নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছায়া নয়, আলো ...

আরমান আরজু

সত্য ও অসীমের পথে

আরমান আরজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

পত্রিকাটি আমার লেখা আর প্রকাশ করবে না (!)

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:০০

চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত একটি ঐতিহ্যবাহী ইসলামিক ও মননশীল (!) মাসিক পত্রিকা আমার ’ইসলাম, আধ্যাত্মিকতা ও সত্যপথ’ বিষয়ক ধারাবাহিক লেখা ”জ্ঞানঃ কী? কেন? কীভাবে?” শিরোনামে প্রকাশ করত। এ পর্যন্ত লেখাটির দশটি পর্ব প্রকাশ করেছে পত্রিকাটি (সর্বশেষ মার্চ ২০১৬ সংখ্যায়)। এগারতম পর্বও দেয়া ছিল। পরপর দু’মাস লেখা প্রকাশ হচ্ছে না দেখে পত্রিকা কার্যালয়ে যোগাযোগ করলে সম্পাদক মহোদয় আমাকে জানালেন পত্রিকা কর্তৃপক্ষ আমার লেখা না ছাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি তো হতবাক। জিজ্ঞেস করলাম আমার অপরাধটা কী। জানালেন, আমার মতো আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তি নাকি এ ধরনের লেখা লিখতে পারে না! আমি আর কথা বাড়ালাম না।
মাসখানেক আগে ইসলামের অন্যমত পবিত্র স্থান এবং মহানবী (সা.)-এর শহরের নামে নামধারী ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি ইসলামিক মাসিকে ”পাঠ করুন” (লেখাটি আমার ওয়েবসাইটে আছে) শিরোনামে একটি লেখা পাঠালে সেই পত্রিকা কর্তৃপক্ষও আমার লেখাতে অনেক ভুল আছে বলে ছাপাতে অপারগতা প্রকাশ করে কিন্তু ভুলগুলো কী তা তাঁরা বলেনি।
বুঝতে পারলাম ’ইসলামিক’ চিহ্নটি শুধুমাত্র ব্যবসায়িক এসব ইসলামি বেশধারী পত্রিকাগুলোর, ভেতরে সত্যের লেশমাত্র নেই পুস্তকনির্ভর কতকগুলো নিঃসাড় লেখকের কচকচানি ব্যতীত। আর ইসলাম বিষয়ে লেখার অধিকার যেন আরবী বিদ্যাপীঠের তোতাপাখি মার্কা জোব্বা-টুপি পড়া হুজুররা ছাড়া আর কারো নেই!
আসল কথা হল সত্যের প্রকাশ সবসময় কেন জানি বাধাগ্রস্ত। সত্যকে সবাই ভয় পায়। অথচ সত্য ছাড়া বাঁচার কোন উপায়ও নাই। আসুন দেখা যাক কী এমন সত্য ছিল এগারতম পর্বে যা পত্রিকাটি ছাপতে পারল না।

”জ্ঞান: কী? কেন? কীভাবে? (১১তম পর্ব)

