নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছায়া নয়, আলো ...

আরমান আরজু

সত্য ও অসীমের পথে

আরমান আরজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘জ্ঞান: কী? কেন? কীভাবে?’ (৭ম কিস্তি)

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৯

শেষ বিচার দিবসের মাঠে যখন মানুষের নিকট থেকে তাদের পাপ-পুণ্যের হিসাব নেয়া হবে তখন মানুষ যেন মহান আল্লাহর কাছে অভিযোগ না করতে পারে যে আপনি তো আমাদের আপনাকে কিংবা শয়তানকে দেখার ও শয়তানের কুমন্ত্রণা বুঝার মত কোন জিনিস দেননি যাতে আমরা সতর্ক হতে পারতাম এবং একনিষ্ঠ ভাবে আপনার প্রার্থনা করতে পারতাম তখন আল্লাহ উপরোক্ত আয়াতের কথা তাদের মনে করিয়ে দিয়ে বলবেন,
”যে ব্যক্তি তার কাছে প্রকৃত সত্য স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পর রসূলের বিরুদ্ধাচরণ করবে এবং মু’মিনদের পথ ছেড়ে অন্য (শয়তান ও বিদআতীদের) পথের অনুসরণ করবে, তাকে আমি সেদিকেই ধাবিত করবো যেদিকে সে ধাবিত হয়েছে” [সুরা নিসা, আয়াত: ১১৫]।
এখন ’প্রকৃত সত্য’ কী? প্রকৃত সত্য সেটিই যা বাস্তব এবং দৃশ্যমান, ’আমি যা জানি’ বলে রসূল (সা.) বলেছিলেন। এখন শুধু রসূল (সা.)-ই জানবেন আর দেখবেন, আমরা বঞ্চিত থাকব তা কি হয়? হয় না বলেই তিনি এমন এক জ্ঞান (শক্তি বা বিলায়ত) নিয়ে এসেছিলেন যা শুধু নিজের কাছেই রেখে দেননি, বিলিয়ে দিয়েছেন তাঁর প্রিয় অনুসারীদের (সাহাবী) অন্তরে এবং সেই ধারা এখনও বলবৎ আছে মু’মিন তথা সত্যবাদীদের (আওলিয়া আল্লাহ) মাঝে নইলে আল্লাহ বলতেন না,
”আল্লাহর নবী মু’মিনদের কাছে তাদের নিজেদের (জীবনের) অপেক্ষাও বেশি প্রিয় (কাছে)” [সুরা আহযাব, আয়াত: ৬]।
হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদীসে আছে, ”আল্লাহর রসূল (সা.) বলেন, তোমাদের কেউ ততক্ষণ পরিপূর্ণ মু’মিন হবে না, যতক্ষণ না আমি তার নিকট তার পিতা, তার পুত্র এবং সকল মানুষের চেয়ে বেশি প্রিয় না হই। অন্য এক হাদীসে বর্ণিত আছে, একবার ইসলামের দ্বিতীয় খলীফা উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) আল্লাহর রসূল (সা.) কে বললেন, হে আল্লাহর রসূল, নিশ্চয়ই আপনি আমার নিকট আমার জীবন ছাড়া আর সকল কিছু থেকে বেশি প্রিয়। এ কথা শুনে নবী (সা.) বললেন, না, যাঁর হাতে আমার প্রাণ তাঁর শপথ যতক্ষণ না আমি তোমার জীবনের চেয়ে তোমার কাছে বেশি প্রিয় না হই (ততক্ষণ তুমি পরিপূর্ণ মু’মিন তথা সত্যবাদী হতে পারবে না)। ফলে উমর (রা.) তাঁকে বললেন, তাহলে