে ছোট করা হবে কেন? এ পর্যন্ত তিনিই শ্রেষ্ঠ বাঙালি সে ব্যাপারে কারো দ্বিমত থাকার কথা না। ২০০৪ সালে বিবিসি'র বাংলা রেডিও সার্ভিসের পক্ষ থেকে সারা বিশ্বে যে জরিপ চালানো হয়, তাতে মুজিব সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে বিবেচিত হন।

ধন্যবাদ।

৯৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৯

এম আর ইকবাল বলেছেন: শেখ মুজিব । এ দেশের স্বাধীনতার চেতনার উজ্জীবন যিনি ঘটিয়েছেন । স্বাধীনতার কথা বলে জাতিকে যিনি জাগিয়ে তুলেছেন । জাতি তাকে কখনই ভূলবেনা । স্বাধীন বাংলাদেশে নিরাপদ প্লাটফ্রমে দাড়িয়ে আজ যারা তাকে অসম্মান করতে চাচ্ছেন , তারা ও কিন্তু তার স্বাধীন বাংলায় দাড়িয়েই কথা বলছেন । আমরা তাকেঁ সম্মান দিলাম কি না দিলাম, তাতে তার কিছু যায় আসে না, তিনি এ সব কিছুর উর্ধ্ধে ।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫১

একজন আরমান বলেছেন:
সহমত।

৯৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮

এক্সপেরিয়া বলেছেন: বঙ্গবন্ধুকে ভুলে যাওয়া সম্ভব না....

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫২

একজন আরমান বলেছেন:
সহমত।

৯৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০০

ইখতামিন বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধিনতার অর্জনকে বাঙালীরা যেমন কোনও দিন ভুলবেনা,
তেমনি একাত্তরের মহানায়ক, এই জাতির মহান নেতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালীকেও তারা কোনও দিন ভুলতে পারবেনা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিদেহী আত্মার প্রতি রইল লক্ষ সালাম। গভীর শোক ও শ্রদ্ধা।

তিনি ঘুমিয়ে আছেন পরম শান্তিতে। কিন্তু তাঁর আত্মা আমাদের হৃদয়ে বেঁচে আছে। বেঁচে থাকবে চিরদিন। চেতনা হয়ে...

তথ্যবহুল পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই।

৯৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০১

আমিনুর রহমান বলেছেন:



দুর্দান্ত পোষ্ট আরমান। আরো কিছু কথা বলার ছিলো কিন্তু ভীষন টায়ার্ড তাই এখন না পরে আবার এসে কমেন্ট করে যাবো।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাইয়া।

১০০| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:১২

এ হেলাল খান বলেছেন: বাঙ্গালীর হাজার বছরের ইতিহাসে শেখ মুজিব একমাত্র নেতা যিনি রক্তে, বর্ণে, ভাষায়, কৃষ্টিতে এবং জন্মসুত্রে ছিলেন খাটি বাঙালি ।তার দীর্ঘ দেহ, বজ্ব্রকন্ঠ, মানুষকে মন্ত্রমুগ্ধ করার ক্ষমতা, অসীম সাহস ও নেতৃত্বদানের ক্ষমতার জন্য তিনি মহানায়কে পরিনত হন

-সিরিল ভান (সাংবাদিক)

চমৎকার পোষ্টটির জন্য একজন আরমান কে অনেক ধন্যবাদ।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৪

একজন আরমান বলেছেন:

ধন্যবাদ ভাই।

১০১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:৩৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: চমৎকার পোস্ট বলার অপেক্ষা রাখে না।





অনেকেরই দেখলাম শেখ মুজিবকে কেন সর্ব কালের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বলা হয় সেটা নিয়ে প্রবল আপত্তি আছে। কারণটা সম্ভবত দলীয় অবস্থান! আমাদের জাতিগত আইরনি হলো সব কিছুকেই আমরা 'দলীয় অবস্থান' দিয়ে বিচার করতে চাই, যে কারণে না পারি অন্যকে সন্মান দেখাতে, না পারি নিজের দলের সন্মান বজায় রাখতে।

শেখ মুজিবকে যে কারণে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বলা হয় কারণ....."বাংলাদেশ নামক একটা দেশের জন্ম দিয়ে বঙ্গবন্ধু যে ঐতিহাসিক ভুমিকা পালন করেছিলেন, বাঙালী সংস্কৃতির ভাবী পথ নির্মানের জন্য তা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এর ফলে বাঙালীরা চিরদিনের জন্য দু ভাগে বিভক্ত হয়ে গেলেও ভাষা ও সংস্কৃতি বিকাশের অফুরন্ত সম্ভাবনা দেখা দেয় স্বাধীন দেশ বাংলাদেশ। সেই পথ ধরে বাংলাদেশে বাংলা ভাষা, সাহিত্য, সঙ্গীত সংস্কৃতির বিকাশের যে পথ তিনি তৈরি করে দিয়ে গেছেন তাঁর চাইতে অনেক প্রতিভাবান বহু বিখ্যাত বাঙালি গত এক হাজার বছরে অতো বড়ো মোড় ঘোরাতে পারেনি। এ কারণে, করতে পারেনি.....সর্বকালের শ্রেষ্ট বাঙালি(গোলাম মুরশিদ, মক্তিযুদ্ধ ও তারপর:একটি নির্দলীয় ইতিহাস)।"

