নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনটা হল এক রঙ্গমঞ্চ। আর আমরা সবাই হলাম সেই মঞ্চের অভিনেতা / অভিনেত্রী !!!\n\nমেইল করতে চাইলে: [email protected]

একজন আরমান

জীবনটা হল এক রঙ্গমঞ্চ। আর আমরা সবাই হলাম সেই মঞ্চের অভিনেতা / অভিনেত্রী!

একজন আরমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুভ জন্মদিন সুপ্রিয় কবি কামিনী রায়

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৫০

যে যুগে মেয়েদের বিদ্যাশিক্ষা লাভ করা ছিল বিরল ঘটনা, সেই যুগে তিনি নারীবাদে বিশ্বাসী ছিলেন আর এমন বিশ্বাসী হয়ে ওঠার পেছনে নানা কারণও ছিল। তিনি বেড়ে উঠেছিলেন এক প্রগতিশীল শিক্ষিত পরিবারে। চন্ডীচরণ সেন একজন ব্রাহ্মধর্মাবলম্বী, বিচারক ও ঐতিহাসিক লেখক ছিলেন। ১৮৭০ খ্রীস্টাব্দে চণ্ডীচরণ ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষা লাভ করেন। পরের বছর তাঁর স্ত্রী-কন্যাও কলকাতায় তাঁর কাছে ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষিত হন। তিনি ব্রাহ্ম সমাজের বিশিষ্ট নেতা ছিলেন। যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান এই মহীয়সী নারীর নাম কামিনী রায়তিনি ১৮৬৪ সালের ১২ অক্টোবর বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জের বাসণ্ডা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ভগিনী যামিনী সেন লেডি ডাক্তার হিসাবে খ্যাতিলাভ করেছিলেন।১৮৯৪ খ্রীস্টাব্দে কামিনীর সাথে স্টাটুটারি সিভিলিয়ান কেদারনাথ রায়ের বিয়ে হয়।



এদেরও তো গড়েছেন নিজে ভগবান্ ,

নবরূপে দিয়েছেন চেতনা ও প্রাণ ;

সুখে দুঃখে হাঁসে কাঁদে স্নেহে প্রেমে গৃহ বাঁধে

বিধে শল্যসম হৃদে ঘৃণা অপমান,

জীবন্ত মানুষ এরা মায়ের সন্তান।।








ওরা ভেবেছিল মনে আপনার নাম

মনোহর হর্ম্মরূপে বিশাল অক্ষরে

ইষ্টক প্রস্তরে রচি চিরদিন তরে

রেখে যাবে ! মূঢ় ওরা, ব্যর্থ মনস্কাম।




ছোটবেলা থেকেই কামিনী রায় ছিলেন অসাধারণ মেধাশক্তির অধিকারিণী, ভাবুক এবং কল্পনাপ্রবণ। তিনি ১৮৮০ সালে কলকাতার বেথুন ফিমেল স্কুল থেকে এন্ট্রান্স, ১৮৮৩ সালে বেথুন কলেজ থেকে এফ.এ এবং একই কলেজ থেকে ১৮৮৬ সালে ভারতের প্রথম নারী হিসেবে সংস্কৃত ভাষায় অনার্সসহ বি.এ পাস করেন। বলা যায়, তিনিই সংস্কৃত ভাষায় ব্রিটিশ ভারতের প্রথম স্নাতক ডিগ্রি লাভকারিণী। কামিনী রায় উচ্চতর ডিগ্রি লাভের পর কর্মজীবন শুরু করেন শিক্ষকতা দিয়ে। বেথুন কলেজেই শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন তিনি। অসম্ভব কল্পনাশক্তির অধিকারিণী হওয়ায় কামিনী রায় মাত্র আট বছর বয়স থেকেই কবিতা লেখা শুরু করেন। কিন্তু এই মহীয়সী নারী কেবল কাব্য রচনা ও অধ্যাপনা নিয়েই সারাজীবন নিজেকে ব্যস্ত রাখেননি। সাংস্কৃতিক ও জনহিতকর কর্মকাণ্ড, বিশেষ করে নারীকল্যাণমূলক কাজে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন। এরই ফলশ্রুতিতে ১৯২২-২৩ সালে নারী শ্রম নিয়ে কমিশন গঠিত হলে তিনি সেই কমিশনের সদস্য হন। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদেরও তিনি সহসভাপতি ছিলেন।



জড়ায়ে মায়ের গলা শিশু কহে আসি,-

“মা, তোমারে কত ভালোবাসি!”

