নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছায়া নয়, আলো ...

আরমান আরজু

সত্য ও অসীমের পথে

আরমান আরজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোরবানী: দিতে হবে না হতে হবে?

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৩৮

প্রতি বছর জিলহজ্জ মাস আসে আর আমরা ঘটা করে পশু কোরবানীর আয়োজন করি। ইদানিং কোরবানী দেখছি উৎসবে পরিণত হয়ে গেছে! অথচ কোরআন-হাদীসের বর্ণনা মতে এটি একটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ ইবাদত। আল্লাহর নবী হযরত ইব্রাহীম (আ.) এর সময় থেকে যদিও আনুষ্ঠানিক কোরবানীর প্রচলন কিন্তু কোরবানীর শুরু সেই প্রথম মানব হযরত বাবা আদম (আ.) এর সৃজন কালে; যখন মহান আল্লাহ আমাদের আদি পিতাকে সৃষ্টি করে ফেরেশতাদের বললেন তাঁকে সেজদা করতে। সব ফেরেশতারা তাঁদের যাবতীয় অহঙ্কারকে আল্লাহর হুকুমের সম্মুখে কোরবানী দিয়ে আদম (আ.) কে সেজদা করলেন, নূর কীভাবে মাটিকে সেজদা করবে এই বাদানুবাদে গেলেন না। গেল ইবলীস, সে তার আমিত্বকে কোরবানী তো দেয়-ই নি উল্টো আল্লাহর সাথে বিবাদে জড়ালো এই বলে যে আগুন কীভাবে মাটির সামনে বিনীত হবে। প্রথমত সে আল্লাহর হুকুম মানেনি, দ্বিতীয়ত সে অহঙ্কার করল এবং তৃতীয়ত সে ভুল স্বীকার না করে উল্টো জেদ ধরলো আদম জাতিকে সে কোন ভাবেই কোরবানী হতে দেবে না। অবলা পশুটির গলায় ছুরি চালাবার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন হতভাগা ইবলীসের ঐ গুণগুলো (!) আপনার মধ্যে আছে কিনা, আপনি কি কোরবানী দিচ্ছেন না কোরবান হচ্ছেন।
হযরত ইব্রাহীম (আ.) কে মহান আল্লাহ অনেক বছর পর সন্তান দেওয়ায় তিনি সন্তানের প্রতি এতই আকৃষ্ট হয়ে পড়লেন যে আল্লাহ প্রেম থেকে কিছুটা দূরে সরে পড়লেন যা নবীদের ক্ষেত্রে বেমানান (আমি মনে করি সবার ক্ষেত্রেই বেমানান)। আল্লাহ সাথে সাথে ডাক দিলেন প্রিয় জিনিস কোরবানী দিতে হবে। ইব্রাহীম (আ.) পড়লেন মহা ভাবনায়। প্রিয় জিনিস কী বা কোনটি? শেষে পেলেন, আর কেউ না, নিজের সন্তান। কোন প্রকার ইতস্তত না করে নিজের প্রিয় পুত্রকে নিয়ে চললেন কোরবানী দিতে। তিনি চাইলে ভুল স্বীকার করে আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে বিষয়টি পরিবর্তন করে পুত্র কোরবানী নাও দিতে পারতেন। কিন্তু হযরত ইব্রাহীম (আ.) সফল। এবার আপনার পালা। নিজের বিবেককে একবার প্রশ্ন করুন তো প্রিয় জিনিস কোনটি- আল্লাহ না দুনিয়া? যদি আল্লাহ হয় তবেই পশু কোরবানী আপনার জন্য। আর যদি দুনিয়া-ই প্রিয় হয় তবে অবলা পশুর গলায় ছুরি চালাবার আগে চিন্তা করা উচিত দুনিয়ার মায়া, লোভ, অহংকার, হিংসা, রিয়া, অজ্ঞানতা ইত্যাদি দোষ সমূহ আপনি কোরবানী দিতে পেরেছেন কিনা। না পারলে কিয়ামতের ময়দানে এই অবলা পশুগুলো আপনার বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে অভিযোগ দেবে এই বলে যে, আপনি মনের পশুত্বকে কোরবান না করে মনুষ্যত্বকে কোরবান করেছেন। তখন আল্লাহ এই অবলা জীব গুলোকে আপনার ঘাড়ে তুলে দিয়ে সবার সামনে আপনাকে লাঞ্ছিত করবেন। সুতরাং কোরবানী দেবেন না হবেন একটু ভেবে দেখার অনুরোধ রইলো।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:

" অবলা পশুটির গলায় ছুরি চালাবার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন হতভাগা ইবলীসের ঐ গুণগুলো (!) "

খোদা ইবলিসের ঝগড়ার মাঝখানে নিরীহ পশু কেন প্রাণ দিচ্ছে?

২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: নতুন জিনিস!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.