বিভ্রান্তকারীরা আমাদের আরো শেখায় কোরআন-হাদীসেও নাকি বলা হয়েছে যে মহানবী (সা.) আমাদের মতো মানুষ! আমাদের অতি জ্ঞানী কিছু কোরআন ব্যাখ্যাকারগণও (সঙ্গত কারণেই নামগুলো বললাম না) আয়াতগুলো এবং হাদীসের গভীরে না গিয়ে যা মনে এসেছে তাই লিখে রেখেছে। অগভীর এবং আরবী জানা (!) ও না জানা মানুষেরা এসব ব্যাখ্যা কিংবা তাফসীর পড়ে পড়ে আরো বেশী বুঝে ফেলেছে এবং বলে ফেলল, নবী নাকি বড় ভাইয়ের মত! এ বিষয়ে আলোকপাতের আগে কোরআনের তাফসীর সম্বন্ধে কিছু কথা বলা জরুরী হয়ে পড়েছে। কোরআনকে ভুল ভাবে উপস্থাপন করার জন্য এসব তাফসীরগুলো কম দায়ী নয়। আরবী শিক্ষিতগণ (আমি তাঁদের ’আলেম’ বলতে রাজি নই) আপত্তি তুলতে পারেন কিন্তু আমার বক্তব্য পরিষ্কার আর তা হল আপনি না বুঝলে সোজাসুজি বলে দেন যে, ’এ আয়াতটির মর্মার্থ আমি বুঝলাম না’। কিন্তু তা না করে কোরআনকে ডাল-ভাত মনে করে যেন-তেন ব্যাখ্যা দিয়ে দেবেন তা কোন জ্ঞানীর কাজ নয়। কোরআন ঐশী গ্রন্থ আর তাই কোরআন-এর মর্ম বুঝতে হলেও লাগবে ঐশী জ্ঞান (আরবীতে যাকে বলা হয় ইলমে লাদুন্নী), তথাকথিত বিদ্যাপীঠের জ্ঞান নয়। রকেট আকাশে ওড়ে এবং বিমানও আকাশে ওড়ে, তাই বলে কিন্তু বিমান নিয়ে মহাকাশে যাওয়ার চেষ্টা করার অর্থ হল নিজেকে অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করা। মহাকাশে যেতে রকেট লাগবেই। বিমান আকাশেই সীমাবদ্ধ। তদ্রুপ আকাশের জ্ঞান অর্জন করে একটা কিছু হয়ে গেছি মনে করে মহাকাশে যাওয়ার চেষ্টা করা বৃথা। মানুষের জ্ঞান সীমাবদ্ধ কিন্তু আল্লাহর জ্ঞান অসীম। আর তাই কোরআন কোন যুগের ঘেরাটোপে আবদ্ধ থাকার গ্রন্থ নয়, কোরআন-এর বাণী সর্বযুগের জন্য চিরন্তনরূপে বিরাজ করছে। সেজন্য কোরআন হল মূলনীতি এবং সে কারণে ইসলাম সর্বযুগের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান (কিছু অতি জ্ঞানী এবং নাস্তিক বা বস্তুবাদীরা বলে থাকে ইসলাম নাকি এ যুগে অচল! আসলে তারাই অচল তাদের অন্তরের অন্ধত্ব এবং অজ্ঞানতার কারণে)। যেহেতু কোরআন-এর বাণী সর্বযুগের জন্য চিরন্তনরূপে বিরাজ করছে তাই এর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণও সর্বযুগের জন্য উপযোগী হতে হবে। আজ থেকে এক হাজার বছর পর অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়ে যাবে এবং তা স্বাভাবিক। আমি যদি আমার যুগের জ্ঞান-বিজ্ঞান দিয়ে কোরআনকে বিশ্লেষণ করতে যাই তবে তা হবে মারাত্মক ভুল। মনে রাখতে হবে যুগের জ্ঞান-বিজ্ঞান পরিবর্তনশীল আর কোরআন চিরন্তনরূপে বিরাজ করছে। তাফসীরকারকগণ তাঁদের যুগের জ্ঞান-বিজ্ঞান দিয়ে কোরআনকে ব্যাখ্যা করে গেছেন আর তা পড়ে এ একবিংশ শতাব্দীর আমি হাসছি তাঁদের জ্ঞানের দৈন্য দেখে। আমি এসব উল্লেখ করতাম না কিন্তু ভুল ভুল ব্যাখ্যা পড়ে কাউকে (বর্তমানের তথাকথিত মুক্তচিন্তা এবং ধর্মান্ধতা তথা জংলিবাদের ধারকরা) কোরআন এবং ইসলামের অবমাননা করতে দেখলে আর কত চুপ থাকা যায়। আমি এখানে শুধু তিনটি আয়াত উল্লেখ করে দেখিয়ে দেব কেন এসব তাফসীরগুলো যুগোপযোগী নয়। পর্যায়ক্রমে আরো অসংগতি তুলে ধরা হবে। প্রথমে আসুন কোরআনের ৯৬ নং সুরা আলাক্বের চতুর্থ আয়াতটিতে,