“কত ভালবাস ধন?” জননী শুধায়।

“এ-ত।” বলি দুই হাত প্রসারি’ দেখায়।




শৈশবে তাঁর পিতামহ তাঁকে কবিতা ও স্তোত্র আবৃত্তি করতে শেখাতেন। এভাবেই খুব কম বয়স থেকেই কামিনী রায় সাহিত্য রচনা করেন ও কবিত্ব-শক্তির স্ফূরণ ঘটান। তাঁর জননীও তাঁকে গোপনে বর্ণমালা শিক্ষা দিতেন। কারণ তখনকার যুগে হিন্দু পুরমহিলাগণের লেখাপড়া শিক্ষা করাকে একান্তই নিন্দনীয় ও গর্হিত কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হতো। মাত্র ৮ বছর বয়স থেকে তিনি কবিতা লিখতেন। রচিত কবিতাগুলোতে জীবনের সুখ-দুঃখ, আশা-আকাঙ্ক্ষা, আনন্দ-বেদনার সহজ-সরল ও সাবলীল প্রকাশ ঘটেছে। পনের বছর বয়সে তাঁর প্রথম কাব্য গ্রন্থ আলো ও ছায়া প্রকাশিত হয় ১৮৮৯ খ্রীস্টাব্দে। এ গ্রন্থটির ভূমিকা লিখেছিলেন হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু প্রথমে এতে গ্রন্থকর্ত্রী হিসেবে কামিনী রায়ের নাম প্রকাশিত হয় নাই। তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে -

আলো ও ছায়া (১৮৮৯)

নির্মাল্য (১৮৯১)

পৌরাণিকী (১৮৯৭)

মাল্য ও নির্মাল্য (১৯১৩)

অশোক সঙ্গীত (সনেট সংগ্রহ, ১৯১৪)

অম্বা (নাট্যকাব্য, ১৯১৫)

দীপ ও ধূপ (১৯২৯)

জীবন পথে (১৯৩০)

একলব্য

দ্রোণ-ধৃষ্টদ্যুম্ন

শ্রাদ্ধিকী



কাঁদে প্রাণ যবে, আঁখি সযতনে শুষ্ক রাখি

নির্মল নয়নের জলে,

পাছে লোকে কিছু বলে।




অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত 'মহাশ্বেতা' ও 'পুণ্ডরীক' তাঁর দু'টি প্রসিদ্ধ দীর্ঘ কবিতা। এছাড়াও, ১৯০৫ সালে তিনি শিশুদের জন্য গুঞ্জন নামের কবিতা সংগ্রহ ও প্রবন্ধ গ্রন্থ বালিকা শিক্ষার আদর্শ রচনা করেন।



কামিনী রায় সবসময় অন্য সাহিত্যিকদের উৎসাহ দিতেন। ১৯২৩ খ্রীস্টাব্দে তিনি বরিশাল সফরের সময় কবি সুফিয়া কামালকে লেখালেখিতে মনোনিবেশ করতে বলেন।



তাঁর কবিতা পড়ে বিমোহিত হন সিবিলিয়ান কেদারনাথ রায় এবং তাঁকে বিয়ে করেন। ১৯০৯ খ্রীস্টাব্দে কামিনী রায়ের স্বামীর অপঘাতে মৃত্যু ঘটেছিল। সেই শোক ও দুঃখ তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে, যা তাঁর কবিতায় প্রকাশ পায়। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সংস্কৃত সাহিত্য দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন।



সম্মাননাঃ

০১. ১৯২৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক কামিনী রায়কে 'জগত্তারিণী স্বর্ণপদক' প্রদান করে সম্মানিত করেন।

০২. তিনি ১৯৩০ খ্রীস্টাব্দে বঙ্গীয় লিটারারি কনফারেন্সের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন।

০৩. ১৯৩২-৩৩ খ্রীস্টাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদেরও সহ-সভাপতি ছিলেন কামিনী রায়।



মহাপ্রয়াণঃ

জীবনের শেষ ভাগে তিনি হাজারীবাগে বাস করেছেন। ২৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৩ খ্রীস্টাব্দে তাঁর জীবনাবসান ঘটে।