এখন আল্লাহর শপথ, আপনি আমার নিজের জীবনের চেয়েও আমার কাছে বেশি প্রিয়। নবী (সা.) বললেন, হে উমর, এখন তুমি পরিপূর্ণ ঈমানের অধিকারী হয়েছ” [হাদীস ক্রম ১৪, বুখারী শরীফ-১ম খন্ড (পৃ. ৪৪), মূল: ইমাম আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইব্ন ইসমাঈল বুখারী (রহ.), অনুবাদ: শায়খুল হাদীস মাওলানা আজিজুল হক, হামিদিয়া লাইব্রেরী লিঃ, ঢাকা]।
অপর এক আয়াতে রীতিমতো সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যে আল্লাহ এবং তাঁর রসূল (সা.) কে সবার চেয়ে বেশি ভালো না বাসলে পরিণামে শাস্তি ভোগ করতে হবে,
”(হে রসূল) বলে দিন, যদি তোমাদের নিকট আল্লাহ, তাঁর রসূল এবং তাঁর (আল্লাহর) পথে সংগ্রাম করা অপেক্ষা অধিক প্রিয় হয় তোমাদের পিতা, তোমাদের সন্তান, তোমাদের ভ্রাতা, তোমাদের পত্নী, তোমাদের স্বগোষ্ঠী, তোমাদের অর্জিত ধন-সম্পদ, তোমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য যা তোমরা মন্দা পড়ার আশঙ্কা কর এবং তোমাদের বাসস্থান যা তোমরা ভালোবাস তবে অপেক্ষা কর আল্লাহর (পক্ষ থেকে তাঁর আযাবের) নির্দেশ আসা পর্যন্ত” [সুরা তওবা, আয়াত: ২৪]।
মু’মিন তথা আওলিয়াদের প্রশংসায় মহান আল্লাহ বলছেন,
”তারা সে সমস্ত লোক, যাদের প্রতি আল্লাহর অফুরন্ত অনুগ্রহ ও রহমত রয়েছে এবং এসব লোকই সঠিক পথপ্রাপ্ত” [সুরা বাক্বারা, আয়াত: ১৫৭],
”সেদিন কিছু সংখ্যক (মানুষের) চেহারা উজ্জ্বল আলোয় ভরে উঠবে” [সুরা ক্বেয়ামাহ, আয়াত: ২২]।
হাদীসে আছে, ”হযরত উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেছেন, আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে এমন একটি দল রয়েছে (সত্যবাদী তথা আওলিয়া) যাদেরকে শেষ বিচারের দিন দেখে নবীগণ ও শহীদগণও ঈর্ষা করবেন। এমতাবস্থায় কেউ একজন জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রসূলুল্লাহ্ (সা.), এঁরা কারা? মহানবী (সা.) বললেন, তারা এমনই একদল মানুষ, যারা শুধুমাত্র আল্লাহ তায়ালার জন্য পরস্পরকে ভালবাসে, অর্থ কিংবা পারিবারিক বন্ধনের কারণে নয়। তাদের চেহারা সেদিন নূরে (উজ্জ্বল আলো) পরিপূর্ণ থাকবে এবং তারা নূরের আসনে বসবে। তারা সেদিন ভীত হবে না যেদিন মানুষেরা ভয়ের মধ্যে থাকবে; মানুষেরা যখন পরিতাপ করবে, তখনও তারা নিশ্চিন্ত থাকবে” [হাদীস ক্রম ৩৫২৭, অধ্যায় ৭৬, সুনান আবু দাউদ-৪র্থ খন্ড (পৃ. ১৫০), মূল: ইমাম হাফিয আবু দাউদ সুলায়মান বিন আশআস (রহ.), ইংরেজি অনুবাদ: নাসিরউদ্দিন আল খাত্তাব (কানাডা), দারুসসালাম প্রকাশনা, সৌদি আরব এবং এহইয়াউ উলুমিদ্দীন-২য় খ-, পৃষ্ঠা: ৪২০, মূল: হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাযযালী (রহ.), অনুবাদ: মাওলানা মুহিউদ্দিন খান, মদীনা পাবলিকেশান্স, ঢাকা]।