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৪৬

একজন আরমান বলেছেন:
দারুন বলেছেন আপু।

সহমত ও ধন্যবাদ।

১০২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:৫৫

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট! স্টিকি করার জন্য কর্তৃপক্ষ কে ধন্যবাদ জানাই! আমাদের আফসোস নিজেদের গর্বের মানুষ গুলো নিয়ে আমরা বিতর্কে জড়িয়ে পড়ি, জাতী হিসেবে তা লজ্জাজনক! এমন নজির পৃথিবীতে আর কোথাও আছে নাকি আমার সন্দেহ! চমৎকার পোষ্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আরমান ভাই!

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৫

একজন আরমান বলেছেন:

ধন্যবাদ অভি ভাই।

১০৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯

চিকন আলি বলেছেন: ভুলি নাই ভাই, ভোলার চেষ্টা করছি...

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৪৬

একজন আরমান বলেছেন:
আমরা যে অকৃতজ্ঞ সেটার প্রমাণ দিতে হবে না?

১০৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫

বৃতি বলেছেন: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর অবদানকে অস্বীকার করা অনেকটা নিজের দেশের মাটিতে নিজের অস্তিত্বকে অস্বীকার করার মত ।

চমৎকার পোস্ট আরমান । অনেক ভালো লাগা থাকলো ।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৬

একজন আরমান বলেছেন:
সহমত ও ধন্যবাদ।

১০৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩

ফাহীম দেওয়ান বলেছেন: দল কানাদের মুখে ঝাটা মারায় রেজওয়ানা আপুর কমেন্টে চরম লাইক। এসব দলকানারা দলের স্বার্থে গোলাম আযমকেও শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, জাতির পিতা, স্বাধীনতার কান্ডারী ইত্যাদি বানাইতে রাজী। কিন্তু বংগবন্ধু কে নিয়ে এদের চুল্কানি আছে, থাকবেই কারন ৭১ এর ডলা এখনো ভুলে নাই।

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৪৭

একজন আরমান বলেছেন:
হ্যাঁ। রেজোওয়ানা আপুর সাথে সহমত।

১০৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫

বটবৃক্ষ~ বলেছেন: অমূল্য এবং অসাধারণ একটি পোস্ট !

হি ওয়াজ আ ক্যারিশম্যাটিক লীডার!!

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৭

একজন আরমান বলেছেন:

ধন্যবাদ আপু।

১০৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩০

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: +++++++++++

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৯

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই।

১০৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০১

একজন আরমান বলেছেন:
যে মন্তব্যগুলোর উত্তর দেইনি এখনও, সেইগুলি সময় নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় রিপ্লাই দিবো।

১০৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:০৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

তোমার জন্য অনেক শুভকামনা রইল আরমান এমন একটি পোস্ট দেয়ার জন্য।

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৪৮

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাইয়া।

১১০| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১২

সািহদা বলেছেন: অসাধারণ পোষ্ট ভাল লাগলো ।

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৪৮

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ আপু।

১১১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭

বোকামন বলেছেন:

সম্মানিত লেখক,
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ পোস্টটির জন্য।

ভালো থাকবেন।।

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২২

একজন আরমান বলেছেন:
আপনাকেও ধন্যবাদ প্রিয় বোকামন ভাই।

ভালো থাকুন সর্বদা। :)

১১২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪১

অদৃশ্য বলেছেন:





আরমান ভাই লিখাটি আগেই পড়েছি...


চমৎকার পোষ্ট...

শুভকামনা...

২১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই। :)

১১৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১

বেঈমান আমি. বলেছেন: নাইস পোস্ট আরমান।প্রিয়তে নিলাম। :)

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাইজান। অনেক দিন পর দেখে ভালো লাগছে। :)

১১৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:১৭

েশখ েসিলম বলেছেন: শেখ মুজিব সম্পর্কে এখানে যে সমস্ত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তার অধিকাংশই অতিরঞ্জিত। এ সমস্ত তথ্য হয় আংশিক সত্য না হয় সত্যের অপলাপ। অনেক তথ্য শুধু মিথ্যা নয় ডাহা মিথ্যা। সবচেয়ে বড় কথা হলো এ প্রবন্ধে শেখ মুজিবের অহেতুক গুণকীর্তন করা হয়েছে কিন্তু শেখ মুজিবের মন্দ দিকগুলো প্রকাশিত হয়নি। শেখ মুজিবের মারাত্মক ত্রুটি বিচ্যুতিগুলোকে সযত্নে ঢেকে রাখা হয়েছে। দোষে গুণে মানুষ এবং শেখ মুজিবও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে আমার ইচ্ছা আছে, শেখ মুজিবকে নিয়ে খুব শীঘ্রই সঠিক মূল্যায়নভিত্তিক একটি প্রবন্ধ আপনাদের উপহার দেবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.