নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছায়া নয়, আলো ...

আরমান আরজু

সত্য ও অসীমের পথে

আরমান আরজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ন্যাংটা বনাম পোশাক

২০ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৫:০৬

ফেসবুকে এক ভাই লিখেছেন, ’কোন ন্যাংটা ব্যক্তি কখনো আল্লাহর অলি হতে পারে না। এরা শয়তানের অলি।’

আমরা সবাই জানি কিয়ামতের মাঠে কারো শরীরে পোশাক দূরে থাক একটি সুতাও থাকবে না। পৃথিবীতে পোশাক পড়েছ কি পড়ো নাই এ রকম কোন প্রশ্নও সেখানে করা হবে না কারণ আমরা এখন এমন এক আধুনিক যুগে বাস করছি যেখানে দেখা যাচ্ছে অনেকে অনেক নামি-দামি পোশাক পড়েও ন্যাংটা (বিশেষ করে নারীরা)। পোশাক কিনতে অর্থের প্রয়োজন। কোরআন বলছে সেই অর্থও সেদিন কোন কাজে আসবে না,
”সেদিন তো (কারো) ধন সম্পদ কাজে আসবে না, না সন্তান-সন্ততি (কারো কাজে আসবে), অবশ্য যে আল্লাহর কাছে একটি বিশুদ্ধ অন্তর নিয়ে উপস্থিত হবে (তার কথা আলাদা)” [সুরা শুআরা, আয়াত: ৮৮-৮৯]।
সুতরাং অন্তর বিশুদ্ধ হয়েছে কিনা আমাদের আগে সেদিকে মনোনিবেশ করা উচিত। পোশাকের দিকে নয়। অন্তরের ভেতর শয়তানি রেখে বাহিরে আমি যতই পোশাকি হই না কেন কোন লাভ নেই। জোব্বা-টুপি পরা মাদ্রাসার হুজুররা কিংবা শার্ট-প্যান্ট পরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যখন অনাচারে নেমে পড়েন (ছাত্র-ছাত্রীদের যৌন নির্যাতন) তখন দোষটা কি তাদের পোশাকের না অন্তরের? তাই ন্যাংটা ব্যক্তি বাদ দিয়ে আমাদের বরঞ্চ উচিত হবে ন্যাংটা ম্যাডাম এবং হালের স্মার্ট আঁটসাঁট বোরকাওয়ালীদের কীভাবে একটু শালীনতায় আনা যায় সেদিকে মনোযোগ দেয়া।

আরবী ’অলি’ শব্দের অর্থ বন্ধু যেটির বহুবচন হচ্ছে আওলিয়া। আল্লাহর অলি অর্থ আল্লাহর বন্ধু। যেনতেন কারো বন্ধু নয়। এবার একটু কোরআনে দেখা যাক সেখানে বন্ধুদের ব্যাপারে কী বলা হয়েছে। বলা হয়েছে,
”নিঃসন্দেহ আল্লাহর বন্ধুরা- তাদের উপরে কোন ভয় নেই এবং তাঁরা অনুতাপও করবে না” [সুরা ইউনুস, আয়াত: ৬২]।
’কোন ভয় নেই’, যেনতেন কথা নয়, পৃথিবীতেও কোন ভয় নেই, নেই আখেরাতেও। নিশ্চয়তা দিচ্ছেন স্বয়ং মহান আল্লাহ তাঁর পবিত্র কালামে পাকে,
”সেদিন (অর্থাৎ কিয়ামতের দিন) কিছু সংখ্যক (মানুষের) চেহারা উৎফুল্ল হয়” [সুরা ক্বিয়ামত, আয়াত: ২২]।
শুধু কোরআনে নয় হাদীসেও এর সত্যায়ন আছে, ”হযরত উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেছেন, আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে এমন একটি দল রয়েছে (সত্যবাদী তথা আওলিয়া) যাদেরকে শেষ বিচারের দিন দেখে নবীগণ ও শহীদগণ ঈর্ষা করবেন। এমতাবস্থায় কেউ একজন জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রসূলুল্লাহ্ (সা.), এঁরা কারা? মহানবী (সা.) বললেন, তারা এমনই একদল মানুষ, যারা শুধুমাত্র আল্লাহ তায়ালার জন্য পরস্পরকে ভালবাসে, অর্থ কিংবা পারিবারিক বন্ধনের কারণে নয়। তাদের চেহারা সেদিন নূরে (উজ্জ্বল আলো) পরিপূর্ণ থাকবে এবং তারা নূরের আসনে বসবে। তারা সেদিন ভীত হবে না যেদিন মানুষেরা ভয়ের মধ্যে থাকবে; মানুষেরা যখন পরিতাপ করবে, তখনও তারা নিশ্চিন্ত থাকবে” [হাদীস ক্রম ৩৫২৭, অধ্যায় ৭৬, সুনান আবু দাউদ-৪র্থ খন্ড (পৃ. ১৫০), মূল: ইমাম হাফিয আবু দাউদ সুলায়মান বিন আশআস (রহ.), ইংরেজি অনুবাদ: নাসিরউদ্দিন আল খাত্তাব (কানাডা), দারুসসালাম প্রকাশনা, সৌদি আরব]।
এবার আসুন আয়াতটিকে (সুরা ইউনুস, আয়াত: ৬২) বিপরীত ভাবে চিন্তুা করি। অর্থাৎ যারা আল্লাহর বন্ধু নয় তাদের উপরে ভয়ও আছে এবং তারা অনুতাপও করবে! বুঝা যাচ্ছে আয়াতটির মাধ্যমে মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাঁর বন্ধু হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন নচেৎ সে শয়তানের বন্ধু। কারণ ভয়-অনুতাপ একমাত্র কাপুরুষ আর শয়তানরাই করে, নির্ভীকরা (তথা আল্লাহর আওলিয়ারা) নয়। এখন আমি কি ন্যাংটা ব্যক্তির চিন্তা করব না আমার চিন্তা করব? আমার মধ্যে যদি ভয় আর অনুতাপ থাকে আমি তো তবে শয়তানের বন্ধু। লোকালয় থেকে বহুদূরে গভীর কোন অরণ্যে কোন ব্যক্তির যদি আল্লাহর ভয়ে নিজের শরীরের পোশাকের দিকে খেয়াল না থাকে তাঁকে আমি কীভাবে ’শয়তানের অলি’ বলি?