এক নজরে কামিনী রায়ঃ

জীবিকাঃ কবি, সমাজকর্মী, নারীবাদী লেখিকা।

সময়কালঃ বঙ্গীয় নবজাগরণ।

উল্লেখযোগ্য লেখনীঃ আলো ও ছায়া (১৮৮৯), মাল্য ও নির্মাল্য (১৯১৩)

উল্লেখযোগ্য পুরস্কারঃ জগত্তারিণী স্বর্ণপদক।

(১৯২৯)

প্রভাবান্বিত হয়েছেনঃ হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

প্রভাব বিস্তার করেছেনঃ সুফিয়া কামাল।





কামিনী রায়ের লেখা দুর্লভ একটি চিঠিঃ





















তথ্য সূত্রঃ ইন্টারনেট

মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৫৬

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: শুভ জন্মদিন কামিনী রায় ।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩২

একজন আরমান বলেছেন:
কবিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:০০

অন্ধকারে একজন বলেছেন: করিতে পারি না কাজ
সদা ভয় সদা লাজ
সংশয়ে সংকল্প সদা টলে,-
পাছে লোকে কিছু বলে।

আড়ালে আড়ালে থাকি
নীরবে আপনা ঢাকি,
সম্মুখে চরণ নাহি চলে
পাছে লোকে কিছু বলে।

হৃদয়ে বুদবুদ মত
উঠে চিন্তা শুভ্র কত,
মিশে যায় হৃদয়ের তলে,
পাছে লোকে কিছু বলে।

কাঁদে প্রাণ যবে আঁখি
সযতনে শুকায়ে রাখি;-
নিরমল নয়নের জলে,
পাছে লোকে কিছু বলে।

একটি স্নেহের কথা
প্রশমিতে পারে ব্যথা,-
চলে যাই উপেক্ষার ছলে,
পাছে লোকে কিছু বলে।

মহৎ উদ্দেশ্য যবে,
এক সাথে মিলে সবে,
পারি না মিলিতে সেই দলে,
পাছে লোকে কিছু বলে।

বিধাতা দেছেন প্রাণ
থাকি সদা ম্রিয়মাণ;
শক্তি মরে ভীতির কবলে,
পাছে লোকে কিছু বলে।


আমার প্রিয় কবিতা। ধন্যবাদ আপনাকে একজন আরমান

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৪

একজন আরমান বলেছেন:
আপনাকেও ধন্যবাদ অন্ধকারে একজন।

ভালো থাকুন।

৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



বাহ ! আরমান দারুণ একটি পোস্ট হয়েছেরে

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৪

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাইয়া।

আপনারই অনুপ্রেরণায় !

৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১৫

নষ্টছেলে তানিম বলেছেন: দারুন পোস্ট আমাদের অনেক গর্ব আছে আমরা সব জানিনা জানতেও চেষ্টা করি না আমাদের গর্বগুলো হারিয়ে যায়

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৬

একজন আরমান বলেছেন:
যাবে না। আমরা যেতে দিবো না !

ধন্যবাদ বন্ধু।

৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৫১

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
শুভ জন্মদিন মহিয়ষী এই নারী কে।
প্রিয় কবি কে।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:০৩

একজন আরমান বলেছেন:
কবিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৪৭

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
কবিতা আমি পড়িনা।

তবে কামিনী রায় এর পাছে লোকে কিছু বলে এবং মৌমাছি মৌমাছি কোথা যাও নাচি নাচি একবার দাড়াও না ভাই এবং গুরুদেবের "সামান্য ক্ষতি" এসব কবিতা শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত; তাই অম্লান, চিরসবুজ। মনে নাড়া দেয়, দোলা দেয়। নির্মল অনুভূতিতে ছেয়ে যায় মন। এখনও।

পোষ্টের সাথে বেমানান হলেও রবী ঠাকুরের "সামান্য ক্ষতি" কবিতাটি আমার শৈশবে নাড়া দেয়া এক কবিতা/কাহিনী কাব্য।
সবার সাথে শেয়ার করার কেন জানিনা খুব ইচ্ছে হোল।


=================================



সামান্য ক্ষতি



বহে মাঘমাসে শীতের বাতাস ,
স্বচ্ছসলিলা বরুণা ।
পুরী হতে দূরে গ্রামে নির্জনে,
শিলাময় ঘাট চম্পকবনে ,
স্নানে চলেছেন শতসখীসনে
কাশীর মহিষী করুণা ।