অন্তরের চোখ বলে যে একটি ব্যাপার আছে যা দিয়ে অজানা কে জানা যায়, অদেখা কে দেখা যায়, এর বিস্তারিত ব্যাখ্যার প্রয়োজন আছে এবং এ অন্তরের চোখের জ্ঞান এত সুক্ষ্ম যে নিজের ভেতরে অনুভব ব্যতীত শুধু (পুস্তকে) পড়ে বা (কারো কাছ থেকে) শুনে আয়ত্ত করা বলতে গেলে অসম্ভব। বর্তমানের এ যুগে এসব কথা অনেকের কাছে একেবারেই নতুন মনে হবে (সম্ভবত হচ্ছে!) অথচ এসব অধ্যায় একসময় [মহানবী (সা.), সাহাবায়ে কেরাম (রা.), তাবেঈন, তাবে-তাবেঈন (রহ.), আউলিয়াগণ তথা সত্যবাদীদের যুগ যা এখনও বর্তমান] ছিল বহুল চর্চিত কিন্তু কালের চক্রে, মুখস্থ পণ্ডিতদের দৌরাত্ম্যে, নতুন নতুন ইসলামী চিন্তাবিদদের শুষ্ক (যৌগিক) জ্ঞানচর্চার আড়ালে, কতক (পথভ্রষ্ট) পীর (বিভিন্ন দরবারে গদিনশীন, সাজ্জাদানশীন!) নামক পদবীধারী ও শয়তানী কর্মকাণ্ডের তাণ্ডবে এবং সর্বোপরি মানুষের ধর্মীয় চেতনা লৌকিকতার অন্তরালে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ায় এগুলো এখন ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। আমি আগেই বলেছি যারা আল্লাহকে বিশ্বাস (বিশ্বাস মানে শুধু মৌখিক স্বীকারোক্তি নয় যে আল্লাহ আছেন, বরং বিশ্বাস হচ্ছে তাই-ই যে, আল্লাহ তাকে দেখছেন, তাঁর কাছ থেকে কোন কিছু গোপন করা যায় না) করে তাদের জন্য আল্লাহ তাঁর (দৃশ্য-অদৃশ্য) নিদর্শন সমূহ সুস্পষ্ট করে পেশ করে দিয়েছেন। এখন নিজেকে প্রশ্ন করুন এসব (দৃশ্য-অদৃশ্য) নিদর্শন সমূহ কেন আপনি দেখতে পান না? আপনি অন্যায় করবেন (প্রকাশ্যে বা গোপনে) আবার নিজেকে পুণ্যবান (শুষ্ক প্রার্থনায় অধিক পুণ্য অর্জিত হয়েছে মনে করে) ভেবে ভেতরে ভেতরে আক্ষেপ করবেন যে কেন আমি (দৃশ্য-অদৃশ্য) নিদর্শন সমূহ দেখতে পাই না। সেজন্যই আবার মহান আল্লাহ বলছেন,
”অচিরেই আমি সেসব মানুষের দৃষ্টি আমার (এসব) নিদর্শন থেকে (ভিন্ন দিকে) ফিরিয়ে দেবো, যারা পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে অহংকার করে বেড়ায়” [সুরা আ’রাফ, আয়াত: ১৪৬],
”যারা (জেনেশুনে) অস্বীকার করেছে, তাদেরকে আপনি সাবধান করুন আর নাই করুন, উভয়টাই সমান, এরা কখনো বিশ্বাস স্থাপন করবে না। আল্লাহ তায়ালা তাদের অন্তর (এর চোখে), তাদের শ্রবণশক্তি এবং তাদের দৃষ্টিশক্তির উপর (মোহর মেরে) আবরণে ঢেকে দিয়েছেন। আর তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি” [সুরা বাক্বারা, আয়াত: ৬-৭]।