”যিনি শিক্ষাদান করেন কলম দ্বারা”।
প্রচলিত তাফসীরকারকরা উপরোক্ত আয়াতটিতে ’কলম’ শব্দটি দ্বারা বুঝাতে চেয়েছেন কালির কলম যা দ্বারা কথা লিখে রাখা হয়। বলা হয় শিক্ষার বাহন কলম। আগে মানলেও কথাটি আমি এখন মানবো না। আজ থেকে ছয় বছর পূর্বে আমি লেখালেখির ক্ষেত্রে কলমের ব্যবহার ছেড়ে দিয়েছি। কর্মস্থলের কাজে শুধু সই করা ব্যতীত কলমের আর কোন ব্যবহার নেই। আর সামনে যদি বায়োমেট্রিক সই চালু হয়ে যায় তবে চেকেও আর সই করা লাগবে না, আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে সব কাজ হয়ে যাবে। যেহেতু কলমের ব্যবহার নেই তাই খাতা অর্থাৎ কাগজও নেই। কাগজ-কালি এখন আমার কাছে অচল। বিজ্ঞানের এক চমৎকার আবিষ্কার হাতে বহনযোগ্য আধুনিক আলাপনী (ইংরেজিতে যাকে বলা হয় Smartphone) কেনার পর আমার জীবনধারাই পাল্টে গেছে। আমি এখন ব্যবহার করছি দেশী ব্রান্ড (সবসময় দেশীয় পণ্য ব্যবহার করতে চেষ্টা করি) সিম্ফনির ফেবলেট (Phablet-ট্যাবলেট স্মার্টফোনের ছোট্ট সংস্করণ)। প্রথমেই বন্ধ করে দিয়েছি দৈনিক সংবাদপত্র আর বিক্রি করে দিয়েছি বহুদিনের কষ্ট করে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা অনেক বই-পত্র কারণ পত্রিকা এখন পড়ি বাসায় থাকলে ল্যাপটপে আর বাইরে কিংবা যানবাহনে থাকলে ফেবলেটে, একই ভাবে বইও। লেখার কোন বিষয় মনে হলে টুকে রাখি ফেবলেটের নোটসে যেখানে বাংলাতেও লেখা যায়। কোন তাৎক্ষণিক সংবাদ জানতে কারো কাছে জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন নেই, আছে মোবাইল ইন্টারনেট। খুঁজলেই পাওয়া যাবে। কোন ঠিকানা খুঁজে পাচ্ছেন না, দরকার নেই কারো কাছে জিজ্ঞেস করার, আছে মোবাইল মানচিত্র, জায়গার নাম লিখে দিলে আপনাকে মানচিত্র আকারে রাস্তা-ঘাট সব দেখিয়ে দেবে। এ লেখাটিতে তথ্যসূত্র হিসেবে যেসব বইয়ের নাম আমি দিচ্ছি কিংবা সামনে দেব সেসব কোন কাগজের বই নয়, সবগুলোই ই-বুক (Electronic Book) বা পিডিএফ নথি (PDF File)। হাজার টাকার ডাটা (সজনে ডাটা ভেবে আবার ভুল করবেন না! Data বলতে এখানে বুঝিয়েছি ইন্টারনেট খরচের হিসাব) খরচ করে এসব ই-বুক এবং পিডিএফ নথি আমার কিনতে হয়েছে। আমার ল্যাপটপে হাজারের উপর ই-বুক সংরক্ষিত আছে আর ফেবলেটটাকে তো রীতিমতো ছোট্ট একটা পাঠাগার (Library) বানিয়ে ফেলেছি। যদি এগুলো কাগজের বই হতো তবে ঘরে আর থাকতে হতো না, ভাড়া বাসায় কি আর বই রাখার জন্য আলাদা কক্ষ পাওয়া যায়। আর ইন্টারনেট থাকলে বিশ্বের বিভিন্ন ই-পাঠাগারে (Electronic Library) ঢুকে বই পড়া আটকায় কে। এভাবে আছে আরো অনেক সুবিধা। কাগজ আর কালির কোন ভূমিকা-ই নেই। আপনাদের অজানা নয় যে উন্নত বিশ্বের অনেক বিখ্যাত সংবাদপত্রের কাগুজে সংস্করণ এখন বন্ধ। সবাই এখন অনলাইনে চলে গেছে। উন্নত বিশ্বের অনেক বিদ্যাপীঠের শ্রেণীকক্ষে ছেলে-মেয়েদের ল্যাপটপের মাধ্যমে শিক্ষাদান করা হয়। কোথাও জানি দেখেছিলাম বিজ্ঞানীরা এখন এমন কম্পিউটার বা ল্যাপটপ বানানোর চেষ্টা করছেন যেখানে আপনাকে কষ্ট করে লিখতেও হবে না। মনে মনে বলবেন আর লেখা হয়ে যাবে। আমি মোটেই