নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছায়া নয়, আলো ...

আরমান আরজু

সত্য ও অসীমের পথে

আরমান আরজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

সালাত (নামায) জাহান্নামেরও চাবি – ৪র্থ পর্ব

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:১১

”নিশ্চয় সালাত যৌন অশ্লীলতা ও অবিশ্বাস নিবারণ করে” (সূরা আনকাবুত, আয়াত: ৪৫)।
অত্যন্ত সহজ ভাষায় মহান আল্লাহ পরিষ্কার বলে দিয়েছেন সালাত কোন কোন কার্য থেকে বিরত রাখবে। আয়াতটি শুরু হয়েছে ’নিশ্চয়’ দিয়ে অর্থাৎ আল্লাহ এখানে নিশ্চয়তা দিচ্ছেন যে সালাত অবশ্যই যৌন অশ্লীলতা ও অবিশ্বাস নিবারণ করে। সোজা কথায় সালাত কায়েম হয়ে গেলে যৌন অশ্লীলতা ও অবিশ্বাস আর থাকবে না। আর কায়েম না হলে থাকবে। কিন্তু পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও পৃথিবীতে আমরা কোন চিত্রটি দেখছি। দেখা যাচ্ছে যিনি নামায পড়ছেন সেই তিনি আবার যাবতীয় অশ্লীল কাজে মেতে উঠছেন, যেমন- সম্মানী ব্যক্তি (!) বলে প্রকাশ্যে কোন নারীর শরীরে হাত দিতে না পারলেও মনে মনে সেই নারীর সাথে বিছানায় পর্যন্ত চলে যান। মানুষ বাহির থেকে দেখে লোকটি খুব সম্মানী কিন্তু তার ভেতর যে অশ্লীলতায় ভরপুর তা মহান আল্লাহ ব্যতীত আর কেউ তো দেখছে না। দেখা যাচ্ছে আপনি মানুষকে ভয় পাচ্ছেন আল্লাহকে নয়। মসজিদে কিংবা জায়নামাযে যাদের দেখছেন তারা কিন্তু প্রকাশ্যে যৌন অশ্লীলতা করে বেড়ায় না। করে গোপনে। মহান আল্লাহ হাত দিয়েছেন সেখানে। প্রকাশ্য কিংবা গোপন সর্বাবস্থায় আল্লাহকে ভয় করতে হবে। আমাদের সমাজে দেখা যায় কোন মানুষ মারা গেলে জানাযার পর কেউ একজন বলে উঠে, ’লোকটি কেমন ছিল’। শোকে-দুঃখে কাতর আমরাও বলে উঠি, ’খুব ভাল ছিল’। ’ভাল ছিল’ এটা তো লোকটির বাহিরের রূপ, ভেতরে সে কেমন ছিল আপনি কি জানেন? অথচ আপনি সাক্ষ্য দিলেন ’ভাল ছিল’! লোকটি যদি ভাল হয় তো বেঁচে গেলেন কিন্তু যদি উল্টোটি হয় তবে তো আপনি মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়ার অপরাধে অপরাধী। নিজেরই ঠিক নেই আরো দিচ্ছি মিথ্যা সাক্ষ্য! অর্থের কাছে বিক্রি হয়ে যাওয়া কিছু ’আলেম’ আমাদের শিখিয়েছেন, কোন মৃত ব্যক্তিকে চল্লিশজন ’ভাল’ বললে মহান আল্লাহও নাকি তাকে ভাল বলবেন! দেখা যাবে কেয়ামতের ময়দানে ভালোদের কী পরিণতি হয়।
আবার দেখা যাচ্ছে যিনি নামায পড়ছেন সেই তিনি আবার যাবতীয় অবিশ্বাসে মেতে উঠছেন। সুদ-ঘুষ হারাম এটা আমরা বিশ্বাস করি কিন্তু দেখা যায় যিনি নামায পড়েন তিনি আবার সুদ-ঘুষে মেতে উঠেন! অনর্থক কথা এবং কাজ ইসলাম সমর্থন করে না। কিন্তু আমরা নামায পড়ি আবার ক্রিকেট-ফুটবলের মত অনর্থক কাজে মেতে থাকি! পরের জায়গা, পরের টাকা, পরের স্ত্রী ইত্যাদির দিকে চোখ দিতে ইসলাম অনুমোদন দেয় না। আমরা নামায পড়ি আবার চিন্তা করি কীভাবে অসহায়ের জায়গা নিজের আয়ত্তে নিয়ে আনা যায়। এভাবে হিসেব করলে দেখা যাবে আমরা নামায পড়ি ঠিকই কিন্তু সাথে সাথে অবিশ্বাসের কাজেও মেতে উঠি। তো আপনিই বলুন এ নামায কীভাবে আপনাকে জান্নাতে নেবে?
বর্তমানে দেখা যাচ্ছে মসজিদ-মাদ্রাসা-এতিমখানা-নামাযীওয়ালা-দাড়িওয়ালা-পাগড়ীওয়ালা-টুপিওয়ালা-ওয়াজ-লেকচার সবগুলোই ক্রমাগত বাড়ছে সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্যনতুন পাপকার্যও! কেন? কারণ যিনি নামায পড়াচ্ছেন তিনিও জানেন না কেন পড়াচ্ছেন আর যিনি পড়ছেন তিনিও জানেন না কেন পড়ছেন। খাবার খেলে জিহ্বা মজা পায়, পেট ভরে, দেহ শান্তিতে থাকে। পেট যে খাবার বুঝে পেয়েছে এটা আমরা টের পাই যখন ভেতর থেকে একটা শব্দ আসে যাকে ’ঢেক’ বলা হয়। ঠিক নামায কায়েম করতে পারলে ক্বলব মজা পায়, সূক্ষ্ম ইন্দ্রিয়গুলো (লতিফা) নূরের পরশ পেয়ে ভরে উঠে, দেহ পবিত্র থাকে। সূক্ষ্ম ইন্দ্রিয়গুলো (লতিফা) যখন নূরের পরশ পায় তখনও ভেতর থেকে একটা শব্দ আসে। আর বলা যাবে না। নিজেকে প্রশ্ন করুন নামায পড়বেন না কায়েম করবেন।