হাদীসে আছে, ”যার সৎ কাজ তাকে আনন্দিত করে (অর্থাৎ বিবেক বাধা দেয় না) এবং অসৎ কাজ কষ্ট দেয় (অর্থাৎ বিবেকের দংশন অনুভব করে) সেই হল প্রকৃত ঈমানদার” [হাদীস ক্রম ২১৬৫, অধ্যায় ৩১, জামি’ আত-তিরমিযী-৪র্থ খন্ড (পৃ. ২২৫), মূল: ইমাম হাফিয আবু ঈসা মুহাম্মদ ইবনে ঈসা আত-তিরমিযী (রহ.), ইংরেজি অনুবাদ: আবু খলিল (আমেরিকা), দারুসসালাম প্রকাশনা, সৌদি আরব]।
আবার শয়তান তো আছেই এখন শুরু হয়েছে বিদআতীদের নানা রং-তামাশা। কোরআন-হাদীসের বড় বড় পণ্ডিত দাবী করে এরা এখন এমন সব কথাবার্তা বলছে বা লিখছে যার সাথে পূর্ববর্তী মহান জ্ঞানীদের কোন সামঞ্জস্য তো নেই-ই বরঞ্চ ঐ সব মহান জ্ঞানীদের সমালোচনা করতেও পিছপা হচ্ছে না। কোরআনে এদের সম্বন্ধে বলা হয়েছে,
”তাদের উদাহরণ হচ্ছে সেই গাধার মত, যে (গ্রন্থের) বোঝাই শুধু বহন (মুখস্থ) করল (এর নিহিতার্থ বুঝলো না)” [সুরা জুমুয়াহ, আয়াত: ৫]।
হাদীসে আছে, ”এই উম্মতের মধ্যে এমন একটি দল দেখা দেবে যাদের (বাহ্যিক অতি ভক্তির রূপ এমন হবে যে, তাদের) নামাযের কাছে তোমাদের (তথা খাঁটি ঈমানদারদের) নামাযকে তোমরা তুচ্ছ মনে করবে। তারা কোরআনও তেলাওয়াত করবে (সুললিত কণ্ঠে) কিন্তু কোরআন তাদের ভেতরে প্রবেশ করবে না। তারা দ্বীন-ইসলাম হতে ছিন্ন” [হাদীস ক্রম ২৫৯৬, বুখারী শরীফ-৭ম খন্ড (পৃ. ১৭৩), মূল: ইমাম আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইব্ন ইসমাঈল বুখারী (রহ.), অনুবাদ: শায়খুল হাদীস মাওলানা আজিজুল হক, হামিদিয়া লাইব্রেরী লিঃ, ঢাকা]।
হযরত আলী (রা.) বর্ণিত এক হাদীসে আছে, ”কিয়ামতের পনেরটি লক্ষণের মধ্যে একটি হচ্ছে, পরবর্তী প্রজন্মরা পূর্ববর্তী প্রজন্মদের দোষ চর্চায় লিপ্ত হবে” [হাদীস ক্রম ২২১০, অধ্যায় ৩৮, জামি’ আত-তিরমিযী-৪র্থ খন্ড (পৃ. ২৬৩), মূল: ইমাম হাফিয আবু ঈসা মুহাম্মদ ইবনে ঈসা আত-তিরমিযী (রহ.), ইংরেজি অনুবাদ: আবু খলিল (আমেরিকা), দারুসসালাম প্রকাশনা, সৌদি আরব]। দোষ চর্চার লক্ষণ আমরা ইতিমধ্যে দেখতে পাচ্ছি। সিহাহ সিত্তাহ’র [হাদীসের প্রধান ছয়টি গ্রন্থকে একত্রিতভাবে সিহাহ সিত্তাহ (আরবি Al-Kutub Al-Sittah‎‎) বলা হয়ে থাকে, যার অর্থ ’নির্ভুল’ বা ’নির্ভরযোগ্য’। সিহাহ সিত্তাহ’র অন্তর্ভুক্ত গ্রন্থগুলো ধর্মীয় কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্ভরযোগ্যতার বিচারে এগুলোর ধারাবাহিকতা হলো: ১. সহীহ বুখারী, সংগ্রাহক: ইমাম বুখারী (মৃ. ৮৭০), অন্তর্ভুক্তি সংখ্যা: ৭২৭৫ টি হাদীস; ২. সহীহ মুসলিম, সংগ্রাহক: ইমাম মুসলিম (মৃ. ৮৭৫), অন্তর্ভুক্তি সংখ্যা: ৯২০০ টি হাদীস; ৩. সুনান-এ-আল-সুগরা, সংগ্রাহক: ইমাম নাসায়ী (মৃ. ৯১৫); ৪. সুনান-এ-আবু দাউদ, সংগ্রাহক: ইমাম আবু দাউদ (মৃ. ৮৮৮); ৫. জামি আত-তিরমিযী, সংগ্রাহক: ইমাম আত-তিরমিযী (মৃ. ৮৯২) এবং ৬. সুনান-এ-ইবনে মাযাহ, সংগ্রাহক: ইমাম ইবনে মাযাহ (মৃ. ৮৮৭)। সূত্র: উইকিপিডিয়া] গ্রন্থসমূহের সমালোচনার নামে শুরু হয়েছে জাল হাদীস, দুর্বল হাদীস বলে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি; প্রতিষ্ঠিত চার মাযহাবের শ্রদ্ধেয় ইমামদের বিরোধীতার নামে প্রচলন হচ্ছে নতুন নতুন মাযহাবের অথচ ”চার ইমামের তাকলীদ বা অনুসরণ করার ব্যাপারে উম্মতের ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি চার ইমামের [ইমাম আবু হানীফা (রহ.), ইমাম শাফিঈ (রহ.), ইমাম মালিক (রহ.) ও ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (রহ.)] অনুসরণ করার মধ্যে হক্কানিয়্যাত সীমাবদ্ধ। তাই অন্য কোন ইমামের অনুসরণ করাকে বাঁধা দেয়া হবে। কারণ অন্য কোন ইমামের মাযহাব সম্পর্কিত রেওয়ায়েত সংরক্ষিত নেই। ইবনে হুমাম ’ফাতহুল কাদীর’ গ্রন্থে বলেন, চার ইমাম বিরোধী চার মাযহাবের বিপরীত কোন আমল না করার ব্যাপারে ইজমা সংঘটিত হয়েছে। ইবনে হাজার মক্কী ’ফাতহুল মুবীন’ গ্রন্থে বলেন, আমাদের ইমামগণ বলেন, এ যুগে চার ইমাম ব্যতীত অন্যের তাকলীদ বা অনুসরণ করা জায়েয নয়। তাফসীরাতে আহমাদিয়াতে আছে, ইনসাফের কথা হল চার মাযহাবের মধ্যে সীমাবদ্ধ হওয়া আল্লাহর এক অনুগ্রহ এবং আল্লাহর কবূলিয়্যাত। এর মধ্যে কোন ব্যাখ্যা ও দলীল-প্রমাণের অবকাশ নেই” [ইসলামী আকীদা ও ভ্রান্ত মতবাদ-২য় খ-, ২য় অধ্যায় (পৃ. ৪২২), মাওলানা মুহাম্মদ হেমায়েতুদ্দীন, থানভী লাইব্রেরী, ঢাকা এবং তাফসীরে মাযহারী-২য় খ-, পৃষ্ঠা-২১৭, মূল: হযরত মাওলানা কাযী ছানাউল্লাহ্ পানিপথী (রহ.), সম্পাদনা-মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ, হাকিমাবাদ খানকায়ে মোজাদ্দেদীয়া, ভুঁইগড়, নারায়ণগঞ্জ] এবং সত্যের মাপকাঠি হওয়া সত্ত্বেও সাহাবায়ে কেরাম (রা.)-দের সমালোচনা। এ ক্ষেত্রে আমি কারো নামোল্লেখ বা উদাহরণ না দিলেও তাদের চরিত্র বা লক্ষণ বর্ণনা করে যাব কারণ এদের মুখোশও আমাদের চিনে রাখার প্রয়োজন আছে।
[চলবে]

৬ষ্ট কিস্তিঃ Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.