অবাক হচ্ছি না। কয়েক বছরের মধ্যেই হয়ত আমরা এ ধরনের প্রযুক্তি পেয়ে যেতে পারি। এত কথা বলার উদ্দেশ্য একটাই, দেখা যাচ্ছে কাগজ আর কালির ব্যবহার দিন দিন সীমিত হয়ে আসছে, হয়ত একসময় নাও থাকতে পারে। আমি আগেই বলেছি মহান আল্লাহর জ্ঞান অসীম। আমাদের চেনা জগতের প্রারম্ভ থেকে যবনিকা পর্যন্ত সমস্ত জ্ঞান মহান আল্লাহর কাছে সংরক্ষিত। তিনিও কিন্তু জানেন যে একসময় কালি-কলমের ব্যবহার ফুরিয়ে আসবে। তবে কেন তিনি কলমের মাধ্যমে শিক্ষাদানের কথা বললেন? এ কোন কলম? বুঝা যাচ্ছে এ কলম সে কলম নয় যা কাগজে লিখে। মহানবী (সা.)-এর কাছে মহান আল্লাহ যখন কোরআন নাযিল করছেন তখন তো তিনি নবী (সা.) কে বলেননি যে কাগজ-কালি নিন, লিখে রাখুন। বরং বলেছেন,
”বস্তুত এ হচ্ছে কোরআন মাজিদ, লৌহের মধ্যে হেফাযতপ্রাপ্ত” [সূরা বুরূজ, আয়াত: ২১-২২]।
’লৌহ’ শব্দের অর্থ স্মৃতিফলক। যেহেতু কোরআন এ স্মৃতিফলকে সংরক্ষিত সুতরাং একে লিখে রাখার কিংবা মুখস্থ রাখার কোন দরকার নেই। মহান আল্লাহর বাণী আল্লাহই প্রচার করবেন। কিন্তু সম্মানিত সাহাবারা এ কোরআন মুখস্থও রেখেছিলেন এবং লিখেও রেখেছিলেন, কারণ আর কিছুই নয়, আমাদের জন্য। আমরা যতই জ্ঞানের অধিকারী হই না কেন সম্মানিত সাহাবাগণের স্তরে পৌঁছা আমাদের পক্ষে কস্মিনকালেও সম্ভব নয়, সমালোচনা তো দূরের কথা। আরেকটি কথা এখানে বলে রাখা ভাল, কোরআন মহানবী (সা.)-এর উপর নাযিল হয়েছিল নবীর শিক্ষার জন্য নয়, আমাদের জন্য। মহানবী (সা.) শিক্ষকদের শিক্ষক, তাঁকে শিক্ষক করেই আমাদের মাঝে প্রেরণ করা হয়েছে। নবীকে যদি শিখতে হয় তো তিনি আমাদের কখন শেখাবেন! সুতরাং নবী (সা.)-কে শিক্ষাদানের কোন ব্যাপার এখানে নেই। অথচ আমাদের কিছু অতি জ্ঞানীরা কোরআনের ৭৫ নং সুরা ক্বেয়ামতের ষোড়শ, সপ্তদশ ও অষ্টদশ আয়াতদ্বয়ের ব্যাখ্যায় বলেন, কোরআন নাযিলের সময় এর আয়াত মুখস্থ করার জন্য নবী (সা.) নাকি ঘন ঘন জিহ্বা নাড়তেন যেন ভুলে না যান! মহান আল্লাহ নাকি নবীকে সান্ত্বনা দেয়ার জন্য বলেছেন, এ কোরআন পাঠ করানোর দায়িত্ব আল্লাহর! নাযিলের সময় প্রথমে ফেরেশতা জিবরাঈল পাঠ করবেন এরপর নবী! অথচ পুরো ক্বেয়ামত সুরাটি মানুষের মৃত্যু ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত। কোরআন পাঠের কোন আলামত আয়াত তিনটিতে নেই। আসুন আয়াতগুলো পাঠ করি,
”তুমি তোমার জিহ্বা এ বিষয়ে সঞ্চালন করো না একে ত্বরান্বিত করার জন্য। ইহা সংরক্ষণ করার ভার আমাদের উপর এবং এর ঘোষণাও। অতএব আমাদের ঘোষণা হওয়ার পর তুমি ঐ ঘোষণা অনুসরণ করিও” [সুরা ক্বেয়ামত, আয়াত: ১৬-১৮]।
আয়াত তিনটি খুবই রহস্যময়। খোলাসা করতে গেলে অনেক গোপন প্রকাশ হয়ে পড়ে তাই নীরবতাকে শ্রেয় মনে করলাম। এবার কলমে আসি। সুরা আলাক্বের চতুর্থ আয়াতটিতে যে কলমের কথা বলা হয়েছে তাও রহস্যময়। তবু একটু বলছি। শিক্ষাদান করেন কলম দ্বারা। শিক্ষার সাথে কলম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তবে কোরআনের এ কলম দিয়ে কাগজে লেখা না গেলেও অন্য আরেকটি স্থানে লেখা যায় আর তা হল মানুষের ক্বলব বা হৃদয়। এ কলমের অপর নাম ঈমানী শক্তি।”