সে পথ সে ঘাট আজি এ প্রভাতে
জনহীন রাজশাসনে ।
নিকটে যে ক ' টি আছিল কুটির
ছেড়ে গেছে লোক , তাই নদীতীর
স্তব্ধ গভীর , কেবল পাখির
কূজন উঠিছে কাননে ।




আজি উতরোল উত্তর বায়ে
উতলা হয়েছে তটিনী ।
সোনার আলোক পড়িয়াছে জলে ,
পুলকে উছলি ঢেউ ছলছলে —
লক্ষ মানিক ঝলকি আঁচলে
নেচে চলে যেন নটিনী ।
কলকল্লোলে লাজ দিল আজ
নারী কণ্ঠের কাকলি ।
মৃণালভুজের ললিত বিলাসে
চঞ্চলা নদী মাতে উল্লাসে ,
আলাপে প্রলাপে হাসি - উচ্ছ্বাসে
আকাশ উঠিল আকুলি ।



স্নান সমাপন করিয়া যখন
কূলে উঠে নারী সকলে
মহিষী কহিলা , ‘ উহু ! শীতে মরি ,
সকল শরীর উঠিছে শিহরি ,
জ্বেলে দে আগুন ওলো সহচরী —
শীত নিবারিব অনলে ।'
সখীগণ সবে কুড়াইতে কুটা
চলিল কুসুমকাননে ।
কৌতুকরসে পাগলপরানী
শাখা ধরি সবে করে টানাটানি ,
সহসা সবারে ডাক দিয়া রানী
কহে সহাস্য আননে —
‘ ওলো তোরা আয় ! ওই দেখা যায়
কুটির কাহার অদূরে ,
ওই ঘরে তোরা লাগাবি অনল ,
তপ্ত করিব করপদতল ' — এত বলি রানী রঙ্গ বিভল
হাসিয়া উঠিল মধুরে ।



কহিল মালতী সকরুণ অতি ,
‘ একি পরিহাস রানীমা !
আগুন জ্বালায়ে কেন দিবে নাশি ?
এ কুটির কোন্ সাধু সন্ন্যাসী
কোন্ দীনজন কোন্ পরবাসী
বাঁধিয়াছে নাহি জানি মা !



' রানী কহে রোষে , ‘ দূর করি দাও
এই দীনদয়াময়ীরে ।'
অতি দুর্দাম কৌতুকরত
যৌবনমদে নিষ্ঠুর যত
যুবতীরা মিলি পাগলের মতো
আগুন লাগালো কুটিরে ।



ঘন ঘোর ধূম ঘুরিয়া ঘুরিয়া
ফুলিয়া ফুলিয়া উড়িল ।
দেখিতে দেখিতে হুহু হুংকারি
ঝলকে ঝলকে উল্কা উগারি
শত শত লোল জিহ্বা প্রসারি
বহ্নি আকাশ জুড়িল ।



পাতাল ফুঁড়িয়া উঠিল যেন রে
জ্বালাময়ী যত নাগিনী ।
ফণা নাচাইয়া অম্বরপানে
মাতিয়া উঠিল গর্জনগানে ,
প্রলয়মত্ত রমণীর কানে
বাজিল দীপক রাগিণী ।



প্রভাতপাখির আনন্দ গান
ভয়ের বিলাপে টুটিল —
দলে দলে কাক করে কোলাহল ,
উত্তরবায়ু হইল প্রবল ,
কুটির হইতে কুটিরে অনল
উড়িয়া উড়িয়া ছুটিল ।


ছোটো গ্রামখানি লেহিয়া লইল
প্রলয়লোলুপ রসনা ।
জনহীন পথে মাঘের প্রভাতে
প্রমোদক্লান্ত শত সখী - সাথে
ফিরে গেল রানী কুবলয় হাতে
দীপ্ত - অরুণ - বসনা ।

তখন সভায় বিচার - আসনে
বসিয়াছিলেন ভূপতি ।
গৃহহীন প্রজা দলে দলে আসে ,
দ্বিধাকম্পিত গদগদ ভাষে
নিবেদিল দুঃখ সংকোচে ত্রাসে
চরণে করিয়া বিনতি ।


সভাসন ছাড়ি উঠি গেল রাজা
রক্তিমমুখ শরমে ।
অকালে পশিলা রানীর আগার —
কহিলা , ‘ মহিষী , একি ব্যবহার !
গৃহ জ্বালাইলে অভাগা প্রজার
বলো কোন্ রাজধরমে !