৩য় পর্বঃ Click This Link

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:৪৮

এম এ কাশেম বলেছেন: ভাই আপনি নেশা আর পেশা বা মানবিয় দুর্বলতার মধ্যে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছেন।

নেশা হলো যা খেলে বা পান করিলে বা অন্য যে কোন ভাবে গ্রহন করিলে আপনি স্বাভাবিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন,
বেহুশ হয়ে যান, দিকভ্রম হোন, মা বোন পার্থক্য করতে অক্ষম হোন বা আপনাকে সাময়িক কিংবা দীর্ঘ সময়ের
জন্য নির্বোধ বানিয়ে ফেলে তাহাই নেশা - যেমন মদ, গাঁজা, বিয়ার, হিরোইন, ইয়াবা বা অন্য কোন মাদক।
এসব অবশ্যই হারাম।

কিন্তু তার সাথে ফুটবল, ক্রিকেট, বা সিনেমা দেখার নেশার সাথে তুলনা করতে পারেন না। এগুলা নেশা নয়। তেমনি
বাড়ী গাড়ী অর্থ বিত্তের লোভ বা পাওয়ার আগ্রহকে মানবিয় দুর্বলতা বলতে পারেন। মানুষের মাঝে এসবেরস্বাভাবিক
দুর্বলতা থাকতে পারে - থাকাটাই স্বাভাবিক, কিন্তু তা যদি অস্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছে তখন তা পর্যায় ভেদে মকরুহ বা হারাম হতে পারে। যেমন ক্রিকেট খেলা বা দেখা হারাম নয়, তবে খেলতে বা দেখতে গিয়ে যদি আপনি নামাজ পড়ার কথা ভুলে যান তবে তাহা মাকরুহ বা হারাম হতে পারে। তেমনি বাড়ী গাড়ী পাওয়ার স্বাভাবিক লোভ আপনার থাকতে পারে এবং থাকাটাই
স্বাভাবিক কিন্তু সেগুলি যদি পাওয়ার সামর্থ আপনার থাকে বা হালাল রুজি দিয়ে ক্রয় করেন তবে সেগুলি হারাম হতে যাবে কেন
বা তবে তা পাওয়ার জন্য অসাধু পন্থা অবলম্বন করেন তবে তা হারাম হতে পারে ।


