নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছায়া নয়, আলো ...

আরমান আরজু

সত্য ও অসীমের পথে

আরমান আরজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি এবং জান্নাত ও জাহান্নাম

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৩০

”নিশ্চয়ই আমরা ইনসানকে সৃষ্টি করেছি দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত সৌন্দর্য্যের মধ্যে। তারপর তাকে আমরা পরিণত করি নীচদের (অন্তর্গত) নীচরূপে। তাদেরকে ব্যতীত যারা ঈমানদার এবং আমলে সালেহা করে” (সূরা তীন, আয়াত: ৪-৬)।
”নিশ্চয় যারা ঈমানদার এবং আমলে সালেহা করে: এরা সবাই উত্তম জীব (সৃষ্টির মধ্যে)” (সূরা বাইয়েনা, আয়াত: ৭)।
পাঠক, উপরোক্ত চারটি আয়াত ভাল করে পড়ুন এবং মনে রাখুন। আরবী ’জান্নাত’ শব্দটি অনেকে বিশেষ করে নারীরা নিজেদের নাম হিসেবে রাখে কিন্তু কাউকে আপনি আরবী ’জাহান্নাম’ নামটি ভুলেও রাখতে দেখবেন না কারণ সবাই জাহান্নামকে ভয় পায় অপরদিকে পছন্দ করে জান্নাত এবং সবসময় কামনা করে জান্নাতে থাকতে যেন নানার বাড়ীর আবদার! আমাদের মধ্যে কেউ মৃত্যুবরণ করলে আমরা আগপাছ চিন্তা না করে তোতা পাখির মত শুধু আওড়াতে থাকি হে আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করুন, তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন! আরো মনে করি কোন মৃত ব্যক্তির জন্য চল্লিশজন জান্নাতের দোয়া করলে মহান আল্লাহ নাকি তাকে সসম্মানে জান্নাতে ঢুকিয়ে দেন! আরো মনে করি একটা কাফের (নিজে কাফের না অন্য কোন কীট তার কোন খবর নেই!) মারতে পারলে জান্নাতে যাওয়া আটকায় কে!
এবার আয়াত চারটিতে আসি। ইনসানকে অর্থাৎ মানুষকে মহান আল্লাহ দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত সৌন্দর্য্যের মধ্যে সৃষ্টি করলেও পরক্ষণে সেই মানুষকে আবার পরিণত করেন নীচদের (অন্তর্গত) নীচরূপে কিন্তু তাদেরকে নয় যারা ঈমানদার অর্থাৎ ঈমান নামক শক্তিটি যাদের আছে এবং যারা আমলে সালেহা অর্থাৎ সৎকর্ম করে। বলা হয় মানুষ নাকি ’আশরাফুল মাখলুকাত’ অর্থাৎ সৃষ্টির মধ্যে সেরা! কে বলেছে? সেরা হলে তাকে আবার নীচরূপে কেন থাকতে হবে? সেরা হলে সে কেন অধঃপতিত হবে? তাহলে সেরা কে? সেরা তারাই যারা ঈমানদার এবং আমলে সালেহা করে কারণ এরা সবাই উত্তম জীব (সৃষ্টির মধ্যে)। আমার কথা নয়, যিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তিনিই বলেছেন (সূরা বাইয়েনা, আয়াত: ৭)। সুতরাং আগে নিজেকে ভাল করে দেখুন ঈমানদার হতে পেরেছেন কিনা কিংবা রাশি রাশি ’ছোওয়াব’ হবে ভেবে যেসব কর্ম করছেন সেসব আসলে সৎ কিনা।
কোরআনে কোথাও জান্নাতকে উত্তম সৃষ্টি বলা হয়নি। বরঞ্চ বলা হয়েছে যারা সৃষ্টির মধ্যে সেরা অর্থাৎ ঈমানদার তাদের জন্যই শুধু জান্নাত। সুতরাং সৃষ্টির সেরা কেন তার চেয়ে নীচু একটা বিষয় নিয়ে (অর্থাৎ জান্নাত) এত মাতামাতি করবে? জান্নাত দিয়ে সে করবে টা কী? তার মর্যাদা তো জান্নাতের অনেক উপরে। বরঞ্চ জান্নাতের তাকে (অর্থাৎ ঈমানদারকে) দরকার নিজের দাম বাড়ানোর জন্য। জান্নাত তারাই খুঁজবে যাদের মর্যাদা জান্নাতের চেয়ে নীচে। জান্নাত তারাই খুঁজবে যাদেরকে মহান আল্লাহ ইনসান রূপেই সৃষ্টি করেছিলেন কিন্তু তার নিজের ব্যর্থতার দরুন সে চলে গেল জীব থেকে জন্তুর সারিতে। তাদের জন্য অনুতাপ ছাড়া অন্য কিছু নেই কারণ জাহান্নাম কিন্তু জন্তুদেরই খুঁজছে।
কোরআনে জান্নাত-জাহান্নাম বিষয়ে অনেক আয়াত আছে। কথা হল জান্নাত কিংবা জাহান্নাম আসলে কী? রাজকীয় মহল কিংবা বিভীষিকার কারাগার? আমি আর এগোতে পারছি না। রহস্যের জ্ঞান অর্জন সাধনার বিষয়। সাধনা করুন, আমলে সালেহা করুন, ঈমান অর্জন করুন তখন আপনিও জানতে পারবেন জান্নাত-জাহান্নামের রহস্য।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন। আরও বড় ও একটু বিস্তারিত হলে আরও ভাল হত

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৩

আরমান আরজু বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.