' রুষিয়া কহিল রাজার মহিষী ,
‘ গৃহ কহ তারে কী বোধে !
গেছে গুটিকত জীর্ণ কুটির ,
কতটুকু ক্ষতি হয়েছে প্রাণীর ?
কত ধন যায় রাজমহিষীর
এক প্রহরের প্রমোদে !


' কহিলেন রাজা উদ্যত রোষ
রুধিয়া দীপ্ত হৃদয়ে —
‘ যতদিন তুমি আছ রাজরানী
দীনের কুটিরে দীনের কী হানি
বুঝিতে নারিবে জানি তাহা জানি —
বুঝাব তোমার নিদয়ে ।


' রাজার আদেশে কিংকরী আসি
ভূষণ ফেলিল খুলিয়া —
অরুণবরন অম্বরখানি
নির্মম করে খুলে দিল টানি ,
ভিখারি নারীর চীরবাস আনি
দিল রানীদেহে তুলিয়া ।


পথে লয়ে তারে কহিলেন রাজা ,
‘ মাগিবে দুয়ারে দুয়ারে —
এক প্রহরের লীলায় তোমার
যে ক ' টি কুটির হল ছারখার
যত দিনে পার সে - ক ' টি আবার
গড়ি দিতে হবে তোমারে ।


‘ বৎসরকাল দিলেম সময় ,
তার পরে ফিরে আসিয়া
সভায় দাঁড়ায়ে করিয়া প্রণতি
সবার সমুখে জানাবে যুবতী
হয়েছে জগতে কতটুকু ক্ষতি
জীর্ণ কুটির নাশিয়া ।
-


++++++++++++++++

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:২৯

একজন আরমান বলেছেন:
কবিতা পড়তে আমার বেশ ভালো লাগে।
মনে হয় জীবনের সব সুখ, দুঃখ, ক্ষোভ, হাসি, কান্না কবিতার মাঝে ফুটে ওঠে।

শুভকামনা।

৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৫৩

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
নাইস পোষ্ট আরমান।


কবির জন্মদিনে কবিকে শ্রন্ধাঞ্জলী :)

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৩

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ আলাউদ্দিন ভাই।

৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৪:০৭

যোদ্ধা ৭১ বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন আরমান ভাই । অসাধারন লেখনীতে অনেক তথ্য জানিয়েছেন ।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৪

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ যোদ্ধা।

৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৪:৩৬

শ্যামল জাহির বলেছেন: শুভ জন্মদিন সুপ্রিয় কবি কামিনী রায়!

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৫

একজন আরমান বলেছেন:
জন্মদিনের শুভেচ্ছা প্রিয় কবিকে।

১০| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩২

সুমন কর বলেছেন: কবিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা এবং তোমাকে সুন্দর একটি পোস্ট দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ। গুড পোস্ট।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫১

একজন আরমান বলেছেন:
আপনাকেও ধন্যবাদ সুমন দা।

১১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১৩

মামুন রশিদ বলেছেন: শুভ জন্মদিন কবি কামিনী রায় ।


নাইস পোস্ট আরমান ।

কবি কামিনী রায় কি কবি জীবনানন্দ দাশের মা ?

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:২৯

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ মামুন ভাই।

না জীবনানন্দ দাশের মায়ের নাম কুসুমকুমারী দাশ

১২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২৮

নেক্সাস বলেছেন: বাংলা সাহিত্যের অন্যতম এক সেরা কবি কামিনী রায়।


কাঁদে প্রাণ যবে, আঁখি সযতনে শুষ্ক রাখি
নির্মল নয়নের জলে,
পাছে লোকে কিছু বলে।

এই কবিতা টা আমরা ক্লাস এইটে পড়েছিলাম। দারুন মনুষ্য চরিত রচনা।

ধন্যবাদ আরমান ভাই কামিনী রায় কে নিয়ে পোষ্ট দেওয়ায়

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৭

একজন আরমান বলেছেন:
মহিলা কবিদের মধ্যে কামিণী রায় অন্যতম।

আপনাকেও ধন্যবাদ প্রিয় কবি।

১৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭

ইখতামিন বলেছেন:
শুভ জন্মদিন কবি কামিনী রায় ।
একজন আরমান কেও ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা :)

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ ইখতামিন। :)

১৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭

আমিনুর রহমান বলেছেন:




গ্রেট জব আরমান। ভুলেই গিয়েছিলাম এই কবির কথা যার কবিতা ছোটবেলা পড়েছিলাম। মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:০০

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাইয়া। :)

১৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:২৫

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: দারুন একটি পোস্ট।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:০৩

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ মাহতাব ভাই।

১৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪৯

শাশ্বত স্বপন বলেছেন: এক কোটি সালাম অাপনাকে। কামিনী রায়ের ভক্ত আমি।
১৮শ বা ১৯শ শতকে যারা হিন্দু ধর্ম থেকে ব্রাক্ষ হয়েছে, তারা বা তাদের পরিবারে সন্তানরা অনেকেই অনেক বড় হয়েছে। যেমন, রবীন্দ্রনাথ, কামিনী রায়, জীবনানন্দ ও তার মা, লীলা নাগ, বাঙ্গালী হিসাবে প্রথম জাপান যাত্রী হরিপ্রভা তাকেদা (তাকেদা জাপানী স্বামীর নাম), স্বদেশী আন্দোলনের বহু কর্মী........

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:০৫

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ অনেক তথ্যবহুল একটি মন্তব্য করার জন্য।

১৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১৯

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
দারুন পোষ্ট ++++++

শুভ জন্মদিন কবি কামিনী রায়।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১০

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ প্রিয় কবি।

১৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩৩

এহসান সাবির বলেছেন: শুভ জন্মদিন কামিনী রায়।

আরমান ভাই চমৎকার পোস্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১২

একজন আরমান বলেছেন:
আপনাকেও ধন্যবাদ সাবির ভাই।

১৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শুভ জন্মদিন কামিনী রায়।

অনেক তথ্য জানা গেলো কামিনী রায় সম্পর্কে। তবে চণ্ডিচরণের ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষালাভ ১৯৭০ না হয়ে ১৮৭০ সালে হওয়ার কথা। কামিনী রায়ের জন্ম ১৮৬৪ সালে এবং মারা যান ১৯৩৩ সালে। উইকিপিডিয়াতে তাঁর বাবার ঐ তথ্যটা ভুল।

আশরাফ মাহমুদ মুন্না@

মৌমাছি মৌমাছি ছড়াটা লিখেছেন নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্য। দেখুন পুরোটাই নিচেঃ

‘মৌমাছি, মৌমাছি,
কোথা যাও নাচি নাচি
দাঁড়াও না একবার ভাই।’
‘ওই ফুল ফুটে বনে,
যাই মধু আহরণে,
দাঁড়াবার সময় তো নাই।’

‘ছোট পাখি, ছোট পাখি,
কিচি-মিচি ডাকি ডাকি
কোথা যাও, বলে যাও শুনি?’
‘এখন না কব কথা,
আনিয়াছি তৃণলতা,
আপনার বাসা আগে বুনি।’

‘পিপীলিকা, পিপীলিকা,
দল-বল ছাড়ি একা
কোথা যাও, যাও ভাই বলি।’
‘শীতের সঞ্চয় চাই,
খাদ্য খুঁজিতেছি তাই,
ছয় পায় পিল্ পিল্ চলি।’


***

এবার আরমান ভাইয়ের জন্য একটা ছড়া দিচ্ছি। এটার রহস্য বলুন দেখিঃ

কেউ যদি কিছু ভাবে

সাধ হয় কিছু করি
রিকশা বা বাসে চড়ি
তখনই মন বলে, থামো
কেউ যদি কিছু ভাবে!

গোপনে গোপনে হাঁটি
সুনসান পরিপাটি
কীভাবে জনসমক্ষে যাবো?
কেউ যদি কিছু ভাবে!

কতো কী যে ভাবি মনে
আলো দেবো জনে জনে
সব আশা মুকুলেই মরে
কেউ যদি কিছু ভাবে!

কখনো বা বেদনায়
বুক যদি ভেঙে যায়
কাঁদতে পারি না প্রাণ খুলে
কেউ যদি কিছু ভাবে!

মানবিক কোনো কাজে
সবে জোটে একসাথে-
আমিও সে-দলে যেতে চাই;
কেউ যদি কিছু ভাবে!

হায়রে নিঠুর বিধি
আজব তোমার রীতি-
মরবার ভয়ে আড়ালে লুকাই,
কেউ যদি কিছু ভাবে!