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:




মনে হচ্ছে, বেদরকারী লেখা ছিল।

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমিও এক সময় দ্বীন দুনিয়া আর শিশু কিশোর দ্বীন দুনিয়াতে লিখতাম। আপনি তো দ্বীন দুনিয়াতে অনেক দিন ধরে লিখছেন। এখন প্রকাশ না করাতে তাদের ইসলামের বেশধারী বলা্টা কি ঠিক হলো? দ্বীন দুনিয়া আর মাসিক মদীনা বাংলাদেশে অনেক দিন ধরে ইসলামের খেদমত করছে। এখন আপনার লেখা না ছাপানোতে এত মনঃখুন্ন হওয়ার কিছু নেই। বায়তুশ শরফের আকীদাও আজকাল একটু বিতর্কিত হয়ে যাচ্ছে। সেটা ভিন্ন কথা। আপনার সিরিজ আমি পড়িনি। তবে আমার ক্ষদ্র জ্ঞানে এই পর্ব পড়ে বুঝতে পারলাম আপনার সংস্কার উনাদের ভালো লাগেনি। আসলে এই বিষয়গুলোতে সিদ্ধান্তে আসা স্পর্শকাতর। এসব বিষয় যুগ শ্রেষ্ঠ আলেমদের উপরই ছেড়ে দেয়া দরকার। জাযাকাল্লাহ খায়রান...

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪২

আরমান আরজু বলেছেন: ইসলামী (!) পত্রিকা গুলো আসলে কি ইসলামের খেদমত করছে না নিজেদের খেদমত করছে তা একটু দেখে শুনে বুঝে বললে ভাল হত। আমি মনঃক্ষুন্ন হইনি তবে আশ্চর্য হয়েছি যে তাঁরা দশ পর্ব পর্যন্ত ছেপেছে। আমি বই পড়ে এ লেখা লিখতে আসিনি। বই পড়ে লিখলে হাজার হাজার মাদ্রাসা পাস হুজুরেরা যথেষ্ট ছিল। আর আলেম বলতে আপনি কাদের বুঝাতে চেয়েছেন আমি জানি না তবে আমি আলেম বলতে বুঝি যিনি মহান আল্লাহর জ্ঞানে জ্ঞানী। যাঁর সাথে আল্লাহ ও তাঁর নবীর সরাসরি সম্পর্ক আছে তিনিই আলেম। লেখাটির কোথাও আমি কোন পত্রিকা কিংবা কোন প্রতিষ্ঠান-এর নাম নিইনি কারণ নামে কিছু যায় আসে না, যায় আসে কর্মে। কার আকীদা কী হয়ে যাচ্ছে সে চিন্তা বাদ দিয়ে আমাদের বরং উচিত হবে আগে নিজেকে চেনা। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.