ভাই আপনি আলেম কিনা জানি না। সব কিছুকে এক পাল্লায় মেপে হারাম করা উচিৎ নয়।


তাছাড়া মনে মনে কে সাধু , কে চোর সেই বিচারের দায়িত্ব আমার আপনার নয় । আল্লাহ এক মাত্র আলিমুল গায়েব। সেই বিচারের দায়িত্ব আল্লাহর উপর ছেড়ে দিন।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।


৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:১৮

আরমান আরজু বলেছেন: ভাই এম এ কাশেম, আপনি আমার লেখা মনোযোগ দিয়ে পড়েননি। আপনি বলেছেন, ’সব কিছুকে এক পাল্লায় মেপে হারাম করা উচিৎ নয়’। আমি আমার লেখায় কোন জিনিসটি ’হারাম’ বলেছি একটু দেখিয়ে দিতে পারলে ভাল হয়। আরো জানতে চেয়েছেন আমি ’আলেম’ কিনা। আপনি যদি ’আলেম’ বলতে মাদ্রাসা কিংবা আরবী পাস গ্রন্থকীটদের বুঝেন তবে আমি সেটি নই। আমি ’আলেম’ বলতে বুঝি যিনি মহান আল্লাহর জ্ঞানে জ্ঞানী। যিনি ঐশী জ্ঞানের অধিকারী। আরো বলেছেন, ’মনে মনে কে সাধু , কে চোর সেই বিচারের দায়িত্ব আমার আপনার নয়’। আবারো বিনীতভাবে বলছি আমি আমার লেখায় কোথাও কারো বিচার তো চাইনি। আমি শুধু সত্য কথা গুলো বলে যাচ্ছি। মানা না মানা যার যার ব্যাপার। আপনি বলেছেন, ’তেমনি বাড়ী গাড়ী পাওয়ার স্বাভাবিক লোভ আপনার থাকতে পারে এবং থাকাটাই স্বাভাবিক’। এখানেই আপনার ভুল। বাড়ী গাড়ী পাওয়ার স্বাভাবিক লোভ কেন থাকতে হবে। আমরা জানি লোভে পাপ এবং পাপে মৃত্যু। প্রয়োজনে আপনি হালাল উপার্জনে বাড়ী গাড়ী কেন আরো অনেক কিছু কিনতে পারেন কিন্তু অপ্রয়োজনে নয়।
আবারো বলছি, আপনি যদি নামাযকে শুধু পড়ার মধ্যে সীমিত রাখেন তবে ফুটবল, ক্রিকেট, সিনেমা নয় আরো অনেক কিছু দেখতে পারেন। গিরিশচন্দ্র সেন কোরআন শুধু পড়েননি বাংলায় অনুবাদও করেছেন কিন্তু কোরআন মানেননি তাই তিনি এখনো সেই ’সেন’-ই রয়ে গেছেন। নামায-কোরআন শুধু পড়ার জন্য আসেনি এসেছে কায়েম আর মানার জন্য। যদি তিনি কোরআন মানতে যেতেন তবে তিনি আর গিরিশচন্দ্র থাকতে পারতেন না। মহান আল্লাহ সবাইকে সত্য ও সঠিক জ্ঞান দান করুন।

২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৮

জ্ঞান ক্ষুধা বলেছেন:



শিরোনাম যুক্তিযুক্ত
অনেক লোক যারা লোক দেখানো নামাজ পড়ে তারা শিরক এর গুনা লুফে নিল।

৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৪৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: লেখার থিম বুঝতে পেরেছি। আমার অবাক লাগে তাবলীগ জামায়াতের বিশ্ব ইজতেমা( আমি সমর্থন করিনা) দেখলে। এত মানুষ যদি সত্যিকারের ইসলাম পালন করতো তাহলে দেশে এত দুর্নীতি, পাপ হতো না...

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৩০

আরমান আরজু বলেছেন: কোন ব্যক্তি, দল বা সংগঠনের সমালোচনা করার আগে আমার নিজের সমালোচনা করা উচিৎ যে আসলেই কি আমি সত্যিকারের ইসলাম এর মধ্যে আছি কিনা, আমি কি মহান আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের বাস্তব পরিচয় পেয়েছি কিনা। যদি উত্তরগুলো 'না' হয় তবে আমার উচিৎ হবে আগে সত্যকে জানা। সত্য হচ্ছে অজানাকে জানা, অচেনাকে চেনা আর অলৌকিককে নিজের মধ্যে ধরণ করা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.