****

কামিনী রায়কে স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ আরমান ভাই।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১৮

একজন আরমান বলেছেন:
অনেকগুলো ভুল সুধরে দেবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ সোনাবীজ ভাই।

রহস্য জট উন্মোচনে অক্ষম। :|

২০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:২৪

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: গুড পোষ্ট

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১৯

একজন আরমান বলেছেন:
থ্যাংকস।

২১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:১৯

ইনকগনিটো বলেছেন: উনার সম্পর্কে জানতাম, তবে এতো ডিটেইল না। ধন্যবাদ, সুন্দর পোস্টটির জন্য।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১১

একজন আরমান বলেছেন:
আপনাকেও ধন্যবাদ প্রিয় কবি।

২২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫০

রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: আরমান ভাইয়া
ঈদ মোবারক :)
কেমন আছো ভাইয়া??

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:২৬

একজন আরমান বলেছেন:
ঈদ মোবারক আপু।
আমি আছি ভালোই। তুই কেমন আছিস?
পরীক্ষা শেষ হয়েছে?

২৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪

রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: ভালো আছি ভাইয়া।হুম শেষ হয়েছে ভাইয়া। ফাইনাল ইয়ারে উঠে গেছি তো :D :D

অ ট: ভাইয়া বউ পাইসো?? ;) :P B-))

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪৭

একজন আরমান বলেছেন:
বাহ গ্রেট ! :)

সেটা কি এতো সহজ নাকি?

২৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১২

তাসজিদ বলেছেন: তথ্যসমৃদ্ধ দারণ পোস্ট

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

একজন আরমান বলেছেন:
ধন্যবাদ তাসজিদ ভাই।

২৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৪১

অদৃশ্য বলেছেন:





আরমান ভাই

দারুন... ক'দিন আগে কৃষকের ঈদ অনুষ্ঠানে শাইক সিরাজ কবি কামিনী রায়ের বসত বাড়ির পাশে দাড়িয়ে কথা বলছিলেন... যে বাড়িতেই তার লিখালিখির শুরু... আর সেই বাড়িটা আজ অন্য লোক দখল করে ভোগ করছে...

খুব অল্প সময়ে/দৃশ্যে দেখা বাড়িটা চোখের ভেতরে গেঁথে আছে...

'' করিতে পারিনা কাজ
সদা ভয় সদা লাজ
সংশয়ে সংকল্প সদা টলে
পাছে লোকে কিছু বলে ''


শুভকামনা...

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯

একজন আরমান বলেছেন:
আমি টিভি প্রোগ্রাম দেখি না। তাই মিস হয়ে গেছে। :(


ধন্যবাদ ভাই।

আশা করি সুন্দর ঈদ উদযাপন করেছেন।

২৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ভাল লাগল এই মহিয়ষী নারীর কথা জানতে পেরে। তাঁর জন্য শ্রদ্ধাঞ্জলী।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১

একজন আরমান বলেছেন:

:)

২৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০২

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: সকলের তরে সকলে আমরা, . প্রত্যেকে আমরা পরের তরে

এই কবিতাটার জন্য উনি সবসময়েই মেমরেবল থাকবেন বাংলা সাহিত্যে , কবিতাটা আমার প্রিয় ।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪২

একজন আরমান বলেছেন:
হ্যাঁ। কবিতার লাইনটার গভীরতা কিন্তু অনেক।


আপু পুরনো পোস্ট খুঁজে পড়া কি আপনার অভ্যেস? :-B :-B :-B

২৮| ১৮ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৬

নেবুলা মোর্শেদ বলেছেন: আরমান ভাই কেমন আছেন? অনেকদিন পরে কথা হলো,আবার দেখা হবে৷ ভালো থাকবে৷।

নেবুলা

১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৪১

একজন আরমান বলেছেন:
আমি বিস্মিত ! প্রায় দেড় বছর হল আমাদের কোন যোগাযোগ নেই। আমি অনেক চেস্টা করেছি কিন্তু পাইনি। মাহফুজ ভাইকেও জিজ্ঞেস করেছিলাম। সে যাই হোক। আপনাকে আবার দেখে খুব ভালো লাগছে। কতোটা তা প্রকাশ করতে পারছি না। আপনার নাম্বার দিয়ে দয়া করে আমাকে একটা কল বা এসএমএস দিয়েন। অনেক কথা জমে আছে। আমার নাম্বারঃ ০১৯১৮ ০৫ ০৫ ৮০

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.