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৫৬

কাশফুল মন (আহমদ) বলেছেন: আপনার যুক্তি বুঝলাম,
কিন্তু সতর ঢাকাও তো আল্লাহর নির্দেশ।

২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:০৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুমম। ভাল লিখেছেন।

যারা ন্যাংটত্ব নিয়ে এলার্জিতে আছে তাদের খাবার পানির গ্লাসে মাইক্রোস্কোপ ধরায়া দেন!!!! পানির অভাবে গলা শুকায়া মরব!!

অলিদের তৃতীয় চক্ষু যদি বসায়া দেন তাদের চোখে তারাতো বনে যাওয়া লাগবেনা -জায়গায়তেই ন্যাংটো হইয়া যাইব ;)


৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৫৭

মূল-উপদল বলেছেন: নবী (স:) কোনদিন ন্যাংটা ছিলেন? তিনি কি আল্লাহর ভয়ে কোন সাহাবীকে ন্যাংটা হবার অনুমতি দিয়েছেন???? কি যুক্তি আপনার!! নবী (সঃ) সারাজীবন সংসার করলেন, সাহাবীরা সারাজীবন সংসার করলেন, তাবেয়ীরা সারাজীবন সংসার করলেন, এরা আল্লাহর ওলী না, আল্লাহর ভয়ও এদের সংসার ত্যাগী করতে পারে নাই(নাউজবিল্লাহ), আল্লাহর ভয়ে তার ওলীরা জঙ্গলে বাস করে হেহ, রাখেন আপনার যুক্তি আপনার কাছে।

৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:১৪

আহলান বলেছেন: হাশরের ময়দানে জামা কাপড় বিহীন থাকবেন বলে দুনিয়াতে পোশাক না পারে থাকতে হবে? ওয়াও! ইবলিশতত্বটা তো ভালোই দিয়েছেন। ...

৫| ২০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫১

তাদ্রিহান বলেছেন: তিনি ন্যাংটা বাবা। তিনি আমার চ্যাটের বাল!
ন্যাংটা বাবাদের শিক্ষিত মুরিদ আছে আবার ব্লগেও লিখে, প্রথম দেখলাম।

৬| ২০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:০৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @ মূল-উপদল

সব কিছূতে রাসূর সা: কে টানা কি ঠিক! উনি অনন্য অতুলণীয়! এক, অদ্বিতীয়!
তাই বলে কম সহ্য ক্ষমতার বা ভিন্নমাত্রার জ্ঞানতো মিথ্যা নয়। সবাই তো একমূখি জ্ঞান নিয়ে চলে না। আর তাদের বলা হয়েছে মজজুব!!!
মজজুবের জন্য শরীয়ত প্রযোজ্য নয়।
যেমন প্রচলিত আদালতেও পাগলের জন্য শাস্তি নেই।
মসজিদে নবুবীতেও একদল মজজুব ছিলেন। সব সময়ই বারান্দায় পড়ে থাকতেন। যাদের ব্যপারে নবীজি কখনো আপনাদের মতো পাকনা জ্ঞানের কচকচানি দেখান নি!

৭| ২০ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৪০

আরমান আরজু বলেছেন: আমি কী বুঝাতে চাইলাম আর লোকেরা কী বুঝলো! তথাকথিত জ্ঞানের ভারে যাদের মাথা মোটা হয়ে আছে তাদেরকে আপনি যতই বুঝান তারা বুঝবে না। তারা নিজের চিন্তা বাদ দিয়ে ন্যাংটা মানসিকতা নিয়ে পড়ে থাকতে ভালবাসে। লেখাটির কোথাও আমি উলংগতার পক্ষে সাফাই গাই নি অথচ কিছু মানুষ তাই মনে করে 'চ্যাটের বাল' পর্যন্ত বলে ফেলল! আমরা জানি গালাগালি একমাত্র ন্যাংটারাই করতে পারে। এবার বুঝে নিন আসল ন্যাংটা কে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.